Announcement

Collapse
No announcement yet.

বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত! - শায়েখ খালেদ বিন উমর বাতরাফি হাফিজাহুল্লাহ [ ভিডিও+পিডিএফ ]

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত! - শায়েখ খালেদ বিন উমর বাতরাফি হাফিজাহুল্লাহ [ ভিডিও+পিডিএফ ]


    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ



    বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত
    - আরাকানে মুসলিমদের উপর নিপীড়নের প্রেক্ষিতে আল-কায়েদা জাজিরাতুল আরবের পক্ষ হতে বার্তা –
    শায়েখ খালেদ বিন উমর বাতরাফি হাফিজাহুল্লাহ



    ভিডিও ডাউনলোড
    https://archive.org/download/Burma_T..._Forgotten.mp4

    পিডিএফ ডাউনলোড
    https://archive.org/download/Burma_T...ottenWound.pdf

    আন নাসর সকল প্রকাশনা
    https://justpaste.it/NasrAll
    https://archive.org/details/@an_nasr


    আর্কাইভে লগ-ইন করতে ভুলবেন না। আইডি না থাকলে নিচের আইডি ব্যাবহার করুনঃ

    ID- downloadd@grr.la
    Password- asdf1234

    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

  • #2
    বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত! - শাইখ খালেদ বিন উমর বাতরাফি হাফিজাহুল্লাহ [টেক্সট]

    বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত!

    শাইখ খালেদ বিন উমর বাতরাফি হাফিজাহুল্লাহ

    আল কায়েদা জাজিরাতুল আরব (aqap)

    আল মালাহিম মিডিয়া

    ১৪৩৮ হিজরি, ২০১৭ ইংরেজি

    الحمد لله رب العالمين، والعاقبة للمتقين ، ولا عدوان إلا على الظالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد ، نبي الرحمة والملحمة، وعلى آله وصحبه ، ناصر المستضعفين، وكاسر شوكة الجبارين
    বিশ্বের সকল ভূমিতে অবস্থানরত আমার মুসলমান ভাইয়েরা!
    নিশ্চই বার্মায় বিশেষত ক্ষতবিক্ষত আরাকানে আমাদের মুসলমান ভাইদের উপর পরিচালিত মর্মান্তিক ট্রাজেডি সম্পর্কে পূর্ব ও পশ্চিমের সবাই অবগত! ওখানের আমাদের মুসলমান ভাইদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এমনকি কাফেররাও! মূর্তির পূজারী ওই হিংসুক বৌদ্ধ গোষ্ঠী, তাঁদের সরকার ও তাঁদের অভিশপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনেক বিবৃতি/বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে, যারা সতীসাধ্বী স্বাধীন মুসলিম নারীদের হত্যা, ঘরবাড়ী থেকে বিতাড়ন করেছে ও অপহরণ করেছে। এবং আমাদের মুসলমান ভাইদের বাড়িঘর ও মসজিদসমূহ ধ্বংস করেছে! এর একমাত্র কারণ হচ্ছে তাঁরা মহান আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান এনেছে!
    তারা তাদের অপরাধী ভিক্ষুদের (বৌদ্ধ ধর্মযাজক) দ্বারা তা স্পষ্ট করেছে! ভিক্ষুরা ইহা স্পষ্টভাবে বলেছে যে, যখন মুসলমানরা বার্মা ছেড়ে চলে যাবে, তখন মুসলমানদের থেকে মুক্ত হয়ে অনেক বছর পর বার্মা এক নতুন ভোরে প্রবেশ করবে, যেমনটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য ভূখণ্ডে। আল্লাহর শত্রুরা জানে না যে, তারা যতই ইসলামের বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করার জন্য মুসলমানদের প্রতি যা কিছুই করবে, নিশ্চই তাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও মালসম্পদ অচিরেই বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা এই দ্বীনের হেফাজত ও বিস্তারের জিম্মাদারি নিয়েছেন। আর এই দ্বীন হচ্ছে এমন দ্বীন, যাকে অচিরেই সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করা হবে, যদিও মুশরিক ও কাফেররা অপসন্দ করে!

