Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ বিমুখতায় তালেবে ইলমরা কি হারাল ?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ বিমুখতায় তালেবে ইলমরা কি হারাল ?

    জিহাদ বিমুখতায় তালেবে ইলমরা কি হারাল ?

    বর্তমানে আমদের মাদ্রাসা গুলোতে ব্যপক ভাবে দেখা যায় যদি কোন ছাত্রকে কোন উস্তাদ জিহাদ সম্বলীত কোন কিতাব, বই-পুস্তক পড়তে দেখে কিংবা চেক করে পাওয়া যায়, তখন তাকে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় যা সে কল্পনাও করতে পারেনা৷ কিছু জায়গায় তো তাকে মাদ্রাসা থেকে ইখরাজও করে দেয়া হয় ৷ অথচ একই সাথে যদি অন্য এক জন ছাত্র টিভিতে খেলা কিংবা গান বাজনা, ছবি, নাটক ইত্যাদি দেখা অবস্থায় ধরা পড়ে তাকেও এমন শাস্তি দেয়া হয়না যা ঐ ছাত্রকে দেয়া হয় ৷ অথচ জিহাদ হল নামাজ রোজার মতই একটি ফরজ বিধান আর গান বাজনা, ছবি নাটক ইত্যাদি দেখা হারাম। যখন কেহ একটি ফরজ বিধান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চাচ্ছে তখন তাকে সাহায্য করা উচিত ছিল। অথচ তাকে দেয়া হচ্ছে তিরস্কার , ভৎসনাসহ আরো কত কি!?

    এমন কি যথারীতি নিষেধ করা হচ্ছে যে, কেহ যাতে জিহাদী কিতাব মুতালাআ না করে এবং নিজের কাছেও না রাখে৷ আর যুক্তি দিচ্ছে যে, "জিহাদ হল জযবা ওয়ালা জিনিস, তাই এই সংক্রান্ত কোন কিতাবাদি ছাত্র জামানায় পড়া যাবেনা। কেননা এতে করে পড়াশুনা থেকে একছুয়ী, ইনহেমাক ও একনিষ্টতা দূর হয়ে যায়৷ পড়া শুনায় আর মন থাকেনা৷ দেমাগ বিকৃত হয়ে যায় ইত্যাদি...৷ "

    আসলেই কি বিষয়টা এমন? জিহাদের কিতাব পড়া বা জিহাদের জযবা রাখা কি পড়া শুনার জন্য ক্ষতিকর? এর ফলে কি পড়া শুনার ইনহেমাক, একছুয়ী ও একনিষ্ঠতা খতম হয়ে যায়? তাহলে চলুন আমরা এখন দেখবো উল্লেখিত যুক্তিটি কোরআন হাদিসের আলোকে কতটুকু সহীহ৷

    পৃথিবীতে যত তালেবে ইলম আছেন সকলের জন্য মূল কুদওয়াহ হলেন আসহাবে সুফফার তালেবে ইলমগন৷ সেই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগন কি জিহাদকে নিজেদের পড়া শুনার জন্য বাধা সৃষ্টিকারী মনে করতেন!? দেখা যাক এ ব্যপারে কোরআন হাদিস আমাদেরকে কি বলে?

    স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই তাঁদের বৈশিষ্ট এভাবে বর্ণনা করছেন যে:
    للفقراء اللذين احصروا في سبيل الله لايستطيعون ضربا في الارض...... الخ

    জালালাইন শরীফে উল্লেখিত আয়াতের যে তাফসীর করা হয়েছে তা হল :

