Announcement

Collapse
No announcement yet.

As-Sahab Media || মাউলানা আসেম উমার (হাফি.) এর বয়ান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • As-Sahab Media || মাউলানা আসেম উমার (হাফি.) এর বয়ান

    بسم الله الرحمن الرحيم


    مؤسسة السحاب للإنتاج الإعلامي
    আস-সাহাব মিডিয়া প্রোডাকশান


    تقدم
    পরিবেশিত




    الاصدار مرئي
    ভিডিও প্রকাশনা


    سفر کٹا چاہتا ہے اور منزل دوگام رہي ...
    সফর করতে চায় কিন্তু মনজিল দুর্গম...


    لمولانا عاصم عمر حفظہ اللہ
    মাওলানা আসীম ঊমর হাফিজাহুল্লাহ





    ডাউনলোড


    পাসওয়ার্ড
    PHP Code:
    OK09QSNwxcNBY86PMNAEYy@fsI1 

    جودة عالية
    198.75 MB



























    جودة متوسطة
    78.47 MB






























    جودة جوال
    13.73 MB




























    Pdf+Doxc
    825.48 KB




























    ادعوا لإخوانكم المجاهدين

    إخوانكم في
    مؤسسة السحاب للإنتاج الإعلامي

    المصدر: (مركز الفجر للإعلام)


    ------------------------------------------------------------------------------------
    অনলাইনে দেখার জন্য এবং পাসওয়ার্ড ছাড়াই সরাসরি দেখার জন্য নিচের ভিডিওগুলো অনঅফিশিয়ালি আপলোড করা


    youtube


    dailymotion

    archive



    ------------------------------------------------------------------------------------
    Last edited by Hani Hanjour; 10-25-2015, 12:26 AM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ

    Comment


    • #3
      ভাইসব,
      এর বাংলা অনুবাদ অচিরেই প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ। অপেক্ষা করুন...
      আপনাদের নিকট আমাদের জন্য দোয়ার আবেদন...যাতে আমরা উম্মাহর উত্তম খেদমত আঞ্জাম দিতে পারি। দীনের জন্য ইখলাসের সাথে নিজেকে কুরবান করতে পারি।

      Comment


      • #4
        জাযাকআল্লাহ খাইর।
        ভাই,
        জানিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
        অনেক ভাই হয়তো একা একাই আনুবাদ করে ফেলতেন, কিন্তু এভাবে জানিয়ে দিলে একই জিনিস বার বার অনুবাদ করা লাগবে না।
        ভবিষ্যতেও এভাবেই জানিয়ে দিবেন আশা করি।

        Comment


        • #5
          আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ আহমেদ ফারুক ভাই... অসংখ্য ধন্যবাদ... বাংলা প্রকাশ হবার পর পরই ইনশা আল্লাহ "তাওহীদ মিডিয়া" এই লেকচারটি বাংলায় রেকর্ড করবে।

          মাওলানা আসেম ওমর (হাফি) এর আগের একটি লেকচার ছিলো - হিন্দুস্তানের মুসলিমদের প্রতি একটি বার্তাঃ "তেরে দারিয়া মে তুফা কিউ নেহি হে"। এটা আমাদের ধারনা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের কাছে সেই পি ডি এফ টি নাই এবং আমরা খুজেও পাচ্ছি না। যদি আপনাদের সংগ্রহে থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই "তাওহীদ মিডিয়া" কে সহযোগিতা করবেন, ইনশা আল্লাহ।
          Last edited by TawhidMedia; 10-27-2015, 02:19 PM.

          Comment


          • #6
            প্রিয় তাওহীদ মিডিয়া ভাই,
            নিচে সেই বয়ানটির বাংলা আবার পোষ্ট দিয়ে দিলা...। আপনাদের কাজে আল্লাহ তায়ালা বারাকাহ দান করুন... আমীন।
            ---------------------



            বাংলায় অনূদিত
            আস-সাহাবপরিবেশিত
            আপনাদের মহাসাগরে কোনও ঝড় নেই কেন?

            ভারতবর্ষের মুসলিমদের প্রতি
            বার্তা
            বার্তা প্রদানকারী

            মাওলানা আসীম উমার
            (আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুন)

            সকলপ্রশংসা মহান আল্লাহ’র জন্য। সালাত ও সালাম সর্বশেষ রসুল (সাঃ) এর উপরবর্ষিত হোক।

            প্রথমেই আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহ’র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। পরম করুণাময় ও অশেষ মেহেরবান আল্লাহ’র নামে শুরুকরছি।

            আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ
            ”هُوَ الَّذِيْٓ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰي وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَي الدِّيْنِ كُلِّهٖ ۙ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ”
            “তিনিইহচ্ছেন সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রসূলকে (যথার্থ) পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে আল্লাহ’র রসূল (দুনিয়ার) অন্য সববিধানের ওপর একে বিজয়ী করতে পারেন, (সত্যের পক্ষে) সাক্ষ্য দেয়ার জন্যেআল্লাহ ত’আলাই যথেষ্ট।”[সুরাঃ আল-ফাতহ; আয়াতঃ ২৮]

            আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ
            “وَقَاتِلُوْهُمْ حَتّٰي لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ كُلُّهٗ لِلّٰهِ ۚ فَاِنِ انْتَهَـوْا فَاِنَّ اللّٰهَ بِمَا يَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ"
            “(হেইমানদারগণ) তোমরা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না (আল্লাহ’রযমীনে কুফরির) ফিতনা বাকী থাকবে এবং দীন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তা’আলারজন্যেই (নির্দিষ্ট) হয়ে যাবে, (হাঁ) তারা যদি (কুফর থেকে) নিবৃত্ত হয়,তাহলে আল্লাহ তা’আলাই হবেন তাদের কার্যকলাপের পর্যবেক্ষণকারী।” [সুরাঃআল-আনফাল; আয়াতঃ ৩৯]


            আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ
            وَلَوْلَا دَفْعُ اللّٰهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الْاَرْضُ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ ذُوْ فَضْلٍ عَلَي الْعٰلَمِيْنَ ٢٥١؁

            “(আসলে)আল্লাহ তা’আলা যদি (যুগে যুগে) একদল লোককে দিয়ে আরেকদল লোককে শায়েস্তা নাকরতেন, তাহলে এই ভূখণ্ড ফিতনা ফাসাদে ভরে যেতো, (কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তাচাননি, কেননা) আল্লাহ তা’আলা এ সৃষ্টিকুলের প্রতি বড়োই অনুগ্রহশীল!” [সুরাঃ আল-বাকারা; আয়াতঃ ২৫১)

            আল্লাহ’র নাবী (সাঃ) বলেনঃ
            “আল্লাহআমার উম্মাতের দুই দলকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেছেন; সেই দল যারা আলহিন্দ (উপমহাদেশ) আক্রমণ করবে এবং সেই দল যারা মারিয়াম (আঃ) এর পুত্র ঈসা (আঃ) এর সঙ্গে থাকবে।”
            আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে আল্লাহ’র নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ’র রসূল (সাঃ) আমাদেরকে হিন্দ (উপমহাদেশ) বিজয়েরপ্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি এতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হই, তাহলে আমার মালও জানের দুটোই এতে ব্যয় করবো। যদি আমি নিহত হই, আমি সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদদেরঅন্যতম হবো। আর যদি আমি ফিরে আসি, আমি হবো আবু হুরায়রাহ – যে কিনা মুক্ত (জাহান্নাম থেকে)।”

            বাজপাখি গেছে উড়ে বন্দীদশা হতে, পাখীদের বলে
            কারাগারের ডাণ্ডায় তোমরা নিজেদের করো আঘাত, রক্তে ভিজে উড়ো
            নিজেদের শক্তিতে যদি থাকে বিশ্বাস তাহলে করো না বিনয়
            একারণেই যে তুমি গতানুশোচনা করবে এ বয়সে কারাপালের দরজায় ঠুকা দিয়ে

            দিল্লীরমাটি কি একজন শাহ মুহাদ্দিস দেহলভী কে জন্ম দিতে পারে না যিনি আবারভারতীয় মুসলিমদের ভুলে যাওয়া জিহাদের অনুশীলনীর শিক্ষা দিবেন ও তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন জিহাদের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে? সেই দলের কি আর কোনওউত্তরাধিকারী নেই যারা বালাকোটে নিজেদের রক্তে সিক্ত করেছিলো,যাদের কুফরিব্যবস্থার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াবার সাহস আছে ও যাদের সাহস আছে আল্লাহ’রজন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার? উত্তর প্রদেশে কি এমন কোনও মা নেই যারা তাদেরসন্তানদের এমন ঘুমপাড়ানি গান শুনাবে যা শুনে তাদের সন্তানেরা বাজার, পার্ক ও খেলার মাঠে যাওয়ার পরিবর্তে শামিলির যুদ্ধক্ষেত্র মঞ্চস্থ করবে? শায়খুল হিন্দের পরবর্তীরা কি আজীবনের জন্য হিজরত এবং জিহাদ পরিত্যাগ করলো? বিহারের মাটি কি এতোই অনুর্বর হয়েছে যে আযিমাবাদের মুজাহিদীনদের মতো একটিদল তৈরি করতে তারা অক্ষম? কোন ধর্মদ্রোহীর বদ নজর বাংলার মাটি দগ্ধ করেছেযার ফলে ইতিহাস আরেক সিরাজ উদ্দৌলা প্রত্যক্ষ করতে পারছে না? ভারতেরদক্ষিণাঞ্চলের মুসলিমগণ যেন পুরোপুরি ভুলে গেছে মহিশূরের সিংহের সেই কথা যাআজও ধর্মদ্রোহীদের ভয়ে কাঁপায়ঃ ‘সিংহের একদিনের জীবন শিয়ালের হাজারবছরের জীবনের চেয়েও শ্রেয়। গুজরাটের মাটি কি এমন হল যেখানে কিনা আগে কুফরও শিরকের বিরুদ্ধে তাকবীরের আওয়াজ উঠত, যা আজও ওঠে তবে কেন তা সৌমনাথকেভয়ে কম্পিত করে না? এসব প্রশ্ন ইতিহাসের শিক্ষার্থীদের অবশ্যইন্যয়সঙ্গতভাবে ভারতের মুসলিমদেরকে করতে হবে।

