Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদীন হিন্দুস্তান (ভারত) বিজয় করবেন, ইনশাআল্লাহ....

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদীন হিন্দুস্তান (ভারত) বিজয় করবেন, ইনশাআল্লাহ....

    **আল্লাহর সৈনিক মুজাহিদীনগণ ভারত বিজয় করবেন ইনশাআল্লাহ**
    হাদীস নং১.
    হযরত সাওবান (নবী করীম সা.এর আজাদকৃত গোলাম)রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা.এরশাদ করেন, আমার উম্মতের দু'টি দল, যাদের আল্লাহ পাক জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। প্রথমটি হচ্ছে, যারা হিন্দুস্তান (ভারত)-এর সাথে যুদ্ধ করবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যারা ঈসা বিন মারইয়াম আ.-এর সাথে থাকবে। (সুনানে নাসাঈ, মোসনাদে আহমদ)
    হাদীস নং২.
    হযরত আবু হুরায়রা রা.বলেন, নবী করীম সা. আমাদের হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি যদি ওই যুদ্ধ পেয়ে যাই, তবে তার জন্য আমি আমার জান-মাল সব কোরবান করে দেব। আমি যদি সেখানে শহীদ হয়ে যাই, তবে আমি সর্বোত্তম শহীদের মধ্যে গণ্য হব।আর যদি বেচেঁ ফিরে আসি, তবে আমি আবু হুরায়রা ১০০% জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে ফিরব। (সুনানে নাসায়ী)
    হাদীস নং৩.
    হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত, একদা নবী করীম সা. হিন্দুস্তানের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তোমাদের মধ্য থেকে একটি বাহিনী হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। শেষ পর্যন্ত তারা হিন্দুস্তানের প্রতাপশালী সম্রাটদের শিকলে বন্দি করে নিয়ে আসবে। আল্লাহ পাক তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর তারা যখন ওখান থেকে ফিরে আসবেন, তখন শামে ঈসা বিন মারইয়াম আ.-কে পেয়ে যাবে।
    অতঃপর আবু হুরায়রা রা.বলেন, আমি যদি ওই যুদ্ধ পেয়ে যাই, তবে আমি আমার নতুন পুরাতন সকল আসবাবপত্র বিক্রি করে যুদ্ধ করার জন্য চলে যাবো। সুতরাং আল্লাহপাক যখন আমাদের বিজয় দান করবেন, আর আমারা ফিরে আসবো।,তখন আমি আবু হুরায়রা জাহাান্নাম থেকে মুক্ত হবো। অতঃপর আমি যখন শামে আসবো, তখন ঈসা বিন মারইয়াম আ.কে পেয়ে যাব।। ওই মুহুর্তে আমি ঈসা আ.এর সন্নিধানে যাওয়ার জন্য অস্হির হয়ে পড়ব। অতঃপর ঈসা আ.এর কাছে গিয়ে বলব, আমি হলাম শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সা.এর সাহচার্যপ্রাপ্ত একজন সাহাবী। রাসূলে করীম সা. আবু হুরায়রার এ কথা শুনে মুচকি হেসে
    দিয়ে বলতে লাগলেন, (হে আবু হুরায়রা!এ ঘটনা) অনেক দূরে অনেক দূরে। (আল ফিতান-নুআইম ইবনে হাম্মাদ, এ হাদীসের সনদ দূর্বল)

