Announcement

Collapse
No announcement yet.

গনতন্ত্র নিয়ে একটি প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গনতন্ত্র নিয়ে একটি প্রশ্ন

    প্রিয় ভায়েরা,আমার নিজের অজ্ঞতা,অন্য ভাইদের প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারার জন্য "গনতন্ত্র" বিষয়ে ফতুয়াটি জানতে চাচ্ছি।

    যখন আমি অন্য ভাইদের বলি,গনতন্ত্রকে ইসলাম সমর্থন করেনা,গনতন্ত্রের ধারক-বাহকরা হল তাগুত,গনতন্ত্র হল একটি ধর্ম ইত্যাদি কথা বলতে বলতে যখন বলি যারা কাফেরদেরকে বন্দু রুপে গ্রহন করে তারা কাফেরদের অন্তরভুক্ত ইত্যাদি।

    তখন কিছু ভাই বলে।

    মুফতি আমিনী,দেলোয়ার হোসেন সাইদী,চরমোনাই পীর ইত্যাদি গনতন্ত্রে ধারক-বাহকরাও কি তাগুত? নাকি ইসলাম যে গনতন্ত্রকে সমর্থন করেনা সে বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নাই,নাকি তাদের ইমান দূর্বল? আর যদি তারা যেনে-বুঝে গনতন্ত্রের ধারক-বাহক হয়ে থাকে তাহলে তারা হল তাগুত।তারা যদি তাগুতই হবে কওমীওয়ালারা তাদেরকে সমর্থন করে কেন? তাহলে কওমীওয়ালারা তাগুত আলেমদের অনুসরন করার কারনে কওমীওয়ালারাও তাদের(তাগুত আলেম) অন্তর্ভুক্ত? শুধু মাত্র তোমরা জঙ্গিরাই মুসলমান।
    আবার জঙ্গিরাও তো কওমী তাগুত আলেমদের সমর্থন করে,তাহলে জঙ্গিরাও তাগুত(নাউযুবিল্লাহ)
    গুছিয়ে বলতে পারি নাই।তবে আশা করি ভাইরা প্রশ্নটি বুঝতে পেরেছেন।
    Last edited by আল জিহাদ; 05-02-2017, 09:58 AM.
    আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

  • #2
    আপনি মাওলানা আসেম উমার লিখিত " ইসলাম ও গণতন্ত্র ; দু'টি জীবন ব্যবস্থার যুদ্ধ " বইটি পড়ে পরবর্তী কমেন্ট করুন ।

    Comment


    • #3
      সম্মানিত ভাই, আপনি মনযোগ দিয়ে নিচের লেখাটি পড়ে ফেলুন। আর অবশ্যই মুহতারাম Umar Faruq ভাইয়ের সাজেস্ট করা বইটি পড়ুন, বইটির ডাউনলোড লিংক- https://www.sendspace.com/file/mgjsv4
      তথ্যসূত্র- https://kaizenseries.wordpress.com

      গণতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত সকল গ্রুপই কি কাফির??

      (আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয় আমরা নাকি ঢালাওভাবে সবাইকে তাকফির করি এমনকি আলেম উলামারা এবং দ্বীন কায়েমের চেষ্টায় নিয়োজিত কর্মীরাও নাকি আমাদের তাকফির থেকে রেহাই পান না। মূলত এ জাতীয় সংশয় নিরসনের জন্যই আজকের আর্টিকেল!)
      গণতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপগুলো মোটামোটিভাবে ৪ ভাগে বিভক্ত-
      (১) গণতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রই যাদের টার্গেটঃ

      প্রচলিত রাজনৈতিক দল যারা সত্যিসত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা এর অন্তর্ভূক্ত। এরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও শরীআ কায়েম করে না কিংবা করবে না, বরং শরীআর পক্ষে যারা কথা বলে তাদেরকে তারা নানাভাবে অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেফতার, গুম ও খুন করে থাকে। তারা তাদের মনগড়া সংবিধানকে চরম চূড়ান্ত আইন বলে ঘোষণা করে, এবং এই সংবিধানকে কুরআন সুন্নাহর চেয়ে পবিত্র, যুগোপযোগী ও কল্যাণকর মনে করে। তারা কুরআন-সুন্নাহ, নবী-রাসূল (সঃ) কে উপহাস করে ও উপহাসকারীদের প্রশ্রয় দেয় । এ জাতীয় গ্রুপকে আমরা ডেফিনিটলি কাফির মনে করি।

