Announcement

Collapse
No announcement yet.

সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ কি মার্কিনীদের দ্বারা আরো এক বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে ?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ কি মার্কিনীদের দ্বারা আরো এক বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে ?

    সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ কি মার্কিনীদের দ্বারা আরো এক বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে ?
    সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ , শুক্রবার, জুলাই ২৫, ২০১৪

    বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেশ কিছুদিন আগে অতি সঙ্গোপনে মার্কিনীদের সাথে থ্রি-ডি চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির পর থেকে কোন পক্ষ থেকেই কিছুই জানানো হয়নি। মাজে মধ্যে জাতি সংঘে বিভিন্ন আলাপ আলোচনার সময় এই থ্রি-ডি চুক্তি নিয়ে কথা বার্তা ঈষৎ হয়- তাও বিস্তারিত কিছুই আলোচিত হয়েছে বলে মনে হয়নি।বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কিংবা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে যে সব বিবৃতি প্রকাশ করা হয়ে থাকে- সেই সব বিবৃতিতে এই থ্রি-ডি চুক্তি নিয়ে কোন কথা কখনো থাকেনা। সাম্প্রতিক ইস্যু জিএসপি কিংবা শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা নিয়ে মার্কিনীরা সরব ও বিবৃতি প্রকাশ করলেও এ নিয়ে তেমন উচ্চ বাচ্চ করেনা। ধরেই নেয়া যায়, শেখ হাসিনা এবং মার্কিনীরা অত্যন্ত গোপনে এবং সুকৌশলে থ্রি-ডি চুক্তি নিয়ে কাজ করে চলেছেন, যা আমাদের অনেকেরও এমনকি আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিরও এ ব্যাপারে তেমন কোন ধারণা আছে বলে মনে হয়না। না হলে আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রী আর বুদ্ধিজীবীদের যে স্বভাব, তারা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নানান মন্তব্য আর টক শোর আলোচনায় খৈ ফুটিয়ে তুলতেন।

    অথচ এই থ্রি-ডি চুক্তির ফলে মার্কিনীরা সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক আগামীর বিশ্বের যে কূটনীতি, সমরনীতি, অর্থনীতি পরিচালিত হবে, যেখান থেকে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক সেন্টার পয়েন্টের রাজনীতি-সমরনীতি-অর্থনীতি ও ডিপ্লোম্যাসির চরম ফায়দা নিয়ে বাংলাদেশ অপার এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে, যা অনেকেরই কল্পনারও বাইরে- এমন এক অবস্থানে মার্কিনীরা আগে ভাগে সে সম্ভাবনা যাচাই বাছাই করেই লিড নেয়ার জন্যে এখন সশরীরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিজেরা শুধু উপস্থিত হয়নি, পুরো সেন্ট মার্টিন এবং নিঝুম দ্বীপে ওদের এক ধরনের দখলদারিত্ব কায়েম করে ফেলেছে। সরে জমিনে সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ ঘুরে এসে যে কেউ এর সত্যতা পাবেন। সেখানে গেলেই দেখবেন, পুরো এরিয়া ঘেরাও করে মার্কিনীরা( বিদেশীরা) একে অন্যের উপর নজর দারী করে কাজ করে চলেছে নীরবে। এখানে এমন এক অবস্থা, বিনা চেকিংযে কেউ কোথাও নড়া চড়ারও সুযোগ নেই। যেন হলিউডের এক থ্রিল জাগানো মুভি- যা বাস্তবে সেখানে বিদ্যমান। ২৪ ঘণ্টা সেখানে কি যেন এক মহাযজ্ঞের কাজ চলছে, অথচ সর্বোচ্চ সতর্কতাও নজরদারী।বাংলাদেশের সমুদ্রের উপর শুধু মাত্র নৌ নিরাপত্তা টহলের নামে সেখানে কেবলমাত্র বসে আছেন একজন পাহারাদার রুপী নৌবাহিনীর লোক- অথচ যে নৌ জাহাজে বসে তিনি পাহাড়া দিচ্ছেন ,তাও মার্কিনীদের।পার্থক্য শুধু মাত্র একজন মানুষ এখানে দায়িত্ব পালন করছেন, যিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। এটা কোন গল্প বা বানানো রিপোর্ট নয়। আপনি চাইলে সেখানে গিয়ে তা স্বচক্ষে পরিদর্শন করে আসতে পারেন।

