Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাফেরদেরকে দাওয়াত দেয়া হবে কিভাবে?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাফেরদেরকে দাওয়াত দেয়া হবে কিভাবে?


    কাফেরদেরকে কিভাবে দাওয়াত দেয়া হবে, তা মুসলিম শরীফের নিম্নোক্ত হাদীসে এসেছে:


    عن سليمان بن بريدة عن ابيه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا امّر اميرا على جيش أو سرية ... قال: اغزوا باسم الله، في سبيل الله، قاتلوا من كفر بالله ... وإذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم إلى ثلاث خصال (أو خلال)، فايتهن ما اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم. ثم ادعهم إلى الاسلام، فان اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ... فان هم ابوا فسلهم الجزية، فان هم اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم، فان هم أبوا فاستعن بالله وقاتلهم.اهـ


    “হযরত সুলাইমান ইবনে বুরাইদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা - বুরাইদা রাদি. - থেকে বর্ণনা করেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কাউকে কোন জাইশ-বড় বাহিনী বা সারিয়্যা-ছোট দলের আমীর নিযু্ক্ত করতেন … তখন তাকে বলে দিতেন, আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর নামে তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করবে, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করেছে। … যখন তুমি তোমার দুশমন মুশরেকদের মুকাবেলায় যাবে, তখন তাদেরকে তিনটি জিনিসের আহ্বান জানাবে; এর যে কোন একটায় তারা সম্মত হলে তুমি তাদের থেকে তা গ্রহণ করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা পরিত্যাগ করবে:
    (প্রথমত) তাদেরকে মুসলমান হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাবে। যদি তারা তাতে সম্মত হয়ে যায়, তাহলে তাদের থেকে তা গ্রহণ করে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিত্যাগ করবে।
    যদি তারা এতে অসম্মতি জানায় তাহলে জিযিয়ার আহ্বান জানাবে। যদি তারা তাতে সম্মত হয়ে যায়, তাহলে তাদের থেকে তা গ্রহণ করে নেবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিত্যাগ করবে।
    যদি তারা এতেও অসম্মতি জানায় তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।”
    [সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ১৭৩১; বাব: তা’মীরুল ইমামিল উমারা আ’লা বুয়ূস।]



    এ হাদীসে কাফেরদেরকে দাওয়াত দিতে বলা হয়েছে তাদের সাথে যখন সামনা সামনি মুকাবেলা হবে, তখন। অর্থাৎ মুসলমান বাহিনী প্রথমে দারুল হরবে গিয়ে কাফেরদেরকে অবরোধ করবে, যাতে তারা এদিক সেদিক পালিয়ে যেতে না পারে। পাকা-পোক্তা অবরোধ বসানোর পর তাদেরকে ইসলাম এবং তা গ্রহণ না করলে জিযিয়ার দাওয়াত দেবে।
    কুরআন-হাদীসের আলোকে কাফেরদেরকে দাওয়াত দেয়ার এ ত্বরীকাটিই সর্ব-স্বীকৃত।



    হিদায়া গ্রন্থকার (মৃত্যু: ৫৯৩হি.) বলেন,

    "وإذا دخل المسملون دار الحرب فحاصروا مدينة أو حصنا دعوهم إلى الإسلام" لما روى ابن عباس رضي الله عنهما أن النبي عليه الصلاة والسلام ما قاتل قوما حتى دعاهم إلى الإسلام. قال "فإن أجابوا كفوا عن قتالهم" لحصول المقصود وقد قال صلى الله عليه وسلم "أمرت أن أقاتل الناس حتى يقولوا لا إله إلا الله" الحديث. "وإن امتنعوا دعوهم إلى أداء الجزية" به أمر رسول الله عليه الصلاة والسلام أمراء الجيوش ... "فإن أبوا ذلك استعانوا بالله عليهم وحاربوهم" لقوله عليه الصلاة والسلام في حديث سليمان بن بريدة "فإن أبوا ذلك فادعهم إلى إعطاء الجزية إلى أن قال فإن أبوها فاستعن بالله عليهم وقاتلهم". اهـ

