Announcement

Collapse
No announcement yet.

শামে চলমান ফেতনায় কেমন আছেন হকপন্থী মুজাহিদিন?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    শামে আজকের পরিস্থিতির জন্য আমার কাছে দুটি বিষয় কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে। আইএস, ও জাবহাতুন নুছরার আল কায়দার বাইয়াত ভঙ্গ করা। বাইয়াত ভঙ্গের কুফল এখন পুরো মুসলিম জাতী ভোগ করছে!
    তাহরীরের ভাইয়েরা তখন তো দল ত্যাগ করা অপরিহার্য ছিলো কিন্তু ভাইয়েরা সেটি না করে নিজেদের শাইখের বক্ত হয়ে পড়ে রইলেন। আলহামদুলিল্লাহ,, অনেক ভাই, তাহরীর ত্যাগ করেছিলো। আরেকটি বিষয় হলো আল কায়দার শক্তিশালী মানহাজ বুঝতে না পাড়া, ও বুঝার পর ছেড়ে দেওয়া। কারো অন্ধ বক্ত হওয়া ঠিক না। নিজেরদের শাইখের বক্ত হয়ে ফিৎনায় পড়ে রইলেন অনেকেই। আজকে আল কায়দাকে শামের জন্য অনুপযোগী মনে করা হচ্ছে। বেলাল ভাইয়ের মতো সাংবাদিককেও ওনারা গ্রেফতার করেছেন। রাশিয়ার সাদা ভল্লুকদের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে! আল কায়দা রাস্তা বন্ধ করে, আর তাহরীর খুলে দেয়। আল্লাহ আপনি ভাইদের হিফাজত করুন এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করে দিন আমীন।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #17
      Originally posted by শামের ঘোরা View Post
      .................
      প্রিয় ভাই- আপনার আইডির নামটা পরিবর্তন করা দরকার মনে হয়। কারণ, আপনি “শামের ঘোড়া” লিখতে চাচ্ছেন মনে হয়। আশা করি আপনি এ বিষয়ে মনোযোগী হবেন।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #18
        Originally posted by abu ahmad View Post
        প্রিয় ভাই- আপনার আইডির নামটা পরিবর্তন করা দরকার মনে হয়। কারণ, আপনি “শামের ঘোড়া” লিখতে চাচ্ছেন মনে হয়। আশা করি আপনি এ বিষয়ে মনোযোগী হবেন।
        জাযাকাল্লাহ আখি,ভাই এটাই আমার ফোরামে প্রথম আইডি আর এটা খুলে দিছেন আমার সবচেয়ে মুহাব্বতের প্রিয় একজন ভাই ,তিনি খুলার সময় ভুলে “ড়” জাগায় “র” দিয়ে ফেলে পরে জিনিস টি খেয়াল করেন এবং বলেন এভাবেই চলতে থাক ,তাই আমি আর কখনো এটা পরিবর্তন করিনি,আর কখনো ওনার সাথে দেখা হবে কিনা জানিনা ,তবে তিনি যদি বলেন তাহলে আমি পরিবর্তন করবো ইনশাআল্লাহ।

        Comment


        • #19
          এই পোস্টে কয়েকজন ভাই আল-কায়েদার উপর দোষ দিতে চাচ্ছেন- এটা ঠিক যে আল-কায়েদা কখনোই বলে না যে তাদের ভুল হতে পারে না। মুজাহিদিন অবশ্যই ভাইদের মাশওয়ারাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন- তবে আমি ভাইদের অবগতির জন্য বলতে চাই যে, আল কায়েদার অধিনস্ত নয়, এমন জিহাদি গ্রুপ, ইসলামী রাজনীতি যারা করেন, তারা এবং গণতান্ত্রিক বিভিন্ন দলগুলোর ব্যাপারে কিছু পলিসি রাখেন, এগুলোর ব্যাপারে কারো আপত্তি আছে কিনা আমার জানা নেই। নিচে আমি আল কায়েদা উপমহাদেশের আচরণবিধি থেকে উল্লেখ করছি। যদিও এটা আল কায়েদা উপমহাদেশের, তবে কমবেশি সব ভূখণ্ডের ক্ষেত্রে এখানের অনেক পয়েন্ট প্রযোজ্য হবে।