      এখানে লক্ষণীয় হল যে এই জাতীয় দলের Peripheral level এর প্রত্যেক সাপোর্টার বা কর্মী বা পাতিনেতাকে আমরা তাকফির করি না। কারন-

      ক) এদের অধিকাংশই না বুঝে শুনে তাদের নেতৃবৃন্দের পিছনে দৌড়ায়।

      খ) সাধারণ মানুষদের তাকফির করে খুব বেশি লাভ নেই।

      তাহলে কাদের উপর এই তাকফির প্রজোয্যঃ

      ক) এই সমস্ত দলের সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ,
      খ) দলের নীতি নির্ধারকগণ,
      গ) এই সমস্ত দলের চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীগণ যারা এইসব মতবাদের প্রচার প্রসারের জন্য তাদের চিন্তা বা লেখনীকে ব্যয় করে,
      ঘ) যারা এই বিশ্বাসে পার্লামেন্টের মেম্বারশীপ গ্রহণ করে যে তাদের আইন প্রণয়ণে অংশ নেবার অধিকার আছে,
      ঙ) গণতন্ত্র Vs ইসলাম যুদ্ধ যখন সত্যিই শুরু হবে তখনও যারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিবে।
      চ) এই সব দলের সেইসব কর্মী ও সাপোর্টার, যারা সত্যিসত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ( অর্থাৎ যারা মনে করে কুরআন সুন্নাহ নয় বরং পার্লামেন্টারী সংখ্যাগরিষ্ঠতাই আইনের উৎস, এরা আরও মনে করে কুরআন সুন্নাহর আইন মধ্যযুগীয়, এগুলো আধুনিক যুগে অচল)
      (২) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখে-

      অর্থাৎ ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলাম কায়েম প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য হল-

      ক) কুফরি সিস্টেমের ভিতরে ইসলামকে ইনফিলট্রেশনের চেষ্টা করা যেটা নাজায়েয ও হারাম। আরো স্পষ্টভাবে বললে আমরা এই অবস্থায় কোন ব্যক্তির জন্য পার্লামেন্টের মেম্বারশীপ নেওয়াকে জায়েয মনে করি না।

      খ) ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দিয়ে যদি এটাকে কিঞ্চিত জায়েয করারও চেষ্টা করা হয় তবুও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কস্মিনকালেও ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। কুফরকে কিছুটা Dilute করা যাবে মাত্র।

      তবে হ্যাঁ তাদের মানহাযকে ভুল বলার মানে এটা নয় যে আমরা তাদেরকে কাফির মনে করি। কেননা তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না কিংবা গণতন্ত্র তাদের লক্ষ্যও নয় (তারা বলে আমরা ক্ষমতায় গেলে শরীয়া কায়েম করবো) বরং তারা আসলে গণতন্ত্রকে একটা Tools হিসেবে ইউজ করে বা করতে চায়।

      এই সমস্ত দলের যেসব লোক পার্লামেন্টের মেম্বারশীপ গ্রহণ করেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হল তারা কুফরিতে জড়িত, কিন্তু কাফির নয়। আসলে উসূল ফিকাহর মূলনীতিতে এ দুটি বিষয় আলাদা “যে ব্যক্তি কাফির এবং যে কোন কুফরি কাজ করছে।”

      কেননা উসুলুত তাকফিরে এটা প্রতিষ্ঠিত যে কুফরে লিপ্ত কোন ব্যক্তির কাফির না হওয়ার অজুহাত হিসেবে তাওয়িল (কুরআন সুন্নাহর Honest Misunderstanding) যথেষ্ট। আমরা মনে করি এইসব লোকেরা বিভিন্ন ধরনের শরীআর ভুল বুঝের কারনে এটা করছে। তাই তাদেরকেও আমরা তাকফির করি না।
      (৩) সাধারণ ভোটারঃ

      ক) যে সমস্ত ভোটার সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে (সংখ্যাগরিষ্ঠতার রায়ই আইন) এরা প্রকৃত কাফির।

      খ) যারা বিভিন্ন ধরনের ভুল বোঝাবোঝির স্বীকার হয়ে ভোটদান করছে তাদের ক্ষেত্রে পূর্বের ন্যায় তাওয়ীলের অজুহাত প্রযোজ্য। এবং তারা প্রকৃত কাফির নয়।