    আল্লাহ তাআলা বলেন-
    يُريدونَ أَن يُطفِئوا نورَ اللَّهِ بِأَفواهِهِم وَيَأبَى اللَّهُ إِلّا أَن يُتِمَّ نورَهُ وَلَو كَرِهَ الكافِرونَ - هُوَ الَّذي أَرسَلَ رَسولَهُ بِالهُدى وَدينِ الحَقِّ لِيُظهِرَهُ عَلَى الدّينِ كُلِّهِ وَلَو كَرِهَ المُشرِكونَ
    অর্থঃ তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে।

    তিনিই প্রেরণ করেছেন আপন রসূলকে হেদায়েত ও সত্য দ্বীন সহকারে, যেন এ দ্বীনকে অপরাপর দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (সুরা তাওবা ৯:৩২,৩৩)
    আল্লাহ তাআলা ইহা তার কিতাবে দুইবার বলেছেন, আর (মূলনীতি হল), যখন কোন কালাম বারবার বলা হয়, তখন তা স্থির হয়ে যায়!
    হাদিস শরীফে এসেছে- তামিম দারি রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
    عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْه وآلهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : " لَيَبْلُغَنَّ هَذَا الْأَمْرُ مَا بَلَغَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ، وَلَا يَتْرُكُ اللَّهُ بَيْتَ مَدَرٍ وَلَا وَبَرٍ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ هَذَا الدِّينَ بِعِزِّ عَزِيزٍ، أَوْ بِذُلِّ ذَلِيلٍ، عِزًّا يُعِزُّ اللَّهُ بِهِ الْإِسْلَامَ، وَذُلًّا يُذِلُّ اللَّهُ بِهِ الْكُفْرَ " رواه أحمد وغيره
    অর্থঃ নিশ্চই আল্লাহ তাআলা এই বিষয়টিকে রাত ও দিনের মত সুস্পষ্ট করে দিবেন, আল্লাহ তাআলা কোন মাটি বা পালকের ঘরকে এই দ্বীনকে সম্মানিত লোকের সম্মান দ্বারা অথবা অপদস্ত লোকের অপমান দ্বারা প্রবেশ করানো ব্যতিত ছেড়ে দিবেন না! সম্মান/সম্মানিত লোক দ্বারা আল্লাহ তাআলা ইসলামকে সম্মানিত করবেন আর অপমান/অপমানকারী লোক দ্বারা আল্লাহ তাআলা কুফরকে অপদস্ত করবেন!(মুসনাদে আহমাদ ও অন্যান্য হাদিসের কিতাব)

    সুতরাং অবশ্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রতিশ্রুতি ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সংবাদে মুসলমানদের চক্ষুগুলো শীতল হবে, এবং আল্লাহর শত্রুরা বিতাড়িত/ধ্বংস হবে তারা যতই বলুক ও করুক! তাদের এটাও জেনে রাখা উচিত যে, নিশ্চই বিপদআপদ ও দুঃখ-দুর্দশা দ্বারা এই দ্বীনের বিস্তার ও উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পায়, নিশ্চই দুঃখ-দুর্দশায় লিপ্ত হওয়ার দ্বারা মুসলমানদের স্বীয় দ্বীনের উপর দৃঢ়তা ও অবিচলতা বৃদ্ধি পায়। আর মুমিনগণ তারা ছাড়া বাকিদের উপর একটি হাতের ন্যায়, বিশেষত যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে, তাদের ক্ষেত্রে! নিশ্চই তারা একটি দেহের ন্যায়, যখন তার কোন একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন বাকি সকল অঙ্গ অনিদ্রা ও তাপ ডেকে আনে।

    فعَن ِالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِير- رضي الله عنهما - عن النبيِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّم قالَ : " مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَعَاطُفِهِم ْوَتَرَاحُمِهِمْ، مَثَلُ الْجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَاعَى سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى " متفق عليه
    অর্থঃ নুমান ইবনে বাশির রাঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন- তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনদের দৃষ্টান্ত তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, দয়দ্রতা ও সহমর্মিতার দিক দিয়ে একটি মানব দেহের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন তার সমগ্র দেহ তাপ ও অনিদ্রা ডেকে আনে। (মুত্তাফাক আলাইহি)

    আর তারা হচ্ছে একটি প্রতিরক্ষা প্রাচীরের ন্যায়, যারা একে অপরকে প্রতিরক্ষা করবে,

    قال النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا ". وَشَبَّكَ بين أَصَابِعَهُ. رواه البخاري ومسلم
    অর্থঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চই মুমিন অপর মুমিনের জন্য আবদ্ধ প্রাচীরের ন্যায়, তারা একজন অপরজনকে প্রতিরক্ষা করবে, এবং রাসুল তার আঙ্গুলগুলো একটি অপরটির মাঝে প্রবেশ করালেন (বুখারি ও মুসলিম)

    ওই ইতর বৌদ্ধরা যেন মনে না করে যে, আমরা কুফরের মাথা আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদে লিপ্ত থাকার মাধ্যমে আমাদের ভাইদেরকে লাঞ্চিত করবো অথবা তাঁদের কোন সাহায্য ছাড়াই ছেড়ে দিবো, না! ইহা আমাদের দ্বীনের অংশ নয়, যে দ্বীন আমাদেরকে সর্বাবস্থায় মুমিনদের সাহায্য করার নির্দেশ দেয়!

