Announcement

Collapse
No announcement yet.

চিন্তাধারার পার্থক্য চমৎকার!!!!!!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চিন্তাধারার পার্থক্য চমৎকার!!!!!!!

    আমাদের আর সাহাবাদের চিন্তা চেতনার মাঝে পর্থক্য তো দেখুন,
    আমাদের আর সাহাবাদের চিন্তা চেতনার মাঝে পর্থক্য তো দেখুন, তাঁরা জিহাদের জন্য বের হওয়াকে কখনো তা'লীমের জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন না, বরং এটাকে আল্লাহ তা'য়ালার নৈকট্যের সহজ মাধ্যম মনে করতেন৷ জিহাদ ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য বের হওয়াকে পড়াশুনার জন্য প্রতিবন্ধক মনে করতেন৷ চাই তা ব্যবসার হোক কিংবা জিবিকা উপার্জনের জন্য।

    পক্ষান্তরে আমাদের অবস্থা হল সম্পূর্ণরুপে এর বিপরীত৷ আমরা জিহাদকে মনে করি পড়াশুনার পথে প্রতিবন্ধকতা, আর জীবিকা উপার্জন তথা চান্দা উঠানো, কালেকশন করা ইত্যাদিকে বানিয়ে নিয়েছি পড়ালেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ অথচ তাঁরা এটাকেই পড়া শুনার মাঝে খলল সৃষ্টিকারী মনে করতেন৷

    হযরত আবু হুরায়রা রা: এর ছাত্র জামানা দেখুন, তিনি রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনের জন্যও বের হতেন না এই আশংকায় যে, যদি ওই মুহুর্তে রাসুল সা: কোন হাদিস বর্ণনা করেন আর তিনি সেটা থেকে বঞ্চিত হয়ে যান? রাসুল সা: এর দরবার ছেড়ে খাবার কালেকশনে যাওয়াটা তাঁর নিকট ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে খলল সৃষ্টিকারী মনে হত ৷ কিন্তু জিহাদের ডাক এলে ঠিকই বের হয়ে যেতেন ৷ কেননা জিহাদকে তাঁরা ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি কারী মনে করতেন না ৷ বরং আল্লাহর অধিকতর নৈকট্যের মাধ্যম মনে করতেন ৷

    কিন্তু হায় আফসুস! আমরা আজ সাহাবায়ে কেরামের আদর্শ থেকে কত দূরে সরে গেছি!!!

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
    يا ايها النبي حرض المؤمنين علي القتال
    হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে জিহাদের জন্য উদ্ভুদ্ধ করুন৷

    আমাদের জন্য উচিত আমরা নিজেরা এই ফরজ আদায় করব, তালেবে ইলমদেরকে এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, উৎসাহিদেরকে সাহায্য করা ও অভয় দেয়া৷ এবং নিরুৎসাহিতকরী ও জিহাদের পুস্তক পড়ার কারনে কিংবা জিহাদের জযবা রাখার কারনে কোন তালিবে ইলমকে তিরস্কার কারীদেরকে দমন করা।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বিষয় বুঝার ও সে অনুযায়ে আমল করার তাওফিক দান করুন৷ আমিন !!! বরং জিহাদ-ই হল ইল্ম অর্জনের সর্বশ্রেষ্ঠ রাস্তা । কেননা সাহাবাগণ যখন জিহাদে রওয়ানা হতেন তখন কুরআন নাযিল হতো , কিতালরত থাকা অবস্থায় আয়াত নাযিল হতো , জিহাদ থেকে ফেরার সময় আয়াত নাযিল হতো । তাই সাহাবাগণ কুরআন বুঝেছেন জিহাদের মাধ্যমেই ।
    তাইতো সম্মানিত মুজাহিদ আলেম গণ স্পষ্ট বলেন , জিহাদ ছাড়া বা ময়দানে যাওয়া ছাড়া আর যাইহোক কুরআন সঠিকভাবে উপলব্ধি বা বুঝা সম্ভব নয় ।
    আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন।
    wasalam

  • #2
    جزاك الله خيرا

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তার প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুমিনদেরকে ক্বিতালের প্রতি উদ্বোদ্য কর*্যে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের আলিনগন তার বিপরীত।

      Comment


      • #4
        উৎসাহ দিবেতো পরের কথা কেউ যদি নিজ চেষ্টায় করে তবে তাকে মাদ্ররাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।

        Comment


        • #5
          Originally posted by আল-ফোরকান মিডিয়া View Post
          উৎসাহ দিবেতো পরের কথা কেউ যদি নিজ চেষ্টায় করে তবে তাকে মাদ্ররাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।
          প্রিয় ভা্ই। এসমস্ত কথার দ্বারা কোন ফায়দা হয়না। তাই আমরা ফায়দাওয়ালা কথা বলবো। যে কথার মধ্যে ফায়দা নেই তা বলবো না। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করেন। আমিন।
          ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

          Comment

          Working...
          X