            আজ সারাবিশ্বে যখনজিহাদের ডাক দেয়া হচ্ছে এবং এমন সময় যখন প্রত্যেক অঞ্চলের মুসলিমরা তাদের নিজভূমিতে জিহাদ শুরু করে দিয়েছেন কুফর ভিত্তিক ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটন করতে।তাই আজ শুধুমাত্র আলীমদেরকে প্রশ্ন করা ছাড়াও বিশ্বব্যপি জিহাদেরনেতৃবৃন্দেরভারতের সাধারণ মুসলিমদের এই প্রশ্ন করার অধিকার আছে যে, ভারতের সেই মুসলিমরা কোথায় ইতিহাস যাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় যে তারাপ্রতি যুগে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে সত্যের পতাকা আরোহণ করেছিলেন? ভারতেরসেই আলীমরা কোথায় যাদের পূর্ববর্তীরা সবচেয়ে কঠিন অগ্নিপরীক্ষা পড়াসত্ত্বেও ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিত্যাগ করেননি? কেন ভারতীয়মুসলিমরা জিহাদের ময়দানগুলো থেকে পুরোপুরি অনুপস্থিত? হে উম্মাহ’র যুবকেরা, হে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ভারতীয় অনুসারীরা, দিল্লীর জামে মসজিদের অবস্থান স্মরণ করিয়ে দেয় তার অতীতের কথা। এই জামেমসজিদের সামনে যে লালকেল্লা দাঁড়িয়ে আছে – এই সেই একই লাল কেল্লাযেখানে মুসলিমদের পতাকা উড়েছে শত শত বছর জুড়ে – তা থেকে হিন্দুরা আজ আপনাদের রক্তের অশ্রুঝরায় এবং দাঙ্গায় হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আপনাদের রক্ত প্রবাহিত করাকে সস্তায় পরিণত করেছে। আপনাদেরবিজয়ের প্রতিক – কুতুব মিনার – কি এই বার্তা পৌছানোর জন্য যথেষ্ট নয় যেএই মসজিদই আজীবন শাসন করবে এই ভূমি যা থেকে মুসলিমরা একবার নেমেছিলো? এইমসজিদ এবং যারা এই মসজিদে ইবাদত করেন তারাই এখানের কর্তৃত্বে থাকবে। তারাসেখানের শাসক থাকবে কারণ তারাই আল্লাহতে বিশ্বাস করেন যেখানে বাকীরাআল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আর যারা আল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেতারা কখনও বিশ্বাসীদের উপর শাসক হতে পারবে না। ধর্মদ্রোহীরা কখনওবিশ্বাসীদের শাসন করতে পারে না। আল্লাহ’র শত্রুরা কখনও আল্লাহ’র বন্ধুদেরচেয়ে বেশি সম্মানিত হতে পারে না।কীভাবে কেউ আপনাদের রক্তপাতের ওজাতিগত নির্মূলকরণের ভয় দেখাতে পারে? আপনারাই পানিপথের রণক্ষেত্র তৈরিকরেছিলেন – একবার নয় বরং কয়েকবার। আল্লাহ আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়েছেন।নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন আপনাদের জন্য কি ভালো ছিলোঃ পানিপথের রক্তক্ষয় নাআহমেদাবাদ ও সুরাতের দাঙ্গায় রক্তক্ষয়? কারা বুদ্ধিমান যারা আমেরিকারকাছে মাথা নত হয়ে নতি স্বীকার করে না- যারা এ যুগের ফির’আউনের মোকাবেলাকরে শামিলির রণক্ষেত্রে? না কি তারা যারা কার্যালয় ও পদবী গ্রহন করেছেমুসলিমদের আদর্শিকভাবে তাদের দাসত্ব করার বিনিময়ে বা যারা স্বেচ্ছায়ফাঁসির কাষ্ঠে গিয়েছে স্বাধীনতা ও সম্ভ্রমের জন্য? প্রথম উল্লেখিতরাআপনাদের আদর্শ? না যারা তাদের জীবন কাটিয়ে দিয়েছে মাল্টার কারাগারে যাদেরশূলে চড়ানো হয় জলন্ত লোহার রডে, তাদের মাদ্রাসাগুলি বিপদে আপতিত করে এবংতাদের পদ কুরবানি করে।হে মুসলিমগণ, দুর্বলতা আপনাদের অজুহাতহওয়া উচিৎ নয়! আমার মুসলিম ভাইয়েরা, এটা এমন একটি বিষয় যা অনুধাবন করাপ্রয়োজন। একজনের নিঃশ্বাস ধরে রাখাটাই জীবনের সব কিছু নয়। জীবনের সবটুকুইসম্ভ্রম ও উৎসাহে পরিপূর্ণ। কোনও জাতি কখনও তাদের শেষ নিঃশ্বাস ফেলে নাযতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের সম্মান ও উৎসাহ বজায় রাখে। কিন্তু, যদি এই দুইঅংশ বাদ পড়ে যায়, তাহলে সেই জাতির মৃত্যু অনিবার্য, যদিও বাহ্যিকভাবে তাদেখে জীবিত মনে হতে পারে এবং আরও হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে। এটাই সেইঅন্তর্নিহিত রহস্য যা মাহিশূরের সিংহ আপনাদেরকে উপলব্ধি করাতে চেয়েছিলেন‘সিংহের একদিনের জীবন শিয়ালের হাজার বছরের জীবনের চেয়েও শ্রেয়।’ধর্মীয়স্বাধীনতার অর্থ যদি এই হয় যে বাহ্যিক কিছু ইবাদত করা যাবে কিন্তু কুফরেরদাসত্ব করতে হবে, তাহলে ভুলে যাবেন না দিল্লী ও লৌখনো এর সেই ধর্মভীরুপুরুষেরা যারা নিজেদের আবাস ত্যাগ করে ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বালাকোটেশাহাদাতকে বরণ করে নিয়েছেন, তারাও এই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারতেন। শামিলিরমুজাহিদীনরাও একই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু, ফকিহ ও হাদিসবিশারদরা শামিলি রণক্ষেত্রে ব্রিটিশদের মোকাবেলা করেছিলেন! হে মুসলিমউম্মাহ’র যুবকেরা, আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) পবিত্র কুর’আনে বলেনঃ
            وَلَوْلَا دَفْعُ اللّٰهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الْاَرْضُ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ ذُوْ فَضْلٍ عَلَي الْعٰلَمِيْنَ ٢٥١؁
            “(আসলে) আল্লাহ তা’আলা যদি (যুগে যুগে) একদল লোককে দিয়ে আরেকদল লোককে শায়েস্তা না করতেন, তাহলে এইভূখণ্ড ফিতনা ফাসাদে ভরে যেতো, (কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তা চাননি, কেননা)আল্লাহ তা’আলা এ সৃষ্টিকুলের প্রতি বড়োই অনুগ্রহশীল!” [সুরাঃ আল-বাকারা; আয়াতঃ ২৫১)


