বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাদেরকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.217
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্ড্রেস dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
১/ আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা
‘‘কেউ যদি চায় যে তার মূলধন বৃদ্ধি করা হোক এবং বয়স দীর্ঘ করা হোক, তবে তাকে বল সে যেন আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’’
[বুখারী, মুসলিম]
২/ ২টি পবিত্র হারামে (মক্কা ও মাদীনা) সলাত পড়া
‘‘আমার এই মাসজিদে সলাত পড়া অন্য কোথাও ১ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়েও উত্তম, শুধুমাত্র মাসজিদুল হারাম ছাড়া এবং মাসজিদুল হারাম এ সলাত পড়া অন্য কোথাও একশ হাজার বার সলাত পড়ার চেয়ে উত্তম।’’
[আহমাদ, ইবনে মাজাহ]
৩/ জামা’আতে সলাত পড়া
‘‘ জামা’আতে সলাত পড়া একাকী সলাত পড়ার চাইতে ২৭ গুন বেশী মর্যাদার।’’
[বুখারী, মুসলিম]
৪/ ইশা এবং ফজর জামা’আতে পড়া
‘‘যে ব্যক্তি ইশার সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন অর্ধেক রাত ইবাদাত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতে পড়ল সে যেন পুরো রাত ইবাদাত করল।’’
[মুসলিম]
৫/ নফল সলাত বাসায় পড়া
‘‘ফরজ সলাত ছাড়া মানুষের সলাতের মধ্যে সেই সলাত উৎকৃষ্ট, যা সে ঘরে পড়ে।’’
[বুখারী , মুসলিম]
৬/ জুম’আহ র দিনের ইবাদাত গুলো পালন করা
‘‘যে জুমু’আহর দিনে গোসল করে , তারপর প্রথম খুৎবার পূর্বেই উপস্থিত থাকে, পায়ে হেটেঁ আসে, ইমামের কাছে বসে এবং মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনে ও কোন কথা না বলে -- তাহলে প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একবছর সলাত পড়া ও রোজা রাখার সমান সওয়াব পাবে।’’
(আহল-আস-সুনান)
৭/ ইশরাকের সালাত পড়া
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।]
[আত-তিরমিজি]
৮/ ইলমের জন্য মাসজিদে যাওয়া
‘‘যে দুনিয়াবি কোন কারন ছাড়া দ্বীনি ইলম শিখা বা শিখানোর উদ্দেশ্যে মাসজিদে যায়, সে ঐ ব্যক্তির মত যে তার হজ্জ পূর্ণ করেছে।’’
[আত তাবারানী]
৯/ রমজানে ওমরাহ পালন করা
‘‘রমজানে ওমরাহ করা আমার সাথে হজ্জ করার সমান।’’
[বুখারী]
১০/ মসজিদে ফরজ সলাত আদায় করা
‘‘যে ব্যক্তি নিজের গৃহ থেকে পবিত্রতা অর্জন করে (অজু ও প্রয়োজনে গোসলও করে) আল্লাহর গৃহের মধ্য থেকে কোন একটি গৃহের দিকে যায়, আল্লাহর ফরজের মধ্য থেকে কোন একটি ফরজ আদায় করার উদ্দেশ্যে, তার একটি পদক্ষেপে একটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং অন্য পদক্ষেপটি তার একটি মর্যাদা উন্নত করে।’’
[মুসলিম]
১১/ জামা’আতে প্রথম সারিতে দাড়ানোর চেষ্টা করা
‘‘রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম সারির জন্য ৩ বার এবং দ্বিতীয় সারির জন্য ১ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।’’
[আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]
১২/ মাদীনার মাসজিদুল কুবায় সলাত পড়া
‘‘যে ব্যক্তি ঘর থেকে নিজেকে পবিত্র করে, তারপর মাসজিদুল কু’বায় আসে এবং সলাত পড়ে, সে যেন ওমরাহর সওয়াব পেল।’’
[আন নাসাঈ, ইবন মাজাহ]
১৩/ আযানের জবাব দেয়া
‘‘যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তার পুনরাবৃত্তি করে যাও। যখন আযান শেষ হয় তখন (দোয়া )চাও, তোমাকে দেয়া হবে।’’
[আবু দাউদ, আন নাসাঈ]
১৪/ রমজানের এবং শাওয়ালের রোজা রাখা
‘‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলো, তারপর শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখলো সে যেন এক বছর রোজা রাখলো।’’
[মুসলিম]
১৫/ প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা
‘‘প্রত্যেক মাসে ৩টি রোজা রাখা সারা বছর রোজা রাখার সমান।’’
[বুখারী, মুসলিম]
১৬/ রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারি করানো
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় সে তার (রোজাদার) সমান প্রতিদান পায়, কিন্তু এর ফলে রোজাদারের প্রতিদানের মধ্যে কোন কমতি হবে না।’’
[তিরমিজি, ইবন মাজাহ]
১৭/ লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদাত করা
‘‘মর্যাদাপূর্ণ এ রাতটি হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’’।
[ক্বদর, ৯৭:৩]
১৮/ জিহাদ
‘‘একজন ব্যক্তির আল্লাহর পথে জিহাদের সারিতে দাড়ানো, ৬০ বছর ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।’’
[আল-হাকিম]
১৯/ রিবাত ( মুসলিম দেশের সীমান্ত পাহাড়া দেয়া )
