Announcement

Collapse
No announcement yet.

বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে


    হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
    “তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন খলীফা সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকা আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”।

    বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
    “তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।
    (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
    এই বিষয়ে আরো হাদীস দেখুন

    https://82.221.139.217/showthread.php?6347
    আমরা রাসূল (সঃ) এর এই হাদিসের সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত যে হাদিসে তিনি (সঃ) পতাকাবাহী এক দলের কথা উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে যোগ দেওয়ার ফজিলত কত এটা বুঝাতে গিয়ে বলেছেন,

    'তোমরা বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও সেই দলে যোগ দাও'

    সুবহানআল্লাহ আমি এত দিন এই হাদিসটা নিয়ে খুব গভীরভাবে চিন্তা করি নাই। কেন রাসূল (সঃ) এত কিছু থাকতে বরফের প্রসঙ্গ টেনেছেন। গতকাল থেকে মনে হল কিছুটা বুঝে এসেছে। ভাবলাম ভাইদের সাথে একটু শেয়ার করি হয়ত উপলব্ধির ঘাটতিটুকু দূর করা যাবে।
    আসুন এটা বুঝে আসার জন্য আমরা প্রথমে এক বোতল বরফ শীতল পানির কথা চিন্তা করি এবং চেষ্টা করি সেই পানির বোতলটা হাত দিয়ে কিছুক্ষন ধরে রাখতে। যদি বাস্তবে কেউ এটা করেন তাহলে দেখবেন নীচের ঘটনাগুলো ঘটছেঃ
    প্রথম তিন/চার সেকেন্ড (গরম কাল হলে) খুব ভাল লাগে। সমস্ত শরীরে একটা প্রশান্তি ছড়িয়ে পরে। এরপর সময় গড়িয়ে ৮/১০ সেকেন্ডের মাথায় দেখবেন হাতে একটা চিন-চিনে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। এবং সেই ব্যথা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে মাথার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছে। মোটামুটি ২০/২৫ সেকেন্ড অতিবাহিত হলে নিজের ভিতর থেকে একটা তীব্র আন্দোলন তৈরি হবে হাত থেকে বোতলটা ছুড়ে ফেলে দেওয়ার। তারপরেও যদি কেউ ধৈর্য ধরেন ত আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার হাতে তীব্র ব্যথা শুরু হয়েছে এবং সেটা আপনার মাথা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে আর মনে হচ্ছে আপনার মাথা, কপাল ভিতর থেকে কোণ এক অদৃশ্য চাপে ফেটে যাবে; আপনার হাতের আঙ্গুলগুলো আর স্বাভাবিক নাড়াচাড়া করতে পারছে না। এবং নিজের অজান্তেই দেখবেন হাত থেকে বোতলটা আপনি হয় অন্য হাতে স্থানান্তর করে দিয়েছেন অথবা ফেলে দিয়েছেণ এবং তীব্র গতিতে পানির বোতল ধরে রাখা হাতটা শরীরে ঘষা শুরু করেছেন যাতে শরীর থেকে দ্রুত তাপ পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। আর এই ঘটনাটুকু ঘটতে বড়জোর ১ মিনিট সময় লাগবে।

    এখন একটু হাদিসের দিকে ফিরে তাকাই ইনশাল্লাহঃ বরফের উপর হামাগুড়ি দেওয়া। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যেখানে আপনি গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে ক্ষান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনি উপরের কাজটায় যেমন এক হাত থেকে বোতল অন্য হাতে নিয়েছিলেন বা ফেলে দিয়েছিলেন এখানে সেই সুযোগ নেই। উপরন্তু এখানে শুধু আপনার হাতের সাথে বরফের সংস্পর্শ হচ্ছে না বরং শরীরের আরও অনেকগুলো স্পর্শকাতর অঙ্গের সংস্পর্শ ঘটছে। এবং এটা ১ মিনিটে শেষ হওয়ার না। বরং হতে পারে তা ১ ঘন্টা, হতে পারে তা ২ ঘন্টা। আমরা জানি না। এখানে অবস্থাক্রম একটু চিন্তা করেন ইনশাল্লাহ। ১ মিনিটের মধ্যে আপনার সমস্ত শরীর জমে যাবে। এরপর সময় যত গড়াবে আপনার পুরো শরীর ধীরে ধীরে জমে যাবে। অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন মাসল যেমন আমরা হাতের আঙ্গুল ভাজ করে বিভিন্ন জিনিস ধরি বা দুই পা দুই দিকে প্রসারিত করতে পারি এগুলো আর করতে পারব না। এবং ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে আপনাকে 'ফ্রস্ট বাইট' নামক একটা অবস্থায় নিয়ে যাবে। এই অবস্থাটা হয় যদি কেউ বরফের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে। শরীরের এই অবস্থায় পুরো শরীর অনেকটা কংকালের মত হয়ে যায়। শরীরের কোন অঙ্গের কোন চলৎশক্তি থাকে না। এসময় যদি কোন একটা শক্ত লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় ত সেই আঘাত করা জায়গাটা দেখা যাবে ঝুর ঝুর করে ভেঙ্গে পরছে যেমনটা ঘটে যদি আপনি চিপস এর প্যাকেট চাপ দেন ত ভিতরের সব চিপস গুড়ো হয়ে যাবে অনেকটা এমন।
    অর্থাৎ হাদিস অনুযায়ী যদি কেউ আমরা আমল করতে যাই এবং তাঁর সামনে যদি এই পরিস্থিতি দাড়ায় যে তাঁকে বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হবে এটা ছাড়া গতি নাই তাঁর অর্থ দাঁড়াল সেই দলের সাথে সাক্ষাৎ করা সেই ভাইয়ের জন্য প্রায় অসম্ভব যদি না আল্লাহ্* খাস করে অন্য কোন একটা ব্যবস্থা না করে দেন।