            তার মানে এই যে যদি জিহাদ নাথাকতো তবে সারাবিশ্ব ফাসাদে ভরে যেতো। পৃথিবীর কোনও কিছুই তার প্রাকৃতিকঅবস্থানে থাকতো না। জিহাদ ব্যতীত মানুষ তার অস্তিত্বের উদ্দেশ্য থেকেবিপথগামী হয়ে যায়। তার রক্তক্ষরণ করা হয়। সর্বত্র অন্যায়-অবিচারপ্রাদুর্ভূত হয়। দুর্বলদের অধিকার বঞ্চিত করা হয় আর সবলরা এমন আচরণ করেযেন তারা প্রভু বনে গেছে। ধনীরা গরীবদের দাসে পরিণত করে। আমার রব বলেন, ‘তাহলে এই ভূখণ্ড ফিতনা ফাসাদে ভরে যেতো।’ ভুলবেন না যে আল্লাহ’র(সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বিধানের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা দ্বারা বিশ্বপরিচালনা করার চেয়ে বড় কোনও ফাসাদ নেই। যদি তাই ঘটে, তবে ফাসাদ বাকী সবকিছুর উপর জয় লাভ করবে। মানুষের কথা বাদই দিলাম, এমনকি পশুপাখিরাওবিলুপ্তির সম্মুখীন হবে। জমি ফসল উৎপন্ন করা বন্ধ করে দিবে। কেন? তাএকারণেই যে পৃথিবীটা আল্লাহ’র পৃথিবী। পৃথিবী আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়াতা’আলা) নির্দেশ মেনে চলে। যদি এ পৃথিবীতে আল্লাহ’র কিতাব দ্বারা শাসন করানা হয়, আর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মানব রচিত সংবিধান অনুসারে...যদি আল্লাহপ্রদত্ত ব্যবস্থা বাদে অন্য কোনও ব্যবস্থা এই পৃথিবীতে জারী করা হয়, পৃথিবী বেদনায় কিলবিল করবে। তা ক্রোধে অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।পর্বতমালা ভয়ে কাঁপতে থাকে পৃথিবীতে আল্লাহ’র বিধান অমান্য করায়।বিশ্ববাসীরা যখন তাদের শাসনকর্তা ও প্রতিপালককে ছেড়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনকেতাদের শাসনকর্তা হিসেবে মেনে নেয়, তাতে মহাসমুদ্রগুলোও ক্রুদ্ধ হয়। আজআমেরিকা ও জাতিসংঘ যে আইন পাস করে তা জারী করা হয় অথচ সামান্যতমওভ্রুক্ষেপ করা হয় না আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আইনের প্রতি।

