Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ০৯ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারীদের শাস্তি চাইলেন মুফতি আব্দুল মাতীন


    ভারতের ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবি করলেন অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতীন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী ‘করসেবক’ নামধারী জনতা কয়েকশ’ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

    গত (শুক্রবার) রেডিও তেহরানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুফতি আব্দুল মাতীন বলেন, ‘১৯৯২ সালে যারা এই প্রাচীন সৌধের ওপরে হামলা করেছিল তাদের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘোষণা করুক সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে এই ঐতিহাসিক জায়গার ঐতিহ্য কীভাবে বজায় থাকবে তা সুপ্রিম কোর্টকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আমি অনুরোধ করছি। ওই জায়গার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রক্ষা করা হোক। ৪০০/৫০০ বছরের একটা প্রাচীনত্বকে এভাবে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া যায় না। এই বক্তব্য কেবল মুসলিমদের নয়, আমি মনে করি এই বক্তব্য ভারতের প্রত্যেক জনগণের হওয়া উচিত। আমি মুসলিম বলে মসজিদের পক্ষে কথা বলছি এটা ভুল কথা।

    মুফতি আব্দুল মাতীন বলেন, ‘১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যারা বাবরী মসজিদের উপরে হামলা চালিয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে মালাউন সরকারের নীরব দর্শকের ভূমিকা এটা কখনওই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চরিত্র হতে পারে না। এটা সাঙ্ঘাতিকভাবে অন্যায় হয়েছে সরকারের। যারা ভেঙেছে তাদের আজও পর্যন্ত কোনো শাস্তি হল না। এটা চূড়ান্তভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলার বিপর্যয়। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কিত জায়গা সম্পর্কে বলেছিল যারা বাবরী মসজিদে হামলা করেছে তারা অন্যায় করেছে। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের কলমে যেটা ‘মসজিদ’ বলে উল্লেখিত আছে, সেটা ২০১৯ সালে এসে আবার মসজিদ উধাও হয়ে যাবে এটা কখনও হতে পারে না।’

    এ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী হয়নি বলেও অল ইন্ডিয়া সুন্নাত অল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতীন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29371/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ধর্ষণের রাজধানী হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী যোগীর পরিচালিত ভারতের উন্নাও শহর


    উন্নাও: শুধু ১০০-র কাছাকাছি ধর্ষণ নয়। ২০০-র কাছাকাছি যৌন হেনস্থাও ঘটেছে এই এক বছরে। এই পরিসংখ্যান কেবল নথিভুক্ত হয়েছে, নথিভুক্ত না হওয়া রোজের এমন নানা ধর্ষণ আর হেনস্থা জুড়লে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে ইয়ত্তা নেই!

    সাল ২০১৯। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর অবধি মোট ৮৬ টি ধর্ষণের ঘটনা সন্ত্রাসী যোগী রাজ্যের শহর উন্নাওতে (Unnao)! নির্দ্বিধায় এই জেলা এখন উত্তরপ্রদেশের ‘ধর্ষণের রাজধানী’ (rape capital of Uttar Pradesh) হিসাবে পরিচিত হওয়ার সমস্ত যোগ্যতাই অর্জন করে ফেলেছে। শুধু ১০০-র কাছাকাছি ধর্ষণ নয়। ২০০-র কাছাকাছি যৌন হেনস্থাও ঘটেছে এই এক বছরে। এই পরিসংখ্যান কেবল নথিভুক্ত হয়েছে, নথিভুক্ত না হওয়া রোজের এমন নানা ধর্ষণ আর হেনস্থা জুড়লে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে ইয়ত্তা নেই! উন্নাওয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৩১ লক্ষ। উন্নাও লখনউ থেকে প্রায় ৬৩ কিলোমিটার এবং কানপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রতিবেদন অনুসারে, এই একই সময়কালে এই জেলা থেকে মহিলাদের যৌন হেনস্থার ১৮৫ টি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কুলদীপ সেঙ্গার এবং গত বৃহস্পতিবার ঘটনা, যাতে ধর্ষিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেগুলি ছাড়াও একটি বিশিষ্ট মামলা হ’ল পূর্বায় এক মহিলার ধর্ষণ। এ বছরের ১ নভেম্বর ওই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।

    উন্নাওয়ের আসোহা, আজগাইন, মাখি এবং বাঙ্গারমাউয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা হয় প্রথমে গ্রেফতার হয়ে পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছে বা পালিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেছে।

