Announcement

Collapse
No announcement yet.

পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি চিন্তাধারা এবং শেষ কিছু কথা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি চিন্তাধারা এবং শেষ কিছু কথা

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
    সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাঃ এর প্রতি তার পরিবার, পরিজন , সাহাবা রাজিঃ এবং যারা হেদায়েতের অনুসরণ করে তাদের প্রতি।

    গত কয়েকদিন আমি আমার ভাইদের বিভিন্ন কমেন্ট পড়েছি কিন্তু সময় করে যে কিছু লিখবো তার সময় হয়ে উঠছিল না।
    তবে এর মাঝে মাথায় অনেক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
    এক এক ভাই এক এক কথা বলছিল। আমি প্রথমে ভাবলাম উত্তর দেই, তারপর উত্তর দিতে গিয়ে দেখি সময় হচ্ছে না, তার পরে ভাবলাম দেখি সবর করে ভাইরা আর কত ধরনের কমেন্ট করতে পারেন।

    আমার মনে হয় যত ভাই কমেন্ট করেছেন তাদের কমেন্ট করা শেষ ইংশা আল্লাহ। আমি এখন সেই সকল কমেন্ট থেকে কিছু কমেন্টের মুল থীমগুলোর উত্তর দিব ইংশা আল্লাহঃ

    ১।এইরকম কঠিন দাওয়াহ মানুষ পরিত্যাগ করবেঃ

    প্রথমে বুঝতে হবে এটা ওপেন ফোরাম হলেও আম পাবলিকের আগমন খুবই কম,বা নেই বললেই চলে। এই ফোরাম যারা ভিজিট করে তারা সবাই মোটামোটি জিহাদি মানহাজের। আর কিছু টিকটিকি থাকে, তাই আমরা যদি ভাবি আমাদের এই কথা বার্তা দেখে কেউ পালিয়ে যাবে তাহলে সে যাক। কারন তার জন্য দ্বীন থেমে থাকবে না। যে ব্যক্তি এই পরিমান দলান্ধ তাকে দিয়ে কোন তানজিম মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে টিকে থাকতে পারবে না।

    ২। বড়দের সমালোচনার মুল নীতিঃ
    জি ভাই বড়দের সমালোচনা করতে হবে আদবের সাথেই। এটায় আমি একমত। আমার ভুল হলে মাফ করবেন।এবং এর পর থেকে আরো সতর্ক থাকবো ইংশা আল্লাহ।

    ৩। তাহলে কি আমরা বড়দের সাথে বেয়াদবি করেছিঃ

    আমার নজরে কেউ তো কোন বড়র সাথে বেয়াদবি করে নি, কেউ তো কারো নাম ধরে উল্টা পাল্টা কিছুই বলে নি। হয়তোবা আমি নিজেই বেয়াদব দেখে নিজের এবং কোন ভাই বেয়াদবি করলে বুঝতে পারতেছি না।

    আরেকটা হল এখানে মূল কথা টাইটেল পথভ্রষ্ট লিখায় না, মূল কথা হল আবু খাবাইব ভাইয়ের সিনিয়র প্রোফাইল+ উনার আরো কিছু লিখা থাকার কারনে কেউই উনার লিখায় ইতিহাস ভিত্তিক দালিলিক উত্তর দেয়ার সাহস পায় নি।

    শেষে আমি যখন একটি মাত্র শব্দ শুধু বাড়ালাম তখন সেই ছুতোয় নিজেদের ভিতরে চেপে রাখা পুরাতন ক্ষোভ কিছু ভাই ঝেড়ে নিলেন।

    যদি দেওবন্দি চিন্তা ধারা সঠিক পথেই থাকতো তবে কি আপনি দেওবন্দি অসার মানহাজ ছেড়ে আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন?

    যদি সালাফিদের এসির নিচে বসে থাকা মানহাজ ঠিক পথে থাকতো তবে কি আপনি আল কায়দার মানহাজ গ্রহন করতেন।

    ঠিক একইভাবে তাবলীগ/ চরমোনাই/ শিবিরদের মানহাজ ঠিক থাকলে তো আপনি আমি আমাদের সেই দলগুলো ছেড়ে এই মানহাজে আসতাম না।

    তাহলে এটা কি মেনে নিতে আমাদের কোন অসুবিধা আছে যে আমরা আগে যে মানহাজে ছিলাম তা সঠিক পথে নাই?? যদি আমরা সেটা মেনেই এই

    পথে আসি তাহলে ছেড়ে আসা পথকে পথভ্রষ্ট বলতে অসুবিধা কোথায়???

    সারা জীবন আম দাওয়াতি কাজ করে যাওয়া তাবলিগি মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
    সারা জীবন আকিদার নাম বিক্রি করে টিকে থাকা সালাফি মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
    আম্রিকার গোলামি করে জামাত / শিবির কি সঠিক পথে আছে?
    ভারতকে দারুল আমান ঘোষণা দিয়ে দেওবন্দ কি সঠিক পথে আছে?
    আছে কি সঠিক পথে সেই আলিমরা, যারা পাকিস্তানের আলিম শহীদ আব্দুর রাশিদ গাযি রাহিঃ এবং জামিয়া হাফসার ছাত্রীদের বলে থাকে পথভ্রষ্ট?? কারা পাকিস্তানের মুজাহিদদের খারেজি বলে তাদের একটু জেনে নিয়েন দয়া করে।
    এইসকল মানহাজ কি সঠিক পথে আছে?
    যদি উত্তর নাই হয়ে থাকে তবে তাদের এই পথকে পথভ্রষ্ট বলতে সমস্যা কোথায় ???!!!
    আমাকে এই কথার উত্তর দেন যেহেতু কিছু ভাইয়ের এই কথাতেই সমস্যা।
    (যদিও মূল সমস্যা অন্য জায়গায়)

    ৪। অনুমতি ছাড়া আবু খুবাইব ভাইয়ের লিখা রিপোষ্ট করাঃ

    ভাই আমি প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে ফোরাম ভিজিট করি। কিন্তু কখনো কোন জায়গায় দেখি নি কারো অনুমতি ছাড়া কোন লিখা রিপোষ্ট করা যাবে না। যাই হোক মডারেটোর ভাই বলার পরে আমি উনার অনুমতি নিয়েছি এবং উনি বলেছেন শিরোনামে পথভ্রষ্ট কথাটা ইউজ না করতে। আরেকজন ভাই নসিহা দিলেন লেখকের অনুমতি ছাড়া কেন আমি উনার লিখার সংযোজন বিয়োজন করেছি।
    হুম... এটা একটা পয়েন্ট । কিন্তু প্রিয় ভাই আমি শুধু একটা শব্দ বাড়িয়েছি তাও আবার শিরোনামে। আর বলেই দিয়েছি লিখাটা আমার না। কিন্তু উনার মূল লিখায় ইংশা আল্লাহ একটি দাড়ি কমাও চেঞ্জ করি নি। আসলে ভাই দিন শেষে কথা এক জায়গায় সেটি হল পুরাতন ক্ষোভ।
    আর যাই হোক যদি মূল কথা হয়ে থাকে সেই একটি শব্দই তাহলে আপনাদের কাছে হাত জোড় করে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। ভুল হয়ে গেছে ভাই সরি। আর জীবনে এমন হবে না...

