নিশ্চয় আমাদের উলামায়ে দেওবন্দের অবদান উল্লেখ করা আমাদের জন্য সহজ নয়। আর তা লিখতে গেলে বহু পৃষ্ঠা লিখতে হবে, বহু সময় লেগে যাবে।
নিশ্চয় তা ইমামুল আছর শাহ আনোয়ার কাশ্মিরী রহ., আমিরুল মুজাহিদীন হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজীরে মক্কী (রঃ), রশিদ আহম্মদ গাঙ্গুহী (রঃ), হুজ্জাতুল ইসলাম কাসেম নানুতুবী (রঃ) এর রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত এক দীর্ঘ ইতিহাস।
মাওলানা মোল্লা মাহমুদ (রঃ), হাকিমুল উম্মাহ থানভী (রঃ) এবং শাইখুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান (তাকাবাল্লাহ) এর মতো সত্যবাদী মুজাহিদদের মাথার খুলির উপর নির্মিত এই দেওবন্দ।
হে উম্মতের রাহাবারেরা!
যখন এই উম্মত অন্ধকারের মধ্যে ডুবে ছিলো। তখন আপনারাই তো তারা যারা দ্বীনকে আগলে রেখেছেন অক্ষুন্ন আদলে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বাণী তো আপনারাই পৌঁছে দিয়েছেন হিন্দের প্রতিটি কানে। আহারে-অনাহারে, দুঃখে-সাচ্ছন্দ্যে যে কোন প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে, আপন স্বার্থকে পেছনে ফেলে উম্মতের মাঝে দ্বীনকে টিকিয়ে রাখতে আপনারাই ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বাতিলের শত ঝড়-ঝাপটার মুখে হিমালয়ের মত অবিচল, তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যয় উত্তাল, নববী আদর্শের মূর্ত প্রতীক।
আমরা কিছুই ভুলিনি ...
হে সম্মানিত তারকারা, ব্যর্থ অভ্যুত্থানেরপর ফুফফার বৃটিশ সরকার আপনাদের মূল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে যে লোমহর্ষকনির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ অধ্যায়ের সূচনা করেছিল তা আমরা ভুলিনি। লাখ লাখ আলেমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে শহীদ করা, ত্রাস ওভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনের পর দিন শহীদের বিকৃতলাশ বৃক্ষের ডালে ডালে লটকিয়ে রাখা যা দিল্লীর চাঁদনীর চক থেকে নিয়ে ‘খায়বার' নামকস্থান পর্যন্ত এমন কোন বৃক্ষবাকি ছিলো না যেখানে কোন একজন শহীদের লাশ ঝুলেনি।
আমরা তা কিছুই ভুলিনি...
আমরা ভুলিনি আযাদী আন্দোলনে অংশ গ্রহণের কারণে আপনাদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলানোর কথা কিংবা আন্দামান দ্বীপে নির্বাসন দেয়ার কথা। কিংবা ভুলিনি মুরতাদ মীর্যা কাদিয়ানী বা সাম্রাজ্যবাদী সৈয়দ আহমদ'দের পক্ষ থেকে আপনাদের উপর জুলুম-নির্যাতন আর মিথ্যা অপবাদ রটানোর কথা।
অতঃপর,
আমরা কিভাবে ভুলতে পারি !
