Announcement

Collapse
No announcement yet.

গুলশান হামলা শরীয়াহর স্পষ্ট লঙ্ঘন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    মানুষ মারার নাম জিহাদ নয়। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার নামই জিহাদ।
    এর স্বপক্ষে ফুকাহা`দের নিচের ২টি বক্তব্য দেখুন-

    আল্লামা শিবরিনী (৯৭৭ হি.) লিখেন:
    إذا المقصود بالقتال إنما هو الهداية وما سواها من الشهادة ، وأما قتل الكفار فليس بمقصود حتى لو أمكن الهداية بإقامة الدليل بغير جهاد كان أولى من الجهاد

    "কিতালের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র হিদায়াহ এবং এর বাইরে শাহাদাহ। [b]কিন্তু কাফিরদের হত্যা করা উদ্দেশ্য নয়। এমনকি যদি জিহাদ ব্যাতিরেকে দলীল কায়েমের দ্বারাই হিদায়াহ সম্ভব হয়, তবে এটা জিহাদের চেয়েও আওলা (উত্তম)।

    ["মুগনী আল মুহতাজ", ৪/২১০].

    আল্লামা তাকিউদ্দিন আস সুবকী (৭৫৬ হি.), লিখেন:

    وإما قتل الكافر وهو ليس بمقصود أصلا لأن فيه إعدام نفس يرجى إسلامها وإسلام ذريتها، فانقطع هذا الرجاء بموتها على الكفر وليس ذلك بمقصود ولا وسيلة الى المقصود بخلاف الشهادة، وإنما هو ضرورة أدى اليه الحال، والكافر هو الذي قتل نفسه بإصراره على الكفر ومقاتلته عليه، فليس فيه من المصلحة إلا ما يحصل لمن بقي من الكفار من الرعب في قلوبهم، لعلهم يرجعون إلى الإسلام وإعلاء كلمة الله تعالى
    "আর কাফিরদের হত্যা করা মৌলিকভাবে উদ্দেশ্য নয়, কারণ এতে এমন একটি প্রাণ নাশ হয়, যার ইসলাম গ্রহণ এবং তার বংশধরদের ইসলাম গ্রহণের আশা রয়েছে, আর কুফরীর উপর মৃত্যুর কারণে এই আশা কর্তিত হয়ে যায়। আর এটা উদ্দেশ্য নয় এবং উদ্দেশ্যে পৌছার মাধ্যমও নয়। তবে (আল্লাহর নিকট) সাক্ষ্যদাণের উদ্দেশ্য ব্যাতীত। বরং এটা (কাফিরকে হত্যা) একটা প্রয়োজনীয়তা ছিল যা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর একজন কাফের যে কুফরীর উপরে গোঁড়ামি এবং এর পক্ষে লড়াইয়ের কারণে নিজেকে হত্যা করেছে, তার মাঝে (উপরোক্ত) এই মাসলাহা নেই। তবে (তার মৃত্যুতে) অবশিষ্ট কাফেরদের মনে যে ভয় সৃষ্টি হবে, তা তাদের ইসলামে ফেরার কারণ হবে। আর আল্লাহর কালিমা বুলন্দ হবে (এই মাসলাহা) রয়েছে।

    [ত্বাবাক্বাতুশ শাফি'ইয়াহ ১০/২৩৯]

    Comment


    • #17

      প্রিয় ভাই আঞ্জেম চৌধূরী অদ্ভুত ধরনের যুক্তির অবতারনা করছেন। তিনি শায়খ আব্দুল ক্বাদির বিন আব্দুল আযী্যের উক্তির অংশবিসেশ দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছেন টেক্সটাইল কোম্পানী গুলো "আমান" দিয়েছিল আবার তিনি বলতে চাচ্ছেন বাংলাদেশ দারুল হারব না। তিনি যে বই থেকে উদ্দৃতি দিচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ পুরো বই একাধিকবার খুটিয়ে খূটীয়ে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এ বইতে শায়খ আব্দুল ক্বাদির বিন আব্দুল আযী্য দারুল হারবের কি সংজ্ঞা দিয়েছেন তা ভাইদের আমি লক্ষ্য করার জন্য অনুরোধ করবো। শায়খ বলেছেন দারুল হারব হল এমন কোন রাষ্ট্র যার ইসলামী রাষ্ট্রের সাথে যুক্তি নেই। ব্যস।

      Shaykh ‘Abdul-Qādir Ibn ‘Abdul-‘Azīz, may Allāh free him, said: “And it is the one that between it and Dār Al-Islām there is no treaty (Sulh) or truce (Hudnah), and it is not a condition that a war is actually taking place for the validity of this title. Rather, it is sufficient for there not to exist any Sulh, as we mentioned, which means that it is allowed for the Muslims to fight the people of these states at whatever time they want, and due to this it was called Dār Harb.”[“At-Tashrī’ Al-Jinā’ī ”, Vol. 1/533-534]

      বাংলাদেশের না কোন ইসলামী রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি আছে, না বাংলাদেশ ইসলামী শারীয়াহ দ্বারা শাসিত, নাই বা বাংলাদেশে "দারুল আমানের" শর্তসমূহ পালিত হয় না, আর বাংলাদেশের সরকার সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। সকল বিচারে বাংলদেশ দারুল হারব।
      যা সম্পূর্ণ আলোচনাকে অর্থহীন প্রমাণিত করে।

      -- এছাড়া ভাই আঞ্জেম চৌধুরি টেক্সটাইল কোম্পানীর পক্ষ থেকে অঘোষিত আমানের কথা বলছেন, প্রথমত এটী একটি অনুমান নির্ভর কথা। এ টেক্সটাইল কোম্পানীর কর্মকর্তারা আদৌ হারবী, মুস্তা’মান, আমান-আহাদ এসব সম্পর্কে জানে এটা ধরে নেয়া একটি ভুল প্রথম ধাপ। এবং এসব সদস্যরা যদি আদৌ হারবী কাফিরের আমান সম্পর্কে, আমানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনে থাকে তবুও তারা যে সরকারের দেয়া ভিসাকে আমান হিসেবে যথেষ্ট মনে করে না, এবং সে কারনে তারা আলাদা ভাবে নিজেদের পক্ষ থেকে আমান দিয়েছে এটাও কষ্টকল্পনা, যার পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যদি তারা আমান সম্পর্কে না জেনে থাকে তাহলে তার কিভাবে আমান দিল? আমান কি এমন শার’ঈ চুক্তি যা নিজ থেকে কার্যকর হয়ে যাবে যদিও চুক্তির কোন পক্ষী চুক্তি সম্পর্কে জানে না এবং জানে না চুক্তির শর্ত সম্পর্কে? এবং ঘটনার পর কোন কোম্পানীর পক্ষ থেকে বলা হয় নি তারা এসব মুহারিব কুফফারকে আমান দিয়েছে। অর্থাৎ তারা আগেও দাবি করেনি, পরেও দাবি করেনি। পুরো বিষয়টিই ভাই আঞ্জেম চোউধুরির হলেও হতে পারে – ধরনের একটি ধারণা।

