এক ভাই বিরক্ত হয়ে বললেনঃ
"জিহাদ কি AQ বা ISIS এর কাছে বন্ধক নাকি? যে তাদের বায়াহ না দিলে জিহাদই হবে না। এরা যা শুরু করেছে একসময় নিজেরা নিজেরাই ধবংস হয়ে যাবে।"
.
উনার মতো আরো কিছু ভাই বর্তমান সময়ে চলমান ফিতনায় পড়ে এমন কিছু বলে ফেলতে পারেন বা মনে পোষণ করতে পারেন যা একেবারেই বিচিত্র নয়। এটাই স্বাভাবিক। কারণ ইনফরমেশান নেই কারো কাছেই।তাই এ ব্যাপারে আজ প্রথম কী-বোর্ডে হাত দিচ্ছি।
.
ইরাকে এখনো একটি স্বাধীন তানযীম আছে। যতদূর মনে পড়ে আনসারুল ইসলাম নামে। যাদের সাথে AQ ও তালিবানদের সাথে ভাল সম্পর্ক আছে। কিন্তু তারা একিউ কে বায়াহ দেয়নি। অন্তত প্রকাশ্যে। এমনকি দাইশকেও না। ঠিক এমন দৃশ্যই দেখা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে। যেখানে স্থানীয় অনেক মুজাহিদ গ্রুপ আছে। থাকে। যারা স্থানীয় ত্বাগুত ও সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা কুফফারদের বিরুদ্ধে আল্লাহর রাহে জিহাদ করে যাচ্ছেন। আর তাদের ফোকাস থাকে নিজ জন্মভূমিতে বা দেশে ইসলামী শারীয়াহ কায়েম করা। জিহাদের মাধ্যমে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ এ ব্যাপারটা আমাদের রক্তে মিশে আছে। ঈমানদারদের রক্তে। যারা আল্লাহর সাথে সততা অক্ষুণ্ণ রাখে। এর জন্য জীবন দেয়। হাসিমুখে। লাস্যময়ী হাসি। আলহামদুলিল্লাহ।
এরা সবাই শুধু আল্লাহর রাহে জিহাদ করে যাচ্ছেন। শুধু তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য ও মাযলুম উম্মাহর সাহায্যের জন্য। তাই এরা সবাই হক্ব। তারা একিউকে বায়াহ দিক বা না দিক। তারা হক্ব। ইন শাআল্লাহ হক্ব। কারন জিহাদ করার জন্য আল্লাহর রাযা শর্ত।শারীয়াহ শর্ত। একিউকে বায়াহ দেয়া শর্ত না। যেমনটা দাইশ বা দাওলাকেও বায়াহ দেয়া শর্ত না।
AQ যেটা করে বা এতদিন যেটা করে আসছে তা হল রাশিয়ার বিরুদ্ধে কৃত খুরাসানের এই পবিত্র জিহাদকে খুরাসানের মাটি থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া। অন্তত মুসলিম দেশগুলোতে। যে দেশগুলো একসময় না একসময় আল্লাহর কালাম দ্বারা শাসিত হত। তাওহীদের উপর শাসিত হত।তাই আফগান জিহাদের শেষে সারা বিশ্বে তারা ছড়িয়ে যায়। যার মাধ্যমে সর্বপ্রথম এটা শুরু হয় এবং সবচেয়ে বেশি ছড়ায় তিনি হলেন AQ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল মুজাহিদীন উসামা বিন মুহাম্মাদ বিন লাদিন রাহিঃ। এটা ছিল শাইখ উসামার রাহিঃ একটি স্বপ্নের প্রতিফলন। কেননা তিনি আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্বপ্নে আদিষ্ট হয়েছিলেন(স্বপ্নটা কোথাও থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। নেটে এ্যভাইলেবল)।এছাড়াও এটা শাইখ আব্দুল্লাহ আযযামেরও রাহিঃ একটি ইচ্ছা ছিল। যা তিনি শাহাদার আগ পর্যন্ত সর্বদাই হৃদয়ে লালন করতেন (তাফসীরে তাওবায় পাবেন বিস্তারিত)।
AQ ফোকাস করে গ্লোবালি অর্থাৎ পুরো বিশ্ব, বিশেষ করে ৫৭ টি মুসলিম রাষ্ট্রের উম্মাহকে একটি খিলাফাহর আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ মনযোগী ও সচেতন হওয়া। । শুরু থেকেই এসকল মুসলিম রাষ্ট্রে স্থানীয় এক বা একাধিক মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে একিউ দাওয়াত দিতে থাকে। একত্রিত হবার জন্য। এক পতাকার নিচে আসার জন্য। জামায়াতবদ্ধ হবার জন্য। যেমনটা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা জামায়াতবদ্ধ হও।