সাদা চামড়ার লাল কুকুরদের পক্ষ থেকে এত জুলুম-নির্যাতনের সত্তেও মুশরিকদের সাথে আপোষ না করে বরং শামিলির জিহাদ পরিচালনা কথা কিংবা ভুলিনি উত্তর প্রদেশের একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার কথা। আর তা হয়েছিল কেবলমাত্র আল্লাহ'র অনুগ্রহ অতঃপর, আপনাদের তাওহীদপূর্ণ আকিদাহ দ্বারা, যেই আকিদাহ ছিল ধৈর্যশীল, অবিচল আর সাহসী। সবার চেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কাফির-মুশরিক, মুনাফিক আর মুরতাদদের বিরুদ্ধে কঠোর। আর মুশরিকদের সাথে আপোষ ও মিথ্যা চুক্তিহীন।
হে উম্মাহ'র সিংহরা,
আপনারা যা চেয়েছেন তা আল্লাহ'র কাছে পেয়েছেন আমরা আপনাদের ব্যাপারে এটাই মনে করি আর আল্লাহ ভালো জানেন।
আল্লাহ আপনাদের উপর রহম করুন-জান্নাতের সর্বোচ্চ শিখরে একটি বাড়ি দান করুন, আর নবী, সত্যবাদী ও শহীদদের সাথে আপনাকে পুনরুত্থিত করুন এবং আমাদের কেউ আপনাদের পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন।
অতঃপর,
হে আমাদের রাহাবারেরা,
আপনারা চলে গিয়েছেন আমাদের একাকি ফেলে কিন্তু এতেও আমরা নিরাশ হয়নি কারণ, আপনাদের পরবর্তীদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষা ছিল অনেক উঁচুতে।
সময় তার গতিতে অতিবাহিত হতে থাকলো এবং আল্লাহ'র ইচ্ছায় আপনাদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত জিহাদের পতাকাকে বহন করলেন আপনাদের সন্তানেরা। জিহাদের ময়দান দিনকে দিন উত্তপ্ত হতে লাগলো। কুফফার ইংরেজদের সন্তানরা আপনাদের সন্তানদের সাথে তাদের পিতাদের পথ অনুসরন করতে লাগলো। আর আমরাও আমাদের পিতাদের পথে অটল থাকলাম। এভাবে কুফফার-মুশরিকদের অন্তর ভয়ে পরিপূর্ণ হলো এবং তারা আপনাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে দিন-রাত ষড়যন্ত্র করতে লাগলো। তারা সকল শক্তিকে একত্রিত করলো এবং সকল শক্তি আমাদের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করলো, তারপরেও তা আল্লাহ'র অনুগ্রহে টিকে থাকলো। কারণ আপনারা আমাদের রেখে গিয়েছিলেন পতাকার স্বচ্ছতা, পথ-পন্থা এর পরিচ্ছনতার উপর, আর আমরা তার উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছি সাধ্যমতো।
নিশ্চয় আমাদের পূর্বপুরুষেরা তোষামোদ করেনি এবং দ্বীনের কোন বিষয়ে ছাড় দিয়ে কারও সন্তুষ্টিও চায়নি, কখনও চায়নি ! আল্লাহর পথে তারা কখনই কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করেনি।
এবং দিনকে দিন আপনাদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত যুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে, মুহাজির ও আনসারগণ এর পতাকা তলে একত্রিত হচ্ছে, বিভিন্ন গোত্র থেকে আলাদা হয়ে আপনাদের কাংখিত খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার পথে অব্যাহত থাকছেন। তারা অটল ও দৃঢ়পদ থাকলো আপনাদের রেখে যাওয়া সেই পথ এর উপর।