    মার্কিনী সেনাবাহিনীর পুরো টিম ফ্লিট সহ বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের এই সীমানায় সেন্ট মার্টিন ও নিঝুম দ্বীপ এরিয়ায় অবস্থান নিয়ে পুরোদমে কাজ করে চলছে আগামী শতকের বিশ্ব ডিপ্লোম্যাসি-অর্থনীতি-সমর নীতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নেয়ার জন্যে। যে চুক্তির অধীনে তারা এই দখলদারিত্ব নিয়েছে এবং মহাযজ্ঞ কাজ শুরু করে দিয়েছে, কি সেই চুক্তি। থ্রি-ডি চুক্তি কেবল সিনেমা কিংবা সিসমোগ্রাফিক নয় বরং থ্রি-ডি হলো এখানে যেমন থাকবে মার্কিন নৌবাহিনী, তেমনি থাকবে মার্কিন বিমানবাহিনী, মার্কিন স্থল বাহিনী, মাউন্টেন বাহিনী, যুদ্ধযান ফ্লিট সহ লজিস্টিক সাপোর্ট, পেন্টাগন আর কাউন্টার টেরোরিষ্ট সাপোর্ট ও গ্রুপের সরাসরি উপস্থিতি। থ্রি-ডি চুক্তির মানেই হলো কূটনীতির সাথে সাথে সামরিক বেসামরিক এবং সিভিল প্রশাসনের যোগসূত্র ও সমন্বয়ে মিশন বাস্তবায়ন। এই বিষয়টি এতো স্পর্শকাতর ও সুদূর প্রসারী এক ব্যাপক পরিকল্পনার অংশ যে, যা সঙ্গত কারণেই উভয় পক্ষ এখানে গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করে চলেছে। থ্রি-ডি চুক্তির সাথে বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে অত্যাধুনিক সামরিক যুদ্ধযান সংযোগ- যোগসূত্র রয়েছে।আর ভারত ও চীন বঙ্গোপসাগরের এই সেন্টমার্টিন আর নিঝুম দ্বীপে মার্কিনীদের স্থায়ী উপস্থিতি আর থ্রি-ডি চুক্তির ফলে শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ব্যাপক এক নাতিশীতোঞ্চ অবস্থা। নয়াদিল্লী এবং গণচীন জানতে চায় বার বার, থ্রি-ডি চুক্তির আফটার ম্যাথ কি হচ্ছে ?

    শেখ হাসিনার সরকারের সাথে আমেরিকা যখন থ্রি-ডি চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলে, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঠিক তার পর পরই আমেরিকান নৌঘাঁটিতে বক্তব্য দেয়ার সময় সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে আমেরিকা তার নৌঘাঁটির ৭০% বাজেট খরচ করবে প্যাসিফিক ওসেন তথা বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অঞ্চলে।এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সাক্ষাতকার। ওবামা এখানে কোন রাখ ঢাক রাখতে চাননি। যা চীন এবং ভারতের ডিফেন্স ষ্ট্র্যাটেজীতে বড় ধরনের চিন্তার জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে আসছি একটু পরে। তার আগে এখানে আরো কিছু বিষয় বলে নেয়া ভালো-

    ০১) বঙ্গোপসাগরের গহীন সমুদ্রের একেবারে তলদেশের ঠিক উপরের অংশে বাংলাদেশ অঞ্চলের উপর দিয়ে একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত যে বিশাল রুট রয়েছে- সেই রুটে কতো পরিমাণ বিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাছের পোনার লাইন বা ধারা অনবরত বহমান- সে হিসেব বাংলাদেশের না থাকলেও আমেরিকা, চীন, ভারত আর ইউনেস্কোর রয়েছে। ইউনেস্কোর সেকেন্ড ইন কমান্ড লাইনের উঁচু পদের এক মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশের এক উঁচুমানের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এই তথ্য উপাত্ত একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সরেজমিনে রিসার্চের পর জানিয়েছেন।

