Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেসব কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ১৯

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেসব কারণে একজন মুসলমান হত্যার উপযুক্ত হয়ে পড়ে- ১৯

    যিন্দিকের শাস্তি:
    মুসলিম বেশধারী যিন্দিক যদি ধৃত হওয়ার আগেই তাওবা করে ভাল হয়ে মুসলমান হয়ে যায়, তাহলে আখেরাতের পাশাপাশি দুনিয়াতেও তার তাওবা কবুল হবে। ফলে তার উপর থেকে মুরতাদের শাস্তি রহিত হয়ে যাবে। পরবর্তীতে মুসলমান গণ্য হবে। যেমন সাধারণ মুরতাদরা তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে তাদের তাওবা কবুল হয় এবং তাদের উপর থেকে মুরতাদের শাস্তি রহিত হয়ে যায়।

    মুসলিম পরিচয়ধারী কোন ব্যক্তি গোপনে গোপনে কাফের কি’না তা জানার পথ নেই। তাই কোন যিন্দিক ধৃত হওয়ার আগে তাওবার সূরত এ হবে যে, সে স্বেচ্ছায় কাযি বা ইমামুল মুসলিমিনকে জানাল, এতদিন সে কাফের ছিল। এখন তাওবা করে বাস্তবেই মুসলমান হয়ে গেছে। তাহলে সে মাফ পেয়ে যাবে। কারণ, স্বেচ্ছায় নিজের অবস্থা প্রকাশ করে তাওবা করা থেকে বুঝা যায়, সে বাস্তবেই তাওবা করেছে।


    পক্ষান্তরে যদি শরয়ী দলীল প্রমাণ দিয়ে তার কুফর প্রমাণ হয় এবং তারপর ধৃত হয়ে কাযির দরবারে উপস্থিত হয়, তাহলে তখন তার তাওবা (ইখলাসের সাথে হলে আখেরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও, দুনিয়ার বিচারে) গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, তার ব্যাপারে প্রবল ধারণা এটাই যে, সে বাস্তবে তাওবা করেনি, হত্যা থেকে বাঁচার জন্য তাওবা জাহির করছে; যেমন এতদিন নিজেকে বাঁচানোর জন্য মুসলমান দাবি করে এসেছে।


    সংশয়:
    এখানে সংশয় হতে পারে যে, দারুল হরবে কাফেরদের উপর হামলা করলে যদি তারা তরবারির মুখে ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে তাদের ইসলাম গ্রহণযোগ্য হয়; তাহলে এখানে যিন্দিক ব্যক্তি তরবারির ভয়ে তাওবা করলে মাফ পাবে না কেন?

    নিরসন:
    হরবিরা এতদিন ইসলামের সাথে সুস্পষ্ট দুশমনি প্রকাশ করে আসছিল। এখন যখন ইসলাম গ্রহণ করেছে, তখন স্বাভাবিক এটাই যে, তারা তাদের আগের বিশ্বাস পরিত্যাগ করে ইসলামী বিশ্বাস ধারণ করেছে। কিন্তু যিন্দিক এর ব্যতিক্রম। কেননা, এতদিন সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য –কাফের হওয়া সত্ত্বে- মুসলমান দাবি করে আসছিল। এখন ধরা পড়ার পর যখন নিজেকে মুসলমান দাবি করছে, তখন সে অতিরিক্ত কিছু করেনি, আগে যেমন মুসলমান দাবি করছিল, এখনও তেমনই দাবি করছে। আর তার কুফরি আকীদা থেকে ফিরে আসার দাবি যা সে করছে, তার ব্যাপারে প্রবল ধারণা এটাই যে, সে তরবারির ভয়ে শুধু জাহির করছে, বাস্তবে কুফর পরিত্যাগ করছে না। কেননা, এতদিন- কাফের হওয়া সত্ত্বে- নিজেকে বাঁচানোর জন্য শুধু মুসলমান দাবি করতো। এখন ধরা পড়ার পর তার আগের কুফর ছেড়ে দেয়া নিশ্চিত নয়। বরং প্রবল ধারণা এটাই যে, নিজেকে বাঁচানোর জন্যই এত দিনের মতো এখনও তাওবা জাহির করছে। পক্ষান্তরে হারবি কাফেররা নিজেদেরকে স্পষ্ট কাফের দাবি করে আসছিল। নিজেদের বাঁচানোর জন্য বা দুনিয়াবি কোন স্বার্থে নিজেদের মুসলমান দাবি করার কোন প্রমাণ তাদের থেকে নেই। তাই তাদের বেলায় এ সম্ভাবনা প্রবল যে, তারা বাস্তবেই মুসলমান হয়ে গেছে।