যুদ্ধ তীব্রতর হলো... এবং আপনাদের সন্তানেরা সামানে এগিয়ে গেল এক দিনের জন্যও তারা আপনাদের পথ ছেড়ে পিছনে ফিরে তাকায়নি। কুফফার ব্রিটিশ'দের উত্তরসরি আর নাপাক মুশরিকরা একই ধনুক থেকে তীর নিক্ষেপ করতে থাকলো। এছাড়াও অন্যায়কারী ও অপরাধীরা তাদের সাথে একত্রিত হলো।
এসবের মধ্য দিয়েও, আপনাদের পরবর্তীদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষা ছিল অনেক উঁচুতে। তাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করে, তাদের উপর কথা না বলে, তাদের নির্দেশের বা মতামতের উপর সম্মান প্রদর্শন করে, তাদের কথার বিরোধিতা না, মুসলিমদের ঐক্য রক্ষা করে এবং অনুগ্রহপ্রাপ্ত আহালে জিহাদের মধ্য থেকে যারা অগ্রগামী তাদেরকে যথাযথ সম্মান করে আপনাদের সন্তানেরা টিকে থাকলো।
হ্যাঁ, আপনাদের পরবর্তীদের আমরা সম্মান করেছি এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছি, আমাদের প্রত্যাশার আকাঙ্ক্ষাকে রক্ষা করেছি এবং আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি, যদিও আমরা এমন কিছু কাজ দেখেছি ও শুনেছি যা আমরা অপছন্দ করতাম। তা সর্তেও আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি এবং অটল থেকেছি আমরা তাদের ভালো দিকসমুহ প্রচার করেছি এবং দোষত্রুটি গোপন করেছি, যতক্ষণ না আমরা বিচ্যুতি দেখতে শুরু করলাম। তারপরেও আমরা ধৈর্য ধারণ করলাম এবং তাদের দোষত্রুটি ব্যাপারে অজুহাত খুঁজলাম যেন তা গোপন করা যায়। কিন্তু বিষয়টি ভয়াবহ হয়ে গেল এবং বিচ্যুতি স্পষ্ট হয়ে গেল।
অবশ্যই দেওবন্দের বর্তমান নেতারা তাদের পূর্ববর্তীদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, আমরা এ ব্যাপারে বলছি অথচ কষ্ট আমাদের মর্মমূলে আঘাত করছে আর আমাদের অন্তর তিক্ততায় পূর্ণ। কারণ যেখানে আশা বেশী থাকে, সেখানে আশাভঙ্গের বেদনাও বেশী থাকে।
আমরা এটা বলছি সকল প্রকার মনোক্ষুন্নতা নিয়ে, আমরা কতই না চেয়েছিলাম একথা না বলতে, কিন্তু আমাদের উপর জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমরা সত্য বলব এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবো না।
অবশ্যই তাদের বদলে যাওয়া ও পরিবর্তন হওয়া সুস্পষ্ট হয়ে গেল, নিশ্চয় বর্তমানের দেওবন্দ সেই জিহাদের দেওবন্দ নয়।
পূর্বে আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি'র যেই দেওবন্দ থেকে বলা হতো "যে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাফের বলে না,সে কাফের" আর আজ সেই দেওবন্দ থেকে বলা হচ্ছে "হিন্দুদের কাফের বলা উচিৎ নয়" !
আশরাফ আলি থানভি রহঃ'র যেই দেওবন্দ থেকে বলা হতো "এরা মনে করে ইংরেজ ও হিন্দুদের সাথে থাকলেই আমাদের সুখ-সমৃদ্ধি আসবে। বিধর্মীদের সাথে মিলেমিশে নিজের দ্বীনধর্ম সবই জলাঞ্জলি দিচ্ছে, এমনকি ঈমানও নষ্ট করে দিচ্ছে।
হিন্দুদের কাজই হলো খুনাখুনি আর সুযোগ পেলেই মুসলিম নিধনে মেতে ওঠা!" "মুসলমানরা কোনো বেঈমান জনগোষ্ঠীর সাহায্যের আশা করবে এটা নিতান্তই লজ্জাস্কর ব্যাপার।" আর আজ সেই দেওবন্দ থেকে মুশরিকদের সাথে গনত্রান্তিক নির্বাচনী জোট পাতা হচ্ছে ! নাপাক রামদেবে'দের হাত উঁচু করে ধরে রেখেছে !