    ০২) আমেরিকার বর্তমানে যুদ্ধযান নৌবহরে বঙ্গোপসাগরে একটি ফ্লিট রয়েছে। থ্রি-ডি চুক্তির পর আমেরিকা আরো ৪টি ফ্লিট অর্ডার করেছে, যা এই বর্তমান একটি ফ্লিটের সাথে আরো চারটি ফ্লিট সেন্টমার্টিন ও নিঝুম দ্বীপে এসে যোগ দিবে। এই একটি ফ্লিটে কতো টন পরিমাণ ইউরেনিয়াম তথা পারমাণবিক বোমা ও এর সরঞ্জাম যে বহন করতে সক্ষম সেটা কেবল ফ্লিট এক্সপার্টরাই ধারণা দিতে পারবেন।এছাড়া এই ফ্লিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে আরো কতো ধরনের বিশাল বাজার- সেটাও বর্তমানের হিসেবের আওতার বাইরে। আমেরিকা বর্তমানে একটি ফ্লিটের স্পেয়ার পার্টস ও এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দিয়েগো গার্সিয়াতে সোজা বাংলায় গ্যারেজ করেছে। তাদের সাথে আমেরিকার চুক্তি আছে ১০০ বছরের। এই স্পেয়ার পার্টসের ব্যবসায় শুধু ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন আয় দিয়েগো গার্সিয়ার। কিছুদিন আগে দিয়েগো গার্সিয়ার সাথে আমেরিকার চুক্তির ষাট বছর হলে এবং বাংলাদেশের সাথে যখন থ্রি-ডি চুক্তি হয়ে যায়, সেন্ট মার্টিনের জন্য আরো ৪টি ফ্লিট অর্ডার করে, তখনি প্রয়োজন পড়ে এই চুক্তির নবায়ন নতুন করে বিশেষ করে ভারত ও চীন যখন অতি আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসে। আমেরিকা তখন তার থ্রি-ডি চুক্তিকে আরো আড়ালে রাখার জন্য ভারতকে ও চীনকে বসে নিতে থ্রি-ডি চুক্তির মূল পার্টনার বাংলাদেশকে না জানিয়ে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপের উন্নয়নে ও সম্পদ আহরণে আরো ৪টি ফ্লিটের স্পেয়ার পার্টস ও রক্ষণাবেক্ষণের বাজার ভারতের সাথে করে বসে ৪০ বছর মেয়াদি চুক্তি।অর্থাৎ দিয়েগো গার্সিয়ার সাথে যে চুক্তি ১০০ বছরের সেই চুক্তি পেন্টাগন ৬০ বছরের মাথায় এসে ভারতের সাথে করে বসে আরো ৪০ বছরের জন্য। সেই ৪০ বছরের ২০ বছর ইতিমধ্যেই চলে গেছে। এখন রয়েছে ২০ বছর। স্বভাবতঃই ভারত এবং চীন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের এই ব্যবসা হাত ছাড়া করতে চাইবেনা। কেননা ২০ বছরতো এমনিতেই চলে যাবে। বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন নিঝুম দ্বীপে আমেরিকা স্থায়ী আসন গেঁড়ে বসে গেছে। কোন শক্তির আর ক্ষমতা নেই সেখান থেকে আমেরিকাকে ফিরিয়ে দেয়। সেন্ট মার্টিনে আমেরিকা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে থ্রি-ডি চুক্তির ফলে। শেখ হাসিনার সরকার চুক্তি করেই শেষ, ধারণাও নেই এর পরে এখানে কি হচ্ছে। থ্রি-ডি চুক্তির ফলে বাংলাদেশ সেন্ট মার্টিন নিঝুম দ্বীপ কেন্দ্রিক যে বিশাল সামরিক-ডিপ্লোম্যাটিক-অর্থনীতির যে বাজার গড়ে উঠতেছে, সেই বাজারের সিংহভাগ সাপ্লায়ার কিংবা এজেন্ট বাংলাদেশ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ সেখানে ঘুমিয়ে আছে- অজ্ঞতা ও অপরিপক্কতার জন্যে। এখানে কি পরিমাণ যে অর্থনৈতিক বিশাল সাম্রাজ্য মার্কিনীরা গড়ে তুলতেছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেননা। শুধু মাত্র ৫টি ফ্লিটের স্পেয়ার পার্টস আর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ যদি পায়, তার পুরো বাজেটের ৫টি বাজেটের চাইতে হাজারোগুণ বেশী ইনকাম বাংলাদেশ পেয়ে যাবে।শেখ হাসিনার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে ভারত চীন চাইছে কোন প্রকারের দেন দরবার ছাড়াই আমেরিকার কাছ থেকে ফ্লিট রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বাগিয়ে নিতে-অর্থাৎ দিয়েগো গার্সিয়া থেকে পেন্টাগন যাতে ভারত ও চীনের সাথে চুক্তি ও ফ্যাক্টরি করে।আর তার মানেই হলো তাদের ওখানে হাজার হাজার ভারী শিল্প মেশিনারি স্থাপন আর আয়ের সাথে লাখো কর্মসংস্থান।