    অন্য কথায় বলা যায়, যার জাহির তার বাতিনের বিপরীত প্রমাণিত হবে, দুনিয়ার বিচারে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য নয়- যদিও ইখলাসের সাথে হলে আখেরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে যাদের বাতিন তাদের জাহিরের অনুরূপ, তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য।

    এছাড়াও বিভিন্ন কারণ আছে। সামনে আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
    ***

    দলীল-প্রমাণ ও আইম্মায়ে কেরামের বক্তব্য:


    আল্লামা কাশ্মিরি রহ. (১৩৫২হি.) তার যুগান্তকারী গ্রন্থ ‘ইকফারুল মুলহিদিন’ এ বলেন,
    قال: التفتازاني في "مقاصد الطالبين في أصول الدين": الكافر إن أظهر الإيمان خص باسم "المنافق"، وإن كفر بعد الإسلام "فبالمرتد"... وإن أبطن عقائد هي كفر بالإتفاق "فبالزنذيق".


    وقال في شرحه: قد ظهر أن: "الكافر" اسم لمن لا إيمان له: فإن أظهر الإيمان خص باسم المنافق، وإن طرأ كفره بعد الإسلام خص باسم المرتد، لرجوعه عن الإسلام ... وإن كان مع اعترافه بنبوة النبي - صلى الله عليه وسلم - وإظهاره شعائر الإسلام يبطن عقائد هي كفر بالإتفاق، خص باسم الزنيدق. اهـ

    “‘মাকাসিদুত ত্বালিবিন ফি উসূলিদ দ্বীন’ গ্রন্থে তাফতাযানি রহ. (৭৯২হি.) বলেন, কাফের যদি নিজেকে মু’মিন জাহির করে, তাহলে তাকে ‘মুনাফিক’ বলা হবে। যদি মুসলমান থাকার পর কাফের হয়, তাহলে বলা হবে ‘মুরতাদ’। ... আর যদি গোপনে গোপনে এমন সব আকীদা পোষণ করে, যেগুলো সর্বসম্মতিতে কুফর, তাহলে ‘যিন্দিক’।
    তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেন: এতক্ষণে স্পষ্ট হল যে, ‘কাফের’ হচ্ছে এমন ব্যক্তির নাম, যার ঈমান নেই। যদি সে নিজেকে মু’মিন জাহির করে তাহলে ‘মুনাফিক’ বলা হবে। যদি মুসলমান থাকার পর তার উপর কুফর আপতিত হয়, তাহলে বলা হবে ‘মুরতাদ’ তথা দ্বীনত্যাগী । কেননা, সে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে। ... যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত স্বীকার করা এবং শাআয়েরে ইসলাম প্রকাশ্যে জাহির করা সত্ত্বেও গোপনে গোপনে এমন সব আকীদা পোষণ করে, যেগুলো সর্বসম্মতিতে কুফর, তাহলে ‘যিন্দিক’।” (ইকফারুল মুলহিদিনি: ১২-১৩)


    অন্যত্র বলেন,
    المخالف للدين الحق إن لم يعترف به ولم يذعن له، لا ظاهراً ولا باطناً فهو كافر، وإن اعترف بلسانه وقلبه على الكفر فهو المنافق، وإن اعترف به ظاهراً لكنه يفسر بعض ما ثبت من الدين ضرورة بخلاف ما فسره الصحابة والتابعون وأجمعت عليه الأمة فهو الزنديق، كما إذا اعترف بأن القرآن حق، وما فيه من ذكر الجنة والنار حق، لكن المراد بالجنة: الابتهاج الذي يحصل بسبب الملكات المحمودة، والمراد بالنار: هي الندامة التي تحصل بسبب الملكات المذمومة، وليس في الخارج جنة ولا نار فهو زنديق. اهـ