    ৫। এটা কি দেওবন্দের উপর আক্রমনঃ
    জি না এটা দেওবন্দের উপর আক্রমন না। এটা আক্রমন না, মহান মুজাহিদ নেতা আল্লামা কাশেম নানুতুবি রাহিঃ এর হাতে গড়ে তোলা জিহাদি মারকাজের দেওবন্দের উপর।এটা আক্রমন না সেই মানহাজের উপর যেই সম্মানিত নেতাগনের কথা ছিল এই দেওবন্দের প্রতিষ্টা হয়েছেই ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য। তবে আমরা যেটা ভুল করি বালাকোটকে দেওবন্দের সম্পত্তি মনে করি। বিষয়টা এমন না। দেওবন্দ ছিল বালাকোটের নির্যাস।

    এটা আক্রমন সেই পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি মানহাজের উপর যা ভারতকে দারুল আমান বলে,এটা সেই মানহাজের উপর আক্রমন, যারা কাশ্মিরের মুসলিমদের জন্য একটা শব্দ উচ্চারন করে না, যার অনুসারিরা মাদ্ররাসাতে শুধু এই কারনে একজন মুজাহিদ দায়ী ভাইকে পথভ্রষ্ট ঘোষণা করে কারন উনি প্রশংসা করেছিলেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিঃ এর।

    হাজারো সামরিক কায়দায় সালাম এইরকম পথভ্রষ্ট মানহাজ আছে সেই সবগুলো মানহাজকে (দেওবন্দি,তাবলিগি,সালাফি)

    ৬। কারো পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা কি আমাদের মানহাজের বিপরীতঃ

    কোন অসার মানহাজের পথভ্রষ্টতা তুলে ধরা মানহাজের বিপরীত না। আমরা আল্লামা আলবানি রাহিঃ এর ইরজার আলোচনা করতে পারলে কেন উপমহাদেশের কোন আলিমের ইরজার আলোচনা করতে পারবো না !!
    আমরা যদি সালাফিদের সরকারের দালালির উৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে পারি তবে কেন দেওবন্দের সরকারের দালালির ইতিহাস, উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারবো না!!
    আমরা সবাই জানি আরবে+পশ্চিম আফ্রিকায় সালাফিরা কেমন প্রভাবশালী।সেখানে সালাফি মাজহাবই প্রচলিত। কিন্তু সেখানেও আমাদের মুজাহিদ আলিমগন সালাফিদের অসার যুক্তির রদ করেছেন। শায়খ আবু

    ফিরাস আস সুরি রাহিঃকে যখন জিজ্ঞাস করা হল আলবানি রাহিঃ সম্পর্কে তখন তিনি বলেছিলেন,

    “হক হকের জায়গায়, সম্মান সম্মানের জায়গায়।
    আমরা বেছে নিলাম আল্লাহর দলকেই”
    (এই উক্তি লিখায় কোন শব্দ বাদ গেলে কোন ভাই দয়া করা সংশোধন করে দিয়েন। কারন আমার যতদুর মনে হচ্ছে শায়খ রাহিঃ এমনই বলেছিলেন))

    আপনি কি জানেন শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি রাহিঃ কে?? যাদের জানার সত্যিকারই তলব আছে তারা নেটে সার্চ দিয়ে জেনে নিক।

    জি এটাই আল কায়দার মানহাজ।

    ৭। আমি কি সালাফি বেক গ্রাউন্ডেডঃ একভাই আমাকে সহনশীল হওয়ার নসিহা করলেন এবং আকারে ইঙ্গিতে আমাকে সালাফি ভাব ধারার বানিয়ে দিলেন। আরে ভাই আল্লাহ আপনার চিন্তায় বরকত দান করুন। আলবানি রাহিঃ কি মুরজিয়া না ইরজার মাঝে ছিলেন এই ব্যাপারে যে ডকুমেন্ট আছে তার মাঝে কিছু অংশের অনুবাদ এই অধমেরও করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ডাওনলোড করে পড়ে নিয়েন।

    আর আপনিই কিনা আমাকে এই কথা বলেন? কেন আমরা কারো ব্যাক গ্রাউন্ড না জেনেই ধারনা করে কথা বলি??? ধারনা করা কি সও্য়াবের কাজ?? নাকি আল্লাহর তরফ থেকে পারমিশন দেয়া আছে??

    ৮। তারা ( নব্য দেওবন্দি মানহাজের প্রতিষ্টাতাগন) পরিস্থিতির শিকার ছিলেনঃ


    থামেন ভাই!!!

    আপনি কি বলতেছেন এটা মাথায় আছে তো?? এই কথাতেই তো কয়েক বছর পর তাহলে ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ছাড় পেয়ে যাবে যে সে পরিস্থিতির শিকার ছিল? কারন আওয়ামি লীগ ক্ষমতায় ছিল, ৫মে তে হত্ত্যা করছে, দেশে যে কেউ গুম হয়ে যাচ্ছে তাই সে শাসককে ইসলাহ !! করার জন্য তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে। আর ফরিদ নামক বালাম বাওরার ইল্মি খেদমত কি কম?? সুবহান আল্লাহ তার মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে খেদমত হয়েছে এবং যত ভালো ভালো পুরাতন সকল মূল্যবান ইসলামিক বই অনুবাদ হয়েছে তা আর কারো দারা হয় নি। কিন্তু আপনি আমি কি তার পথ ভ্রষ্টতা তুলে ধরবো না??
    জি না, আপনার এই কথা (পরিস্থিতির শিকার) আমি কখনোই মেনে নিব না যদিও আমাকে জবাই করে দেয়া হয় ইংশা আল্লাহ। আপনি এই কথা তখনই বলতে পারবেন যখন আপনার আমার নিজের মাঝেই দুর্বলতা থাকবে। যে ভাই এই কথা বলেছেন তিনি নিজের ইমানকে ঝালাই করে নিন। নয়তো কঠিন অবস্থায় আপনি ভেংগে পড়বেন। এবং আপনি যে তানজিমেরই হোন না কেন কঠিন অবস্থায় আপনি তানজিমের ক্ষতি করবেন প্লাস নিজেও ঈমান হারা হয়ে যাবেন। ভাই হিসেবে আপনার প্রতি অনুরোধ থাকলো এবং যারাই এই পরিস্থিতির শিকার কথাকে মনে লালন পালন করেন তারাও নিজের ঈমানকে ঝালাই করে নিন।
    আমি যখন এই কথা বলবো তাদের ভুল ফতোয়ার পিছনে যুক্তি আছে তখন এটা বুঝেই নিতে হবে জিহাদি মানহাজ আমার নিজেরই ক্লিয়ার না। আমি যেই হই না কেন। জিহাদের হকিকত আমি নিজেই বুঝি নি। তাহলে আর এই কথা বলতাম না।

