Announcement

Collapse
No announcement yet.

সবাই বলে তুমি এত উগ্র কেন ? তখন আপনি কি করবেন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সবাই বলে তুমি এত উগ্র কেন ? তখন আপনি কি করবেন?

    বিসমিল্লাহ - ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ -

    অনেকে বলে তুমি এত এক্সট্রিম কেন? ইসলামের মধ্যে কি তুমি শুধু মারদাঙ্গাই খুজে পাও। ইসলাম কি ভালো আর কিছু বলে না? ইসলাম তো আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে শান্তির কথা বলে সেগুলো বলোনা কেন? কেন তোমার কথা থেকে শুধু উগ্র আচরনের প্রতিফলন হয়? তুমি একাই কি সব বুঝে গেছ? দেশের লাখ লাখ আলেম উলামা তারা কি কিছুই বুঝেন না? ইসলামের সব কিছু কি শুধু তুমি একাই বুঝ?

    এগুলো হচ্ছে আমাদের সময়ের কিছু এমন প্রশ্ন যা একদিকে যেমন সন্দেহ তৈরি করে, একজন দায়ী ইলাল্লাহ কাজের উৎসাহ কে ঝিমিয়ে দেয়, অপর দিকে যারা প্রপাগান্ডা চালায় তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব ক্ষেত্রে এগুলো বিক্ষিপ্ত প্রশ্ন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে একটি সমাধান বা স্বীকৃতির দিকে আগায়। প্রশ্নের উদ্দেশ্যই হচ্ছে একটি সমাধান এ আসা। একই ভাবে প্রশ্ন কারী যখন যে বিষয়ে প্রশ্ন করেন সে বিষয়ে নুন্যতম জ্ঞান রাখেন না তখন তার প্রশ্ন আরো জটিল হয়। কারন উত্তর কে উপলব্ধি করার মত তথ্যজ্ঞান তার কাছে নাই। এখন এই ধরনের প্রশ্ন গুলো কে আমরা কিভাবে মুকাবেলা করবো?

    একটি উসুল হচ্ছে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে নাই কারন কিছু প্রশ্ন জন্ম হয় শুধু মাত্র আরো একটা প্রশ্নের জন্ম দেয়ার জন্য। এগুলো হচ্ছে ফাসাদ তৈরি করার উপকরন। এমন কি প্রশ্নের উত্তর যতই সুন্দর ভাবে দেয়া হোক না কেন তারা সেটির দিকে না তাকিয়ে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যাবে। তাই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে দেখা দরকার এই প্রশ্নের উদ্দেশ্য কি?

    বর্তমান সময়ে যত ধরনের প্রশ্ন আসবে আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন সমস্ত প্রশ্নের রুট/শেকড় একই। আর তা হচ্ছে তাওহিদ এর পরিপন্থী। বাতিল শক্তি চায়না যে দুনিয়ার বুকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হয়ে যাক। ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ হয়ে যাক। এটা তারা চায়না। আমরা আসলে ধূর্ত লোকদের পাল্লায় পড়ে তাদের স্টাইলে খেলতে নেমে যাই। তারা চায় আমরা তাদের ফাদে পা দেই, আমরা তাদের সাথে উপরে উপরে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে যাই। কারন তারা জানে আমরা উলটা যদি তাদের কে শেকড়ে টেনে নিয়ে আসি তাহলে তারা হাঁসফাঁস শুরু করে দিবে।

    শুবুহাত কে ফাইট করার একটা সুন্দর ফর্মুলা কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। সুরা আলইমরান এর ৭ নং আয়াতঃ

    هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِنْ عِنْدِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ

    "তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তা অনুসরণ করে। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বুদ্ধিমান লোকেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।" একজন মুসলমান কে বলেন - ভাই আসো সব বাদ দেই - আল্লাহ বলেছেন - ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ - এই আয়াত টা কি তোমার কাছে স্পস্ট মনে হচ্ছে নাকি রুপক মনে হচ্ছে? এটি বুঝতে কি তোমার কোন রকম কস্ট হচ্ছে? এটির অর্থ কি ঘোলাটে?

