Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রস্তুতি নিন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রস্তুতি নিন

    আল্লাহর রাস্তায় বের হতে প্রস্তুতি নিন!

    আমরা প্রকৃতিগত ভাবেই আমাদের বসবাস স্থলের প্রতি আসক্ত, বিশেষ করে আমাদের ঘরের প্রতি। আমাদের মাতৃভূমিও এর আওতায় পরে। আপনি ঘরের প্রতি টান অনুভব করবেন কারণ আমরা আমাদের বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যাই – যে খাবার খাই, যে বিছানায় ঘুমাই। যখন কোন কিছু আপনার এই রুটিনকে ব্যাহত করে তখন আপনি অনিরাপদ বোধ করেন যা প্রশান্তির বিপরীত। বাড়িতে থাকলে আপনি প্রশান্তি অনুভব করেন এবং আপনার রুটিন যদি ব্যাহত হয় তবে আপনি অনিরাপদ বোধ করেন।

    একজন মুজাহিদ এই রুটিন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান। যে খাবার খান তা তার মা বা স্ত্রীর রান্না করা খাবার থেকে ভিন্ন, যে বিছানায় ঘুমান তা তেমন আরামদায়ক নয়, আবহাওয়া ভিন্ন হতে পারে এবং ঘুমানোর সময় পালটে যেতে পারে। এসব আপনাকে বাড়ি ফিরে যেতে ব্যকুল করে তোলে। যখন একজন আরব মুজাহিদ কাশ্মিরে জিহাদে অংশগ্রহণ করেন তার কাছে সেখানকার খাবার খুব ঝাঁজালো মনে হয়। আবার একজন পাকিস্তানি মুজাহিদ যখন ইরাক বা অন্য কোথাও জিহাদে অংশগ্রহণ করেন তখন তার কাছে খাবার খুব নমনীয় মনে হয়, রুটিন পালটে যায়, তাপমাত্রাও পালটে যায়।

    আব্দুল্লাহ ইবনে উমারের কথা যদি চিন্তা করি যখন তিনি আরমেনিয়াতে জিহাদ করছিলেন, যদিও এ ব্যপারটি আরও অনেক সাহাবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি আরবে বড় হয়েছেন যেখানে আবহাওয়া খুব গরম, অথচ তিনি যুদ্ধ করছিলেন এমন এক জায়গায় যা কয়েক ফিট তুষারে ঢাকা থাকে। এই ধরণের রুটিন পরিবর্তন মেনে নেয়া কিন্তু সহজ নয় – এটা খুব বড় একটা ত্যাগ।

    সম্ভবত একারণেই হজ্ব জিহাদের সাথে সম্পর্কিত। কিছু কিছু হাদিসে আপনি দেখবেন যে জিহাদ ও হজ্বের কথা একই হাদিসে এসেছে। যেমন – যখন আয়েশা (রা) রাসুল (স) কে জিজ্ঞেস করলেন যে পুরুষরা আপনার সাথে জামাআতে নামাজ পড়ে, আপনার সাথে জুম্মার নামাজ পড়ে, আপনার সাথে জিহাদে যোগদান করে, মহিলাদের ব্যপারে কী হবে? রাসুল (স) বললেন আপনাদের জিহাদ হচ্ছে হজ্ব।
    কারণ একটু নিচের স্তরের হলেও হজ্বের সাথে জিহাদের কিছুটা সামঞ্জ্যশ্য আছে। হজ্বের জন্য আপনাকে ভ্রমণ করতে হয়, জিহাদেও অনেক ক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে হয়। হজ্বে আপনার রুটিন পরিবর্তন হয়। যেমন – হজ্বের সময় ভিন্ন পোষাক পরিধান করতে হয়, তারপর আপনি হজ্ব চলাকালীন সময় নখ ও চুল কাটতে পারবেন না, সেখানকার খাবার ভিন্ন, মীনা ও আরাফায় ঘুমানোর ব্যবস্থা তেমন আরামদায়ক নয়, এরকম ভাবে আপনার রুটিন পালটে যায়। আপনাকে অনেক টাকাও খরচ করতে হয় কারণ হজ্ব বেশ ব্যয়বহুল। সুতরাং হজ্ব ও জিহাদের মধ্যে কিছুটা মিল রয়েছে যদিও জিহাদের ত্যাগ অনেক বড় মাপের ত্যাগ।
    যদি আপনার বাসস্থানের প্রতি আপনার ভালবাসা আপনাকে আল্লাহর পথে জিহাদ থেকে দূরে রাখে, তাহলে তা প্রতিবন্ধকতায় পরিণত হয়। তাবুক যুদ্ধের কথা যদি বলি, তাবুক প্রান্তরে যাওয়ার জন্য অনেক দূরের পথ পারি দিতে হয়েছিল, তখন উত্তপ্ত গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম, ফসল ঘরে তোলার সময় তখন। সবাই যখন ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনা করছিলেন রাসুল (স) তাদের বললেন যে আমাদের এখন রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। সুতরাং, তা ছিল খুবই বড় একটা ত্যাগ।
    সেসময় একজন সাহাবা তার ঘরে গিয়ে দেখলেন যে তার স্ত্রী বাড়ির উঠান পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছে যাতে গরম কম লাগে। তখন তিনি তার আরেক ঘরে গিয়ে দেখলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীও একই কাজ করেছে। ঘরের প্রতি টান তাকে যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত রাখল। যে তিনজন তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি তিনি তাদের মধ্যে একজন যিনি ঘরের টানে যুদ্ধে যান নি।

