Announcement

Collapse
No announcement yet.

হঠাৎ বাংলাদেশ জুড়ে ‘গীতা স্কুল উদ্ভোধন’, স্বার্থ কি ??

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হঠাৎ বাংলাদেশ জুড়ে ‘গীতা স্কুল উদ্ভোধন’, স্বার্থ কি ??

    গত কয়েক মাস ধরে সারা বাংলাদেশ জুড়ে গীতা স্কুল উদ্ভোধন করা হচ্ছে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায় স্থাপিত হচ্ছে গীতা স্কুল। খবরে-
    ১) খুলনার কয়রায় গীতা স্কুল উদ্বোধন
    2) বগুড়ায় গীতা স্কুল ও ধর্মচর্চা কেন্দ্র উদ্বোধন
    http://eibela.com/article/%E0%A6%AC%...A6%A7%E0%A6%A8
    ৩)হবিগঞ্জে ২টি গীতা স্কুল উদ্ভোধন
    http://www.dailykhowai.com/news/2016/05/24/55130/
    ৪) শ্রীমঙ্গলে একের পর এক চালু হচ্ছে গীতা স্কুল
    http://deshersangbad.com/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A 6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2/
    ৫) চাদপুরে গীতা স্কুলের উদ্বোধন
    http://www.chandpur-barta.com/first-page/2015/04/18/29764
    ৬) উত্তর কাট্টলীতে দুটি গীতা স্কুল উদ্বোধন

    http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=1906&table=august2014&date=20 14-08-16&page_id=1&view=0
    ৭) চট্টগ্রামে গীতা স্কুল
    http://sharodanjoli.com/bloodgrouptest/
    ৮) নোয়াদ্দা গীতাস্কুল
    https://gsnoadda.blogspot.de/2014/01/blog-post.html
    ৯)
    রাঙামাটিতে আটটি গীতা স্কুল
    http://ctgreport.com/2015/02/18/%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0ae%E0 %A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A 6%B0/
    ১০) “শারদাঞ্জলি ফোরাম” বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চটগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নীলফামারী, নরসিংদী এবং সোনারগাঁও-তে ৩০ টি গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সারা বাংলাদেশে ১০০ গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

    http://pipilika.com/site_ajax_calls/.../bn/new_window

    প্রত্যেকটি গীতা স্কুলের উদ্ভোধন হয়েছে গত ৬ মাসের মধ্যে। খবরগুলোতে বলা হচ্ছে, শারোঞ্জলি ফোরাম, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদসহ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই স্কুলগুলোর পেছনে কাজ করছে।

    স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, এতকিছু থাকতে হিন্দুরা হঠাৎ করে বাচ্চাদের গীতা স্কুল খোলার দিকে মনোযোগ দিলো কেন ??
    এর কারণ- গীতা হচ্ছে হিন্দুদের যুদ্ধ চিন্তা জাগ্রত করা গ্রন্থ। এ সম্পর্কে হিন্দু ওয়েবসাই বলা হচ্ছে- “মহাভারতের একটি অংশের নাম গীতা । গীতা অর্থ গীত বা গান । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই গান রচিত হয়েছিল । কৃষ্ণ (কাল) অর্জুন (সাদা) প্রতীকের মাধ্যমে কথোপকথন এই গানের বিষয়বস্তু । গীতার মতে যুদ্ধক্ষেত্র কুরক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্ররূপে স্বীকৃত । ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেত যুযুৎসব অর্জুন শুভ্র বা কোমল অন্তরের মানুষ । সে যুদ্ধ, হত্যা রক্তপাত পছন্দ করতো না । সে ছিলো যুদ্ধবিরোধী। অপরদিকে কৃষ্ণরূপে যাকে চিত্রিত করা হয়েছে সে ছিলো যুদ্ধের পক্ষে । হত্যা এবং ধ্বংস তার কাছে অতি সাধারণ বিষয় । অর্জুন যখন বললো, আমি যুদ্ধ করব না তখন কৃষ্ণ বললো হে পার্থ কাতর হইওনা । এই পৌরুষ হীনতা তোমাকে শোভা পায়না (২/৩)। প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা কি মৃত, কি জীবিত কাহারও জন্য শোক করেন না (২/১১) । গতানূগতা সূংশ্চনানু শোচন্তি পন্ডিত । অতএব তুমি যুদ্ধ কর (২/১৮) যুধ্যস্ব ভারত । ধর্ম যুদ্ধ অপেক্ষ ক্ষত্রিয়ের পক্ষে শ্রেয় আর কিছু নাই । ধর্মাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছ্রেয়োহনাৎ ক্ষত্রিয়স্য নবিদ্যতে (২/৩১) হত বা প্রাপ্ন্যসি স্বর্গ জিত্বাবা ভোক্ষ্য সেম হীম (২/৩৭)এই যুদ্ধে হত হলে স্বর্গ লাভ আর জয়ী হলে পৃথি বীলাভ । এত সব লোভনীয় বক্তব্যের পরও অর্জুন অস্ত্র ত্যাগ করে বসে আছে ।”