    ভাই আমি অন্য কোন ভাইয়ের কি অবস্থা জানি না কিন্তু এটা চিন্তা করার পর থেকেই দেখতেছি আমি বেশ ভীত। এই অবস্থায় পরলে মনে হয় না আমার কদম সামনে বাড়বে। আমার ঈমানের যে হালত তাতে ত যেদিন শুনি হরতাল সেই দিনই ঘর থেকে বের হতে পারি না।। না জানি কি হয় এই শঙ্কায়। তাহলে যখন চোখের সামনে নিশ্চিত মৃত্যু এটা দেখব তখন কি কদম সামনে বাড়বে??

    হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের হেফাজত করেন আর এমন কোন পরীক্ষার সম্মুখীন কইরেন না যাতে মুখ থুবরে পরতে হয় আর পিছনে রয়ে যাওয়া গান্ধা লোকদের কাতারে শামিল হতে হয়।।



    প্রতিটি প্রজন্মের ক্ষেত্রেই এটা ঘটে, কিন্তু কখনো কখনো আপনি শুধুমাত্র দর্শক ভূমিকায় থাকেন এবং অন্য কেউ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আমাদের বাপ-দাদারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করছেন কিন্তু তাঁরা এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনেনি। তাঁরা মাঠের বাইরে থেকে এই যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করেছেন। তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হল এবং আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম এই যুদ্ধের সাক্ষী হলেও তাঁরা এর দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হন নি। কিন্তু বর্তমানে আমারা যেই পর্যায়ে প্রবেশ করছি তাতে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে মুসলিমদেরকেই। এর আগে মুসলিমদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের কিন্তু এখন মুসলিমরা এই সঙ্ঘাতের একদম প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। আগে তাঁরা শুধু হাত গুটিয়ে দেখছিলো, কিন্তু এখন মুসলিমরাই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করছে। সুতরাং ভবিষ্যতে যাই ঘটুক না কেন সেটা আমাদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে, কারণ ভবিষ্যতের সকল ঘটনাবলীই ঘটবে মুসলিম উম্মাহকে কেন্দ্র করে। সব কিছুর কেন্দ্রে থাকবে মুসলিম ভূখণ্ডগুলো। আপনার যারা সেসময় খবর দেখেছেন তাঁদের মনে থাকার কথা, আজ থেকে পনেরো –বিশ বছর আগে কালে ভদ্রে ইসলাম কিংবা মুসলিমরা খবরের শিরোনাম হতো। আর আজ দেখুন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, কোন না কোন ভাবে খবরে শুধু ইসলাম এবং মুসলিমদের কথাই আলোচিত হচ্ছে। সেটা ভালো সংবাদ হোক কিংবা খারাপ। কারণ এখন আমারা ঘটনাপ্রবাহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছি, অতএব যাই ঘটুক না কেন তা আমাদের উপর প্রভাব ফেলবে। এখন এই অনুমান যদি সত্যি হয়, যে মুসলিম উম্মাহ তাঁর ইতিহাসের একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। এমন এক অধ্যায় যার ঠিক পরেই আগমন ঘটবে উম্মাহর দ্বিতীয় স্বর্ণযুগের।
    আমরা এমন একটা যুগে বসবাস করছি এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দ্বারা তার দ্বীন কে বিজয়ী করবেন একদিকে মুসলিম দের উপর জুলুম অণ্যদিকে সমস্ত কুফফারা এক হতে শুরু হয়েছে
    মিয়ানমারকে ভারত সাহায্য করার মধ্য দিয়ে প্রমান হলো ভারত বাংলাদেশের মুসলিমদের আক্রমন করবে এটা নিশ্চিত মিয়ানমার এর মানুষ তো পালিয়ে আসল বাংলাদেশে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ পালিয়ে যাকে কোথায় যাবার জায়গা একটি আছে তা হলো ইমাম মাহদীর বাহিনীতে কিন্তু সাধারন মানুষ পতো ইমাম মাহদী সর্ম্পকে জানে না তাদের অবস্থা কি হবে আল্লাহই ভালো জানেন তাই হে মুজাহিদ ভাই আপনার প্রিয় মানুষ টিকে শেষ বারের দাওয়াত দিন পরিস্থিতি কি হবে একটু বুজান ।আর ইমাম মাহদীর বাহিনীতে যোগ দেওয়া অনেক কঠিন মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাই তো রাসুল সা: বলেন
    হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
    “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
    (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)

    Last edited by কালো পতাকা; 10-01-2017, 11:45 PM.
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    zajakallah khairan

    Comment


    • #3
      খুবই উওম ও যুক্তিপূর্ণ পোস্ট...
      যাযাকাল্লাহু খাইর...ইয়া আখি

      Comment


      • #4
        jaza kumullah

        Comment


        • #5
          zajakallah

          Comment


          • #6
            jazakallah...

            Comment

            Working...
            X