    “মুসলমানগণ দারুল হরবে প্রবেশ করে কোন শহর বা দুর্গ অবরোধ করার পর, (প্রথমত) হরবীদেরকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানাবে। কেননা, হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, ‘ইসলামের দাওয়াত দেয়া ব্যতীত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করতেন না’।
    যদি তারা এতে সাড়া দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত হবে। কেননা, উদ্দেশ্য যা ছিল, তা হাসিল হয়ে গেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি লোকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে’।
    যদি তারা এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে জিযিয়া আদায়ের আহ্বান জানাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর প্রেরিত) বাহিনীর সেনা প্রধানদেরকে এ আদেশই দিয়েছেন। …
    যদি তারা এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আল্লাহ তাআলার সাহায্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সুলাইমান ইবনে বুরাইদা রহ. এর হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি তারা এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাদেরকে জিযিয়া প্রদানের আহ্বান জানাবে। … যদি তারা এতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আল্লাহ তাআলার সাহায্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে’।”
    [হিদায়া: ২/২৫২-২৫৩]


    অতএব, ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দেয়া হবে কাফেরদেরকে অবরোধ করার পর। আর দাওয়াতও শুধু ইসলাম গ্রহণের দাওয়াতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ না করলে তাদের রাষ্ট্র মুসলামনদের হাতে সমর্পণ করতে এবং এরপর জিযিয়া দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে যিম্মি হয়ে থাকার আহ্বান জানাতে হবে। যদি এতে রাজি না হয়, তাহলে যুদ্ধ করে তাদেরকে ইসলাম বা জিযিয়া কবুলে বাধ্য করতে হবে এবং তাদের রাষ্ট্রকে ইসলামী হুকুমতের অধীনে নিয়ে এসে দারুল ইসলামে পরিণত করতে হবে। যদি ইসলাম বা জিযিয়া কোনটাই কবুল করতে রাজি না হয়, তাহলে যাকে হত্যা করার হত্যা করতে হবে আর বাকিদেরকে গোলাম-বাঁদিতে পরিণত করতে হবে।



    এ দাওয়াত হলো সেসব কাফেরদের বেলায়, যাদের কাছে ইতিপূর্বে দাওয়াত পৌঁছেনি। পক্ষান্তরে যাদের কাছে এ কথা পৌঁছেছে যে, ইসলাম নামক একটি ধর্ম আছে, উক্ত ধর্ম যারা গ্রহণ না করবে কিংবা জিযিয়া দিতে রাজি না হবে, মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে; যাদের কাছে এ কথা পৌঁছে গেছে তাদেরকে আর দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব:

    এক. দাওয়াত দেয়ার দ্বারা মুসলামনদের ক্ষতির কোন আশংকা না থাকতে হবে।
    দুই. এই আশা থাকতে হবে যে, তারা হয়তো ইসলাম গ্রহণ করবে কিংবা জিযিয়া আদায়ে সম্মত হবে।

    পক্ষান্তরে যদি তারা এত উদ্ধত জাতি হয় যে, তাদের থেকে ইসলাম বা জিযিয়া কোনটারই আশা করা যায় না, বরং দাওয়াত দিতে গেলে তারা মুসলামনদের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটবে বলে আশংকা করা হচ্ছে; তাহলে এদেরকে দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব নয়, বরং জায়েযই নয়।


    হিদায়া গ্রন্থকার (মৃত্যু: ৫৯৩হি.) বলেন,

    "ويستحب أن يدعو من بلغته الدعوة" مبالغة في الإندار، ولا يجب ذلك، لأنه صح أن النبي عليه الصلاة والسلام أغار على بني المصطلق وهم غارون، وعهد إلى أسامة رضي الله عنه أن يغير على أبنى صباحا ثم يحرق، والغارة لا تكون بدعوة. اهـ

    “যাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে, অতিরিক্ত সতর্কীকরণার্থে তাদেরকে (পুনরায়) দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব; তবে আবশ্যক নয়। কেননা, সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিত হামলা করেছেন এবং উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ দিয়েছেন, উবনা’র উপর অতর্কিত হামলা করে একে জ্বালিয়ে দিতে। আর অতর্কিত হামলা তো দাওয়াত দিয়ে হয় না।” [হিদায়া: ২/২৫২]


    আল্লামা হাছকাফী রহ. (মৃত্যু: ১০৮৮হি.) বলেন,

    (و ندب دعوة من بلغته) ... لكن بشرطين، أحدهما: أن لا يكون فى التقديم ضرر بالمسلمين، كتحصن واحتيال، ولو بغلبة الظن، والثاني: أن يطمع فيهم ما يدعوهم إليه، كما فى المحيط. اهـ