    ، فقد قال نبينا - عليه الصلاة والسلام - : مَا مِن أحد يخذل مسلما في موطن ينتقص فيه من عرضه وينتهك فيه من حرمته ، إلا خذله الله في موطن يحب فيه نصرته، وَمَا مِنِ امْرِئٍ يَنْصُرُ مُسْلِمًا فِي موطن يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ ، إِلَّا نَصَرَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ فيه نُصْرَتَهُ "
    অর্থঃ আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা থেকে বিমুখ থাকবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে। (আবু দাউদ)
    বার্মায় আমাদের ভাইদের ট্রাজেডি সম্পর্কে আমাদের অনেক মুসলমান ভাই কথা বলেছেন। এবং ওই বৌদ্ধদের মুসলমানদের উপর জবরদখল থেকে তারা যে সহযোগিতা করেছেন! এবং তাঁদের মাল, থাকার জায়গার ব্যবস্থা করণ, শিক্ষা দিক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে সাহায্য ও সহযোগিতা করা ও সমর্থন করেছেন, তারা এতে কৃতজ্ঞ! তারা পূর্ব ও পশ্চিমকে তাঁদেরকে সাহায্য করা ও তাঁদের দুঃখকষ্ট দূর করতে আহ্বান করেছেন।

    তাঁরা জানে না যে, এই কুফফার গোষ্ঠী ও তাদের সংগঠনগুলি যেমন জাতিসংঘ যদিও আমাদের ভাইদের দুঃখদুর্দশা বৃদ্ধি করেনি, কিন্তু তারা কিছুতেই তা কমায়নি, অধিকন্তু তারা উস্কে/উঠিয়ে দিয়েছে! যাই হোক তারা যে সকল চার্টার ও মানবাধিকারের ঘোষণা দেয়, তা হচ্ছে কুফফার গোষ্ঠীর জন্য। সুতরাং যদি বৌদ্ধরা ইহুদী, নাসারা, অথবা অন্য কোন কাফের জাতির উপর জবরদখল করতো, তাহলে আমরা তাদের আন্দোলনসমূহ ও প্রত্যাখ্যানসমূহ দেখতে পেতাম, সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের যুদ্ধ দেখতে পেতাম!
    বার্মা নিয়ে কাজ করা আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা অনেক বছর অতিবাহিত করেছে, তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়টিকে বিভিন্ন মাধ্যমে শক্তিশালী/ পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, তারা “রাব্বানি সমাধান” এর প্রতি দৃষ্টিপাত করেন নি, যা ইজ্জত ও প্রতাপের অধিকারী রব তার কিতাবে দিয়েছেন, তিনি বলেন-
    وَما لَكُم لا تُقاتِلونَ في سَبيلِ اللَّهِ وَالمُستَضعَفينَ مِنَ الرِّجالِ وَالنِّساءِ وَالوِلدانِ الَّذينَ يَقولونَ رَبَّنا أَخرِجنا مِن هذِهِ القَريَةِ الظّالِمِ أَهلُها وَاجعَل لَنا مِن لَدُنكَ وَلِيًّا وَاجعَل لَنا مِن لَدُنكَ نَصيرًا
    অর্থঃ আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। (সুরা নিসা ৪:৭৫)

    যখন-ই কুফফার বনী ইসরাইলের উপর জবর দখল করেছে, তাদেরকে তাঁদের ভূখণ্ড ও সন্তানদের থেকে বের করে দিয়েছে, তারা তখন-ই তাদের শত্রুদের প্রতিহত করার শরঈ পদ্ধতি জেনে নিয়েছে, আর তা হচ্ছে কিতাল/যুদ্ধ, সুতরাং আল্লাহ তাআলা তাদের সংবাদ বর্ণনা করে বলেন-
    أَلَم تَرَ إِلَى المَلَإِ مِن بَني إِسرائيلَ مِن بَعدِ موسى إِذ قالوا لِنَبِيٍّ لَهُمُ ابعَث لَنا مَلِكًا نُقاتِل في سَبيلِ اللَّهِ قالَ هَل عَسَيتُم إِن كُتِبَ عَلَيكُمُ القِتالُ أَلّا تُقاتِلوا قالوا وَما لَنا أَلّا نُقاتِلَ في سَبيلِ اللَّهِ وَقَد أُخرِجنا مِن دِيارِنا وَأَبنائِنا َ