    “দ্বীনে হকের বিরোধী ব্যক্তি যদি জাহিরি বাতিনি কোনভাবেই তা স্বীকার না করে এবং তার প্রতি আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে সে ‘(প্রকাশ্য) কাফের’। যদি যবান দিয়ে তো স্বীকার করে কিন্তু তার অন্তর কুফরে অটল, তাহলে ‘মুনাফিক’। আর যদি বাহ্যত স্বীকার করে কিন্তু জরুরিয়্যাতে দ্বীনের কিছু বিষয়ের এমন ব্যাখ্যা করে, যা সাহাবা-তাবেয়ীন যে ব্যাখ্যা করেছেন এবং উম্মাহ যে ব্যাখ্যার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছে সে ব্যাখ্যার বিপরীত: তাহলে সেই হচ্ছে ‘যিন্দিক’। যেমন: স্বীকার করলো যে, কুরআন সত্য এবং তাতে বিধৃত জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য; কিন্তু জান্নাত দ্বারা উদ্দেশ্য- প্রশংসনীয় স্বভাবের কারণে অর্জিত প্রশান্তি, আর জাহান্নাম দ্বারা উদ্দেশ্য- নিন্দনীয় স্বভাবের কারণে উদ্ভূত অনুতপ্ততা; বাস্তবে কোন জান্নাত বা কোন জাহান্নাম নেই: তাহলে সে ‘যিন্দিক’।” (ইকফারুল মুলহিদিনি: ৪৪)


    কাশ্মিরি রহ. এর বক্তব্যের সারকথা- মুসলমান দাবিদার যে ব্যক্তি অন্তরে কুফর পোষণ করে (কিন্তু তার কুফর জনসম্মুখে প্রকাশ পায় না) সে মুনাফিক। আর যে মুসলমান দাবি করার পরও গোপনে গোপনে কোন কুফরী আকীদা পোষণ করে কিংবা জরুরিয়্যাতে দ্বীনের কোন বিষয়ের এমন ব্যাখ্যা করে যা সাহাবা, তাবেয়ীন ও উম্মাহর ইজমার পরিপন্থী: সে যিন্দিক।


    উল্লেখ্য, কাশ্মিরি রহ. এখানে যিন্দিকের ব্যাপক ও সামাজিক অর্থ গ্রহণ করেছেন। কেননা, যদি মুসলমান নামধারী কোন ব্যক্তি প্রকাশ্যে নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ের বিপরীত ব্যাখ্যা করতে থাকে, তাহলে ফিকহের পরিভাষায় সে সুস্পষ্ট মুরতাদ গণ্য হবে। সামাজিকভাবে তাকে যিন্দিক বলা হলেও তার উপর মুরতাদের বিধানই প্রয়োগ হবে। অর্থাৎ যদি সে তার এসব কুফরি আকীদা পরিত্যাগ করে সত্য ইসলামে ফিরে আসে তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে যেমন তার তাওবা কবুল হবে, দুনিয়াতেও সে হত্যা থেকে বেঁচে যাবে। যেমন- ঐসব কাদিয়ানি ও শীয়া, যারা নিজেদের কুফরি আকীদা সুস্পষ্টই প্রকাশ করে থাকে। কাদিয়ানিরা শেষ নবীর অর্থের অপব্যাখ্যা করে থাকে। শীয়ারা কুরআন মানে কিন্তু ভিন্ন কুরআন। এরা সামাজিকভাবে যিন্দিক হলেও ফিকহের ভাষায় মুরতাদ। এরা তাওবা করলে মাফ পাবে।


    পক্ষান্তরে যদি তারা বাহ্যত নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে, প্রকাশ্যে তাদের থেকে কোন কুফর প্রকাশ না পায, কিন্তু গোপনে গোপনে এসব অপব্যাখ্যা ও কুফরী আকীদা পোষণ করে; ঘটনাক্রমে বা নির্ভরযোগ্য মনে করে কারো নিকট প্রকাশ করার দ্বারা তা প্রকাশ পায়: তাহলে ফিকহের পরিভাষায় তারা যিন্দিক। এদের বিধান সাধারণ মুরতাদের থেকে ভিন্ন।


