Announcement

Collapse
No announcement yet.

চরমোনাই পীরের দৃষ্ঠতা!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চরমোনাই পীরের দৃষ্ঠতা!!

    চরমোনাই পীরের দৃষ্ঠতা!!

    (বয়ান টি সকল ভাইকে শুনার অনুরোধ, মাত্র 7:71 এমবি)
    https://www.sendspace.com/file/n5ezs9


    দেখুন তার দৃষ্ঠতা মুলক কিছু কথা:

    মুরশরেকদের একটি পদ্ধতি আপনি জিহাদ হিসেবে কাজ চালাইলেন কিভাবে? এই পদ্ধতিতো মুশরেকদের। এটা মুসলমানদের না। এটা কুরআন হাদিসে বাতাই নাই।
    যদি মুশরকেদের একটা পদ্ধতি আপনে নাফেজ করল, গযওয়া আহযাব বলতে পারেন, খন্দকের যুদ্ধ বলতে পারেন, জিহাদ বলতে পারেন এবং ফযিলাত বর্ণনা করত …… অথচ খন্দকের পদ্ধতি এটি কাদের?? বুজেন না আমার বাংলা কথা বুজেন না, আপনারা পাথরে মত কেন, ছাত্ররা পাথরের মত থাকবে কেন? গাছের মত ছাত্ররা থাকবে কেন, ছাত্ররা পাথরের মত থাকবে কেন? প্রশ্ন করার সাথে সাথে আমার আগে জওয়াব দিতে হবে, না হলে বুঝবেন কোন কচু!!!
    মজুসীদের পদ্ধতি, মুশরেকদের পদ্ধতি, সেটা আহযাব, সেইটাকে আমি কেন গাওযা বললাম সেটাকে আমিকে জিহাদ বললাম…. এক কথায় সেটি প্রতিহত করার একটি পদ্ধতি…….

    ১. কুরআন সুন্নাহ ও জমহুর সালাফে সালেহীনগনের ব্যাখ্যার পরিবর্তে জিহাদের এক নতুন ব্যাখ্যা।
    রাসূল সা: জিহাদের ব্যখ্যায় বলেন:
    عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْسَةَ ... قَالَ : وَمَا الْجِهَادُ ؟ قَالَ : أَنْ تُقَاتِلَ الْكُفَّارَ إِذَا لَقِيتَهُمْ قَالَ : فَأَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : مَنْ عُقِرَ جَوَادُهُ وَأُهْرِيقَ دَمُه. (مسند احمد بن حنبل: رقم الحديث: 17068)
    হযরত আমর ইবনে আবাসা রা: বলেন এক ব্যাক্তি রাসুল সা: এক জিজ্ঞাসা করেলন। জিহাদ কি? রাসুল সা: ইরশাদ করলেন: যখন কাফেরর মুখোমুখী হবে তখন তাদের সাথে লড়াই (কিতাল) করবে। অত:পর তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেনে: কোনটি উত্তম জিহাদ? রাসুল সা: ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তির ঘোড়ারে পা কেটে দেওয়া হয়েছে, এবং সে শহীদ হয়েছে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ১৭০৬৮)

    উপরুক্ত হাদীস থেকে আমারা যে অর্থটি পেলাম। রাসূল সা: জিহাদের ব্যাখ্যা করেছেন কাফেরদের সাথে লাড়াই তথা কিতাল করা। অনুরুপ ফকীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসি্সরিগনও জিহাদের পারিভাষিক অর্থের ক্ষেত্রে শব্দের কিছু পরিবর্তন ব্যাতিত সকলেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কুফফারদের সাথে লাড়াইকেই জিহাদের পারিভাষিক অর্থ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
    কিন্ত চরম আশ্চর্যের বিষয়, উক্ত পীরসাহেব পূর্বর্তীদের মতের বিপরীত এমন এক অর্থ বর্ণনা করলেন। যাতে জিহাদের জন্য কিতালের কোন প্রয়োজনিয়তা নেই। বরং কিয়ামত পর্যন্ত দ্বীন কায়েমের সকল প্রচেষ্টাকেই জিহাদ বলে আক্ষায়িত করেছেন। তা যে কোন পদ্ধতি বা পন্থায় হোক। তাই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং এ ছাড়া আরো যত পদ্ধতি হবে সবগুলোকেই জিহা্দ বলে আখ্যায়িত করেন।

    ২. দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য রাসূল সাল্লাহল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবা আজমাঈনগনের জিহাদের (রাজিআল্লাহ আনহুম) আমলি পদ্ধতিকে অনাবশ্যক মনে করা। এর পরিবর্তে যে কোন কাজকে শুধু উদ্দেশ্যের কারণে জিহাদ বলে গ্রহণ করা।
    আর এটি এমন ভ্রষ্টতা যার থেকে বড় কোন ভ্রষ্টতা হতে পারেনা। অথচ রাসুল صلى الله عليه وسلم ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত সকলকে সাহাবাদের আদর্শ পদ্ধতিকে আকড়ে ধরার কঠোর ভাবে নির্দেশ করেছেন।

    العرباض بن سارية - رضي الله عنه - قَالَ : وعظنا صلى الله عليه وسلم مَوعظةً وَجلَتْ منها القُلُوبُ، وذرِفت منها الْعُيُونُ ..... ............ عليكم بسنَّتي وسنَّة الخلفاء الراشدين من بعدي، تمسكوا بها وعضّوا عليها بالنواجذ، وإِياكم ومحدثات الأمور، فإِن كل محدثة بدعة

    হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রা: বলেন রাসুল সা: আমাদেরকে এমন উপদেশ দিলেন যার দ্বারা অন্তরসমূহ প্রকম্পিত হয় এবং চোখ দ্বারা অশ্রু প্রবাহিত হয়। অত:পর রাসুল সা: বলেন তোমরা আমার পরে আমার এবং খোলাফায়ে রাশিদীন এর আদর্শ শক্তভাবে আকড়ে থাকবে। তোমাদের কে আমি নবআবিষ্কৃত (ধর্ম নয় এমন বস্তুকে ধর্মিয় বলে গ্রহণ করা) বস্তুর ব্যপারে সতর্ক করছি। যেন রাখ প্রত্যেক নব আবিষ্কিৃত বস্তুই বিদা‘ত।

    عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللّهِ صلى الله عليه وسلم أَنّهُ قَالَ: "وَالّذِي نَفْسُ مُحَمّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمّةِ يَهُودِيّ وَلاَ نَصْرَانِيّ، ثُمّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلاّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النّارِ". (مسلم: باب وجوب الإِيمان برسالة نبيّنا محمد صلى الله عليه وسلم إِلى جميع الناس ونسخ الملل بملة)

    হযরত আবু হুরাইয়া রা: রাসূর সা: থেকে বর্ণনা করেন। রাসুল সা: বলেন, আল্লাহর শপথ যার হাতে আমার প্রাণ। যে কোন ব্যক্তি, চাই সে ইহুদী হউক বা খৃষ্টান। আমার রিসালাতের সংবাদ শুনার পর আমার উপর ঈমান ব্যাতিত মৃত্যু বরণ করবে, সে জাহান্নামী হবে।

    ৩. তীর, তরবারী, ঘোড়া ইত্যাদির ব্যবহার প্রয়োজনিয়তা নেই। এই খোড়া উযুহাতে ইত্যাদির ফযিলতকে অস্বিকার।

    অথচ যুদ্ধে অভিজ্ঞ কোন সেনাপতিই কোন কালে সৈনিকদের জন্য এই গুলোর ব্যবহার ও গুরুত্বকে অস্বিকর করতে পারেনা। যদিও এই গুলোর সাথে আধুনিক অনেক নতুন যন্ত্রপতি যোগহয়েছে এবং আরো হতে থাকবে। আধুনিক কালের সকল উন্নত সেনাবাহনী এখনো ঘোড়া, তরবারী, ছুরী, ইত্যাদির প্রশিক্ষণে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বরং কমান্ডোদের অবিচ্ছেদ্ধ অংশ বালা হয় কামান্ডো নাইফ (বিশেষ ধরনের চাকু) কে।
    عروة البارقي عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال الخيل معقود في نواصيها الخير إلى يوم القيامة الأجر والمغنم. (التاريخ الكبير للامام بخاري – رقم الحديث: 137، 7/15)
    হযরত উরওয়া বারেকী রা: রাসূল সা: থেকে বর্ননা করেন রাসুল সা: বলেন। ঘোড়ার কপালে কিয়ামত পর্যন্ত কল্যান নিহিত রয়েছে। এর দারা সে সওয়াব ও গণিমত লাভ করবে। (তারিখুল কাবীর, ইমাম বুখারী)
    ৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গৃহীত কাজকে কুরআন হাদিসে নেই বলে চরম দৃষ্ঠতা প্রদর্শন। (আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা কথার ভ্রষ্টতা তেকে আশ্রয় চাই)
    অথচ রাসুল সা: এর সকল কাজ, কথা, সমর্থন, সাহাবা আজমাঈণদের কাজ ও কথা ইসলামের বিধান হিসেবে সর্বগৃহীত নীতি।
    উপরন্তু আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা: এর কথা, কাজ এর ব্যপারে ইরশাদ করেন:
    وما ينطق عن الهوى ان هو الا وحي يوحى
    তিনি নিজ থেকে কিছু বলেন না, বরং তিনি যা বলেন তাতো প্রাপ্ত ওহী। (নজম: ৪)
    ما آتاكم الرسول فخذوه وما نهاكم عنه فانتهوا
    আরো ইরশাদ করেন: রাসুল সা: তোমাদের যা করতে বলেন তা কর। এবং যা থেকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক।
    ৫. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ও সাহবা আজমাইন এর কাজকে মুশরিকদের কাজ বলা, মুসলিমদের কাজ বলতে অস্বিকার। নাউযুবিল্লাহ
    আল্লাহ তায়ালা বলেন:
    আপনি যদি শিরক করেন আপনার আমাল বিনষ্ট হয়ে যাবে। এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তরভু্ক্ত হবেন।
    لئن اشركت ليحبطن عملك ولتكونن من الخاسرين
    হে নবী আপনি বলুন, আমি একনিষ্টভাবে আল্লাহরই ইবাদত করি। তোমরা তাকে ব্যাতিত যারই ইবাদত করনা কেন। (যুমার: ১৪,১৫)
    قُلِ اللَّهَ أَعْبُدُ مُخْلِصًا لَّهُ دِينِي، فَاعْبُدُوا مَا شِئْتُم مِّن دُونِهِ
    হে নবী আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমর জীবন, আমার মরণ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। তার সাথ কোন শরিক নাই। আমি এই ব্যপারেই নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি। এবং আমি সর্বপ্রথম মুসলমান। ১৬২-১৬৩
    قُلْ إنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْت وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
    ৬. বর্তমান গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন পদ্ধতিকে জিহাদ বলা।
    গণতন্ত্রযে একটি কুফর শিরকে ভরপুর মতবাদ, এবং ইসলাম ভিন্ন একটি দ্বীন/ আদর্শ তা জানতে দেখতে পারেন, শায়খ আসিম ওমর হাফিজাহুল্লাহ এর “আদয়ান কি জঙ্গ, দ্বীনে ইসলাম ইয়া দ্বীনে জমহুরীয়াত” নামক কিতবাটি । যার বাংলা অনুবাদ “গনতন্ত্র একটি দ্বীন”
    ৭. কুরআন-সুন্নার আলোকে জিহাদের অংশ গ্রহণকারীদের চরমপন্থি, ধোকাবাজ, ফেতনাবাজ বলে গালি দেওয়া।
    ৮. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম, সাহাবা আজামাইনদের আদর্শ কে বাদ দিয়ে অন্যকোন ব্যক্তির মত ও আদর্শ কে শুধু মাত্র এই অযুহাতে গ্রহণ করা যে সেটি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বা বিপরীত নয়। চাই সে অনুসৃত ব্যাক্তি কাফেরই হোক না কেন?

    অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন:
    لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة لمن كان يرجوا لله واليوم الآخرة
    তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সা: এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদরশ।
    قل ان كنتم تحبون الله فاتبعوني يحبب كم الله
    হে নবী আপনি বলুন যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালবাস, আমার অনুসরণ কর। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ভালবাসবেন। (সুরা: আলে-ইমরান:
    অন্যদের (ভিন্ন ধমালম্বীদের) মত-পথ গ্রহণ করতে নিষধ করে রাসূল সা: ইরশাদ করেন:
    হযরত যাবের রা: থেকে বর্ণিত হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা: আহলে কিতাবদের কিছু লিখনি নিয়ে রাসূল সা: এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন। ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! আমি কতক আহলে কিতাব থেকে কিছু সুন্দর বিষয়ে অবগত হয়েছি। হযরত জাবের রা: বলেন, তখন রাসূল সা: রাগান্তিত হয়ে বললেন। হে খাত্তাবের বেটা, তুমি এখনো্ সে গুলো নিয়ে পরে আছো। ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার জীবন। আমি তোমাদের নিকট এক সুভ্র/ পরিচ্ছ্ন্ন আদর্শ নিয়ে এসেছি। তোমরা তাদের কাছে কোন বিষয় জিজ্ঞাসা করবেনা। হতে পারে তারা সত্য বলবে, অথচ তোমরা তাকে মিথ্যা হিসেবে গ্রহণ করবে। অথবা মিথ্যা বলবে আর তোমার সেটি সত্য হিসেবে গ্রহণ করবে। শপথ্ ঐ সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, যদি মুসা আ: আজ জীবিত থাকতেন। আমার অনুসরণ ব্যতিত তার মুক্তির কোন পথ হতোনা।
    عَنْ جَابِرٍ ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِكِتَابٍ أَصَابَهُ مِنْ بَعْضِ الْكُتُبِ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ ، إنِّي أَصَبْتُ كِتَابًا حَسَنًا مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكِتَابِ ، قَالَ : فَغَضِبَ ، وَقَالَ : أَمُتَهَوِّكُونَ فِيهَا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً ، لاَ تَسْأَلُوهُمْ عَن شَيْءٍ فَيُخْبِرُوكُمْ بِحَقٍّ فَتُكَذِّبُوا بِهِ ، أَوْ بِبَاطِلٍ فَتُصَدِّقُوا بِهِ ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، لَوْ كَانَ مُوسَى كان حَيًّا اليَوم مَا وَسِعَهُ إلاَّ أَنْ يَتَّبِعَني. (مصنف ابن أبي شيبة، باب من كره النظر في كتاب اهل الكتاب، رقم الحديث: 26949)

    এই আলোচনায় আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে যে সকল সংশয় মনে হয়ছে তার কিছু এখানে উল্লেখ করেছি, আরো অনেক সংশয় সৃষ্টি কারি বস্তু রয়েছে। সম্মানিত আলেম ভাইদের নিকট এর উত্তর কামনা করছি।

    হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট কথার বিচ্যুতি থেকে এবং সকল প্রকার ফিতনা ও ভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই।
    اللهم ارنا الحق حقا وارزقنا اتباعه، و أرنا الباطل باطلا و ارزقنا اجتنابه
    و صلى الله تعالى على خير خلقه محمد و آله وصحبه اجمعين
    আল&#2509
    Last edited by Shirajoddola; 12-23-2017, 10:24 PM.

  • #2
    তাদেরকে আল্লাহর জন্য ঘৃণা করি। এরাই সবার আগে দাজ্জালকে মেনে নিবে।

    Comment


    • #3
      লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ।

      তাদেরকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি।

      Comment


      • #4
        যাজাকাল্লাহ ভাই। ভাই কোন মিডিয়ার ভাইয়েরা যদি এটাকে একটি ভিডিও অথবা অডিও তৈরি করতো আপনার মতো ব্যখ্যা করে তাহলে কেমন হত?

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ আখি

          Comment


          • #6
            যাজাকুমুল্লাহ অাখিঁ
            এই ভাবে সবার মাঝে প্রচার করলে,এই বিষয় গুলো দৃষ্টি গোচর হবে ইনশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              এই আলোচনায় আরও যত ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে যে সকল সংশয় রয়েছ তার সবকিছু যত দ্রুত সম্ভব আলেম ভাইদের অনুরোধ করছি একটা শক্ত দলিল সহ পিডিএফ ফাইল দেয়ার জন্য ।

              Comment


              • #8
                সকল যুগেই এসব ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে|আল্লাহ এচিরেই এদের মুখোশ উন্মোচন করে দিবেন|
                হে আল্লাহ এসব পীরের ফেতনা থেকে সকল মুসলিমকে হেফাজত করুন|আমীন..

                Comment


                • #9
                  যাজাকুমুল্লাহ অাখিঁ এই ভাবে সবার মাঝে প্রচার করলে,এই বিষয় গুলো দৃষ্টি গোচর হবে ইনশাআল্লাহ।

                  Comment


                  • #10
                    প্লিজ,ভিডিওর লিংকটি নতুন করে দিন।
                    ان المتقین فی جنت ونعیم
                    سورة الطور

                    Comment


                    • #11
                      ফোরামের রুলস অনুযায়ী বয়ানটির নতুন লিংক আশা করছি।
                      অপেক্ষায় রইলাম........................!
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহর জন্য এই ভন্ড নায়েবে আমীরকে আমি ঘৃণা করি!!

                        Comment


                        • #13
                          একজন ভাই ভিডিওর লিংক দিলে উপকার হয়।
                          والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                          Comment


                          • #14
                            ইসলামের নামে চরমোনাইদের ভয়ংকর কিছু অপব্যাখ্যা ও তার প্রামাণ্য খণ্ডন


                            ১ নং মন্তব্য :
                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :
                            বর্তমান জমানায় যেহেতু তলোয়ারের যুদ্ধ, মুখোমুখি যুদ্ধ, এটা এখন অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সশস্ত্র বিপ্লব অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যেহেতু চৌদ্দশ বছরের আগের অবস্থা, পাঁচশ বছরের আগের অবস্থা, একশ বছরের আগের অবস্থা এক নয়। ...এই মুহূর্তে এই জমানায় কেউ যদি মনে করে, আমরা সশস্ত্র বিপ্লব করব, আমি বলব, তুমি সশস্ত্র বিপ্লব করতে পারবে না, তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো, তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো। এজন্য দেখেননি, যারা এই সশস্ত্র বিপ্লব করতে চেয়েছে, একজনও বাঁচেনি; বরং আমাদের দেশটাকে সন্ত্রাসীকে বানিয়ে তারা এখন জেলখানায় ভোগে আর ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুর্নামগ্রস্ত হয়েছে।
                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=iYJIOY0RQ9s
                            (ভিডিওর প্রথম অংশ)

                            খণ্ডন :
                            এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে আপনি ইসলামের অন্যতম একটি ফরজ বিধান ‘কিতাল’কে অস্বীকার করেছেন। আপনি দাবি করেছেন, চৌদ্দশ বছরের আগের অবস্থার সাথে যেহেতু বর্তমান জমানার মিল নেই, তাই এ যুগে চৌদ্দশ বছরের আগের মতো সশস্ত্র জিহাদ তথা কিতালের অনুমতি নেই; বরং এ যুগে এটা করলে নাকি সন্ত্রাসবাদ হবে! অস্ত্রের মাধ্যমে এখন জিহাদ করা নাকি আত্মঘাতী হামলা বলে বিবেচিত হবে!! নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক!
                            কুরআন, সুন্নাহ ও ফিকহের গ্রন্থসমূহে ব্যবহৃত ‘কিতাল’ দ্বারা সশস্ত্র সংগ্রাম বা যুদ্ধ বুঝানো হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে কোনো আলিমের মতানৈক্য নেই। তাহলে কুরআনের যেসব আয়াতে কিতালের কথা এসেছে, সেসব আয়াত কি শুধু ১৪০০ বছর পর্যন্ত কার্যকর ছিল? এর পরে কি এসব আয়াত অকার্যকর বলে বিবেচিত হবে? পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো মুফাসসির কি গত হয়েছেন, যিনি কিতালের এসব আয়াতের এমন ব্যাখ্যা করেছেন? এসব আয়াতের ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? এগুলো কি আগেই রহিত হয়ে গেছে? নাকি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যকর থেকে বর্তমান যুগে রহিত হয়েছে?

