Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইতিহাসের মহা নায়ক শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ এর সংক্ষিপ্ত জিহাদি জীবন।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইতিহাসের মহা নায়ক শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ এর সংক্ষিপ্ত জিহাদি জীবন।

    শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ

    জন্ম ২০ অগাস্ট ১৮৬১, জানযুর, সিরেনিকা
    মৃত্যু ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ (৭০ বছর), সুলুক, ইতালি অধীকৃত লিবিয়া


    শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ (১৮৬২-১৬ সেপ্টেম্বর,১৯৩১) লিবিয়ার সিরেনিকায় জানযুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১২ সাল থেকে শুরু করে প্রায় বিশ বছর তিনি লিবিয়ায় ক্রুসেডর ইতালীয় ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৩১ সালে তিনি ইতালীয়দের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

    জীবন
    শায়েখ পূর্ব সিরনিকার আল-বুতনান জেলায় জানযুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি পিতৃমাতৃহীন হন। স্থানীয় মসজিদে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। সেনুসি আন্দোলনের মূলকেন্দ্র জাগবুবের সেনুসি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ৮ বছর শিক্ষালাভ করেন। ১৮৯৯ সালে চাদে ফরাসীদের প্রতিহত করার জন্য রাবিহ আযযুবায়েরের সাহায্যার্থে অন্য সেনুসিদের সাথে তাকে চাদে পাঠানো হয়।

    ক্রুসেডর ইতালীয় আক্রমণ

    ১৯১১ সালে ইতালী-তুর্কী যুদ্ধের সময় অ্যাডমিরাল লুইগি ফারাভেলির নেতৃত্বে ইতালীয় নৌবাহিনীর একটি দল লিবিয়ার উপকূলে পৌছায় যা তৎকালে উসমানীয় তুর্কীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তুর্কী প্রশাসন ও সেনাদেরকে তাদের অধীনস্থ অঞ্চল ইতালীয়দের কাছে ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তুর্কী ও তাদের লিবিয় মিত্ররা আত্মসমর্পণের পরিবর্তে লিবিয়ার অভ্যন্তরে চলে যায়। ইতালীয়রা তিন দিন পর্যন্ত শহরে গোলাবর্ষণ করে। এরপর অধিকৃত অঞ্চলকে ইতালীর অধীনস্থ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা ইতালীয় ঔপনিবেশিক সেনাবাহিনী এবং শায়েখ ওমর মুখতারের মুজাহিদ বাহিনীর মধ্যে জিহাদের সূচনা করে।

    গেরিলা যুদ্ধ

    পেশাগত দিক থেকে কুরআন শিক্ষক হলেও শায়েখ রহিমাহুল্লাহ মরুভূমিতে যুদ্ধকৌশল বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। স্থানীয় ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে তার সম্যক ধারণা ছিল। তার এই জ্ঞানকে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রুসেডর ইতালীয়দের বিরুদ্ধে কাজে লাগান। এই ইতালীয়রা মরু অঞ্চলে যুদ্ধের সাথে পরিচিত ছিল না। শায়েখ তার ছোট সৈন্যদল নিয়ে সফল গেরিলা আক্রমণে সক্ষম হন। আক্রমণের পর তার বাহিনী মরুভূমিতে আত্মগোপন করত। তার বাহিনী দক্ষতার সাথে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, সৈন্যবহরের উপর আক্রমণ চালায় এবং যোগাযোগ ও সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তার গেরিলা পদ্ধতির লড়াইয়ে ইতালীয় সৈনিকরা পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে।

    ইতালীয় গভর্নর আর্নেস্ট বমবেলি ১৯২৪ সালে জেবেল আখদারের পার্বত্য অঞ্চলে পাল্টা গেরিলা বাহিনী গঠন করেন যা জিহাদিদের উপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ পরিচালনা করে। শায়েখ দ্রুত তার কৌশল পাল্টান এবং মিশর থেকে সাহায্য লাভে সমর্থ হন। ১৯২৭ সালের মার্চে ইতালীয়রা জাঘবুব দখল করে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৮ পর্যন্ত মুখতার সানুসি বাহিনীকে পুনর্গঠিত করেন। তার দক্ষতার কারণে ইতালীয় ক্রুসেডর গভর্নর জেনারেল আটিলিয়ো তেরুজ্জি শায়েখকে “ব্যতিক্রমী স্থীরচিত্ত ও অটল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন” বলে উল্লেখ করতে বাধ্য হয়।

