Announcement

Collapse
No announcement yet.

শয়তানের চক্রান্ত কত ঠুনকো!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শয়তানের চক্রান্ত কত ঠুনকো!!

    আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ,

    দেশব্যপী বর্তমান জঙ্গী বিরোধী অভিযান এবং ধরপাকরে হয়ত আমাদের অনেকের ভিতরেই ভয়, শঙ্কা এগুলো কাজ করছে। কখন আপনার বাসায় রেইড হয়, প্রতিবেশিরা আপনার সম্পর্কে মুরতাদদের খবর দিয়ে দিল কিনা ইত্যাদি অনেক ভাবনা কাজ করতে পারে। অবশ্য এটা করা অস্বাভাবিক না। আমরা মানবীয় গুনাবলীর ঊর্ধ্বে না। খন্দকের যুদ্ধে সাহাবীদের অবস্থা চিন্তা করেন। উনারা রাসূল (সঃ) এর সংস্পর্শে থেকেও ভীতি তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছিল। জুবায়ের (রাঃ) এর সেই বিখ্যাত উক্তি, 'আল্লাহ্*র কসম! রাসূল (সঃ) যদি সরাসরি আমাকে উদ্দেশ্য করে শত্রুবাহিনীর খবর নিতে না বলতেন তবে আমি উঠে দাঁড়াতাম না!" সুবহানআল্লাহ এমন অবস্থা হয়েছিল সাহাবী (রাঃ) আজমাঈনদের। সেখানে ভাই আমরা যে এখনো টিকে আছি আল্লাহ্*র হাজারো শুকরিয়া। যাই হোক ভাই মুরতাদরা তাদের কাজ করছে। আর নিজেদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্টি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। চলতে থাকুক তাদের এই বিনোদন পর্ব। চলুন একটু দেখা যাক বর্তমান এই দৃশ্যপট কেমন হতে পারত আর কি হচ্ছে।

    শয়তানের চক্রান্তের একটা সফল হাতিয়ার হয়ে আইএস নামক এক ফিতনার উদ্ভব হল। সারা বিশ্বের কুফফাররা খুব খুশি হয়ে গেল। তারা বছরের পর বছর চেষ্টা করে যে সফলতা পায় নি। আইএস আবির্ভাবের সাথে সাথে সেই সফলতা কুফফাররা মুফতে পাওয়া শুরু করল। সারা বিশ্বে মুজাহিদদের মধ্যে ভাঙ্গন, রেশারেশিতেই সীমাবদ্ধ থাকল না এই ফিতনা সৃষ্টিকারীদের কলুষিত হামলা মুজাহিদদের তাকফির করা এবং শহীদ করা পর্যন্ত গড়াল। যাই হোক এই ফিতনায় আমাদের দুর্বল ঈমানদারদের ভূমিও জড়িয়ে পড়ল আসতে ধীরে এবং যারই ফলশ্রুতিতে নব্য জেএমবির উদ্ভব। মুজাহিদদের তিল তিল করে গড়া জিহাদি নবজাগরণকে জনবিচ্ছিন্ন এবং সন্ত্রাসী কাজে রূপ দেয়ায় কোন ত্রুটিই তারা করল না। ধীরে ধীরে দাবার ঘুটি মুজাহিদদের পাল্লা থেকে মুরতাদ মনিরুলদের হাতে স্থানান্তরিত হওয়া শুরু করল। শয়তানের চক্রান্ত এখানেই শেষ। এখানেই শেষ বলছি এটা নিতান্তই আমার নিজস্ব চিন্তা। যে কেউ এটার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন।

