Announcement

Collapse
No announcement yet.

4gw, ৯/১১ ও আল-ক্বা'ইদাহর রণকৌশল

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    Originally posted by Abu Khubaib View Post
    ভাই আবু আনওয়ার ! আপনি লাস্ট কমেন্ট টী এডিট করে মূল পোস্টে ঢুকিয়ে দিতে পারেন।
    আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের মূল পরিকল্পণা ও তার বাস্তবায়ন - এটা থ্রেডের মূল বিষয়ের সাথে যুক্ত কিন্তু মূল পোষ্ট থেকে আলাদা, সম্পূরক কয়েকটা লেখার একটা হিসেবে তৈরি করা। এরকম আর দু একটি লেখা আছে যেগুলো এ থ্রেডে পোষ্ট করার ইচ্ছা আছে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ চাইলে সবশেষে সবগুলো লেখা একত্রিত করে দেওয়া যাবে।
    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

    Comment


    • #17
      জাযাকাল্লাহ

      Comment


      • #18
        জাযাকালাল্লাহু খাইরান

        Comment


        • #19
          মাশাআল্লাহ। আল্লাহ কবুল করুন।

          Comment


          • #20
            জাযাকালাল্লাহু খাইরান

            Comment


            • #21
              মা-শা-আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য।।

              Comment


              • #22
                4gw এবং বাংলাদেশ

                ইতিহাস সাক্ষী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। ইতিহাস এও সাক্ষী দেয় সঠিক সিদ্ধান্তকে ঘটনার পর সঠিক বলে চেনা যতোটা সহজ হলেও ঘটনা প্রবাহের সময় অধিকাংশের সময় ব্যাপারটা সহজ হয় না।

                মুসলিম উম্মাহর জিহাদ আন্দোলনের মূল ফোকাস অ্যামেরিকাকে বানানো নিয়ে এবং বিশেষ ভাবে ৯/১১ হামলার ব্যাপারে আল ইমাম ওয়াল মুজাদ্দিদ শায়খ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ বিরোধিতার সম্মূখিন হয়েছিলেন। এ বিরোধিতা শুধুমাত্র জিহাদী আন্দোলনের বাইরের মুসলিমদের দিক থেকে আসে নি। জিহাদী আন্দোলনের ভেতর থেকেও এ বিরোধিতা এসেছে। আঞ্চলিক জিহাদি সংগঠনগুলো শায়খ উসামা ও তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের এ নীতির বিরোধী ছিল, যদিও মুজাহিদ ভাই হিসেবে তাদের মধ্যে সখ্যতা ছিল। শায়খ আবু লাইস আল লিব্বী রাহিমাহুল্লাহ এবং তার সাথীদের LIFG থেকে তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদে যোগ দেয়ার ঘটনা প্রবাহ থেকে এ ব্যাপারে LIFG এর মনোভাবের আভাস মেলে।

                LIFG ছাড়া অন্যান্য অনেক আঞ্চলিক জিহাদি সংগঠনই শায়খের এ নীতির ব্যাপারে একমত ছিল না। খদ তানযীম ক্বা’ইদাতুল জিহাদের সদস্য এবং বলয়ের অনেকেই অ্যামেরিকাকে মূল লক্ষ্যবস্তু বানানোর নীতির বিরোধিতা না করলেও এ হামলার বিরোধিতা করেছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন শায়খ সাইফ আল আদল, শায়খ আবু হাফস আল মৌরিতানী, শায়খ আবু মুস’আব আস সুরি প্রমুখ। শায়খদের এ বিরোধিতার কারণও ছিল। কিন্তু ইতিহাস শায়খ উসামার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমান করেছে। এবং যা ছিল পূর্বে একটি পরোক্ষ বাস্তবতা, সেই বৈশ্বিক জিহাদকে ৯/১১ প্রত্যক্ষ বাস্তবতায় পরিণত করেছে। বিশ্বব্যাপী ক্রুসেডার-যায়নিস্ট-মুরতাদ শাসকঅক্ষ – তথা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধের পরিকল্পনা মুজাহিদিন নেতৃবৃন্দ করেছিলেন, ৯/১১ হামলা তাকে বাস্তব রপ দান করেছে, এবং সফলতা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই। ইতিপূর্বে একটি কৌশলগত পর্যালোচনা” থ্রেডে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। [http://bit.ly/1WkP8Mt]

