Announcement

Collapse
No announcement yet.

পোষ্ট সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়ার অনুরোধের উত্তর।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পোষ্ট সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়ার অনুরোধের উত্তর।

    সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই। সালাত ও সালাম নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবারবর্গ ও তার সাহাবীদের প্রতি। অতঃপর, প্রীয় ভাই, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনি আমাকে আপনার বিবেচনায় একটি উত্তম উপদেশ দিয়েছেন। আপনার প্রস্তাবনার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক, আমিন।

    প্রীয় ভাই, ইলম অর্জনের জন্য চাই ধৈর্য, অধ্যাবসায়, স্থিতিশীলতা, স্থিরতা ও ধারাবাহিতা। যে কেউ ইলম অর্জন করতে চাই তার মধ্যে উপরিউক্ত গুনাবলী সমাবেশ ঘটানো একান্ত জরুরী। পক্ষান্তরে ধৈর্যহীন হওয়া, তাড়াহুড়া করা, ধারাবাহিতা বজায় না রাখা ও স্বল্প সময়ে ইলম অর্জন করার চেষ্টা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যাবলী ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বড় বাধা। যে কেউ এমন উপায়ে ইলম অর্জন করতে চাইবে ইলম তার থেকে দূরে চলে যাবে অথবা ঐ ইলম তার কোনই উপকারে আসবে না।
    প্রীয় ভাই, ইলম কোন মানুষের তখনই উপকারে আসে যখন ঐ ইলম অনুযায়ী আমল করা হয়। আর কোন ইলম অনুযায়ী আমল করতে চাইলে ঐ ইলম শুধু দুই - একবার পাঠ করে রেখে দিলেই চলে না বরং তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা ও তা হৃদয়ের অভ্যন্তরে গেঁথে নেওয়া দরকার হয়। আর এটা করতে হলে অবশ্যই ধৌর্য ধরে, সময় নিয়ে ইলম চর্চা করতে হয়। অল্প সময়ের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে কিছু লেখা পড়ে চলে যাওয়া এবং ঐ বিষয়ে পরবর্তিতে কোন চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা না করা ইত্যাদি উপায়ে অর্জিত জানা কোনই উপকারে আসতে পারে না। এমন উপায়ে হাজারো তথ্য এমন ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে এবং মুহূর্তের মধ্যে তা আবার মাথা থেকে হারিয়েও যাচ্ছে। এমন একটা সিস্টেম এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো "ফেসবুক "। সুতরাং, হে আমার ভাই! আমি আর বেশি কথা বাড়াবো না, শুধু এতটুকুই বলবো যে, আসুন আমরা সময় নিয়ে, ধৌর্য সহকারে ও গভীর মনোযোগ সহকারে ইলম অর্জন করি এবং ইলম অর্জিনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া প্রবণতা, ধৌর্যহীনতা পরিত্যাগ করি। আমিন।

    আমি যে বিষয়ে পোষ্ট করি তাহলো বাংলাদেশের ইতিহাস। ইতিহাস বিজ্ঞান ইসলামের ইলমের জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জাতির ইতিহাস বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। এবং এগুলো এমনি এমনি নাযিল হয়নি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ইতিহাস অধ্যয়ন করা ও তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য বলেছেন। পবিত্র কোর আনে একটি সূরা রয়েছে যার নাম হলো " সূরা কসাস " যার অর্থ হলো কাহিনী। আর ইতিহাস কোন সংক্ষিপ্ত বিষয় নয় এবং এটা এমন কোন গল্পও নয় যা শুধু পড়ে চলে যাওয়া হয়। বরং ইতিহাস অধ্যয়নের মাধ্যমে রয়েছে অনেক বড় শিক্ষা। অধঃপতন, বিচ্যুতির হাত থেকে বাচা ও ভবিষ্যৎ এ সাফল্য লাভ করতে চাইলে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হয়। তাই ইতিহাসের আলোচনা শুধু জানা ও আনন্দের বিষয় না।

    প্রীয় ভাই, আমি বর্তমানে সপ্তাহে ( পূর্বে ২ অধ্যায়) মাত্র ১ অধ্যায় করে লেখা ফোরামে পোষ্ট করে থাকি। কেউ যদি তা একটানা মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে হয়তো তার সর্বোচ্চ আধা ঘন্টা সময় লাগবে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে ইলম অর্জনের জন্য কি আপনি সপ্তাহে আধাঘণ্টা সময় ব্যায় করবেন না?!! যদি আপনার একটানা আধাঘণ্টা সময় হাতে না থাকে তাহলে আপনি লেখাগুলো কপি করে আপনার কম্পিউটারে বা মোবাইলে সেভ করে রেখে দেন। পরবর্তিতে পুরো সপ্তাহ জুড়ে সুবিধাজনক সময়ে তা পড়ে ফেলুন। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি আধাঘণ্টা সময় বের করতে পারবেন।
    প্রীয় ভাই, আসলে একটা অধ্যায় কে আরো একাধিক টুকরো টুকরো করে পোষ্ট করা আমার জন্য কষ্টদায়ক এবং আমার মতে এভাবে ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয় অথবা এভাবে ইতিহাসের জ্ঞ্যান অর্জনের মূল লক্ষ অর্জন সম্ভব নয়। তাই আমি আপনাকে উপদেশ দেব যদি আপনার হাতে সময় কম থাকে তাহলে আপনি আমার দেওয়া উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর, আমাদের শেষ কথা হলো " সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহেত প্রতিপালক আল্লাহর জন্য "।
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

  • #2
    ভাই ! আপনি পূর্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে লিখা চালিয়ে যান ইনশাআল্লাহ ৷ সুন্দরই তো চলছে ৷ কোন সমস্যা আছে বলে মনে করি না ৷

    Comment

    Working...
    X