      [তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়া জায়েয নয়- এ বিষয়টা আমরা জনগণের কাছে স্পষ্ট করে প্রচার করি।]
      (৪) বিভিন্ন পেশাজীবি গ্রুপঃ

      এরা তিনভাগে বিভক্ত-
      ক) কুফরি আদালতের বিচারকগণঃ

      এরা হচ্ছে কুফরের বাস্তবায়নকারী। এরা মূলত একটা কুফর গোষ্ঠী। তবে এদের প্রত্যেকে (Each & Everybody) প্রকৃত কাফির নন। তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে কোন ব্যক্তির বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচারক পদে যোগ দেওয়া উচিত হবে না।

      আইনজীবীদের বিষয়টি সরাসরি কুফরি নয়, অবস্থাভেদে তা হারাম। তবে আইন শিক্ষা জায়েয যেমনিভাবে নাস্তিকদের কিতাব অধ্যয়নও জায়েয।
      খ) যারা কুফরকে টিকিয়ে রাখার জন্য অস্ত্র ধরেঃ

      যেমন আর্মি, পুলিশ, বিডিআর, র্যাব, এরাও একটা কাফির গোষ্ঠী তবে এদের Each & Everybody কাফির নন। এই কাফির গোষ্ঠীর মাঝে কিছু মুসলিমও Sandwich হয়ে আছেন। আলটিমেট যুদ্ধের সময় প্রকৃত কাফির এবং Sandwich হয়ে থাকা মুসলিম পৃথক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
      গ) অন্যান্য পেশাজীবী গ্রুপ যাদের সাথে কুফরের সরাসরি সম্পর্ক নেই

      যেমন শিক্ষক, ইন্জিনিয়ার, সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। এদের মূল Effort কুফরের সাথে সম্পর্কিত নয় বরং Public Interest বা Public Service এর কাজে নিয়োজিত। কাজেই এটা কুফরিও নয়, হারামও নয়। কোন ব্যক্তি কাফিরের আন্ডারে চাকুরী করলে বা কাফিরের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিলে সেও কাফির হয়ে যায় না। পূর্বে যাদেরকে তাকফির করা হয়েছে (MP বা বিচারক) তাদের এই অজুহাতে করা হয় নি যে তারা কাফিরদের কাছ থেকে বেতন নিচ্ছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এইসব তাগুতরা নিজেদের টাকা তাদের দিচ্ছে না বরং জনগণের Tax এর টাকাই তাদেরকে দিচ্ছে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি এই শর্তে কাফিরের আন্ডারে চাকুরী করে যে সে তার কুফরি বাস্তবায়ন করবে অথবা তার কুফরির জন্য যুদ্ধ করবে সে অবশ্যই কাফির।

      এ ধরনের সবকিছু বিবেচনা করে এটা বলা যায় যে Self Employment অধিক পছন্দনীয় কিংবা যার সুযোগ আছে দারুল ইসলাম অথবা জনশূন্য অঞ্চলে হিজরত করার।

      [পেশাজীবী গ্রুপের ক্ষেত্রে ইসলামের হুকুম বুঝার Golden Rule হল যে প্রতিষ্ঠানের মূল (Basic) কাজ কুফরি সে প্রতিষ্ঠানে কাজ করাও কুফরি (যেমন Parliament), যে প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ হারাম সেখানে কাজ করাও হারাম ( যেমন মাদক দ্রব্য উৎপাদন কেন্দ্র), আর যে প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ জায়েয সেখানে কাজ করাটাও জায়েয।]
      সরকারী বেতনভুক্ত আলেমঃ

      পূর্বের বিষয়গুলোর মত এখানেও কোন আলেমকে কাফির বলা হবে না। তবে তার কথা ভিন্ন যে সরাসরি সরকারের কুফরি মতবাদকে সমর্থন করে বা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাগুতদের সাহায্য করে।
      বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

      ১. এখানে অনেক ক্ষেত্রেই দলগতভাবে তাকফির করা হয়েছে। এটাকে শরীআতের পরিভাষায় ‘তাকফির তায়েফাতুল কুফর’ বলা হয়। এতে কোন একটা গ্রুপকে তাকফির করা হয় যদিও ঐ গ্রুপের Each & Everybody Individualy কাফির নন। এটা করা হয় সামগ্রিকভাবে ঐ দলের শক্তি বা প্রচেষ্টা কোন দিকে ব্যয় হচ্ছে এটা দেখে। একটা সহজ উদাহরণ দেওয়া যায়। যদি বলা হয় America একটি কুফরি শক্তি বা কাফের রাষ্ট্র একথার অর্থ এই নয় যে Americaর সবাই কাফের কেননা আমরা সবাই জানি সেখানে অনেক সাধারণ মুসলিম, দাঈ ও স্কলারগণ আছেন।

