Announcement

Collapse
No announcement yet.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইফতার

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইফতার


    আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইফতার নিয়ে আলোচনা করবো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে খেজুর অথবা পানি দ্বারা ইফতার করতেন। তারপর তিনি মাগরিবের নামাজ আদায় করে পূর্ণ ইফতার খেতে বসতেন। অধিকাংশ মানুষই ধারণা করে থাকেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পূর্বেই ইফতার করতেন। তাই তারা ভুলবশতঃ নামাজের আগেই পুরো ইফতার করে ফেলে। তারপর সম্ভব হলে মাগরিবের নামাজের প্রতি মনোযোগী হয়। আর তখন ইশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সময় সামান্যই বাকি থাকে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুল দৃষ্টিভঙ্গি।

    “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পূর্বেই ইফতার করে নিতেন” এর অর্থ হচ্ছে, তিনি কিছু খেজুর বা সামান্য পানি পান করে রোজা থেকে বিরত হতেন; তারপর নামাজ আদায় করে ইফতারে বসতেন। এর প্রমাণ হলো ইবনে আতিয়্যাহ রাযি. এর বর্ণনা। তিনি বলেন যে, “আমি ও মাছরুক রাযি. আয়েশা রাযি. এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করলাম, হে উম্মুল মুমিনীন! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুইজন সাহাবী। তারা উভয়েই কল্যাণ সম্পর্কে অনবহিত। একজন আগে আগে ইফতার ও নামাজ আদায় করে নেন। অপরজন দেরি করেন। (তাই তারা জানতে চাইলেন, উত্তম কোনটি?) আয়েশা রাযি. বলেন, দ্রুত করেন কে? আমরা বললাম, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.। তখন আয়েশা রাযি. বললেন, রাসূল এমনি করতেন। আর তাদের মধ্যে অন্যজন ছিলেন আবু মূসা রাযি.।

    তাঁরা হাদীসের ভাব বুঝেতে পেরেছেন বিধায় নামাজের সাথে ইফতারও তাড়াতাড়ি করে নেন। অর্থাৎ তাড়াতাড়ি ইফতার করার মানে হলো, রোজা থেকে বিরত হওয়া। সামান্য পানি বা অন্য কিছুর মাধ্যমে কন্ঠনালী ভিজিয়ে নেয়া। তারপর নামাজ আদায় করা। তাছাড়া পরিপূর্ণ ইফতারের পর নামাজে দাঁড়ালে অবস্থা এমন হয় যে, দীর্ঘ সময় অনাহারের পর অতিরিক্ত ভক্ষণের ফলে নাড়িভুড়িতে ভিন্ন রকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইফতার সম্পর্কে অন্য বর্ণনায় বলা হয় যে, তিনি তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি তা না পেতেন তাহলে স্বাভাবিক খেজুর খেতেন। তাও যদি না পেতেন তাহলে সামান্য পানি পান করতেন।

    উম্মতের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসার কারণে তিনি তাদেরকে খেজুর দ্বারা ইফতারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন। আর বর্তমানে হৃদবিশেষজ্ঞদের মতে খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে মিষ্টান্নতা ছড়ায়। কারণ এর মাঝে প্রকৃতিগতভাবেই শরীর ও হৃদরোগের আরোগ্য রয়েছে। ...মুহাম্মাদ।

    ...al-balagh 1438 |2017| issue 5...

  • #2
    Zajakumullah

    Comment


    • #3
      জাযাকুমুল্লাহ
      আল্লাহ আমাদের মাসনুন তরীকায় ইফতার করার তাওফীক দান করুন, আমীন!
      বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

      Comment


      • #4
        যাজাকুমুল্লাহ খাইরান। আল্লাহ তায়ালা তাউফিক দান করুন।
        মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
        রোম- ৪৭

        Comment

        Working...
        X