Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্যা আর্ট অফ ওয়ার‬: প্রথম অধ্যায় ‬(পরিকল্পনা প্রনয়ন)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্যা আর্ট অফ ওয়ার‬: প্রথম অধ্যায় ‬(পরিকল্পনা প্রনয়ন)

    (মিলিটারি ক্লাসিক দ্য আর্ট অফ ওয়ারের প্রথম অধ্যায়ের আক্ষরিক অনুবাদ এটি। ইংরেজি পড়তে যাঁদের অসুবিধা তাঁদের জন্যে মাতৃভাষায় অতি সংক্ষেপে এ অনুবাদটি। ছাব্বিশ তারিখ, শনিবার মূল আলোচনার আগে এ পর্বটি অনেকটা বিজ্ঞাপনের মত।মূল অনুবাদের সাথে আমার নিজস্ব কিছু ব্যাখ্যাও থাকবে)

    এক.-রাষ্ট্রের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যুদ্ধ।

    দুই- যুদ্ধের সাথে জীবন মরণ, নিরাপত্তা ও সমূলে ধ্বংস হবার মত ব্যাপার জড়িত, তাই একে বিন্দুমাত্র অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই।

    তিন- যুদ্ধ মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা বুঝতে এই পাঁচটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

    চার- এই পাঁচটি বিষয় হচ্ছে: নৈতিকতা, প্রকৃতি, পরিবেশ, নেতৃত্ব ও শৃঙ্খলা।

    পাঁচ- নৈতিকতা হচ্ছে জনগণের সাথে শাসকের একত্ববোধ

    ছয়- এই একত্ববোধ থাকলে জনগণ তাদের শাসকের আদেশ মৃত্যুভয় অগ্রাহ্য করেও অনুসরণ করে।

    সাত- প্রকৃতির মানে হচ্ছে দিন বা রাত, শীতলতা বা উষ্ণতা, সময় এবং ঋতু।

    আট-পরিবেশ বলতে বোঝায় দূরত্ব বা নৈকট্য, খোলা ময়দান বা সরু পথ, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থান।

    নয়- নেতৃত্ব বলতে পাঁচটি গুনকে বোঝায়: প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা, উদারতা, সাহস এবং কঠোরতা।

    দশ- শৃঙ্খলা বলতে সেনাবাহিনীকে সঠিকভাবে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করা, অফিসারদের সঠিকভাবে পদায়ন করা,সরবরাহের রাস্তাগুলো চালু রাখা এবং সেনাসংক্রান্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখাকে বোঝায়।

    এগার- প্রতিটি সেনানায়কের এই পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। যে জানবে, সে জয়ী হবে, যে জানবেনা, তার পরাজয় নিশ্চিত।

    বার- যুদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। সেই সাথে নীচের ব্যাপারগুলোর তুলনামূলক পর্যালোচনা করতে হবে:

    তের:

    1. কোন পক্ষের জনগণ নৈতিকভাবে তাদের শাসকদের সঙ্গে আছে?
    2. কোন পক্ষের সেনানায়ক বেশি যোগ্য?
    3. প্রকৃতি ও পরিবেশ কাদের পক্ষে যায়?
    4. শৃঙ্খলা কাদের মধ্যে বেশি?
    5. কোন সেনাদল অধিকতর শক্তিশালী?
    6. কাদের অফিসার এবং সৈন্যরা প্রশিক্ষণে এগিয়ে?
    7. পুরষ্কার এবং শাস্তি- এ দুটো বিষয় কারা ন্যায়সংগতভাবে পালন করে?

    চোদ্দ- এই সাতটি প্রশ্ন বিবেচনা করে বলে দেয়া যায় কারা জয়ী হবে বা কারা হারবে।

    পনের- যে সেনানায়ক এ কথাগুলো মাথায় রাখবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে, সে যুদ্ধে জয়ী হবে। যে করবেনা, সে হেরে যাবে।

    ষোল- এ বিষয়গুলোর সাথে সাথে যদি প্রাসঙ্গিক কোন তথ্য হাতে আসে, সেগুলোকেও সাবধানে বিবেচনা করতে হবে। অন্ধভাবে কোনকিছু অনুসরণ করা যাবেনা।