      দ্বিতীয়ত যদি বুদ্ধির বিরুদ্ধে গিয়ে ধরে নেওয়াও হয় টেক্সটাইল কোম্পানী আমান দিয়েছে, অতএব যেহেতু এসব হারবী কাফির টেক্সটাইল কোম্পানীর আমন্ত্রনে এসেছে তাই তাদের ব্যাপারে আমানের ঘোষণা অঘোষিত ভাবে এ কোম্পানীর পক্ষ থেকে দেয়া হয়ে গেছে – সেক্ষেত্রে উত্তর হবে টেক্সটাইল কোম্পানীর আমান গ্রহনযোগ্য না, কারন “কোম্পানী” – ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গহীন একটি আলাদা সত্ত্বা, যাকে শারীয়াহ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে না। মুসলিম হিসেবে তো না-ই। অতএব এর আমান গ্রহনের প্রশ্নই আসে না। বরং কেউ যদি এরকম দাবি করে তবে সেটা এসকল হারবী কাফিরকে হত্যার জায়জ হওয়াকেই নির্দেশ করবে। কারন যদি এসকল হারবী কুফফার কোন কোম্পানীর আমন্ত্রনে এসে থাকে তাহলে তারা কোন মুসলিম ব্যক্তির আমান প্রাপ্ত হয় আসে নি, এসেছে মুরতাদ সরকার এর ভিসা এবং একটি কোম্পানির কাছ থেকে কথা নিয়ে কোন মুসলিম ব্যক্তির কাছ থেকে না। যদি মুসলিমগণ (খারেজি কিংবা আহলুস সুন্নাহ) তাদের আক্রমন করতে চায় তারা এটাই দেখবে যে এরা কোম্পানীর অথিতি, যে শার’ঈ ভাবে ব্যক্তি হিসেবেই স্বীকৃত না, মুসলিম হিসেবে তো দূরে থাক।
      তৃতীয়ত,যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া হয় উক্ত হারবী কাফিরগন আমান প্রাপ্ত তাহলে সেটা ঘোষণা করা প্রয়োজন ছিল। কারন মুজাহিদিনের ঘোষণা প্রকাশ্য, তার প্রকাশ্যে অ্যামেরিকান ও ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে হুশিয়ারি দিয়েছে। জামাতুল বাগদাদীর পক্ষ থেকেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যদি এসব টেক্সটাইল কোম্পানীর সদস্য কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমান দেয়া হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই তাদের ঘোষণা করা উচিৎ ছিল, যেমনটা অ্যালান হেনিং এর সময় বিভিন্ন মুজাহিদিন দল ও চ্যারিটি সংস্থা করেছিল। এমন তারা করে নি। আর এটা আগেই আলোচিত হয়েছে শুধুমাত্র টেক্সটাইল কোম্পানীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রন আমান হিসেবে গৃহীত না। যদি যা প্রকাশ্য তাকে ভিত্তি ধরা হয় তাহলে সর্বোচ্চ দাবি করা যেতে পারে যে টেক্সটাইল কোম্পানীর পক্ষ থেকে এসব মুহারিব কুফফার আমন্ত্রিত ছিল – এ তথ্যটি প্রকাশ্য। আর এ তথ্য থেকে আমানের দূরতম কোন ইঙ্গিতও বের করা সম্ভব না।, আমান থাকার স্পষ্ট প্রমাণ তো দূরে থাক। সুতরাং এটা মুজাহিদিনের দায়িত্ব না প্রত্যেক হারবী কাফিরকে জনে জনে জিজ্ঞেস করা যে তার আমান আছে না কি না। মুহারিবের দায়িত্ব এবং যে তাঁকে আমান দিয়েছে - যদি দিয়ে থাকে- তবে তাদের উভয়ের দায়িত্ব সে আমানের কথা ঘোষণা করা। বরঞ্চ আমরা এখনো কাউকে দেখি নি দাবি করতে যে তারা এ কাফিরদের আমান দিয়েছিল। দ্বীনের মূলনীতি হল দাবিকারী তার দাবীর স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থপন করবে। আমান আছে দাবি করা হলে সেটার জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ উত্থাপন করতে হবে। সুস্পষ্ট প্রমানের অনুপস্থিতিতে সাধারণ হুকুম প্রযোজ্য হবে। ধরে নেওয়া হবে না যে প্রমাণ উপস্থিত আছে। একারনে ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমান দেয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত ধরে নিতে হবে যে সব হারবী কুফফারকে হত্য করা হয়েছে তাদের আমান নেই। আমানের একটি দাবি তোলা হয়েছে যে মুরতাদীন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া ভিসা আমান - এবং তার খন্ডন করা হয়েছে।
      অতঃপর ভাই আঞ্জেম তার অবস্থানের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দারুল ইসলামের পক্ষে ইবন কুদামাহর বক্তব্য এনেছেন ! অত;পর তিনি বাছবিচারহীন হামলার কথা এনেছেন। মূলত তিনি বিশয়গূলএক একটি আরেকটির সাথে মিলিয়ে ফেলছেন। উনার এটুকু প্রমাণ করলেই যথেষ্ট হয় এসব মুহারিব কুফফারের রক্ত হারাম ছিল। কিন্তু যেহেতু সেটা শার’ঈ ভাবে প্রমাণ করা সম্ভব না, তাই তিনি এটাকে দারুল ইসলাম ও “বিলাদুল মুসলিমীনের” কথা এনে হামলার বাছবিচারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এধরনের এলেমেলো চিন্তা দুঃখজনক। যদি বাছবিচার সংক্রান্ত এ কথা গ্রহনও করা হয়, তবুও এ বাছবিচার গুলশান করা হয়েছিল মুসলিমদের কাফিরদের থেকে আলাদা করা হয়েছিল, কোন পাবলিক প্লেসে ঢালাও ভাবে মুসলিম-অমুসলিমের উপর হামলা করা হয় নি। অতঃপর কোন বাছবিচারের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? মুহারিব কাফিরের রক্তের বাছবিচার? যেখানে কাফিরের রক্তে মূলনীতি হল তা হালাল? এখনো পর্যন্ত কোন কোম্পানীর সাথে সংযুক্ত কোন ব্যক্তি কোন ইমাম, কোন আলিম, কোন দা’ঈ কোন সাধারণ মুসলিম এগিয়ে এসে বলছে না, অমুক ব্যক্তির পুত্র অমুক ব্যক্তিকে আমি একজন মুসলিম হিসেবে আমান দিয়েছি। অথচ এটা দাবি করতে এখন কোন নিরাপত্তা ঝুকি নেই, কোন বাধা নেই, বিপত্তি নেই। বরং এমন দাবি করা হলে সরকার, মিডিয়া, মুরজি’আ, শাহবাগি সকলেই একে ঢালাও ভাবেই প্রচার করতো। এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে যা জানা যায় তা হল এ মুহারিব কাফিররা আমানপ্রাপ্ত ছিল না। অতঃপর স্পষ্ট বিষয়কে কিভাবে প্রমানহীন দূরতম সম্ভাবনার ভিত্তিতে নাকচ করা যায়, আর এটা কোন শারীয়াহর অনুসরণ?

