Announcement

Collapse
No announcement yet.

অভিনন্দন...স্বাগতম

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অভিনন্দন...স্বাগতম

    অভিনন্দন...স্বাগতম।

    ইন্নাল হামদালিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি সাল্লাম তাসলিমান কাসিরা

    ‘আম্মা বা’আদ

    আলহামদুলিল্লাহ, শত্রুর চক্রান্ত ও কূটকৌশল সত্ত্বেও আল্লাহ ইচ্ছায় আপনাদের সবার প্রিয় দাওয়াহইলাল্লাহ ফোরাম আবার ফিরে এলো। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের সকল সদস্য ভাইকে অভিনন্দন। স্বাগতম।

    তারা চক্রান্ত করে আর আল্লাহও কৌশল করেন। আল্লাহই হচ্ছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী। [আল-আনফাল, ৩০]

    জিহাদি আন্দোলনের সূচনালগ্ন থেকেই জিহাদি ফোরামগুলো কুফফার ও মুরতাদীনের দুশ্চিন্তার কারন হয়েছে। এটা এজন্য নয় যে জিহাদি ফোরামগুলোর মাধ্যমে জিহাদপ্রেমী যুবকেরা জিহাদের নানা ময়দানের খবর জানতে পারে। এটা এজন্যও নয় যে, জিহাদি ফোরামগুলোর মাধ্যমে জিহাদের দাওয়াতের প্রসার ঘটে।

    বরং কুফফার ও মুরতাদীন জিহাদি ফোরামগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগে কারন তারা চায় উম্মাহর যুবকদের মানসিক ভাবে পরাজিত অবস্থায় রাখতে। মুসলিম যুবাদের দিকনির্দেশনাহীন, বিচ্ছিন্ন ও উদভ্রান্ত অবস্থায় রাখতে। নিজেদের ক্ষমতার যে মায়াজাল তারা মিডিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে তারা চায় মুসলিম যুবকেরা সেটাকেই বাস্তবতা হিসেবে গ্রহন করুক। মুসলিমদের, বিশেষ করে মুসলিম যুবকদের চিন্তা ও চেতনার উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়নের পথে একটি বড় বাধা হল জিহাদি ফোরাম। এক মুসলিম যুবককে বিচ্ছিন্ন, দিকনির্দেশনাহীন, সত্য সম্পর্কে গাফেল ও জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত রাখার যে চক্রান্ত তা বাস্তবায়নে একটি বড় বাধা হল জিহাদি ফোরাম।

    হ্যা, একথা সত্য একটি জিহাদি ফোরামের মাধ্যমে একটি জাতির যুবকেরা সবাই দিকনির্দেশনা পেয়ে যায় – এমনটা না। তবে একটি জিহাদি ফোরাম আল্লাহর ইচ্ছায় ঐ সব অগ্রগামী যুবকদের দিকনির্দেশনা দেয় যাদের একজন পরবর্তীতে দশজনকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে, সঠিক পথে আনার কাজ করতে পারে। জিহাদি ফোরাম জাতির যুবকদের গড়ে তোলে না, কিন্তু জিহাদি ফোরাম ঐ সব যুবকদের উদ্বুদ্ধ করে যারা মিডিয়ার কাজের মাধ্যমে উম্মাহর যুবকদের তাহরীদ করে। এই উম্মাহর যুবকদের গর্ব শায়খ ইউসুফ আল-উয়ায়রির রাহিমাহুল্লাহ ‘ইলম জিহাদি ফোরামগুলোর মাধ্যমেই প্রচারিত হয়েছে। ফোরামগুলোর মাধ্যমেই প্রাথমিকভাবে শায়খের ‘ইলম থেকে যুবকেরা উপকৃত হয়েছে।

    এক কথায়, ফোরাম জাতির পরিবর্তনের কারখানা না, তবে যারা জাতির পরিবর্তনে কাজ করবে, বিইযনিল্লাহ তাদের বিকাশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    আর তাই জিহাদি ফোরামগুলোর বিরুদ্ধে কুফফার ও মুরতাদীনের চক্রান্ত তাদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের একটি অংশ। আমাদের মধ্যে অনেক ভাই হয়তো এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করেন না। তবে নিশ্চিত থাকুন আমার ভাই, কুফফার ও মুরতাদীন এই বিষয়গুলোর খুব ভালোভাবেই বুঝে, এবং তাই এর বিরুদ্ধে তাদের সময় ও শক্তি ব্যয় করে।