    ০৩) ভারত বঙ্গোপসাগরের খনিজ সম্পদ আর মাছের ঐ চ্যানেলের হিসেবের কথা মাথায় রেখেই সমুদ্র রায় খুশী মনে মেনে নিয়েছে। ভারত জানে সমুদ্র রায় বরং তাদের পক্ষেই গেছে। জায়গা বেশী কেন ভারত আরো অধিক জায়গা ছেড়ে দিলে হলেও বাংলাদেশের সাথে সমুদ্র রায় মেনে নিতো। ভারত ইউনেস্কোর সেই রিপোর্ট হাতে পায় আজ থেকে ২০ বছর আগে কিংবা তারও আগে। আর বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সেই স্টাডি রিপোর্ট হাতে পায় মাত্র কিছুদিন আগে। ভারত জানে মাছের সেই বিশাল চ্যানেলের রুট আর সমুদ্রের গভীরের তলদেশে যে পেট্রোলিয়াম, গ্যাস, তেল সেই সম্পদের রুট চ্যানেলের গতিপথ।সে ক্ষেত্রে ভারতের ভাগ্যে সেই চ্যানেলের অংশীদার এখন তাদের মিত্র মার্কিন আর চীনের সাথে ব্যবসায়িক পার্টনারের ভিত্তিতে আহরণ ও ভাগ-বাটোয়ারার অংশ নিতে সুবিধাই হবে, যতোটানা বাংলাদেশের সাথে হতো।সমুদ্র রায়ের ফলে ভারতের সুবিধা এই কারণে, অপ্রয়োজনীয় অংশ বাংলাদেশকে বেশী করে দিয়ে ভারত তার প্রয়োজনীয় এবং মায়ানমার ও চীনের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বের ব্যবসা সুবিধা নিয়ে সে তার নিজের জায়গায় ইচ্ছে মতো যেমন খুশী করার যেমন অধিকার ও ক্ষমতা এবং সাধ্য রাখে, ঠিক ততোটুকু ক্ষমতা এবং সাধ্য বাংলাদেশ অর্জন করতে আরো ৫০ বছর সময় লেগে যাবে। ততোক্ষণে ভারত আরো এগিয়ে যাবে অনেকদূর। আর মার্কিনীরা নিজেদের স্বার্থে ভারত এবং চীন এমনকি মায়ানমারকে যতোটুকু ছাড় দিবে, বাংলাদেশকে ততোটুকু ছাড় দেয়ার প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ নেই, যদিও আমরা থ্রি-ডি চুক্তিতে আবদ্ধ মার্কিনীদের সাথে। কেননা আমাদের অদক্ষতা, প্রফেশনালিজমের অভাব, রাজনৈতিক ষ্ট্রাকচার সেভাবে গড়ে উঠেনি, সঠিক নেতৃত্বের অভাব- এসব মিলিয়ে আমরা ফায়দা লাভ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশই- সেটা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