    তাহলে আস আমরা আপাতত এই বিষয়ে এক হই যে দুনিয়াতে হুকুম শুধু আল্লাহর ই চলবে। কেউ যদি এটা মেনে নিবে তাহলে আসলে তার বাকি প্রশ্ন এমনিতেই নাই হয়ে যাবে। কারন এটি ই হচ্ছে তাওহিদ আর সমস্ত প্রশ্ন শুধু এটি কে না মেনে নেয়ার জন্য।

    হ্যা এখন এই বিরোধিতা বা আপাত বিরোধিতার কারন অনেক। কারো জন্য ক্ষমতা, কারো জন্য নিরাপত্তা, কারো জন্য গো উইথ দা ফ্লো, কারো জন্য অজ্ঞতা, কারো জন্য একটু দুনিয়াবি উপকারিতা, কারো জন্য আল্লাহর অভিশাপ কারন সে জেনে বুঝে আল্লাহর কালাম গোপন করে আল্লাহর অভিশাপ নিজের উপরে নিয়ে এসেছে বালাম বাউরার মত। সে এখন এই অভিশাপের মধ্যেই থাকবে। তাই বলছিলাম যে আমরা যদি উপর থেকে তাদের বিক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে যাই আমরা ক্লান্ত হয়ে যাব, উপরন্তু এমন ও হবে যে তারা কেউ আদৌ কোন উত্তর ই চায়না। রাসুল সাঃ কে মক্কার কাফের রা কত বিভিন্ন রকম বিষয়ে প্রশ্ন করেছে, কিন্তু রাসুল সাঃ শধু তাই বলেছেন যা আল্লাহ নাজিল করেছেন।

    আমাদের দিকে যে প্রশ্ন গুলো আসে তা ইসলামের যে কোন একটি হুকুমের কোন ক্ষুদ্র অংশের ব্যাপারে। যেমন ধরা যাক - ইসলাম কি শুধু উগ্রবাদের ব্যাপারে বলে শান্তির কথা কিছু বলে না? এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আপনি প্রশ্ন কারীকে জিজ্ঞেস করেন তার প্রশ্ন টি আসলে ইসলাম নিয়ে - তিনি নিজে প্রশ্নের উত্তর এর সাথে সাথে ইসলামের বেপারে আরো বিস্তারিত কিছু জানার আগ্রহ রাখেন কিনা? আমার মনে হয়না আপনি এরপরে উত্তর গ্রহন করার মত খুব বেশি কাউকে খুজে পাবেন, আর তাই যদি হয় তাহলে প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য কি? যদি হয় শুধুই ফিতনা আপনি রাস্তা ছেড়ে দেন, নিজেকে ক্লান্ত করেন না কারুন আপনার সফর আরো অনেক লম্বা। অনেকে আপনাকে খুজছে হন্য হয়ে। আপনি তাদের কাছে পৌঁছে যান। আর প্রশ্ন কারী যদি সত্যি জানতে আগ্রহী হয় তবে তাকে কুরআন দিয়ে শুরু করেন। তাকে বলেনে ই কুরআনে কিছু আয়াত আছে মুহকাম আর কিছু আয়াত আছে মুতাশাবিহ, আসেন আমরা মুহকাম আয়াত গুলো থেকে ইসলামের ব্যাপারে জানি।

    একজন দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে আপনার কাজ অনেক বেশি। আপনি যদি কুটিল লোকদের ছলনায় পড়ে যান তবে তো আপনি হেরে গেলেন। তারা তো আল্লাহর নুর কে মুখের ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, আপনি ছেড়ে দেন তাদের কে কিছু সময়ের জন্য। আপনি আপনার কাজ করে যান অবিরত আর তা হচ্ছে - মানুষের কাছে এই দাওয়াত পরিষ্কার করে দেয়া যে দুনিয়া আল্লাহর, হুকুমও চলবে শুধুই আল্লাহর। দ্বীন শুধু মাত্র আল্লাহর না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ আদেশ মত আমাদের কাজ চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ

    বিজয় তো শুধু মুমিনদের জন্যই - আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    বিজয় তো শুধু মুমিনদের জন্যই - আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের দ্বীনের জন্য কবুল করুন,আমিন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
      سورة توبة ٤٦