      এখনো পর্যন্ত কোন শার’ঈ আলচনার মাধ্যমে কেন মুহারিব কাফিরের রক্ত হালালের পরিবর্তে হারাম গণ্য করা হবে সে আলোচনা উপস্থাপন করা হয় নি। বরং কিছু ভুল ধারনার আনা হয়েছে যে বাংলাদেশকে দারুল ইসলাম বা দারুল আমান গণ্য করা হবে। কিছু বাস্তবতাবর্জিত ধারন করে নিতে বলা হয়েছে, যে কোম্পানী আমান দিয়েছে, কিংবা কোন ব্যাক্তি গোপনে আমান দিয়েছে, কিংবা হারবী কুফফারকে আমান দেয়া হলে সেটা প্রকাশ্য হুমকির বিপরীতে ঘোষণার দরকার নেই। কিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের অবতারনা করা হয়েছে যেমন হামলার বাছবিচার সংক্রান্ত যা এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক, কারন হামলাতে মুসলিম ও কাফিরের ক্ষেত্রে বাছবিচার করা হয়েছে। হালাল ও হারাম রক্তের বাছবিচার করা হয়েছে। সর্বোপরি এমন একটি স্পষ্ট দালীল আনা হয় নি যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় গুলশান যে কাফিরদের হত্যা করা হয়েছিল তা হারাম ছিল, কিছু ধারনাপ্রসূত সম্ভাবনার কথা আনা হয়েছে। এবং ধারনাপ্রসূত সম্ভাবনা দিয়ে কাফিরদের রক্তের ব্যাপারে আম হুকুমকে রহিত করে এ হামলাকে সরাসরি হারাম বলা হচ্ছে। অথচ সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া শুধুমাত্র প্রমাণ থাকলেও থাকতে পারে এর ভিত্তিতে এরকম বলা যায় না। এবং পাশাপাশি কিছু দাবি করা হয়েছে তানযীম আল-ক্বা’ইদার অবস্থান সম্পর্কে।

      মূলত এ বিষয়টি প্রকৃত অর্থে সিরিয়াস আলোচনার দাবি রাখে, বিশেষ করে হারিবী কুফফারের অন্তর্ভুক্ত নারী ও শিশুর বিধানটি। আর বাংলাদেশ দারুল ইসলাম বা দারুল আমান হবা হাস্যকর এ ধারন নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার দরকার মনে করছি না যেহেতু ইন শা আল্লাহ এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হবে। সম্মানিত ভাইদের অনুরোধ করছি সাবর করার এবং এলেমেলো আলোচনার পরিবর্তে টু দা পয়েন্ট আলোচনা করার।
      Last edited by Abu Anwar al Hindi; 07-15-2016, 02:19 PM.
      আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

      Comment


      • #18
        জাজাকাল্লাহ খুব সুন্দর ভাবে পর্যালোচনা করার জন্য

        Comment


        • #19
          মাশাআল্লাহ্*, ভাইদের সবাইকে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে দলীলভিত্তিক মতামত উপস্থাপনের অনুরোধ করা হলো - যা এখনো হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।

          Comment


          • #20
            আনজেম ভাইয়ের লেখাটি পড়ে , একটু দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গিয়েছিলাম, Abu Anwar al Hindi হাফিযাহুল্লাহ'র লেখা পড়ে তা কেটে গেছে , আলহামদুলিল্লাহ্*। Abu Anwar al Hindi ভাই আপনার কৌশলগত পর্যালোচনা পড়ার পর থেকে আপনাকে ভালবাসি, আল্লাহ আপনার সময় ও ইলমে বারাকাহ দান করুক, আমীন।
            ফেসবুকে দেখলাম একজনে কৌশলগত পর্যালোচনা' লেখাটি পাবলিশ করেছে, সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন্*... https://www.facebook.com/notes/ibn-a...81981998510265

            Comment


            • #21
              মডারেটর ভাই, আপনি আমার এতগুলো কমেন্ট আটকে রেখেছেন কেন?? একতরফা কথা চালিয়ে নিতে চাচ্ছেন??? আমি কতবার বলেছি, বাংলাদেশ দারুল আমান কিংবা দারুল আহদ নয়। কিন্তু আপনাদের কমেন্ট গোপন করার কারণে ভাইরা আমার সম্পর্কে ভূল ধারণা করছে।

              Comment


              • #22
                সম্মানিত আবু আনওয়ার ভাই, আপনি শায়খের বক্তব্য কোট করেছেন ঠিকই কিন্তু মনোযোগ দিয়ে পড়েন নি। শায়খ লখেছেন,
                it is allowed for the Muslims to fight the people of these states at whatever time they want, and due to this it was called Dār Harb.
                মুসলিমদের অনুমতি আছে, এই দেশসমূহের জনগণের সাথে যেকোন সময় লড়াই করার, আর একারণেই একে দারুল হারব বলা হয়।

                বাংলাদেশের মুসলিম জনগণের সাথে যেকোন সময় লড়াই করার অনুমতি কার আছে??? তাহলে কীভাবে বাংলাদেশ দারুল হারব হয়?? বাংলাদেশ দারুল ইসলাম/ দারুল আমান/ দারুল আহদ/ দারুল হারব কোনটাই নয়। বরং দারুল কুফর এবং বিলাদুল মুসলিমীন।

                Comment


                • #23
                  মাশা'আল্লাহ! আবু আনোয়ার ভাই...