    আজগাইনের বাসিন্দা রাঘব রাম শুক্লা বলেছে, “উন্নাওয়ের পুলিশ পুরোপুরি রাজনীতির পুতুলে পরিণত হয়েছে। ওপর মহলের রাজনৈতিক কর্তাদের অনুমতি না পেলে তারা এক ইঞ্চিও নড়বে না। এই মনোভাব অপরাধীদের আরও উত্সাহিত করছে।”

    স্থানীয় একজন আইনজীবী বলেন, “এখানে অপরাধকে কেন্দ্র করে রাজনীতি চলছে। রাজনীতিবিদরা এখানে রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ বুঝে নেওয়ার জন্য অপরাধকে ব্যবহার করছে এবং পুলিশ তাদের হাতের পুতুল হয়ে রয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29374/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীরকে ভারতের ফিলিস্তিন বানাচ্ছে সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি


      চলতি বছরের আগস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন-বিষয়ক সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী বাহিনী মোতায়েন থাকা ওই অঞ্চলে আরো প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয় মোদির দমন ও অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা লোকজনকে ‘শান্ত’ করতে (পড়ুন: আরো নির্যাতন চালাতে)। ওই এলাকায় যাওয়া বা বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়, এমনকি সাংবাদিকদের পর্যন্ত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়, কাশ্মীরে স্বজন বা পরিবার সদস্য বা বন্ধুদের অবস্থা জানার কোনো উপায় থাকেনি বাইরের লোকজনের জন্য।

      কাশ্মীরী জনগণের ওপর ভারতের বর্ধিত নির্যাতন থেকে তাদের রক্ষা করতে না পারলেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের দীর্ঘ দিন ধরে চলা নির্মম নির্যাতনের সাথে এর মিল দেখা যাচ্ছে। আর এই তুলনা ভারত সরকারের দৃষ্টি এড়ায়নি। ১৬ ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কে একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ভারতের কনস্যাল জেনারেল সন্ত্রাসী মালাউন সন্দীপ চক্রবর্তীর মন্তব্যে বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই প্রকাশ হয়ে পড়ে। সে কাশ্মীরী হিন্দু ও ভারতীয় লোকজনকে বলেছে যে ইসরাইলি মডেল অনুসরণ করে কাশ্মীরে বসতি স্থাপন করবে ভারত। সে বলেছে, আমি বিশ্বাস করি যে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, ফলে হিন্দু পণ্ডিতরা ফিরে যেতে পারবে। আপনাদের জীবদ্দশাতেই আপনারা ফিরে যেতে পারবেন। আর আপনারা সেখানে নিরাপত্তা দেখতে পাবেন। কারণ বিশ্বে এ ধরনের একটি মডেল রয়েছে। ইসরাইলি লোকজন তা পারলে আমরাও পারব।

      কাশ্মীরী জনগণের ওপর মোদির নির্যাতন বাড়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশির ভাগই এর নিন্দা করছে। তবে অন্যান্য ঘটনার আড়ালে চলে যেতে পারে নির্যাতনের খবর। কিন্তু কাশ্মীরী জনগণের দুর্ভোগ অব্যাহতই থাকবে।

      মালাউন চক্রবর্তী ইসরাইলের উদাহরণ তুলে ধরেছে, যারা বিশ্ব কুফ্ফারদের প্রকাশ্য মদদে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করতে, এর জনগণকে নির্যাতন চালাতে, অবৈধ বসতি স্থাপনকে ব্যবহার করতে, ভূমি বাজেয়াপ্ত করতে, বর্ণবাদ চালাতে, সম্ভব সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ চালাতে, অপহরণ করতে, খুন করতে, মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করতে সব ধরনের নির্মম পন্থা অবলম্বন করতে সক্ষম হয়েছে। এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, মানবতাবিরোধী অপরাধ। আর এতে অর্থায়ন করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য বেশির ভাগ লোক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। মাঝে মাঝে কেবল নিন্দাসূচক কিছু কথা বলেই দায়িত্ব শেষ করছে। ইসরাইল যদি নৃশংসতা চালিয়ে পার পেতে পারে, তবে ভারত কেন পারবে না?