          দশম অনুচ্ছেদঃ জিহাদী দলগুলোর ব্যাপারে আমাদের স্ট্র্যাটেজি

          ১. ঐসব দল বা জামা’আত যেগুলো উপমহাদেশে কুফুরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে পুরোপুরি সক্রিয় এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করে যাচ্ছে, তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হলো ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব এবং تعاونوا على البر والتقوى অর্থাৎ সৎ কাজ ও তাকওয়ায় সহযোগিতার। আমরা তাদেরকে আমাদের শরীরের অংশ মনেকরি, তাদের দুঃখে আমরা দুঃখিত হই এবং তাদের সুখে আমরা খুশি হই।

          ২. জামা’আতের প্রচেষ্টা হবে الدين النصيحة অর্থাৎ “মঙ্গল কামনায় দ্বীন” েএর আলোকে জিহাদী দলগুলোর সাথে পরস্পরের গঠনমূলক সমালোচনা ও সংশোধনের এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা। এরই ধারাবাহিকতায় একে অন্যের গোপন দোষ-ত্রুটির সংশোধনের জন্য গোপনে প্রচেষ্টা করা হব এবং প্রকাশ্য ভুলের জন্য সব মুজাহিদ এবং সাধারণ মুসলমানদেরকে এই বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার করার জন্য ঘোষণা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। একইভাবে, শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড অথবা এমন অপারেশন যার ক্ষতি এর ফায়দার চেয়ে বেশি অথবা এমন অপারেশন যা শরীয়ী রাজনীতির স্পষ্ট বিপরীত – এগুলো থেকে নিজেদের সম্পর্ক না থাকার ঘোষনা দেওয়া হবে।

          পাকিস্তানে পূর্ণ উদ্যমে সক্রিয় জিহাদী দলগুলো, সামরিক অপারেশনে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের ব্যাপারে কিছু সুস্পষ্ট নীতির উপর একমত হলেই কেবল জিহাদ এক সুন্দর আকৃতি পাবে। কাঙ্ক্ষিত এই ঐক্যমত্য তৈরি করার জন্য, সংগঠন আলাদা হওয়ার পরও তাদেরকে এক স্ট্র্যাটিজির উপর একত্রিত করার জন্য জামা’আতের পক্ষ থেকে সবিনয় আবেদন করা হবে।

          এরই ধারাবাহিকতায় জামা’আত ভ্রাতৃস্থানীয় অন্য জিহাদী দলগুলোর সাথে সম্মত নীতিগুলোর উপর চুক্তির আওতায় জোট গঠন করতে চেষ্টারত এবং তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

          বিবৃত পয়েন্ট নম্বর ৩ এর পরিপূর্ণতায় আমরা উপমহাদেশের ভেতরে কর্মরত জিহাদী জামা’আতগুলোকে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের বায়’আতের দাওয়াত দেই। কারণ, এই ভূখণ্ডে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের বায়’আত, জিহাদি বিষয়াদিতে শরীয়তের অনুসরণ এবং শরীয়ী রাজনীতির ভিত্তিতেই একটি লাভজনক এবং সুসংগঠিত জোট গঠিত হওয়া সম্ভব।
          5. জামা’আত ভ্রাতৃস্থানীয় অন্য জিহাদী সংগঠনগুলোকে উল্লেখিত নিজ ‘আচরণবিধি’ মোতাবেক সম্মিলিত অপারেশনেরও দাওয়াত দেয়। এই বিষয়ে জামা’আত প্রত্যেক সংগঠনকে দ্বীনের বিজয় এবং জিহাদকে শক্তিশালী করার জন্যে খোলা মন নিয়ে সাহায্য করবে ।
          বিবৃত পয়েন্ট নম্বর ৩ এর আওতায়, সব জামা’আত বা দলগুলোর মাঝে দাওয়াতী, আদর্শিক, তারবিয়াতি, শরয়ী এবং সামরিক বিষয়গুলোতে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে।
          সমস্যা ও প্রতিকূল অবস্থায় এসব জামা’আতগুলোর সাথে সব ধরণের সহানুভূতি এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখা হবে।
          সব জামা’আতকে সমানভাবে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ে, আমাদের মাসোয়ারার দরজা খোলা থাকবে এবং প্রত্যেক এমন সিদ্ধান্তে সব জামা’আতকে সাথে নিয়ে চলার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
          9. যদি কোনো দল বা সংগঠন মানহায বা পদ্ধতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে আল-কায়েদা উপমহাদেশের সাথে একত্রিত হতে চায় তাহলে তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা।
          কাশ্মীর, ভারত, বাংলাদেশ এবং আরাকানেও (বার্মা) জিহাদী জামা’আতগুলোর (যেগুলো সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবমুক্ত) সাথে এসব নীতির ভিত্তিতে কাজ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
          11. ঐসব জিহাদী জামা’আত যা শরীয়তের শত্রু গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে কোনো ভূখণ্ডে কর্মরত, আমরা তাদের দাওয়াত দেই, তারা যেন নিজেদেরকে এসব সংস্থার নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে যাতে মাজলুম জনতাকে সাহায্য এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকার পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। কারণ, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, তাগুতী সশস্ত্রবাহিনী এদের জিহাদের ফলকে পরিশেষে ধ্বংস করে দেয়। কাশ্মিরের জিহাদ এর সুস্পষ্ট উদাহরণ।