    তারা তো সেই সকল বিষয়ে ইজতিহাদ করে নতুন বিধান বানিয়েছেন যে সকল বিষয়ে ১৩/১৪ শত বছর আগেই রায় হয়ে গিয়েছে। কখন একটি দেশ দারুল হারব হয়? এটার রায় কি স্পষ্ট না?? বন্দি মুক্তি করার রায় কি স্পষ্ট না? তবে হ্যা যদি অবস্থা এমন হত দুইটা দেশ দারুল হারব এখন কোনটাতে আমি আগে জিহাদ শুরু করবো তাহলে সমস্যা ছিল না। অথবা এইরকম হত দুইটা কারাগার কাশিমপুর ও ঢাকা সেন্ট্রাল জেলখানা। দুই জায়গায় আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাই বন্দি এখন কাদের আগে মুক্তির ব্যবস্থা করবো তাহলে আলাদা কথা।
    কিন্তু এইখানে তো পুরো বিধানকেই উল্টে দেয়া হচ্ছে। দারুল হারবকে দারুল আমান বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের ওস্তাদরা ভারত দারুল হারব কিনা তাই চিহ্নিত করতে পারে না তাদের শাগরেদরা কিভাবে এই দেশের বর্তমান হালত চিহ্নিত করবে!

    নেক্সট অংশ পরবর্তী কমেন্টে।
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

  • #2
    আরও কিছু কথাঃ

    ১।আমরা না থাকলে কি আনসার আল ইসলাম খারেজি হয়ে যেতঃ

    কয়েক দিন আগে ব্যস্ত থাকার কারনে এইরকম একটি কথার উত্তর দিতে পারি নি। পরে সেই থ্রেড মডারেটর ভাইয়েরা সরিয়ে ফেলেন তাই জানিও না ঐখানে কি লিখা হয়েছিল।
    তবে কিছু কথা আমি বলবোই। মদিনার কিছু লোক এসে এমন ভাব করলো যেন তারা ইসলাম গ্রহন করে আল্লাহকে অনেক বড় ইহসান করছে নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিলেন তারা আল্লাহকে ইহসান করেনি বরং আল্লাহ তাদের প্রতি এহসান করেছেন। আজ যেন তারই প্রতিধ্বনি শুনি। সুবহান আল্লাহ।
    আল্লাহ আনসার আল ইসলামের মাধ্যমেই বাংলার আলিম সমাজ থেকে শুরু করে একদম রুট লেভেল পর্যন্ত সবাইকে গণহারে মুরজিয়া ও খারেজি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন, আর আমরা ভাবতেছি আমাদের ছাড়া আনসার আল ইসলাম খারেজি হয়ে যাবে !!!
    আসলে আল কায়দার সকল শাখা পরিচালিত হয় খোরাসানের পাহাড় থেকে তাই যতদিন শুধু আনসার আল ইসলামই না অন্য সকল শাখা এই পাহাড়ের সাথে জুড়ে থাকবে ততদিন তারা খারেজি/মুরজিয়া হবে না।
    আর উনাদের গৃহপালিত জিহাদি দল হুজি আজ কোথায়??মুফতি আব্দুল্লাহ হান্নান রাহি; এর শাহাদাতের সময় তো তাদের প্রাক্তন কর্মীরা ব্যস্ত ছিল সরকারি সনদ নিয়ে। এছাড়া মুকুল রানা রাহিঃ ভাই এর শহীদ হওয়া থেকে শুরু করে আরো সিনিয়র কমান্ডার ভাই গ্রেফতার হওয়ায় কাদের অবদান আছে যার জানার ইচ্ছা সে যেন যেনে নেয় উপযুক্ত মাধ্যমে।

    তাই কখনোই বলা যাবে না এবং চিন্তাও করা যাবে না যে আমাদেরকে ছাড়া আনসার আল ইসলাম পঙ্গু হয়ে যাবে /খারেজি হয়ে যাবে । যদি এমন চিন্তা থাকে তবে মনে রাখেন আল্লাহ যদি দয়া করে তবে এই আনসার আল ইসলাম টিকে থাকবে ইংশা আল্লাহ, কারন যাদের মাধ্যমে আল্লাহ তার পেয়ারা নবী সাঃ এর সম্মান রক্ষা করেছেন তাদেরকে আমাদের আল্লাহ একা ফেলে যাবেন না। অবশ্যই ইংশা আল্লাহ আনসার আল ইসলামের জন্য আল্লাহ নুসরাহ দিবেন।
    ২।
    প্রিয় ভাই আমরা এইখানে যখন কথা বলি তখন কিন্তু আমাদের মূল টার্গেট থাকে আমাদের সমমনা ভাইয়েরাই। তারা যদি কোন কথা মেনে নিতে না পারে তবে তো কমেন্ট করেই, এটা তো খারাপ কিছু না। আর এটা জরুরিও না যে আপনাকে আমার সকল কথায় একমত হতেই হবে বা আমি আপনার সকল কথা মেনে নিব।

    একসময় এমন কিছু ফ্যানবয় ভাই ছিলেন আনসার আল ইসলামের যারা অন্তর থেকে কখনোই রফুল ইয়াদিন ছেড়ে দেয়া মেনে নিতে পারে নি, তো পরে দেখা গিয়েছে যখনই খারেজিদের আমির আবু বকর আল বাগদাদি তার খিলাফত ঘোষণা করে আর সেই ভিডিওতে নামাজ রত অবস্থায় বুকে হাত বাধে+রফুল ইয়াদিন করে তো সেই ফ্যান ভাইয়েরা ঝড়ের বেগে বাগদাদির অনুসারি হয়ে যায়।
    কারন হল তারা আল কায়দার মূল কমান্ড সালাফি আলিমগনের হাতে থাকায় সন্তুষ্ট থাকলেও তালিবানদের হানাফি মাজহাব মেনে নিতে তাদের একটু চুলকানি ছিল, রফুল ইয়াদিন ছেড়ে দেয়া তাদের জন্য কঠিন ঠেকছিল। তো যখনই বাগদাদি তার কথিত খিলাফা ঘোষণা করলো তখন তারা দেখলো সুবহান আল্লাহ!! এমন আমিরই তো চাই যে রফুল ইয়াদিন করে প্লাস আবার জিহাদও করে। ব্যাস হয়ে গেল তাদের দলিল। তখন তারা শরিয়ার সকল দলিলকে নিজেদের মত করে সাজিয়ে হয়ে গেল বাগদাদির সৈনিক। আল্লাহ ভালো জানেন এইরকম দিন কি আরো দেখতে হবে কিনা!! যে অবস্থা আমাদের...