    ১৯২৯ সালে পিয়েত্রো বাদোগলি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পায়। ওমর মুখতারের সাথে আলোচনায় তাকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই বছরের অক্টোবরে মুখতার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং ইতালীয় সেনানায়ক রডোলফো গ্রাজিয়ানির সাথে ব্যাপক যুদ্ধের জন্য লিবিয় মুজাহিদদের পুনরায় সংগঠিত করেন।

    জুনে পরিচালিত সেনা অভিযানে গ্রাজিয়ানির বাহিনী শায়েখের মুজাহিদ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। পিয়েত্রো বাদোগলি, এমিলো দা বোনো ও বেনিতো মুসোলিনির সাথে গ্রাজিয়ানি শায়েখের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সহস্রাধিক মানুষকে উপকূলবর্তী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়, গিয়ারাবুবে উপকূল থেকে লিবিয়া ও মিশরের সীমানা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে জিহাদিরা কোনো বিদেশী সাহায্য না পায় এবং স্থানীয় জনতার সমর্থন থেকে বঞ্চিত হয়। সানুসিদের প্রতিরোধে গ্রাজিয়ানির এই পরিকল্পনা সফল হয়। জিহাদিরা সাহায্যবঞ্চিত হয় এবং ইতালীয় বিমান দ্বারা আক্রান্ত হয়। স্থানীয় মুনাফিক, গাদ্দার, চর ও ক্রুসেডরদের সহায়তাকারীদের সাহায্যে ইতালীয় বাহিনী স্থলযুদ্ধেও জিহাদিদের উপর আধিপত্য স্থাপন করে। ঝুকি সত্ত্বেও শাইখুল মুজাহিদিন উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ জিহাদ চালিয়ে যান। ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে অতর্কিত আক্রমণ করে প্রেপ্তার করা হয়।

    জিহাদিদের চূড়ান্ত প্রতিপক্ষ, জেনারেল রডোলফো গ্রাজিয়ানির বর্ণনামতে : “মাঝারি উচ্চতা, সুঠাম, সাদা দাড়ি গোফ বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওমর মুখতার ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি সম্পন্ন, ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞানী, শক্তিসম্পন্ন ও ক্ষীপ্র ব্যক্তি, স্বার্থ ও আপোষহীন। তিনি খুব ধার্মিক ও দরিদ্র ছিলেন যদিও তিনি ছিলেন সেনুসিদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে।”

    শাহাদাত
    ইতালীয় ক্রুসেডর ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে শায়েখ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ এর প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তার প্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় প্রেপ্তার হন। তাকে প্রেপ্তারে সাহায্য করায় স্থানীয় মুনাফিক নেতাদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তার দৃঢ়তা জেলারের উপর প্রভাব ফেলে।

    মাত্র তিন দিনের মধ্যেই শায়েখ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ এর বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। শেষ কথা জানতে চাওয়া হলে মুখতার কুরআনের আয়াত “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব) পাঠ করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুলুকের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে শক্তিহীন মুসলমানদের সামনে শায়েখকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। শাহাদাতের সময় তার বয়স ছিল সত্তর বছর।

    পরিশিষ্ট।
    শায়েখ রহিমাহুল্লাহর জিহাদি জীবনের ইতিহাস জানতে পড়ুন-
    ১/ মরুসিংহ, মদিনা পাবলিকেশন্স। (উপন্যাস)
    ২/ মক্কার পথে- মুহাম্মাদ আসাদ (ইংরেজি the road to moqqah নামক ঐতিহাসিক বই। )। এই বইয়ের একটি নির্বাচিত অংশ। বইয়ের লেখক মুহাম্মাদ আসাদ স্বয়ং শায়েখের সাথে সাক্ষাত করেছেন। বাংলা একাডেমী থেকে অনেক আগে ছাপা হয়েছিল। বর্তমানে এই বইটির ফেরারি নামে আরও একটি অনুবাদ মাকতাবাতু সালামের প্রকাশনায় পাওয়া যায়। বাকি আমি পড়ে দেখিনি।
    ৩/ ডেনমার্কের নও মুসলিম সাংবাদিক শহীদ ... হলাম্বো এর লেখা "মরু সাহারা।" এই বইতেও সেই সময়ের অনেক ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে। লেখক স্বয়ং ইতালীয় বাহিনীর জুলুমের স্বীকার হয়ে কিছু দিন কারাগারে ছিলেন। অনেক আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এটার অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