                  এসব কোম্পানিগুলোর বিষয়ে এক্সাক্টলি তাই ভাবছিলাম... এমন হলে তো আর কোনো অপারেশনই করা যাবে না।

                  আরেকটা বিষয় - আমাদের সাথে যুদ্ধরত ব্যক্তি আরেক জায়গায় গিয়ে আমান নিলে সেটার ব্যাপারে স্ট্যন্স কী হবে? তা হলে তো কুফফার রা টাকা দিয়ে গোপনে কোনো মুসলমানকে দিয়ে আমান নিয়ে রাখলেই বেঁচে যাবে।

                  এই বিষয়টাও ক্লিয়ার করা দরকার...
                  إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏

                  "যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌছি যুদ্ধের জন্য, এটি তাদের জন্য দুর্বিষহ সকাল যাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।"

                  (সহিহ বুখারি, ৩৭১)

                  Comment


                  • #24
                    মূলত যে বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা হলোঃ

                    ১) কাফিরদের রক্তের ব্যাপারে মূলনীতি কি?
                    ২) কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া চাকরিরচুক্তি, কিংবা ব্যবসায়িক পার্টনারের আমন্তরন , কিংবা কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমন্ত্রন কি আমান বলে গণ্য হবে কি না?
                    ৩) কোন রাষ্ট্রের অপরাধের জন্য রাষ্ট্রের সকল নাগরিককে কি দায়ী গণ্য করা যাবে কি না? যুদ্ধরত কাফির দেশের বেসামরিক বাগরিক যেহেতু যুদ্ধ করে না তাই তাদের হামলা করা হারাম।
                    ৪) ক্বীসাসের নীতি কি শুধুমাত্র ব্যক্তির উপর প্রযোজ্য। অর্থাৎ যদি ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করে তবে সীমালঙ্ঘন কি শুধুমাত্র তার উপর হবে? কোন দায়ভার বহনকারী অপরের দায়ভার বহন করবে না – এই আয়াতের মাধ্যমে এক্ষেত্রে কি হুকুম পাওয়া যাবে?
                    ৫) ক্বিসাসের হুকুমের আলোকে কি কাফিরদের নারী ও শিশুকে হত্যা করা যাবে?
                    ৬) যেসব হামলার ক্ষেত্রে কাফিরদের নারী ও শিশুদের আলাদা করা সম্ভব সেক্ষেত্রে বর্তমানে তাদের আলাদা করা কি আবশ্যক নাকি বাঞ্ছনীয়। কিংবা উল্টোদিক থেকে প্রশ্ন করা যেতে পারে, যদি এরকম অপারেশানে নারি ও শিশুদের হত্যা করা হয় তবে কি তা হারাম নাকি অপছন্দনীয়?

                    আপাত ভাবে এগুলো মাসআলাগত ফিকহী প্রশ্ন হলেও প্রকৃত পক্ষে এগুলো তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের মানহাজের মূল শেকড়ের সাথে জড়িত বিষয়। বিশেষ করে ভাই আঞ্জেম যে অবস্থান গুলোর পক্ষে প্রচারনা করছেন, এবং যে অবস্থানগূলকে রাসূলুল্লাহর ﷺ সুন্নাহ বিরুদ্ধে এবং শারীয়াহর লঙ্ঘন বলছেন – এগুলোড় ব্যাপারে তার বক্তব্য যদি সঠিক হয় তবে নিঃসন্দেহে তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদে অধিকাংশ অপারেশানের উপর প্রশ্নবোধক চিহ্ন ফেলতে হবে। সুন্নাহ বিরুদ্ধ এবং শারীয়াহর লঙ্ঘন ও বলতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলকে আমাদের মানহাজ এবং সিদ্ধান্ত এবং আমাদের জামা’আ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। অন্যদিকে যদি ভাই আঞ্জেমের এ দাবি সত্য হয়, যে উনি যে অবস্থানের প্রচারনা করছেন এটাই তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের মানহাজ, সেক্ষেত্রে আমাদের মেনে নিতে হবে তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের বক্তব্য ও কার্যক্রম সাঙ্ঘর্ষিক। সেক্ষেত্রেও আমাদের সকলকে আমাদের মানহাজ এবং সিদ্ধান্ত এবং আমাদের জামা’আ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। শুধু আল-ক্বা’ইদাহ না বরং পুরো পৃথীবীতে যতোগুল জিহাদি জামা’আ আছে তাদের কে নিয়েই, এবং সেকারনে সম্পূর্ণ জিহাদের ধারণা নিয়েই আমদের চিন্তা করতে হবে।


                    একারনে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে আমাদের গভীর মনোযোগের সাথে ও গভীর ভাবে চিন্তা করা উচিৎ। যাতে করে সকল প্রশ্ন উত্থাপনকারীর প্রশ্ন আমাদের সংশয়ে না ফেলে। যাতে করে এ মৌলিক বিশয়গুলর ব্যাপারে আমাদের ধারণা পরিষ্কার থাকে। যে ঘর শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত না, তা দমকা নয় দুর্বল বাতাসের তোড়েও ভেঙ্গে পড়তে পারে।

                    বি’ইযনিল্লাহ আযযা ওয়া জাল আমি তানযীম আল-ক্বা’ইদাহর উমারাহ এবং উলামার বক্তব্য, এবং তাদের কার্যক্রমের প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে দেখাবো যদিও ভাই আঞ্জেমের দাবি সঠিক না এবং উনি যা বলছেন, যেভাবে বলছেন তা তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের অবস্থান না। অবশ্যই ভাইয়ের স্বাধীনতা আছে দালীলের ভিত্তিতে এবং ফিকহী ইখতিলাফের ভিত্তিতে ভিন্ন মত ধারন করার, তবে ভুল দাবি করার অধিকার তার নেই।