    আলহামদুলিল্লাহ দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের বিরুদ্ধে তাদের এই চক্রান্ত সফল হয় নি। আমরা দুয়া করি আল্লাহ আল-হাফিয যেন সকল মুজাহিদিনকে এবং জিহাদপ্রেমী ভাইকে কুফফার ও মুরতাদিনের চক্রান্ত থেকে হেফাযত করেন।

    সকল ভাইদের অভিনন্দন ও দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে নতুন করে স্বাগতম। সকল ভাইয়ের প্রতি আহবানঃ জিহাদি ফোরামকে বন্ধ বা ইন্যাক্টিভ করার মাধ্যমে কুফফার ও মুরতাদীন চায় জিহাদের আলোচনা ও আদর্শকে থামিয়ে দিতে। আপনারা সতর্কতার মধ্যম পন্থা অবলম্বন করুন, ফোরামের ভাইদের দেওয়া নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন, উট বাধুন। অতঃপর আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুন। তাদের এই চক্রান্তকে ভূলুণ্ঠিত করুন। মনস্তাত্তিক এই যুদ্ধে তাদের পরাজিত করুন। স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ফোরামকে এই নেক মানহাজ ও আদর্শ প্রচারের একটি কেন্দ্র এবং কুফফার মুরতাদীনের গাত্রদাহের কারন বানিয়ে তুলুন।

    আর সবশেষে অনুরোধ হল – তাড়াহুড়া থেকে বেঁচে থাকুন!
    দ্রুততা কাঙ্ক্ষিত এবং তাড়াহুড়া নিষিদ্ধ।
    দ্রুততার আকাঙ্ক্ষায় না বুঝে শুনে, অসতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেয়াই তাড়াহুড়া।
    প্রয়োজনীয় বিশ্লেষন ও সতর্কতা অবলম্বনের পর উপযুক্ত সময়ে বুঝেশুনে পা উঠানো হল দ্রুততা।
    প্রথমটি কাঙ্ক্ষিত, পরেরটি অবশ্য বর্জনীয়।


    আর কুফফার ও মুরতাদীনের প্রতি আমরা সাইয়্যেদিনা হুদ আলাইহিস সালামের মতোই বলি –

    ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমি অবশ্যই তা থেকে মুক্ত তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাকে তাঁর শরীক কর। সুতরাং তোমরা সকলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর তারপর আমাকে অবকাশ দিও না’। আমি নির্ভর করি আল্লাহর উপর যিনি আমার আর তোমাদের রব, এমন কোন জীব নেই যার কতৃত্ব তাঁর হাতে নয়, নিশ্চয়ই আমার রব সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত। (সুরা হুদ, ৫৪-৫৬)

    তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। তিনিই তাঁর রসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন তাকে সকল দীনের উপর বিজয়ী করার জন্য- যদিও মুশরিকরা (তা) অপছন্দ করে। (সূরা আস সাফ, ৮-৯)

    Last edited by Abu Anwar al Hindi; 03-20-2017, 11:01 PM.
    আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি হয়, আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপরও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

  • #2
    যাঝাকাল্লাহ ভাই এই সুন্দর পোস্ট টির জন্য, খাস করে সাইয়িদিনা হুদ (আঃ) এর উদাহরন টি আমাদের স্মরন করয়ে দেয়ার জন্য