    (للفقراء) اي الصدقات (الذين احصرو في سبيل الله) اي حسبوا انفسهم علي الجهاد. ونزلت في اهل السفة وهم اربعماءة من المهاجرين ارصدوا لتعليم القرآن والخروج مع السرايا (لا يستطيعون ضربا) سفرا (في الارض) للتجارة والمعاشي لشغلهم عنه بالجهاد (يحسبهم الجاهل) بحالهم (اغنياء من التعفف) عن السؤال وتركه. (تعرفهم) يا مخاطبا (بسيمهم) علامتهم من التواضع واثر الجهد. (لايسألون الناس) شيء فيحلفون (إلحافا)
    অর্থ: "সদকা অভাব গ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য, যারা আল্লাহর রাস্তায় আবদ্ধ রয়েছে ৷ অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা নিজেদেরকে জিহাদের পথে আটকিয়ে রেখেছেন ৷ উল্লেখিত আয়াতটি আসহাবে সুফ্ফার ব্যপারে বর্ণিত হয়েছে ৷ তাঁরা ছিলেন চার শত মুহাজির সাহাবী ৷ তাঁরা কোরআনের জ্ঞান অর্জন করার জন্যে এবং জিহাদে বের হওয়ার জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন ৷ তাঁরা জিহাদে ব্যস্ত থাকার কারনে জীবিকা উপার্জন ও ব্যবসার কাজে ভ্রমন করার মতও সুযোগ পাননা ৷ যেহেতু তাঁরা কারো নিকট কোন কিছু চায়না তাই যারা তাঁদের ব্যপারে অনবহীত তারা তাঁদেরকে দেখে মনে করে ধনী ৷ হে স্রোতা! তুমি তাঁদেরকে চিনতে পারবে তাঁদের বিনয়তা ও জুহ্দ - তাকওয়ার নিদর্শন দ্বারা ৷ তাঁরা স্বভাবগত ভাবেই কারো নিকট কোন কিছু যাচনা করেনা ৷"
    লক্ষ করুন, আল্লাহ তাআলা এখানে তালেবে ইলমদের শ্রেষ্ঠ মডেল আসহাবে সুফ্ফার যে গুনটি বর্ণনা করেন তাহল তাঁরা নিজেদেরকে জিহাদের ময়দানে আবদ্ধ করে রাখে ৷ অতপর তাঁদের চারটি অবস্থার কথা উল্লেখ করেন৷

    ২) তাঁরা জিহাদ ব্যতিত অন্য কোন জিনিসের জন্য সফর করতেন না৷ এমন কি ব্যবসা বানিজ্য, জিবিকার জন্যও না ৷

    ( উল্লেখ্য: মানুষ মসজিদে নববীতে এসে খেজুরের থোকা ঝুলিয়ে যেত, তাঁরা এগুলোই খেতেন ৷)

    2) তারা কারো নিকট হাত প্রসারিত করতেন না, বিধায় তাঁদের ব্যপারে অনবহীত লোকেরা তাঁদেরকে ধনী বলে মনে করতো ৷

    3) তাঁদেরকে স্বীয় বিনম্রতা ও তাকওয়ার মাধ্যমে চিনা যাবে৷

    4) তাঁরা স্বভাবগত ভাবেই কখনো কারো নিকট কিছু চায়না, হাত পাতেন না বা যাচনা করেন না ৷

    সুতরাং বুঝা গেল যে তাঁরা শুধু জিহাদের জযবা বা জিহাদের ইলম রাখা পর্যন্তই সিমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং জিহাদের কাজে সর্বদাই নিজেকে জুড়ে রাখতেন৷ অর্থাৎ তাঁরা আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিলেন ৷

    এবার আপনিই বলুন, তালেবে ইলমদের জন্য জিহাদের বই পড়া , জিহাদের জযবা রাখা, জিহাদের সাথে (যে কোন ভাবে) সম্পর্ক রাখা ইত্যাদি যদি পড়া শুনার জন্য প্রতিবন্ধকই হত তাহলে আমাদের মডেলগন ( আসহাবে সুফফা) কেন এ কাজ করলেন? ছাত্র জামানায় এ কাজ করার কারনে যদি পড়া লেখার জন্য ক্ষতিকরই হত তাহলে কেন আল্লাহ তাআলা ছাত্র জামানায় এ কাজ করার কারনে তাঁদের প্রশংসা করলেন?

    আমাদের আর সাহাবাদের চিন্তা চেতনার মাঝে পর্থক্য তো দেখুন, তাঁরা জিহাদের জন্য বের হওয়াকে কখনো তা'লীমের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন না, বরং এটাকে আল্লাহ তা'য়ালার নৈকট্যের সহজ মাধ্যম মনে করতেন৷ জিহাদ ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য বের হওয়াকে পড়াশুনার জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন৷ চাই তা ব্যবসার হোক কিংবা জিবিকা উপার্জনের জন্য।

    পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা হল সম্পূর্ণরুপে এর বিপরীত৷ আমরা জিহাদকে মনে করি পড়াশুনার পথে প্রতিবন্ধকতা, আর জীবিকা উপার্জন তথা চান্দা উঠানো, কালেকশন করা ইত্যাদিকে বানিয়ে নিয়েছি পড়ালেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ অথচ তাঁরা এটাকেই পড়া শুনার মাঝে খলল সৃষ্টিকারী মনে করতেন৷

    হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷

    কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
    يا ايها النبي حرض المؤمنين علي القتال
    হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্ভুদ্ধ করুন৷

    আমাদের জন্য উচিত আমরা নিজেরা এই ফরজ আদায় করব, তালেবে ইলমদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, উৎসাহিদেরকে সাহায্য করা ও অভয় দেয়া৷ এবং নিরুৎসাহিতকরী ও জিহাদের পুস্তক পড়ার কারনে কিংবা জিহাদের জযবা রাখার কারনে কোন তালিবে ইলমকে তিরস্কার কারীদেরকে দমন করা।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বিষয় বুঝার ও সে অনুযায়ে আমল করার তাওফিক দান করুন৷ আমিন !!!

    আযহার আযযম

  • #2
    আখিঁ ফিল্লাহ, জাযাকাল্লাহ। প্রিয় আখিঁ, যা বললেন তাতু পূর্বের অবস্থা এখন তো আরো করুণ অবস্থা!!!! শুধু বহিষ্কার!? নাহ, পারলে ত্বাগুতের হাতে ধরিয়ে দেয়। পরিস্তিতি খুবি নাজুক। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, আমিন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
    سورة توبة ٤٦

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ,১০০% সত্য বলেছেন।
      আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

      Comment


      • #4
        জি ভাই বাস্তব সত্য কথা বলেছেন।
        এবং তারা তথাকথিতো দাওয়াতের কাজ করা, সপ্তাহে সপ্তাহে ২৪ ঘন্টার জন্য তাবলিগে যাওয়া,চিল্লায় যাওয়া এবং এস্তেমায় যাওয়কে পড়লেখান ক্ষতির কারণ মনে করে না।