সেই জিহাদের ভিত্তি দেওবন্দ আর বর্তমানের দেওবন্দ কক্ষনও এক নয়। এখন এটি আর সেই জিহাদের ভিত্তি নয়।
মুশরিক আর গনত্রান্ত্রিক ধর্মনিরেপক্ষ দলেরা এখন এর সাথে একই সারিতে রয়েছে, অতীতে যা তাদের বিরোধী ছিল, অথচ তারা এখন এর প্রতি সন্তুষ্ট।
যেই দেওবন্দ ছিল মুশরিকদের প্রতি কঠোর আজ তা তাদের প্রতি আহিংসবাদ হয়ে গিয়েছে ! শাহ জালাল (রঃ) উত্তরসরি যেই দেওবন্দ গরু কোরবানিতে বাঁধা দেওয়ার জন্য নাপাক মালায়নদের কঠোরতা প্রদর্শন ত্যাগ করেননি আজ সেই দেওবন্দ থেকে বলা হচ্ছে “হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে (ভারতে) ঈদে গরু কুরবানী পরিহার করুন” !
যেই দেওবন্দ আল বারাহ আকিদাহ দেখে মুশরিকদের অন্তর প্রকম্পিত হতো সেই দেওবন্দ এর পক্ষ থেকে রাশিয়ায় গীতা নিষিদ্ধ করার নিন্দা জানিয়ে হিন্দু মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে !
একই স্থানে সেই একই দেওবন্দ ! একই বংশধর !
তাহলে কি পরিবর্তন হয়েছে ? কেন বর্তমান দেওবন্দ'এর কাজ আমাদের কষ্ট দিচ্ছে ?
তা এটা ছাড়া আর অন্য কিছু নয় যে, তারা তাদের পূর্ববর্তীদের পথ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে।
হ্যাঁ, বর্তমান দেওবন্দ আর পূর্বের দেওবন্দ কখনই এক নয়। বর্তমান দেওবন্দ যে পথ এর উপর আছে, আল্লাহর কসম তা এক দিনের জন্যও তাদের পূর্ববর্তীদের পথ ছিল না।
হ্যাঁ, আমরা সহ্য করেছি এবং চুপ থেকেছি, যেন জিহাদের প্রতীক মুছে না যায় এবং মানুষ তাদের দ্বীনের ব্যাপারে পরীক্ষায় না পড়ে। আমরা ধৈর্য ধরে ওসহ্য করে আসছি যেন তারা ফিরে আসে তাদের পূর্ববর্তীদের পথে। কিন্তু আমরা সেটার কোন রাস্তা খুঁজে পেলাম না, কোন রাস্তাই না ! কারণ বর্তমান দেওবন্দ পথচ্যুত হয়েছে, তারা বদলে গেছে ও পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
পূর্বের দেওবন্দ আর বর্তমান দেওবন্দ এর পার্থক্য এ ছাড়া আর অন্য কিছু নয় যে, তারা ইব্রাহিম (আঃ) এর দ্বীন থেকে অর্থাৎ, মুশরিক'দের সাথে চির শত্রুতা এবং বিদ্বেষ এর আকিদাহ পরিবর্তন করেছে। বর্তমানে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং মুশরিকদের সন্তুষ্টি প্রত্যাশী। তারা এখন সরাসরি জিহাদ ও তাওহীদের ঘোষণা দিতে লজ্জাবোধ করে এবং যারা শুধু নাপাক মুশরিকদের দাওয়াত দিতেই বিশ্বাসী, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নয়।
বর্তমানের দেওবন্দ এখন মুশরিক কংগ্রেস এর সাথে জোটবদ্ধ হয়ে টিকে থাকতে চায়, তাদের প্রতি সহানুভুতি প্রদর্শন করে এবং তাদের সন্তুষ্টির উদ্দেশে দ্বীনের ব্যাপারে শৈথিল্য দেখায়। যেন মুশরিক-মুসলিম ভাই ভাই হয়ে গেছে ! এবং তাদের সাথে শান্তি, স্থিরতা ও মৃদু মন্দভাবে বসবাস করা জরুরী হয়ে গেছে !
আল্লাহর শপথ, না !