  • #2
    ‘The Road of Mecca’

    ‘The Road of Mecca’
    গ্রন্থের রচয়িতা মুহাম্মদ আসাদ।
    গ্রন্থটি বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক শাহেদ আলী।

    ‘মক্কার পথে’ লেখকের নাটকীয় জীবনের বহু কথা তিনি অবলিলাক্রমে ব্যক্ত করেছেন। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন-এর বাহ্য জাকজমকের অন্তরালে লুকায়িত অতল-গর্ভ শূন্যতাকে দুনিয়ার সামনে উদঘাটিত করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তিনি সাংবাদিকতার উদ্যেশ্যে জেরুযালেম আসেন এবং আরবদের জীবন পদ্ধতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশার পর তিনি আবিষ্কার করেন ট্রেডিশনাল মুসলিম সমাজের মধ্যে রয়েছে মন ও ইন্দ্রিয়ের এক সহজাত সঙ্গতি,- যা ইউরোপ হারিয়েছে। তিনি তাঁদের মধ্যে আবিষ্কার করেন হৃদয়ের নিশ্চয়তা এবং আত্ম-অবিশ্বাস থেকে মুক্তি,যে মুক্তি ইউরোপীয়দের স্বপ্নের অগোচর। এ বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত হয়ে তিনি ১৯২৬ সনে ইউরোপ ফিরে সস্ত্রীক ইসলাম ধর্ম কবুল করেন।

    Download

    http://shibircloud.com/pdf/mokkar_poth.pdf
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      Originally posted by ABU SALAMAH View Post
      ‘The Road of Mecca’
      গ্রন্থের রচয়িতা মুহাম্মদ আসাদ।
      গ্রন্থটি বাংলা অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক শাহেদ আলী।

      ‘মক্কার পথে’ লেখকের নাটকীয় জীবনের বহু কথা তিনি অবলিলাক্রমে ব্যক্ত করেছেন। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন-এর বাহ্য জাকজমকের অন্তরালে লুকায়িত অতল-গর্ভ শূন্যতাকে দুনিয়ার সামনে উদঘাটিত করে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তিনি সাংবাদিকতার উদ্যেশ্যে জেরুযালেম আসেন এবং আরবদের জীবন পদ্ধতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশার পর তিনি আবিষ্কার করেন ট্রেডিশনাল মুসলিম সমাজের মধ্যে রয়েছে মন ও ইন্দ্রিয়ের এক সহজাত সঙ্গতি,- যা ইউরোপ হারিয়েছে। তিনি তাঁদের মধ্যে আবিষ্কার করেন হৃদয়ের নিশ্চয়তা এবং আত্ম-অবিশ্বাস থেকে মুক্তি,যে মুক্তি ইউরোপীয়দের স্বপ্নের অগোচর। এ বিশ্বাসের প্রতি অনুরক্ত হয়ে তিনি ১৯২৬ সনে ইউরোপ ফিরে সস্ত্রীক ইসলাম ধর্ম কবুল করেন।

      Download

      http://shibircloud.com/pdf/mokkar_poth.pdf
      আখি ফিল্লাহ! বইটির অনলাইন সংস্করণ মনে মনে খুঁজছিলাম। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাঝা দিন। আমিন। আখি ৩য় বইটির কোন সংস্করণ পেলে শেয়ার করবেন। ইনশা আল্লাহ

      Comment


      • #4
        আমরা হয় জিতি, না হয় মরি, আত্মসমর্পণ করি না : শাইখুল মুজাহিদ উমর মুখতার রহিমাহুল্লাহ

        আজ হতে ৮৫ বছর আগে এই দিনে দখলদার ইতালিয় সেনাদের হাতে লিবিয়ার কিংবদন্তীতুল্য সংগ্রামী নেতা ওমর আল মুখতার শাহাদত বরণ করেন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।



        মুখতারের নেতৃত্বে ২৩ বছর ধরে ইতালিয় উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছিল লিবিয়ার মুজাহিদরা।