    ৩।
    আমিও আপনাদের আবেগ বুঝি। এখনো মাদ্রাসায় আছেন/ কেবল মাদ্রাসা থেকে পড়া শেষ করে বের হয়েছেন। পরিবার আত্মীয় স্বজন নিয়ে সুখী জীবন। মঝে মাঝে দাওয়াহ দেয়া,উস্তাদদের সহবতে থাকা, হালাকা করা, এর মাঝেই আছেন। তাই কউমি/ তাবলিগি /সালাফি আবেগ বিদ্যমান।
    কিন্তু আমরা যদি সেই ভাইদের বা সম্মানিত আলিমগনের অবস্থায় থাকতাম যাদের পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, যাদেরকে তাগুতরা খুজছে এবং মাদ্রাসা কমিটি তাগুতদের খুজা খুজিতে হেল্প করছে। তখন আপনি ঠিকই খুজে বের করতে আগ্রহী হতেন কেন আমাদের আলিমরা এই তাগুতদের পদলেহন করে, কেন তারা একজন মুরতাদকে একজন মুসলিম দায়ীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সাহায্য করছে ( এটা করলে কি কেউ মুরতাদ হয় না!!)কেন তারা মুরতাদকে মুমিন মনে করে, কেন তাগুতকে অস্বীকার করে না। আরো খুজে বের করার চেষ্টা করতেন কেন আমাদের নব্য দেওবন্দি মানহাজ পথভ্রষ্ট।
    এই কথাগুলো খুব স্বাভাবিক লাগলেও আল্লাহ না করুন এই অবস্থার সম্মুখীন হোন। আসলে কঠিন অবস্থা হকিকত বুঝতে সাহায্য করে।


    এমন না এই ফোরাম শুধু আমি আপনিই ভিজিট করি বরঞ্চ অনেক বড় বড় মুজাহিদ আলিম শায়খও ভিজিট করেন এটাই আমি আশা করি। কিন্তু তারা তো আর এইভাবে ঝাপিয়ে পড়েন না নব্য দেওবন্দি মানহাজকে পথভ্রষ্ট বলায়। আসলে আমরা যারা নতুন আলিম আলিম ভাব তাদের মাঝেই এই সমস্যা।

    ৪। কেন নব্য দেওবন্দের বিরুদ্ধে আমি, কেন আহলে হাদিসের বিরুদ্ধে নাঃ

    প্রিয় ভাই আপনি যদি এই দেশের মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাত করেন তবে দেখবেন আহলে হাদিসরা মূল জনসংখ্যার ১% হবে না ইংশা আল্লাহ। আর ওদের আলিমদের কথা শুনে এমন মানুষ তো আরো কম। এই ১৪/১৫ কোটির মাঝে মাত্র কয়েক হাজার হবে। যা সাগরের সামনে এক ফোটা পানির মত।
    মুলত এই কারনেই আহলে হাদিসদের মানহাজের অসারতা প্রচার করি না। এটার জন্য তো কউমি আলিমদের কথিত কলম+মাইকের জিহাদ !! চলতেছেই। যার আমির লুতফর ফরাজি, অলিপুরি।
    আসলে ফাকা মাঠে গোল সবাই দেয়...

    তাই নব্য পথভ্রষ্ট দেওবন্দি চিন্তা ধারার অসারতা আমি প্রচার করি (যদি তা দালিলিক হয়)। আমাকে আহলে হাদিস ভাবার কোন কারন নেই। আসলে লুতফর ফরাজি আর অলিপুরি (যিনি আল কায়দাকে ইয়াহুদিদের এজেন্ট মনে করেন) সাহেবদের প্রভাব এখনো আমাদের মাঝে বিদ্যমান। তাই সব সময় এই মানসিকতায় ভুগি যে আমার প্রাক্তন দলের সমালোচনা সেই করে যে আমার প্রাক্তন দলে শত্রু (আহলে হাদিস) । এটা ভুল ধারনা।


    শেষ কথাঃ আমি আমার সম্মানিত সকল ভাইয়ের কাছে মাফ চাচ্ছি যদি আমার কথায় কষ্ট পান। তবে ভাই আমার এই লিখায় আমি যেসকল ভাইদের বিভিন্ন কথার উত্তর দিয়েছি সেই সকল ভাইয়েরা, আল্লাহর জন্য বলছি চোখ বন্ধ করে ঠান্ডা মাথায় বসে, নিরপেক্ষ মন নিয়ে একবার চিন্তা কইরেন এই অধম ভাইয়ের কথা ইংশা আল্লাহ সঠিক পাবেন। তারপরেও যদি ভুল মনে হয় তবে জানিয়েন ইংশা আল্লাহ।

    আর আমাদের সম্মানিত মডারেটর ভাই উমর আব্দুর রহমান হাফিঃ আপনি আমাকে মানা করেছিলেন যাতে এই বিষয়ে আর কোন লিখা না পোস্ট করি। । ওকে ভাই আর করবো না আল্লাহ সহজ করুন । এবং এই বিষয়ে আর যাতে না লিখি সেই ব্যাপারে নিজে নিজে খুবই সচেষ্ট থাকবো ইংশা আল্লাহ।

    শুধু যে সকল ভাই আমার করা রিপোস্টে কমেন্ট করেছিলেন তার উত্তর দিলাম।

    তবে ভাই এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা আমাদের নিজেদের মাঝেই সম্মান ও হক এর ব্যাপারে আরো অনেক ইসলাহ দরকার। ইতিহাস ভিত্তিক জ্ঞান আমাদের দরকার। ইতিহাস ভিত্তিক আলোচনা আমাদের দরকার নয়তো আমাদের মাঝে গোড়ামি থেকেই যাবে।
    “হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই”


    আসসালামু আলাইকুম…
    Last edited by abdullah yafur; 05-08-2017, 03:28 PM.
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

    Comment


    • #3
      ওয়াল্লাহি ভাই সত্য বলেছেন। জাযাকাল্লাহ খাইরান। আমাদের দলান্ধতা থেকে অবশ্যই বের হতে হবে, ইলম যে হকের মানদণ্ড না এটা আমাদের কওমী ভাইয়েরা বোঝে না।

      Comment


      • #4
        জি ভাই (ইয়াফোর) আপনি যথার্তই বলেছেন। আল্লাহ আপনার খেদমতকে
        কবুল করুক! আমীন!!!

        Comment


        • #5
          Originally posted by abdullah yafur View Post
          “হক হকের জায়গায়, সম্মান সম্মানের জায়গায়, আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই”

          তা তো অবশ্যই ইংশাআল্লাহ।

          কাউমী মাদ্রাসা থেকে যে সমস্ত ভাইরা এসেছেন তারা সবাই জানেন সেখানে কি হালত। কত করুণ অবস্থা। তারা জিহাদের বিরোদ্ধে কতটা কঠোর। যার ফলে যে সমস্ত ভাইরা অনেক ধাক্কা খায় তারা তাদের প্রতি একটু কঠোরতাই প্রকাশ করেন। কিন্তু এখানে কিছু প্রশ্ন এসে যায়। ভাইয়েরা ইংশাআল্লাহ এগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

          আমি এক ভাইয়ের কথা বলিঃ তিনি বিশেষত কাউমী মাদ্রাসার ঈমান বিধ্বংসী কাজে অনেক রাগান্বিত ছিলেন এবং উনি অনেক ক্ষেত্রে স্পষ্ট করে অনেক কিছু বলে ফেলতেন। উনার সাথে বেশ কিছু ভাই ছিলেন যারা হালাকা বা সার্বিক সব কাজ ও মৌলিক জিহাদ, হাকিমিয়্যা মোটামোটি সবই বুঝতেন। এবং জিহাদ করার পূর্ন মানষিকতাও ছিল। ঐ ভাই এক দিন এক আলেমের ব্যপারে বলেছিলেন যে, উনার এই কাজটা স্পষ্ট কুফুরী। শুধু এই কথাটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। তারা উনাকে খারেজী ফতোয়া দিয়ে বেশ অনেক ভাই উনার সাথে বারা'আত ঘোষণা করে বসে। তাদের ধারনা উনি হুজুরকে কাফের মনে করেন, আর তারা যেহেতু হুজুরকে কাফের মনে করেন না তাই ভাই তাদেরকেও কাফের মনে করেন, ফলে উনি মুসলিমদেরকে কাফের মনে করার কারণে খারেজী। অথচ উনি তাদেরকে নিয়ে হালাকা করেন ও সার্বিক রিপোর্ট নিচ্ছেন। উনি তাদের সামনে সর্বোচ্চ অনুরোধ করেন যে, আমার কথায় ভুল থাকলে বলে দিন। আমি রুজু' করে নিচ্ছি। কিন্তু তারা নরম হয় নি। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন।

          কিছু প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভাইরা কি উত্তর দিবেন ?