        Comment


        • #5
          জিহাদের বিরোধীতা বিভিন্ন পদ্ধতিতে হচ্ছে। নিম্নে কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো।
          #ইলম অর্জনের দুহায় দিয়ে, যেমন: একটি ঘঠনা, নাম বললে ফোরামের অনেকেই চিনবেন। কিন্তু সমস্যা আছে তাই বলছি না। এক শাইখের ছেলে পাকিস্তানে গেলো পড়ালিখার জন্য ঐ ছেলে জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলো তার বাবাও একজন বাংলাদেশের বড় মাপের আলেম সারাটা জীবন ত্বাগুতের পক্ষেই কথা বলে গেলো। ছেলেকে বলল বাবা দেখো আবার আফগানে চলে যাও কি না তোমাকে কিন্তু পড়ালিখার জন্য পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে।
          #পির মুরিদির মাধ্যমেও জিহাদ থেকে বিরত থাকছে, পির সাহেব ব্যস্ত আছে নফসের জিহাদ তাই আসল করতে পারছেন না। পির সাহেবের কথা মেনে চলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে মুসলিম উম্মাহ চিন্তা করার সমত নেই, নিজের চিন্তায় বিভোর। বেচেরার তাজকিয়াই ই শেষ হয় না তাহলে কীভাবে জিহাদ করবে। এভাবে পির সাহেবরা তাদের মুরিদদের জিহাদ থেকে বিরোত রাখছে। (আমার এক পির ছিলো যার হাতে পির মুরিদির বায়য়াত নিয়েছিলাম কিন্তু এক সাথীর দাওয়াত পেয়ে এ পথে চলে আসলাম আর পির সাহেব হুজুরের সাথে দেখা সাক্ষাত নেই। এখন অবশ্য পির সাহেব ও নিজে একি প্রতিষ্টানে আছি।
          #প্রচলিত তাবলিগের মাধ্যমেও জিহাদ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। দাওয়াতের সস্তা দুহায় দিয়ে যুবকদের জিহাদ থেকে বিরত রাখা হচ্ছে।
          # দুনিয়ার প্রতি লোভও যুবকদের থেকে জিহাদ থেকে বিরত রাখছে। তাই দুনিয়া ত্যাগী হওয়া চাই। বড় বাড়ি, দামী গাড়ি, সুন্দর নারী এগুলোও আমাদের জিহাদ থেকে বিরত রাখছে। শাইখ উসামা র, এর কথা চিন্তা করুন, ওনার কী না ছিলো। সব কিছু ত্যাগ করে জিহাদের পথে সারাটা জীবন বিলিন করে দিলেন। শেষমেশ আল্লাহ, ইনশাআল্লাহ শাইখকে শহিদী মৃত্যু দিলেন।
          চলবে।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝারও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
            ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তালা তার পবিত্র কিতাবে বলেন, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহও তোমাদের সাহায্য করবেন। এবং তোমাদের কদমগুলোকে স্থির রাখবেন। তো আমরা জানি আল্লাহ তালা হচ্ছেন বেনিয়াজ, ওনার আবার সাহায্যের কিসের প্রয়োজন? আল্লাহকে সাহায্যের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশগুলো মান্য করা, নির্যাতিত মুসলিমদের সাহায্য করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন, আমিন।
              #অনেক ভাইদের দেখা যাচ্ছে, খুব আবেগ নিয়ে আসে। জিহাদের কাজ করতে থাকে পিছপা হয় না। কিন্তু কতক ভাইদের দেখা যাচ্ছে আবেগ নিয়ে আসে ঠিক, কিন্তু যেই পরিমাণ স্পীড নিয়ে এসেছিলো সেই পরিমাণ স্পীড নিয়ে ফিরে যায়। এর কারণ কী? অনেকগুলো কারণ হতে পারে।
              ১/ প্রথমে আবেগের সাথে এসেছিলো,, কিন্তু কাজ বুঝার পর তার কাছে ভারি মনে হয়েছে। তার সাথীরা দুনিয়ার রঙ তামাশা নিয়ে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্থ, কিন্তু সে এ পথে, জিহাদের পথে।। তখন তার কাছে একাকী লাগে, ভয় লাগে,, হায়রে কোন সময় যে গুলি এসে পীঠ বেত করে চলে যায়। সারাক্ষণ এরকম একটি টেনশন কাজ করে, তখন দেখা যায় এ সাথী জিহাদের পবিত্র পথে অটল থাকতে পারে না। এটি আসলে কাজ ও ফজিলত না বুঝার কারণে।
              ২/ দুনিয়ার লোভে পরেও অনেক সাথী এ কাজ থেকে সরে যায়, যেমন সুন্দরি কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছে। মেয়ের ছলনায় শেষমেশ কাজ ছেড়ে দেয়। এটিও কাজ না বুঝার কারণে ও পর্দা না করার কারণে।
              ৩/ দায়িত্বশীলদের খারাপ আচরণের কারণেও অনেক সাথী পবিত্র এ পথ থেকে দূরে সরে যায়।
              ৪/ ভয়েও অনেক সাথী এ কাজ ছেড়ে দেয়। সব সময় একটি অহেতুক আতংকে দিন কাটাই। হায়রে এই তো আমাকে গ্রেফতার করে ফেলছে। এই তো ধরা খেয়ে গেলাম। এর দ্বারাও অনেক সাথী পবিত্র এ পথ থেকে সরে যায়। এ আলোচনার দ্বারা কিছুটা বুঝতে পেরেছি একজন মুজাহিদ কেনো ফিরে যায় পূর্বের গোমরাহিতে। আল্লাহ আমাদের অটল থাকার তাওফিক করু,, আমিন।
              Last edited by Mohammod Esmail; 01-20-2018, 06:56 PM.

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে বুঝার ও সঠিকভাবে আ'মাল করার তাওফীক্ব দান করুন।আমীন

                Comment


                • #9
                  তানজিমের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য এক ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম,কিন্তু উক্ত ভাই বলেছে,কয়েক জন মিলে জিহাদ নিয়ে আলোচনা করেন।উক্ত ভাই দাওরা শেষ করেছে।আমার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর অনেক কথা হল..বল্লাম ভাই আমি সংগঠনে যুক্ত হতে চাই।উত্তরে বল্ল,আগে পায়জামা-পায়জামি পড়তে হবে।কথা বলার এক পর্যায়ে বলেছিলাম, জাকির নায়েক ও ওলিপুরী দুইজনকেই ভাল লাগে,কারন তারা উভয় ইসলামের বিষয় গুলো স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলেন,আসলে ইসলামের জন্যই আমি উভয়কে ভালবাসি। আমি আহলে হাদিস নয়।তিনি বল্লেন,জাকির নায়েক ও ওলিপুরী সম্পুর্ণ বিপরীত।শেষে বল্ল,আপনি বিয়ে করে ফেলুন।বল্লাম,আল কায়েদা বাংলাদেশের আমির শাইখ আব্দুল্লাহ আশরাফ (হাঃ) বলেছেন,গ্রুপ তৈরী করার জন্য,যুক্ত হওয়ার জন্য।নিজের আমল -আখলাক, আল্লাহর রাস্তায় অর্থ খরচ,জীবনের শৃঙ্খলা ও নিয়মিত জিহাদের জন্য কাজও করতে পারব।দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামের নাম কখনো শুনেন নাই,শাইখ তামিম আল আদনানী (হাঃ) এর নাম এক-দুই বার শুনেছেন,শাইক আব্দুল্লাহ আশরাফ (হাঃ)এর নাম কখনো শুনেন নাই,শাইখ আবু ইমরান (হাঃ)নাম কখনো শুনেন নাই।