    সোজাভাষায় অর্জুনের প্রতি কৃষ্ণের যুদ্ধ করার উস্কানি গ্রন্থের নামই হচ্ছে গীতা। এ কারণে কয়েক বছর আগে রাশিয়াতে গীতাকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিলো- গীতা মানুষের মধ্যে উগ্রবাদ ছড়ায়।”
    http://www.dailysangram.com/news_det...?news_id=72222

    আর এখন বাংলাদেশের হিন্দু বাচ্চাদের সেই যুদ্ধ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে গীতা স্কুলগুলোর মাধ্যমে। কথা হচ্ছে- এই যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে করবে তারা ?? উত্তর মুসলমানদের বিরুদ্ধে। তার মানে বাংলাদেশে বসে, বাংলাদেশের মুসলমানদের যুদ্ধের উস্কানি শেখাচ্ছে হিন্দুরা। আর হঠাৎ করে দেশজুড়ে গীতা স্কুল উদ্ভোধন হওয়ার মানে হিন্দুরা বাংলাদেশে বড় ধরনের দাঙ্গার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
    বলাবাহুল্য বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এখন মুসলমানরা আরবি বই রাখতে পারে না। পুলিশ ধরে নিয়ে যায় জিহাদি বই বলে। অথচ হিন্দুরা এখন বাংলাদেশে বসে কুরুক্ষেত্রের (হিন্দুদের ধর্মীয় যুদ্ধ) ডাক দিচ্ছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে হিন্দুরা কুরুক্ষেত্রের শ্লোগান দিয়েছিলো। গতকাল প্রেসক্লাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আদিবাসী পার্টি নামক একটি সংগঠন ক্যামেরা-পুলিশের সামনেই কুরুক্ষেত্রের ডাক দিয়ে শ্লোগান দেয়, আজকেও প্রেসক্লাবে-শাহবাগে হিন্দুরা কুরুক্ষেত্রের ডাক দিয়ে শ্লোগান দিয়ে। চট্টগ্রাম-ঢাকায় হিন্দুরা ঘরে ঘরে অস্ত্র মজুদের আহবান জানায়। চট্টগ্রামে গরু কোরবানী করলে মুসলমানদের জবাই করার হুমকি দেয়।
    আমি জানি এখনও বোকা মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে বলে কেদেকেটে বুক ভাসাচ্ছে। কিন্তু এটা যে হিন্দুদের কৌশল তা মুসলমানরা বুঝতেই পারেনি। হিন্দুরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মুসলমানদের কোনঠাসা করছে, আর নিজ বাচ্চাদের কুরুক্ষেত্রের ট্রেনিং দিচ্ছে। আপনি নিজেও বুঝছেন না, কিভাবে আপনাকে পরাধীনতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    (edited & updated)
    Last edited by ABU SALAMAH; 11-17-2016, 09:15 AM.
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