ঠিক এই নীতিকে সামনে রেখেই গ্লোবালি সব মুজাহিদ তানজিমকে AQ একত্রিত করতে চায় এবং এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা যেমন একটি ফরয কাজ সাথে সাথে একিউ এর একটা স্ট্র্যাটেজিও বটে। সবাইকে একত্রিত করার পর কুফফারদের গডফাদার আমেরিকা ডেষ্ট্রয় করাই হবে যেখানে প্রধান ও মূল লক্ষ্য। এরপরে তার পশ্চিমা এ্যালাইদের সানডে মানডে ক্লোজ করে দেয়া। এরপরে স্থানীয় ত্বাগুতকে চুবানি দেয়া। এভাবে করতে করতে একসময় সর্বশেষে ইসরাইলকে দুনিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে দেয়া। আর এতকিছু করার জন্য প্রয়োজন সকল মুজাহিদদের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করা। একটি স্থায়ী শক্তিতে রুপান্তরিত করা।
আর এসব কাজকে আঞ্জাম দেবার জন্য প্রয়োজন একটি মানহায যা কুরআন ও সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত হবে এবং গ্লোবালি এই পবিত্র জিহাদ ছড়িয়ে দেবার জন্য একটি তুখোড় মাষ্টারপ্ল্যান এবং অপরাজেয় স্ট্র্যাটেজি।আর এক্ষেত্রেও তারা তাদের সিগনেচার রেখে গেছে। রেখে যাচ্ছে।ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
সবচাইতে বড় কথা AQ চায় সমগ্র মুসলিম উম্মাহ আবার জেগে উঠুক। হাতে অস্ত্র নিক। জামায়াতবদ্ধ হোক। বিভিন্ন তানজিমকে এগুলো দেখানো,শুনানো ও বুঝানোর পরে এসকল তানজীমগুলো সাদরে একিউ এর দাওয়াত গ্রহণ করতে থাকে।আর আজ তারা এক আল্লাহর ফযলে অনেকাংশেই সফল। আলহামদুলিল্লাহ। যেমন- টিটিপি, লিবিয়ার কিছু মুজাহিদ গ্রুপ, আফ্রিকার কিছু মুজাহিদ গ্রুপ, মধ্য এশিয়ার কিছু মুজাহিদ গ্রুপ এবং আরো অনেক। এগুলো AQ এর প্রচেষ্টা ও উম্মাহর প্রতি তাদের ত্যাগ ও ভালোবাসার ফসল। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার।
সো আপনার বা আপনাদের মুখ থেকে যে কথাগুলো বের হল হয় সেটা মুর্খতা থেকে যা আপনারা AQ এর সম্পর্কে জানেন না বা তাদের ব্যাপারে কারো থেকে অল্পবিস্তর শুনেছেন এই জন্য। অথবা আপনাদের মাঝে জিহাদের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও কেমনে করবেন, কার সাথে মিলে করবেন তা জানেন না এই জন্য। কিংবা আপনারা একিউ ও রক্তপিয়াসু দায়িশের মাঝে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে গিয়েও পারছেন না বলে বিরক্ত হয়ে এই দুদল সম্পর্কেই বাজে কথা বলে যাচ্ছেন। এটা আবেগ বা ভালোবাসা থেকেও হতে পারে। আল্লাহু আলাম।
কোথায় উম্মাহ দরদী AQ আর কোথায় খারেজী দাইশ।
একটু পড়াশুনা করেন। এই দুই তানযীম সম্পর্কে জানেন। এরপর কমেন্ট করেন।কথা বলেন।
আল্লাহ আপনাদের অন্তরকে শীতল করুন। প্রশান্ত করুন। প্রশস্ত করুন। আমিন।
কথাগুলো হৃদয় থেকে বলা তাই হৃদয় থেকে গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো। কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দেবেন।
(collected)