                একই সাথে ৯/১১ এর হামলা ও তার পরবর্তী প্রেক্ষাপটের মাধ্যমে কার্যকরী ভাবে বিশ্ব কুফর শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুজাহিদিন 4GW কে যুদ্ধকৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। শায়খ আবু-‘উবাইদা আল-ক্বুরাইশি রাহিমাহুল্লাহর আলোচনায় যা ফুটে উঠেছে। তবে দুঃখজনক ভাবে উম্মাহর বড় একটা অংশ এখনো হক্ব-বাতিলের এ যুদ্ধের ধরন সম্পর্কে পুরনো ধারণা আঁকড়ে আছে। আমরা এমন অনেক ভাইকদেরই দেখি যারা আল্লাহর ইচ্ছায় জিহাদের জাযবা ধারণ করেন কিন্তু শত্রুর বিরুদ্ধে মোকাবেলার ক্ষেত্রে তারা আধুনিক যুদ্ধের ধরন এবং কৌশল অনুধাবন করতে পারেন না। ঠিক কিভাবে তানযীম আল-ক্বা’ইদাহ এ যুদ্ধের ছক এঁকেছে এবং এ যুদ্ধ চালাচ্ছে তারা তা বুঝতে ব্যর্থ হন। এটা অনেক আলিমদের মাঝেও দেখা যায়, আর ছাত্র-শিবির/জামাত, হিযবুত তাহরীর ইত্যাদির ভাইদের মধ্যে তো দেখা যায়ই। যেকারনে – বোম ফুটিয়ে গোপনে মানুষ হত্যা করে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে - বা এ জাতীয় বিভিন্ন কথা আমরা প্রায়ই শুনতে পাই।

                এধরনের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় এ যুদ্ধের ধরণটা তারা বুঝতে পারেননি। কোন এক বিশাল ময়দানে দুটি বাহিনী মুখোমুখি হবে এবং যুদ্ধে লিপ্ত হবে তারপর দিন শেষে বাহিনীদুটো নিজ নিজ ক্যাম্পে ফেরত যাবে এমন অবস্থা বর্তমানে নেই। আল মালহামাতুল ক্বুবরার আগে এর এমন অবস্থা হবে কি না – আল্লাহই ভালো জানেন।

                তাই চতুর্থ প্রজন্মের এ যুদ্ধের ধরন সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। আর এর জন্য আমাদের কিছু বাস্তবতাকে প্রথমে স্বীকার করে নিতে হবে –

                ১) লোকসংখ্যা, অর্থ, অস্ত্র, মিডিয়া – এ সকল ক্ষেত্রে মুজাহিদিন ও শত্রুর মাঝে শক্তির ভারসাম্যহীনতা আছে। এ প্রতিটি ক্ষেত্রে দাড়িপাল্লা শত্রুর দিকেই হেলে আছে।

                ২) ফিতনা এবং হত্যাকান্ড নিজ গায়ের উপর এসে যাবার আগে অধিকাংশ মানুষই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকবে। তাওয়াগিত দীর্ঘদিন ধরে মুসলিমদের ফিতরাতের মধ্যে যে বিকৃতি সাধনে সক্ষম হয়েছে এটা তার ফলাফল। যদি কেউ প্রমান চান তবে মিসর, লিবিয়া, কাশ্মীরের দিকে তাকাতে পারেন। এতো যুলুমের এসব অংশে মুসলিমদের বিশাল একটা অংশ আর মধ্যে আলিম-উলামাও শামিল আছেন – স্বৈরশাসন, গোত্রীয় শাসন এবং গণতন্ত্রের শাসনের মধ্যে দিয়ে – অর্থাৎ status quo/ বিদ্যমান বাস্তবতাকে জিইয়ে রেখে সমস্যার সমাধান করতে চাচ্ছেন । বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম হবে এমন মনে করার কোন কারন নেই। বিশেষ করে প্রকৃতিগত ভাবে বাংলাদেশীরা যখন উক্ত ভূমিগুলোর বাসিন্দাদের তুলনায় নরম প্রকৃতির।

