Announcement

Collapse
No announcement yet.

লাখ লাখ মুসলিমকে বাংলাদেশী’ অভিহিত করে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লাখ লাখ মুসলিমকে বাংলাদেশী’ অভিহিত করে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ

    লাখ লাখ মুসলিমকে বাংলাদেশী’ অভিহিত করে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ

    ভারতের আসাম রাজ্য সরকার 'ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস' নামে বিতর্কিত এক তালিকা প্রকাশ করে লাখ লাখ মুসলমানকে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। যা নিয়ে অনেক আলোচনা শোনা যেত। আমাদের দেশের কুফ্ফার মিডিয়া গুলোতের কিছু প্রতিবেদন ছাপা হত। কিন্তু হঠাৎ করে যেন সব বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মনে এক ধরণের খটকা জাগল, মুসলমানদেরকে রোহিঙ্গাদের মতো রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত করার জঘন্য প্রচেষ্টা কি বন্ধ হয়ে গেছে? কিন্তু না! আমরা ভুলে গেলেও মালাউনরা থেমে নেই। বাদ পড়া মুমলিমদের নাগরিকত্বের প্রমাণ জোগাড় করার জন্য নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। তাই উদ্বেগ, আশঙ্কায় আছে লাখ-লাখ মুসলমানরা।
    আল জাজিরা ৩১শে মে, এব্যাপারে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন ছেপেছে,
    The 2.9 million women, most of whom are Muslim, and nearly 4.5 million others are part of about 13 million people who were left out from the first draft NRC published on December 31 last year.
    ৩১শে ডিসেম্বর, প্রকাশিত এন আর সি নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৩ মিলিয়ন মানুষ। যার অধিকাংশই মুসলমান।
    Though all the communities have to fill up the form for the NRC updating, the verification process has particularly been made very tough for Muslims.
    নাগরিকত্বের প্রমাণ জোগাড় করা মুসলমানদের জন্য সত্যিই অনেক কঠিন হচ্ছে।
    কিছুদিন আগে আরেকটি দৈনিকের রিপোর্টে জানা যায়, আড়াই কোটির কাছাকাছি জনগোষ্ঠীর আসামে এই তালিকা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে মুসলমানদের উল্লেখযোগ্য অংশই বাদ পড়বে।
    এ নিয়ে মুসলমান অধ্যুষিত বরপেটা, দুবরি, করিমগঞ্জ, কাচারসহ বিভিন্ন জেলার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
    আসামের মুসলিম নেতারা বলছেন, নাগরিকদের বিতর্কিত তালিকাটি প্রকাশ করা হচ্ছে আসামের মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের মতো রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত করার জন্য।
    মুসলিম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি গত বছর আসামে ক্ষমতায় আসার পর তাদের ভাষায় 'রাজ্যের অবৈধ মুসলিম বাসিন্দাদের' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
    হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থী বিজেপি নেতারা দাবি করে যে ভারতের আসাম রাজ্যে প্রায় লাখ লাখ মুসলিম রয়েছেন যাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের।
    ১৯৭১ সালের ২৪শে মার্চের আগে থেকেই যে তারা আসামে থাকতেন, সেরকম দলিল-প্রমাণ হাজির করলেই কেবল তাদের ভারতের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।
    'এই তালিকায় যাদের নাম থাকবে, তারাই কেবল আসাম তথা ভারতের বৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন এবং রাজ্যের বাদবাকি বাসিন্দাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করা হবে।
    তাদেরকে ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বাংলাদেশী’ অভিহিত করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রও বেশ চাঙ্গা হচ্ছে। প্রাদেশিক সরকারের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের দুঃসাহস এতটাই বেড়েছে যে, তারা প্রকাশ্যভাবে মুসলমানদের অত্যাচার করতেও কারো তোয়াক্কা করে না।সমগ্র ভারত জুড়েই চলছে নানা অজুহাতে অত্যাচারের নজীর।
    বলা যায়, একদিকে চলছে হাসিনা মোদিতে বন্ধুত্বের মাখামাখি অন্যদিকে লাখ লাখ মুসলিমকে বাংলাদেশী’ অভিহিত করায় ছাড়তে হচ্ছে ভিটেবাড়ি।