          ১/ বাংলাদেশের বর্তমান হালতে আমরা হাজারো চেষ্টা করলেও যত ভাইকে জিহাদ বুঝাতে পারব, তত ভাইকে ভ্রান্ত আকাবীর ও সালাফীদের ভুল বুঝাতে পারব না। হয়ত ৬০% বাদ যাবে। এখন আমরা সবাইকে জিহাদ বুঝিয়ে ময়দানে নিয়ে আসব নাকি অসারতা বুঝাতে গিয়ে ৬০% কে জিহাদের ময়দান থেকে বাদ দিয়ে দিব ?

          ২/ আপনি যদি বলেন উম্মাহর জন্যে দিফা' করতে হবে তখন তখন অনেক মানুষকে পাবেন। কিন্তু যদি আকীদা সাফের কথা বলেন আহমাদ শফী দাঃবাঃ কুফুরী করেছে, থানবী রাহিঃ আল্লাহর মুরাকাবার সাথে গাধার মুরাকাবাকে মিলিয়ে চরম বেয়াদবী করেছে, মুহাজেরে মাক্কীর মালফুজাতে পাতায় পাতায় কুফুরী ভর্তি, বর্তমানে সময় বিজ্ঞ আলেমরা শুধু কাফের নয় কুফুরীকে সাহায্য করছে তাই বেফাক সহ সবাই কুফুরীতে লিপ্ত তাহলে আমি নিশ্চিত ৭০% ভাইকে হারাবেন যারা জিহাদের ময়দানে আপনার সাথে রক্ত দেয়ার জন্যে প্রস্তুত ছিল। এখন কি আমরা এগুলো করব ?

          ৩/ কাউমীর আলেমরা আমাদের বিরোধীতা করে, শাস্তি দেয় ধরিয়ে দেয়, তাই এখন আমরা তাদেরকে এমন ক্ষতি করতে না পেরে তাদের নাম নিয়ে যারা সমালোচনা শুরু করব ?

          ৪/ কাউমীদের আলেমদের মত আমরাও কি তাদের আকীদাগুলো সামনে এনে বহস শুরু করব ? আবারো বলছি যত ভাইকে জিহাদের কথা বলে ময়দানে আনতে পারবেন তত ভাইকে দেউবান্দ, সালাফী, তাবলীগ ও সূফীদের ভুল আকীদা বুঝাতে পারবেন না। আবার পড়ুন যত জনকে জিহাদ বুঝেতে পারবেন তত জনকে আকীদার ভুল বুঝাতে পারবেন না। এখন কি আমরা আকীদা সাফ করার নামে সে বিশাল সংখ্যক ভাইকে জিহাদের ময়দান থেকে হারাব ?

          ৫/ আমি জানি আল কায়েদার কথা হচ্ছে, এখনের জিহাদ আকিদার জিহাদ নয়, বরং উম্মাহর প্রতিরোধের জিহাদ। বিজয়ের পর দেখা হবে কার আকীদা কি ? এখন আমরাই নির্ধারন করব, আমরা কি উম্মাহর সমস্ত শ্রেনীকে নিয়ে মাঠে নামব নাকি তাবলীগ, সূফী, দেউবান্দী ও সালাফী আকীদার ভুল বুঝাতে গিয়ে শুধু আল-কায়েদার ভাইরা ছেড়া বাকী সবাইকে আমদের বিপরীতে নিয়ে দাড় করাব ?

          ৬/ এখন ব্যপক ভাবে আমাদের বিরোদ্ধ্যে প্রোপাগান্ডা চলছে। তার একমাত্র কারণ উম্মাহ আমাদের ব্যপারে জাহেল। তারা মনে করে আমদের ধর্ম নেই, এখন আমরা কি উম্মাহর কাছে স্বীকৃত শ্রেনীর ভুল ধরতে গিয়ে তাদেরকে আরো প্রোপাগান্ডার সুযোগ করে দিব ?

          ৭/ আল্লাহর নবী ও সাহাবাদের একটা কাহিনী দেখান যেখানে কাফেরদের সামনে তাদের কোন নেতার ভুল খন্ডন করেছেন ?

          আমি অনেক আগেই একবার ইচ্ছা করেছিলাম, মোডারেটর আবু খুবাইব ভাই সহ যে সমস্ত ভাইরা তাদের ব্যপারে প্রকাশে ও ফেবুতে লিখেন তাদেরকে উধ্যেশ্য করে একটা পোস্ট দিব, যে আপনার নামগুলো উহ্য রাখবেন। বরং বলবেন যে দ্বীনদারদের মধ্যে প্রচলিত ভুল। তাতেই সমাধান হয়ে যায়। নাম নেয়ার দরকার আমার কাছে ০% ও নেই।

          এখন কি আমরা সেগুলো ধরব না ? অবশ্যই ধরব। কিন্তু ভাইদের সামনে আপনি শুধু নাম না আরো কিছু বলতে পারেন। মোয়াফেক হলে ফতোয়াও দেন সমস্যা নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে আনলে অনরোধ করব নাম-ঠিকানা উল্ল্যেখ না করলেই উত্তম হবে।

          এই লেখার ভুল আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে আর সঠিকতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা থেকেই।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আল্লাহর বান্দা View Post

            তা তো অবশ্যই ইংশাআল্লাহ।...... ......... এই লেখার ভুল আমার ও শয়তানের পক্ষ থেকে আর সঠিকতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা থেকেই।

            আল্লাহর কসম করে বলছি ভাই আপনার এমন গঠন মূলক আলোচনা খুবই অন্তরে প্রভাব ফেলেছে। ওয়াল্লাহি আবেগি স্মৃতিচারনের চেয়ে এমন গঠনমূলক কমেন্ট অনেক উত্তম।

            জি ভাই আপনার কথাগুলোও যথেষ্ট চিন্তার দাবী রাখে।

            আসলে ভাই কথায় আছে সর্বাঙ্গে ব্যাথা ওষুধ দিব কোথা???

            আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন, এবং সকল দলান্ধতা পরিহার করার তৌফিক দান করুন।
            আমিন ।
            "হক হকের জায়গায়
            সম্মান সম্মানের জায়গায়
            আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

            Comment


            • #7
              পথভ্রষ্টতাকে আরবীতে বলা হয় ضلالة , আর ভুলকে বলা হয় خطأ । থানবী রহ. যে তখনকার ভারতবর্ষকে দারুল আমান বলেছিলেন সে সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন:
              ১. ‘দারুল আমান’ দ্বারা তিনি কি বুঝিয়েছেন? বর্তমান সুবিধাবাদি আলেমরা ‘দারুল আমান’ দ্বারা যা বুঝাাচ্ছে তাই তিনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন নাকি বেশ কম আছে?
              ২. যদি দারুন আমান বলাটা *উনার বেঠিক হযে থাকে তবে সেটা কি ضلالة না خطأ ?
              ৩. তিনি কি দারুল আমানের পক্ষে কোন দলীল দিয়েছিলেন? যদি দিয়ে থাকেন তবে শরীয়তের উসূল অনুযায়ী উক্ত দলীল ভুল ছিল না সঠিক ছিল? যদি ভুল হয় তবে সেটা ضلالة না خطأ ? এর কারণে তিনি সওয়াব পাবেন বলে মনে হয় না গুনাহগার হবেন বলে হয়?

              বিষয়গুলো পরিষ্কার করা ছাড়া থানবী রহ. কে পথভ্রষ্ট বলা কিংবা তার ফতোয়াকে পথভ্রষ্টতা বলা নিতান্তই জুলুম হবে। আমরা আনসারুল ইসলামের সদস্য বা সমর্থক বলে কারো উপর জুলুম করা আমাদে জন্য নিশ্চয়ই বৈধ নয়।

              জওয়াবদাতা ভাইযের কাছে আবদার থাকবে আপনি আমি আপত্তিটা কোথায় করেছি তা বুঝতে চেষ্টা করুন। অনর্থক আমাকে আবেগী, আকাবিরভক্ত, দলান্ধ ...ইত্যাদী কোন টাইটেল লাগাবেন না। আমি বারবার বলেছি যে আমি সমালোচনার বিরোধি নই। এমনকি বছরের শুরু থেকে আমি বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট করে আসছি। বরং বলতে গেলে আমার লেখার বেশিরভাগ সমালোচনামূলকই। তবে সমালোচনা করতে গিযে কারো উপর জুলুম করা বৈধ নয়। আমি এই যেসব কমেন্ট করেছি সেগুলো শরীয়তের তাকিদেই করেছি। অন্ধ আকাবিরভক্তির কারনে নয়। আমরা আকাবির কেন কোন সাহাবিকেও মা’সুম মনে করি না। তবে ভুলকে ভুলের সীমায় রেখে কথা বলা চাই। সেটাকি দালালী, হিন্দুবাদিতা, পথভ্রষ্টতা ... ইত্যাদী টাইটেল না লাগানো চাই। বারবার বলার পরও কেন জানি বিষয়গুলো অনেক ভাই বুঝতে চাচ্ছেন না বুঝতে পারছি না। কারো উপর অনর্থক জুলুম করলে তানজীমের উপর থেকে জুলুম পরিমাণ রহমত উঠে যাবে। এই আশংকা থেকেই এ বিষয়ে বারবার লিখছি। আমার কথায় ভুল থাকলে *শুধরে দিলে নেহায়েত খুশি হবো।

              Comment


              • #8
                প্রিয় ভাইয়েরা, আপনাদের সকলকেই ধন্যবাদ। প্রিয় ভাইয়েরা মানুষদের মমধ্যে কিছু মানুষ এমন আছে, যাদের ভুল ধরে দিলে সে শুধ্রানোর পরিবর্তে বেকে বসে। এবং তার অপকর্মের উপর আরো শক্তভাবে চেপে বসে। এই জন্য এই রকম আলোচনাটুকু বন্ধ রাখলে কেমন হয়??। আনি একবার ফেবুতে দেখিলাম, একজন কালো পতাকার সৈনিকের সাথে একজন চরমুনাইয়ের মুরিদ কিরকম বেয়াদবি পূর্ণ তর্কে লিপ্ত হয়। আমি তখন খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম যে, মানুষকে দ্বীনের সটিক কথা বলা হচ্ছে আর সে তা আস্থাখুরে নিক্ষেপ করছে!!! আমাদের ভাই চরমুনায়ের ভুলগুলিকে দালিলিকভাবে খণ্ডন করছেন আর সে ভাইকে গালি দিচ্ছে!! এই হলো হক্বপন্থীদের হক্ব বোঝার আগ্রহ ও কদর। তবে কারো নাম নিয়ে নয়, ভুল আক্বিদাগুলোকে ফিরক্বাভিত্তিক আলোচন করা যেতে পারে,, যাতে হক্ব অন্বেষী মানুষ হক্ব ফিরে পায়।
                Last edited by bokhtiar; 05-08-2017, 09:04 PM.
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ আবু আহমেদ আল হিন্দি ভাই।

                  ভাই আপনি আমাকে মাফ করবেন আমি তো এই পুরা লিখায় কোথাও থানবী রাহি কে পথভ্রষ্ট বলি নি। আসলে ভাই বুঝতেছি না। আপনাকে মনে হয় আমি বুঝিয়ে বলতে ভুল করছি।
                  আমি তো পথভ্রষ্ট বলেছি সেই মানহাজকে যার শুরু হয়েছে আল্লামা কাশেম নানুতুবী রাহিঃ এর ইন্তেকালের পর থেকে। আমি কোন ব্যক্তি আলিমের নাম এখানে উল্লেখ্য করি নি এবং পুরা লিখাটা লিখার সময় আমি এক মুহূর্তের জন্যও কোন ব্যক্তি আলিমকে (হোক সেটা থানবি রাহিঃ অথবা আলবানি রাহিঃ) টার্গেট করে লিখেছি এটা মনে পরে না।
                  কিন্তু কেন জানি আপনি বারবার থানবি রাহিঃ কেই টেনে আনছেন। যাই হোক ভাই আজকে এই লিখার পিছনে বেশ সময় চলে গেছে। আর সময় খরচ করতে চাচ্ছি না। আল্লাহ সহজ করুন...
                  আল্লাহ আমাদের অন্তরকে হকের উপর এক করে দিন।
                  এবং আমারা যে মাজহাবেরই হই না কেন আমাদের শাহাদাত দান করে দিন। আমিন।
                  "হক হকের জায়গায়
                  সম্মান সম্মানের জায়গায়
                  আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহর বান্দা ভাই!ফেসবুক বা অন্য কোন সাইটে আমরা যে দাওয়াহ দেই
                    সেটা সাধারন দাওয়াহ।সেটা কাউকে মানহাজে অন্তর্ভুক্ত করার দাওয়াহ নয়।
                    এজন্য বাস্তবজীবনে দাওয়াহর সিস্টেম অনুযায়ী দাওয়াহ দিয়েই একজন
                    লোককে মানহাজের অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।আল কায়দার চিন্তাধারার ১ নম্বর
                    চিন্তাধারা হলো কুরআন সুন্নাহকে আকড়ে ধরা।সুতরাং যে ব্যক্তি এটি না করবে
                    বরং অন্ধভাবে কোন ব্যক্তির অনুসরন করবে সে মানহাজের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য নয়।
                    ২:আল কায়েদার চিন্তাধারাসমূহ যদি কোন ব্যক্তি মেনে মানহাজের অন্তর্ভুক্ত হয়
                    যেমন:কুরআন-সুন্নাহ আকড়ে ধরা,গণতন্ত্রের হুকুম,অলা বারা,হাকিমিয়্যাহ,শাসক কাফের হলে তাকে
                    অপসারন ইত্যাদি তাহলে সে আকাবির অন্ধ থাকতে পারেনা।কারন আকাবিরদের অবস্থান
                    এসকল বিষয়ে প্রায় আমাদের বিরুদ্ধে।সেজন্য কারো চিন্তাধারা সাফ না করে মানহাজে ঢুকানোই অসম্ভব।