    অর্থঃ মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। (সুরা বাকারা- ২:২৪৬)
    তাঁদের নবী এই মাধ্যমকে প্রত্যাখ্যান করেন নি, যা তারা তাঁদের উপর সীমালঙ্ঘনকারী শত্রুকে প্রতিহত করার জন্য আলোচনা করেছে, বরং পরবর্তীতে আল্লাহ তাআলা আমাদের জানাচ্ছেন যে, তারা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, এবং তাঁদের অল্প সংখ্যা নিয়ে শত্রদের পরাজিত করেছে! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা স্থির করে দিয়েছেন যে, যদি এই যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা না থাকে, তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে!
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন-
    وَلَولا دَفعُ اللَّهِ النّاسَ بَعضَهُم بِبَعضٍ لَفَسَدَتِ الأَرضُ وَلكِنَّ اللَّهَ ذو فَضلٍ عَلَى العالَمينَ
    অর্থঃ আল্লাহ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তু বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ একান্তই দয়ালু, করুণাময়।
    আল্লাহ তাআলা কুরআনের অপর এক জায়গায় এই যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষাকে আমাদের জন্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তা হচ্ছে দ্বীনসমূহ ও ইবাদতের স্তরকে সংরক্ষণের মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা বলেন-

    الَّذينَ أُخرِجوا مِن دِيارِهِم بِغَيرِ حَقٍّ إِلّا أَن يَقولوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَولا دَفعُ اللَّهِ النّاسَ بَعضَهُم بِبَعضٍ لَهُدِّمَت صَوامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَواتٌ وَمَساجِدُ يُذكَرُ فيهَا اسمُ اللَّهِ كَثيرًا وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزيزٌ
    অর্থঃ যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।

    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়েছেন যে, আমাদের উপর কাফের জাতিসমূহের অপমান ও জবরদখলের কারণ হচ্ছে কিতাল ও জিহাদকে পরিত্যাগ করা, দুনিয়ার ভালোবাসা ও তাকে আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তার উপর অগ্রাধিকার দেওয়া, যেমন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
    فقال - عليه الصلاة والسلام-: ( إِذَا تَبَايَعْتُمْ بِالْعِينَةِ ، وَأَخَذْتُمْ أَذْنَابَ الْبَقَرِ، وَرَضِيتُمْ بِالزَّرْعِ، وَتَرَكْتُمُ الْجِهَادَ ؛ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ ذُلًّا لَا يَنْزِعُهُ حَتَّى تَرْجِعُوا إِلَى دِينِكُمْ ) رواه أبو داود
    অর্থঃ যখন তোমরা ঈনা নামক সুদের পিছনে পরে যাবে, গরুর লেজ আঁকরে ধরবে, ফসল নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যাবে, জিহাদকে ছেড়ে দিবে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর লাঞ্চনা চাপিয়ে দিবেন, তা দূর হবে না, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনে ফিরে না আসো! (আবু দাউদ)
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন-
    وقال - عليه الصلاة والسلام - أيضا : " يُوشِكُ الْأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الْأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ". فَقَالَ قَائِلٌ : وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ ؟ قَالَ : " بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ، وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ، وَلَيَنْزِعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ، وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِي قُلُوبِكُمُ الْوَهْنَ ". فَقَالَ قَائِلٌ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الْوَهْنُ ؟ قَالَ : " حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ " رواه أبو داود
    অর্থঃ খাদ্য গ্রহণকারীরা যেভাবে খাবারের পাত্রের চতুর্দিকে একত্র হয়, অচিরেই বিজাতিরা তোমাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই একত্রিত হবে। এক ব্যক্তি বললো, সেদিন আমাদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ কি এরূপ হবে? তিনি বললেনঃ তোমরা বরং সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে; কিন্তু তোমরা হবে প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মতো। আর আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের পক্ষ থেকে আতঙ্ক দূর করে দিবেন, তিনি তোমাদের অন্তরে ভীরুতা ভরে দিবেন। এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আল-ওয়াহন কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার মোহ এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা। (আবু দাউদ)
    ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন-
    "قَالُوا :وَمَا الْوَهَنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ : " حُبُّكُمُ الدُّنْيَا، وَكَرَاهِيَتُكُمُ الْقِتَالَ ".
    সাহাবারা বললেন- ওয়াহন কি ইয়া রাসুলাল্লাহ! হুজুর বললেন- তোমাদের দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং যুদ্ধকে অপসন্দ করা