    “যাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে, তাদেরকে (পুনরায়) দাওয়াত দেয়া মুস্তাহাব; তবে দুই শর্তে:
    এক. এটা মুসলামনদের কোনরূপ ক্ষতির কারণ না হতে হবে। যেমন, প্রবল ধারণা হওয়া যে, (দাওয়াত দিতে গেলে) তারা দুর্গে আশ্রয় নিয়ে নেবে কিংবা অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করবে।
    দুই. যে বিষয়ের প্রতি তাদেরকে আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা তা কবুল করে নেবে বলে আশাবাদি হতে হবে। ‘আল-মুহীত’ এ এমনই বলা হয়েছে।”
    [আদ-দুররুল মুনতাক্বা: ২/৪১২]


    এ হলো কাফেরদের দাওয়াত দেয়ার শরীয়ত-বর্ণিত পন্থা। তবে মনে রাখতে হবে, এ দাওয়াত হলো তখন,যখন কাফেররা তাদের নিজ দেশে অবস্থান করে, ইসলাম, মুসলমান বা কোন ইসলামী ভূমিতে আঘাত না হানে। পক্ষান্তরে যদি তারা কোন মুসলিম ভূমিতে আক্রমণ করে বসে, তখন আর কোন দাওয়াত নেই, বরং তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জিহাদ করে মুসলিম ভূমিকে এসব নাপাক বাহিনী থেকে পবিত্র করা ফরয।


    ইমাম মুহাম্মাদ রহ. (মৃত্যু: ১৮৯হি.) বলেন,

    ( ولو أن قوماً من أهل الحرب الذين لم يبلغهم الإسلام ولا الدعوة أتوا المسلمين في دارهم ، يقاتلهم {المسلمون} بغير دعوة ليدفعوا عن أنفسهم ، فقتلوا منهم وسبوا وأخذوا أموالهم فهذا جائز … ) أهـ.

    “এমন কোন কাফের সম্প্রদায়, যাদের কাছে ইসলাম বা দাওয়াত কিছুই পৌঁছেনি, যদি তারা মুসলমানদের রাষ্ট্রে তাদের বিরুদ্ধে এসে পড়ে, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য মুসলমানরা কোন প্রকার দাওয়াত ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। তখন তারা তাদেরকে হত্যা, বন্দি কিংবা তাদের মাল লুণ্টন- যাই করবে, সবই বৈধ…।”


    ইমাম সারাখসী রহ. (মৃত্যু: ৪৯০হি.) ব্যাখ্যায় বলেন,

    ( والمعنى في ذلك أنهم لو اشتغلوا بالدعوة إلى الإسلام فربما يأتي السبي والقتل على حرم المسلمين وأموالهم وأنفسهم فلا يجب الدعاء ) أهـ.

    “কেননা, তখন যদি তারা ইসলামের দাওয়াত দিতে যায়, তাহলে মুসলামানদের হত্যা, বন্দী বা মাল লুণ্টনের শিকার হতে হতে পারে। কাজেই তখন দাওয়াত দেয়া আবশ্যক হবে না।” [শরহুস সিয়ারিল কাবীর: ৫/২৫৩-২৫৪]


    ইবনুল কায়্যিম রহ. (মৃত্যু: ৭৫১হি.) বলেন,

    ( ومنها أن المسلمين يدعون الكفار –قبل قتالهم- إلى الإسلام هذا واجب إن كانت الدعوة لم تبلغهم ، ومستحب إن بلغتهم الدعوة ، هذا إذا كان المسلمون هم القاصدين للكفار، فأما إذا قصدهم الكفار في ديارهم فلهم أن يقاتلوهم بغير دعوة لأنهم يدفعونهم عن أنفسهم وحريمهم ) أهـ.

    “যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানগণ কাফেরদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেবে। এটি আবশ্যক, যদি তাদের কাছে দাওয়াত না পৌঁছে থাকে। আর দাওয়াত পৌঁছে থাকলে তখন মুস্তাহাব। এ হচ্ছে যখন স্বয়ং মুসলমানরা কাফেরদের উপর আক্রমণের জন্য যাবে। পক্ষান্তরে কাফেররা যখন মুসলিম ভূমিতে মুসলমানদের উপর হামলা করতে আসবে, তখন কোন প্রকার দাওয়াত ব্যতীতই তারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে। কেননা, তখন তারা নিজেদের জান ও ভূমি রক্ষার জন্য লড়ছে।” [আহকামু আহলিয যিম্মাহ্: ১/৫]


    তাবলীগিদের গোমরাহি:

