Announcement

Collapse
No announcement yet.

আপনি কি নিজের অজান্তেই মুনাফিক্বদের একজনে পরিণত হয়েছেন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    মাশা আল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। তবে সরাসরি কুরআনের আয়াত উল্লেখ ব্যতীত শুধু তরজমা/অনুবাদ লেখা ঠিক না।
    এ বিষয়ে আমাদের সকল ভাইদের সতর্কতা কাম্য। আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #17
      Originally posted by অশ্বারোহী View Post
      আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে নিফাক ও মুনাফিক থেকে রক্ষা করুন এবং ঈমানের প্রকৃত স্বাদ দান করুন।
      আল্লাহুম্মা আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #18
        আল্লাহুম্মা আমিন

        ভাই 'আল্লাহুম্মা আমিন' এই বাক্যটির সম্ভবত দলিল নেই। হাদিসে শুধু আমিনের কথাই পাওয়া যায়। সংশোধন করে নিন।

        Comment


        • #19
          জাজাকাল্লাহ ভাই,

          Comment


          • #20
            ভাইজান,, আপনার পোস্টটির সাথে আজকের সময়কে মিলালে হুবহু মিলে যায়।আজকে হেফাজতের আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক আলিমদের বিনা দোষেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক আলিম আছেন যারা নিজেদেরকে হেফাজত থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে আছেন আত্ন(আত্ম)গোপনে।
            اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

            Comment


            • #21
              সময়ে সময়ে ফিরে এসে পড়ে নেয়ার মতো একটি লেখা।
              আল্লাহ তা'আলা লেখক ও পাঠকদেরকে নিফাক থেকে মুক্ত করে দিন, ঈমানের তাঁবুতে স্থান করে দিন।

              Comment


              • #22
                আল্লাহ তায়ালা ভাইকে উত্তম জাযা দান করেন। আমীন।

                Comment


                • #23
                  ইয়া রব, নিফাক্ব থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমীন।

                  Comment


                  • #24
                    Originally posted by Ansar Al Hind View Post
                    আজকে মুসলিম উম্মাহ যখন সেকুলারদের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধে আক্রান্ত, তোমার জন্য এটা জরুরি যে তুমি নিজের অবস্থান সম্পর্কে যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে নাও যে নিজের অজান্তে তুমি মুনাফিক্বদের একজনে পরিণত হও নি, যাদের ব্যাপারে কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, “ওরা হলো যে সব লোক, যারা ঘরে বসে থেকে নিজেদের ভাইদের সম্বন্ধে বলে, যদি তারা আমাদের কথা শুনত, তবে নিহত হত না। তাদেরকে বলে দিন, তাহলে তোমাদের উপর থেকে মৃত্যুকে ঠেকাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক” (সূরা আল ইমরানঃ ১৮৬)।

                    মনে রাখবেন, নিফাক্ব তার কদর্য রুপ নিয়ে তখনই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে যখন মুসলিমরা কোণঠাসা থাকে এবং শত্রুরা চারিপাশ থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। কাজেই সেই সব মুনাফিক্বদের মত হয়ো না যাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ”… তোমাদের বিরুদ্ধে জড় হয়েছে বহু লোক, অতএব তাদের ভয় করো (এবং ঘরে ফিরে যাও)…”, বরং সেইসব মু’মিনদের মত হও যাদের একথা শুনে “…ঈমান বেড়ে গেল, আর তারা বললোঃ আল্লাহ্ আমাদের জন্য যথেষ্ট ও তিনি অতি উত্তম রক্ষাকারী…” (সূরা আলে-ইমরানঃ১৭৩)

                    বনী ঈসরাঈলের মত দুর্বলচিত্তের মানুষ হয়ো না, যারা ফির’আউন ও তার সেনাবাহিনীকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে বলে উঠেছিল, “…আমরা তো ধরা পড়ে গেলাম”, বরং হযরত মূসা (আঃ) এর মত, যিনি বলেছিলেন, “কখনই না! নিশ্চয়ই আমার প্রভু আমার সাথে আছেন এবং আমাকে পথ দেখাবেন” (আশ-শু’আরাঃ৬২)।

                    আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা’আলা তার বান্দাদেরকে এমনই কিছু সুক্ষ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে চালিত করেন যাতে করে তিনি “পৃথক করতে পারেন অপবিত্র ও না-পাককে, পবিত্র ও পাক থেকে” (আল-আনফালঃ ৩৭)

                    এই পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি জেনে নেন “কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যাবাদী” (সূরা আনকাবূতঃ ৩)

                    মুনাফিক্বরা অন্ধ, তাই তারা দুনিয়াবী শক্তি ও ক্ষমতাকে ওপারে কী আছে (গায়েবী সাহায্য) তা অনুধাবন করতে অসমর্থ, তাই তারা যুদ্ধে নামার আগেই হাল ছেড়ে দেয়। হতে পারে মু’মিনদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র নেই, কিন্তু তাদের আছে বুক ভরা আশা এবং আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা, “…আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগণ অবশেষে পৃথিবীর অধিকারী হবে” (সূরা আম্বিয়াঃ ১০৫)।

                    মু’মিনরা যা বিশ্বাস করে, এবং মুনাফিক্বরা যা বিশ্বাস করে বলে দাবি করে, তার মাঝে আকাশ-পাতাল ফারাক, বস্তুত, উভয়ের বিশ্বাসের বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। মুনাফিক্বরা কখ্নই তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর উপর ভরসা বলতে কী বোঝায় তা বোঝে না, তারা বোঝে না আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া কী জিনিষ। আর এ কারণে তারা এটাও বুঝে না কেন একটি ছেলে তার ঈমানের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে কী করে স্বেছায় মৃত্যুকে বেছে নেয় এবং সকল বিশ্বাসীদেরকে নিয়ে একযোগে আগুনের গর্তে ঝাঁপ দিয়ে শহীদ হয়ে যায়। তারা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয় ইবরাহীম (আঃ) জেনেবুঝে এমন কিছু কেন করে বসবেন যার জন্য তাকে আগুনে ছুঁড়ে ফেলা হয় (এটি হল ঈমান, যার বাস্তবতা তাদের ধরাছোঁয়ার বাহিরে) ইবরাহীম (আঃ) কিংবা মূসা (আঃ) দের হৃদয় এবং মুনাফিক্বদের হৃদয়, দুটো দুই মেরুর বাসিন্দা। আল্লাহ আমাদের অন্তরকে তাদের মত করে দিন এবং নিফাক্ব থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আমীন।
                    আমিন,ইয়া রব্বাল আ-লামীন।

                    Comment

                    Working...
                    X