‘‘একদিন ও একরাত স্বদেশের (মুসলিম দেশের সীমান্ত, যেখানে শত্রুর হামলার আশংকা আছে) সীমান্ত পাহারা দেয়া এক মাস ধরে রোজা রাখা ও রাতে ইবাদাত করার চাইতে বেশী মূল্যবান। এ অবস্থায় যদি সে মারা যায় তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মারা যাবার পরও তা তার জন্য জারী থাকবে। তার রিযকও জারী থাকবে এবং কবরের পরীক্ষা থেকেও সে থাকবে সুরক্ষিত।
[মুসলিম]
২০/ যুলহিজ্জা এর প্রথম ১০ দিন বেশী বেশী ইবাদাত করা
‘‘এমন কোন দিন নেই যেদিনে কৃত আমল এসব দিন অর্থাৎ যুল হিজ্জা এর প্রথম ১০দিনের নেক আমলের মত আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়।’’ সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘ইয়া রসূলুল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমল ও কি নয়?’’ তিনি বললেন: ‘‘না, আল্লাহর পথে জিহাদের মত (নেকী) আমলও নয়। তবে যে ব্যক্তি তাদের জান ও মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনটা নিয়েই আর ফিরে আসল না সে ছাড়া।’’
[বুখারী]
২১/ কুরআনের সূরা গুলো বার বার তিলাওয়াত করা
‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ কুরআনের এক তৃতীয়াংশ এবং ‘ক্বুল ইয়া আইযুহাল কাফিরুন’ কুরআনের চার ভাগের এক ভাগ।’’’
[আত তাবারানী]
২২/ ইসতিগফার করা
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানদার নারী পুরুষের জন্য ইসতিগফার করে, আল¬াহ প্রত্যেকের জন্য ১টি করে নেক আমল লিখে দেন।-রিয়াদুস সালেহিন
২৩/ মানুষের প্রয়োজন পূরণ করাঃ
‘‘ যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেন। যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের কোন অসুবিধা (বিপদ) দূর করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে কিয়ামাতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ বিশেষ দূর করে দিবেন।’’
২৪/ বেশি বেশি যিকির করা।
‘‘সুবহানাল্লাহ , ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। ’’ এই কালিমা গুলো বলা, সূর্য যে সমস্ত জিনিসের ওপর উদিত হয়, সেই সমুদয় জিনিসের অপেক্ষা অধিকতর প্রিয়।’
[মুসলিম]
‘‘যে বাজারে প্রবেশ করে এবং বলে,‘লা-ইলাহা-ইল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইয়ুহঈ-ওয়াইয়ুমীতু ওয়াহুওয়া হায়্যিউন লা-ইয়ামুতু-বিয়াদিহিল খইরু, ওয়া হুওয়া‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বদীর।’
[আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি জীবন দান করেন, তিনি মারেন। তিনি চিরঞ্জীব, মৃত্যু তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনা। সকল প্রকার কল্যাণ তাঁর হাতে। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’]
আল্লাহ তার জন্য ১০ লক্ষ ভাল আমল লিখে দেন, ১০ লক্ষ খারাপ আমল মিটিয়ে দেন, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।’’
[আত-তিরমিজি]
এরকম আরও অনেক যিকির আছে যার সওয়াব অসংখ্য।
২৫/ যে ইবাদাতের সওয়াব হাজ্ব এর বরাবর
‘‘আল্লাহ কি তোমাদের জন্য ইশার সলাত জামা’আতে পড়া হজ্জের সমান এবং ফজরের সলাত জামা’আতে পড়া ওমরাহর সমান করেন নি’’ এবং ‘‘যে ফরজ সলাত জামা’আতে পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তা হজ্জের সমান এবং যে নফল সলাত পড়ার জন্য হেঁটে যায়, তার সওয়াব নফল ওমরাহর সমান।’’
(সহীহ আল জামি: ৬৪৩২)
‘‘যে ব্যক্তি ফজরের সলাত জামা’আতের সাথে পড়ে, তারপর সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত আল¬াহর যিকর করে, তারপর দু’ রাকাআত সলাত পড়ে, সে যেন হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব পূর্ণ করল। [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথাটি ৩বার জোড়ে জোড়ে পুনরাবৃত্তি করলেন।]
[আত-তিরমিজি]
‘‘সাহাবীরা বললেন, ‘‘ ইয়া রসূলুল্লাহ ! ধনীরা তো আখিরাতে বেশী পুরস্কার পাবে, তারা হজ্জ আদায় করে, আমরা পারিনা, তারা জিহাদ করে এবং আমরা পারিনা। রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বললেন, ‘‘আমি কি তোমাদের এ রকম কিছুর কথা বলব না, যদি তোমরা এটি শক্ত করে ধরে রাখ, তাহলে তোমরা তাদের মত সওয়াব অর্জন করতে পারবে। তাহল প্রত্যেক সলাতের পর আল্লাহু আকবার ৩৪ বার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার এবং আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার বলা।’’
‘‘যখন কেউ তার ভাইয়ের জন্য দো’আ করে, তখন ফিরিশতারা বলেন,‘ আমিন, তোমার জন্যও তা।’’
[সাহীহ আল জামি: ২১৪৩]
Comment