  • #2
    “শারদাঞ্জলি ফোরাম” বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৩০ টি গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে।

    “শারদাঞ্জলি ফোরাম” বাংলাদেশ- এর পরিচিতি ও কার্যক্রম || “শারদাঞ্জলি ফোরাম” বাংলাদেশ- এর পরিচিতি ও কার্যক্রম “শারদাঞ্জলি ফোরাম” বাংলাদেশ- এর পরিচিতি ও কার্যক্রম বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০১৫ কাগজ অনলাইন ডেস্ক: শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে গঠিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। “সনাতনী সেতুবন্ধনে কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সত্য ও শান্তির অন্বেষণে তারুণ্যের অভিযাত্রা”- এই শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে গত ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ইং বারদীতে অবস্থিত শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রমে শারদাঞ্জলি পরিবারের এক প্রীতি সম্মেলন এবং মিলনমেলার মাধ্যমে এই ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। ঐদিন ৩ বছরের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিও ঘোষণা করা হয় এবং ১ নভেম্বর, ২০১৪ ইং তারিখ থেকে উক্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ প্রথমে অন-লাইন ভিত্তিক ফোরাম ছিল। কিছু উদ্যোমী তরুণ-তরুণী ২০১৪ সালে অন-লাইনে ফেসবুকে “শারদাঞ্জলি ম্যাগাজিন ফোরাম” নামে একটি পেজটি চালু করেছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বে এ পেজটি ব্যাপক সাড়া জাগাতে সমর্থ হয়। তরুণ-তরুণীরা এ পেজে নিজেদের ধর্মীয় আদর্শ, চেতনা, মূল্যাবোধ, সামাজিক সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা পোষ্ট করা শুরু করে। মাত্র ৩/৪ মাসের মধ্যে এর সদস্য সংখ্যা বিশ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৪ ইং এ অনুষ্ঠিত দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফোরামের উদ্যোগে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। পূজার মাত্র দুই মাস পূর্বে ম্যাগাজিন প্রকাশনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এত অল্প সময়ে মধ্যে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু তরুণেরা এই কঠিন কাজটি সহজেই করে ফেললো। দুই হাজার কপি সরণিকা ছাপানো হয়েছিল। স¥রণিকাটি পাঠকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এর সাথে এক হাজার আকর্ষণীয় টি-শার্টও ফোরামের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল- যা তরুণদের মাঝে প্রচণ্ড সাড়া ফেলে দিয়েছিল। ফোরাম হিসেবে আ-প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পাল একটি সুন্দর গঠনতন্ত্র রচনা করে দিয়েছেন। বিভিন্ন বিজ্ঞজনের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রতে আরো কিছু সংযোজন এবং সংশোধন করা হয়েছে- যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সভাপতি শ্রী বাবুল চন্দ্র পালের নেতৃত্বে ফোরামের সহ-সভাপতি শ্রী অভি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্যামল চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রী পলাশ নাথ, শ্রী নিতাই সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী দেবাশীষ পাল, প্রধান সমন্বয়ক শ্রী সুমন বর্মন, দপ্তর সম্পাদক শ্রী কল্লোল রায়, যুগ্ম সাহিত্য সম্পাদক সমীর কুমার বালা সুনীল-এর পরিকল্পনায় ফোরামের উদ্যোগে একটি সুন্দর লিফলেটও তৈরি করা হয়েছে। এতে ফোরামের উদ্দেশ্য, আদর্শ সহ ফোরামের আগামী তিন বছরের “ভিশন”ও প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় ফোরামে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠিত হয়েছে। ঢাকা মহানগর, নোয়াখালী, ভোলা, সিলেট, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী এক বছরের মধ্যে অন্ততঃ দশটি জেলায় নতুন জেলা কমিটি গঠিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

    ইতিমধ্যে চটগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নীলফামারী, নরসিংদী এবং সোনারগাঁও-তে ৩০ টি গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে সারা বাংলাদেশে ১০০ গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