    এরপর থেকে যে ফল পাওয়া শুরু হল তা থেকে বুঝে আসে যে শয়তানের চক্রান্ত আল্লাহ্*র পরিকল্পনার কাছে কত ঠুনকো। অন্যান্য জমীনে এই ফিতনা সৃষ্টিকারীদের ফিতনা এত দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে যে সেখানে মুজাহিদরা আসলি কুফফারদের দিকে তাকানোর সুযোগও অনেক সময় পায় নি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্* এই জমীনে ফিতনা এত প্রবল আকার ধারণ করে নাই। করে নাই এজন্য যে আল্লাহ্* সুবহানু তাআলা অশেষ মেহেরবানী করে শয়তানের এক আউলিয়ার সাথে আরেক আউলিয়ার এমন দ্বন্দ্ব তৈরি করে দিয়েছেন যে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে গেছে বলা যায়। মনিরুল-সানোয়ার-বেনজির ওরা শুধু চেনে জঙ্গী। ওরা আইএস-আলকায়েদার মতাদর্শের পার্থক্য বোঝে না বা বুঝলেও সেটা প্রসেস করে করনীয় ঠিক করার সামর্থ্য আল্লাহ্* ওদের দেন নাই। আইএস এর উত্থান যে প্রকারান্তরে জঙ্গীবাদেরই পরাজয় তা বোঝার ক্ষমতা ওদের কস্মীনকালেও হবে না। আর এখন এই বুঝ হলেও কোন ফায়দা নাই। চিন্তা করে দেখেন গুলশান এ্যাটাক এর পরে দৃশ্যপট যদি এমন হত যে খিলাফার সৈনিকেরা এভাবে একটার পর একটা এ্যাটাক করে যাচ্ছে আর মুরতাদ বাহিনী তাতে নাজেহাল আর ঐদিকে দাবিক/আমাকের দায় স্বীকার, অডিও/ভিডিও বার্তায় সোস্যাল মিডিয়া সয়লাপ তাহলে কি অবস্থা হত এই জমিনের। রঙ্গীন চশমা লাগিয়ে জিহাদের বুঝ নিতে আসা ভাইরা সেই সব রঙ্গীন ভিডিও দেখে ফিদা হয়ে একের পর এক খিলাফার সৈনিক হওয়া শুরু করতেন এবং তাদের এই উত্থান অবশ্যই এই পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাত যে এই জমিনে তারা অন্য কোন তানজিমের উপস্থিতি বরদাশত করত না। তাকফিরের ধোঁয়া উঠিয়ে সবার মুসলমানিত্ত বানের জলে ভাসায়ে দিয়ে হয় আমাদের হত্যা করা শুরু করত অথবা মুরতাদদের কাছে ধরায়ে দিত। ফলাফল জঙ্গীর বংশ নির্বংশ। কিন্তু আল্লাহ্* আমাদের হেফাজত করলেন। মনিরুল-বেনজিরেরা একটার পর একটা সফল (এই সফল অভিজানগুলোই একদিন ওদের আফসোসের কারণ হবে ইনশাল্লাহ) অভিযানে আইএসের একেকটা উইকেটের পতন হতে থাকল আর এই জমিন থেকেও ফিতনা ধীরে ধীরে দূর হতে থাকল। আর এখন চলছে ফিতনা নির্মূলের প্রায় ফাইনাল স্টেজ। ইনশাল্লাহ এরপরই মুরতাদরা আসলি জঙ্গীবাদের চেহারা দেখতে পারবে।

    আমাদের প্রাপ্তিঃ আমাদের প্রাপ্তির লিস্ট এত লম্বা আলহামদুলিল্লাহ্* এটা বলে শেষ করার নয়। ইতোপূর্বে বিভিন্ন ভাইদের লেখায় প্রাপ্তি ফুটে উঠেছে। তবুও কিছু লিখার চেষ্টা করলামঃ
    ** ফিতনা নির্মূল করতে গিয়ে মুরতাদরা নিজেরাও কিছুটা নির্মূল হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্* (র*্যাবের ইন্টেল হেড আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে শুরু। আশা করা যায় ফিতনা পুরোপুরি নির্মূল হতে হতে আরও ২/১ টা উইকেট পরবে)
    ** প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার একটা প্রশিক্ষণ হয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্*।
    ** মুরতাদরা সর্বোচ্চ কতদূর যেতে পারে সেটা আমাদের জানা হয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্* এবং এগুলো সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে পারছি।
    ** এর মাধ্যমে যাদের অন্তরে পোকা ছিল আল্লাহ্* তাদেরকে আলাদা করে দিচ্ছেন। এরা থাকলে ভবিষ্যতে আমাদের কাজে আরও বিঘ্ন সৃষ্টি হত (আল্লাহ্* আমার কথার বাড়াবাড়ির জন্য আমাকে মাফ করুন)।
    ** মিডিয়ার বিস্ফোরণ। আলহামদুলিল্লাহ্* গত ১ বছরে আমাদের অন্যতম একটা প্রাপ্তি মিডিয়ার ভাইরা। অনেক নতুন নতুন আউটলেট আমরা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্*। এখন আমাদের প্রয়োজন সবগুলো মিডিয়ার ভাইদের একটা কন্সট্রাকটিভ এবং পরিকল্পিত প্রডাকশন। বিচ্ছিন্ন প্রডাকশনের বদলে যদি সবগুলো মিডিয়া মিলে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সেকটর ভাগ ভাগ করে প্রডাকশন করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ অল্প শ্রমে অধিক ফল পাওয়া যাবে।
    ** অনেক ভাই যারা এতদিনেও দোটানায় ভুগতেন তাদের অনেকের চোখ খুলে গেছে আলহামদুলিল্লাহ্*।
    ------এছারাও এমন আরও অনেক প্রাপ্তি যা সময় আসলেই আমরা চাক্ষুষ করব ইনশাল্লাহ।
    আল্লাহ্* সুবহানু তাআলা আমাদেরকে তার দ্বীনের জন্য কবুল করুন এবং অগ্রগামীদের কাতারে শামিল হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

  • #2
    jazakallah vai...
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

    Comment


    • #3
      আর এখন চলছে ফিতনা নির্মূলের প্রায় ফাইনাল স্টেজ। ইনশাল্লাহ এরপরই মুরতাদরা আসলি জঙ্গীবাদের চেহারা দেখতে পারবে।
      মনের কথাটা বললেন ভাই. জাযাকাল্লাহ....
      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

      Comment


      • #4
        চাপাতি প্রস্তুত আছে ইনশাআল্লাহ ... ।

        Comment


        • #5
          যাঝাকাল্লাহ্।।। আখী।।
          ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
          কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
          যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
          নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


          ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ

            Comment

            Working...
            X