    আজ যখন প্রায় সবগুলো মুসলিম ভূমি কাফের মুরতাদদের দখলে, তখন মুসলমানদের উপর ফরয, তাদের জান-মাল সর্বস্ব ব্যয় করে কাফের-মুরতাদদের থেকে মুসলিম ভূমিগুলো উদ্ধার করা। ইসলাম ও মুসলমানকে এদের নাপাক থাবা হতে রক্ষা করা। এ ক্ষেত্রে কাফেরদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, প্রচলিত তাবলীগ পন্থীরা আল্লাহ তাআলার ফরযকৃত এ বিধান ছেড়ে, কাফেরদেরকে দাওয়াত দিতে ব্যস্ত। তাও ঐ দাওয়াত নয়, যে দাওয়াত ইসলাম শিখিয়েছে। ঐ দাওয়াত তারা দিচ্ছে, যার পিছনে নেই কোন তরবারি, নেই কোন জিযিয়ার আহ্বান। এমন দাওয়াত, যে দাওয়াতে জান-মালের কোন আশংকা নেই। যে দাওয়াত শুধু ইসলামের ফরয বিধান তরকের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে দাওয়াত ইসলাম ও মুসলামনকে চরম অপদস্থি আর লাঞ্চনার শিকার করেছে। যে দাওয়াত ছিল কাফেরের গর্দান উড়িয়ে দেয়ার, সে দাওয়াতকে তারা কাফেরদের পা ধরে পড়ে থাকার দাওয়াতে পরিণত করেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন!


    এর চেয়ে পরিতাপের বিষয়, এই চরম গোমরাহি কোন নির্দিষ্ট এলাকা, নির্দিষ্ট কতক ব্যক্তি, এমনকি নির্দিষ্ট কতক জাতি-গোষ্ঠীর মাঝেও সীমাবদ্ধ রয়নি, বরং তা গোটা উম্মাহকে গ্রাস করেছে। গোটা উম্মাহর লাখো লাখো যুবককে আত্মমর্যাদাহীন আর পুরুষত্ব বিবর্জিত কতগুলো ভেড়ার পালে পরিণত করে ছেড়েছে। হিন্দুস্থান থেকে উদগত এই ফিতনা গোটা উম্মাহকে লাঞ্চিত করে ছেড়েছে। এটা এমন এক ফিতনা, যাতে শিক্ষিত-অশিক্ষিত, আলেম-গাইরে আলেম, যুবক-বৃদ্ধ সকলেই নিপতিত হয়েছে।


    এ যেন ঐ হাদিসের বাস্তবায়ন, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশত বছর পূর্বেই বলে গিয়েছেন।
    হযরত ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,


    سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول « إن الفتنة تجىء من ها هنا ». وأومأ بيده نحو المشرق « من حيث يطلع قرنا الشيطان »

    (আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই দিক থেকে ফিতনার আগমন ঘটবে; যেদিকে শয়তানের শিংদ্বয় উদিত হয়।) [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪৮১]

    অনেক হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত কথা তিনবার বলেছেন।


    স্পষ্ট যে, হিন্দুস্তান মদীনা থেকে শুধু পূর্ব দিকেই নয়, বরং দুনিয়ার প্রায় শেষপ্রান্তে। মদীনা থেকে যত বেশি দূরে হবে, তত বেশি ফিতনা তাতে জন্ম নেবে, এটাই স্বাভাবিক। আজকের এই তাবলীগ এ হাদিসের প্রকৃষ্ট বাস্তবায়ন। আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমান আমল হিফাজত করুন। আমীন।
    Last edited by ইলম ও জিহাদ; 10-23-2017, 10:22 AM. Reason: কাফেরদেরকে দাওয়াত দেয়ার ত্বরীকা

  • #2
    গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      মাশা আল্লাহ, খুবই মুফিদ পর্যালোচনা। বারাকাল্লাহু ফিক।
      আমরা সামাজিক মাধ্যমে এ লেখাটা ছড়িয়ে দিতে পারি। হয়ত আল্লাহর কোন বান্দা গোমরাহী থেকে ফিরে আসবেন।
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ, পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হলাম। জাযাকাল্লাহ
        আসুন! আমরা সবাই যথাসাধ্য শেয়ার করি ও ছড়িয়ে দেই।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          ইন্নালিল্লাহ, প্রচলিত দাওয়াত ও তাবলীগ সংশ্লিষ্ট আলিম ও আওয়াম ভাইদের জিহাদের দাওয়াত দিতে গেলে এর আসল হাকিকত বুঝে আসে।
          আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

          Comment

          Working...
          X