  • #2
    ولن ترضي عنك اليهود والنصاري حتي تتبع ملتهم

    Comment


    • #3
      মসজিদে উগ্রবাদী মালাউনদের হামলা
      বিজেপিশাসিত ভারতে হরিয়ানার কারনালের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে মুসল্লিদের মারধর করেছে । বুধবার রাতে নেওয়াল গ্রামের মসজিদটিতে এক ডজনেরও বেশি হামলাকারী ঢুকে ভাঙচুর করে এবং মুসল্লিদের মারধর, গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়। মুসলিমরা বলছেন, ওই ঘটনার সময় লাউডস্পিকারও বন্ধ ছিল। মাত্র কিছু সময়ের জন্য আযান হয় তাও কম শব্দে দেয়া হয়। উগ্রবাদী মালাউনদরা মসজদিটিতে লাউডস্পিকারে আযান ও নামাজ না পড়ার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মুসলিম এক যুবক গণমাধ্যমকে জানান, ‘১৫/২০ জন লোক এসে নামাজরত থাকা অবস্থায় মুসল্লিদের উপরে হামলা চালায়, একটি দেয়াল (ইটের কাঁচা দেয়াল) ভেঙে দিয়েছে, মাইক ভেঙে দেয়া হয়েছে, তার ছিঁড়ে দেয়া হয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে যদি তোমরা ফের এখানে আযান দাও এবং নামাজ পড় তাহলে তোমাদের হত্যা করা পবিত্র রমজান মাসে ওই ঘটনার পর থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

      Comment


      • #4
        উগ্রপন্থী হিন্দু শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে ক্রমাগতভাবে মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড

        উগ্রপন্থী হিন্দু শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে ক্রমাগতভাবে মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড
        ভারতজুড়ে মুসলমানদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য উগ্রপন্থী হিন্দু শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে ক্রমাগতভাবে মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, কখনো আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহর ছবি নিয়ে বিতর্কের ইস্যু তৈরি করা হয়। কখনো সে কর্মকাণ্ড চলে দিল্লির এক ঐতিহাসিক কবরকে মন্দিরে রূপান্তর করার ঘটনারূপে অথবা কখনো গুরগাঁওয়ে মুসলমানদের জুমার নামাজে বাধা প্রদানের মাধ্যমে। কখনো গরুর মাংশ ক্রয় বিক্রয়, পরিবহন,কিংবা খাওয়ার সন্দেহে, কখনো নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের উপরে হামলা চালিয়ে, এসব কর্মকাণ্ড একের পর এক ঘটানো হচ্ছে এবং একটাই উদ্দেশ্য, এটা বুঝিয়ে দেয়া যে, ভারতে মুসলমানিত্ব কিংবা মুসলমানদের থাকতেও দেওয়া হবে না। এখানে কেবলমাত্র হিন্দুত্ববাদ আর হিন্দরাই থাকবে।
        বিগত প্রায় কিছু দিন ধরেই দিল্লির সন্নিকটে হরিয়ানার গুরগাঁও শহরে মুসলমানদের জুমার নামাজ পড়তে জোরপূর্বক বাধা দেয়া হচ্ছে। তাদের এ কথা ভাল করে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে, এখন ভারতে উগ্রপন্থী হিন্দু উন্মাদদের মর্জি ছাড়া তারা নামাজও পড়তে পারবে না। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, গুরগাঁওয়ের প্রায় এক লাখ মুসলিম অধিবাসীকে ‘রোহিঙ্গা’ ও ‘বাংলাদেশী’ অভিহিত করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রও বেশ চাঙ্গা হচ্ছে। প্রাদেশিক সরকারের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের দুঃসাহস এতটাই বেড়েছে যে, প্রকাশ্যভাবে মুসলমানদের উপর অত্যাচার করতেও কারো তোয়াক্কা করে না।
        বিগত দু’সপ্তাহে হিন্দু উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো উজিরাবাদ, একে চক, বাখতাওয়ার চক ও শহরের দক্ষিণা এলাকাগুলোতে জুমার নামাজ আদায়ে বাধা দিচ্ছে এবং মুসল্লিদের নামাজ আদায় ব্যতীতই ফিরিয়ে দিয়েছে। এত বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য পুরো গুরগাঁও শহরে মাত্র আটটি মসজিদ রয়েছে, যা শহরের পুরাতন এলাকায় অবস্থিত। এর মধ্যে শুধু একটি মসজিদ নতুন গুরগাঁওয়ে অবস্থিত, যা যথেষ্ট নয়। খোলা স্থানে জুমার নামাজ আদায় করে আসছেন।
        উল্লেখ্য, হরিয়ানায় নতুন কোনো মসজিদ নির্মাণের অনুমতি নেই। আর পুরাতন মসজিদগুলো রয়েছে শত্রুদের দখলে। গুরগাঁওয়ে গত মসজিদ নির্মাণ করার একটি আবেদন ২০ বছর ধরে কর্তৃপক্ষের নিকট আটকে আছে। গুরগাঁও ছাড়াও হরিয়ানার অনেক শহর যেমন- সোনিপথ, পানিপথ, রোহতাক, হিসার, ঝাজ্জার, হাঁসি, কারনাল ও আম্বালায় হাজার হাজার এমন মসজিদ রয়েছে, যেগুলো শত্রুরা দখল করে রেখেছে। শুধু পানিপথেই এমন প্রায় ১০০টি মসজিদ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো অমুসলিমদের দখলে রয়েছে। যেগুলোতে মুসলমানদের নামায পড়তে দেওয়া হয় না। তাই মুসলমানেরা নামাজ আদায়ের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে দ্বারে দ্বারে।
        হরিয়ানায় হাজার হাজার মসজিদ, মাদরাসা ও খানকা দখল করে সেগুলোর আকার-আকৃতি বদলে দেয়। এমনকি, কিছু মসজিদকে মন্দির ও গুরুদুয়ারায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। কিছু মসজিদ এখনো আসল অবস্থায় টিকে রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় লোকেরা এগুলো মেরামত করতে দেয় না। ওখানে নামাজ আদায় করতে দেয় না। এমন পরিস্থিতিতে নিরুপায় ও অপারগ মুসলমানেরা যখন পার্কসহ খোলা স্থানে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে, এতেও উগ্রবাদী মালাউনরা সন্তুষ্ট না। তাই খোলা স্থানে নামাজ আদায় করলেও তাদের ভয়ভীতি দেখানো এবং হয়রানি করা হয়, মুসল্লিদের উপর হামলা করা হয়। মোটকথা, নানা প্রক্রিয়ায় মুসলমানদের পেরেশান করে তুলছে। তাই তাদের সামনে একটাই পথ খোলা আছে, তা হল সর্বশক্তি নিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে হিন্দু মালাউনদের বিরুদ্ধে জিহাদে বেরিয়ে পড়া। হিন্দু মুসলিম ভাই ভায়ের স্লোগান ছুড়েঁ ফেলে, হয়ত বিজয় নয়ত শাহাদাতের স্লোগানকে আকড়েঁ ধরো। এছাড়া উগ্রপন্থী হিন্দু শক্তিগুলোর পক্ষ থেকে ক্রমাগতভাবে মুসলিম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড রোধ করার বিকল্প কোন পদ্ধতি নেই।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন....
          Last edited by BANGLA NEWS; 06-09-2018, 01:07 PM. Reason:

          Comment


          • #6
            ক্রমশ তূতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ঘনিয়ে আসছে-----------
            ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

            Comment


            • #7
              হিন্দুদের সাথে থেকে যাওয়া এখন ভুল প্রমাণিত হলো।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدة ولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القاعدة
              سورة توبة ٤٦

              Comment


              • #8
                জাজাকাল্লাহ

                Comment


                • #9
                  গাজাওয়ায়ে হিন্দের পদধ্বনি অনেক জোরে জোরে শুনা যাচ্ছে।

                  Comment


                  • #10
                    বিন কাসেম আর মাহমুদ গজনবীর সৈনিকেরা আবার জেগে উঠো....আজ খুব মনে পড়ছে এটাই কি সেই ভারত যা মুহাম্মদ বিন কাসেম, বিজয় করেছিলেন? এটাই কি সেই ভারত যেখানের হিন্দুদের মথুরার সোমনাথ মন্দির বিজয় করে মুসলমানরা জুমআ আদায় করেছিল?

                    Comment

                    Working...
                    X