      কানাডায় একটি ইহুদি সংগঠন একটি অনুষ্ঠানে দুজন বক্তাকে উপস্থাপন করে। এদের একজন ছিল এক হিন্দু পুরোহিত এবং অপরজন ছিল এক রক্ষণশীল ভাষ্যকার। এমনটা করা হয়েছিল কানাডিয়ানদের কাছে এই বিষয়টি প্রমাণ করতে যে জর্জ ওরওয়েলের ‘সাদা হলো কালো’ এবং ‘উঁচু হলো নিচু’ পূর্বাভাস নিশ্চিতভাবে ফলপ্রসূ হওয়ার প্রমাণ দিতে। অনুষ্ঠানে বলার চেষ্টা করা হয় যে ইসরাইল হলো চরমপন্থার বিরুদ্ধে। অথচ জায়নবাদের কথা চিন্তা করলে এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে। কারণ যে জায়নবাদের ওপর ভিত্তি করে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটিই চরমপন্থী, বর্ণবাদী দর্শনভিত্তিক। ইসরাইল সৃষ্টি হয়েছে এই ধারণার ভিত্তিতে যে দেশটি হবে কেবল ইহুদি জনসংখ্যার দেশ। অথচ কানাডার জায়নবাদী গ্রুপটি আমাদের অন্য কথা শেখাচ্ছে।

      ২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নৃশংস ও প্রাণঘাতী বোমা হামলার সময় একটি ইসরাইলি প্রকাশনার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে গণহত্যাও গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতের মধ্যে এ ধরনের মন্তব্য করার মাধ্যমে আসলে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোকে গ্রহণযোগ্য হিসেবেই স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। অবশ্য তীব্র আপত্তির কারণে ওই সম্পাদকীয়টি প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও জায়নবাদীদের মধ্যে বিরাজমান অভিন্ন মানসিকতার সাথে পরিচিত হয়েছে ফিলিস্তিনিরা।

      এখন এই রোগ ভারতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। অন্তত সরকারি সন্ত্রাসী কর্মকর্তাদের মধ্যে গণহত্যার ধারণা দানা বেঁধে ওঠছে।

      এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে সাধারণভাবে মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে দেখার ধারণা বিরাজ করছে। কিন্তু বিশ্ব কুফ্ফারদের লিডার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু ইসরাইলের সমর্থনে অটল রয়েছে। সে সম্ভব সব উপায়ে ইহুদি দেশটির প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের মতো সন্ত্রাসী লোকেরা ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যেভাবে সমর্থন দিয়েছে, এখন একইভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদিকেও দেবে।

      সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর/ কাউন্টার পাঞ্চ


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29380/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        কাশ্মীরে ভারত বিরোধী বিক্ষোভে মালাউন সন্ত্রাসীদের হামলা, বেশ কয়েকজন স্বাধীনতাকামী আহত!


        ভারত জবর দখলকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকাতে গত শুক্রবার জোরালো বিক্ষোভ করেছে কাশ্মীরের মানুষ। ভারতীয় দখলদারিত্ব এবং এ অঞ্চলে আরোপিত অবরুদ্ধ অবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানোর জন্যই এইসব বিক্ষোভ করা হয়।

        কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর শ্রীনগর, বাদগাম, গান্দেরবাল, পুলওয়ামা, কুলগাম, শোপিয়ান, বান্দিপোরা, বারামুল্লা, কুপওয়ারা এবং অন্যান্য এলাকাতে মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা স্বাধীনতার পক্ষে এবং ভারত-বিরোধী শ্লোগান দেয়। বহু জায়গায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করেছে ভারতীয় সন্ত্রাসী পুলিশ ও সেনারা। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে টানা ১৮ সপ্তাহ ধরে শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ ও অন্যান্য প্রধান মসজিদগুলোতে কাশ্মীরীদেরকে জুমার নামাজ পড়তে দেয়নি দখলদার সন্ত্রাসী মালাউন মোদি সরকারের কর্তৃপক্ষ।

        এদিকে, এই অঞ্চল বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় অবরুদ্ধ অবস্থা ১২৪তম দিনে পড়েছে এবং এখানকার পরিস্থিতি এখনও অস্বাভাবিক রয়েছে। ১৪৪ ধারার অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, ইন্টারনেট এবং প্রি-পেইড মোবাইল সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন থাকায় মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শেখ আশিক হোসেন শ্রীনগরে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, ৫ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অবরুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ১৫,০০০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, অবরোধ আরোপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর প্রতিটি খাতের ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

        জম্মু ও কাশ্মীর ইয়ুথ লিগ শ্রীনগরের দস্তগির সাহিব অভিমুখে মার্চের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করেছে। তারা সোমবার শ্রীনগরের ইউএন অফিস অভিমুখে একই ধরণের মার্চের জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা বুধবার সম্পূর্ণ বন্ধ পালন এবং বৃহস্পতিবার জনতার কারফিউ পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