                ৩। বাংলাদেশ মুজাহিদিনের জন্য একটি বদ্ধ খাচার মত। একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলকে মূল ঘাটি বানিয়ে (বা কোন অঞ্চলকে মুক্তাঙ্গন ঘোষণা করে) সেখানে থেকে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার মত স্থান ভৌগলিক ও জাতীয়-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটজনিত কারনে বাংলাদেশে নেই। একারনে যদি শুধু ৭১ এর সৃষ্ট সীমান্ত অনুযায়ী ভূখণ্ডের কথা আমরা চিন্তা করি তাহলে মুজাহিদিনের জন্য এ ভূখন্ড একটি খাঁচার মতো। যেই ভাইরা কাজের সাথে যুক্ত আছেন তারা এখন এ সত্য বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝতে পারছেন – আল্লাহ সকলে হেফাযত করুন, নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রাখুন।

                ৪। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি মোকাবেলায় লিপ্ত হওয়ার পরিস্থিতি এ ভূখন্ডে এখনো তৈরি হয় নি, এবং এ মোকাবেলার কার্যকারন অনুধাবনের ক্ষমতা জনগনের নেই।
                এসব বাস্তবতা অনুধাবনের পর যে জিনিসটি আমাদের কাছে পরিষ্কার হবে ইনশা আল্লাহ, তা হল যে একমাত্র পদ্ধতিতে আল্লাহর ইচ্ছায় মুজাহিদিন কাজ করতে পারেন তা হল 4GW এর নীতি সমূহ নিজেদের কাজে এবং পরিকল্পনায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে।


                শায়খ আবু উবাইদা আল-ক্বুরাইশি রাহিমাহুল্লাহর প্রবন্ধটির আলোকে উল্লিখিত চারটি বাস্তবতার দিকে তাকানো যাক।

                “বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ পর্যায়ের যুদ্ধ একটি নতুন ধরনের যুদ্ধ। এতে যুদ্ধ হবে মূলত ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কোন নির্দিষ্ট একটি স্থানে যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকবে না। শুধুমাত্র শত্রুর সামরিক স্থাপনা ও সেনাবাহিনীকে আঘাত করা মধ্যে এ যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং শত্রু দেশ বা জাতির সমাজও ও যুদ্ধের আওতায় পড়বে। এ যুদ্ধের একটি মূল লক্ষ্য হবে শত্রুর সেনাবাহিনীর বা যোদ্ধাদের প্রতি শত্রুর সমাজের যে সমর্থন তা নষ্ট করে দেওয়া। একারনে এ যুদ্ধে দশ-বিশ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধার একটি ডিভিশানের চাইতে টিভি চ্যানেলগুলোর সংবাদ শত্রুর বিরুদ্ধে অধিকতর কার্যকর অস্ত্র হিসেবে সাব্যস্ত হতে পারে।

                এখান থেকে মিডিয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। জিহাদি মিডীয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক লেখাই আছে, তবে এখনো পর্যন্ত এ মিডিয়ার গুরুত্ব ও ভূমিকা আমরা সঠিক ভাবে অনুধারবন করতে পেরেছি বলে আমার মনে হয় না। জিহাদি মিডিয়ার একটি ভূমিকা মুজাহিদিনের খবর প্রচার করা। এর মাঝে আছে মুজাহিদিনের বক্তব্য, মানহাজ সঙ্ক্রান্ত লেখা-বই-প্রবন্ধ, বিভিন্ন জিহাদি ময়দানের খবর ইত্যাদি। এ বিষয়টা আমরা সবাই বুঝি। কিন্তু জিহাদি মিডিয়ার আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে আর তা হল জনগনের চিন্তাকে পরিবর্তন করা। জনগনের চিন্তাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত করা। জনগনের চিন্তাকে আকার দেওয়া।