    ০৪) চীন যেমন চায় বঙ্গোপসাগর হয়ে একেবারে আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত জালানির নিরবচ্ছিন্ন বাজারের দখল, তেমনি ভারত চায় একই বাজারের অংশীদারিত্ব।আমেরিকা চায় সেই বাজারের সম্রাট হয়ে থাকতে।বাকী থাকে ইউরোপের আর আরব দেশ সমূহ। সঙ্গত কারনে আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে ইউরোপ, আরব আর ব্রিটেন কখনো বাধা নয়ই বরং সহযোগী হতে বাধ্য। সেটার নানান ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ছাড়াও ডিপ্লোম্যাটিক এবং অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরও রয়েছে।ভারত চীনের সাথে তার বাণিজ্য বৃদ্ধি করছে, পাশাপাশি ব্রিটেন, জার্মানি, রাশিয়া সহ আমেরিকার সাথেও করছে।এখন দেখতে হবে বাংলাদেশ সেখান থেকে কি ফায়দা নিয়ে উন্নয়নের নতুন দরজা কেমন করে খুলে দেয়।বাংলাদেশ বিশ্বের এই নয়া বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সাম্রাজ্য দখলের তথা বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক এই খেলায় ভূ-রাজনৈতিক, ভূ-সামরিক, ভূ-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একেবারে সেন্টার পয়েন্টে। চীন, ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ যেই এই বিশাল বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক বিপুল সম্পদের বাণিজ্য শুরু করে নিয়ে যেতে চাইবে, তাকেই বাংলাদেশকে ব্যবহার করেই যেতে হবে। বাংলাদেশের সবচাইতে বড় যে বাঁধা আর তাহলো এমন রাজনীতি, অর্থনীতি, ডিপ্লোম্যাসি খেলার জন্য বাংলাদেশে যে ধরনের রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলা দরকার ছিলো- তা এখনো গড়ে উঠেনি এবং আগামী ৩০-৪০ বছরেও সেরকম আধুনিক উন্নত রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলাও সম্ভব নয়।সেজন্যে অনেকগুলো ফ্যাক্টর এখানে কাজ করছে। থ্রি-ডি চুক্তি শেখ হাসিনা করেছেন, সেটা জেনে কিংবা বুঝেই করুন, শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ এখনো সে ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ। একই অবস্থা বিএনপিরও।

    কারণ মার্কিনীরা সেন্ট মার্টিন ও নিঝুম দ্বীপে যে মহাযজ্ঞ শুরু করেছে, সেখান থেকে বাংলাদেশ কিংবা আওয়ামীলীগ বিএনপি হাজারো মারামারি কাটাকাটি করে নিজেদের সর্বনাশ করুক তাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন কোনভাবেই ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা। কেননা দুটো পথ এখন দেশের সামনে খোলা হয়ে গেছে (ক) হয় দেশকে উন্নয়নের পথে যেতে হবে, নয়তো (খ) দেশকে অনিবার্য ধ্বংসের ( ধ্বসের)হাত থেকে রক্ষা করা কারো পক্ষেই সম্ভব হবেনা। এক্ষেত্রে মার্কিনীদের নিজস্ব স্বার্থেই এদেশ নিঝুম দ্বীপ কেন্দ্রিক উন্নয়নের মহাযজ্ঞের সাথী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।বিগত ৫ তারিখের অসম্ভব এক নির্বাচনের পরও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে মার্কিন ও ব্রিটেন, চীন আর ভারতের সখ্যতা কিন্তু অন্য চোখে না দেখে সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ একবার ঘুরে আসার জন্য আপনাকে আমি অনুরোধ করছি, তখনি বুঝে যাবেন তারপরেও কেন হাসিনার সরকার ৫ তারিখের নির্বাচনের পর বিদেশীদের কাছে অগ্রহণযোগ্য নয়। নতুন সরকার মানেই থ্রি-ডি পেছনে পরে থাকা। মার্কিনীরা আর এক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করতে চায়না। এই ৫ বছর সময়ের ভিতরেই তারা সব পাকাপোক্ত করে করায়ত্ত করে নিতে চায়। এই সব উভয় শক্তিসমূহের নিজেদের আগামীর স্বার্থেই এখন আর এদেশে কে ক্ষমতায় আসলো বা না আসলো- সেটা মুখ্য নয়। বিএনপির হাই কমান্ড এই অংক এখনো আঁচ না করেই মাঝে মধ্যে মজীনা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর বিজেপির নেতাদের আশ্বাসে অতিরিক্ত আশান্বিত হয়ে যান- সেটাই তাদের আসল ভুল বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক ভূ-সামরিক, ভূ-রাজনীতি চাল আত্মস্থ না করতে পারা। জামায়াত বুঝলেও পাকিস্তানের অনাপত্তি আর ইরানের প্রতি অত্যধিক মিরাকল কিছু ঘটানোর প্রত্যাশার উপর ভর করে থাকার দরুন সেদিকে খুব একটা এখন আর দৃষ্টি দিতে চায়না।