    যাদের এমন রুটিন পরিবর্তনের ব্যপারে অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যে এ বিষয়টি এক সময় না এক সময় ঘরের প্রতি দুর্বল করে তুলবে। কোন কোন মুজাহিদ বাড়ি না ফিরে, তাদের পরিবারের কাছে ফিরে না গিয়ে বছরের পর বছর যুদ্ধের ময়দানে কাটিয়ে দেন। এতে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। অতএব, একজন মুজাহিদের অন্যতম একটি গুণ হচ্ছে সবর।

    শাইখ ইউসুফ আল উয়াইরি রহঃ এর একটি আলোচনা অবলম্বনে
    Last edited by Ibn Umar; 02-04-2018, 11:14 PM.

  • #2
    খাত্তাব (রহ.) বলছেন যে
    যদি আমরা আমাদের পিতাদের অবাধ্য না হতাম, আমরা কেউই জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারতাম না। আমরা আমাদের পিতার অবাধ্য হতে হয়েছিল।
    জিহাদের পথে বাধা ( শাইখ ইউসুফ আল উয়াইরি রঃ)

    Comment


    • #3
      জিহাদের পথে আসার পর থেকে মুজাহিদের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। আপনি যখন জিহাদের কথা বলবেন লোকেরা আপনাকে প্রথমেই জঙ্গি বলে গালি দিবে। আপনার উস্তাদের কাছে বেয়াদব হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। সাথী ভাইয়েরা যারা জিহাদ থেকে দূরে তারা তো একধাপ এগিয়ে বলবে, অ তোরে চিনি না!?? লিখপড়াই গাধা ছিলে। এরকম নানান কথা শুনতে হবে। আপনি তৈরি তো??? আরি আসল আপনি শহিদ হলে আপনার লাশটাও বাড়িতে না আনতে পারে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
      سورة توبة ٤٦

      Comment


      • #4
        Originally posted by musanna View Post
        জিহাদের পথে আসার পর থেকে মুজাহিদের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। আপনি যখন জিহাদের কথা বলবেন লোকেরা আপনাকে প্রথমেই জঙ্গি বলে গালি দিবে। আপনার উস্তাদের কাছে বেয়াদব হিসেবে সাব্যস্ত হবেন। সাথী ভাইয়েরা যারা জিহাদ থেকে দূরে তারা তো একধাপ এগিয়ে বলবে, অ তোরে চিনি না!?? লিখপড়াই গাধা ছিলে। এরকম নানান কথা শুনতে হবে। আপনি তৈরি তো??? আরি আসল আপনি শহিদ হলে আপনার লাশটাও বাড়িতে না আনতে পারে।

        ঠিক বলেছেন।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর দয়ায় মুজাহিদিনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছেই। আমাদের জিহাদ বিমুখ শাইখদের ওয়াজ, আর মাসউদ মিয়ার ফতুওয়া কোনই কাজে আসেনি। নতুন সাথীরা তার ফতুওয়ার শুনে হাসে। আসলে তারা ভেবেছিলো জঙ্গি বিরোধী র*্যালী যেই পরিমাণ বড় হয়েছে জঙ্গি বুঝি এই শেষ!!!!!
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            আমাদের সৃষ্টি করেছেন কে? আল্লাহ।
            আমাদের রিজিক দেন কে? আল্লাহ।
            কাজেই আইনও চলবে আল্লাহর। আমাদের বুখে রক্ত দিয়েছেন কে? আল্লাহ। কাজেই আল্লাহর দেয়া রক্ত, আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর জমিনে প্রবাহিত করবো, ইনশাআল্লাহ। কোন তন্ত্র- মন্ত্রের জন্য নয়। কোন নেতা- নেত্রীর জন্য নয়।