                    এ আলোচনা দীর্ঘ হবার সম্ভাবনাই বেশি একারনে আমি শুধুমাত্র প্রথম দুটি প্রশ্নের ব্যাপারে অসংখ্য উদ্ধৃতি থেকে হাতেগোন কয়েকটি উল্লেখ করছি। পরবর্তী আলোচনার জন্য কি এ থ্রেডই ব্যবহার করা হবে না কি একটি ভিন্ন থ্রেড শুরু করা হবে এ ব্যাপারেও আমি ভাইদের মাশওয়ারা চাইছি।


                    এখানে আমি উদ্ধৃতি গ্রহন করেছি এমন একজন ব্যক্তির যিনি জানেন তিনি কি নিয়ে কথা বলছেন। যিনি এ বিষয়গুলোকে শুধুমাত্র তাত্ত্বিকভাবে দেখেন নি, বরং বাস্তবে অনুধাবন করেছেন। যিনি বিভিন্ন মানহাজ এবং বিভিন্ন চিন্তাধারা সম্পর্কে গভির জ্ঞান রাখেন, এবং সমগ্র আধুনিক জিহাদী আন্দোলনের আদর্শিক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ ব্যক্তি বিভিন্ন নামে পরিচিত যার মাঝে অন্যতম হল – আবু মুহাম্মাদ, আবু ফাতিমা, মুহাম্মাদ ইব্রাহীম, আবু আব্দুল্লাহ, আবু মু’আয, উস্তায, আবু মুহাম্মাদ নুর-আদ-দ্বীন, নুর, আল-ডক্টর। তবে মুজাহিদিন ও তাদের সমর্থকদের মাঝে তিনি হাকীম আল উম্মাহ শায়খ ডঃ আইমান মুহাম্মাদ রাবি’ আয-যাওয়াহিরী নামে অধিক পরিচিত।

                    আমি প্রথম দুটি প্রশ্নে শায়খের বক্তব্য উপস্থাপন করছি। আমার ধারণা এসব প্রশ্নে তানযীম আল-ক্বা’ইদার অবস্থানের ব্যাপারে এ ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহনযোগ্য। আশা করি ভাইরা একমত হবেন।

                    শায়খের বক্তব্য

                    কাফিরদের রক্তের ব্যাপারে মূলনীতি হল তা হালাল

                    “শারীয়াহর অধীনে কুফফারের জান ও মাল আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বৈধ। শুধুমাত্র যদি শান্তিচুক্তি (সুলহ্*), আমান (নিরাপত্তা চুক্তি), অথবা যিম্মির সাথে ইসলামি রাষ্ট্রের চুক্তির উপস্থিতিতে কাফিরের জান ও মাল সংরক্ষিত গণ্য হবে।“ [তাবরিয়াত উম্মাতিল ক্বালাম ওয়া সাইফ মিন মানক্বাশাহ তুহমাত আল খাওর ওয়াদদ্ব’আফ, শায়খ আইমান আয্*-যাওয়াহিরী, অধ্যায় ৭]

                    “যেমনটা আমি ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছ, কাফিরের জান ও মাল শুধুমাত্র শান্তিচুক্তি (সুলহ্*), যিম্মি হিসেবে ইসলাম্রী রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি, অথবা আমানের (নিরপত্তা চুক্তির) অধীনে সুরক্ষিত বলে গণ্য হবে। যদি এ একটিরও অস্তিত্ব নিশ্চিত না হয়, তবে এব্যাপারে (কাফিরের জান ও মালের ব্যাপারে) মূলনীতি প্রযোজ্য হবে।“ [তাবরিয়াত উম্মাতিল ক্বালাম ওয়া সাইফ মিন মানক্বাশাহ তুহমাত আল খাওর ওয়াদদ্ব’আফ, শায়খ আইমান আয্*-যাওয়াহিরী, অধ্যায় ১১]

                    কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া চাকরিরচুক্তি, কিংবা ব্যবসায়িক পার্টনারের আমন্তরন , কিংবা কোন ব্যক্তির পক্ষ থেকে আমন্ত্রন কি আমান?


                    এপ্রশ্নের জবাবে শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ বলেন -

                    “বলা হয়েছে এসব বিদেশীরা মুসলিমদের দেশে কোন আমন্ত্রিত হয়ে অথবা কোন মুসলিম চাকরিদাতার কাছ থেকে প্রাপ্ত কর্মচুক্তির অধীনে। নিশ্চয় এর কারনে শারীয়াহ অধীনে তারা আমান প্রাপ্ত বলে বিবেচিত হবে।”।

                    আমি বলি-
                    এরকম আমন্ত্রন কিংবা কর্মচুক্তি কোন ভাবেই শার’ঈ আমান বলে গণ্য হবে না। কারন এখানে নিরাপত্তার কোন প্রকাশ্য ঘোষণা নেই। বরং এখানে যা উল্লেখিত হয় তা হল নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে সেবা/শ্রম প্রদান করা হবে। এখানে প্রকাশ্য, আক্ষরিক কোন নিরাপত্তার ঘোষণা নেই, এবং আচার-প্রথার দিক থেকেও একেক নিরাপত্তার চুক্তি গণ্য করা হয় না। এছাড়া আমাদের ও তাদের (কুফফার) মধ্যে প্রথায় রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য –

                    ক) যদি কোন আম্রিকি মিশর যেতে চায়, সে জানে শুধুমাত্র ভিসার মাধ্যমেই সে মিশর প্রবেশ করে পারবে। কোন কোম্পানীর চিঠি কিংবা কোন ব্যক্তির চিঠি দেখিয়ে সে মিশর প্রবেশ করতে পারবে এটা সে চিন্তা করে না।
                    খ) যদি কোন আম্রিকি ভিসা ছাড়া কোন এক মিশরীয় ব্যক্তি কিংবা কোম্পানীর চিঠি নিয়ে কায়রো এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়, তবে তাকে ফেরত পাঠানো হবে। তার এ চিঠির বিন্দুমাত্র মূল্য দেয়া হবে না, বরং তাকে জেলে দেয়া এবং তাকে নিয়ে হাসাহাসি করার সম্ভাবনা আছে।

                    গ) কোন কোম্পানীর মালিক, অথবা আমন্ত্রনাকারী ব্যক্তিও ভুলেও কখনো এটা মনে করে না যে শুধুমাত্র তার আমন্ত্রনের কারন ভিসা ছাড়াই কোন বিদেহসী মিশরে প্রবেশ করতে পারবে।