        অধিকৃত কাশ্মীরের হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশানের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি গুলাম নবি শাহীন কেএমএসের সাথে এক সাক্ষাতকারে দাবি জানিয়েছেন যাতে বার প্রেসিডেন্ট মিয়া আব্দুল কাইয়ুম, সিনিয়র আইনজীবী নাজির আহমেদ রোঙ্গা, মোহাম্মদ আশরাফ বাট এবং হিলাল আকবর লোনসহ অবৈধভাবে আটককৃত সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হয়।

        ব্রিটেনের ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকার উর্দু ভার্সন ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দু – যেটি ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়, সেখানে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জানানো হয়েছে যে, কাশ্মীরে নারীদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে এবং যে সব ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে, আসল ঘটনার সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে যে, অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে দমনের জন্য ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনারা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। নিবন্ধে কাশ্মীরের এক সাংবাদিককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনারা দিনে বা রাতে যে কোন সময় যে কোন বাড়িতে ঢুকে নারীদের – বিশেষ করে তরুণীদেরকে নির্যাতন করছে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29383/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          শুল্ক, ট্রানজিট ফি ছাড়াই বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করবে ভারত !


          ভারত তার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করলেও কোন শুল্ক বা ট্রানজিট ফি দিতে হবে না। শুধু নামকাওস্তাতে প্রশাসনিক ফি দিতে হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে এই পণ্য আনা-নেওয়ার পরীক্ষামূলক কাজটি শুরু হচ্ছে।

          ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের জাহাজ চলাচল বিষয়ক আন্ত:সরকার কমিটিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী বৈঠকটি শেষ হয়।

          আলোচনা শেষে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ মালাউন গোপাল কৃষ্ণ সাংবাদিকদের ব্রিফ করে।

          আব্দুস সামাদ বলেছে, জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ এন্ড ট্রেড অনুযায়ী ভারতকে কোন কাস্টমস ডিউটি ও ট্রান্সশিপমেন্ট চার্য দিতে হবে না।

          তবে সড়ক পরিবহনের অতিরিক্ত কিছু প্রশাসনিক ফি দিতে হবে। এর বিনিময়ে তারা পণ্য পরিবহনের অনুমতি পাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে প্রশাসনিক ফি কত হবে সে বিষয়টি এখনো হিসাব করা হয়নি। দেশের প্রধান দুই সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার জন্য এটা দিতে হবে।

          সে জানায়, জানুয়ারিতে দুই বন্দর ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক ট্রানজিট শুরু হওয়ার পর প্রশাসনিক ফি নির্ধারণ করা হবে।

          আলোচনার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতীয় সচিব গোপাল কৃষ্ণ বলেছে যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার মতো কিছু বিষয় এখনো শেষ করা হয়নি।

          বাংলাদেশকে দুটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দিতে ভারত চাপ দিয়ে ২০১৫ সালের ৬ জুন একটি এমওইউ সই করার জন্য ভারতঘেষা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধিন সরকারকে রাজি করাতে সফল হয়। ২০১৮ বছর ২৫ অক্টোবর এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়।

          গত ৩-৬ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়া দিল্লি সফরে গেলে বাংলাদেশের দুই সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) সই হয়।

          ভারত ২০১৬ সালের জুন থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মালামাল পরিবহনের সুবিধা ভোগ করে আসছে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে রিভার প্রটোকল সই হয়।

          সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29377/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি


            চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে নগরীর লালদিঘী মাঠে এই ঘটনা যখন ঘটেছে।

            সম্মেলন শুরুর আগেই এই ঘটনা ঘটেছে।

            কথিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে দেশজুড়ে জেলা-উপজেলায় এখন আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলছে। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সম্মেলন হচ্ছে।

            সকাল থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে দলে দলে লালদিঘী মাঠে আসতে থাকে সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা।

            প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল থেকে মাঠে অবস্থান নিয়েছিল সন্ত্রাসী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মিরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের অনুসারীরা।

            ১০টার কিছু সময় আগে মাঠে আসে মিরসরাই উপজেলা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমানের অনুসারীরা।

            এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়, পরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে এই সংঘাত।

            সুত্রঃ যুগান্তর


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29393/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দুই সপ্তাহে ৫ খুন: রাজশাহীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী


              একের পর এক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর মানুষ। গত ১৭ দিনে পাঁচজন খুন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন কলেজছাত্র, একজন সাধারণ মানুষ ও দু’জন ব্যবসায়ী। চারটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে নগরে এবং একটি গোদাগাড়ী উপজেলায়।

              এদের মধ্যে চারজনকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বাকি একজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার চারটি গরু নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নগরবাসী বলছেন, নগরীতে গভীর রাতে বাস-ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি ফেরার পথে অহরহ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন মানুষ। আওয়ামী দালাল পুলিশের রাতের টহল দায়সারাভাবে চলায় ছিনতাইকারীরা আবার নগরীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

              ১৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী রেলভবনে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয় সানোয়ার হোসেন রাসেলকে (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রাসেলের ভাই আনোয়ার হোসেন রাজা। চিকিৎসা শেষে রাজা কিছুটা সুস্থ হলেও তিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে পারছেন না। নিহত রাসেলের পরিবারের অভিযোগ, কতিপয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার আশ্রিত সন্ত্রাসী সুজন ও তার সহযোগীরা নগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রেলের কয়েক ঠিকাদারও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে কলকাঠি নেড়েছে। এ কারণে পুলিশ সুজন ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে তেমন চেষ্টা করছে না। সুজনের সহযোগীরা এখনও রেলভবনসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যেই ঘুরছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

              রাসেল হত্যাকাণ্ডের দিনই নগরীর শাহ মখদুম থানার নতুনপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহ আল ফাহিম (১৯) নামের এক কলেজছাত্রকে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয়। ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে চিহ্নিত অপরাধীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে নিহত কলেজছাত্রের পরিবারের দাবি। ২১ নভেম্বর গোদাগাড়ীর কদমশহরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে খুন করা হয় শান্ত ইসলামকে। নিহত শান্ত দামকুড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন শান্তর ভাই স্বপন ইসলাম। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আওয়ামী দালাল বাহিনী পুলিশ। গোদাগাড়ী থানা পুলিশ বলছে, শান্তর হত্যাকারী মাজেদুল ও তার ভাই সাজেদুল এখনও গ্রেফতার হয়নি।

              বাকি টাকা চাওয়ায় নগরীর মালদা কলোনী এলাকায় ব্যবসায়ী রাজন শেখকে (২০) সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করে। এলাকাবাসীর দাবি, রাজনের হত্যাকারী সন্ত্রাসী সোহেলের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর রাতে নগরীর দাসপুকুর এলাকার একটি খামারের মালিক আবদুল মজিদকে (৫৪) শ্বাসরোধে হত্যার পর তার চারটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি কথিত এই পুলিশ বাহিনী। রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানায় কারা মজিদকে হত্যা করেছে তা পুলিশ এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।

              সুত্রঃ যুগান্তর


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29396/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ত্রুটি : হ্যাকারদের লক্ষ্য ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান


                বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ‘গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি’ বের করেছে নরওয়ের মোবাইল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান প্রোমন।

                এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকারদের পক্ষে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েডের এ ত্রুটি ব্যবহার করে ভুয়া লগইন স্ক্রিন বানাতে পারে সাইবার হামলাকারীরা।

                এরপর লগইন স্ক্রিনগুলোর সঙ্গে উপযুক্ত অ্যাপ বসিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায়। প্লে স্টোরের এক জরিপে দেখা গেছে, অ্যান্ড্রয়েডের এ দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য বানানো হয়েছে ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে।

                গুগলের দিক থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ত্রুটিটি সারাতে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এবং এর মূল বের করতে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে। প্রোমনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা টম হ্যানসেন বলেন, অনেক দেশের বেশকিছু ব্যাংককে লক্ষ্য বানানো হয়েছে এবং গ্রাহকের অর্থ চুরি করতেও সক্ষম হয়েছে ম্যালওয়্যারটি।

                ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপগুলো বিশ্লেষণ করেছে প্রোমন। অ্যাপগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হানা দেয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ম্যালওয়্যারটির নাম বলা হয়েছে স্ট্যান্ডহগ।

                গ্রাহক যেখানে মনে করছেন তারা বৈধ অ্যাপ ব্যবহার করছেন, আসলে তারা হামলাকারীর বানানো ভুয়া স্ক্রিনে ক্লিক করছেন। কোনো অ্যাপ স্ট্যান্ডহগ ত্রুটির অপব্যবহার করছে কি না, তা বের করা হচ্ছে এর মাধ্যমে।

                সুত্রঃ যুগান্তর


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29399/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  এড্রিক বেকার : মানবতাবাদী ডাক্তার নাকি ধর্মান্তরবাদী মিশনারি?