            যদিজিহাদ পরিত্যাগ করা হয়, ভূখণ্ড ফাসাদে ভরে যাবে। শুনুন! শুধুমাত্র পুরুষনয়...শুধুমাত্র পশুপাখি নয়...শুধুমাত্র শস্য ও পানি ফাসাদে ভরবে না, এমনকি ফুলেরাও তাদের সুগন্ধি থেকে বঞ্চিত হবে। ফুলকুঁড়ি তাদের সৌন্দর্যথেকে বঞ্চিত হবে। ফলমূল তাদের মধুরতা ও স্বাদ হারাবে। না কোনও খাঁটি দুধপাওয়া যাবে, না পাওয়া যাবে বিশুদ্ধ পানি। হ্যাঁ, এমনকি বিশুদ্ধ পানিও!প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য শূন্য করে, রাসায়নিক মিশ্রণ করে ও বোতলযাত করেআপনাদের এসবের উপর নির্ভরশীল করা হবে। আমার রব যা ঘোষণা করেছেন তা কতই নাসঠিকঃ “তাহলে এই ভূখণ্ড ফিতনা ফাসাদে ভরে যেতো...” এমনকি বায়ু, জীবনেরমৌলিক শর্ত, তার প্রাকৃতিক অবস্থায় বিরাজমান থাকবে না। যদি আপনারা জিহাদপরিহার করেন...যদি পৃথিবীতে আর খিলাফাহ বহাল না থাকে...যদি এই পৃথিবীতেইসলামী ব্যবস্থা বহাল না থাকে...যদি পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ব্যবস্থা বহাল নাথাকে...যদি এই পৃথিবী আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) কিতাব অনুযায়ীপরিচালনা করা না হয় যা তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) তার প্রিয় নাবী (সাঃ) এর প্রতি নাযিল করেছেন পৃথিবীর সমস্ত প্রকৃতিবিরুদ্ধ ব্যবস্থানিষ্কাশন করতে এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে – যা হচ্ছে খিলাফাহ - ...তাহলে ভূখণ্ড ফাসাদে ভরপুর হয়ে যাবে।

            তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেনঃ
            “তিনিইহচ্ছেন সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁর রসূলকে (যথার্থ) পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে আল্লাহ’র রসূল (দুনিয়ার) অন্য সববিধানের ওপর একে বিজয়ী করতে পারেন, (সত্যের পক্ষে) সাক্ষ্য দেয়ার জন্যেআল্লাহ ত’আলাই যথেষ্ট।”



            তিনিই আল্লাহ যিনি তাররসূল (সাঃ) কে পথনির্দেশ ও এই ব্যবস্থা দিয়ে পাঠিয়েছেন যার ভিত্তি সত্য।তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) তাকে (সাঃ) জীবন বিধান দিয়ে পাঠিয়েছেন যারভিত্তি সত্য ‘যাতে করে আল্লাহ’র রসূল (দুনিয়ার) অন্য সব বিধানের ওপর একেবিজয়ী করতে পারেন।’ যে ব্যবস্থা এর বিপরীত, যে বিধান এর বিপরীত, তা অবশ্যইধ্বংস করতে হবে ও ইসলামকে এর উপর বিজয়ী করতে হবে। যদি কোনও শক্তি সেই পথেবাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তবে এ ব্যাপারে আমাদেরকে পরিষ্কার নির্দেশ দেয়াহয়েছেঃ
            “(হে ইমানদারগণ) তোমরাকাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষণ না (আল্লাহ’র যমীনে কুফরির)ফিতনা বাকী থাকবে এবং দীন সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তা’আলার জন্যেই (নির্দিষ্ট)হয়ে যাবে...।”


            তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যারাএই ব্যবস্থাকে বাঁধা প্রদান করে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের শক্তিসন্দেহাতীতভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয় ও তাদের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটানো হয়।তারপর, সারাবিশ্ব জুড়ে জীবন বিধান হবে আল-কুর’আন। কিন্তু, কোনওধর্মদ্রোহীকে জোরপূর্বক শাহাদাহ পাঠ করাবেন না। এটা তার পছন্দ। এটা তারসিদ্ধান্ত যে সে একজন মুসলিম হবে নাকি তার পুরাতন ধর্ম পালন করবে। যেহেতু, এই পৃথিবী আল্লাহ’র, তাই, এতে আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা অতীবজরুরী। এটা জরুরী একারণেই যে অবিশ্বাসীরাও প্রাকৃতিকভাবে এতে জীবনযাপন করতেপারবে ও পৃথিবী ফাসাদমুক্ত হবে।যদি আপনারা জিহাদ পরিহার করেনবা আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদ না করেন, খিলাফাহ বহাল থাকবে না। সারাবিশ্বফাসাদে ভরে যাবে। পৃথিবী ও তার ভূগর্ভে যা কিছু আছে তা ফাসাদে ভরে যাবে।মনে রাখবেন আপনারা মাসজিদে সালাত পড়বেন কিন্তু ঐ সময়ও আপনারা বাজনার শব্দশুনতে পাবেন কারণ শয়তানের ব্যবস্থা এ পৃথিবীতে প্রভাবশালী। পৃথিবীতে এতোপরিমানে ফাসাদ ছড়াবে যে পরিবেশও তার বিশুদ্ধতা ধরে রাখতে পারবে না। পরিবেশদূষিত ও পরিবর্তন করা হবে। সন্তানরা মাতাপিতার অবাধ্য হবে। “ভূখণ্ড আসলেইফিতনায় ভরপুর হয়ে যাবে!” ভাই ভাই কে খুন করবে। মায়ের মমতা মায়েদের থেকেউঠিয়ে নেয়া হবে। সবকিছু ফাসাদে ভরে যাবে। এমনকি ভালোবাসাও বিশুদ্ধ থাকবেনা। প্রতিবেশীরা অনিষ্টপ্রবণ হবে। সমাজের সম্মানিত বৃত্তাংশ...যেমন আলীমরা – তাদেরকে অসম্মান করা হবে। আমার সর্দার (সাঃ) এই ফাসাদকে বর্ণনা করেছেনসংক্ষিপ্ত ও যথাযথভাবে। তিনি (সাঃ) বলেছেন
            প্রথমেনবুওয়াত থাকবে যা বহাল থাকবে যতদিন আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা)ইচ্ছা, তারপর তার সমাপ্তি ঘটবে। তিনি (সাঃ) বলেছেন তারপর নাবুওয়াতের আদলেখিলাফাহ থাকবে যা বহাল থাকবে যতদিন আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা)ইচ্ছা, তারপর তাতেও সমাপ্তি ঘটবে। এই পর্যায়ের পর স্বৈরশাসিত রাজতন্ত্রথাকবে যা বহাল থাকবে যতদিন আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) ইচ্ছা, তারপরতারও সমাপ্তি ঘটবে। পরবর্তীতে, পৃথিবীতে ফাসাদের পর্যায় আসবে,যারপরখিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে।

            আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে উসমানী খিলাফাহ’র অবসানের পরের পর্যায়টাই হচ্ছে ‘ভূখণ্ডে ফাসাদের’ যুগ। সর্বত্র ফাসাদ বিরাজ করছে। বাণিজ্য সুদের ফাসাদে ভরপুর। বিচারবিভাগমানব রচিত আইনের ফাসাদে ভরপুর। নাবী (সাঃ) এর এই হাদিস আমাদের সুসংবাদপ্রদান করে যে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে এই পর্যায়ের পর যার মাধ্যমেপৃথিবীকে ফাসাদ থেকে পবিত্র করা হবে। পৃথিবীতে ফাসাদের সমাপ্তি ঘটবে। ভূমিআবারও ফসল উৎপাদন করা শুরু করবে। সমৃদ্ধি পৃথিবীতে ফিরে আসবে। দুর্বলরান্যায়বিচার পাবে ও প্রাপ্যরা পাবে তাদের অধিকার। সমৃদ্ধি এতো মাত্রায় হবেযে ভিক্ষা বা দাতব্য গ্রহণ করার মতো কেউ থাকবে না।

            ওহে যারা নাবী (সাঃ) কে ভালোবাসেন! সময় কি আসলেই ঘনিয়ে আসেনি যখন আমরা দেখবো আমাদের সর্দার - নাবী (সাঃ) এর কথাগুলো পূর্ণ হতে? এইবিশ্বে আরেকবার খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মুহাম্মাদ (সাঃ) এরঅনুসারীরা রণক্ষেত্রে এসে গেছে তাদের জীবন বিসর্জন দিতে খিলাফাহপ্রতিষ্ঠাকরণে। এই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণে সবচেয়ে বড় বাধা – আমেরিকা –আফগানিস্তানে তাদের জখম চাটছে। যারা আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) জন্যতাদের জীবন উৎসর্গ করে তারা আল্লাহ’র সাহায্যে আমেরিকান প্রযুক্তিরসর্বনাশ করে দিয়েছেন। ইরাকের পর, খুরাসানের কালো পতাকা সিরিয়ার দিকেঅগ্রসর হচ্ছে। নাবীদের (আঃ) ভূমি, বরকতময় ও বিজয়ের ভূমি সিরিয়ায় কালোপতাকাবাহী মুজাহিদীনরা তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছেন খিলাফাহ প্রতিষ্ঠারলক্ষ্যে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) এই জিহাদকে এমন বরকত দ্বারা অলঙ্কৃত করেছেন যে এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে মুজাহিদীনরা এই পর্যায়ে চলে গেছেনযে তারা নুসাইরিদের হাত থেকে মুসলিমদের মুক্ত করার কিনারে পৌঁছে গেছেন।আমেরিকানরা ও অবিশ্বাসী বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধররা তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থহতে দেখে অভিঘাতপ্রাপ্ত। আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) সাহায্যে, আল-কায়িদাহ ও অন্যান্য মুজাহিদীনরা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলেনিয়েছেন। আফগানিস্তান থেকে কয়েকটি দল সিরিয়ায় গিয়েছে ও তারা সেখানেজিহাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