                    ঘ) যখন বিদেশীড় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং কতৃপক্ষ তাঁকে দেশ থেকে বের করে দিতে উদ্যত হয় তখন না ঐ বিদেশী আর না তার আমন্ত্রনকারি ব্যক্তি বা কোম্পানী দাবি করে যে ওই বিদেশী ওই ব্যক্তি কিংবা কোম্পানীর পক্ষ থেকে আমান প্রাপ্ত, এবং সরকার এ আমানকে মেনে নিতে বাধ্য (অর্থাৎ বিদেশীকে সরকার ফেরত পাঠাতে পারবে না)।

                    ঙ) ব্যাপারটা পরিস্কার করার জণ্য একটি কাল্পনিক উদাহরণ চিন্তা করা যাক। ধরুন একজন বিদেশীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে হয়ে গেছে। এবং সরকার তাকে দেশ ত্যাগ করতে বলেছে। এখন কি এই বিদেশী মনে করবে সে যদি তার চাকরিদাতা (কিংবা ব্যবসা পার্টনার) কিংবা আমন্ত্রনদাতার কাছে যায়, এবং বলে “তোমার পক্ষ থেকে আমাকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দাও, যাতে করে তারা আমাকে দেশ থেকে বের করে না দিতে পারে”? এমন কি চিন্তাও করা যায়? যদি আমরা কল্পনার সাগরে ডুব দেই, এবং ধরে নেই কোন বিদেহসী আসলেই এরকম করলো, সেক্ষেত্রে তাকে কি জবাব দেওয়া হবে? তাকে বয়াল হবে, “ভাই তুমি কি বলছো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার পক্ষে এটা করা সম্ভব না। কতৃপক্ষ যা বলে তোমার তাই করতে হবে, তাদের আইন তোমার মানতে হবে।“

                    কোন বিদেশী যখন মুসলিমদের দেশে আসে তখন সে এটা ভেবে নেয় না যে তার আমন্ত্রনকারী (কিংবা চাকরিদাতা, বা তার ব্যবসায়িক পার্টনার) অথবা সে যে হোটেলে উঠেছে সে হোটেলের মালিক তার জান ও মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। বরং সে নিশ্চিত ভাবে জানে এটা ঐ ভূখন্ডের সরকারের দায়িত্ব। সে নিশ্চিত ভাবে জানে এসব ব্যক্তি বা সংস্থার (চাকরিদাতা, হোটেল মালিক, ব্যবসায়িক পার্টনার, আমন্ত্রনকারী ব্যক্তি) একাজের এখতিয়ার নেই। বরং এ এখতিয়ার সরকারের।

                    আবার উলটো দিক থেকে চিন্তা করুন-

                    মিশরের একজন অধিবাসীও কল্পনা করে না যে সে ভিসা ছাড়া শুধুমাত্র কোন ব্যক্তি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি দেখিয়ে আম্রিকা কিংবা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবে। যদি দূতাবাসের থেকে দেওয়া ভিসা ছাড়া সে লন্ডন কিংবা নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে গিয়ে হাজির হয়, সেখান থেকে বিনা ব্যাক ব্যয়ে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তাহলে কিভাবে এগুলো আমান বলে বিবেচিত হএব যখন না আমাদের কাছে আর না তাদের কাছে এটা গ্রহনযোগ্য? [তাবরিয়াত উম্মাতিল ক্বালাম ওয়া সাইফ মিন মানক্বাশাহ তুহমাত আল খাওর ওয়াদদ্ব’আফ, শায়খ আইমান আয্*-যাওয়াহিরী ,অধ্যায় ১১।]
                    Last edited by Abu Anwar al Hindi; 07-15-2016, 10:12 PM.
                    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                    Comment


                    • #25
                      একটি ভ্রান্ত ধারণা: কাফিরের রক্ত হালাল
                      -------------------------------------------
                      যেখানে কাফিরের রক্তে মূলনীতি হল তা হালাল? এটা জুমহুরের (অধিকাংশ 'উলামা`দের) বক্তব্য নয়। জুমহুরের মতে কাফিরের রক্ত যুদ্ধে লিপ্ত হবার আগ পর্যন্ত হালাল হয় না।

                      জুমহুরের মাযহাবঃ

                      الكافر الأصلي الذي ليس هو من أهل القتال، فإنه لا يقتل عند أكثر العلماء كأبي حنيفة ومالك وأحمد.
                      অধিকাংশ উলামা` যেমনঃ আবু হানীফা (রহঃ), মালিক (রহঃ), আহমাদ (রহঃ) এর মতে-
                      মুরতাদ নয় এমন কাফির (কাফির আসলি) যদি যুদ্ধে সম্পৃক্ত (আহলুল ক্বিতাল) না হয়, তবে তাদের হত্যা করা যাবে না।
                      সুত্রঃ islamqa.info/ar/107105

                      জুমহুরের মাযহাব উল্লেখ করে শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যাহ (রহঃ) তার মাজমু' আল ফাতাওয়া [২০/১০১-১০২] গ্রন্থে লিখেন-

                      فَأَبُو حَنِيفَةَ رَأَى أَنَّ الْكُفْرَ مُطْلَقًا إنَّمَا يُقَاتَلُ صَاحِبُهُ لِمُحَارَبَتِهِ فَمَنْ لَا حِرَابَ فِيهِ لَا يُقَاتَلُ وَلِهَذَا يَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِنْ غَيْرِ أَهْلِ الْكِتَابِ الْعَرَبِ وَإِنْ كَانُوا وَثَنِيِّينَ. وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ مَالِكٌ وَأَحْمَد فِي أَحَدِ قَوْلَيْهِ وَمَعَ هَذَا يَجُوزُ الْقَتْلُ تَعْزِيرًا وَسِيَاسَةً فِي مَوَاضِعَ. وَأَمَّا الشَّافِعِيُّ فَعِنْدَهُ نَفْسُ الْكُفْرِ هُوَ الْمُبِيحُ لِلدَّمِ إلَّا أَنَّ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ تُرِكُوا لِكَوْنِهِمْ مَالًا لِلْمُسْلِمِينَ