      ২। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের শাসকবর্গ নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ভুগছেন। তাই শীগ্রই আমি “বর্তমান মুসলিম বিশ্বের শাসকবর্গ কি কাফির নাকি ফাসিক নাকি যালিম অন্যকথায় তারা কি ছোট কাফির নাকি বড় কাফির??” এই শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখবো ইনশাআল্লাহ।

      ৩। একটা ব্যপক বিস্তৃত বিষয়কে এখানে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ভুল বোঝাবুঝির আশংকা আছে। সেক্ষেত্রে গভীর অধ্যয়নের কোন বিকল্প নাই। আপাতত আগ্রহী ভাইদের শাইখ আবু হামযা আল মিশরীর এই বই দুটো পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো-

      * পৃথিবীর বুকে আল্লাহর শাসন

      http://www.pdf-archive.com/2014/02/2...allahr-shason/

      * তাফফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন

      http://www.pdf-archive.com/2014/03/2...e-sotorko-hon/
      বিন কাসিমের রণ বেশে
      কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
      দিকে দিকে লাগাও নারাহ
      জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

      Comment


      • #4
        যাঝাকাল্লাহ,ভাই অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।তবে স্পষ্ট করে বুঝতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ, বই গুলো পড়ব,এবং এই বিষয় নিয়ে আরো পোষ্ট চাই।অপেক্ষায় থাকলাম।
        আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ।

          Comment


          • #6
            সার সংক্ষেপে বললে এটাই বলতে হয় যে, কোন নির্দিষ্ট নাম নেওয়ার প্রয়োজন না হলে তার নাম নিয়ে না বলা। গণতন্ত্র যদি বিশ্বাস করা হয় তাহলে সেটা হবে কুফরী। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় তারা তারা যদিও গণতন্ত্রের কথা বলে আসলে সেটা গণতন্ত্রের গোলাম নয়। গণতন্ত্রকে ভাঙ্গার জ্যণ গণতন্ত্র করে। ইসলামের আইন বাস্তবায়নের জন্য যদি গাণতন্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তাহলে তারা গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাগাত করার জন্যই গণতন্ত্র করছে। কিন্তু তাদের এই ধারণা করা যে, গােণতন্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা। ফলে তারা ভ্রান্তিরপথেই পা বাড়িয়েছে। কিন্তু যেহেতু গণতন্ত্রই তোদরেউদ্দেশ্য নয়। তাই তাদেরকে কাফের বলা যাবে না।

            Comment


            • #7

              abu_mujahid ভাইয়ের বক্তব্যে



              [তবে আইন শিক্ষা জায়েয যেমনিভাবে নাস্তিকদের কিতাব অধ্যয়নও জায়েয।] কথাটা একটু ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

              আইন দুইভাবে শিক্ষা করা যেতে পারে।
              ১. প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার মাধ্যমে।
              ২. ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে।


              প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার মাধ্যমে আইন শিক্ষার উদ্দেশ্য হতে পারে:
              ক. আইনজীবী পদে চাকরি করার জন্য। এ চাকরি হতে পারে:
              ১. প্রচলিত ধারায় একজন আইনজীবী যেভাবে চাকরি করে সেভাবেই চাকরি করা।
              ২. মুসলমান ও মুজাহিদদের সহায়তার জন্য।

              খ. উক্ত আইনের সমালোচনা পর্যালোচনা করে তা খন্ডন করার জন্য।

              প্রচলিত ধারার আইনজীবী পদে চাকরি করা হারাম। কাজেই এই উদ্দেশ্যে আইন নিয়ে পড়াশুনাও নাজায়েয।


              মুসলমান ও মুজাহিদদের সহায়তার জন্য ওকিল হিসেবে চাকরি করার অনুমতিও উলামায়ে কেরাম দেননা। কেননা, এ চাকরি হচ্ছে তাগুতি আইনের অধীনে। আর এতে ‘তাহাকুম ইলাত তাগুত’ হচ্ছে যা কুফর। আর মুসলমান ও মুজাহিদগণ সবর করে থাকবেন যেমনটা সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। যখন চাকরির অনুমোদন হচ্ছে না তখন আইন পড়ারও অনুমোদন হবে না।