                            তাহলে নিম্নোক্ত এ আয়াতগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী???
                            {قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
                            ‘তোমরা যুদ্ধ করো আহলে কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ইমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম; যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিজিয়া প্রদান করে।’ (সুরা তাওবা : ২৯)

                            {وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ فَإِنِ انْتَهَوْا فَإِنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
                            ‘আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো; যতক্ষণ না ফিতনা (তথা কুফর ও শিরক) শেষ হয়ে যায় এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।’ (সুরা আনফাল : ৩৯)

                            يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ حَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى الْقِتَالِ إِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ عِشْرُونَ صَابِرُونَ يَغْلِبُوا مِائَتَيْنِ وَإِنْ يَكُنْ مِنْكُمْ مِائَةٌ يَغْلِبُوا أَلْفًا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَفْقَهُونَ
                            ‘হে নবি, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন সশস্ত্র জিহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দুইশর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফিরের ওপর; এজন্য যে, ওরা কিছু বোঝে না।’ (সুরা আনফাল : ৬৫)

                            নিম্নেবর্ণিত এসব বিশুদ্ধ হাদিসের ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কী???

                            لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
                            ‘কিয়ামত পর্যন্ত সর্বদা আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে সশস্ত্র জিহাদ করতে থাকবে, অবশেষে ইসা আ. অবতরণ করবেন।’ (সহিহু মুসলিম : ১/১৩৭, হা. নং ১৫৬)

                            لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ عَلَى مَنْ نَاوَأَهُمْ، حَتَّى يُقَاتِلَ آخِرُهُمُ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ
                            ‘আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের পক্ষে সশস্ত্র জিহাদ করতে থাকবে এবং তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে। অবশেষে তাদের সর্বশেষ দলটি ইসা আ.-এর নেতৃত্বে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।’ (সুনানু আবি দাউদ : ৩/৪, হা. নং ২৪৮৪)

                            لَا تَبْرَحُ عِصَابَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ لَا يُبَالُونَ مَنْ خَذَلَهُمْ وَلَا مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ عَلَى ذَلِكَ
                            ‘আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে সশস্ত্র জিহাদ করতে থাকবে। তাদেরকে যারা অপমান করতে চাইবে বা বিরোধিতা করতে চাইবে, তারা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিয়ামত আসা পর্যন্ত তারা এ অবস্থায়ই অটল থাকবে।’ (আল-মুজামুল কাবির, তাবারানি : ১৯/৩৮৬, হা. নং ৯০৫)

                            বি. দ্র. : অনেকে বলতে পারেন, উনি তো সরাসরি কিতালকে অস্বীকার করেননি। তাহলে আপনি তার ওপর এ অভিযোগ কীভাবে করলেন যে, তিনি কিতাল অস্বীকার করেছেন। এর জবাবে বলতে হয়, আপনি সম্ভবত তার সব বক্তব্য শুনে দেখেননি। উনার সব বক্তব্য ভালো করে শুনে দেখুন, উনি শুধু কিতালকে অসম্ভবই বলেননি, বরং বলেছেন, যারা এ যুগে সশস্ত্র বিপ্লব বা কিতাল করবে, তারা নাকি আত্মঘাতি হামলা বা সন্ত্রাসবাদ করতে পারবে। এটা নাকি জিহাদ হবে না। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক।

                            এতে শুধু কিতাল অস্বীকারই করা হয় না; বরং কিতালের ব্যাপারে স্পষ্ট অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্যও প্রকাশ পায়। এটাও যদি অস্বীকৃতি না হয়, তাহলে বলা যায়, পৃথিবীতে কেউ কোনোদিন কিতালকে অস্বীকার করেনি। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি ক্লিয়ার হবে।

                            যেমন দেখুন, ভ্রান্ত ফিরকা আহলে কুরআন বলে, 'হাদিস' শরিয়তের একটি দলিল, তা আমরা মানি। কিন্তু রাসুল সা.-এর ওফাত পরবর্তী সময়ে এতে বিভিন্ন পরিবর্তন ও বিকৃতি চলে আসায় এখন তা মানা সম্ভব নয়। এভাবেই কিন্তু তারা হাদিস অস্বীকার করে, সরাসরি অস্বীকার করার কথা বলে না। তারপরও কিন্তু উলামায়ে কিরাম তাদের নাম দিয়েছেন মুনকিরিনে হাদিস বা হাদিস অস্বীকারকারী।

                            তাহলে চরমোনাইয়ের পির সাহেব যখন কিতালকে অসম্ভব বলছে, এটাকে সন্ত্রাসবাদের সাথে তুলনা করছে, তখন এটাকে কেন অস্বীকৃতি বলা হবে না? অসম্ভব বলা মানেই তো প্রকারান্তরে এ দাবি করা যে, একসময় কিতালের বিধান থাকলেও এখন তা করা যাবে না। করলে বরং আত্মঘাতী হওয়ার গোনাহ হবে। তাই মুখে যতই বলুক আমি কিতাল অস্বীকার করি না, কিন্তু এটাকে অসম্ভব ও সন্ত্রাসবাদ বলায় বস্তুত এটাকে অস্বীকারই করা হলো। এসব ক্ষেত্রে তো তাগুত ও কাফিররাও কিন্তু এভাবে বলে না যে, ইসলামে জিহাদ বা কিতাল নেই। তারাও এসবের মৌখিক স্বীকৃতি দিয়ে এর এমন অপব্যাখ্যা দাঁড় করায় যে, তা কিতাল অস্বীকারেরই নামান্তর। তাই দলীয় ভক্তির উর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তার বক্তব্যগুলো শুনলে খুব সহজেই বুঝে আসবে যে, পির সাহেব তার এসব বক্তব্যের মাধ্যমে কিতালকে অস্বীকার করেছেন।


                            ২ নং মন্তব্য :

                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :

                            আমরা আগেই বলছি আমরা দাওয়াত নিয়ে যাই মানুষের কাছে। আর মানুষ যদি ইসলাম নাই বুঝে তাহলে ইসলামটা কায়েম করব কী? ইসলাম কায়েম করব কী? কী কথা ঠিক না? এজন্য আমরা চাই, আব্বাজানা রহ. বলতেন, আমি নির্বাচন করি না, আমি জিহাদ করি। আমি কী করি? আল্লাহর শোকর এটার বাস্তব নমুনাও আছে। হাজি তোফাজ্জল হোসেন সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি। হোসেন স্প্রিং এর মালিক। হোসেন টায়ারের মালিক। এ যে হোসেন টায়ার দেখেন না? হোসেন স্প্রিং? বহু কোটি কোটি টাকার মালিক। চট্টগামের একজন ব্যবসায়ী। চরমোনাইয়ের খাস মুরিদ ছিল। ফানা ফিশ শায়েখ ছিল। আব্বাজান রহমাতুল্লাহি আলাইহি যা বলতেন, নির্বিঘ্নে মেনে নিতেন। দ্বিতীয় প্রশ্ন করতেন না। ১৯৯১ সালে আব্বাজান বললেন, তাফাজ্জুল হোসেন সাহেব, -উনার বাড়ি হলো মুন্সিগঞ্জ- আপনি গিয়ে নির্বাচন করেন। বলল, হুজুর, আমার বাড়ি তো মুন্সিগঞ্জ, থাকি আমি চট্টগ্রামে। আমাকে কেউ চিনে না। আমি কী নির্বাচন করব? আব্বাজান বললেন, যান মিয়া, জিহাদের নিয়তে দাঁড়াইয়া যান। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করেননি। উনি চলে গেলেন। যাওয়ার পরে উনি পোস্টার ছাপাইয়া বললেন, ভাই, আমি নির্বাচন করতে আসিনি। হুজুর বলছে, ইসলামের বাক্স নিয়ে জিহাদে শরিক হয়ে যাও। আমি জিহাদ করার জন্য আসছি। ১৯৯১ সাল। তার নিজের প্রতিষ্ঠিত এক মাদরাসার সামনে এরকম নির্বাচনী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তার বুকের ভিতর পেইন উঠল। তিনি বললেন, আমাকে একটু ভিতরে নিয়ে যাও। ধরাধরি করে তাকে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলো। কালিমা পড়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গেল। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর পড়ল, দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গেল। তাকে দাফন করা হলো। মুন্সিগঞ্জ পদ্মানদী ভেঙে গেছে, আপনারা জানেন। বহু জায়গা ভেঙে গেছে। চার বছর আট মাস পর পদ্মার ভাঙ্গনে যখন তার কবর ভেঙে গেল, দেখা গেল, তার কবরের ভেতর লাশ একেবারে তাজা, একবোরে তাজা।

                            আমরা নির্বাচন করি না, আমরা জিহাদ করি। আমরা কী করি? এটা নির্বাচন নয়, এটা আমাদের জিহাদ। এই জিহাদে যারা অংশগ্রহণ করবে তারাই হলো মুজাহিদ। এতে যারা খরচ করবন, সময় দেবেন, সবকিছু করবেন, তাদের প্রত্যেকটা সময়, প্রত্যেকটা সেকেন্ড আল্লাহর দরবারে নেকের মধ্যে লেখা হতে থাকবে।

                            مثل المجاهد في سبيل الله كمثل الصائم القائم القانط لا يقتر من صيامه ولا صلاته حنى يرجع المجاهد في سبيل الله
                            মুজাহিদ যতক্ষণ আল্লাহর রাস্তায় থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের আমলনামায় সওয়াব লেখা হইতে থাকবে। এই মুজাহিদ কোন মুজাহিদ? যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমত কায়েম করার জন্য সাধনা করবে তারাই হলো এই মুজাহিদের অন্তর্গত। যারা অন্য কোনো কাজ করার জন্য নামবে তারা এই হাদিসের মেসদাক (প্রয়োগক্ষেত্র) এর মধ্যে পড়তে পারে না। এত সহজ মনে করবেন না। কী, কথা ঠিক না?
                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=iYJIOY0RQ9s
                            (ভিডিওর শেষের অংশ)