    ফায়দা: হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফজিলত উপরোক্ত হাদীস দ্বারা আন্দাজ করা যেতে পারে। সেখানকার মুজাহিদীনদের মর্যাদা ওই সকল মুজাহিদীনের সমান হবে, যারা ঈসা আ.এর সাথে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। রাসূলে করীম সা. কথাটা এ জন্যই বলেছেন, এমনটি যাতে না হয়, বিশ্বের সকল মুজাহিদীন ইমাম মাহদীর সাথে যুদ্ধ করার আশায় আরব বিশ্বে গিয়ে একত্রিত হয়ে যাবে, আর হিন্দুস্তানের সবাই গাফিল হয়ে থাকবে। অথচ হিন্দুস্তানে বিরুদ্ধে যুদ্ধের মিশনও সেই মিশন, যা সফল করার জন্য ইমাম মাহদী যুদ্ধ করবেন। সুতরাং হিন্দুস্তান তথা ভারতের মুজাহিদীনের জন্যও একই রকম মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। সাথে সাথে সুসংবাদও দেয়া
    হয়েছে, যাতে করে হিন্দুস্তান বিজয়কারীদের মনে কোনরুপ অসন্তুস্টি না থাকে, ইমাম মাহদী বা ঈসা আ. এর সাথে থেকে জিহাদ করার য়সৌভাগ্য নসিব হলনা। তাই রাসূলে করীম সা. বলেছেন, ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই, ফিরে এসে তারা ঠিকই ঈসা বিন মারইয়াম আ.কে পেয়ে যাবে।
    এসকল হাদীসে ইসলামের বিরুদ্ধে হিন্দুস্তানের কঠোর মনোভাবের বিষয়টি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পাশাপাশি দাজ্জালের জোটবদ্ধ সেনাদলের সাথে ভারতের সখ্যের ব্যাপারও আন্দাজ করা যায়। এ কারণেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদের জন্য স্বয়ং দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদের সমান জমর্যাদার কথা বলা হয়েছে। চিন্তা-চেতনা, দৃস্টিভঙ্গি এবং ঐতিহাসিক দৃস্টিকোণ থেকে ইহুদীদের সবচে,ঘনিস্ঠ বন্ধু ভারত। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার উপর পরিপূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিস্ঠার জন্য সাম্প্রতিককালে ভারতকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে ইহুদীদের পূর্ণ জোর হচ্ছে ভারতকে শক্তিশালী করার প্রতি। কেননা, এতদ অঞ্চলেই ওই বরকতময় স্হান বিদ্যমান, যেখান থেকে দাজ্জালের বিরুদ্ধে একটি দল বের হয়ে ইমাম মাহদীর দলকে শক্তিশালী করবে। এর পূর্বেই ইহুদীরা ভারতকে মহাপরাশক্তি হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিস্ঠিত করতে চায় এবং ওই সকল শক্তিকে নিঃশেষ করে দিতে চায়, যরা ভারতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
    পাকিস্তানের উপর একের পর এক।নিষেধাজ্ঞা আর ভারতের জন্য একের পর এক মহানুভতার বিষয়টিকে এ দৃস্টিকোণ থেকে দখা উচিৎ। কাশ্মীর যুদ্ধের সমাপ্তি,পাকিস্তানের মুজাহিদীনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, পাকিস্তানের পাহাড়ী অঞ্চল ও আফগানিস্তানের মুজাহিদীনের উপর একের পর এক চাপ বৃদ্ধি, এ বিষয়গুলো দেখেও কি আমাদের অন্তরে উদয় হয় না? আমাদের দুশৃনেরা আমাদের পূর্বেই এ সকল হাদীসের উপর আমল শুরু করে দিয়েছে। আর আমরা সব কিছু ভুলে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি।
    কিন্তু এতসব সত্ত্বেও রাসূলে করীম সা.এর ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর উপর বিশ্বাস স্হাপনকারী ব্যক্তিবর্গে কোনোরুপ পেরেশানীর সম্মুখীন হওয়ার দরকার নেই; বরং তাদের পূর্বের তুলনায় আরো পূর্ণ মনোবল নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে দেয়া দরকার। হিন্দু আর ইহুদীদের রাজনৈতিক পন্ডিতগণ সত্য ধর্ম নিঃশেষ করার জন্য যতোই চাল চলানোর, চালতে থাকুক, কিন্তু মুহাম্মাদ আরাবী সা. এর সত্য খোদা তা ধূলিসাতের ব্যবস্হাপনাও তৈরী করেছেন। হিন্দু আর ইহুদীদের এ ষড়যন্ত্র এবং তাদের সকল প্রকার প্রচেস্টা তাদের নিজেদের উপরই পতিত হবে। যার মাধ্যমে মুজাহিদীন নতুন রাস্তা বের করতে সক্ষম হবে। মাঝখান দিয়ে শুধু আল্লাহ পাক তাঁর সত্যায়নকারী বান্দাদের একটু পরখ করে নিতে চাইবেন।অপরদিকে হিন্দুস্তানের জিহাদে মাল সম্পদ ব্যয় করার বিষয় এতই গুরুত্বের সাথে বলা হচ্ছে, স্বয়ং আবু হুরায়রা রা. বলছেন,'ঐ জিহাদে শরীক হওয়ার জন্য আমি আমার সকল নতুন পুরাতন আসবাব বিক্রি করে দেব।

    হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে হযরত কা'ব রা. বলেন, বাইতুল মাকদিসে একজন বাদশাহ হিন্দুস্তানের দিকে একটি বাহিনী পাঠাবেন। ওই বাহিনী হিন্দুস্তান বিজয় করবে, ওখানকার সকল ভান্ডার উদ্ধার করে দিয়ে বাইতুল মাকদিস সাজিয়ে তুলবে। তারা হিন্দুস্তানের বাদশাদের বন্দি করে নিয়ে আসবে। ঐ বাহিনী দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ পর্যন্ত হিন্দুস্তান অবস্হান করবে।
    ফায়দা:
    ১.জিহাদের বিরুদ্ধাচরণকারীগন মন্তব্য করে থাকে, দিল্লির লাল কেল্লায় ইসলামের ঝান্ডা উড়ানোর কথাগুলো পাগলের প্রলাপ আর পেঁচার দিবার বৈ কিছুই নয়। অথচ উপরোক্ত হাদীস এবং পূর্বোল্লিখিত হাদীসগুলোতে আপনি স্পস্ট পড়ে এসেছেন, এটা কোনো পাগলের স্বপ্ন নয় ;বরং এটা হচ্ছে ওই সত্য প্রতিশ্রুতি, যা সত্য নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সা. শেষ যামানার মুজাহিদীনকে দিয়ে গেছেন। আর যে প্রতিশ্রুতি আমাদের নবী দিয়ে গেছেন, তা অবশ্যই মিথ্যা হবে না। ভারত যতোই শক্তিশালী হয়ে উঠুক না কেন, যতো বিশাল পরিমাণ সেনাবাহিনীই মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুসংগঠিত করুক না কেন, মহান আল্লাহ পাক ওইদিন অবশ্যই এনে ছাড়বেন, যেদিন দিল্লীর লাল কেল্লায় ইসলামের কালেমা খচিত ঝান্ডা পতপত করে উড়তে থাকবে। হাদীসে বলা হয়েছে,বাইতুল মাকদিস থেকে একজন বাদশা (শাসক) হিন্দুস্তানের দিকে সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করবে। আমরা যদি ইতিহাস অধ্যয়ন করি, তবে দেখতে পাই, বাইতুল মাকদিস থেকে কোন বাহিনী এ পর্যন্ত হিন্দুস্তান বিজয় করার জন্য আসেনি। সতরাং রাসূলের এ ভবিষ্যদ্বাণী এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। বাইতুল মাকদিস থেকে আসা বাহিনীতে সব মুজাহিদীন শামিল থাকতে পারে। বর্তমান কাশ্মীর যুদ্ধে সুমহান ত্যাগের যে দীর্ঘ ধারাবাহিকতা আমরা লক্ষ করছি, ইনশাআল্লাহ তা শেষ হয়ে যাবে না ; বরং আল্লাহ চান তো এ ধারাবাহিকতাই প্রতিশ্রুতি মহাবিজয় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।

    ২.আজকাল ভারতের অর্থনৈতিক অবস্হান ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। বিশ্বের ধণভান্ডারগুলো ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। উক্ত হাদীসে মুসলমানদের জন্য সুসংবাদ বর্ণিত হয়েছে।পেরেশান হওয়ার কোন কারণ নেই। এ ধনভান্ডার যুদ্ধলব্ধ মাল হয়ে মুজাহিদীনেরই পদচুম্বন করবে ইনশাআল্লাহ।

    ৩.এ সেনাদল আত্মপ্রকাশ পর্যন্ত হিন্দুস্তানে অবস্হান করবে।কেননা, দাজ্জাল আত্মপ্রকাশের পর কুফর ও ইসলামের মধ্যকার যুদ্ধ পুনরায় শুরু হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হবে।
    ইনশাআল্লাহ

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,
    খুব সুন্দর আলোচনা
    মুমিনের একটাই স্লোগান,''হয়তো শরীয়াহ''নয়তো শাহাদাহ''

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      চমৎকার আলোচনা করেছেন।
      আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment

      Working...
      X