একদিনের জন্যও এটা আমাদের পূর্ববর্তীদের পথ ছিল না এবং কখনও হবে না। আমরা আমাদের পূর্ববর্তীদের পথকে পরিবর্তন করতে পারবো না। কিংবা পারবো না মিথ্যা হিকমার দোহাই দিয়ে মুশরিকদের থেকে আমাদের শত্রুতা আর বিদ্বেষ তুলে নিতে। আমরা যদি একজনও অবশিষ্ট থাকি তবে আমাদের পূর্ববর্তীদের পথে অটল আর আবিচল থাকবো। এটাই আমাদের পথ। তাই যদি কেউ এতে রাজি হয় তাকে অভিনন্দন আর যে ভিন্ন মত বা পথ দেখায় তাকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হবে না। যদিও সে নিজেকে উম্মাহ বলে, যদিও আমরা এক দিকে থেকে যাই, আর সাড়া দুনিয়া অন্য দিকে যায়।
হ্যাঁ, এটা আমাদের পথ, যা থেকে আমরা সরে যাবো না, ইনশা'আল্লাহ। যদিও নিন্দুকেরা তা অপছন্দ করে, নিন্দা জানায়, তিরস্কার করে...
তারপরও আমরা অটল আর অবিচল থাকবো।
কারণ আমাদের রব বলেনঃ-
"আর অবশ্যই তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে ইব্*রাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে। তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ আমাদের কোন সম্পর্ক নেই তোমাদের সাথে এবং আল্লাহকে ছেড়ে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের সাথেও। আমরা তোমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করি। আর তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে রইল চিরতরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ "(আল-মুমতাহিনা:০৪)
"তোমরা যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রত্যাশা কর অবশ্যই তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে তাঁদের (ইব্*রাহীম ও তাঁর অনুসারীদের) মধ্যে। আর কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে সে জেনে রাখুক, আল্লাহ তো অভাবমুক্ত, প্রশংসার্হ"(আল-মুমতাহিনা:০৬)
"ইব্*রাহীমের মিল্লাত থেকে কে বিমুখ হতে পারে, সে ছাড়া যে নিজেকে নির্বোধ প্রতিপন্ন করেছে?"(আল বাকারা:১৩০)
"তারপর আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করলাম যে, আপনি একনিষ্ঠভাবে ইব্*রাহীমের মিল্লাত অনুসরণ করুন এবং তিনি মুশরিকদের দলভুক্ত ছিলেন না"(আন-নাহল:১২৩)
"আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম"(আল-মুমতাহিনা:০৯)
সুতরাং !
হে নিছক দাবীদারেরা,
এখনো সময় আছে ফিরে আসুন এই অধপতনের পথ থেকে, ফিরে আসুন এই গোলামির পথ থেকে, সামান্য কিছু দুনিয়াবী ক্ষতির ভয়ে কাফেরদের সংঘানুযায়ী, আধুনিক হবার লোভে নিজেদের দুনিয়া ও আখিরাত কে বরবাদ করবেন না! ক্ষমতাশীনদের ভয়ে নিজেদের অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রাখা নিয়ে সংক্ষিত হয়ে দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবতীর্ণ হবেন না।
আল্লাহর শপথ,
দুনিয়ার লাঞ্ছনা আর আখেরাতের বরবাদি ছাড়া এই পথে আর কিছুই নেই, সামান্যের বিনিময়ে নিজেদের ইলম ঈমান কে বিক্রি করে দিবেন না, হ্যাঁ এখনো সময় আছে এই পথ থেকে ফিরে আসুন, ফিরে আসুন আপনাদের পূর্ববর্তীদের রেখে যাওয়া পথে।
আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন আর আক্রমণের মোকাবেলায় আকাবিরের দেওবন্দ রেখে যাওয়া উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের অনুসরণ করে প্রমাণ করুন আপনারা এই আকাবির দেওবন্দ অনুসারী, নিছক মিথ্যা দাবীদার নন।
(ছবিগুলো রিপ্লাই বক্সে আছে, লোড হতে কিছু সময় লাগবে...)