    বাংলাদেশ সশস্র বাহিনী বর্তমানে অনেক পরিপক্ষ, যদিও ভারত, চীন এবং আমেরিকা ও কোন কোন ক্ষেত্রে মায়ানমারের সামরিক শক্তির কাছে এখনো অনেক অনেক পেছনে। তাদের সমকক্ষ লাভ করতে হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরো ৫০ থেকে ১০০ বছর সময় লেগে যাবে। আর সেই সময়ে ওরাও এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর। তবে শক্তির ভারসাম্য না হলেও এখন আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও প্রফেশনালিজম এবং এক্সপার্টিতা এতো ব্যাপক যে, তারা মার্কিনীদের সাথে বুঝা পড়া করেই বেশ কয়েক বছর থেকেই বঙ্গোপসাগর ও সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপের বিশাল এই কর্মযজ্ঞের নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বুঝেই বেশ দক্ষতা ও কৌশলের সাথে থ্রি-ডি চুক্তির সহযোগী হয়েই আছেন। আমাদের সেনাবাহিনীর কৌশলী সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম তখনি দেশের জন্য কাঙ্ক্ষিত ফললাভ এখান থেকে আসবে, যদি আমাদের পলিটিক্যাল ষ্ট্র্যাকচার এবং পলিটিক্যাল লিডারশীপ হয় আধুনিক, উন্নত, শিক্ষিত ও যুগোপযোগী। নতুবা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হবে মারাত্মক হুমকি ও ঝুঁকি পূর্ণ, যা মার্কিনীদের ও তাদের মিত্রদের আকাশ ছুয়ী ডিপ্লোম্যাসির সাথে আমরা পেরে উঠবোনা।

    শুরুতে থ্রি-ডি চুক্তির সময়কালীন সময়ের দিকে শেখ হাসিনার সরকার ও মার্কিন প্রশাসন আমাদের ধারণা দিয়েছিলেন, দুর্যোগ, দুর্বিপাক মোকাবেলায় কিছু সৈন্য আর যন্ত্রপাতি এখানে থাকবে, যাতে সিডর, আইলার মতো দুর্বিপাকে বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়া যায়। সেটা ছিলো নিছক এক আই ওয়াশ- সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপের তাদের বিশাল উপস্থিতি আর কর্মযজ্ঞ কিন্তু সেটা কিছুতেই বলেনা।বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ আর পুরো সেনাবাহিনীর ইউনিট সহ যুদ্ধযান এবং সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন- অন্য কথাই বলে।মার্কিনীরা এখনি এতো শক্তিশালী এক অবস্থানে সেন্ট মার্টিনে আছে, বাংলাদেশ সরকারের তর্জনি উঠানোর মতো অবস্থানে নেই।

    আমেরিকা, চীন, ভারত আর বিপরীত দিক থেকে পজিটিভ বার্তা নিয়ে আসতে উদ্যত রাশিয়ার এই ডিপ্লোম্যাসি এবং আপাততঃ বর্তমানের আগ্রাসী ডিপ্লোম্যাসি ( বলতে পারি) আর ভূ-রাজনীতি আর সামরিক কৌশলের এই খেলা বাংলাদেশের সেন্টার পয়েন্ট থেকে অবস্থান থেকে ফায়দা হাসিল- একমাত্র দুজন ব্যক্তি এখন পর্যন্ত বিশ্ব পরিমণ্ডলে আলোচনা করেছেন। তার একজন হলেন ডঃ মোহাম্মদ ইউনূস । সেজন্যে আমেরিকা ও চীন ভারতের কাছে ডঃ ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতাও নানাবিধ এইসব কারণে ব্যাপক। কিন্তু রাজনীতিতে শেখ হাসিনাও অনেক দক্ষ। দেশ তিনি চালাচ্ছেন। বুঝেন আগামীতে কি হবে, কি হতে যাচ্ছে। হাসিনা জানেন সারা বাংলাদেশের আর্দালি থেকে প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত আওয়ামীলীগের লোক বসিয়ে রেখেছেন কিন্তু পজিটিভ কিছুই এদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসবেনা, আসার সম্ভাবনা ও সুযোগও নেই। শুধু নেগেটিভের জন্ম এদের দ্বারা হবে। কিন্তু জেনে শুনে বিষ পান করতেই হচ্ছে, বিকল্পও আর নেই। তার উপর ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে এর ফল তখন অন্যের দ্বারা লাভ হলেও চালিয়ে দেয়া যাবে আওয়ামীলীগ ও হাসিনার নামে।এ যেন ফুল সিরাতের উপর দিয়ে যাত্রার শেষ মরণ কামড় খেলা।