                      ইমাম আবু হানীফার (রহঃ) সিদ্ধান্ত হচ্ছে: কুফরের কারণে তার ধারকের (কাফের) সাথে লড়াই কেবল তখনই হতে পারে, যখন সে লড়াই করবে। আর যে লড়াইয়ে অংশ নিবে না, তার বিরূদ্ধে লড়াই করা যাবে না। আর একারণেই আহলে কিতাব না হয়ে মূর্তিপূজক হওয়া সত্ত্বেও আরবদের কাছ [যুদ্ধ না করে] থেকে জিযিয়া নেয়া হয়েছিল এবং এ বিষয়ে ইমাম মালিক (রহঃ), আহমদ (রহঃ) তার সাথে একমত পোষণ করেছেন (তার দুইমতের একটি অনুযায়ী)। তবে এটা সত্ত্বেও শাস্তি হিসেবে কিংবা রাজনৈতিক কারণে কাফেরকে হত্যা করা কিছু ক্ষেত্রে জায়েয আছে। আর ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মতে স্বয়ং কুফরই রক্ত মুবাহ (হালাল) হওয়ার কারণ। তবে নারী-শিশুদের হত্যা করা হয় না, কারণ তারা মুসলিমদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে থাকে।

                      শায়খুল ইসলাম (রহঃ) অন্যত্র জুমহুরের মাযহাবকেই সঠিক প্রমাণ করে লিখেনঃ

                      فإن الأصل أن دم الآدمي معصوم لا يقتل إلا بالحق وليس القتل للكفر من الأمر الذي اتفقت عليه الشرائع ولا أوقات الشريعة الواحدة كالقتل قودا فإنه مما لا تختلف فيه الشرائع ولا العقول

                      মূলনীতি হচ্ছে যেকোন আদম সন্তানের রক্ত মা'সুম (অর্থাৎ রক্ত ঝরানো থেকে বিরত থাকতে হবে)। কোন ন্যায় সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা যাবে না। শুধু কুফরের কারণে তাকে হত্যা করা এমন একটি বিষয়, যার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধানসমূহ কোন একটি সময়ের জন্যও একমত হয় নি, যেমনটি কিসাস (القَوَدُ القِصاصُ - লিসানুল 'আরব) হিসেবে হত্যা করার ব্যাপারে হয়েছে, এমনকি বিবেকও (আক্বল) এতে একমত হয় না।

                      [আস সারিম আল মাসলুল, পৃ. ১০৪]

                      ইমাম আস সারাখসী আল হানাফী (রহঃ) (৪৮৩ হি.) লিখেন:

                      إن الآدمي في الأصل محقون الدم والإباحة بعارض القتال فإذا زال ذلك بعقد الذمة عاد الحقن الأصلي
                      "মৌলিকভাবে একজন মানুষের রক্ত ঝরানো নিষেধ এবং (রক্ত ঝরানোর) বৈধতা কেবল তার যুদ্ধে সম্পৃক্ততার কারণেই হয়। আর যখন এটি (যুদ্ধে সম্পৃক্ততা) যিম্মাহর চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়ে যায়, তার (রক্ত ঝরানোর) নিষেধাজ্ঞা পুনরায় ফিরে আসে।”

                      ["আল-মাবসুত", ১০/৮১].

                      শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) কাফির নারীদের ব্যাপারে বলেন:

                      قتل المرأة لمجرد الكفر لا يجوز ولا نعلم قتل المرأة الكافرة الممسكة عن القتال أبيح في وقت من الأوقات
                      "একজন নারীকে কেবল কুফরের কারণে হত্যা করা জায়েয নয়, এবং আমরা এমন কোন সময়ের কথা জানি না যখন যুদ্ধ থেকে বিরত নারী হত্যার বৈধতা দেয়া হয়েছিল"।

                      ["আস সারিম আল মাসলুল", পৃ. ১০১]।

                      হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব আল হিদায়াহ-তে ৩/২৮০-২৮১ আল্লামা মারগিনানী (রহঃ) লিখেন-

                      ولا يقتلوا امرأة ولا صبيا ولا شيخا فانيا ولا مقعدا ولا أعمى لأن المبيح للقتل عندنا هو الحراب ولا يتحقق منهم ولهذا لا يقتل يابس الشق والمقطوع اليمنى والمقطوع يده ورجله من خلاف والشافعي رحمه الله تعالى يخالفنا في الشيخ الفاني والمقعد والأعمى لأن المبيح عنده الكفر والحجة عليه ما بينا وقد صح أن النبي عليه الصلاة والسلام نهى عن قتل الصبيان والذراري

                      "এবং নারী, শিশু, অতিবৃদ্ধ, পঙ্গু, অন্ধকে হত্যা করা যাবে না কেননা আমাদের (হানাফীদের) কাছে হত্যার বৈধতা দাণকারী হচ্ছে যুদ্ধে অংশগ্রহণ, যা এদের মাঝে পাওয়া যায় না। আর একই কারণে একপাশ অচল, ডানহাত কর্তিত, বিপরীত দিক থেকে হাত-পা কর্তিতদেরও হত্যা করা যাবে না। তবে ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মত ভিন্ন। তিনি অতিবৃদ্ধ, পঙ্গু, অন্ধের ব্যাপারে আমাদের সাথে মতবিরোধ করেছেন কেননা তার নিকট হত্যার বৈধতা দাণকারী হচ্ছে কুফর। আর তার বিরূদ্ধে দলীল হচ্ছে নবী সাঃ থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীস যেখানে তিনি নারী-শিশু হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।"

                      ----------------------------------------------------
                      জমহুরের বক্তব্য পরিত্যাগ করে কাফিরদের রক্তকে হালাল বলা নিঃসন্দেহে মন্দ। হ্যাঁ, তবে কাফির যদি হারবী হয়, নারী-শিশু না হয় তবে সমস্যা নেই। কিন্তু গুলশান হামলায় ৮/৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের রক্ত হালাল ছিল না। সুতরাং এ কেমন বাছ-বিচার! খারেজীরা তো শরীয়াহর তোয়াক্কা করে না, তারা তাদের সুবিধামত ফতোয়া-শপিং করে, তাই বলে আমরা সহীহ মানহাজের দাবীদার হয়েও এমন কথা বলব? শায়খ মাকদীসী হাফিযাহুল্লাহ লিখেন,

                      فمعلوم انه لا يجوز في ديننا أن يعمد إلى قتل الصبيان والنساء غير المقاتلات ونحوهم، فقد فسر أهل العلم - ومنهم حبر القرآن ابن عباس رضي الله عنه - قوله تعالى: {ولا تعتدوا} بقوله: لا تقتلوا النساء والصبيان والشيخ الكبير