    অন্য কথায় বলা যায়, যিন্দিক মূলত মুনাফিক। কিন্তু ঘটনাক্রমে যার কুফর প্রকাশ হয়ে যাবে- কিন্তু সে অস্বীকার করতে থাকবে যে, সে কাফের না বা কোন কুফরি আকীদা পোষণ করে না- সে যিন্দিক। পক্ষান্তরে যে প্রকাশ্যে কুফর করে বেড়ায়, সে যিন্দিক নয়, মুরতাদ। সামাজিকভাবে ব্যাপক অর্থে ক্ষেত্রবিশেষে তাকে যিন্দিক বলা হলেও ফিকহের ভাষায় সে মুরতাদ।


    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮হি.) বলেন,
    الزنديق فى عرف هؤلاء الفقهاء هو المنافق الذي كان على عهد النبى صلى الله عليه و سلم وهو أن يظهر الإسلام ويبطن غيره. اهـ
    “এসকল ফুকাহায়ে কেরামের পরিভাষায় যিন্দিক হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানার মুনাফিক। আর তা হচ্ছে, বাহ্যত মুসলমান জাহির করা কিন্তু অন্তরে ভিন্ন কিছু পোষণ করা।” (মাজমুউল ফাতাওয়া: ৭/৪৭২)

    অর্থাৎ এই মুনাফিকের কুফর যখন তার অসতর্কতাবশত ঘটনাক্রমে প্রকাশ হয়ে পড়বে, তখন সে যিন্দিক।


    যিন্দিক বাহ্যত যেটাকে নিজের দ্বীন বলে প্রকাশ করছে, বাস্তবে সেটা তার দ্বীন নয়। বরং সে এর বিপরীত আকীদা রাখে। এ কারণে তাকে ‘বে-দ্বীন’ও বলা হয়। এ হিসেবে ইবনুল ইবনুল হুমাম রহ. (৮৬১হি.) বলেন,
    وهو من لا يتدين بدين. اهـ
    “যিন্দিক হচ্ছে যার কোন দ্বীন নেই (তথা বেদ্বীন)।” (ফাতহুল কাদির: ৬/৯৮)

    যিন্দিকের কুফর প্রকাশ কিভাবে হবে, এ সম্পর্কে বলেন,
    فطريق العلم بحاله إما بأن يعثر بعض الناس عليه أو يسره إلى من أمن إليه. اهـ
    “তার অবস্থা সম্পর্কে অবগতির পন্থা হল- হয়তো কোন মুসলমান ঘটনাক্রমে তা জেনে ফেলবে, নতুবা নির্ভরযোগ্য মনে করে কারো কাছে গোপনে তা প্রকাশ করবে।” (ফাতহুল কাদির: ৬/৯৮)


    বুঝা গেল, যে যিন্দিকের শাস্তি সাধারণ মুরতাদের চেয়ে ভিন্ন, যার তাওবা দুনিয়ার বিচারে কবুল হবে না, সে হল ঐ যিন্দিক, যে গোপনে গোপনে কুফরি পোষণ করে। পক্ষান্তরে যারা প্রকাশ্যে কুফর করে বেড়ায়, তারা মুরতাদ। তারা তাওবা করলে তাওবা কবুল হবে। ফলে তাদের উপর মুরতাদের শাস্তি বর্তাবে না। যেমন হরবি কাফেররা তাওবা করে মুসলমান হয়ে গেলে তাদের তাওবা কবুল হয়।


    ইবনুল হুমাম রহ. বলেন,
    والحق أن الذي يقتل ولا تقبل توبته هو المنافق، فالزنديق إن كان حكمه كذلك فيجب أن يكون مبطنا كفره ... ويظهر تدينه بالإسلام ... وإلا فلو فرضناه مظهرا لذلك حتى تاب يجب أن لا يقتل وتقبل توبته كسائر الكفار المظهرين لكفرهم إذا أظهروا التوبة. اهـ
    “বাস্তব কথা হচ্ছে, যাকে (অবশ্যই) হত্যা করে দেয়া হবে এবং তার তাওবা কবুল করা হবে না, সে হচ্ছে মুনাফিক। যিন্দিকের বিধান যদি এমনই হয়, তাহলে তার বেলায় আবশ্যক যে, সে তার কুফর গোপন করে ... এবং বাহ্যত নিজেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী দাবি করে। ... অন্যথায় যদি ধরে নিই যে, সে তার কুফর প্রকাশ করে বেড়ায়, তাহলে তাওবা করলে তাকে হত্যা না করা এবং তার তাওবা কবুল করা আবশ্যক। যেমন, অন্য সকল কাফের, যারা নিজেদের কুফর প্রকাশ করে বেড়ায়- যখন তারা তাওবা করে (তখন তাদের তাওবা গ্রহণ করা হয়)।” (ফাতহুল কাদির: ৬/৯৯)