                  পির পুজা সমর্থন করেন,জিহাদের কোন শাইখকেই চিনেন না কিন্তু প্রচার করেন জিহাদের কাজ করছেন,ট্রেডিং নিয়েছেন।
                  আর কেহ জিহাদে যুক্ত হওয়ার জন্য আসলে তাকে বিয়ে করার দাওয়াত দেন!!!

                  যে মাদ্রাসা তৈরী হয়েছিল মোজাহিদ হওয়ার জন্য,সেই মাদ্রাসা থেকে পেটপুজারী ও পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন-বড় বিক্ষুক দল তৈরী হচ্ছে আর যারা জিহাদের পথে যায়,তাদেরকে অপমান ও বের করে দেওয়া হচ্ছে, তাগুতকে মেনে নিচ্ছে গনতন্ত্র করছে!!!
                  Last edited by আল জিহাদ; 01-21-2018, 01:21 AM.
                  আমি সেই ভাইকে ভাই মনে করি না,যে নিজ ধর্মের শত্রুকে বন্ধু মনে করে।

                  Comment


                  • #10
                    Jazakallah

                    Comment


                    • #11
                      اُرْصِدُوا لِتَعلِيْمِ الْقُرْآنِ وَالْخُروجِ مَعَ السَّرايا (لا يَسْتَطِيْعُونَ ضَرْبًا) سَفَرًا (فِي الْاَرْضِ) لِلتِّجارَةِ وَالْمَعاشي لِشُغْلِهِمْ عَنْهُ بِالْجِهادِ
                      তাঁদের কে কোরআন শিক্ষার এবং গেরিলা অপারেশনে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ।
                      জিহাদের ব্যস্ততার কারণে তাঁরা এখানে সেখানে ব্যবসা ও জীবিকা সন্ধানে যেতে পারেনা।


                      বর্তমানে ও ইলমের নামে চাঁদা ভিখারি ইসলামের বদনামকারিরা যদি অস্ত্রের দর্শন গ্রহন করতো আর নাস্তিক মুরতাদ আল্লাহদ্রোহি ব্লগারদের সাথে সিংহশাবক তরুণদের আচরনকে আপন করে নিত তাহলে সাহাবায়ে কিরামের মত সম্মান মার্যাদা ও শক্তিতে পৃথিবীর পরা শক্তি সহ তাবত তাগুত কে চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে যেতে পাড়ত । কিন্তু বেচারা গৃহপালিত তৃনভুজি আযাদ হিংস্রমাংসাসি সিংহের মুরুদ তার কোথায়।আল্লাহ বুধোদয় দান করেন।

                      Comment


                      • #12
                        ছাবায়ে কিরাম জিহাদের ব্যস্ততায় অন্য কিছু করতে যতে পারতেন না,
                        আর এখন
                        কেহ ইলমের নামে চাদা ভিক্ষার ব্যস্ততায়,
                        কেহ তাবলীগের নামে তাহরীফের কাজের ব্যস্ততায়
                        কেহ এছলাহের নামে দলবাজির ব্যস্ততায়
                        কেহ ওয়াযের নামে নিজের আখের গুছানোর ব্যস্ততায়
                        কেহ দ্বীন রক্ষার নামে তাগুতের গুলামির ব্যস্ততায়
                        কেহ ইসলাম প্রতিষ্ঠানের নামে কুফরি তন্ত্রচর্চার ব্যস্ততায়
                        কেহ .........