              আর যদি খণ্ডন উদ্দেশ্য হয় তাহলে এর জন্য ব্যক্তিগত অধ্যয়নই যথেষ্ট। ৪-৬বছর লাগানোর দরকার পড়ে না। তাছাড়া এই ৪-৬বছরে এসব কুফরী আইন তার মাঝে প্রভাব সৃষ্টি করার প্রবল আশংকা আছে। কাজেই তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার অনুমোদন নেই। এর চেয়ে আরো অনেক জরুরী কাজ রয়েছে সেগুলোতে সময় দেয়া চাই।


              এবার রয়ে গেল ব্যক্তিগত অধ্যয়ন। তো এক্ষেত্রে কথা হল প্রথমে উদ্দেশ্য ঠিক করে নিতে হবে কেন কুফরী আইন পড়বে? যদি উদ্দেশ্য ভালো হয় (যেমন, খণ্ডন…) তবুও তা সকলের জন্য বৈধ নয়। নির্ভরযোগ্য বিশেষ ব্যক্তির জন্য জায়েয, অন্যকারো জন্য নয়। যেমন, নাস্তিকদের কিতাব পড়া। তো এটা সকলের জন্য জায়েয নয়। নির্ভরযোগ্য বিশেষ ব্যক্তিদের জন্যই কেবল বৈধ। কেননা, যে কেউ এদের কিতাব পড়ে উপকারের পরিবর্তে নাস্তিক বা গোমরাহ হয়ে পড়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। আর এ কারণেই বর্তমানে বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ছাড়া বাকিদের জন্য দাওলার প্রচারণা দেখা বা তাদের লেখা পড়া নাজায়েয ফতোয়া দেয়া হয়েছে।


              বিষয়গুলো আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও গবেষণার দাবি রাখে। এখানে শুধু একটু ইশারা দেয়া হল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার তাওফীক দান করুন।

              Last edited by Ahmad Al-hindi; 05-10-2017, 02:24 AM.

              Comment


              • #8
                জাযাকাল্লাহু খাইরান ইয়া শাইখ। প্রথমত লেখাটি আমার নয়। দ্বিতীয়ত আমিও আপনার সাথে একমত। আর আমি যখন এই লাইনটি পড়েছি, তখন এটি মনে করেই পড়েছি যে খন্ডন করার উদ্দেশ্যে নিজে নিজে পড়াশুনা করা । আর এ কাজের জন্য অবশ্য অত বেশি পড়াশুনা দরকার নেই। তাগুতী সংবিধানে এক বার চোখ বুলিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট। আর আল্লাহর বান্দাদের জন্য প্রচলিত আইন শিক্ষা ও এর থেকে সম্পর্কহীনতা ঘোষনা করার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, এই আইন আল্লাহর শত্রুদের হাতে রচিত।
                বিন কাসিমের রণ বেশে
                কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
                দিকে দিকে লাগাও নারাহ
                জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

                Comment


                • #9
                  মুসলমান ও মুজাহিদদের সহায়তার জন্য ওকিল হিসেবে চাকরি করার অনুমতিও উলামায়ে কেরাম দেননা। কেননা, এ চাকরি হচ্ছে তাগুতি আইনের অধীনে। আর এতে ‘তাহাকুম ইলাত তাগুত’ হচ্ছে যা কুফর। আর মুসলমান ও মুজাহিদগণ সবর করে থাকবেন যেমনটা সাহাবায়ে কেরাম করেছেন।
                  এই ব্যাপারটিতে আরো একটু যাচাই-বাছাই দরকার আছে মনে হয়... আল্লাহু আ'লাম।
                  কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                  Comment


                  • #10
                    আবু মুজাহিদ আখী,, এবং আহমাদ আল হিন্দি আখীকে অসংখ শুকরীয়া। আল্লাহ্ আপনাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী দান করুন।। আমীন।।
                    ""একজন মুজাহিদ কাউকে হত্যা করতে
                    কেবল তখনেই অগ্রসর হবেন
                    যখন তাকে হত্যা করার শরয়ী বৈধতা
                    নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হবে""


                    ''শায়েখ আইমান আয্-জাওয়াহিরী হাফিঃ"

                    Comment

                    Working...
                    X