Results 1 to 10 of 18
-
03-30-2017 #1
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
ভাইদের অনুরোধে ছবিসহ পুনরায় প্রকাশ করা হলো "নব্য দরবারী দেওবন্দ"
Last edited by Ibnu Muhammad; 03-30-2017 at 11:41 PM.
-
The Following 2 Users Say جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
MuslimBrother1 (03-30-2017),Taalibul ilm (03-30-2017)
-
03-30-2017 #2
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান ক্রুসেডে শামিল হয়ে কুফুরিতে আপতিত হলো সল্প মূল্যে ঈমান-বিক্রেতা, আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা মীর জাফর, আবুল ফজল ও আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের উত্তরসূরি কিছু দরবারী 'আলেম'-
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
MuslimBrother1 (03-30-2017)
-
03-30-2017 #3
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
আমরা তাদের কে ভালো ভাবেই চিনে রেখেছি যারা দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মুজাহিদ বিরোধী কুফরবন্ধন করেছে যেন কুফফারদের কে কিছুটা সন্তুষ্ট করে নিজেদের পিঠ বাঁচানো যায়। কিন্তু এরা কি ভুলে গিয়েছে !!!
আল্লাহ ও এদের গুণে রেখেছেন...
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
MuslimBrother1 (03-30-2017)
-
03-30-2017 #4
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
MuslimBrother1 (03-30-2017)
-
03-30-2017 #5
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
মুরতাদদের সন্তুষ্ট করার নিছক প্রচেষ্টা
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
MuslimBrother1 (03-30-2017)
-
03-30-2017 #6
- Join Date
- Mar 2017
- Posts
- 343
- جزاك الله خيرا
- 839
- 457 Times جزاك الله خيرا in 207 Posts
আখি জাযাকাল্লাহ খাইরান। আমি অনুরোধ করব এই তথ্যপূর্ণ পোস্টি ওপেন প্লেজ ফেইজবুকেও পোস্ট করবেন।
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Muhammad bin maslama For This Useful Post:
Ibnu Muhammad (03-30-2017)
-
03-30-2017 #7
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
নব্য দেওবন্দ এর মুশরিকপ্রীতি
-
03-30-2017 #8
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
“হিন্দুদের কাফির বলা যাবে না এতে তারা কষ্ট পায়” - জ্ঞানের গর্দভ আরশেদ মাদানী
-
03-30-2017 #9
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
মুশরিকদের সাথে জঙ্গি বিরোধী দেওবন্দী মুরজিয়া কনফারেন্সঃ-
-
03-30-2017 #10
- Join Date
- Feb 2016
- Posts
- 61
- جزاك الله خيرا
- 11
- 47 Times جزاك الله خيرا in 32 Posts
ত্রান্তিক প্রিয় নব্য দেওবন্দঃ-
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to Ibnu Muhammad For This Useful Post:
Muslim of Hind (10-24-2018)
Similar Threads
-
[মেগা পোস্ট]*** অনুসরনীয় যোদ্ধা "follow me warrior"
By CallOfDuty in forum মানহাযReplies: 16Last Post: 08-15-2019, 07:55 AM -
শুরু হয়ে গিয়েছে অপারেশন "clam down"। ৪০০০ ভারতীয় সেনা কাশ্মীর এ প্রবেশ করেছে।
By ABU SALAMAH in forum উম্মাহ সংবাদReplies: 3Last Post: 09-17-2016, 10:19 PM -
বাংলা ভিডিও || "তাওহিদের যুদ্ধ" || শায়খ আবু ইয়াহিয়া আল লিব্বি (রহঃ)
By তাওহিদের পতাকা in forum অডিও ও ভিডিওReplies: 3Last Post: 09-15-2016, 02:41 PM -
"দায়িত্বশীল হোন"
By jajabor in forum মানহাযReplies: 5Last Post: 01-03-2016, 09:41 PM