                আমরা যখন জিহাদি মানহাজের সবচেয়ে সফল দা’ঈ শায়খ আনওয়ার আল-আওলাকীর রাহিমাহুল্লাহ উদাহরনের দিকে তাকাই তখন আমরা দেখতে পাই শায়খের সর্বাধিক প্রচারিত এবং কার্যকর লেকচারগুলোর ৯০% সরাসরি জিহাদ নিয়ে না। যদিও এগুলোড় মধ্যে জিহাদের দিকে নির্দেশনা প্রোথিত। এমনকি শায়খের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, আল্লাহ আমাদের বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন, State of the Ummah এমননি Dust will Never Settle Down এর মতো লেকচারগুলোতেও সরাসরি ময়দানের কথা বলা হয় না।

                অর্থাৎ মিডিয়ার কাজ শুধুমাত্র সরাসরি জিহাদের ময়দানের খবর কিংবা আল-ক্বা’ইদার বক্তব্য প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। বরং ওই চিন্তাধারার ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করাও জরুরী যা মানুষকে ময়দানের দিক নির্দেশনা দেবে। জিহাদি মিডিয়ার কাজ যদি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চিন্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তবে সাধারণ জনগনের মধ্যে ব্যাপক প্রচার ও প্রভাব অর্জন করা হবে কঠিন। একারনে শুধুমাত্র খুরাসান, শাম, কিংবা সোমালের খবর প্রচার এ নিষ্ক্রিয় জনতাকে অনুপ্রানিত করার ক্ষেত্রে কটোতুকু ফলপ্রসু তা আমাদের চিন্তা করতে হবে। একইভাবে চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মুজাহিদিনের দৃষ্টিভঙ্গি জনগনের সামনে তুলে ধরাটাও গুরুত্বপূর্ণ যাতে করে জনগন মুজাহিদিনের চোখে বাস্তবতাকে দেখতে শেখে।

                আমাদের বুঝতে হবে আমাদের মূল দর্শক বা পাঠক কারা। কারন এর উপরই নির্ভর করবে আমাদের প্রচারনার, ধরন, বিষয়বস্তু ও ভাষা। সব শ্রেণীর দর্শকের জন্য একই ধাচের জিনিষ উপযুক্ত ন। যারা ইতিমধ্যে মানহাজ বুঝেছে তারাই কি আমাদের একমাত্র টার্গেট অডিয়েন্স? যাদেরকে সক্রিয়ভাবে কাজে শামিল করতে চাই তারাই কি আমাদের একমাত্র অডিয়েন্স? নাকি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে মুজাহিদিনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় সমর্থনের দিকে নিয়ে আসাও আমাদের লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত? বিশেষ করে আমাদের বৃহত্তর আলিম সমাজ যখন নিষ্ক্রিয়তার ও নিরবতার নীতি গ্রহণ করেছেন।


                শায়খ আবু উবাইদ আল-ক্বুরাইশি লিখেছেন –

                চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধের মূল কৌশলগত ফোকাস হবে শত্রুর মনস্তত্ত্বের উপর, এবং প্রতিপক্ষের সামরিক নীতিনির্ধারক ও কৌশলবিদদের চিন্তাকে প্রভাবিত করার উপর। শুধুমাত্র যুদ্ধাস্ত্র বা যুদ্ধবিন্যাস না চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ভূমিকা পালন করবে মিডিয়া, এবং সকল ধরনের ইনফরমেশান নেটওয়ার্ক। এগুলোর উদ্দেশ্য হবে প্রতিপক্ষ দেশ বা জাতির সাধারণ জনগন ও অভিজাতশ্রেণীর চিন্তাকে, জনমতকে প্রভাবিত করা।

                জনমতকে প্রভাবিত করার কাজে যদি আল্লাহর ইচ্ছায় সফলতা আসে তাহলে অধিকাংশ জনগন যদি নিষ্ক্রিয়ও থাকে তবু তারা নিষ্ক্রিয় সমর্থক হিসেবে থাকবে। যেমনটা শাতেমদের হত্যাকান্ডের সময় আমরা দেখেছি। কিন্তু জামাতুল বাগদাদির হঠকারী হামলার পর এ নিষ্ক্রিয় সমর্থন, বিরোধিতায় পরিণত হয়েছে এবং অনেকে ক্ষেত্রে তা সক্রিয় বিরোধিতায় রূপ নিয়েছে। এবং এক্ষেত্রেও মিডিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে শত্রুর মিডিয়া জনগনের মধ্য সফল ভাবে ভয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