    কেননা, আওয়ামীলীগ ভিশন ২০২০ যে রূপকল্প জাতিকে দেখিয়েছে, ২০২০ সালে সেই রূপকল্প পূর্ণ বাস্তবায়িত করার পরেও দেখা যাবে একেবারে অকেজো হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্যে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা, শ্রেণী বিন্যাস, বিশ্বায়ন, আর বঙ্গোপসাগর ও সেন্টমার্টিন ও নিঝুম দ্বীপ কেন্দ্রিক মার্কিনীদের তৎপরতা ও ব্যবসায়িক লাভ লোকসান জাতির সামনে এমন করে দেখা দিতে শুরু করবে, আওয়ামীলীগেরই এখনকার আর্দালি থেকে প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সেই রূপকল্প ডাস্টবিনে ছুড়ে মারবে। চট্টগ্রাম শুধু নয় ঢাকা ও বিশ্বের বাঙালি বিনিয়োগকারীরা তখন দলে দলে ছুটে আসবে মার্কিনীদের কাছ থেকে ব্যবসা ভাগিয়ে নেয়ার জন্যে, নানা কল কারখানা বাধ্য হয়েই সেখানে স্থাপিত হবে মার্কিনীদের সহায়তায়। সেন্ট মার্টিন থেকে প্রতিদিনতো আর ফ্লিটের কলকব্জা আর পারমানবিক সেই সব মারনাস্রের স্পার্টস আর ফাইটার প্লেনের তেলের জন্যে দিয়েগো গার্সিয়া কিংবা আরব সাগরে যাওয়া সম্ভব নয়।বরং নিজদের স্বার্থেই তখন বাঙালি ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবে। কারণ সেই রূপকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি না করেই কতিপয় আমলা আর এক্সপার্টদের দ্বারা সুন্দর সুন্দর নগরায়নের পরিকল্পনার মতোই সাজানো হয়েছে। যা তাদের জন্যে বুমেরাং হতে বাধ্য। কারণ ২০২০ সালের বাংলাদেশ এই জায়গায় থাকবেনা।

    পেন্টাগনের সামরিক ও নৌ-বাজেটের ৭০% সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপে ব্যয় এর পরিকল্পনা শুধু শুধু বঙ্গোপসাগরে আধিপত্য বিস্তারের দিকে চিন্তা করাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। পুরো বাজেটের ৭০% এই অঞ্চলে ওরা এখন ব্যয় করবে- নিশ্চয় এখানে মার্কিনীদের বিরাট স্বার্থ জড়িত, যা আমাদের ধারণা ও চিন্তার বাইরে।মার্কিনীরা সাধারণত: আগামী ২০০ বছর সামনে কি হবে-সে হিসেব মাথায় রেখে শুধু নয়, সেমতো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে প্রকল্প সাজিয়ে মাঠে নামে।আজ থেকে বহু বছর পূর্বে যক্ষা রোগের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা তারা এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপেই করেছিলো- সে সময়কালীন পরীক্ষা নিরীক্ষায় আজকের কর্মযজ্ঞ যে জড়িত ছিলোনা- এমন কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবেননা।

    তালপট্টি দ্বীপ যখন জেগে উঠেছিলো- আমরা এর গূঢ় অর্থই বুঝতে পারিনি।জিয়াউর রহমান কিছুটা সামরিক দিক থেকে আচ করতে পেরেছিলেন, সেজন্যে জাতি সংঘে নিয়েছিলেন। ভারত তার সামরিক, ডিপ্লোম্যাটিক আর আজকের সমুদ্র রায়ের কৌশল নির্ধারণে সেদিন ফ্ল্যাগ সহ ফ্রিগেট পাঠিয়েছিলো- আমরা সেদিন তখনো সামরিক দিক দিয়ে বিবেচনা করেছিলাম, আজও না বুঝেই বলছি তালপট্টি নামের কোন জায়গা মানচিত্রে ছিলো কবে? এইভাবে না বুঝলে কিংবা নিজেদের হীন রাজনৈতিক ঝঞ্জালে থাকলে একদিন এই সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপে জেগে উঠা অপার সম্ভাবনার নতুন আরো এক বাংলাদেশ- যেখান থেকে আমাদের অর্থনীতি বিশাল এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে- তাকেও সঠিক রাজনৈতিক কাঠামোর অভাব, দক্ষতা, প্রফেশনালিজমের অভাব, নেতৃত্বে দুর্বলতায় শুধু ব্যবসা, বাণিজ্যই নয়, গোটা সেন্ট মার্টিনই মানচিত্র থেকে হাত ছাড়া হয়ে যাবে আর তখন বলবো মানচিত্রে ছিলো কখন ?


