Announcement

Collapse
No announcement yet.

হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও।...মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও।...মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান

    হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও।
    ...মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান



    الحمد لله الذى وحده والصلوة والسلام على من لا نبى بعده، اما بعد: فقد قال
    رسول الله صلَّى الله عليه وسلّم: مَنْ صَامَ رَمَضَانَ، إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

    পবিত্র রমজান মাস মুমিন বান্দার জন্যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’র নৈকট্য অর্জন, ক্ষমা ও প্রতিদান লাভের এক উৎকৃষ্ট মৌসুম। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে রাখা হয় আর শৃংখলাবদ্ধ করে রাখা হয় পাপকাজে প্ররোচনা দানকারী শয়তানদের। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ
    ‘‘যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়।” -সহীহ মুসলিম: ১০৭৯
    অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ، وَمَرَدَةُ الجِنِّ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ، وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الجَنَّةِ، فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ، وَيُنَادِي مُنَادٍ: يَا بَاغِيَ الخَيْرِ أَقْبِلْ، وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ، وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ، وَذَلكَ كُلُّ لَيْلَةٍ
    ‘‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, তখন দুষ্ট জ্বিন ও শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে- হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী! থেমে যাও। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।” -সুনানে তিরমিযী: ৬৮২

    রমজান হচ্ছে কল্যাণ লাভে সম্মুখ অগ্রসর হওয়ার মৌসুম; কিন্তু সমস্ত রোজাদার ব্যক্তি কি এ পবিত্র মাসের কল্যাণ লাভ করতে পারে? পারে কি নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করিয়ে নিতে? কেননা অনেক রোজাদার তো এমন রয়েছে, যাদের রোজা কেবল পানাহার ত্যাগ ছাড়া কিছুই নয়! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالعَمَلَ بِهِ، فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ
    ‘‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি; তার পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।” -সহীহ বুখারী: ১৯০৩

    আল্লাহর সীমালঙ্গন আর অবাধ্যতা হচ্ছে কল্যাণ লাভের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। সুতরাং এ পবিত্র মাসে রমজানের ফরজ হুকুম রোজা আদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য নেক আমলে মশগুল থাকা চাই; নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা চাই গুনাহ সংঘটনের যাবতীয় আসবাব আর মন্দ পরিবেশ থেকে। রোজা হচ্ছে ঢাল স্বরূপ; লক্ষ্য রাখতে হবে এ ঢাল যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, কিছুতেই বিদীর্ণ না হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    الصِّيَامُ جُنَّةٌ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَجْهَلْ، وَإِنِ امْرُؤٌ قَاتَلَهُ أَوْ شَاتَمَهُ فَلْيَقُلْ: إِنِّي صَائِمٌ مَرَّتَيْن
    ‘‘সিয়াম (রোজা) ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায় অথবা তাকে গালি দেয়; তবে সে যেন দু’বার বলে, আমি সায়িম (রোজাদার)।” -সহীহ বুখারী: ১৮৯৪

    অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    لَيْسَ الصِّيَامُ مِنَ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ، إِنَّمَا الصِّيَامُ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ، فَإِنْ سَابَّكَ أَحَدٌ أَوْ جَهِلَ عَلَيْكَ فَلْتَقُلْ: إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ
    ‘‘রোজা শুধু পানাহার ত্যাগের নাম নয়; বরং অর্থহীন ও অশ্লীল কাজ থেকেও বেঁচে থাকা জরুরী। অতএব কেউ যদি রোজাদারের সঙ্গে ঝগড়া করতে থাকে কিংবা মূর্খসূলভ আচরণ করতে থাকে তখন সে যেন বলে- আমি রোজাদার, আমি রোজাদার।” -সহীহ ইবনে খুযাইমা: ১৯৯৬
    সুতরাং যারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’র নৈকট্য অর্জন, ক্ষমা ও প্রতিদান লাভের আশায় রোজা রাখবে, তাদের শুধু পানাহার পরিত্যাগ করার মাঝে সংযমী হওয়া যথেষ্ট নয়; বরং সব ধরনের গুনাহের কাজ বর্জন করে রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।
    এ পবিত্র মাসের প্রত্যেকটি নেক আমলই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’র কাছে অধিক প্রিয় এবং ফযীলতময়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মুবারক মাসে যে সব নেক আমল গুরুত্বের সাথে আদায় করতেন, আমাদেরও উচিত ঐ সব নেক আমল গুরুত্ব সহকারে আদায় করা।

    # রমজান- দিনে সিয়াম আর রাতে কিয়াম

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” -সহীহ বুখারী: ৩৮
    অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
    مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে সালাতে দন্ডায়মান থাকবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” -সহীহ বুখারী: ৩৭