    সুতরাং জিহাদ দ্বারা আল্লাহ তাআলা সীমালঙ্ঘনকারী শত্রুদেরকে প্রতিহত করেন, এবং তাঁদের দাপটকে চূর্ণ করেন- আল্লাহ তাআলা বলেন-
    فَقاتِل في سَبيلِ اللَّهِ لا تُكَلَّفُ إِلّا نَفسَكَ وَحَرِّضِ المُؤمِنينَ عَسَى اللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأسَ الَّذينَ كَفَروا وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأسًا وَأَشَدُّ تَنكيلًا
    অর্থঃ আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি-সামর্থের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তিদাতা। (সুরা নিসা- ৪:৮৪)

    এবং জিহাদের প্রস্তুতি দ্বারা আল্লাহ তাআলা প্রকাশ্য ও অন্যান্য অজানা শত্রুদের অন্তরে ভীতি সৃষ্টি করে দেন, আল্লাহ তাআলা বলেন-
    قال الله تعالى : وَأَعِدّوا لَهُم مَا استَطَعتُم مِن قُوَّةٍ وَمِن رِباطِ الخَيلِ تُرهِبونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُم وَآخَرينَ مِن دونِهِم لا تَعلَمونَهُمُ اللَّهُ يَعلَمُهُم
    অর্থঃ আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। (সুরা আনফাল ৮:৬০)

    পৃথিবীর সকল ভূখণ্ড, বিশেষত বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার আমাদের মুসলমান ভাইদের আমরা আহ্বান করছি, যাতে তাঁরা তাঁদের বার্মার ভাইদেরকে সাহায্য করেন! এবং তাঁদের যত ধরণের সাহায্য ও সহযোগিতার দরকার, তা করেন!

    হে ভাইয়েরা! আমরা যেন (বার্মার মুসলমান ভাইদের) শরীয়তসম্মত সকল সাহায্য, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমসমূহ ও অন্যান্য পথসমূহের ব্যাপারে কোন ত্রুটি না করি, গাফলিত না করি, যেগুলো বার্মায় আমাদের মুসলমানদের দাঈ ভাইগণ ও উদ্যমী দায়িত্বশীল ভাইগণ দাবী করে আসছেন! কামনা করে আসছেন

    আমরা পৃথিবীর সকল দেশের মুজাহিদ, বিশেষত আল কায়েদা উপমহাদেশের ভাইদেরকে আহ্বান করছি যে, আপনারা আল্লাহর শত্রু বৌদ্ধদেরকে দেখিয়ে দিন “কিভাবে একজন মুমিন একজন মুমিনের জন্য প্রতিরক্ষা প্রাচীর হয়!” তাদেরকে দেখিয়ে দিন যখন আমাদের কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন আমাদের প্রতিশোধের স্ফুলিঙ্গ কেমন হয়?

    আমরা তাঁদের অবগত করাচ্ছি যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বার্মার সরকার ও সেনাবাহিনী-ই হচ্ছে সেখানের মুসলমানদের দুঃখ-দুর্দশা ও ট্রাজেডির কারণ, আপনারা যেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ও তাদের অন্যায়কে দমন করার প্রচেষ্টা বন্ধ না করেন, সাবধান! আমরা যেন বার্মায় আমাদের মুসলমান ভাইদের লাঞ্চিত না করি, হে মুসল্লিম জাতি! বার্মায় আমাদের দুর্বল মুসলমান ভাইদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন! আল্লাহকে ভয় করুন! আমরা যেন আমাদের স্বার্থে তাদের লাঞ্চিত না করি, আর আল্লাহ বান্দার সাহায্য করবেন, যতক্ষন বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করবে,

    فعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أن رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وآله وَسَلَّمَ قال : " مَنْ نَفَّسَ عَنْ أخيه كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الْآخِرَةِ، وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ " رواه مسلم وغيره.
    অর্থঃ আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত- যে তাঁর ভাইয়ের থেকে দুনিয়ার মসিবতসমূহ থেকে কোন মসিবত দূর করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর থেকে আখেরাতের মসিবতসমূহ থেকে মসিবত দূর করবেন! নিশ্চই আল্লাহ বান্দার সাহায্য করবেন, যতক্ষন বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করে! (মুসলিম শরিফ)

    হে আল্লাহ! বার্মার মুসলমানদের সাহায্য করুন! তাদের দুঃখ- দুর্দশাকে দূর করে দ্বীন! তাদের উদ্বেগ- উৎকণ্ঠাকে দূর করে দিন! তাদের জন্য সর্বোত্তম সহায়তা ও সাহায্যকারী হয়ে যান! আপনার পক্ষ থেকে তাদের জন্য অভিভাবক বানিয়ে দিন! আপনার পক্ষ থেকে তাদের জন্য সাহায্যকারী বানিয়ে দিন হে দুর্বলদের সাহায্যকারী!

    হে আল্লাহ! যে তাঁদেরকে সাহায্য করবে, তাঁদেরকে সাহায্য করুন! এবং যে তাঁদেরকে অপদস্ত করছে সাহায্য করার সক্ষমতা সত্ত্বেও, তাদেরকে অপদস্ত করুন!
    হে ইজ্জত ও প্রতিপত্তির মালিক! হে আল্লাহ!তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করুন, যে তাদের উপর জুলুম করেছে!এবং ওই সকল বৌদ্ধ সরকার, সেনাবাহিনী ও ভিক্ষু, যারা তাদের উপর জবর দখল করেছে!এবং যারা বৌদ্ধদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে! হে শক্তির অধিকারী! হে প্রতিপত্তির অধিকারী!!
    وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين ، وصل اللهم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين
    Last edited by An-Nasr Team; 09-13-2017, 10:04 AM.
    আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!

    Comment


    • #3
      Originally posted by abuDardah View Post
      বার্মা ... এক ভুলে যাওয়া ক্ষত!


      পৃথিবীর সকল ভূখণ্ড, বিশেষত বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার আমাদের মুসলমান ভাইদের আমরা আহ্বান করছি, যাতে তাঁরা তাঁদের বার্মার ভাইদেরকে সাহায্য করেন! এবং তাঁদের যত ধরণের সাহায্য ও সহযোগিতার দরকার, তা করেন!

      হে ভাইয়েরা! আমরা যেন (বার্মার মুসলমান ভাইদের) শরীয়তসম্মত সকল সাহায্য, সহযোগিতা ও সহায়তার মাধ্যমসমূহ ও অন্যান্য পথসমূহের ব্যাপারে কোন ত্রুটি না করি, গাফলিত না করি, যেগুলো বার্মায় আমাদের মুসলমানদের দাঈ ভাইগণ ও উদ্যমী দায়িত্বশীল ভাইগণ দাবী করে আসছেন! কামনা করে আসছেন

      আমরা পৃথিবীর সকল দেশের মুজাহিদ, বিশেষত আল কায়েদা উপমহাদেশের ভাইদেরকে আহ্বান করছি যে, আপনারা আল্লাহর শত্রু বৌদ্ধদেরকে দেখিয়ে দিন “কিভাবে একজন মুমিন একজন মুমিনের জন্য প্রতিরক্ষা প্রাচীর হয়!” তাদেরকে দেখিয়ে দিন যখন আমাদের কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন আমাদের প্রতিশোধের স্ফুলিঙ্গ কেমন হয়?

      আমরা তাঁদের অবগত করাচ্ছি যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বার্মার সরকার ও সেনাবাহিনী-ই হচ্ছে সেখানের মুসলমানদের দুঃখ-দুর্দশা ও ট্রাজেডির কারণ, আপনারা যেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ও তাদের অন্যায়কে দমন করার প্রচেষ্টা বন্ধ না করেন, সাবধান! আমরা যেন বার্মায় আমাদের মুসলমান ভাইদের লাঞ্চিত না করি, হে মুসল্লিম জাতি! বার্মায় আমাদের দুর্বল মুসলমান ভাইদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন! আল্লাহকে ভয় করুন! আমরা যেন আমাদের স্বার্থে তাদের লাঞ্চিত না করি, আর আল্লাহ বান্দার সাহায্য করবেন, যতক্ষন বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্য করবে,
      এটা আমাদের উপর এক বিরাট ফরজিয়্যাত

      Comment

      Working...
      X