Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফতওয়া : জিহাদ বিরোধীদের নতুন অস্ত্র

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফতওয়া : জিহাদ বিরোধীদের নতুন অস্ত্র

    বছর দুই হলো বাংলার এক মডারেট শান্তিপ্রিয় আলেমের নেতৃত্বে মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়া শিরোনামে একটি শান্তির ( ? ) ফতওয়া প্রকাশ করা হয়েছে । ফতওয়া প্রকাশের ফলস্বরুপ দেশ বিদেশের তাগুতদের কাছে সমাদৃতও হয়েছেন বেশ । তাইতো এখন দেশে সর্বধর্মীয় প্রার্থনাতেও তার ডাক পড়ে । আইম্মায়ে কুফরদের স্বাগত জানতেও তাকেই ডাকা হয় । গীতা বাইবেল আর ত্রিপিটকের সাথে কুরআন পড়ে ইসলামের ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষণা দিতেও তাকে ডাকা হয় । ঈমানের তোয়াক্কা না করে ঈমানকে ছড়িয়ে দিতে তিনিও এসব ডাকে সানন্দে সাড়া দেন । যা হোক বলছিলাম ফতওয়ার কথা ।
    জঙ্গিবাদ বিরোধী ফতওয়ার লেবেল লাগিয়ে অতি কৌশলে তিনি জিহাদের কবর রচনা করেছেন । যারা সারা জীবন জিহাদের ময়দানে নিজেদের রক্ত দিয়ে উম্মাহর ইতিহাস রচনা করেছেন তাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে জিহাদের নতুন সবক দিয়েছেন । নাবিয়্যুল মালাহিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিহাদের যে সংজ্ঞা আমাদের শিখিয়েছেন তিনি তার যুগোপযোগী সংস্কার সাধন করে বললেন : মানবকল্যাণে যত কাজ করা হয় তাই জিহাদ । রক্তপাত কখনো জিহাদ হতে পারে না । নাউযুবিল্লাহ । অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনুন :
    قيل لرسول الله صلى الله عليه وسلم و ما الجهاد يا رسول الله قال أن تقاتل الكفار إذا لقيتهم
    এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ ! জিহাদ কী ? তখন তিনি বললেন যুদ্ধের ময়দানে কাফেরদের সাথে লড়াই করা হল জিহাদ ।
    তার এই ঈমান বিধ্বংসী চতুরতায় বিশ্ব বেজায় খুশি । এ পথেই এখন চলতে শুরু করেছে অন্যান্য দেশ । সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাযিরায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে । শিরোনাম হল : will fatwa by islamic scholars force taliban to join talks ?? প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ (১১/৫/২০১৮) শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আফগানিস্তান পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে । আফগান সরকার উলামাদের থেকে এমন একটি ফতওয়া কামনা করছে যা আফগান জিহাদের ধর্মীয় বৈধতা বাতিল করে এটাকে একটি সন্ত্রাসবাদী উগ্র ও চরমপন্থী রক্তপাত বলে ঘোষণা দিবে । তালিবানের পক্ষ থেকে এই সম্মেলনকে অনৈসলামিক বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং উলামাদেরকে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে । প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উলামাগণ জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন এবং তালিবানকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে তারা যে পথ গ্রহণ করেছে তা ইসলামের পথ নয় এটা জিহাদ নয় । আফগান সরকারসহ সকলেই আশাবাদী যে , তাদের প্রকাশিত ফতওয়া তালিবানের জিহাদী কার্যক্রম বন্ধ না করতে পারলেও তাদের সৈন্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে ।
    প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হচ্ছে সে সকল আলেমদের কে : তারা আমাদের কোন জিহাদ শেখাবেন ?? যে জিহাদে আমেরিকা সন্তুষ্ট হবে ?? কিন্তু কুরআন তো আমাদের বলছে :
    ولن ترضى عنك اليهود ولا النصارى حتى تتبع ملتهم
    তাদের ধর্ম অনুসরণ না করা পর্যন্ত তারা আমাদের প্রতি কিছুতেই সন্তুষ্ট হবে না ।
    তাহলে জিহাদ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসা কি ইসলাম হবে ?? নাকি খৃস্টবাদের অনুসরণ হবে ?? আমরা কাজ করব আর কাফেররা আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে এটা কিভাবে সম্ভব ?? অথচ কুরআন বলছে :
    فاستوى على سوقه يعجب الزراع ليغيظ بهم الكفار
    আমাদের কাজই এমন হবে যা কাফেরদের ক্রোধান্বিত করবে ।
    যে ফতওয়ার কাজ ছিল মুসলিম উম্মাহ-র উপর জিহাদ ফরয হওয়ার ঘোষণা দেওয়া সেই ফতওয়াকে আজ ব্যবহার করা হচ্ছে জিহাদকে হারাম বানানোর জন্য । পরিভাষা পরিবর্তনের যে প্রবণতা আমাদের মাঝে আছে তা কি এখানেও কার্যকর করা হবে ?? খলীফা কে টেনে খানকাতে বসালাম আবার কেউ বসাল দর্জির চেয়ারে ।
    জিহাদকে টেনে তাবলীগ বানালাম আবার কেউ বা বানাল কুফরি গণতান্ত্রিক নির্বাচন ।
    বাইয়াত কে টেনে তরিকতে ঢুকালাম ।
    এভাবে আর কত ?? এবার কি ফতওয়া কে টেনে আনব ?? পরবর্তী প্রজন্ম কি ফতওয়া বলতে শুধু জিহাদ বিরোধী ফতওয়াকেই বুঝবে ??
    আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর একটু তো ভয় করা উচিত ।

