Announcement

Collapse
No announcement yet.

হাসরের ময়দানে ঘটবে ১২টি ভয়ংকর ঘটনা!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হাসরের ময়দানে ঘটবে ১২টি ভয়ংকর ঘটনা!

    হাসরের ময়দানে আল্লাহ পাক মানুষদের অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। হাসরের দিনটি মূলত এখনকার মতো এতো ছোট হবে না। সে দিনের সময় সীমা হবে ৫০ হাজার বছরের সমান। [মুসলিম, মিশকাত হা: ১৭৭৩]।
    তবে ঐ দিন মুমিনের জন্য একটি ফরজ সালাত
    আদায়ের সময়ের ন্যায় মনে হবে।
    [বায়হ্বাকী, মিশকাত হা:৫৫৬৩]।
    হাশরে ময়দানের অবস্থা সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোচনাগুলো নিম্ন সংক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করা হলো-
    ১. সেদিন সকলে একত্রিত হবে। [সূরা আনআম : ২২]
    ২. দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায়।[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫২৯৮]
    ৩. মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেতহবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০২]
    ৪. কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত
    হা: ৫৩০২]
    ৫. কাফেরদেরকে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৩]
    ৬. ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮]
    ৭ .সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮]
    ৮. দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদাহ করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদাহ করেছে তারা সেদিন আল্লাহকে সিজদাহ দিতে পারবে না। [সূরা কালাম : ৪২-৪৩; মিশকাত: ৫৩০৮]
    ৯. মুমিনদের হিসাব হবে মুখোমুখি।
    [মিশকাত: ৫৩১৫]
    ১০. যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে হবে সেধ্বংস হবে। [মিশকাত: ৫৩১৫]
    ১১. ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
    [সূরা ইয়াসীন: ৬৫]
    ১২. হাত, পা, কান, চক্ষু এবং চামড়া মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। [সূরা নূর: ২৪; হা- মীম সাজদাহ: ২০]
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই...
    এইরকম পোস্ট আরো আশা করছি।
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ আখি ...

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ আখি,
        হে আল্রাহ আমাদের তাকওয়া দান করেন| আমীন...

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ

            Comment


            • #7
              প্রিয় আখি, আপনাকে শুকরিয়া। আখি কয়েকটি বিষয়। জানতে ইচ্ছুক, ১/ কিয়াম বলতে তো আমরা মহা প্রলয়কেই বুঝি, ইসরাফিল আ:এর প্রথম শিঙ্গায় ফুতকারের পর। কি কি ঘটবে, ২য় শিঙ্গায় ফুতকারের পরে কি কি ঘটবে। অনেকে কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে হাসরের ময়দানের ঘটনা বর্ণনা করে ফেলে, আবার তার পুরো উল্টু। কিয়ামত -হাসর কি একই বিষয়?? আমরা জানি আল্লাহ সুব. শুধু বাকি থাকবেন একটা সময় এটাকি প্রথম শিঙ্গায় ফুতকারের পরে? নাকী ২য় শিঙ্গায় ফুতকারের পরে, প্লিজ ক্লিয়ার করবেন? প্রথম শিঙ্গায় ফুতকারের পরে যদি সব কিছু ফানা হয়ে যায় তাহলে ২য়বার শিঙ্গায় ফুতকারের জন্য আল্লাহ কি ইসরাফিল আ: ককে সবার আগে জীবিত করবেন??? । কিয়ামতের দিনে কোন মুসলিম থাকবে??? প্রিয় ভাই প্লিজ একটু দলিলভিত্তিক আলোচনা করবেন।
              Last edited by bokhtiar; 05-10-2017, 09:26 AM.
              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                তবে ঐ দিন মুমিনের জন্য একটি ফরজ সালাত আদায়ের সময়ের ন্যায় মনে হবে। [বায়হ্বাকী, মিশকাত হা:৫৫৬৩]।
                আল্লাহুম্মাজআলনা মিনহুম...
                কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                Comment