    সাইয়েদিনা হূদ (আঃ) এর কওম এর ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন তাদের মত প্রভাবশালী, শক্তিশালী দুনিয়াতে আর কোন কওম আল্লাহ বানাননি। আল্লাহ তাদের দিয়েছিলেন দৈহিক শক্তি এবং প্রতিপত্তি। আদ জাতির এই শক্তির কথা আল্লাহ নিজেই আমাদের জানিয়েছেন। এই আদ জাতি যখন হূদ (আঃ) এর কোন ভালো কথাতেই কান দিলোনা আর তাদের গর্ব অহঙ্কারে বুঁদ হয়ে থাকলো সাইয়েদিনা হূদ (আঃ) তারা যা নিয়ে অহঙ্কার করতো সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে বসলেন, বললেন আমি একা আর তোমরা সবাই এবং আমাকে প্রস্তুতি গ্রহনের কোন সময় দিয়োনা - "কাম অ্যান্ড ফাইট মি" পুরা একটা জাতির বিরুদ্ধে হূদ (আঃ) বললেন "আমাকে প্রস্তুতি নেবার/প্রস্তুত হবার কোন সুযোগ পর্যন্ত দিওনা, দিনে কিংবা রাতে - পারলে আমাকে পরাজিত কর!" সুবহানআল্লাহ পুরা আদ জাতি মিলে হূদ (আঃ) পরাজিত করতে পারা তো বহুত দুরের কথা - তাফসির বলছে "হূদ (আঃ) এর কেশ পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি তারা" আর তা কেন? হূদ (আঃ) কিসের ভরসায় এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন?

    হূদ (আঃ) বলেছিলেন - "ইন্নি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি রব্বি ওয়া রাব্বিকুম" আমি ভরসা করলাম আমার এবং তোমাদের রবের উপর!

    হায়! আদ - শেষ পর্যন্ত তাদের পরিনতি কি হয়েছিলো? আল্লাহ তাদের ধংসের বিবরন দিয়ে বলছেন, "তুমি তাদের কাউকে রক্ষা পেয়ে বেচে থাকতে দেখছো কি?"
    (আল হাক্কাহ - ৮)

    আল্লাহ ওয়াদা করেছেন - তিনি কাফিরদের ধ্বংস করেই ছাড়বেন, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন তিনি তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেই ছাড়বেন, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন তিনি তাদের কে জাহান্নামে একত্রিত করবেন

    আমরা বলি, ওহে, আল্লাহর দুশমনেরা, আমরাও অপেক্ষায় আছি তোমরাও অপেক্ষায় থাকো - খুব শীঘ্রই আল্লাহ আমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন!
    Last edited by s_forayeji; 03-21-2017, 12:47 AM.
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহু খাইরান

      Comment


      • #4
        ahlan sahlan yaa habibi...

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ ভাই সুন্দর বলেছেন।
          কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

          Comment


          • #6
            চমৎকার!!!!!!!
            দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
            জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

            Comment


            • #7
              "কাম অ্যান্ড ফাইট মি" পুরা একটা জাতির বিরুদ্ধে হূদ (আঃ) বললেন "আমাকে প্রস্তুতি নেবার/প্রস্তুত হবার কোন সুযোগ পর্যন্ত দিওনা, দিনে কিংবা রাতে - পারলে আমাকে পরাজিত কর!"

              إن جند الله هم الغالبون

              আল্লাহর সৈনিকগনই বিজয়ী

              Comment


              • #8
                ধোঁকাবাজরা বলে কথার জবাব নাকি কথা দিয়ে দিতে হয়, তাহলে এভাবে জিহাদি ফোরামগুলোর উপর হামলা কেন? যদি তোমরা কথিত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়েই থাক, তাহলে তোমরা তোমাদের আদর্শ প্রচার করতে থাক! আমরা মিল্লাতে ইবরাহীমের আদর্শ প্রচার করতে থাকি!!!!!!!!! দেখা যাক মুসলিম উম্মাহ কোন আদর্শ গ্রহণ করে!
                আসলে বাকস্বাধীনতা হল একটি কথার কথা, প্রকৃত বিষয় তো হল হক ও বাতিল কখনোই একত্রে থাকতে পারে না, বাতিল যেমনিভাবে হকের দুর্বলতম অস্তিত্বও সহ্য করতে পারে না, তেমনি হকও বাতিলকে সামান্য পরিমাণও ছাড় দেয় না... সুতরাং ওই সকল লোকদের জন্য কতইনা আফসোস যারা বাতিলের সাথে সাথে জিহাদ ও মুজাহিদের সাথে শত্রুতা করে, অথচ তাকে এই কাজে একটা পয়সাও দেওয়া হবে না।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়ালা এই ফোরামকে হেফাজতে রাখুন,আমিন।

                  Comment

                  Working...
                  X