            ওহে যারা ভারত ৮০০বৎসর শাসন করেছেন!হে পৌত্তলিকতার অন্ধকারে তাওহীদের মশালধারীরা! আপনারা কেমন করে ঘুমিয়েথাকতে পারেন যখন সারাবিশ্বের মুসলিমরা জাগ্রত হচ্ছে! যদি মুসলিম বিশ্বেরযুবকেরা রণক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে“হয়তো শারি’আহ নয়তো শাহাদাহ” স্লোগানে ও তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে পারে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার জন্য, আপনারাকেমন করে তাদের পেছনে পড়ে থাকতে পারেন? উসমানী খিলাফাহ রক্ষার্থে আপনারাইজিহাদে নিযুক্ত ছিলেন। যদি ফিলিপাইন থেকে মরক্কোর মুসলিমরা আশাবাদী হতেপারে, তবে আপনাদের নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ থাকতে পারে না। উঠে দাঁড়ান!জেগে উঠুন! সার্বজনীন জিহাদে অংশগ্রহণ করুণ আমেরিকার প্রাসাদ ধসে চূড়ান্তধাক্কা দিতে উঠে পড়ুন। এই জিহাদ কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধনয়। বরং, এই জিহাদে জীবন উৎসর্গ করা হচ্ছে সর্বত্র আমেরিকা ও তার দোসরদেরপরাজিত করতে।

            আমার মুসলিম ভাই!সামনের দিকে অগ্রসর হোন! শাসনকার্যের নিয়ম আপনাদের জন্য নতুন কিছু নয়।শতাব্দীর পর শতাব্দী আপনারা সারাবিশ্বকে শিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে শাসন করতেহয়। আপনারা মুসলিমদের সম্মান ও গৌরবের পতাকা বহন করেছেন শতাব্দীর পরশতাব্দী। সেই মানসে আবারও জ্বলে উঠুন! আবারও সেই ঝড়কে পুনরুজ্জীবিত করুণযা আপনাদের অন্তরে গর্জন করেছে! সময় এসেছে সেই ধাতুনিঃস্রব জিহাদেরঅগ্নিশিখা দিয়ে প্রজ্জ্বলনের যা আপনারা নিজেদের অন্তরে দমিত করে রেখেছেনসেই ১৮৭৫ সাল থেকে। এখন সময় দেবত্বের দাবীদারদের দেখানোর যে আপনাদেরশিরায় শিরায় এখনও মুহাম্মাদ বিন কাসিম এর রক্ত দৌড়ে। এটা সময় তাদেরদেখানোর যে মুসলিম মায়েরা গাওরী ও গাযনাভী’র কাহিনী এখনও তাদের সন্তানদেরকাছে বর্ণনা করেন। এটা সময় তাদের দেখানোর আওরঙ্গজেব এর লোককাহিনী এখনওভারতীয় মুসলিমদের বিবেক জাগ্রত করে এবং মহিশূরের সিংহের বিখ্যাত মন্তব্যএখনও ভারতীয় মুসলিম যুবকদের প্রণোদিত করে মৃত্যুর জন্য – একটি সম্মানিতমৃত্যু।সারা বিশ্বে আজ মুসলিমরা জেগে উঠেছে কুফরিব্যবস্থার বিরুদ্ধে। জিহাদের রঙ্গভূমি এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেভারতীয় মুসলিমদের জন্য। জিহাদের রঙ্গভূমি ভারতীয় মুসলিম যুবকদেরঅপেক্ষায়। তারা অপেক্ষা করছে আওরঙ্গজেব ও টিপুর সন্তানদের জন্য। মনেরাখবেনঃ অবিশ্বাসী বিশ্ব যেকোনো মূল্যে আমাদের ধ্বংস করতে চায়। চাই তাগণহত্যার মাধ্যমে হোক বা আমাদের জীবন্ত দগ্ধকরণের মাধ্যমে হোক বা আমাদেরসম্পদ লুট করার মাধ্যমে হোক বা আমাদের বোন ও মেয়েদের সম্ভ্রমহানীর মাধ্যমেহোক। অবিশ্বাসী বিশ্ব সর্বত্র মুসলিমদের ধ্বংস করতে চায়; চাই বোমাবাজিকরে তাদের ধ্বংস করা হোক বা ড্রোন হামলার মাধ্যমে হোক বা তাদেরদারিদ্র্যতার বেড়ি পরিয়ে হোক বা দাঙ্গা উসকানি দিয়ে হোক। নাবী (সাঃ)বলেছেনঃ
            “কাফেররা একটি একক জাতি।”