                শায়খ আবু উবাইদা আরো বলেন -

                বিশেষজ্ঞরা আরো দাবি করলেন... একটা বিশাল ময়দানে বা কোন সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে সামনাসামনি যুদ্ধের বদলে এ যুদ্ধ হবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আর এ যুদ্ধের প্রতিপক্ষ হবে ভূতের মতো। যার আবির্ভাব ঘটবে হঠাৎ, আবার হঠাৎ করেই সে মিলিয়ে যাবে। একি সময় একাধিক জায়গায় উদয় হবে আবার তাকে ধাওয়া করতে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হারিয়ে যাবে। এ যুদ্ধের ফোকাস হবে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক। এ যুদ্ধ হবে সর্বব্যাপী।

                এটি 4GW এর একটি অতযন্ত গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এই দ্রুত গতির ফলেই শত্রুর বিশাল আকার ও ওজনকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। তুলনামূলক ভাবে দুর্বল প্রতিপক্ষের জন্য শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবির্ভাব ও মিলিয়ে যাবার সক্ষমতা ছাড়া যদি আঘাত হানা হয় তবে শক্তিশালী শত্রু আপনাকে পিষে ফেলবে। অর্থাৎ সময়ের আগে সম্প্রসারনের নীতি জিহাদী আন্দোলনের জণ্য ক্ষতি বয়ে আনবে। প্রমান – বাংলাদেশে জামাতুল বাগদাদির বর্তমান অবস্থা।

                জামাতুল বাগদাদি অতি দ্রুত তাদের আক্রমনকে এমন মাত্রায় উন্নীত করেছে যখন সরকার বাধ্য হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সম্পূর্ণ ওজন নিয়ে তার উপর চেপে বসতে। আর জামাতুল বাগদাদী এ কাজটা করেছে প্রয়োজনীয় জনসমর্থন, ও নিজেদের সাংগঠনিক চেইনকে নিরাপদ করা ছাড়াই, এবং আবির্ভাব ও মিলিয়ে যাবার সক্ষমতা অর্জন ছাড়াই। সোজা বাংলায়, প্রস্তুতি ছাড়াই তারা এমন আক্রমন করেছে যারা ধাক্কা সামাল দেয়ার কোন উপযুক্ত পরিকল্পনাই তাদের ছিল না।

                ইতিপূর্বে গুলশান হামলাঃ একটি পর্যালোচনা [http://bit.ly/2d5vb9u] – লেখাতে জামাতুল বাগদাদীর তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়ার উদাহরণ উপস্থাপন করে আমি এ সম্ভাবনাটির কথা বলেছিলাম। এবং বাস্তবিকই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একই ধরনের ফলাফলই এসেছে।

                এই যে আবির্ভাব ও মিলীয়ে যাবার সক্ষমতা – এটা অনেকাংশেই নির্ভর করে মুজাহিদিনের প্রতি জনসমর্থন এবং নেটওয়ার্কের বিস্তৃতির উপর। পক্ষান্তরে এ দুটো বিষয় নির্ভর করে মুজাহিদিনের দাওয়াতী কাজ তথা মিডিয়ার উপর। সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং মুজাহিদিনের শক্তি ও সামর্থ্যের নির্মোহ বিশ্লেষনের পর বোঝা যায় এই তিনটি ক্ষেত্রে – জনসমর্থন, নেটওয়ার্ক ও মিডিয়া – বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার সফলতা এখনো অর্জিত হয় নি। আর বাংলাদেশের বাস্তবতার কারনে এ ফ্যাক্টরগুলোকে উপেক্ষা করাও সম্ভব না। যদি উপেক্ষা করা হয় তাহলে বাংলাদেশ মুজাহিদিনের জন্য খাঁচায় পরিনত হবে। যেমনটা জামাতুল বাগদাদীর কর্মকান্ডের ফলাফল হিসেবে আমরা দেখছি।