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল জাযা... ভাই একদম দায়ী ভাইদের চিত্ত প্রশান্ন কারী... আলোচনা...
        আল্লাহ তায়ালা আপনার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিন আমিন.....!!
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment


        • #5
          zajakallaho ahsanal jzja

          Comment


          • #6
            zajakallah
            হে ওলামায়ে কেরাম আমরা আপনাদের সন্তান
            AQIS

            Comment


            • #7
              সম্মানিত ভাই , আপনার অনুপস্থিতি হৃদয়ে বেথা দেয় । গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভাই আগের মতো এখন ফোরাম এ আর আসেন না । সত্যি বলতে অনেকদিন যাবত প্রিয় ফোরাম কে খুব-ই নির্জীব লাগছে । বেশকিছু দিন তো ফোরাম দেখে মনে হলো যেন পত্রিকার কোন পেজ ভিসিট করেছি । অথচ পত্রিকা বা সাধারণ নিউসগুলো জানতে হয়তো কেউ ফোরামে আসে না । যাই হোক , হাতে গোনা অল্প কিছু ভাই আছেন যারা এখনো মেহনত করেন আমাদের মতো অযোগ্যদের হৃদয়ের খোঁড়াক যোগাতে । যার মধ্যে আপনি হয়তো একজন । তাই , আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতি অন্তরে খুব লাগে ভাই । হয়তো সাময়িক এই অনুপস্থিতি দ্বীনের কোন স্বার্থেই , মহিমান্বিত আল্লাহ আমাদের কবুল করুন তাঁর সম্মানিত দ্বীনের তরেই ।


              ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
              আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

              Comment


              • #8
                জাযা কুমুল্লাহ

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ALQALAM View Post
                  জাযাকাল্লাহু খাইরান আহসানাল জাযা... ভাই একদম দায়ী ভাইদের চিত্ত প্রশান্ন কারী... আলোচনা...
                  আল্লাহ তায়ালা আপনার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিন আমিন.....!!
                  Ameen Ya rabb.. wa iyaak
                  মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by সংগ্রামী যুবক View Post
                    সম্মানিত ভাই , আপনার অনুপস্থিতি হৃদয়ে বেথা দেয় । গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভাই আগের মতো এখন ফোরাম এ আর আসেন না । সত্যি বলতে অনেকদিন যাবত প্রিয় ফোরাম কে খুব-ই নির্জীব লাগছে । বেশকিছু দিন তো ফোরাম দেখে মনে হলো যেন পত্রিকার কোন পেজ ভিসিট করেছি । অথচ পত্রিকা বা সাধারণ নিউসগুলো জানতে হয়তো কেউ ফোরামে আসে না । যাই হোক , হাতে গোনা অল্প কিছু ভাই আছেন যারা এখনো মেহনত করেন আমাদের মতো অযোগ্যদের হৃদয়ের খোঁড়াক যোগাতে । যার মধ্যে আপনি হয়তো একজন । তাই , আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতি অন্তরে খুব লাগে ভাই । হয়তো সাময়িক এই অনুপস্থিতি দ্বীনের কোন স্বার্থেই , মহিমান্বিত আল্লাহ আমাদের কবুল করুন তাঁর সম্মানিত দ্বীনের তরেই ।
                    [/I][/B]

                    ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
                    =
                    আমীন ইয়া রাব্ব - জাঝাকাল্লাহ ভাই - দুয়ার দরখাস্ত ভাই।
                    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                    Comment


                    • #11
                      উত্তম একটা আলোচনা, দায়ী ভাইদের জন্য অনেক উপকার দিবে ইনশাআল্ল্লাহ।

                      জাযাকাল্লাহ ভাই!
                      এত চমৎকার একটি বিষয়ে আলোনা করার জন্য।

                      Comment


                      • #12
                        শাতিমে রাসূলকে শিরশ্ছেদ এর কথা বললে যদি উগ্রবাদী হয় তাহলে আল্লাহর কসম আমি উগ্রবাদী।
                        আমি আল্লাহর তরবারি
                        আমি খালিদ বিন ওলিদ
                        আমি পারস্য বাহিনীর মৃত্যুর দূত

                        Comment


                        • #13
                          মাশাল্লাহ, কৌশলটি দারুণ লেগেছে, শুকরিয়া আঁখি।
                          “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