            আরতাই তারা আমাদের ধোঁকা দিতে মায়াকান্না দেখিয়ে থাকে। অন্যথায়, বাস্তবে তারাসবাই আমাদের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ। তারা সবাই একমত আমাদের প্রজন্মগুলিধ্বংসকরণে ও তাদের দীন বিমুখকরণে।মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি কোণথেকে জিহাদের ডাক আসছে ও ঘোষণা করা হচ্ছে নতুন এক উদয় ঘটেছে মুসলিমউম্মাহ’র। সম্মানিত বোনেরা যারা তাদের নিজ গায়ে বিস্ফোরক বাঁধেন এবংশত্রুদের সারিতে ঢুকে পড়েন, নিজেদের উৎসাহ জাগানোর জন্য তারা আপনাদেরঅনুপ্রেরণা । তারা ভারতে তাদের ভাইদের কাছে এই বার্তা পাঠাচ্ছেন যে আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) জিহাদে এমন অসাধারণ শক্তি দান করেছেন যেবেয়াল্লিশটি কাফের দেশ তাদেরকে সম্মিলিত ভাবে পরাজিত করতে পারছে না।আমেরিকা তার সকল ড্রোন ও কৃত্তিম উপগ্রহ নিয়ে না পেন্টাগনে নিরাপদ নাবাগ্রামে। মাত্র কিছুসংখ্যক শাহাদাত-অন্বেষণকারী যুবক তাদের নিরাপদস্থাপনগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারে আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা)সাহায্যে।শুধু একবার তাকিয়ে দেখুন কি ঘটছে ইয়েমেন ও ইরাকে।ইউফ্রেটাস ও টিগ্রিস এর ভূমির যুদ্ধের গানের প্রতিধ্বনিত থেকে অনুপ্রেরণানিন।
            আফগানিস্তান থেকে তাকবীরের প্রতিধ্বনি শুনুন। আপনাদের ভাইয়েরামরনাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন রণক্ষেত্রে। তারা এজীবন বিক্রি করছেন জান্নাতের জন্য। তাদের অন্তর্ভুক্ত শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ, এমনকি মা ও বোনেরা। তারা সবাই আপনাদের অপেক্ষায়।তারা সবাই ভারতীয় মুসলিমদের সাথে আছেন। আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রবের শপথনিয়ে বলছি, আপনারা যদি একবার জিহাদের জন্য দাঁড়িয়ে যান, ফিলিপাইন থেকেমরক্কো’র মুজাহিদীন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদের সাথে দাঁড়াবেন। মক্কা, মদিনা, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিশর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো এবংবিশ্বের প্রতিটি কোণের মুজাহিদীনরা আপনাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবেনযেভাবে তারা এই অঞ্চলের মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন অতীত ইতিহাসের ন্যায়।আফগান ভূখণ্ড আপনাদের সাহায্যের ডাকের অপেক্ষায়।আপনারা দেখবেন যেখানে আপনাদের অশ্রু পড়ে সেখানে মুজাহিদীনরা তাদের রক্তউৎসর্গ করবেন। যে হাত আপনাদের ক্ষতি করতে চাইবে তা একেবারে কেটে ফেলা হবে।আমি হুনাইনের রবের শপথ নিয়ে বলছি, যারা আপনাদের সন্তান ও নারীদের জীবন্তদগ্ধ করেছিলো মুজাহিদীনরা তাদের আবাসকে পানিপথের রণক্ষেত্রে পরিণত করবেন।শুধুমাত্র একটি বার আপনাদের ভাইদের আহবান জানান।তারা আপনাদের জন্য তাদের সর্বস্ব ত্যাগ স্বীকার করবেন কারণ তারা তাদেরজীবন বিক্রি করে দিয়েছেন যাতে করে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মাহ তাদেরহারিয়ে যাওয়া সম্মান ফিরে পান এবং নিজেদের মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেএকমাত্র আল্লাহ’র (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজেদেরঅর্পণ করেন। তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন একারণেই যে, এই উম্মাহ বিদ্রোহ ঘোষণাকরছে অবিশ্বাসীদের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এবং নিজেদের জীবন গঠন করে নাবী (সাঃ) এর ব্যবস্থা অনুসারে।

            হে মুহাম্মাদ বিন কাসিমেরসন্তানরা! হে আওরঙ্গজেব ও গাযনাভীর উত্তরসূরীরা, উঠে দাঁড়ান ও জিহাদেরময়দানের দিকে অগ্রসর হোন একজন বোনের পর্দা কেড়ে নেয়ার আগে...মুসলিমদেরআবারও একত্রে জীবন্ত দগ্ধকরণের আগে। আবারও খিলাফাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণেজিহাদের রঙ্গভূমির দিকে অগ্রসর হোন! সার্বজনীন জিহাদের বাহিনীতে যোগ দিন!আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আপনাদের সাহায্য করবেন। আল্লাহ (সুবহানাহুওয়া তা’আলা) আপনাদের সাহস যোগাবেন! আপনারা যদি এই পথ বেছে নেন, আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আপনাদের কারণে এই জাতিকে সম্মানিত করবেন।

            আমাদের শেষ দু’আ এই যে সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি সারা জাহানের রব।
            ---------------------------------------------------

            আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

            Comment


            • #7
              হে আল্লাহ ! আপনি আমাদেরকে উম্মাহ্র চাহিদানুযায়ী খেদমত আঞ্জামের তৌফিক দান করুন।
              আমীন।

              Comment

              Working...
              X