                      وروى مسلم في "باب؛ نساء غازيات... والنهي عن قتل أهل الحرب"، عن ابن عباس رضي الله عنه أيضاً قوله: وإن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يقتل الصبيان، فلا تقتل الصبيان إلا أن تكون تعلم ما علم الخضر من الصبي الذي قتل

                      وروى الامام أحمد والحاكم والبيهقي وغيرهم عن الأسود بن سريع أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ما بال قوم جاوزهم القتل حتى قتلوا الذرية؟! ألا لا تقتلوا ذرية، ألا لا تقتلوا ذرية

                      والأدلة في هذا الباب مشهورة، بل أفتى مالك والأوزاعي بأكثر من هذا فقالوا: (لا يجوز قتل النساء والصبيان بحال، حتى لو تترس أهل الحرب بالنساء والصبيان أو تحصنوا بحصن أو سفينة وجعلوا معهم النساء والصبيان؛ لم يجز رميهم ولا تحريقهم أهـ.

                      এটা তো জানা কথা যে আমাদের দ্বীনে যোদ্ধা নয় এমন নারী, শিশু এবং তাদের মত অন্যান্যদের আক্রমণের লক্ষ্য বানানো জায়েয নয়। আহলুল ইলম যেমন হিবরুল কুরআন ইবনু আব্বাস রাঃ (এবং সীমালঙ্ঘন করো না ২:১৯০) এর ব্যাখ্যা করেছেন: নারী, শিশু, অতিবৃদ্ধদের হত্যা করো না। সহীহ মুসলিমে ইবনু আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে- রাসুল সাঃ শিশুদের হত্যা করতেন না, তোমরাও শিশুদের হত্যা করো না। তবে খাযির আঃ এর মত যদি তোমাদের (গায়বের) জ্ঞান থেকে থাকে তবে করতে পার। ইমাম আহমদ, হাকিম, বায়হাক্বী এবং অন্যান্যরা আসওয়াদ বিন সারী' থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ "লোকেদের কী হল তারা হত্যার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করছে? সাবধান তোমরা শিশুদের হত্যা করো না। সাবধান তোমরা শিশুদের হত্যা করো না" আর এ সংক্রান্ত দলীল-প্রমাণগুলোও মশহুর। বরঙ ইমাম মালিক, আওযায়ী রহঃ ফতোয়া দিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই নারী এবং শিশুদের হত্যা করা জায়েয নয়, এমনকি শত্রু যদি নারী-শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করতে চায়, তবেও নয়। এমনকি যদি তারা নারী এবং শিশু নিয়ে দূর্গে অবস্থান করে কিংবা জাহাজে আরোহণ করে, তবে তাদের উদ্দেশ্যে তীর ছোড়া কিংবা অগ্নিসংযোগ করাও জায়েয নয়।

                      কিতাবঃ حسن الرفاقة في أجوبة سؤالات سواقة, পৃষ্ঠাঃ ৩৮।
                      --------------------------------------
                      কই? শায়খ মাকদীসী তো কাফির তাই রক্ত হালাল, এই যুক্তি দিয়ে নারীদের হত্যার ফতোয়া দিলেন না????

                      Comment


                      • #26
                        Originally posted by Shabab Abdullah View Post
                        আনজেম ভাইয়ের লেখাটি পড়ে , একটু দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গিয়েছিলাম, Abu Anwar al Hindi হাফিযাহুল্লাহ'র লেখা পড়ে তা কেটে গেছে , আলহামদুলিল্লাহ্*। Abu Anwar al Hindi ভাই আপনার কৌশলগত পর্যালোচনা পড়ার পর থেকে আপনাকে ভালবাসি, আল্লাহ আপনার সময় ও ইলমে বারাকাহ দান করুক, আমীন।
                        ফেসবুকে দেখলাম একজনে কৌশলগত পর্যালোচনা' লেখাটি পাবলিশ করেছে, সবাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন্*... https://www.facebook.com/notes/ibn-a...81981998510265
                        সে আল্লাহ আপনাকে আরো অধিক ভালোবাসুন যার জন্য আপনি আমাকে ভালোবাসেন।

                        আমীন, সুম্মা আমীন
                        Last edited by Abu Anwar al Hindi; 07-15-2016, 10:11 PM.
                        আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                        Comment


                        • #27
                          সম্মানিত ভাই আবু আনোয়ার আল হিন্দি (আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হেফাজত করুন!) এটাই সবচে ভালো হবে বলে আমার মনে হয় যে, আপনি ভিন্ন একটি থ্রেডে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে গুলশান হামলা, তার ব্যাপারে আল কাইদার মানহাজ সম্পর্কিত আলোচনা, ভাই আঞ্জেম চৌধুরি সহ অন্যান্যদের আপত্তিসমূহ ও তার জবাব দিবেন। এবং এই ধরণের হামলার ফলে আমাদের ভূমিতে জিহাদের ভবিষ্যৎ ফলাফল কি হবে ও সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আমাদের দাওয়াতি কার্যক্রম কেমন হবে, তার একটি সম্ভাব্য স্বরূপ পেশ করবেন। যতটুকু পেশ করা আমাদের তানজিম ও ভাইদের জন্য মুনাসেব হয়।
                          আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন আমিন।

                          Comment


                          • #28
                            আলহামদুলিল্লাহ। আমি নিজেও দিধাদন্দে পরে গিয়েছিলাম। এবং আবু আনোয়ার ভাইকে আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করুন। জি ভাই, একটি নিউ থ্রেডে বিস্তারিত আলোচনা হলে উত্তম হয় বলে আমার মনে হচ্ছে।
                            "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
                            বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

                            Comment


                            • #29
                              আলোচক ভায়েরা আপনারা সুন্দর ও দলীল ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে আমাদের অনেক কিছু জানালেন। যাযাকআল্লাহ


                              আসা করি আপনারা এই বিষয়ে আরো সু-স্পষ্ট করে বিস্তারিত একটি নোট উপহার দিবেন। ইনশাআল্লাহ

                              Comment


                              • #30
                                হা ভাই ভিন্ন থ্রেডে আলোচনা করুন।
                                মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                                রোম- ৪৭

                                Comment

                                Working...
                                X