    সারকথা দাঁড়াল:
    - যারা হরবি কাফের, তারা যখন তাওবা করে মুসলমান হয়ে যাবে, তাদের তাওবা আখেরাতে যেমন কবুল হবে, দুনিয়াতেও হবে। ফলে তাদের হত্যা করা হবে না।
    - যারা সুস্পষ্ট মুরতাদ, তারা যদি তাওবা করে, তাহলে তাদের তাওবাও আখেরাতের সাথে সাথে দুনিয়াতেও কবুল হবে। ফলে তাদের হত্যা করা হবে না।
    - যাদের বাতিন তাদের জাহিরের বিপরীত- অর্থাৎ যিন্দিক- যারা বাস্তবে কাফের কিন্তু নিজেদের বাঁচানোর জন্য বা দুনিয়াবি সুবিধা লাভের জন্য বা ছদ্মবেশে ইসলামের ক্ষতি করার জন্য বাহ্যত নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে, দুনিয়ার বিচারে তাদের তাওবা কবুল হবে না। ফলে অবশ্যই তাদের হত্যা করা হবে। তবে ইখলাসের সাথে হলে আখেরাতে মাফ পেয়ে যাবে।



  • #2
    জাযাকাল্লাহ...........

    Comment


    • #3
      জাজাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা! নাফাআনা ওয়া জামিআল *মুসলিমিনা বিকা!!

        Comment


        • #5
          jajakallah

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা! নাফাআনা ওয়া জামিআল *মুসলিমিনা বিকা!!

            Comment


            • #7
              জাজাকাল্লাহ

              Comment


              • #8
                মোহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের প্রতি আবেদন ,আপনার এ ধারাবাহিক লিখাটি কি সমপ্ত হয়েছে? নাকি সামনে আরও লিখার ইরাদা আছে? যদি শেষ হয়ে থাকে তাহলে সম্পদনা করে কিতাব আকারে দিলে মনে হয় ভাল হত। এবং যদি কোন পর্ব বাকি থেকে থাকে।তাহলে আমার মনে হয় এই ধারাবাহিক লিখাটি প্রথমে কমপ্লিট করে পরে হদ ও তাহযীরের সিরিজটা পূর্ণ করতে পারেন।
                আল্লাহ্* তায়ালা ভাইয়ের মেহেনাতকে কবুল করুন এবং উম্মাতকে তাঁর ইলেম থেকে ফাইদা হাছিল করার তাওফিক দান করুন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Odhom Bangali View Post
                  মোহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের প্রতি আবেদন ,আপনার এ ধারাবাহিক লিখাটি কি সমপ্ত হয়েছে? নাকি সামনে আরও লিখার ইরাদা আছে? যদি শেষ হয়ে থাকে তাহলে সম্পদনা করে কিতাব আকারে দিলে মনে হয় ভাল হত। এবং যদি কোন পর্ব বাকি থেকে থাকে।তাহলে আমার মনে হয় এই ধারাবাহিক লিখাটি প্রথমে কমপ্লিট করে পরে হদ ও তাহযীরের সিরিজটা পূর্ণ করতে পারেন।
                  আল্লাহ্* তায়ালা ভাইয়ের মেহেনাতকে কবুল করুন এবং উম্মাতকে তাঁর ইলেম থেকে ফাইদা হাছিল করার তাওফিক দান করুন।
                  এটার কিছু আলোচনা বাকি আছে। সেটা পূর্ণ হলে ইনশাআল্লাহ দেয়া হবে।

                  Comment


                  • #10
                    ভাই খুব উপকৃত হলাম
                    ভাই আপনি গুরুত্বপূর্ণ আরে পোস্ট চালিয়ে যান যার দারা ভাইয়েরা উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ
                    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
                    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

                    Comment


                    • #11
                      গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুকরান ভাই
                      সর্বোত্তম আমল হলো
                      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
                      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

                      Comment

                      Working...
                      X