    এছাড়া শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক এবং কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ৪টি দরিদ্র পরিবারের ঘর সহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। শারদাঞ্জলি ফোরাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে উক্ত ৪ টি দরিদ্র পরিবারকে বিশ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে কিছু দরিদ্র পরিবারকেও সাহায্য দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শারদাঞ্জলি ফোরাম নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে আসছে। সম্প্রতি নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প সংগঠিত হয়ে গেলো। সেখানেও শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষের সাহায্যে অনুদান পাঠানো হয়েছে। গত ২৬ এবং ২৭ মার্চ, ২০১৫ ইং দুই দিন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী উপলক্ষে শারদাঞ্জলি ফোরাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে লাঙ্গলবন্দের প্রাণকেন্দ্র রাজঘাট এলাকায় একটি বড় স্টল বরাদ্ধ পায়। সেখানে শারদাঞ্জলি ফোরামের ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ২৬ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ২৭ তারিখ শুক্রবার রাত পর্যন্ত অবস্থান করে পুণ্যার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ জল, লেবুর শরবৎ এবং বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এর মাঝে ২৭ তারিখ শুক্রবার সকালে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শুক্রবার ভোর ৪ টা থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী রাজঘাট স্নান ঘাটে আসতে থাকে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, তখন স্থানীয় কোন স্বেচ্ছাসেবক দল বা নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় প্রচণ্ড ভীড়ে বৃদ্ধ এবং শিশুরা অসুস্থ হয়ে যায়। পুণ্যার্থীদের স্রোত আসতে থাকায় আশ-পাশের দোকান মালিকগণ আতংকে দোকান-পাট বন্ধ করে দেন। ততক্ষণে বহু নিখোঁজ সংবাদ সহ অসুস্থ মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে শারদাঞ্জলি ফোরামের ক্যাম্পে। ক্যাম্পে স্থান সীমিত থাকায় শারদাঞ্জলি ফোরামের স্বেচ্ছাসেবকেরা অসুস্থ পুণ্যার্থীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে থাকে। তবু তারা ধৈর্যের সাথে মানবিক কাজগুলো করে সম্পন্ন করে যায়। সে সাথে মাইকে নিখোঁজ সংবাদও প্রচার করতে থাকে। শারদাঞ্জলি ফোরামের স্বেচ্ছাসেবগণ ৫০ জন নিখোঁজ শিশুকে তাদের স্বজনের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। হঠাৎ সকাল ৭ টার পর শারদাঞ্জলি ফোরামের ষ্টল থেকে আনুমানিক ২০ গজ দূরে একটি গুজব ছড়ানো হয় যে রাজঘাটের কাছে একটি বেইলী ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। আতংকিত হয়ে নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এবং পদদলিত হয়ে ১০ দশ পুণ্যার্থী প্রাণ হারায়। কয়েকশত পুণ্যার্থী আহত হয়। বহু আহত পুণ্যার্থীকে শারদাঞ্জলির ক্যাম্প থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এবং সেদিন অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রয়াত পুণ্যার্থীদের আÍার শান্তি কামনা এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে রাজঘাট এলাকায় মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন ও শোক র্যালী বের করা হয়। উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী “প্রাণের ৭১”-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা স্বপ্নদ্রষ্ঠা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাবু মলয় দাস তার পরিবার নিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা শারদাঞ্জলির ক্যাম্পে অবস্থান করেন। তিনি শুধু ক্যাম্পে অবস্থানই করেননি, শারদাঞ্জলি ফোরামের স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুণ্যার্থীদের জন্য সেবা দিয়ে গেছেন। এজন্য শারদাঞ্জলি ফোরাম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে তাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া শারদাঞ্জলি ফোরামের যেসব সারথি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দিন-রাত কাজ করেছেন, পুণ্যার্থীদের সেবা দিয়েছেন- সবার প্রতি আমাদের অফুরান ভালোবাসা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা সবাই যে যার ধর্মকে হৃদয়ে ধারণ করে ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণে কাজ করে যাবো। আসুন আমরা সবাই ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে ওঠে একটি ঐক্যবদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসি। জয় মানবতার জয়, জয় শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ-এর জয়।

    http://pipilika.com/site_ajax_calls/.../bn/new_window


    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      শংকর মিশনের পরিচালনায় রাঙামাটিতে আটটি গীতা স্কুল প্রতিষ্ঠা।

      জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১০৬তম আবির্ভাব বার্ষিকী ও রাঙামাটি শংকর মিশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯, ২০ ও ২১ ফেব্রয়ারি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে শ্রী শংকর মিশন প্রাঙ্গণে গীতাযজ্ঞ, শীতবস্ত্র বিতরণ, গীতা প্রতিযোগিতা ও ধর্মীয় মহাসম্মেলনসহ নানামুখি কর্মকান্ড গ্রহণ করা হয়েছে।

      শংকর মিশন উৎসব পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিলীপ নন্দী জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও আমরা ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। যেহেতু ধর্মীয় কর্মকান্ডের মূল কথাই হচ্ছে মানব সেবা তাই এবছরও আমরা প্রায় শতাধিক দুস্থ ও অনাথ শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তিনি আরো বলেন, স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গীতাপ্রচারের আদর্শ নিয়ে শংকর মিশনের পরিচালনায় আমরা রাঙামাটিতে আটটি গীতা স্কুল পরিচালনা করছি। আর প্রতিবছর এই ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের নিয়ে গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এবছরও সবগুলো গীতাস্কুলের সমন্বয়ে গীতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে, যা ১৯ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

      শংকর মিশন সূত্রে জানা যায়, আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১৯ ফেব্রয়ারি রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন গীতা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রতিযোগিতা, গীতি আলেখ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। পরের দিন ২০ ফেব্রæয়ারি শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠ, শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতাপাঠ ও প্রসাদ বিতরণ করা হবে। ২১ ফেব্রæয়ারি শনিবার ব্রাহ্মমুহূর্তে মঙ্গলারতি, গুরু বন্দনা ও হরিওঁ কীর্তনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে চন্ডী পাঠ। সকাল নয়টায় গীতাযজ্ঞের শুভারম্ভ হবে। গীতাযজ্ঞে পৌরহিত্য করবেন সীতাকুন্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। এরপরই অনুষ্ঠিত হবে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান। দুপুর বেলা আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। গীতাযজ্ঞের পূর্ণাহুতির পর অনুষ্ঠিত হবে ধর্মীয় মহাসম্মেলন। ধর্মীয় মহাসম্মেলনে বক্তব্য প্রদান রাখবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত প্রখ্যাত সন্ন্যাসীবৃন্দ। মহাসম্মেলন শেষে গরীব ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং গীতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

      উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমাদের অনুষ্ঠানের পরিধি ও বাজেট বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বেশ ভালোই বলে তিনি জানান। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান ভক্তদের মিলনমেলার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। আশা করছি এবছর এই অনুষ্ঠানে প্রায় দশ হতে বার হাজার ভক্তের সমাগম হবে।

      http://ctgreport.com/2015/02/18/%E0%...7%87%E0%A6%B0/

      রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

      Comment


      • #4
        আর আমাদের বুজুর্গ সম্প্রাদায়!!! যুদ্ধ বিমুখ চেতনা কায়েম করতে বদ্ধ পরিকর। মাদ্রাসায় জিহাদ, জঙ্গিবাদের ঠাই না দিতে তগুতকে আশ্বস্ত করে যাচ্ছে মানব বন্ধনের নামে কুফর বন্ধন করে করে...। জাযাকাল্লাহ! এই পোস্টের প্রচার কামনা করছি, এ বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে মিডিয়ার ভাইয়েরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। বিশেষ করে, বালাকোট মিডিয়া, যেমনটি তারা করেছেন আমেরিকার বর্তমান নির্বাচন ও ট্র্যাম্পকে কেন্দ্র করে। আল্লাহ্* আমাদের তাওফীক দিন।
        سبيلنا سبيلنا الجهاد الجهاد
        طريقنا طريقنا الجهاد الجهاد

