Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাজ নািই। ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাজ নািই। ২

    জেনারেল ভাইদের উদ্দেশ্যে।
    আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনারা মনে করবেন না যে, আপনাদের কোনো কাজ নেই। বরং আপনাদের কাজ আরো বেশি। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আপনাদের কাজতো বেশি হওয়ার কথাই। কারণ মাদরাসার ছাত্ররা সারা জীবন চার দেওয়ালের মাঝে আবদ্ধ থাকে। বাহিরের পরিবেশের সাথে তারা এতোটা পরিচিত নয়, যেমনটা পরিচিত আপনারা। প্রযুক্তি, ইন্টারেনেট, ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার, মোবাইল, ল্যাপটপের সাথে আপনারা যতটা জড়িত, মাদরাসার ছাত্ররা কিন্তু ততোটা নয়। এটা এমন একটা প্রযুক্তি যার দ্বারা মুহুর্তের মধ্যে এক জায়গার খবর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর বর্তমান এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই সারা দুনিয়ায় নাস্তিকতার অবাধচারণা চলছে। নাস্তিকরা বিজ্ঞান ব্যবহার করে ইসলাম, কোরআন-হাদীস, আল্লাহ, রাসূল এর উপর আঘাত হানছে। তারা বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে ইসলামের আলোকে চিরোতরে নিভিয়ে দিতে চাচ্ছে। যুবসমাজকে তারা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মুসলমানদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তাদের সমস্ত গতিপথ বন্ধ করে দিতে হবে। টুটি চেপে ধরতে হবে, যাতে কথা বলতে না পারে। হাত অবশ করে দিতে হবে, যাতে এক অক্ষর লিখতে না পারে। ভাইরাজগুলোকে চিরো জনমের জন্য ডিলেট করে দিতে হবে, যাতে অন্য কাউকে ভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে। কিন্তু এ কাজগুলো কে করবে? কার সাধ্য আছে তাদের কল্যাটাকে শরির থেকে আলাদা করার? হয়তো আপনারাই পারবেন। কারণ, এরা সবসময় আপনাদেরই আশেপাশে থাকে। আপনাদের সাথে উঠা-বসা করে। আপনাদের ক্লাসে একই সাথে পড়া-লেখা করে। হয়তো আপনাদেরকেও তারা নাস্তিকতার পথে আহবান করেছে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে হিফাজত করেছেন। ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। এই কাজগুলো আপনাদেরই করতে হবে। আপনাদেরকেই অগ্রনী ভুমিকা পালন কতের হবে। কিন্তু খবরদার! এখোনই নয়। উপর থেকে নির্দেশ আসার পুর্বে আপনারা এক পা ও আগাতে পারবেন না। এখোন তাদেরকে টার্গেট করতে থাকুন। পরিকল্পনা করতে থাকুন। চাপাতি ধার দিতে থাকুন। তাদেরকে হত্যা করতে চাপাতিই ব্যবহার করতে হবে। শত শত টাকা খরচ করে বুলেট ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। কেন আপনার মূল্যবান টাকা তাদের পিছনে খরচ করতে যাবেন? যদি খরচ ছাড়াই তাদেরকে হত্যা করা যায়। বলতে পারেন, আদেশ আসার পু্র্বে এই অবসর টাইম আমরা কোন কাজে ব্যায় করব? তাহলে শুনুন, তারা যেহেতো বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে ইসলামের উপর আঘাত হানছে। আর আপনারাও বিজ্ঞান নিয়ে পড়া- লেখা করেন, তাই আপাতোত তাদের সাথে বিজ্ঞান দিয়ে মুকাবেলা করুন। তাদের প্রত্যেকটা প্রশ্নের দাতভাঙ্গা জাবাব দিন। এরা যাতে নাস্তিকতার ছয়লাবে যুবসমাজকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে না পারে। সে জন্য আপনারা সোচ্ছার হন। কঠোর হস্তে দমন করুন। যদিও এ পথে তারা দমবে না। তাদেরকে দমানোর একটাই পথ, “দেহ থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া” কিন্তু হয়তো এর সময় এখোনো আসেনাই, আরো অপেক্ষা করতে হবে। তবে সাধারণ জনগন আর যুবসমাজকে তাদের হাত থেকে বাচানোর জন্য আপাততো আপনাদেরকে এটাই করতে হবে।
    আপনাদের দ্বিতীয় কাজ; বিজ্ঞান নিয়ে ভালোভাবে পড়া-লেখা করুন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেশনা করুন। এটা আপনাদের সামনে খুব কাজে লাগবে। কি কাজে আপনারাই ভেবে দেখুন। প্রস্তুত থাকুন।
    আপনাদের তৃতীয় কাজ; হয়তো আপনাদের মাঝে এমন অনেকে আছে, যাদের নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত আরো অনেক বিষয়ের মাসআলা যেগুলো জানা প্রয়োজন কিন্তু জানা নাই, সেগুলো জানতে থাকুন। ছাহীহ ভাবে কোরআন শিখুন। নামাজকে ভালোভাবে শিখার চেষ্টা করুন। এ গুলো ছাড়াও আরো যত দৈনন্দিন জীবনের মাসআলা আছে সেগুলো শিখার চেষ্টা করুন। মানুষের সাথে উঠা- বসা, কেনা- বেচা, লেন- দেনের মাসআলা গুলো শিখতে থাকুন। কারণ, এগুলোও আপনার জীবনে অনেক প্রয়োজন।


  • #2
    মা-শা-আল্লাহ আখি খুব ভালো লিখেছেন। জাযাকাল্লাহ।

    Comment


    • #3
      মা-শা আল্লাহ।
      যাজাকাল্লাহু খাইরান..
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment

      Working...
      X