                • #9
                  *এই পোস্ট টা দেখুন তাহলে আপনাদের তাহলে কিছু তথ্য পাবেন ইনশাল্লাহ
                  দুনিয়ার বয়স যখন শেষ হয়ে যাবে, মানুষের চারিত্রিক পতন ঘটবে, কুকর্মে পৃথিবী ভরপুর হয়ে যাবে, আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার মত কোন লোক বাকী থাকবেনা তখন কোন এক জুমআর দিন ইসরাফীল ফেরেশতার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার সাথে সাথে দুনিয়া ফানা হয়ে যাবে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
                  )يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا(
                  “সেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। অতঃপর তোমরা দলে দলে উপস্থিত হবে’’। (সূরা নাবাঃ ১৮)
                  আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
                  )فَإِذَا نُقِرَ فِي النَّاقُورِفَذَلِكَ يَوْمَئِذٍ يَوْمٌ عَسِيرٌ(
                  “অতঃপর যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। সেটি হবে অত্যন্ত কঠিন দিন’’। (সূরা মুদ্দাচ্ছিরঃ ৮-৯)
                  আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
                  )وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَصَعِقَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ إِلَّا مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ نُفِخَ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ(
                  “এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। ফলে আকাশ ও যমিনে যারা আছে সকলেই বেহুঁশ হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, সে ব্যতীত। অতঃপর আবার শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। তৎক্ষনাৎ তারা দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে’’। (সূরা যুমারঃ ৬৮)
                  নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
                  كَيْفَ أَنْعَمُ وَصَاحِبُ الْقَرْنِ قَدِ الْتَقَمَ الْقَرْنَ وَاسْتَمَعَ الْإِذْنَ مَتَى يُؤْمَرُ بِالنَّفْخِ فَيَنْفُخُ
                  “আমি কিভাবে শান্তিতে থাকবো? ইসরাফীল ফেরেশতা শিঙ্গা মুখে নিয়ে কান পেতে আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে শিঙ্গায় ফুঁক দিবে’’।[110]
                  শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার সাথে সাথে কিয়ামত হয়ে যাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ
                  تَقُومُ السَّاعَةُ وَالرَّجُلُ يَحْلُبُ اللِّقْحَةَ فَمَا يَصِلُ الْإِنَاءُ إِلَى فِيهِ حَتَّى تَقُومَ وَالرَّجُلَانِ يَتَبَايَعَانِ الثَّوْبَ فَمَا يَتَبَايَعَانِهِ حَتَّى تَقُومَ وَالرَّجُلُ يَلِطُ فِي حَوْضِهِ فَمَا يَصْدُرُ حَتَّى تَقُومَ
                  “এত অল্প সময়ের মধ্যে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে যে, লোকেরা উটনীর দুধ দহন করবে কিন্তু পান করার সময় পাবেনা। দু’জন লোক কাপড় ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য একমত হবে, কিন্তু ক্রেতা মূল্য পরিশোধ করে কাপড়টি হস্তগত করার সুযোগ পাবেনা। লোকেরা পানির হাওজে নেমে তা মেরামত করতে থাকবে, কিন্তু তা থেকে বের হয়ে আসার পূর্বেই কিয়ামত হয়ে যাবে।[111]
                  নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ
                  وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ نَشَرَ الرَّجُلَانِ ثَوْبَهُمَا بَيْنَهُمَا فَلَا يَتَبَايَعَانِهِ وَلَا يَطْوِيَانِهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدِ انْصَرَفَ الرَّجُلُ بِلَبَنِ لِقْحَتِهِ فَلَا يَطْعَمُهُ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَهُوَ يُلِيطُ حَوْضَهُ فَلَا يَسْقِي فِيهِ وَلَتَقُومَنَّ السَّاعَةُ وَقَدْ رَفَعَ أُكْلَتَهُ إِلَى فِيهِ فَلَا يَطْعَمُهَا
                  “কিয়ামত এমন পরিস্থিতি ও এমন অবস্থায় কায়েম হবে যে, দু’জন লোক ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাদের কাপড় একে অপরের সামনে পেশ করবে কিন্তু তারা তা ক্রয়-বিক্রয় বা ছড়ানো কাপড় ভাঁজ করার সময় পাবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি উটনী দোহন করে নিয়ে আসবে কিন্তু তা পান করার সুযোগ পাবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি পশুকে পানি পান করানোর জন্য চাড়ি বসাতে থাকবে কিন্তু তার পশুকে পানি পান করানোর সুযোগ পাবেনা। কিয়ামত এমন পরিস্থিতে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি মুখে খাদ্যের লোকমা উঠাবে কিন্তু তা মুখে দিয়ে খাবার সুযোগ পাবেনা’’।[112]
                  নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেনঃ
                  ثُمَّ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَلَا يَسْمَعُهُ أَحَدٌ إِلَّا أَصْغَى لَهُ وَأَوَّلُ مَنْ يَسْمَعُهُ رَجُلٌ يَلُوطُ حَوْضَهُ فَيَصْعَقُ ثُمَّ لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا صَعِقَ ثُمَّ يُرْسِلُ اللَّهُ أَوْ يُنْزِلُ اللَّهُ قَطْرًا كَأَنَّهُ الطَّلُّ فَتَنْبُتُ مِنْهُ أَجْسَادُ النَّاسِ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ
                  “অতঃপর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া মাত্রই প্রত্যেক ব্যক্তি তা কান পেতে শুনার চেষ্টা করবে। সর্বপ্রথম উটের হাওজ মেরামতরত একজন ব্যক্তি সেই শব্দ শুনতে পেয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে যাবে। অতঃপর সকল মানুষ সেই শব্দ শুনে বেহুঁশ হয়ে যাবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা শিশিরের ন্যায় এক প্রকার হালকা বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। তাতে মানুষের দেহগুলো গজিয়ে উঠবে। পুনরায় শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার সাথে সাথে সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে হাজির হবে’’।[113]
                  সমাপ্ত
                  [১১০] – তিরমিযী, অধ্যায়ঃ সিফাতুল কিয়ামাহ।
                  [১১১] – মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
                  [১১২] – বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
                  [১১৩] – মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
                  (বইঃ কিয়ামতের আলামত থেকে সংগৃহীত)
                  ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকুমুল্লাহ ইখওয়াতি ।

                    Comment

                    Working...
                    X