                          Comment


                          • #14
                            জাযাকাল্লাহু খাইরান। প্রিয় আঁখি আপনার লেখা থেকে অনেক কিছুই জানতে ও বুঝতে পারলাম। আল্লাহ্ তা'আলা আপনার প্রতি রহম করুন।

                            আমি আপনার আলোচনার সাথে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করতে চাই। দ্বীনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা কোন দূষণীয় কিছু নয়। কেউ যদি দ্বীনের ব্যাপারে ইলম অর্জনের নিমিত্তে এবং কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে তবে প্রশ্নকারীর জন্য তা মোটেও দূষণীয় কিছু হবে না। বরং তা কল্যাণকর হবে। কিন্তু কারোও অন্তরে যদি কোন রোগ থাকে তাহলে তাকে দ্বীনের ব্যাপারে হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিলেও সে তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করবে না। বরং সে কোরআনের সরল পথের পরিবর্তে বক্র পথই গ্রহণ করবে। তাকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিলে সে আরোও অনেকগুলো প্রশ্নের অবতারণা করবে এবং আপনাদের সাথে অহেতুক তর্কে লিপ্ত হবে। আপনি কোনভাবেই এধরনের লোকদের সাথে পেরে উঠবেন না। বরং তারা আপনার সাথে ভীষণ তর্কে লিপ্ত হবে। এধরনের লোকদের সাথে বরং তর্কে লিপ্ত না হওয়াই উত্তম। তাদেরকে সুন্দরভাবে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

                            পক্ষান্তরে যারা মুত্তাকি দ্বীনের ব্যাপারে তারা কখনোই অহেতুক তর্কে লিপ্ত হবে না। দ্বীনের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করা হলে ইলম অর্জনের নিমিত্তে এবং কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যেই তারা প্রশ্ন করে। দ্বীনের ব্যাপারে তারা কখনোই বাড়াবাড়ি কিংবা ছাড়াছাড়ি করবে না। তাদের সামনে যখন দ্বীনের ব্যাপারে আলোচনা হয় তখন তারা তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করে। তাদের সামনে যখন কোরআনের আয়াত পেশ করা হয় তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। কোরআনের আয়াতের ব্যাপারে অহেতুক তর্ক কিংবা সন্দেহ পোষণ করা তো দূরের কথা বরং তারা কোরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করে।

                            তাদের কাছে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল ﷺ ই সবচেয়ে বেশি প্রিয়। শরিয়তের ব্যাপারে তারা কারো সাথে কোন আপোষ করে না। তাদের কাছে আল্লাহর বিধানই সবচেয়ে বেশি প্রিয়।

                            পক্ষান্তরে যাদের অন্তরে বক্রতা রয়েছে তাদের সামনে কোরআনের সরল পথ থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছুকে তারা উপাস্য রূপে গ্রহণ করে। তারাই মানুষের মাঝে সংশয় সৃষ্টি করে। তারাই মানুষের মাঝে ফিতনা বিস্তার করে। তারা কোরআনের আয়াত থেকে উপদেশ গ্রহণ তো করেই না বরং ফিতনা বিস্তারের উদ্দেশ্যে অপব্যাখ্যা করে এবং বিরুদ্ধাচরণ করে। অহেতুক তর্কে লিপ্ত হয়, যাতে করে অন্যরা বিভ্রান্ত হয়। আর এধরনের লোকেরাই গাফেল। উপরন্তু তারা আল্লাহর কোরআনের আয়াত না জেনে না বুঝে ভীষণ তর্কে লিপ্ত হয়। কিংবা কোরআনের আয়াত জানা সত্ত্বেও বা বোঝা সত্ত্বেও তারা তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করে না।

                            হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুন, আপনার সরল পথের উপর আমাদের প্রতিষ্ঠিত রাখুন এবং আল কোরআন বুঝে শুনে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামিন।

                            Comment


                            • #15
                              আলহামদুলিল্লাহ, ভাইয়ের আলোচনায় এই প্রশ্নগুলো হল হয়ে গেল, আল্লাহ তায়ালা ভাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

                              Comment

                              Working...
                              X