                            খণ্ডন :
                            এ বক্তব্যের প্রথমে আপনি নির্বাচনকে জিহাদ বলে ঘোষণা দিলেন। তারপর সপক্ষে দলিল দিলেন, একজন প্রার্থী নির্বাচনের প্রচারণার সময় মারা গেলে, চার বছর পর তার কবর খোঁড়া হলে দেখা গেল, তার লাশ পঁচেনি। এরপর সর্বশেষ দাবি করলেন, যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে, তারাই একমাত্র মুজাহিদ, অন্য কোনো পদ্ধতিতে কাজ করলে তারা মুজাহিদ বলে বিবেচিত হবে না। এজন্য নির্বাচনকালীন ব্যয় হওয়া প্রতিটি টাকা, সময় ও শ্রম সব জিহাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

                            এখানে প্রথম যে তাহরিফ করলেন, সেটা হলো কুফরি সিস্টেমকে শুধু ভালো নিয়তে ব্যবহারের কারণে জিহাদ বলে দাবি করলেন। আপনি কি জানেন, জিহাদের শরয়ি সংজ্ঞা কী? প্রকৃত অর্থে জিহাদ তো সশস্ত্র সংগ্রামকেই বলে। অর্থাৎ কিতাল ও শরয়ি জিহাদের অর্থ একই। ফুকাহায়ে কিরাম জিহাদের সংজ্ঞা নিরূপণ করেছেন এভাবে :
                            هو بذل الجهد من المسلمين في قتال الكفار المعاندين المحاربين والمرتدين والبغاة ونحوهم لإعلاء كلمة الله تعالى
                            অর্থাৎ সীমলঙ্ঘনকারী যোদ্ধা কাফির বা ধর্মত্যাগী বা বিদ্রোহী বা এ জাতীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সশস্ত্র সংগ্রমাকে জিহাদ বলা হয়।

                            চার মাজহাবের ফকিহ ও মুহাদ্দিস সবাই এমন সংজ্ঞাই বর্ণনা করেছেন। দেখুন –বাদাই্উস সানায়ি : ৭/৯৭, ফাতহুল বারি : ৬/২, মুনতাহাল ইরাদাত : ২/২০৩, আল-ইকনা : ২/৬১, আর –রাওজুল মুরবি : ৪/২৫৩, সুবুলুস সালাম : ৭/৩৩৭, নাইলুল আওতার : ৫/৬, আল-মুগনি : ১৩/১০, আল-মুকনি মাআশ শরহিল কাবির : ১০/১২, আশ-শারহুল মুমতি : ৮/৮

                            এছাড়াও ফুকাহায়ে কিরাম ও মুহাদ্দিসিনে কিরাম ‘জিহাদের অধ্যায়’ বলে যে শিরোনাম দেন, তাতে কি কখনো দেখেছেন, সশস্ত্র জিহাদ ছাড়া তাতে আভিধানিক বা হুকমি জিহাদের কোনো মাসআলা বা হাদিস বর্ণনা করেছেন? এতে কি স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় না যে, তাঁরা জিহাদ বলতে শুধু সশস্ত্র সংগ্রামকেই বুঝিয়েছেন? সবাই জিহাদ মানে এটাই বুঝেছে। কিন্তু আপনি জিহাদকে এমন এক অর্থে ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন, যার সাথে শরয়ি অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই।

                            আপনি বলতে পারেন, এটা শরয়ি অর্থে জিহাদ না হলেও আভিধানিক অর্থে বা হুকমি অর্থে তো জিহাদ ঠিক আছে। তাহলে এতে দ্বীনের বিকৃতি কীভাবে হলো? আমি বলব, আপনি যখন কোনো বিধানের ব্যাপারে কথা বলবেন, তখন তথায় তার পারিভাষিক বা শরয়ি অর্থই উদ্দেশ্য হয়, আভিধানিক অর্থ নয়। যেমন আপনি বললেন, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ। এখানে কেউ যদি এ কথাটি এভাবে প্রচার করে যে, দৈনিক পাঁচবার নিতম্ব দোলানো (নাচানাচি করা) ফরজ, তবে আপনি কি তাকে বিকৃতিকারী বলে অভিহিত করবেন না? অবশ্যই করবেন। কারণ, আভিধানিকভাবে ‘সালাত’ এর একটি মূলক্রিয়ার অর্থ নিতম্ব দোলানো হলেও এখানে তার আভিধানিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়। আপনি এখানে যে জবাব দেবেন, আমরা আপনার উত্থাপিত কথার জবাবেও তাই-ই বলব। অনুরূপ জিহাদ যদি আভিধানিক অর্থেই নিতে চান, তাহলে তো কুফরের জন্য প্রচেষ্টাকেও তো কুরআনে আভিধানিক অর্থে জিহাদ বলেছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :

                            وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا
                            ‘পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরিক স্থির করতে প্রচেষ্টা চালায়, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে।’ (সুরা লুকমান : ১৫)

                            তাহলে কুফরের জন্য প্রচেষ্টা করাকে কি আপনি জিহাদ বলবেন? কুরআনে তো এখানে ‘জিহাদ’ শব্দ ব্যবহার করেছে। তাই শরয়ি মাসআলা বয়ানের জায়গায় আভিধানিক অর্থ প্রয়োগের কোনো অবকাশ নেই।
                            যদি বলতে চান, দ্বীন কায়েমের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রকৃত শরয়ি অর্থে জিহাদ বলা না হলেও হুকমিভাবে তো জিহাদ বলা যেতে পারে।

                            আমি বলব, প্রথমত সেটার জন্য আপনার চয়িত পন্থাটি শরিয়া অনুমোদিত হতে হবে। আপনি যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে হুকমি জিহাদ বলতে চাচ্ছেন, তা তো শরিয়া অনুমোদিত প্রচেষ্টাই নয়। কুফরমিশ্রিত পদ্ধতি কীভাবে দ্বীন কায়েমের পথ হতে পারে!?? শুধু নিয়ত ভালো থাকার কারণে যদি কোনো নাজায়িজ কাজ জায়িজ হতো, তাহলে তো সুপথে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে বেশ্যাখানায় যাওয়া এবং প্রয়োজন হলে তাদের সাথে বিছানায় যাওয়াও জায়িজ হয়ে যাবে। কারণ, কাজ ও পন্থা হারাম হলেও উদ্শ্যে বা নিয়ত তো ঠিক আছে!! এটাই কি আপনার ইসলাম? আপনার শরিয়ত কি এমন কাজের আদেশ বা অনুমোদন দিতে পারে??

                            দ্বিতীয়ত, হুকমি জিহাদ হলে সেটাকে এত প্রচার ও মানুষকে এটার প্রতি এত আহবান করা হচ্ছে কেন? এটা যে আসল জিহাদ নয়, এ কথা কি আপনার মুখ থেকে একবারও বের হয়েছে? আসল জিহাদের ব্যাপারে নীরব থেকে শুধু আপনার হুকমি জিহাদের জন্য এত জোরপ্রচেষ্টা কেন? আসলটার জন্যই কি আপনার অধিক প্রচেষ্টা থাকা উচিত ছিল না? আগুনে পুড়ে বা পানিতে ডুবে মারা গেলে সে হুকমি শহিদ। তাই বলে কি আপনি আল্লাহর কাছে এ দুআ করতে পারবেন যে, আল্লাহ, তুমি আমাকে আগুনে পুড়িয়ে মারো, আমাকে পানিতে ডুবিয়ে মারো? আপনি কিন্তু এ দুআ করেন না, এমন দুআ কোনো মুমিন করতে পারে না। এখানে দুআ করা হয়, হে আল্লাহ, আমাকে জিহাদের ময়দানে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় শাহাদত দান করুন। কারণ, সবাই জানে যে, এটাই আসল শাহাদত। আর অন্যগুলো হুকমি বা শুধু সান্ত্বনামূলক শাহাদত, আসল শাহাদত নয়।

                            তৃতীয়ত, আপনি এটা হুকমি জিহাদ বললে আসল জিহাদকে সন্ত্রাসবাদ বলছেন কেন? আপনি আসল জিহাদ করতে পারছেন না, সেটা আপনার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু যারা এ কাজ করছেন এবং কাফির ও তাগুতদের জন্য ভীতি সৃষ্টি করছেন, তাদেরকে সন্ত্রাসী বলার কোনো অধিকার আপনার নেই। আপনার জিহাদে তাগুত ভয় পায় না। কারণ, তারা জানে, এটা আসল জিহাদ নয়। এ জিহাদের দ্বারা আপনি তাদের একটি পশমও নাড়াতে পারবেন না। তাই তাদের পছন্দনীয় এ জিহাদ তারা আপনাকে খুশি মনেই করতে দেবে। কিন্তু আসল জিহাদ যারা করছে, তাদের সামান্য একটি ধুলিকণার সমানও হবে না আপনার জিহাদ। কারণ, তাদের কুরবানি আর রক্তের কারণেই তাগুতের দৃষ্টি আপনার পর্যন্ত এখনও পৌঁছেনি। তাঁরা না থাকলে আজ আপনাদের জান আর মা-বোনদের ইজ্জত ঠিক থাকত কিনা, যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর এসব কোনোমতে ঠিক থাকলেও ইসলামের কোনো বিধান পালন করতে পারতেন না। বৈশ্বিক বিষয়ে খবর না রেখে, বাস্তবতা না বুঝে কিছু মুরিদের সামনে কয়েকটা গরম বক্তৃতা করলেই ইসলাম কায়েম হয়ে যায় না। এর জন্য চাই রাসুলের দেখানো পথে আপনার তপ্ত রক্ত। আপনি রাসুলের সে দেখানো পথেও নেই, আবার তপ্ত রক্ত দেওয়ার ময়দানেও নেই; তাহলে এটা কীসের জিহাদ। এমন নকল জিহাদের বয়ান দিয়ে উম্মতকে বিভ্রান্ত করবেন না। মানুষের আবেগকে পুঁজি করে নিজেদের আখের গোছানোর ফিকির করবেন না। জনসাধারণের ইসলামপ্রিয়তাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করবেন না। এসব বন্ধ করুন। এবার সত্য জানার সময় চলে এসেছে। হকের আলোয় আপনাদের তাহরিফ বা দ্বীন বিকৃতির বিবরণ প্রকাশ হওয়া শুরু হয়েছে। আল্লাহ আপনাদের সত্যের পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।