                এ অবস্থায় কর্মসূচী এবং কর্মপন্থা নির্ধারনের সময়, এবং ব্যাক্তিগত ভাবে দাওয়াহ এবং কাজের সময় এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা আবশ্যক। বিশেষ ভাবে, বিশেষ ভাবে মিডিয়ার দিকটি। সময় ও সক্ষমতা সম্পন্ন সকল ভাইয়ের উচিত এ কাজের ব্যাপারে ফিকির করা ও সাধ্যমত কাজ করা। আর মুজাহিদিনের মিডিয়ার কাজ যেন শুধুমাত্র সরাসরি জিহাদের খবরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকেও আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিত।

                যুদ্ধ ক্রমপরিবর্তনশীল, যুদ্ধের নিয়মই এই যে দিনসমূহ আবর্তিত হতে থাকে। আর গতিশীল যুদ্ধে স্থবিরতা বিপর্যয় ডেকে আনে। তা কৌশলের দিক থেকে হোক কিংবা চিন্তার। আমাদের শত্রুকে টেক্কা দিতে হবে সাবরের দিক দিয়ে এবং কৌশলের দিক দিয়ে। শায়খ উসামা উম্মাহর জিহাদ আন্দোলনের বৈশ্বিক পূনর্জাগরন সঠিক নির্দেশনা দানে সক্ষম হয়েছিলেন কারন আল্লাহর ইচ্ছায় সঠিক সময়ে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আল্লাহ যেন এ ভূমির মুজাহিদিনকে সে তাউফীক দান করেন। আমীন ।
                Last edited by Abu Anwar al Hindi; 09-17-2016, 04:40 PM.
                আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                Comment


                • #23
                  জাজাকাল্লাহ আখি ! বারাকাল্লাহু ফি আমালিক।
                  ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

                  Comment


                  • #24
                    ওয়া ইয়্যাক
                    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

                    Comment


                    • #25
                      যাজাকাল্লাহ আখি। কিভাবে শুকরিয়া জানাব বুজতে পারছিনা।

                      আখী একটা দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ আমেরিকা যেমন আক্রমনের আগেই শাইখ উসামা ৯/১২ হামলা করে তাদেরকে পাগলের মত টেনে এনেছে, তেমনি আমার মনে হচ্ছে যারা কাশ্মিরে সেনা হেডকোয়ার্টারে হামলা করেছে তারা হয়ত তাদের নতুন সেনা নিয়ে পরিকল্পনা করে হামলা করার আগেই পাগলের মত হামলা করার জন্য টেনে আনছে। হয়ত সামনের দিন গুলোতে হাজার হাজার কাশ্মিরী শহিদ হবে।
                      তো ভাই তাদের বিষয়ে যদি একটা লেখা দিতেন, যেমন তাদের কি করা উচিত, বা হিন্দের অন্যদের কি করা উচিত বা এই আক্রমন তাদের জন্য কি রকম হয়েছে ?
                      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                      রোম- ৪৭

                      Comment


                      • #26
                        তামান্না হে দিলোকা
                        তুমসে জো মিলে...
                        খোদা চাহে তো ইসহি দুনিয়া পাড়
                        অর
                        জান্নাতো কি খিলতে হুয়ি বাগিয়ো পাড়
                        উরতা হুয়া পারিন্দা বান কার...
                        জিহাদের এই দুর্গম পথে একমাত্র দৃঢ়রাই সফলকাম... আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাই কে দৃঢ়তা দান করুক...

                        Comment


                        • #27
                          ​​​​​​★ মাশাআল্লাহ। আল্লাহ কবুল করুন। আল কায়েদার রনকৌশল এবং মানহাজ বিশ্বের যেখানেই প্রয়োগ করা হচ্ছে সেখানেই আলহামদুলিল্লাহ সফলতা আসছে । আল্লাহ এই সফলতার দ্বারা অব্যাহত রাখার তৌফিক দান করুক আমীন ।





                          মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
                          রোম- ৪৭

                          Comment

                          Working...
                          X