        শৈশবে ইয়াতিম অবস্থায় তাকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন শারিফ আল গ্বারিয়ানি নামের এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সেনুসসি সুফি নামের এক ধর্মীয়-রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী।


        মুখতার জাগবুবে সেনুসসি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন ৮ বছর। তিনি ছিলেন কুরআন-বিশেষজ্ঞ। মুখতার ১৮৯৯ সালে দখলদার ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শাদে গিয়েছিলেন। সেখানে ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাবিহ আজ জুবাইর।


        ১৯১১ সালের অক্টোবর মাসে অটোম্যান তুর্কি সাম্রাজ্যের সঙ্গে ইতালির যুদ্ধের সময় ইতালির নৌবাহিনী হানা দেয় লিবিয়ার উপকূলে। সে সময় লিবিয়া ছিল তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ। ইতালিয়রা লিবিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু তুর্কি সেনারা ও তাদের লিবিয় সহযোগীরা আত্মসমর্পণের পরিবর্তে উপকূল ছেড়ে পেছনের দিকে সরে আসেন।


        ইতালিয় হানাদার বাহিনী তিন দিন ধরে ত্রিপলি ও বেনগাজিতে বোমা বর্ষণ করে।


        লিবিয়ার সাইরেনাইকা অঞ্চলের জনগণ ওমর মুখতারের নেতৃত্বে একের পর এক প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন। মরুভূমির লড়াইয়ে অভিজ্ঞ ওমর মুখতার হয়ে ওঠেন ইতালিয় সেনাদের জন্য চক্ষুশূল। অবশেষে ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এক অতর্কিত হামলায় আহত ও বন্দি হন মুখতার। ৫ দিন পর আতঙ্কগ্রস্ত ইতালিয় দখলদাররা তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করে।


        ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে জানা যায় মরুর সিংহ নামে খ্যাত ওমর মুখতারকে মুসোলিনির ইটালিয়ান সেনা অফিসার জিজ্ঞেস করেছিল: তুমি কি জান তোমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড?


        জবাবে ওমর মুখতার বলেছিলেন, হ্যাঁ।


        ওই অফিসার বললেন, তুমি যা করেছ তার জন্য তুমি কী অনুতপ্ত?


        ওমর মুখতার বললেন, প্রশ্নই হয় না, আমি আমার দেশ আর মানুষের জন্য লড়েছি।


        সেনা আদালতের বিচারক তার দিকে তাকিয়ে বলে, তোমার মত লোকের এমন পরিণতি দেখে আমি দুঃখিত ।


        ওমর মুখতার বললেন, "কিন্তু এটাই তো জীবন শেষ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ তিনি আমাকে এভাবে বীরের মত শহীদ হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।”


        এরপর বিচারক প্রস্তাব দিল তাকে মুক্ত করে দেয়া হবে যদি তিনি মুজাহিদদের কাছে চিঠি লেখেন যাতে মুজাহিদরা ইটালিয়ানদের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে । ওমর মুখতার বিচারকের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন:


        "যেই শাহাদত অঙ্গুলি দিয়ে আমি প্রতিদিন সাক্ষ্য দেই যে এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই। সেই আঙ্গুল দিয়ে অসত্য কোনো কথা লিখতে পারবো না। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আত্মসমর্পণ করি না। আমরা হয় জিতি, না হয় মরি।"



        মহান আল্লাহ বীর মুখতারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে স্থান করে দিন। ‪আমীন।

        (collected)
        রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

        Comment


        • #5
          শাইখ উমার মুখতার ৫৩ বছর বয়ষে জিহাদ শুরু করেন। ২০ বছরে ১০০০ উপর ছোট-বড় যোদ্ধ করেছেন।
          মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
          রোম- ৪৭

          Comment


          • #6
            এই ইনফরমেশন গুলো নিয়ে ডকুমেন্টারি টাইম একটা ভিডিও বানাবো?

            Comment


            • #7
              Originally posted by The Flame Of Islam View Post
              এই ইনফরমেশন গুলো নিয়ে ডকুমেন্টারি টাইম একটা ভিডিও বানাবো?
              মাশা আল্লাহ ভাই! খুবই চমৎকার হবে। করুন ইনশা আল্লাহ

              Comment

              Working...
              X