                            ৩ নং মন্তব্য :

                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :

                            গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিস নয়। গণতন্ত্র আর নির্বাচনের মাঝে আসমান-জমিন পার্থক্য। এ জায়গায় আমরা ভুল ধারণা করি। গণ মানে জনগণ, তন্ত্র মানে আইন। জনগণের আইন। তার মানে বাই দ্যা পিপল, অব দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল। আর আমরা কী বলতেছি? বাই দ্যা আল্লাহ, অব দ্যা আল্লাহ, ফর দ্যা আল্লাহ। আমি তো আগেই বলেছি, আমি গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাই না। আমাকে নির্বাচিত করো, আমি ইসলাম বাস্তবায়ন করতে চাই। তো আমি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, এটা আপনাকে বলছে কে? এটা ভুল থিম। এখানেই মারাত্মক ভুল। বরং বর্তমান জমানায় সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামি হুকুমত কায়েম করা খুবই কঠিন, মহাল, সম্ভব নয়। আমি তো আগেই বলেছি, আমাকে নির্বাচিত করো, আমি কী বাস্তবায়ন করব? ইসলাম। তো আমি গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করব, এটা আপনি পেলেন কোথায়? এটা কোথায় পেলেন আপনি? বরং বর্তমান জমানায় সশস্ত্র বিপ্লবর মাধ্যমে ইসলামি হুকুমত কায়েম করা খুবই কঠিন, মহাল, সম্ভব নয়।
                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=pUrhv5Ymwbw (ভিডিওর প্রথম অংশ)


                            খণ্ডন : আপনি গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিসি নয় বলে কী বুঝাতে চাচ্ছেন? এটা তো কমন বিষয় যে, গণতন্ত্র আর নির্বাচন এক জিনিস নয়। আপনার কথা থেকে বুঝা যায়, গণতন্ত্রে কুফরি নীতি থাকায় তা কুফরি ঠিক আছে। কিন্তু নির্বাচনে তো কোনো কুফরি নেই। আর এ নির্বাচনে জেতার পর যেহেতু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে না; বরং ইসলামি হুকুমত কায়েম করা হবে, তাই গণতন্ত্রের মতো নির্বাচনকেও কুফরি বলা ভুল ধারণা।
                            আমি বলি, এটাও আপনার চরম এক ভ্রান্তি যে, নির্বাচনকে গণতন্ত্রের হুকুম থেকে ভিন্ন কিছু ভাবা। এমনিতে নির্বাচন শরিয়তে নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু নির্বাচন যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়, নির্বাচনে যদি কুফরি তন্ত্রের মিক্স থাকে, তাহলে এটাকে সাধারণ নির্বাচন বলে জায়েজ বলার কোনো অবকাশ নেই। আপনি যখন গণতান্ত্রিক সিস্টেমে নির্বাচনে অংশ নিবেন, তখন তো আপনাকে গণতন্ত্রের সকল রুলস ও নীতিমালা মেনেই মনোনয়ন নিতে হবে। আপনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান বলে তাদের লিখিত স্বীকৃতি দিতে হবে। আপনি গণতন্ত্র রক্ষায় একজন আদর্শ সৈনিক হবেন বলে বক্তৃতাও করতে হবে। এসব কি কুফর নয়? এগুলো কি কুফরকে প্রমোট করা নয়?? বাহ্যক দৃষ্টিতে হলেও এসব কি তাগুতদের পাল্লাকে ভারী করা নয়???

                            এখানে আপনার জন্য কুফরে লিপ্ত হওয়া কেন জায়েজ হবে? শরিয়তের কোন মূলনীতির আলোকে আপনার জন্য এখানে কুফরে লিপ্ত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? শুধুমাত্র ইকরাহ বা অস্ত্রের মুখে বাধ্য করা হলেই তো কুফরে লিপ্ত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আপনাকে এখানে কে অস্ত্রের মুখে কুফরে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছে? ভালোর মন্দ নীতি যে এখানে প্রযোজ্য নয়, তা আমি পূর্বে আরেকটি লেখায় দলিলভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট করেছি।

                            অতএব, গণতন্ত্র আর নির্বাচনকে ভিন্ন প্রমাণ করে আপনি উভয়ের বিধান আলাদা করার যে পাঁয়তারা করেছিলেন, তা সফল হলো না। মুল কুফর হলে তার শাখাও তো কুফরই হবে। আপনি গণতন্ত্রকে কুফর বলে স্বীকার করছেন, অথচ তার শাখা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে কুফর বলে স্বীকার করছেন না; বরং জায়েজ বলছেন! বড় আজিব আপনার ফতোয়া!!

                            আর আপনি গণতন্ত্রের যে সংজ্ঞা দিলেন, তা তো গণতন্ত্র নয়। এটা আপনার নিজস্ব একটি সংজ্ঞা। আপনি যখন গণতন্ত্রের রুলস ভেঙে আপনার মতো করে রাষ্ট্র চালাবেন, তখন আপনি কী করে ভাবলেন যে, গণতন্ত্রের তল্পীবাহকরা আপনাকে ছেড়ে কথা বলবে? আমেরিকা, ইংল্যান্ড কেন বসে থাকবে? ভারত কেন আপনার কথা মেনে নেবে? আপনি কি এদের মোকাবেলা করে আপনার রাজত্ব টিকিয় রাখতে পারবেন? কক্ষনো পারবেন না। একদিনও পারবেন না। মুসলিম ব্রাদারহুড সর্বদিক থেকে আপনাদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ও শক্তিশালী। তারা গণতন্ত্রের রুলস ভাঙার ঘোষণাও দেয়নি। জাস্ট কয়েকটা আইন ইসলামি করেছিল। একবছরও টিকল না। আপনি যদি মনে করেন, কয়েক বছর শাসন করে ভেতরে ভেতরে নিজেদের শক্তি অর্জন করে নেব। তো আমি বলব, আপনি এটা করতে পারবেন না। কারণ, এটা গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র নয়। আপনাকে দেশের আইন মেনেই সব করতে হবে। গোপনে তেমন কিছুইকরতে পারবেন না। তাছাড়াও আপনি যে কয়েক বছর এ প্রস্তুতি নিবেন, সে কয়েক বছর তো আপনাকে কুফরি সিস্টেমেই শাসনকার্য পরিচালনা করতে হবে। ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর উদ্দেশ্যে আপনার জন্য কি এভাবে লাগাতার কুফরি জারি রেখে, শত কুফরের আইনে সম্মতি জানিয়ে, কুফরের মধ্যে দিনরাত কাজ করার অনুমতি আছে? এভাবে আদৌ হবে না, এটা আপনিও বুঝবেন। এটার জন্য আপনার আইনাস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে আপনাদের এসব লম্পঝম্প আখেরে তো সব বৃথাই যাবে। আর আপনি যে সশস্ত্র সংগ্রামকে অসম্ভব ভাবছেন, তা অনেক আল্লাহর বান্দা সম্ভব করে দেখাচ্ছেন, যারা আপনার মতো এত হিকমতি আর দুর্বল চিত্তের অধিকারী নয়। অতএব, আপনার এসব অলীক কল্পনার ফানুস দিয়ে আপনার কুফরি তন্ত্রকে ইসলাম কায়েমের মাধ্যম বানানোর অনুমোদন কিছুতেই হতে পারে না।


                            ৪ নং মন্তব্য :

                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :

                            আর সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য শর্ত হলো স্বকীয়তা এবং সতন্ত্রতা, গোপনীয়তা। আর বর্তমান জমানায় গোপনীয়তা রক্ষা করা খুবই কঠিন, জটিল এবং মহাল। এটা সম্ভব নয়।

                            এজন্য দেখেন, গোটা দুনিয়ায় বর্তমানে সশস্ত্র বিপ্লব টিকেনি, টিকতে পারে না। এজন্য পূর্ব বাংলাদেশ কমনিস্ট পার্টি, সর্বোহারা সাকসেস হতে পারেনি। বরং আমাদের দেশের যে সমস্ত সন্ত্রাসরা ইসলামকে সামনে নিয়ে ইসলামকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছে, তারাও টিকতে পারেনি। তাদের বাচ্চা ও পোনা ডিমসহ সব এরেস্ট হয়ে গেছে।

                            তাহলে কি ইসলাম বন্ধ হয়ে যাবে? না, ইসলাম বন্ধ হবে না। মোকাবেলায় আরেকটা চলে আসবে। সেটা কী? বর্তমানে সবচেয়ে সুন্দর পদ্ধতি হলো নির্বাচন। নির্বাচনের চেয়ে ভালো কোনো পদ্ধতি দেখছি না। ইখতিলাফ নেই। সমস্ত উলামায়ে কিরামের ইজমা হয়ে গেছে। আপনি ইখতিলাফ করছেন কেন? পাকিস্তানের উলামায়ে কিরামের ইজমা, ভারতের উলামায়ে কিরামের ইজমা, বাংলাদেশের উলামায়ে কিরামের ইজমা। গোটা দুনিয়ার উলামায়ে কিরামের এখন নির্বাচনের ব্যাপারে ইজমা হয়ে গেছে।

                            সবচেয়ে বড় কথা হলো, জিহাদ শব্দের অর্থই তো ‘আল-জিহাদু হুয়াদ দুআউ ইলা দ্বীনিল হক’। জিহাদ তো দ্বীনে হকের দিকে দাওয়াত দেওয়া। আর নির্বাচনের মাধ্যমে যত সুন্দরভাবে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া যায়, এত সুন্দর পদ্ধতি বর্তমানে দ্বিতীয় কোনোটি নেই। ঘরে ঘরে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে দাওয়াত দেওয়া যায় নির্বাচনের মাধ্যমে।

                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=pUrhv5Ymwbw (ভিডিওর মাঝের অংশ)


                            খণ্ডন :
                            মানতেকের কিতাবে পড়ানো হয়, “জগত পরিবর্তনশীল। আর সব পরিবর্তনশীল বস্তু ধ্বংসশীল। অতএব বিশ্ব ধ্বংসশীল।” সুন্দর যুক্তি। কারণ, কথাগুলো বাস্তব। এর ভিত্তি আছে। তাই ফলাফলও সঠিক এসেছে। আপনিও সম্ভবত এ ধরনের যুক্তি প্রয়োগ করতে চেয়েছেন। প্রথমে বলেছেন, সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য স্বকীয়তা ও গোপনীয়তা শর্ত। আর বর্তমান যুগে স্বকীয়তা ও গোপনীয়তা সম্ভব নয়। অতএব বর্তমানে যুগে সশস্ত্র সংগ্রামও সম্ভব নয়। বাহ! এত সুন্দর যুক্তি!! এত মানতেকের প্রয়োগ!!!