        Comment


        • #5
          Originally posted by Abdullah Ibnu Usamah View Post
          আর আমাদের বুজুর্গ সম্প্রাদায়!!! যুদ্ধ বিমুখ চেতনা কায়েম করতে বদ্ধ পরিকর। মাদ্রাসায় জিহাদ, জঙ্গিবাদের ঠাই না দিতে তগুতকে আশ্বস্ত করে যাচ্ছে মানব বন্ধনের নামে কুফর বন্ধন করে করে...।
          বাস্তবতা...
          "হক হকের জায়গায়
          সম্মান সম্মানের জায়গায়
          আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

          Comment


          • #6
            একমাত্র মুসলিমরাই তাদের ধর্ম নিয়ে অবহেলা করছে।অন্য ধর্মাবলম্বিরা মুসলিমদের দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তারা যুদ্ধের শক্তি অর্জন করতেছে।আর মুসলিমরা অমোঘ নিদ্রায় বিভোর।।।।
            আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

            Comment


            • #7
              শুধু কি তাই, এখন তো আমাদের সর্বস্বীকৃত বড়রা কাফেরদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিবাস্বপ্ন দেখছেন, মন্দিরে মন্দিরে, গির্জায় গির্জায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্মানুভূতি এবং ধর্মীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষার আলোচনা করার অসহায় আবেদন জানাচ্ছেন। এই লিংকটি দেখুন, https://www.alkawsar.com/bn/article/1845/। এদের না দুনিয়ার বাস্তব অবস্থার খবর আছে, না কুরআন-সুন্নাহর প্রকৃত ইলম, আল্লাহ তায়ালা বলছেন,
              كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ

              কিভাবে (মুশরিকদের সাথে তোমাদের সন্ধি বা অঙ্গীকার থাকবে) অথচ তারা বাগে পেলে (তোমাদের কচুকাটা করবে এবং) তোমাদের ব্যাপারে কোন আত্মীয়তা ও অঙ্গীকারের পরোয়া করবে না। তারা মুখের (মিষ্টি মিষ্টি) কথায় তোমাদের ভুলিয়ে রাখে, কিন্তু তাদের অন্তর (তোমাদের প্রতি ভালোবাসাকে) প্রত্যাখ্যান করে। -সুরা তাওবা, আয়াত, ৮

              আয়াতের ব্যাখায় ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহ বলেন,
              يقول تعالى محرضا للمؤمنين على معاداة المشركين والتبري منهم، ومبينا أنهم لا يستحقون أن يكون لهم عهد لشركهم بالله وكفرهم برسول الله ولو أنهم إذ ظهروا على المسلمين وأديلوا عليهم، لم يبقوا ولم يذروا، ولا راقبوا فيهم إلا ولا ذمة

              আল্লাহ তায়ালা আয়াতে মুমিনদের মুশরিকদের সাথে শত্রুরা ও তাদের থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করতে বলছেন, এবং স্পষ্ট করে দিচ্ছেন যে, শিরক ও কুফরের কারণে তারা সন্ধি ও অঙ্গীকারের যোগ্য নয় এবং তারা মুসলমানদের উপর বিজয়ী হলে মুসলমানদের প্রতি কোন দয়া করবে না বরং (তাদের গণহারে হত্যা করবে) কাউকে বাকী রাখবে না। -তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/১১৫ দারু তাইয়েবাহ।
              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment


              • #8
                আল্লাহতালা আমাদের সবাইকে কবুল করুন আমিন!
                فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
                کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

                Comment

                Working...
                X