    ফতওয়ার মূলনীতি বিষয়ক কিতাব أصول الإفتاء و آدابه তো বলা হয়েছে;
    المفتي موقع عن الله سبحانه و تعالى فيجب على المفتي أن يشعر بخطورة منصب الإفتاء و أنه ليس إبداء للآراء الشخصية أو تحكيما للعقل المجرد أو تفعيلا للعواطف النفسية
    (أصول الإفتاء و آدابه مع الفتح الرباني صفحة ٤٩ ، مكتبة الأزهر )
    মুফতী হল আল্লাহ তাআলার পক্ষে স্বাক্ষরদাতা । তাই তার ভালভাবে মনে গেঁথে নিতে হবে যে এই পথ বড়ই বিপদসঙ্কুল । এটা ব্যক্তিগত মত প্রকাশের মাধ্যম নয় যুক্তি প্রয়োগের কোনো ক্ষেত্রও নয় এবং নিজের অনুভূতি প্রকাশের কোনো স্থানও নয় ।
    (পৃষ্ঠা ৫৪ উসূলুল ইফতা ওয়া আদাবুহু মাআল ফাতহির রব্বানী , মাকতাবাতুল আযহার । )
    তাই একটু ভেবে দেখা উচিত । আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরযকৃত একটি বিধানকে আল্লাহর উকীল হওয়ার দাবি করে সে বিধান বাতিল করার অনুমোদন পত্রে এই স্বাক্ষর দেওয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখা উচিত । আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং কুফরি শক্তির সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আল্লাহর যমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করার তাওফীক দান করুন । আমীন ।
    و إذ أخذ الله ميثاق الذين أوتوا الكتاب لتبيننه للناس و لا تكتمونه
    যাদেরকে কিতাবের ইলম দেওয়া হয়েছে তাদের থেকে আল্লাহ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে তারা কিতাবের বিধানগুলো মানুষের সামনে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে । কোনো বিধানকে গোপন করবে না
    لن تركع أمة قائدها محمد (صلى الله عليه و سلم)

  • #2
    আল্লাহ তা'আলা এসকল দরবারী আলেমদের গোমরাহি থেকে উম্মাহকে হিফাজত করুন।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহ কে, সকল চক্রান্ত থকে হিফাজত করুন, আমিন।

      Comment


      • #4
        এ সকল চক্রান্তকারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ধ্বংস হোক সকল কুফফার, বিজয় হোক ইসলামের।

        Originally posted by অশ্বারোহী View Post
        আল্লাহ তা'আলা এসকল দরবারী আলেমদের গোমরাহি থেকে উম্মাহকে হিফাজত করুন।
        এদের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে যাবে। ধ্বংস হোক সকল কুফফার বিজয় হোক ইসলামের।

        Comment


        • #5
          এই সকল চক্রান্ত আল্লাহ্* তায়ালা নস্যাৎ করে দেবেন। ধ্বংস হোক সকল কুফফার বিজয় হোক ইসলামের।

          Comment


          • #6
            এদের জন্যও চাপাতী ধার করে রাখা দরকার।
            আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মহকে এ সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করেন। আমীন।

            Comment


            • #7
              দরবারী আলেমদের বিভ্রান্তিকর ফাতওয়া থেকে নির্যাতিত উম্মাহকে আল্লাহ হেফাজত করুন।
              পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত খিলাফতকে আবার প্রতিষ্ঠিত করুন। যে খিলাফতের ১ বিঘত জমি দখল হয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই তো আমাদের উপর সকল মাযহাবের উলামায়ে কেরামের এক্যমতে জিহাদ ফারদুল আইন হয়েছিলো।