                            প্রথম কথা হলো, আপনি কোথায় পেয়েছেন যে, সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য স্বকীয়তা ও গোপনীয়তা শর্ত। এটা ফিকহের কোন কিতাবে আছে? কোন ফকিহ বলেছেন? নাকি এটা আপনার বানানো শর্ত? আপনার বানানো শর্ত হয়ে থাকলে এটাকে মানুষের কাছে শরিয়তের শর্ত বলে প্রচার করছেন কেন? এটা কি স্পষ্ট ধোঁকাবাজি নয়??
                            দ্বিতীয়ত, আপনি নিজের দাবির পক্ষে দলিল দিয়েছেন যে, গোটা দুনিয়ায় বর্তমানে নাকি সশস্ত্র বিপ্লব টিকেনি এবং টিকতে পারে না। এটা বলে আপনার নিজের মূর্খতা প্রকাশ না করলেও পারতেন। নিজেদের ব্যর্থতা অন্যদের ওপর চাপাচ্ছেন কেন?? আপনাকে কে বলল, পৃথিবীর কোথাও সশস্ত্র সংগ্রাম নেই বা থাকলেও টিকে থাকতে পারছে না। তাহলে বর্তমান বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশ লক্ষাধিক বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ভূমি যেসব সশস্ত্র যোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করছে, সেগুলো কি পৃথিবীর মানচিত্রের বাহিরে? এসব যোদ্ধাদের উত্থান তো বেশিদিন হয়নি, মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ বছর হলো। এরই মধ্যে তারা দুনিয়ার তাবৎ তাগুতি শক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিশাল বিশাল ভূখণ্ডে ইসলামি শাসন চালু করেছে। আর আপনাদের ইসলামি গণতন্ত্রের যাত্রার আজ প্রায় শতবর্ষ হতে চলল। আজ পর্যন্ত কি পৃথিবীর এক বর্গকিলোমিটার ভূমিতেও ইসলামি শাসন কায়েম করে দেখাতে পেরেছেন? এটা তো চরম ব্যর্থতা ও নিচু মানসিকতার পরিচায়ক যে, নিজেদের ভুল স্বচক্ষে দেখার পরও তা থেকে ফিরে তো আসছেনই না; উল্টো যারা সহিহ মানহাজে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে সন্ত্রাসী ও ব্যর্থ বলে নিজেদের লজ্জা ঢাকবার চেষ্টা করছেন!! ধিক্কার জানাই এমন মানসিকতাকে। ঘৃণা করি এমন জঘন্য অপবাদকে। সত্যের আলো দেখেও যারা না দেখার ভান করে, তাদের চেয়ে হতভাগা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ নেই।

                            এরপর আপনি বিশ্ব প্রেক্ষাপটকে বাংলাদেশের সর্বোহারা, কমিউনিস্ট ইত্যাকার বাহীনির সাথে মিলিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, এসবই হলো সন্ত্রাসবাদ এবং এ পথে কোনোদিন সফলতা আসবে না। আপনার দৃষ্টি ও চিন্তাশক্তি এত দুর্বল, আপনার এসব বয়ান না শুনলে হয়ত কোনোদিনও জানা হতো না। এটা ঠিক যে, বাংলাদেশে যারা কাজ করেছে, তাদের কৌশলগত কিছু ভুল ছিল, তাই বলে আপনি তাদের প্রতি ঘৃণার যে বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন, তা সত্যিই ঘৃণাযোগ্য। তারা কৌশলগত কিছু ভুল করলেও আপনাদের মতো কুফরি তন্ত্রকে বেছে নেয়নি। আর বৈশ্বিক একটি আন্দোলনকে আপনি বিচ্ছিন্ন দুএকটি ঘটনা দ্বারা পরিমাপ করার অধিকার রাখেন না। করলে তা হবে আপনার চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দিন।
                            এরপর আপনি সশস্ত্র জিহাদকে আপনার যুক্তিতে অসম্ভব প্রমাণ করে দাবি করলেন যে, বর্তমান সময়ে নির্বাচন হলো সবচেয়ে সহজ ও উত্তম পদ্ধতি। আর এ মাসআলায় নাকি উম্মতের ইজমা হয়ে গিয়েছে।

                            আপনার এসব হাস্যকর উক্তির খণ্ডন করার আদৌ প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ইজমা কাকে বলে, তা কি জানেন? গোটা দুনিয়ার ইজমা বলতে আপনি কাদের কথা বলতে চাচ্ছেন? কয়েকটি মাদরাসার ফতোয়া পেলেই ইজমা হয় যায়? আপনি কি জানেন, আরব, মিশর, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়াসহ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশেরও অসংখ্য প্রথিতযশা প্রাজ্ঞ উলামায়ে কিরাম রয়েছেন, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে নাজায়িজ বলেন? আপনি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে বলতে পারতেন যে, তারা এ ব্যাপারে এমন ফতোয়া দিয়েছে। তা না করে আপনি আপনার মতের পক্ষে হওয়ায় আংশিকের ফতোয়াকে সবার ফতোয়া বলে অপপ্রচার করছেন! এটাই কি আপনার ইলমি আমানত? এমন ডাহা মিথ্যারোপ বা অজ্ঞতাসূচক মন্তব্য করে নিজের প্রতি কেন জুলুম করছেন? এসব মিথ্যারোপ কবে বন্ধ হবে?

                            শেষে আপনার বানানো জিহাদের সংজ্ঞা ছুড়ে নিজের মত প্রমাণের চেষ্টা করলেন। আপনি জিহাদের এ সংজ্ঞা কোথায় পেয়েছেন? শুধু দ্বীনে হকের দিকে দাওয়াত দিলেই জিহাদ হয়ে যায়? নাকি এখানে যুদ্ধের শর্ত আছে? ফিকহের কিতাব কখনো খুলে দেখেছেন? সংজ্ঞা না জেনে শরিয়তের কোনো বিধানের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা কি দ্বীনের সুস্পষ্ট বিকৃতি নয়?

                            ফুকাহায়ে কিরাম জিহাদের সংজ্ঞা নিরূপণ করেছেন এভাবে :
                            هو بذل الجهد من المسلمين في قتال الكفار المعاندين المحاربين والمرتدين والبغاة ونحوهم لإعلاء كلمة الله تعالى
                            অর্থাৎ সীমলঙ্ঘনকারী যোদ্ধা কাফির বা ধর্মত্যাগী বা বিদ্রোহী বা এ জাতীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সশস্ত্র সংগ্রমাকে জিহাদ বলা হয়।

                            চার মাজহাবের ফুকাহা ও মুহাদ্দিস সবাই এমন সংজ্ঞাই বর্ণনা করেছেন। দেখুন –বাদাই্উস সানায়ি : ৭/৯৭, ফাতহুল বারি : ৬/২, মুনতাহাল ইরাদাত : ২/২০৩, আল-ইকনা : ২/৬১, আর –রাওজুল মুরবি : ৪/২৫৩, সুবুলুস সালাম : ৭/৩৩৭, নাইলুল আওতার : ৫/৬, আল-মুগনি : ১৩/১০, আল-মুকনি মাআশ শরহিল কাবির : ১০/১২, আশ-শারহুল মুমতি : ৮/৮

                            এছাড়াও ফুকাহায়ে কিরাম ও মুহাদ্দিসিনে কিরাম ‘জিহাদের অধ্যায়’ বলে যে শিরোনাম দেন, তাতে সবাই সশস্ত্র জিহাদের আলোচনাই আনেন। এতে অন্যসব হুকমি বা আভিধানিক জিহাদের আলোচনা আনেন না। এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে একটু পূর্বে খণ্ডন করা হয়েছে।


                            ৫ নং মন্তব্য :

                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :

                            গণতন্ত্র বেসিক একটি আদর্শ। একটা নীতি। যার মূল থিম হলো বাই দ্যা পিপল, অব দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল। আর নির্বাচন হলো, নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি। নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি আর গণতন্ত্র এক জিনিস নয়। মনে রাখতে হবে ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়া পদ্ধতি যদিও এক হয়, কিন্তু উদ্দেশ্য এক হয় না। দেখেন, হুজুর পাক সা. মাঠে আসছেন, আবু জাহিলও মাঠে আসছে। আমার নবির ঘোড়া ছিল, আবু জাহিলেরও ঘোড়া ছিল। আমার নবির উট ছিল, আবু জাহিলেরও উট ছিল। আমার নবির তলোয়ার, আবু জাহিলের তলোয়ার, আমার নবির পক্ষের লোকের রক্তক্ষরণ হয়েছে, আবু জাহিলেরও রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার নবির পক্ষের লোক শাহাদত বরণ করেছে, আবু জাহিলের লোক মারা গেছে। বাহ্যিক দিক সমান। যুদ্ধ সমান, সব সমান। কিন্তু একটাকে সন্ত্রাসবাদ আর অন্যটাকে সন্ত্রাসবাদ বলি কেন? কারণটা কী? বাহ্যিক তো সমান। ক্ষমতায় যাওয়ার পদ্ধতি প্রক্রিয়া সমান হয়। মুসা আ.-এর সাথে ফেরাউনের যুদ্ধ সমান, নমরুদের সাথে নবি ইবরাহিমের যুদ্ধ সমান। তালুত জালুতের যুদ্ধ সমান হয়। হুকুমত কায়েম করার পদ্ধতি সবসময় এক হয়, উদ্দেশ্য এক হয় না।

                            আমরা অনেকেই মনে করি, নির্বাচনটা কুফরি, অমুকের পদ্ধতি। আরে ভাই, পদ্ধতি যেকোনোটা যার তার থেকে আসতে পারে। হিন্দুর তলোয়ার এটা, এই তলোয়ারটা আবু জাহিলের। এখন আবু জাহিলের তলোয়ার দিয়ে কোনো মুসলমান যদি কাউকে মারে, তাহলে সে কি সওয়াব পাবে না?