    # রমজান- পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস
    আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা ইরশাদ করেন-
    شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ
    ‘‘রমজান মাস, যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে। যা মানুষের জন্যে হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক্ব-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী।” -সূরা বাকারা: ১৮৫
    সুতরাং কুরআন নাযিলের এ মাসে কুরআন তিলাওয়াতে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা উচিত। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘জিবরীল আ. রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন মাজীদ শোনাতেন।” অপর এক হাদীসে আছে, জিবরীল আ. রমজানের প্রতি রাতে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে) আগমন করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন শুনাতেন। সুতরাং আমরা যারা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি, তারা তিলাওয়াতের আমল জারী রাখবো এবং অপর মুমিন ভাইয়ের তিলাওয়াত শ্রবণ করেও সাওয়াব অর্জন করতে পারি। আর যারা কুরআন তিলাওয়াত করতে জানি না; তারা বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত শিখবো এবং কোনো তিলাওয়াতকারীর সান্নিধ্যে বসে কুরআন তিলাওয়াত শোনার আমল করতে পারি। পবিত্র কুরআনই হচ্ছে সকল আইনের উৎস; আমাদের একমাত্র সংবিধান। সুতরাং এ সংবিধানের আলোকেই গোটা বিশ্ব পরিচালিত হবে; মানুষের মনগড়া কোনো মতবাদে নয়। তাই এ সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার জন্যে পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত শিক্ষা লাভের পর এর অর্থ বোঝার অথবা এ সম্পর্কে জ্ঞাত বিজ্ঞ আলেমের কাছ থেকে পবিত্র কুরআনের বিধানাবলী জেনে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

    # রমজান- দান-সদাকায় হস্ত প্রসারিত করার মৌসুম
    সারা বছরের সব সময়েই তো দান-সদাকা করা এক উৎকৃষ্ট আমল; কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে তার গুরুত্ব ও ফজীলত বহু গুণে বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-


    كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ حِينَ يَلْقَاهُ جِبْرِيلُ، وَكَانَ يَلْقَاهُ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ فَيُدَارِسُهُ القُرْآنَ، فَلَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدُ بِالخَيْرِ مِنَ الرِّيحِ المُرْسَلَةِ
    ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা আরো অধিকতর বৃদ্ধি পেত। জিবরীল আ. রমজানের প্রতি রাতে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে) আগমন করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন শুনাতেন। তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ছিলেন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল” -সহীহ বুখারী: ০৬

    এ জন্য আমরা আপন হস্ত প্রসারিত করে এ মাসে বেশি বেশি আল্লাহর রাহে এবং অন্যান্য উপযুক্ত খাতসমূহে দান-সদাকা করতে সচেষ্ট হই। এ পবিত্র মাসে আমরা আমাদের মুমিন রোজাদার ভাইদের ইফতার করাতে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

    مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ، غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْئًا
    ‘‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তার অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোজাদারের প্রতিদান হতে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না।” -সুনানে তিরমিযী: ৮০৭
    এক গ্লাস পানি পান করিয়ে, সামান্য একটি খেজুর রোজাদারের হাতে তুলে দিয়েও আমরা এ প্রতিদান লাভ করতে পারি।

    # রমজান- পাপ মোচন ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ
    হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

    الصَّلَاةُ الْخَمْسُ، وَالْجُمْعَةُ إِلَى الْجُمْعَةِ، كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ، مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ
    ‘‘পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহকে মুছে দেয়া হয়; যদি সে কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।” -সহীহ মুসলিম: ২৩৩
    যে ব্যক্তি রমযান পেয়েও স্বীয় গুনাহসমূহ ক্ষমা করাতে পারল না; তার ওপর জিবরীল আ. অভিসম্পাত করেছেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতে আমীন বলেছেন। তাই নিজ জীবনের কৃত গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা উচিত। বিশেষ করে ইফতার ও তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা এবং দুআ করা উচিত। তিন ব্যক্তির দুআ ফেরত দেওয়া হয় না ; তন্মধ্যে এক প্রকার হলো, রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দুআ।

    # রমজান- লাইলাতুল কদরের মাস

    লাইলাতুল কদর এর রাত এত মর্যাদাশীল ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যে, এক হাজার রাত ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব লাভ করা যায়। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা এ রাত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন-
    لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ‘‘লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।”

    হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

    وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ القَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
    ‘‘আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” -সহীহ বুখারী: ২০১৪
    তাই আমরা লাইলাতুল কদর অন্বেষণে রমজানের রাতগুলিতে ইবাদতে মশগুল থাকবো।

    # রমজানের শেষ দশকের অত্যন্ত ফযীলতময় একটি আমল- ই’তিকাফ
    হাদীস শরীফে এসেছে-

    كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْتَكِفُ العَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ
    ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন।”
    সুতরাং এ মাসে আমরা ই’তিকাফ এর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য অর্জন করতে পারি।

    # নফল ইবাদত
    রমজানের সময়গুলো গাফলতিতে না কাটিয়ে আমরা যথা সম্ভব নফল ইবাদতের মাধ্যমে অধিক সাওয়াব অর্জন করতে পারি। সাহরীর সময় কত সহজেই দু’চার রাকাত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা যায়।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এ পবিত্র রমজানের যথাযথ হক্ব আদায় করে তাঁর ইবাদত করার তাওফীক দান করুন। আর সৌভাগ্য নসীব করুন সে প্রতিদান লাভের; যে ব্যাপারে হাদীস শরীফে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা’র ইরশাদ বর্ণিত হয়েছে-
    كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ، إِلَّا الصِّيَامَ، هُوَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ
    ‘‘আদম সন্তানের প্রত্যেকটি আমল তার জন্যেই; কিন্তু রোজা স্বতন্ত্র। তা আমারই জন্যে, আর আমিই তার প্রতিদান দেবো।” -সহীহ মুসলিম: ১১৫১/১৬১
    আমীন! ইয়া রব্বাল আলামীন!

    ...al-balagh 1438 |2017| issue-5...
    Last edited by AL-BALAGH; 06-07-2017, 09:19 PM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ।

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ,

        Comment

        Working...
        X