                  টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাইলাকুড়ি স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র নিয়ে বহুল প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে সম্প্রতি। ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত সরেজমিন প্রতিবেদন করেছে স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্রটি নিয়ে।

                  প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ক্লিনিকটির প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার এড্রিক বেকার নামক এক পশ্চিমা খ্রিষ্টান নাগরিক। সে নিজ দেশের আরামের জিন্দেগি ছেড়ে নিরেট মানবসেবার জন্য বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত এই এলাকায় স্থায়ীভাবে চলে এসেছিল। এবং ‘কেবলই’ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আমৃত্যু সে এ ক্লিনিকটি নিয়ে কাইলাকুড়িতেই পড়ে ছিল। এখানেই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির দাওয়ায় তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে। মানবসেবার কারণে এলাকায় সে ‘ডাক্তার ভাই’ নামে পরিচিত ছিল।

                  ইত্যাদির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডাক্তার ভাই তাঁর মৃত্যুর পূর্বে বাংলাদেশের ডাক্তারদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিল, বাংলাদেশি ডাক্তারদের কেউ যেন এই ক্লিনিকটির দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং সুবিধাবঞ্চিত এই উপজাতি এলাকার মানুষগুলোর ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। কিন্তু বাংলাদেশি ডাক্তারদের কেউই তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দেননি, কিছুদিন পর ডাক্তার ভাইও মারা যায়।

                  অবশেষে দুবছর পর তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে আমেরিকার খ্রিষ্টান তরুণ এক ডাক্তার দম্পতি। তাঁরা এড্রিকের মানবতাবাদী এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০১৮ সালে ছোট ছোট চার শিশু সন্তান নিয়ে আমেরিকার বিলাস বহুল জীবন ছেড়ে প্রত্যন্ত এ গ্রামে চলে এসেছে। এবং ‘নিঃস্বার্থভাবে’ আর্তমানবতার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করছে।

                  হানিফ সংকেতের এই প্রতিবেদন ইত্যাদিতে প্রচারিত হবার পর এড্রিক বেকার ও তরুণ ডাক্তার দম্পতির মানবতা নিয়ে যেমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা হচ্ছে, তেমনি এই মানবতাবাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ধর্মান্তরবাদ নিয়েও হচ্ছে জোর সমালোচনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররাও এই প্রতিবেদনে দেশি ডাক্তারদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।

                  ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি ডাক্তারগণ

                  চিকিৎসা সংক্রান্ত অনলাইন পত্রিকা মেডি ভয়েস ডটকমের সম্পাদকীয়তে আজ (২ ডিসেম্বর) হানিফ সংকেতের ওই প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পেশাজীবী নেতা ডা. বাহারুল আলম সেই সম্পাদকীয়তে বলেন, তৎকালীন ভারতবর্ষে পাশ্চাত্যের আধিপত্য ও উপনিবেশিকতা পাকাপোক্ত করার জন্য ব্রিটিশরা দাতব্য বা মিশনারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সুপরিকল্পিত অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। উদ্দেশ্য- একটি সাদা চামড়ার পাশ্চাত্যের ব্রিটিশরা কত দয়ালু ও মহান সেটা প্রমাণ করা! বিপরীতে ভারতীয়রা কত কাঙ্গাল ও করুণা ভিক্ষা চাইতে ভালবাসে! যা প্রকারান্তরে ভারতের উপর ব্রিটিশদের আধিপত্য, শোষণ, নির্যাতনে সহায়ক শক্তি হিসাবে ভূমিকা রেখেছে এবং এখনও ভারতবর্ষে সেই উপনিবেশিকতার প্রভাব বজায় আছে। সেই প্রচারে ভূমিকা রেখেছে হানিফ সংকেত ও তার ইত্যাদি।

                  তিনি বলেন, হানিফ সংকেত ও তার ইত্যাদির প্রচারে যারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তাদের দু’শ বছরের উপনিবেশিকতার ইতিহাস স্মরণে রাখা উচিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও দাতব্যের অপকৌশলের আড়ালে আমাদের মনোজগতে ব্রিটিশ শাসন মেনে নেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করেছিল। হানিফ সংকেতের ইত্যাদির প্রচার সে অপকৌশলের বিবর্তিত অধ্যায়।