                            খন্দক। খন্দকের এ প্রক্রিয়াটি কার? পারস্যের, মাজুসিদের। এটা ওহির মাধ্যমে হয়নি। তো অগ্নিপূজকদের পদ্ধতি অবলম্বন করলে যদি ফজিলত হতে পারে, সেটা ইসলাম হতে পারে, তাহলে এখন যে পদ্ধতিটি ইসলামি হুকুমত কায়েম করে বা যেকোনো গণতন্ত্র বা সেকুলারের হুকুমত কায়েম করে, পদ্ধতি একই হয়, উপরে ওঠার সিঁড়ি একটাই, কিন্তু উপরে কামরা একটা নয়। একটা হলো সিনেমা, আর একটা হলো মসজিদ। তবে উপরে ওঠার পদ্ধতি একটাই। এখন আপনি সিনেমায়ও যেতে পারেন, মসজিদেও যেতে পারেন। যদি মসজিদে যাওয়ার জন্য উপরে ওঠেন, সওয়াব হবে, আর যদি সিনেমায় যাওয়ার জন্য ওঠেন, গোনাহ হবে।

                            আপনি বলতে পারেন, হুজুর, তাহলে আপনি এই গণতন্ত্রের এই দেশে? আরে ভাই, আপনি তো গণতন্ত্রের এই দেশেই আছেন। আপনি বিবাহ করছেন কোন আইনে? আপনার মাদরাসা চলে কোন আইনে? আপনার মসজিদ চলে কোন আইনে? আপনি যে কেসে পড়ছেন, কোন আইনে চলে? আপনি মেয়ে বিবাহ দিয়েছেন কোন আইনে? আপনার সব গণতন্ত্র, তখন গণতন্ত্রের কোনো প্রশ্ন আসে না। কিন্তু যখনই নির্বাচন আসে, তখনই এই প্রশ্ন করেন কেন? এই প্রশ্ন আপনার নয়, এ প্রশ্ন ইহুদি এবং হিন্দুদের, নাস্তিকদের। কারণ হলো, তুমি তো গণতন্ত্রের মধ্যেই আছ। সেখানেই তুমি থাকো। এই প্রশ্ন তোমাকে ক্ষমতায় যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করে না। কিন্তু তোমাকে এই প্রশ্ন ক্ষমতায় যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে। এজন্য এখানে এসে ওরা বলে, এটা গণতন্ত্র, এটা গণতন্ত্র। বলি, এটা গণতন্ত্রের মাতাহাতে। আমরা সবাই গণতন্ত্রের মাতাহাতে। এদেশে মাদরাসা-মসজিদ, এদেশে বিবাহ-শাদি, কেস-কাচারি, আমি। আমার প্রাইম মিনিস্টার কে? শেখ হাসিনা। আমার অর্থমন্ত্রী কে? আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কাজেই আমি তো এখানেই আছি। গণতন্ত্রের মাঝখানে। এখান থেকে আমার বের হওয়ার সুরত কী? বরং আমি বের হতে চাই, তুমি বের হতে চাও না। আমি বলি, এটা পদ্ধতি। ক্ষমতায় যাওয়ার পদ্ধতি এক হয়। যদি উদ্দেশ্য ভিন্ন হয়, তাহলে আমারটা জিহাদ হবে। আর ওদের উদ্দেশ্য ভিন্ন, ওরা টেরোরিস্ট, ওদেরটা হবে টেরোরিজম।

                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=m99Y2G-rk2A (ভিডিওর প্রথম ও শেষ অংশ)


                            খণ্ডন :
                            এ মন্তব্য করে নিজের মূর্খতার সব ডালা খুলে দিলেন! আপনার ব্যাপারে এমন কথা বলতাম না। কিন্তু আপনার যুক্তি আর কিয়াসের যে অবস্থা, যুক্তিদের বাকশক্তি থাকলে হয়ত তারাও হেসে ফেলত। এমন প্রশ্ন কিছু মূর্খরা করে থাকে যে, আপনি এত ইহুদি, খ্রিষ্টানদের বিরোধিতার কথা বলেন, তাহলে তাদের আবিস্কৃত মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করেন কেন???

                            আপনার যুক্তি হলো, যেহেতু কাফিররা যে অস্ত্র ব্যবহার করবে, মুসলমানদেরও সে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি আছে, তাহলে কাফিররা যখন আমাদেরকে নির্বাচন দিয়ে মোকাবেলা করবে, তখন আমরাও তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন দিয়ে মোকাবেলা করব। তারা তলোয়ার ব্যবহার করলে যেমন আমরা তলোয়ার ব্যবহার করি, তারা ঘোড়া ব্যবহার করলে যেমন আমরা ঘোড়া ব্যবহার করি, তারা মাঠে আসলে যেমন আমরা মাঠে আসি, ঠিক তেমনই তারা নির্বাচন করলে আমরাও নির্বাচন করে তাদের মোকাবেলা করব। আপনি উভয়ের মাঝে পার্থক্যের মূল পয়েন্টটি নির্ধারণ করেছেন নিয়ত বা উদ্দেশ্য। তারা যেহেতু কুফর প্রতিষ্ঠার জন্য এসব মাধ্যম ব্যবহার করে, তাই তাদের কাজ সন্ত্রাসবাদ। আর আমরা এসব ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করছি, তাই এটা ইসলামি এবং আমাদের সবকিছ জিহাদ।

                            আমি বলি, আপনি মূল পয়েন্ট ভুলে কোথা থেকে কোথায় চলে গেছেন, না আপনি বুঝছেন আর না আপনার অন্ধ ভক্তরা তা উপলব্ধি করতে পারছে। আমাদের মূল পয়েন্ট ছিল, নির্বাচন করলেও এ থেকে কুফর এখনও দূর হয়নি। এতে কুফর মিশে আছে। অস্ত্র ব্যবহারকে তো কেউ কুফর বলেনি। যেটা কুফর নয়, সেটার সাথে যেটা কুফর সেটাকে কেন মেলাচ্ছেন?

                            আপনার কথা থেকে বুঝা যায়, কাফিররা যে মাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের মোকবেলা করবে আমরা সে মাধ্যম ব্যবহার করেই তাদের প্রতিরোধ করব। তাহলে কাফিররা সুন্দরী নারী ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের মোকাবেলা করলে কি আমরাও তাদের বিরুদ্ধে সুন্দরী মুসলিম নারী ব্যবহার করে মোকাবেলা করব? এতে কি এসব নারীরা জিহাদের সওয়াব পাবেন? এটা কি জায়িজ হবে? যদিও এখানে ব্যভিচার উদ্দেশ্য নয়; বরং শত্রপক্ষের মোকাবেলা ও কৌশল জেনে নেওয়া উদ্দেশ্য হয়। এ ব্যাপারে হয়ত আপনিও বলবেন, না, এভাবে মোকাবেলা করা জায়িজ নয়। কারণ, ব্যভিচার পরিষ্কার হারাম। তো এখানে যদি ইসলামের স্বার্থে হলেও মুসলিম নারীদের ব্যবহার করা জায়িজ না হয় তাহলে ইসলামের স্বার্থে কুফরে লিপ্ত হওয়া কী করে জায়িজ হবে? এটা তো আরও কঠিন, আরও মারাত্মক। কারণ, সেটা ছিল হারাম, আর এটা তো কুফর। সুতরাং আপনার এ মূলনীতি ‘নিয়ত ঠিক থাকলে কাফিরদেরকে যেকোনো মাধ্যম দিয়ে মোকাবেলা করা যায়’ স্পষ্ট ভুল ও চরম এক ভ্রান্তি।
                            এরপর আপনি বোকার মতো কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, আমাদের দেশের সবই তো গণতান্ত্রিক আইনে হয়। বিবাহ-শাদি, মসজিদ-মাদরাসা, কেস-কাচারি ইত্যাদি। এরপর বলেছেন, যারা নির্বাচনের সময় গণতন্ত্রের ব্যাপারে কথা বলে, এটাকে কুফরি মতবাদ বলে প্রচার করে, তাদেরকে আপনি বলছেন, এটা নাকি ইহুদি ও হিন্দুদের প্রশ্ন। এটা কোনো মুসলমানের প্রশ্ন হতে পারে না।

                            আমি বলি, বিষয় বরং উল্টো। যারা গণতন্ত্রকে কুফরি এবং এতে শরিক হওয়াকে নাজায়িজ মনে করে, তাদের দলিলভিত্তিক জবাব না দিয়ে তাদের প্রশ্নকে ইহুদি-নাসারার প্রশ্ন বলার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এটা আবার ইহুদিদের কোনো চাল নয় তো? আমি এমন সন্দেহ করতেই পারি। কারণ, আপনাকে যখন কোনো মুমিন কুরআন-সুন্নাহ দিয়ে প্রমাণ করে দেবে যে, এটা কুফরি, তখন আপনি পারলে কুরআন-সুন্নাহ দিয়ে তার বক্তব্য খণ্ডন করে নিজের মতকে প্রমাণ করতে পারেন। এ অধিকার আপনার অবশ্যই আছে। কিন্তু আপনি তা না করে উল্টো তার প্রশ্নকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে দিচ্ছেন। তার নসভিত্তিক আপত্তিকে আপনি বিধর্মীদের আপত্তি বলে প্রচার করছেন! তাহলে তো আপনার ব্যাপারেই এ সন্দেহ অধিক যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। আল্লাহ আমাদের এমন জঘন্য মন্তব্য করা থেকে হিফাজত করুন। শেষে আবারও নিয়তকে মূল বানিয়ে যেকোনো মাধ্যম গ্রহণ করার যুক্তি দেখিয়েছেন, যা পূর্বে একাধিকবার খণ্ডন করা হয়েছে।