                    এর পরিণতি:১:যাদের আক্বীদা মানহাজ সাফ নয় তারা মানহাজে ঢুকলে কাজে অলসতা করে।কখনো আপনি তাদের আকাবিরদের ভুল কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী ধরিয়ে দিলেও সে আকাবিরকে প্রাধান্য দেয় কুরআন সুন্নাহর উপর।
                    এ ব্যক্তির মাধ্যমে কিভাবে সম্ভব ওদের মসনদে কম্পন তোলা যারা নিজেদের হাতে তৈরী সংবিধানের কারনে কুরআন
                    সুন্নাহকে ছুড়ে ফেলে।সেও তো আকাবিরদের অন্ধ অনুসরন করে এগুলো ছুড়ে ফেলছে।
                    অবশেষে আপনার থেকে বেশি আকাবির বিরোধিতা প্রকাশ পেলে সে সরে পড়বে।
                    ২:যাদের আক্বীদা সাফ নয় বাস্তবিক অভিঙ্গতায় বলছি বেশি বিপদে পড়লে
                    ছিটকে পড়ে যায়।
                    এজন্যই ভাইয়েরা দাওয়াহর সিস্টেম শিখান যেন এমন অন্ধ লোক ঢুকতে না পারে।

                    *যারা কাজ করেন ভালোভাবে তাদেরকে দেখেছি প্রথমে এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে
                    ঘাটতি থাকলেও কুরআন অনুযায়ী বুঝালে মেনে নেয়।এরা অন্ধ ভক্ত নয়।
                    এদেরকেই দরকার আমাদের মানহাজে।

                    সৈনিক হিসেবে আমাদের এত লোক দরকার নেই।আল্লাহ তার দ্বীনের জন্য লোক অবশ্যই প্রস্তুত করে দিবেন
                    আপনার আমার কাজ সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ শ্রয় দিয়ে নিয়মানুযায়ী চেষ্টা করা
                    কতজন আসবে না আসবে এটা চিন্তার দরকার আমাদের নেই।

                    আল্লাহ বলেন,যারা হেদায়েত স্পষ্ট হওয়ার পরেও রাসুলের বিরোধিতা করে ও মুমিনদের পথ
                    ব্যতীত ভিন্ন পথ অনুসরন করে আমি তাকে ঐ দিকেই ফিরাবো যেদিকে সে গিয়েছে
                    ও তাকে জাহান্নামে পাঠাবো।সুরা হাশর।
                    এমন লোকের জন্য আল্লাহর দ্বীন বিজয় বসে থাকবেনা যার সামনে হেদায়েত
                    স্পষ্ট হওয়ার পরও সে অন্ধানুসরনে পড়ে থাকে।

                    আপনার কথা
                    .....................................
                    ৫/ আমি জানি আল কায়েদার কথা হচ্ছে, এখনের জিহাদ আকিদার জিহাদ নয়, বরং উম্মাহর প্রতিরোধের জিহাদ। বিজয়ের পর দেখা হবে কার আকীদা কি ? এখন আমরাই নির্ধারন করব, আমরা কি উম্মাহর সমস্ত শ্রেনীকে নিয়ে মাঠে নামব নাকি তাবলীগ, সূফী, দেউবান্দী ও সালাফী আকীদার ভুল বুঝাতে গিয়ে শুধু আল-কায়েদার ভাইরা ছেড়া বাকী সবাইকে আমদের বিপরীতে নিয়ে দাড় করাব ?
                    ..........
                    এর উত্তর হলো আমরা যদিও তাদেরকে বিভিন্ন ভ্রান্ততার কারনে পথভ্রষ্ট মনে করি কিন্তু
                    উম্মাহ থেকে খারেজ বা বহির্ভুত মনে করিনা।এদেরকে আমাদের বিপরীতে দাড় করাবোনা আমরা
                    এদেরকে দাওয়াতের নিয়মানুযায়ী দাওয়াহ দিয়ে পারলে মানহাজের অন্তর্ভুক্ত করাবো আর না পারলে
                    সে যতটুকু অগ্রসর হয়েছে ততটুকুর মধ্যে আমাদের কাজের ব্যাপারে তার থেকে যতটুকু সাহ্যায্য নেওয়া
                    যায় নিবো।সম্ভব হলে আস্তে আস্তে মানহাজের নীতিমালাগুলো তার ভিতরে গেথে দেওয়ার চেষ্টা করবো
                    না হলে তাকে শত্রু বানানো বা তার সাথে মন্দভাব দেখিয়ে তাকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে লাভ নেই।
                    আর যারা একেবারেই অন্ধ এদের মধ্যে জিহাদের কারনেই আপনার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তাদের থেকে একেবারে পরহেজ
                    থাকবো।তাদের কাছে এ সমস্ত বিষয়ে কোন কথা বলারই দরকার নাই।জিঙ্গাসা করলে উত্তর দেওয়ার ও দরকার নাই।