                        তবে সবার কমন ছিফত হলো

                        ولا يأتون البأس إلاقليلا
                        যুদ্ধে খুবকমই যায়(আমি এসব খাবার কমইখাই, অর্থাৎ যায়না)
                        نسوا حظا ممن ذكروابه
                        তারা দ্বীনের কোন একটি বিষয়কে ভুলেগিয়েছে ,
                        تعرف منهم وتنكر
                        তাদের কিছু কাজে শরিয়তের দলীল সমৃদ্ধ কিছুকাজ শরিয়তের স্পষ্ট দলীল বিরোধি।
                        فى قلوبهم الوهن(حب الدنيا وكراهية الموت اى القتال)
                        তাদের অন্তরে ওয়াহান (অর্থাত মৃত্যু তথা যুদ্ধের ভয় ও দুনিয়ার ভালবাসা)
                        فإذا انزلت سورة محكمة وذكر فيها القتال رأيت الذين فى قلوبهم مرض ينظرون إليك نظر المغشى عليه من الموت
                        যখন কোন সুদৃঢ় (বিধান সম্বলিত ) সুরা অবতির্ন করা হয় এবং যুদ্ধের আলোচনা করা হয় তখন যাদের দলে ব্যধি রয়েছে তাদেরকে দেখবনে যে মৃত্যুআচ্ছন্ন ব্যক্তির ন্যয় আপনার দিকে তকাচ্ছে। (তারা নাটক সিনেমা পরনোগ্রাফিতে জড়িত কে সহয্য করলেও জিহাদের ছোঁয়া লাগা ব্যক্তিকে কিছুতেই সহয্য করেনা।

                        Comment


                        • #13
                          যেকোনভাবে জিহাদের সাথে জরিয়ে থাকুন।
                          প্রিয় মুসলিম ভাই বোনেরা, সারা দুনিয়ায় আজ মুসলিম নির্যাতিত আমরা কীভাবে বসে থাকতে পারি? আমরা যদি বসে থাকি এর ফল কী হবে? আল্লাহর কঠিন আযাব আমাদের উপর নাজিল হবে, নাউজুবিল্লা। আল্লাহ আমাদের জিহাদের পথে অটল থাকার তাওফিক দান করুন আমিন। প্রিয় মুসলিম ভাই বোনেরা আমরা যদি কাজ না করি, আল্লাহ এ পবিত্র কাজ তার কিছু প্রিয় বান্দাদের দিয়ে করাবেন নিশ্চিত,, মাঝে থেকে আমরা বঞ্চিত হলাম। আমরা কি বঞ্চিত হতে চাই? জি না, আমরা সফলকাম হতে চাই। তাহলে আসুন কীভাবে আপনি জিহাদের পথের সাহায্যকারী হবেন।
                          ১ আমাদের সম্মানিত পরামর্ষদাতা থাকবেন/ যারা আমাদের শুরা সদস্য হবেন। বিভিন্ন সময় আমাদের পরামর্ষ দিয়ে সাহায্য করবেন।
                          ২/ আমাদের কতক ভাই দাওয়াতের কাজ আঞ্জাম দিবেন, ( গাছ লাগাবেন) এর ফল সামনের দিনগুলোতে আমরা বক্ষণ করবো, ইনশাআল্লাহ।
                          ৩/ আমাদের কতক ভাই আসকারিয়্যাতের দায়িত্বে থাকবেন। ( যারা আসকারিয়্যাতে থাকবেন, ( আমাদের অনুরোধ থাকবে শাইখদের প্রতি) তারা যেনো শারীরিকভাবে কোন প্রকার দূর্বল না থাকেন।) যেমন : পায়ে ব্যথা, হাঠুতে ব্যথা, কুমরে ব্যথা, হাতে সমস্যা। চুখে সমস্যা। যারা আসকারিয়্যাতে কাজ করবেন তারা পরিপূর্ণ ফিট হতে হবে। লম্বা বেটে কোন প্রবলেম না।
                          ৪/ আমাদের কতক ভাই আনছার থাকবেন, তারা মালের দ্বারা জিহাদের কাজে সাহায্য করবেন। মালের দ্বারা সাহায্য করাটা এখন খুব বেশি প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে মালের খুব বেশি প্রয়োজন। তাই আসুন যেকোন একটিকে ভালো করে আক্রে ধরি।
                          আল্লাহ আমাদের কবুল করুন, আমিন।
                          ভুল হলে ক্ষমা করবেন। অনেক সাথী কীভাবে কাজ করবে বুঝতেছে না। তাই পোস্ট করতে হলো।
                          Last edited by Mohammod Esmail; 01-21-2018, 03:36 PM.

                          Comment


                          • #14
                            Jazakallah

                            Comment


                            • #15
                              যাযাকাল্লাহ

                              Comment

                              Working...
                              X