    (আগামী পর্বে থাকছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ-পাল্টে যাবে বাংলাদেশ)

    salim932@googlemail.com
    24th July 2014, London.

    রেফারেন্সঃ

    ০১) পেন্টাগন ডিফেন্স ষ্ট্র্যাটেজী জার্নাল
    ০২) ভারত চীন বাণিজ্য চুক্তি, ভারত চীন ডিফেন্স ষ্ট্র্যাটেজী
    ০৩) গণমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ওবামার সাক্ষাৎকার-প্যাসিফিক ওসেনে নৌ-বাজেট
    ০৩) ইউনেস্কোর প্যাসিফিক ওসেন নিয়ে স্টাডি রিপোর্ট
    ০৪) ইউনেস্কোর বঙ্গোপসাগর ফিশ চ্যানেল টু অস্ট্রেলিয়া স্টাডি রিপোর্ট ১৯৬০-১৯৭০
    ০৫) চীনের জ্বালানী বাণিজ্য- এম্বিশিয়াস প্ল্যান নিয়ে ইনডিপেন্ডেন্টের রিপোর্ট ২০১৪
    ০৬) বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক স্টাডি রিপোর্ট ব্রিটিশ সাংবাদিকের দৃষ্টিতে গার্ডিয়ান ২০১৩-২০১৪
    ০৭) ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে বক্তব্য, ভারত চীন মার্কিনীদের সাথে মতবিনিময়- ১৯৮৩,২০০৭,২০০৮ (সংবাদ পত্র)
    ০৮) সিরাজুল আলম খান এর সার্ক প্রস্তাবনা ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চল নিয়ে ভূ-রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা ও বই থেকে- ১৯৮০, ২০০৮, ২০০৯,২০১২,২০১৪
    ০৯) বেঙ্গল স্টাডিজ কনফারেন্সের বিভিন্ন আলোচনার চুম্বক থেকে
    ১০) প্রফেসর মোফাজ্জালুল হক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সেমিনারের বক্তব্যের সারমর্ম- ১৯৮৯, ১৯৯১

  • #2
    আস সালামু আলাইকুম

    ibn masud ভাই

    জাজাক আল্লাহ খাইর।

    Comment


    • #3
      আস সালামু আলাইকুম

      ibn masud ভাই আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
      মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। আমীন।


      মার্কিনীরা অনেক আগে (পাকিস্তান আমাল ) থেকেই সেন্ট মার্টিন তাদের দখলে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে নিতে পারেনি।
      আপনার শেয়ারকৃত পোস্ট পরে বুঝলাম
      তাগুতলীগ ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিন তাগুতমার্কিন সরকারের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে।

      Comment


      • #4
        হুম্* বিষয়টা ভয়ঙ্কর।
        হাসবুনাল্লাহ।

        সম্ভবত এটাই হবে গাজওয়া-ই-হিন্দের সুচনা।
        "তুমি রবের বান্দার প্রতি দয়া কর
        বান্দার রবও তোমার প্রতি দয়া করবেন।"

        Comment


        • #5
          আমাদের ভাইদের সেন্ট মার্টিন আর নিঝুম দ্বীপ এর দিকে খেয়াল রাখা উচিত। কেননা সেখানে মার্কিনীরা অনেক সম্পদ এনে জমা করবে। সেখানে ঝুদ্ধ করলে তাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করা সম্ভব এবং গনিমাহ হাসিল করা যাবে ইনশাআল্লাহ্*।

          Comment


          • #6
            জাজাক আল্লাহ খাইর
            রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

            Comment


            • #7
              জাজাকাল্লাহ ! হাতের কাছে আসলেই না দু একটাকে সাইজ করার সুজোগ পাওয়া যাবে ।
              ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

              Comment

              Working...
              X