                  এদিকে মেডি ভয়েসের অপর একটি মতামত কলামে ডা. আবদুর রব নামে একজন বিশেষজ্ঞ মেডিকেল অফিসার বলেছেন, ডা. এড্রিক বেকার বা তাঁর উত্তরসূরি আমেরিকান ডাক্তার দম্পতির এই মানবসেবা আলাদাভাবে বিশেষায়িত করার কিছু ছিল না। কারণ, এ দেশে অসংখ্য ডাক্তার এমন আছেন যারা নিজ এলাকায় নামমাত্র ভিজিটে অথবা একদম ফ্রিতে মানুষকে চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেন। ইত্যাদি অনুষ্ঠান সেসব ডাক্তারদের নিয়ে কোনো প্রতিবেদন করার আগ্রহ দেখায় না, আগ্রহ কেবল সাদা চামড়ার লোকজনের লৌকিক মানবসেবায়!

                  তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, সাদা চামড়ার লোকজন নামমাত্র চিকিৎসা সেবা দিয়ে ইত্যাদির কাছে তাঁরা হয়ে যায় হিরো, আর আমরা কালো চামড়ার লোকজন প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে প্রতিদিন হাজারও রোগীকে নামমাত্র ফি’র বিনিময়ে চিকিৎসাপরামর্শ দিয়ে ‘কসাই’ই থেকে যাই।

                  ডা. আবদুর রব বলেন, পাইকগাছায় যে জায়গায় আমি বসি সেটা একটা ডায়াবেটিক সেন্টার। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির একটা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রতি শুক্রবার বিএমএ’র কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ডা. শহীদুল্লাহ বিনামূল্যে যে পরিমান ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী দেখেন এবং প্রতি ইউনিয়নে ফ্রি ক্যাম্পের নামে যে পরিমান রোগী ওষুধসহ ফ্রি দেখেন, ডা. বেকার তার ভগ্নাংশ পরিমাণ রোগীও চোখে দেখেনি। কই, জনাব হানিফ সাহেব ডা. শহীদুল্লাহকে নিয়ে তো ইত্যাদিতে প্রচার করেনি? নাকি প্রচারের জন্য সাদা চামড়ার হতে হবে, খ্রিষ্টান মিশনারির লোক হতে হবে, সারা জীবন বিয়ে না করে থাকতে হবে আর সুদূর আমেরিকা থেকে ক্যাথলিক ধর্মীয় আবেগে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে মানব সেবা করতে হবে?

                  মানবতাবাদী ডাক্তার নাকি ধর্মান্তরবাদী মিশনারি?

                  ডা. এড্রিক বেকার কি উপজাতি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে কেবলই মানবতার তাগিদে জীবন পার করেছিল, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে, জানতে চেয়ে ফাতেহ টুয়েন্টি ফোর থেকে কথা বলা হয়েছিল মধুপুরের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে।

                  তাঁদের কেউই নামপ্রকাশ করে মিডিয়ায় এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। নাম-পরিচয় গোপন করার শর্তে প্রত্যেকেই জানিয়েছেন মধুপুরের শোলাকুড়ি ইউনিয়নে মূলত উপজাতিদের বসবাস। এখানে বেশ অনেক বছর ধরে খ্রিষ্টান মিশনারিরা সেবার আড়ালে ধর্মান্তকরণের কাজ করে আসছে। একসময় যেখানে একজন খ্রিষ্টানও ছিল না, সেখানে উপজাতিদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এখন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছে। ওই এলাকায় খ্রিষ্টান মিশনারিরা বেশ কয়েকটি স্কুল ও ক্লিনিক স্থাপন করেছে। এগুলো মিশনারিদের অর্থায়ন ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। ডাক্তার বেকারের কালিয়াকুড়ি হাসপাতাল এগুলোরই একটি। সে মূলত খ্রিষ্টান মিশনারিদেরই লোক। উপজাতিদের মধ্যে খ্রিষ্টবাদ প্রচারের লক্ষ্যেই সে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। এবং সেবার আড়ালে মানুষকে এখান থেকে মূলত খ্রিষ্টধর্মের প্রতিই আকৃষ্ট করা হয়।