    সতের- পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

    আঠারো- সব যুদ্ধই ধোঁকার উপর নির্ভরশীল

    উনিশ- সুতরাং, আক্রমণের সময় দেখাতে হবে আপনি যুদ্ধে অক্ষম, সেনাপ্রয়োগ করার সময় দেখাতে হবে আপনি চুপচাপ বসে আছেন। যখন শত্রুর খুব কাছে আছেন, দেখাবেন আপনি দূরে, যখন দূরে আছেন, দেখাবেন আপনি এই এসেই পড়েছেন।

    বিশ- শত্রুকে লোভ দেখিয়ে কাছে টেনে আনুন,বিশৃঙ্খলার ভান করুন, তারপর তাকে তুলেমূলে ধ্বংস করে দিন।

    একুশ- আপনার শত্রু সব দিক দিয়ে সুরক্ষিত হলে তার জন্যে প্রস্তুত থাকুন। সে আপনার চাইতে শক্তিশালী হলে তাকে এড়িয়ে যান।

    বাইশ-আপনার শত্রু যদি অল্পতেই রেগে যায়, তাকে খোঁচান। ভান করুন আপনি দুর্বল, যাতে সে অহঙ্কারী হয়ে ওঠে।

    তেইশ- সে বিশ্রাম নিলে তাকে ব্যতিব্যস্ত করুন, সে একতাবদ্ধ হলে তাকে বিভক্ত করুন।

    চব্বিশ- তাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় আক্রমণ করুন, এমন জায়গায় হাজির হোন যেখানে সে আপনাকে আশা করেনি।

    পঁচিশ- যুদ্ধের এই বিষয়াদি কোন অবস্থাতেই আগে থেকে ফাঁস করা যাবেনা।

    ছাব্বিশ- জয়ী সেনানায়ক যুদ্ধে যাবার বহু আগেই হাজারটা হিসাব কষে। যুদ্ধে যে হারে, সে হিসেব না কষেই যুদ্ধের ময়দানে হাজির হয়। যে যত বেশি হিসেব কষে, তার জয়লাভের সম্ভাবনা তত বেশি। বিনা হিসাব নিকাশে যুদ্ধে গেলে পরাজয় সুনিশ্চিত!

    ‪#‎অনুবাদকের‬ কথা:

    প্রিয় পাঠক,

    এই অধ্যায়টি বুঝতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে উপরের সূত্রগুলো চিন্তা করুন। পাকিস্তানি সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে কি কি বিষয় আমাদের পক্ষে ছিল? বিপক্ষেই বা ছিল কোনটা? কেন?

    একটু চিন্তা করুন, দেখবেন একাত্তরের যুদ্ধে আমাদের জয়ের স্ট্র*্যাটেজিক কারণগুলো আস্তে আস্তে সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।

    এ তো গেল যুদ্ধের কথা। আপনার জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বী কে? কারা আপনার ধ্বংস চায়? এদের সাথে লড়তে পরিকল্পনা কিভাবে করবেন?

    উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করুন!
    al-aqsa

  • #2
    জাজাকাল্লাহ

    Comment


    • #3
      JAZAKALLAH VAI...
      mul boi er opekkhay roilam...
      "হক হকের জায়গায়
      সম্মান সম্মানের জায়গায়
      আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

      Comment


      • #4
        আমাদের ভূমীতে জিহাদ শুরু হলে জঙ্গিরা দ্রুতই জনগনের মন জয় করে নিবে, ইনশাআল্লাহ। কারণ নৈতিকতার দিকদিয়ে বিশ্বে মোজাহিদরাই এগিয়ে আছে, আলহামদুলিল্লাহ।
        সম্মান নেইকো নাচে গানে,
        আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

        Comment


        • #5
          বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ এদেশের জনগনের জন্য কেন্সারে পরিণত হয়েছে!! এই তাগুত বাহিনী Hero কম্পানির মডেল বা ব্রেন্ড এম্রাসেডর হতেও লজ্জাবোধ করেনি! বরংছ তাদেরকে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যৌনতা প্রচারক Hero কম্পানির প্রজজনায় প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে!!! আর যারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা তো এজাতির নষ্টের মূলেই বসে আছে। বাংলাদেশে ওপেন কন্ডমের বিজ্ঞাপনের ভিডিও করে এই নষ্ট কম্পানি Hero। কতবড় জগন্য বলে হিরো থাকলে রিক্স নাই। তুদের উপরে আল্লাহর গজব।
          সম্মান নেইকো নাচে গানে,
          আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

          Comment


          • #6
            Jazakallah
            al-aqsa

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ্ আখি
              al-aqsa

              Comment

              Working...
              X