                    .........
                    আপনার কথার ৬ নং পয়েন্টের উত্তর:
                    আমরা তাদেরকে আমাদের ব্যাপারে বেশি প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর সুযোগ দিবোনা এটি ঠিক
                    কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে,আমরা তাদেরকে এর সুযোগ না দিলে তারা ছড়াবেনা
                    বরং তারা ছড়াবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের হাকিকত তাদের সামনে স্পষ্ট না হয়।
                    এজন্য আমাদের হাকিকত তাদের সামনে স্পষ্ট করার জন্য কিছু বিষয়।
                    ১:এলাকার মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার,জনকল্যাণমুলক কাজে অংশগ্রহন,সাধারন মানুষকে গুরুত্বদান
                    ইত্যাদি ভালো কাজ করা।এতে ফল এই দাড়াবে যে,আপনি যখন জঙ্গি হিসেবে প্রকাশ পাবেন তখন তারা ভাববে
                    যে,জঙ্গি এত ভালো যাচাই করে গবেষনা করে হক্ব পেয়ে যাবে তাদের একটি অংশ
                    আরেকটি অংশ বিরোধিতা থেকে বেচে থেকে অন্তর থেকে হলেও ভালোবাসবে কিন্তু আরেকটি অংশ তখনও খারাপ
                    বলবে।রাসুলের দাওয়াতের শুরুলঘ্নে ও মানুষ এরুপই হয়ে গিয়েছিল।
                    ২:আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য জনসাধারণের মাঝে কৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া।অডিও,ভিডিও,পিডএফ,বই ইত্যাদির মাধ্যমে
                    ও বিভিন্ন মিডিয়াতে নিজেকে গোপন রেখে।
                    ৩:যারা আমাদের বিরোধী আলেম আছেন এদের ভুলগুলো (যেগুলো মানুষ খারাপ মনে করে স্বাভাবিকতই ঐগুলো আগে)প্রকাশ করে দেওয়া।যেমন:সবাই ভালোবাসে রাসুলের কটুক্তিকারীদের হত্যা করা হোক
                    কিন্তু ওলীপুরী এটাকে হারাম বলেছে গুপ্তভাবে করাকে।আপনি যখন মানুষকে এটা জানাবেন তখন তাদের ভক্তি
                    তার উপর থেকে উঠে যাবে।এভাবে নাম ধরে ধরে এদেরকে সাইজ করা
                    যেন তাদের ব্যাপারে মানুষ সতর্ক হয়।তবে এক্ষেত্রে আপনার মনে রাখতে হবে তার থেকে এমন চরম দোষ
                    প্রকাশ পাওয়া সত্ত্বেও কিছুলোক তার পক্ষাবলম্বন করবে এদিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবেনা যতটুকু কাজ হয় ততটুকুই যথেষ্ট।
                    এরপর আপনি তাদের আরোকিছু ভুল তুলে ধরুন ইন...তখন জনগন কম হলেও মেনে নিবে।
                    .................
                    আপনি বলেছেন সাহাবায়ে কেরাম বা নবীজীর একটি ঘটনা দেখাতে যেখানে তারা কাফেরদের অনুসারীদের
                    সামনে তাদের ভুল খন্ডন করেছেন।
                    ................
                    প্রথমত আপনার কথা যদি মেনে নেই তাহলেও কোন সমস্যা নেই।কেননা রাসুলের যমানায় কাফেররা তাদের নেতাদের পুজা করতোনা।পুজা করতো মুর্তির।এ কারনে তিনি মু্র্তির বিরোধিতা করেছেন মুর্তির দোষ বলেছেন ও প্রচার করেছেন
                    এটা ছেড়ে দেননি।
                    আর আজ আকাবিরদের কথাকে আমরা কুরআন সুন্নাহর উপর প্রাধান্য দিয়ে তাদেরকে ও বানিয়েছি মূর্তি
                    এজন্য এদের সামনে এদের আকাবিরদের ভুল বলে দেওয়া কর্তব্য।
                    অতঃপর আপনি ভেবে দেখুন,মূর্তির বিরোধিতা কি তাদের বিরোধিতা নয়?
                    মূর্তির ভুল ধরা কি তাদের ভুল ধরা নয়?অবশ্যই।
                    কারন তারা বলছেন মূর্তি পুজা করতে হবে রাসুল দাওয়াহ দিচ্ছেন করা যাবেনা এটা কি তাদের
                    ভুল প্রচার করা নয়।এখন আপনি বলতে পারেন,তাদের নাম ধরে তো প্রচার করেন নাই
                    এটা আবু জাহেল করেছে, এটা করেছে আবু লাহাব।নাম ধরে করার প্রয়োজন নাই
                    কারন যে ইসলাম গ্রহন করেছে তখন সে একেবারে কুফর ছেড়েই এসেছেন।কিন্তু
                    বর্তমানে আপনার দাওয়াহ কবুল করবে কিছু মানুষ যখন তার সকল সংশয় দূর না করে আপনি দাওয়াহ
                    দিবেন পরে ওলিপুরীর একটা বিরুদ্ধে বললেই সে সরে যাবে যদি অন্ধভক্ত হয়।বলবে এতবড় আলেম
                    ভুল করে নাকি?যদিও সে বলে শাতেমদের গুপ্তহত্যা জায়েয নাই।
                    দ্বিতীয়ত:আপনার একথা মানিনা যে,রাসুলের যুগে এরুপ ঘটনা বিদ্যমান নেই।
                    আপনি সুরা মুমতাহিনার ৪ নং আয়াত পড়ুন এখানে ইবরাহীম আঃ এর ও তার সাথীদের আদর্শ বলা হয়েছে যে,
                    আমরা তোমাদেরকে মানিনা।এখানে মূর্তিপূজকদের সাথে
                    কেন সম্পর্ক ছিন্ন করলেন মূর্তি ভেঙ্গে উপরে কুঠার রেখে দেওয়া কি যথেষ্ট ছিলোনা
                    এটা বুঝানোর জন্য যে,মুর্তিকে ছাড়তে হলে মূর্তিপূজকদেরকে ও ছাড়তে হবে।
                    সুতরাং আমরা এখন অনেক লোক পাই যারা আকাবির বিরোধিতা ছাড়া কুরআনের আলোচনা
                    করলে বুঝে কিন্তু এটা সহকারে করলে একই আলোচনা মানেনা।এজন্য স্পষ্ট করা জরুরী।
                    সুরা মারিয়াম,আম্বিয়া, বাকারায় থাকা ইবরাহীমের ঘটনা পড়ুন তাহলে দেখবেন তিনি তাদের আকাবীরদের ও তাদের ভুল তাদের সামনেই বলেছেন।৩ পারা ২নং পৃষ্ঠায় দেখুন নমরুদকে কিভাবে কাবু করেছেন ইবরাহীম আঃ।
                    ......
                    ঐ ঘটনার কথা স্বরন করুন যাতে উকবা বিন আবি মুয়ীত রাসুলের উপর সেজদারত অবস্থায় উটের নারীভুড়ী চাপিয়ে দিয়েছে তখন ফাতেমা রাযি তাদেরকে গালি দিয়েছেন রাসুল সাঃ ও তাদেরকে বদদোয়া করেছেন সামনাসামনি
                    তাদের কাজটা সঠিক হলে কি তিনি বদদোয়া করতেন?ভাবুন!
                    এরুপ আরো ঘটনা আছে চিন্তা করুন বুঝে আসবে ইন...

                    ........
                    তবে একটি কথা স্মরন রাখা দরকার এ সমালোচানা সরাসরি না করা তাদের
                    এভুলগুলো বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে খন্ডন করা কারন আমরা ফেসবুক ইত্যাদিতে কাউকে দাওয়াহ দেইনা
                    সাধারনভাবে তাওহীদ ও জিহাদের পথে আনার চেষ্টা করি।এজন্য এ সাধারন দাওয়াতে
                    আমাদের সম্পর্কে জনসাধারণেরর ভীতি দূর করা,দরবারীদের ব্যাপারে সতর্ক করা কর্তব্য।
                    যেন জনসমর্থন পাই।কিন্তু সৈনিক বানানোর দাওয়ার সময় ঐভাবেই দাওয়াহ দিতে হবে
                    যা নিয়ম।যেন এমন লোক না আসে যারা ঢেউ যেদিকে আসে সেদিকেই চলে যায়।

                    Comment


                    • #11
                      বিষয়টি আর সামনে না গড়ানোর অনুরোধ রইল ভাইদের কাছে।

                      Comment

                      Working...
                      X