Results 1 to 4 of 4
-
09-01-2015 #1
- Join Date
- May 2015
- Location
- WORLD
- Posts
- 168
- جزاك الله خيرا
- 139
- 138 Times جزاك الله خيرا in 66 Posts
Aq চায় সমগ্র মুসলিম উম্মাহ আবার জেগে উঠুক
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। (১১০ঃ১-৩)
-
09-03-2015 #2
- Join Date
- Jul 2015
- Location
- طاعون خوارج
- Posts
- 753
- جزاك الله خيرا
- 611
- 599 Times جزاك الله خيرا in 308 Posts
আর এসব কাজকে আঞ্জাম দেবার জন্য প্রয়োজন একটি মানহায যা কুরআন ও সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত হবে এবং গ্লোবালি এই পবিত্র জিহাদ ছড়িয়ে দেবার জন্য একটি তুখোড় মাষ্টারপ্ল্যান এবং অপরাজেয় স্ট্র্যাটেজি।আর এক্ষেত্রেও তারা তাদের সিগনেচার রেখে গেছে। রেখে যাচ্ছে।ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
মাশাআল্লাহ
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to কাল পতাকা For This Useful Post:
power (09-03-2015)
-
09-03-2015 #3
জাযাকাল্লাহু খাইরান ইয়া আখি!
লেখাগুলো পড়ে আমার অনেক গুলো জানা বিষয় পুণরায় রিফ্রেশ হলো।
-
The Following User Says جزاك الله خيرا to khalid-hindustani For This Useful Post:
power (09-03-2015)
-
09-03-2015 #4
মাশাআল্লাহ
ওয়াল্লাহি, দাউলার ফিতনা এখন উম্মাহর কাছে স্পষ্ট-পরিস্কার। যারা উলামা-উমারাদের কথায় কান দেন না, যারা হাকিকত থেকে চোখ ফিরিয়ে শুধু চমকপ্রদ কিছু মুভি দেখে আবেগাপ্লুত কেবল তারাই মিথ্যাকে সত্যের আবরন দিয়ে চিনতে চাচ্ছেন। বেশি করে আল্লাহর কাছে ফিতনা থেকে বাচার দোয়া করুন, সাথে বাস্তবতা কে জানার চেষ্টা করুন...।
এক পক্ষের কথা শুনে বিচারক বিচার করলে সে হবে যালেম।
তাই "এ কিউ" কে-ও জানুন।
আর যারা সহীহ আকীদা ও মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত, দ্বীনের কুরবানীর পথে যারা প্রবীন ও অভিজ্ঞ আল্লাহ তায়ালা তাদের মর্যাদার ব্যাপারে বলেনঃ-
وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ)
অর্থাৎ মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট । এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিন্মদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তাঁরা চিরস্থায়ী হইবে। এটা মহা সফলতা। (সূরা তাওবা-১০০)Last edited by Hazi Shariyatullah; 09-03-2015 at 12:55 PM.
Similar Threads
-
জিহাদ নিয়ে সংশয় এবং তার উত্তর। একটি খুবই গ&
By Osama in forum অডিও ও ভিডিওReplies: 4Last Post: 01-12-2020, 10:26 AM -
কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করছে
By we r coming in forum চিঠি ও বার্তাReplies: 5Last Post: 11-07-2016, 10:27 PM -
জিহাদি ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজ করুন অফলাইনে
By musafir2 in forum তথ্য প্রযুক্তিReplies: 8Last Post: 12-19-2015, 10:43 PM -
ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার কিছু কার্যকর
By কাল পতাকা in forum শরিয়াতের আহকামReplies: 2Last Post: 08-31-2015, 12:19 AM