          একাদশ অনুচ্ছেদ: দ্বীনি গণতান্ত্রিক দলগুলোর ব্যাপারে আমাদের স্ট্র্যাটেজি

          গণতন্ত্রকে আমরা শরীয়তের আলোকে কুফর মনে করি; এতে যেকোনো দলের যেকোনো আদর্শের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তি শরীয়তের প্রতিষ্ঠার সাহায্যের পরিবর্তে কুফরি শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে। কিন্তু এরপরও আমরা গণতন্ত্রে অংশ নেওয়া প্রত্যেক ব্যাক্তিকে অবশ্যই কাফের মনে করি না।
          গণতন্ত্রে অংশ নেওয়া দ্বীনি, “দ্বীনি ফায়দা” এর জন্য গণতন্ত্রে অংশ নেওয়ার অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দেয়, যেমন- মাদ্রাসাগুলোর সুরক্ষা, পার্লামেন্টের মাধ্যমে ধর্মহীনতার বন্যাকে বাঁধ দেওয়া অথবা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়তকে প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি… দ্বীনের সেবা অথবা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে বসার এসব ব্যাখাকে আমরা বাতিল মনে করি, কিন্তু এসব কারণে না আমরা তাদের তাকফির করি, আর না তাদেরকে টার্গেট বানানো আমরা জায়েজ মনে করি। তা সত্ত্বেও, যেহেতু তাদের কাজ কুফুরি শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে; আমরা দাওয়াতির মাধ্যমে তাদেরকে এ হারাম কাজ থেকে দূরে রাখার সব ধরনের চেষ্টা করবো।

          ৩. এসব জামা’আতের সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধের মত নেক কাজে আমরা খোলাখুলি পৃষ্ঠপোষকতা করবো এবং গণতান্ত্রিক খেল-তামাশা এবং অন্যান্য ভুল ত্রুটির ব্যাপারে প্রকাশ্য সমালোচনা ও নসিহত করবো।

          দ্বাদশ অনুচ্ছেদঃ সাধারণ দ্বীনি সংগঠনগুলোর সাথে আচরণনীতি

          এমন দ্বীনি জামা’আত যা সমাজে দাওয়াত ও তাবলীগ এবং ইসলাহের কাজ করছে:
          1. তাঁদের সাথীদেরকে আমরা নিজেদের ভাই এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের সাথী মনে করি।

          তাঁদের সমস্ত ভালো কাজের আমরা প্রশংসা করি এবং যখনই সামর্থ হয়, তাঁদের ভাল কাজে সহযোগিতা করার প্রত্যাশা রাখি।
          সাথে সাথে আমরা তাঁদের জিহাদে সহযোগিতা এবং নুসরতের দাওয়াত ও প্রেরণা দেই এবং শরীয়তের সমস্ত ফরয আদায় করার জন্য ডাকি।
          আমাদের প্রচেষ্টা হল- এই ভূখণ্ডে থাকা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের সব আদর্শিক চিন্তাধারাকে, ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের পতাকাতলে শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য এবং শরীয়তের শত্রুদের বিরুদ্ধে একত্রিত করা; তাঁদেরকে ফুরুয়ী ইখতিলাফ থেকে বের করে উম্মতের সামগ্রিক এবং বুনিয়াদি বিষয়ের উপর ঐক্যবদ্ধ করা যাতে শরীয়তের শত্রুদের মোকাবেলায় এই উম্মত সীসা ঢালা প্রাচীর হয়ে যায়।

          -----------

          তো সম্মানিত ভাইয়েরা আমরা এই পয়েন্টগুলোও নিজেদের জেহেনে রাখি। আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের সব ধরণের ফিতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

          Comment

          Working...
          X