                            আর গণতান্ত্রিক দেশে থাকার দ্বারা কি গণতন্ত্র মেনে নেওয়া হয়ে যায়? তাহলে কি দারুল হরবে মুসলিমদের থাকার অনুমতি নেই? তারা কি দারুল হরবে থাকে না?তারা দারুল হরবে থাকে এবং তাদের দেওয়া সুবিধা ভোগ করে বলেই কি তাদের কুফরের স্বীকৃতি দেওয়া??? ফিকহের কিতাবে তো এর ভূরিভূরি নজির রয়েছে। আপনি এমন প্রশ্ন করে কী বুঝাতে চাইলেন? নিজের মূর্খতা প্রকাশ করলেন নাকি বাচ্চাদের মতো করে অদ্ভূত কিছু প্রশ্ন করতে চাইলেন?!! এভাবে কথা বলে কী যে বুঝাতে চান, আশ্চর্য লাগে!! আর আপনার মুরিদরাও সব গোগ্রাসে গিলে নেয়! গলায় এতটুকুও আটকে যায় না!! আল্লাহর কাছে আমরা এমন মূর্খতা থেকে পানাহ চাই।


                            ৬ নং মন্তব্য :

                            চরমোনাইয়ের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম বলেন :

                            আজকে আপনি যদি হাতপাখা প্রতীকে ভোট দেন, তাহলে ভোটটা পাবে আল্লাহর নবি। যদি আপনি নৌকা মার্কায় ভোট দেন, ভোটটা পাবে বর্তমান প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা। আপনি যদি ধানের শীষে ভোট দেন, তাহলে ভোটটা পাবে খালেদা জিয়া। আপনি যদি অন্য প্রতীকে ভোট দেন, ভোট পাবে তাদের নেতা। আর যদি আপনি হাতপাখায় ভোট দেন, হাতপাখায় ভোট দিলে ভোট পাবে ইসলাম এবং আল্লাহর নবি।

                            সূত্র :
                            https://m.youtube.com/watch?v=FALUCRnVPh8 (ভিডিওর প্রথম ও শেষ অংশ)


                            খণ্ডন :
                            বস্তুত যারা তাহরিফ করে, তাদের মুখের লাগাম আল্লাহ খুলে দেন। আর এর দরুন তাদের মুখ দিয়ে এমন সব কথা বের হয়, যা শুনে কাফিররাও অবাক হয়ে যায়। এভাবেই একসময় সে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
                            আপনি এখানে দাবি করলেন, আপনার হাতপাখায় ভোট দিলে নাকি ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হবে। নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। আমি মনে করি, এমন কথা শুনে তো খোদ চরমোনাইয়ের অন্ধ মুরিদদেরও হুঁশে আসা উচিত ছিল। ইসলাম ও রাসুল সা.-এর শানে এমন জঘন্য মন্তব্য করায় আমি মনে করি, আপনার প্রকাশ্যে তাওবা করা আবশ্যক। এটা চরম গোস্তাখি। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বার্থে আপনারা ইসলাম ও রাসুল সা.-কে পর্যন্ত ছাড় দিলেন না! আপনি শুধু আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতে চান, এতটুকুর কারণেই আপনাকে ভোট দেওয়া মানে ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হয়ে যাচ্ছে??? তাহলে আপনার কথানুসারে তো জামাতে ইসলামিকে ভোট দেওয়া মানেও তো ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হবে! জমিয়তে ইসলামকে ভোট দেওয়া মানেও তো ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হবে!! খিলাফত আন্দোলনকে ভোট দেওয়া মানেও তো ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হবে!!! মানুষ কি এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে না? এসব কী শুরু করছেন?? এমন কথা তো ইসলামি গণতন্ত্রের দাবিদার অন্য দলের লোকেরাও কোনোদিন বলতে দুঃসাহস দেখায়নি! এমন জঘন্য উক্তি ইসলামের ইতিহাসে খুবই বিরল। আল্লাহর কাছে এমন ব্যক্তিবর্গ ও তাদের বিকৃতি থেকে পানাহ চাই।

                            দ্বিতীয়ত, আল্লাহ ও তার রাসুল সা.-এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা উদ্দেশ্য হওয়ায় যদি আপনাকে ভোট দেওয়া মানে ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়া হয়, তাহলে তো নৌকা বা ধানের শীষে ভোট দিলে বর্তমান ব্যক্তি ভোট পাওয়ার কথা ছিল না, আপনার এখানে বলা উচিত ছিল, তাদের ভোট দেওয়া মানে আব্রাহাম লিংকনকে ভোট দেওয়া। অথচ আপনি তা না বলে বর্তমান প্রার্থীদের নাম বললেন। কেন? কেন এমনটা করলেন?? মানুষের ইসলামপ্রিয়তা দিয়ে বানিজ্য করতে চাচ্ছেন? এজন্যই তো মানুষ আপনাদের ডাকে সাড়া দিতে চায় না। তারা জানে, আপনারা ইসলামের জন্য নয়, নিজদের স্বার্থে ভোট চাইছেন। দ্বীনের এত তাহরিফ করলে সাধারণ মানুষও আপনাদের চাতুরতা বুঝে ফেলে। আপনাদের মতো এমন অজ্ঞতাপূর্ণ ও কাঁচা ধোকাবাজি কোনো গণতান্ত্রিক দলই করে না। তারাও বোঝে, এসব ফাউল কথা। অথচ আপনি তথাকথিত ইসলামি দলের প্রতিনিধিত্ব করেও এ সাধারণ জ্ঞানটুকু রাখেন না! আজব আপনাদের রাজনীতি!! আজব আপনাদের কথাবার্তা ও স্লোগান!!!
                            তৃতীয়ত, আপনি ইসলাম ও রাসুল সা.-কে ভোট দেওয়ার কথা বললেন। এতে কত বড় ক্ষতি হলো, তা কি কখনো কল্পনা করেছেন? আপনি হারলে বিরোধীরা বলবে, ইসলাম ও রাসুল সা. হেরে গেছে। নাউজুবিল্লাহ। তাদের মুখে এমন নিকৃষ্ট কথা বের হওয়ার উৎস হলেন আপনি। আপনার কারণেই তারা ইসলাম ও রাসুল সা.-কে নিয়ে অশোভনীয় কথাবার্তা বলার সুযোগ পেল। আপনি এর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না; যতক্ষণ না প্রকাশ্যে তাওবা করেন।

                            চতুর্থত, আপনি কি নিশ্চিত যে, আপনি ক্ষমতা পেলে পরিপূর্ণ আল্লাহ ও তার রাসুল সা.-এর নির্দেশনা অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারবেন? আপনি কি আপনার ব্যাপারে পূর্ণ আস্থাশীল? যদি বলেন, নিশ্চিত নই, আমি চেষ্টা করব, তাহলে আপনি এমন কথা বললেন কেন, যে ব্যাপারে আপনার ওপর আস্থা রাখা যায় না? আপনি কেন এটাকে ইসলাম ও রাসুল সা.-এর নির্বাচন বলে মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করলেন।

                            পঞ্চমত, আপনি রাসুল সা.-কে ঐসব কমিনা ফাসিকদের প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে দিলেন, যারা তাঁর সমকক্ষ বা কাছাকাছি হওয়া তো দূরের কথা, বরং তারা হলো আল্লাহর নিকৃষ্ট বান্দাদের অন্যতম। আপনি রাসুল সা.-কে এসব বাজে লোকদের সারিতে বসিয়ে দিলেন এ দাবি করে যে, স্বয়ং রাসুল সা.-ও এদের সাথে ভোটের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে!

                            এসব বেআদবি ও মূর্খতাসুলভ দিক কি কখনো ভেবে দেখেছেন? এতসব গোস্তাখি করেছেন, কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন? যা জানেন না, তা নিয়ে কেন কথা বলেন? সাহাবায়ে কিরাম রা. হাদিস বর্ণনা করার সময় কেঁপে উঠতেন। আতঙ্কে চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত। এ ভয়ে যে, না জানি অজান্তে রাসুল সা.-এর দিকে এমন কথা সম্বোধিত হয়ে যায়, যা রাসুল সা. বলেননি। অথচ তাঁরা নিশ্চিতই কথাটি রাসল সা.-এর মুখ থেকে শুনেছিলেন। তারপরও ভয় পেতেন। আতঙ্কে থাকতেন। আর আপনি কী করলেন? চিন্তা করতেও আমার ভয় লাগছে! শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে!! আল্লাহ আপনার সুমতি ফিরিয়ে দিন এবং সঠিক রাহে ফিরিয়ে আনুন।


                            বি. দ্র : আপনার এসব মন্তব্য নিয়ে খণ্ডনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু কিছু মানুষ আপনাকে অনুসরণ করে, আপনার কথাকে ওহির মতো বিশ্বাস করে, আপনার কথায় কোনো ভুল খুঁজে পায় না, তাদের সে মোহ ভাঙানোর জন্যই এ দীর্ঘ লেখাটির অবতারণা। এছাড়াও যারা আপনাদেরকে হক মনে করে, আপনাদের মৌলিক কোনো সমস্যা নেই বলে বিশ্বাস করে, তারাও যেন আপনাদের এসব ভুল, সীমালঙ্ঘন ও বিকৃতির ফিরিস্তি ভালো করে দেখে নেয়। আপনাদের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মনে হয়, আপনাদের অবস্থা জামাতে ইসলামির চেয়ে ভালো নয়; বরং ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তাই আপনারা নিজেদের যাই মনে করেন না কেন, আপনাদের এই হলো প্রকৃত অবস্থা। এখন আপনাদের ইচ্ছা, চাইলে ভুল মেনে নিয়ে সংশোধন করে নিতে পারেন, চাইলে এড়িয়ে যেতে পারেন, আর চাইলে এসবের বিপরীত দলিলভিত্তিক জবাব লিখতে পারেন।



                            সংগৃহীত পোস্ট…

                            Comment


                            • #15
                              অত্তান্ত উপকারী আলোচনা
                              فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
                              کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

                              Comment

                              Working...
                              X