              আর আজ কিনা এই সকল ভন্ড উলামারা সে সকল উসুল ও ফিকহের বিষয় গুলো ভুলে বসে আছে ভয় আর টাকা আর খ্যাতির মোহে।

              Comment


              • #8
                মুসলিমদের খিলাফতের ভূমিগুলোতে যখন কাফেররা একের পর এক আক্রমণ করে ধ্বংস করা শুরু করলো তখনই কি শুধু জিহাদ ফরজ ছিলো।?
                আজ যখন ধ্বংস করে দেয়া খিলাফতকে তারা অনেকগুলো দেশের অনেকগুলো শাসকের মাঝে বন্টন করে তাদের অধীনে বিশ্ব চালাচ্ছে তখন কি জিহাদের হুকুম বাতিল হয়ে গেলো?

                সাদা চামড়া রা যখন দখল করলো তখন শুধু জিহাদের হুকুম বুঝে আসলো?
                আর কালো চামড়াদের হাতে যখন জুলুমের দ্বায়িত্ব দিয়ে সাদা চামড়ার লোকেরা প্রভুর আসনে বসে থাকলো তখন কি জিহাদের হুকুম বাতিল হয়ে গেলো?

                আফসোস! তারা তাদের হৃদয় থেকে কিচু উপলব্ধি করতে পারে না। তারা কুরআন হাদীস পড়েছে ঠিকই। কিন্তু তা তাদের গলার নিচ পর্যন্ত প্রবেশ করেনি। আল্লাহর ভয়ের পরিবর্তে তাদের দিলে স্থান দখল করেছে দুনিয়া।

                খোজ নিলে দেখা যাবে তারা সবাই দুনিয়ার দিক দিয়ে যথেষ্ট স্বচ্ছল ও ধনী। তার রাসুলের ও সাহাবীদের দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আর তারা আখিরাতকে বেমালুম ভুলে বসে আছে।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়াল এদের চক্রান্তকে ধুলিস্যাত করে দিন।

                  Comment


                  • #10
                    শান্তির ফতোয়া:একটি অনুসন্ধানী পর্যালোচনা

                    এটি কেবল মাত্র একটি পর্যালোচনাই নয়।
                    বরং এ বিষয়ক বহু মূল্যবান ইলমী বিষয়াদিতে ভরপুর একটি গ্রন্থ।
                    বহু সংশয়ের নিরসন, জটিল জটিল প্রশ্নের সহজ সমাধান। তফসীর, হাদীস এবং ফিকহের কিতাবাদির নির্বাচিত অংশের অতি মূল্যবান একটি সংকলন।
                    বইটির পড়লে সহজেই বুঝা যায়, নিশ্চয়ই এর লেখক দেশের সেরা কয়েক জনের কেউ হবেন।
                    এমন একটি বইই লেখকের নাজাতের জন্য যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
                    শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো বইটি পড়ে নিলে ইনশাআল্লাহ খুবই ফায়দা হবে।
                    উলামায়ে কেরামের খেদমতে পুরো বইটি পড়ার আবেদন জানাচ্ছি
                    হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by abudujanah View Post
                      শান্তির ফতোয়া:এটি অনুসন্ধানী পর্যালোচনা

                      এটি কেবল মাত্র একটি পর্যালোচনাই নয়।
                      বরং এ বিষয়ক বহু মূল্যবান ইলমী বিষয়াদিতে ভরপুর একটি গ্রন্থ।
                      বহু সংশয়ের নিরসন, জটিল জটিল প্রশ্নের সহজ সমাধান। তফসীর, হাদীস এবং ফিকহের কিতাবাদির নির্বাচিত অংশের অতি মূল্যবান একটি সংকলন।
                      বইটির পড়লে সহজেই বুঝা যায়, নিশ্চয়ই এর লেখক দেশের সেরা কয়েক জনের কেউ হবেন।
                      এমন একটি বইই লেখকের নাজাতের জন্য যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
                      শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো বইটি পড়ে নিলে ইনশাআল্লাহ খুবই ফায়দা হবে।
                      উলামায়ে কেরামের খেদমতে পুরো বইটি পড়ার আবেদন জানাচ্ছি
                      আল হামদুলিল্লাহ। বইটি আমি পড়েছি। অনেক ফায়দা পেয়েছি। সকলকে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের কোন সাথী যাতে বাদ না থাকে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমিন।
                      ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

                      Comment

                      Working...
                      X