                  তাঁরা বলেন, ডাক্তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর যে ডাক্তার দম্পতি এখানে এসেছে, তাঁরাও খ্রিষ্টান মিশনারির লোক। ক্যাথলিক খ্রিশ্চিয়ান মিশনের তত্ত্বাবধানেই তাঁরা এখানে এসেছে। এবং তাঁদের যাবতীয় ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা মিশনারিই করে থাকে।

                  একই কথা বলছেন ডা. আবদুর রবও। তিনি বলেন, ডা. বেকারের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটি একটি মিশনারি হাসপাতাল। এটা বিদেশি ডোনেশনে চলে। কিছু স্থানীয় দানও আছে। যারা এখানে কাজ করছে একেবারে ফ্রি নয়, মিশন থেকে টাকা পায়। ক্যাথলিক খ্রিশ্চিয়ান মিশন। এই মিশনের উদ্দেশ্য কী, (খ্রিষ্টবাদের প্রচার এবং মানুষকে ধর্মান্তরিত করা) তা কারও অজানা থাকার কথা না।

                  ডা. রব বলেন, বাংলাদেশের কিছু ডাক্তার এখানে একই সিস্টেমে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছিল। স্বয়ং ডা. বেকার অপারগতা দেখিয়ে বলেছিল, দেশি ডাক্তার এলে মিশনের ফান্ডিংয়ে সমস্যা হবে। এইখানে কে কাজ করবে সেটা মিশনের ঠিক করে দেয়। এর পরেও গণস্বাস্থ্য মেডিকেলের দুই জন ডাক্তার প্রতি সপ্তাহে ফ্রি চিকিৎসা দেন সেখানে। ইত্যাদির রিপোর্টে অত্যন্ত চতুরতার সাথে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সেটি এবং আমার মতো গ্রামে পড়ে থাকা ডাক্তারদেরকে স্রেফ অপমান করা হয়েছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29402/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    মার্কিন নৌ-ঘাঁটিতে সৌদি বৈমানিকের ‘লোন’ হামলা, নিহত ৩, আহত ৮


                    বিশ্বসন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-ঘাঁটিতে গত ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবারে হামলা চালিয়েছেন সৌদি আরবের একজন বৈমানিক (বিমান বা জাহাজ চালনা) প্রশিক্ষণার্থী। এ হামলায় ৩ কুফফার নিহত এবং আরো ৮জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
                    বার্তাসংস্থা সিএনএ-এর তথ্য মতে, গত ৬ই ডিসেম্বর শুক্রবারে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ‘ন্যাভাল এয়ার স্টেশন পেনসাকোলা’তে একজন সৌদি আরবিয় বৈমানিক প্রশিক্ষণার্থী ক্রুসেডার মার্কিনীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করেন। এতে, ৩ কুফফার নিহত হওয়াসহ আরো প্রায় ৮জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আছে দুইজন ‘শেরিফ’ ডেপুটি অফিসারও। এসময়, এক কাফের ‘শেরিফ’ ডেপুটি অফিসারের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী সৌদি বৈমানিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
                    এ ঘটনার পর আমেরিকার গোলাম সৌদি আরবের তথাকথিত বাদশা সালমান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উন্মাদ ট্রাম্পকে ফোন করে সমবেদনা জানায়।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/07/29408/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      হক প্রচারে আল্লাহ আপনাদের মেহনত কবুল করুক,আমিন
                      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমাত কবুল করুন ও আমাদের সুমতি দান করুন। আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment


                        • #13
                          আল্লাহ তায়ালা আপনাদের খেদমতকে কবুল করুন,আমিন।
                          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহ তা'য়লা ভাইদের খেদমতকে কবুল করুন...আমিন..।।
                            আর একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ... তা হলো..
                            ইত্যাদি নামক কথিত যে বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান আমাদের দেশে প্রচারিত হয়... তা মূলত খ্রিস্টান মিশনারিদের একটি ধারাবাহিক প্রোপাগান্ডা যা সুস্পষ্ট প্রমাণিত ...!!
                            তাই মুজাহিদ ভাইদের উচিৎ এই সমস্ত খ্রিষ্টান মিশনারিদের উৎসগুলো চিহ্নিত করে তাতে লোন হামলা চালানো..!!
                            কেননা তাদের এই মিশনারি কার্যক্রমের দরুন অনেক দ্বীনদার পরিবার আজ দ্বীন হতে বিচু্ত হচ্ছে..!!!
                            আল্লাহ তায়লা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন.. আমিন..ইয়া রাব্বাল আ’লামিন..।।
                            যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

                            Comment

                            Working...
                            X