            Comment


            • #7
              খাত্তাব (রহ.) বলছেন যে
              যদি আমরা আমাদের পিতাদের অবাধ্য না হতাম, আমরা কেউই জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারতাম না। আমরা আমাদের পিতার অবাধ্য হতে হয়েছিল।
              জিহাদের পথে বাধা ( শাইখ ইউসুফ আল উয়াইরি রঃ)
              আমার বাবা যখন আমাকে এ পথ থেকে ফিরানোর একের পর এক অপকৌশল গ্রহন করছিল - তখন আমাকে এ কথাটি সূদৃঢ় রেখে ছিল।

              Comment


              • #8
                খুবি নাজুক অবস্থা। কোন ছাত্র যদি জিহাদের তানজিমের সাথে জরিত থাকে। মাদ্রাসার কর্তিপক্ষ জানতে পারে তাহলে ত্বাগুত লাগবে না তারাই বারোটা বাজিয়ে দিবে। ছাত্র জীবনেও দেখেছি, এখন দেখছি। একজন ছাত্রের কাছে কিছু পেপার পাওয়া গেছে। একজন জিহাদ বিরোধী শাইখের হাতে পড়েছে, ছাত্র রাত্রেই গায়েব। কারণ তাকে তো পরের দিন এমনিই বহিষ্কার করা হবে। আমাদের এমস্ত শাইখরা আমাদের কোন ইসলাম শিখাচ্ছে!!!নাকি ওনাদের কাছে নতুন করে ইসলাম নাজিল হচ্ছে! সারাটা জীবনই তো জিহাদের প্রেমীদের বহিষ্কার করে গেলেন এখন একটু ফিরে আসুন।
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ!

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জিহাদের প্রস্ততি নেয়ার তৌফিক দান করেন ৷
                    আমিন৷
                    যেমন মাঝে মাঝে গরমে পাখা না চালিয়ে ঘুমানো ৷ ধারাবাহিক কয়েক দিন ভাত না খেয়ে রুটি খেয়ে থাকা ৷

                    Comment


                    • #11
                      আসলে একটাই কারন তাদের অন্তরে অহান ডুকে গিয়েছে কিন্তু তারা দ্বীনের কোন ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ ৷

                      Comment


                      • #12
                        রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাথিদের কে ছাবি অর্থাত ধর্মচ্যুত বলা হয়েছে।
                        শায়ের , কাযেব, কাহেন,যাদুকর, বাপদাদার আদর্শত্যগি,বংশে বংশে দন্দ সৃষ্টিকারি,পরিবারে পরিবারে কলহ বিস্তারকারি,...
                        কারি তায়্যিব রাহিঃ বলেনঃ এগুলো হলো পরকালের উচু উচু বিভিন্ন র*্যঙ্ক/পদবির নাম।
                        যেমন যুদ্ধের ময়দানের রক্ত হাশরের ময়দানে মিশকের ঘ্রান ছড়াবে, আঘাত যাহা বাহ্যত আকৃতি নষ্টকরে এগুলো যার মধ্যে যত বেশি হবে তত বেশি সুন্দর্য্য নিয়ে সে উঠবে,পক্ষান্তরে যার মধ্যে আঘাতের কোন চিহ্নই থাকবেনা সে প্রতিবন্দি হিসেবে হাশরের মাঠে উঠবে।
                        সুতরাং হে ভায়েরা! যত বেশি সম্ভব মালামত নিন্দা তিরস্কার তাচ্ছ্যিল্য ঘৃনা অপমান অসহযোগিতা বিরোধিতা আঘাত ... এর সঞ্চয় এখনই বৃদ্ধি করে নেয়ার সৌভাগ্য অর্জন করা দরকার।
                        আল্লাহর শত্রুদের দাপটের এই ফিত্নার যামানায় যে যত বেশি আল্লাহ তায়ালার ঘনিষ্ঠ হবে সে পৃথিবি বাসির নিকট তত বেশি অবাঞ্চিত হবে।
                        সুতরাং যে যে অবস্থায় থাকিনা কেন নেমে পড়া জরুরি ।যে অপুর্নতা অযোগ্যতা আমাদের কে পিছিয়ে রাখছে সে গুলো ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিত মন নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া চাই , কোন ত্রুটি থাকলে আল্লাহ মাফ করেন এই পথের কষ্টের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ইছলাহ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ, হাঞ্জালা রাঃ জানাবাত অবস্থায় শহীদ হয়েছেন , তাঁকে ফিরিশ্তাগন গুসল দিয়েছেন।

                        Comment

                        Working...
                        X