Announcement

Collapse
No announcement yet.

নাওয়ায়ে আফগান থেকে ।। তরবারী উঠানো ব্যতীত মুমিন হতে পারবে না - মুফতী রশীদ আহমাদ লুধুয়ান

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নাওয়ায়ে আফগান থেকে ।। তরবারী উঠানো ব্যতীত মুমিন হতে পারবে না - মুফতী রশীদ আহমাদ লুধুয়ান

    তরবারী উঠানো ব্যতীত পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না।

    - মুফতী রশীদ আহমাদ লুধুয়ানবী রহঃ



    গনতান্ত্রিক আক্বীদা পোষণকারী কিছু মুসলিম মনে করে যে, এযুগে সশস্র জিহাদ অসম্ভব এবং গনতন্ত্রই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পন্থা। তারা নিজেদের এই দৃষ্টি ভঙ্গির ভিত্তিতে নিজেদের শ্রম ব্যয় করছে। কিন্তু আমাদের আসলাফ এবং পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরাম এব্যাপারে সুস্পষ্ট ভাবে সব কিছু বলে দিয়েছেন। আর এধরণের আকাবীর আলেমদের একজন হলেন ফকীহুল আসর হযরত মাওলানা মুফতি রশীদ আহমাদ লুধুয়ানবী রহিমাহুল্লাহ। এখানে উনার “খুতুবাতে রশীদ” পঞ্চম খন্ড থেকে সংগৃহিত চমকপ্রদ কিছু কথা উল্লেখ করা হলো । যাতে পাঠকের নিকট সরকারী এবং দরবারী আলেমদের সত্যকে গোপন করার বিষয়টি বুঝে আসে এবং তাদের চিন্তা এবং কর্মের গোমরাহী বুঝতে পারেন। আর একথাটিও বুঝে নেন যে তাদের কথাঃ {{ সশস্র যুদ্ধ শরীয়ত গর্হিত এবং যুদ্ধ ও বন্দুকের মাধ্যমে দেশ বিজয়ের সময় চলে গেছে, এখন গনতন্ত্রের যুগ, রক্ত প্রবাহিত করা ছাড়াই ভবিষ্যত কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করতে হবে। জিহাদ যুক্ত ইসলাম নয়, বরং গনতান্ত্রিক ইসলাম চাই}} এরকম যত ভ্রান্ত কথা আছে তার বাস্তবতা বুঝে আসে এবং তা থেকে বেঁচে থাকতে পারেন।


    দ্বীনি বিষয়ে “ইছার” ( নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া) জায়েয নেইঃ


    একটি নীতি বুঝে রাখা উচিত যে, দুনিয়াবী বিষয়ে “ ইছার” একটি ভালো বিষয়। ইছার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্যের ফায়দার জন্য নিজের ক্ষতি গ্রহণ করে নেওয়া। এটা কোন খারাপ বিষয় নয়। বরং ভালো বিষয়। অন্যকে কিছু করার জন্য নিজের ক্ষতিগ্রহণ করাটা তো ক্ষতিকর কিছু নয়ই বরং আখেরাতের জন্য কল্যাণকর। কিন্তু দ্বীনি বিষয়ে বিষয়টি তার সম্পূর্র্র্ণ বিপরীত। অন্যের দ্বীন ঠিক করতে গিয়ে নিজের দ্বীনের ক্ষতি করা জায়েয নয়। আখেরাতের বিষয়, আল্লাহ তায়ালাকে রাজী করার বিষয়ে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের আযাব থেকে বাঁচার ব্যাপারে নিজের সত্ত্বাই সবচেয়ে বেশী অগ্রগামী। অন্যরা পরে আসবে। প্রথমে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ [٦٦:٦]

    মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكَ ۗ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ [٢٠:١٣٢]

    আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ [٢٦:٢١٤]
    আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।

    আল্লাহ তায়ালার আযাব থেকে নিজের নফসের হেফাজত, নিজের পরিবারের হেফাজত এবং নিজের নিকটাত্বীয়দের হেফাজতের গুরুত্ব অন্যদের হেফাজতের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যাকে আল্লাহ তায়ালা এই সহীহ আক্বীদা দান করেছেন, যার অন্তরে এই বাস্তবতা ঢেলে দিয়েছেন তার কিভাবে প্রশান্বি হাসিল হতে পারে? তাকে তো অস্থিরতা তাড়া করতে থাকবে। এই ব্যথা তাকে স্থির হতে দিবে না। আল্লাহ তায়ালা যেন এই ব্যথা সকলের মাঝে সৃষ্টি করে দেন।


    অসৎ কাজে বাধা দেওয়া নিজের জন্যই উপকারঃ

    লোকদেরকে খারাপ কাজ থেকে বাধা দেওয়ার মাঝে নিজের জন্য উপকার রয়েছে। যার কয়েকটি কারণ রয়েছেঃ

    একঃ গুনাহ থেকে বাধা দেওয়া ফরজ

    প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এই বিষয়টি ফরজ যে, সে অন্যকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করবে। যদি সে একাজ না করে তাহলে নিজেও গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবে না। চাই পুরো রাত নফল নামাজে কাটিয়ে দিক। সে বাঁচতে পারবে না।


    দুইঃ দ্বীনের উপর অটল থাকা সহজ হবেঃ

    যখন আপনি অন্যকে গুনাহ থেকে বাধা দিবেন তখন আপনি নিজে দ্বীনের উপর অটল থাকতে পারবেন এবং আপনার জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হবে। বিশেষ করে যদি আপনি নিজের পরিবারকে নিজের মতো তৈরী করতে পারেন এবং দ্বীনের দিকে আনতে পারেন তাহলে আপনার জন্য দ্বীনের উপর অটল থাকা অনেক সহজ হবে। স্ত্রী আপনার মুয়াফেক হবে এবং আপনিও স্ত্রীর অনুগত হবে। পিতা-মাত দ্বীনের অনুসারী হবে। সন্তান পিতা মাতার অনুগামী হবে। ভাই -বোন পরস্পর একে অপরের অনুগত হয়ে যাবে। গোত্রের সবাই মুসলমান দ্বীনদার হয়ে গেলে চিন্তা করুন, দ্বীন পালন করা সহজ হবে কি হবে না? অবশ্যই অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    কিন্তু যদি পুরো ঘরে একজন দ্বীনদার থাকে। আর সে নফল নামাজও পড়ে, তাসবীহ-তাহলীলও পাঠ করে । কিন্তু যখন সে গুনাহ ছাড়তে যাবে বা ছাড়ার বিষয় আসবে তখন পুরো গোত্র তার বিরুদ্ধে চলে যাবে। তাই লোকদেরকে গুনাহ থেকে বাঁচার আহ্বানে নিজেরই ফায়দা। কারণ এতে আহ্বানকারীর দ্বীনের উপর অটল থাকা সহজ হয়ে যাবে।

    তিনঃ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সহজ হয়ে যাবেঃ

    যখনই মুসলিমরা গুনাহ ছেড়ে দেবে তখন পুরো দুনিয়ায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাটা সহজ হয়ে যাবে। আর এর কারণ দু’টি। একটি বাহ্যিক, অন্যটি আভ্যন্তরিণ।

    বাহ্যিক কারণঃ

    বাহ্যিক কারণটি আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, আপনার পরিবার দ্বীনদার হয়ে গেলে আপনার জন্য দ্বীনের উপর অটল থাকা সহজ হয়ে যাবে। দুনিয়াতে মুসলিমীন, সালেহীন এবং আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতা থেকে পরহেযকারী লোকদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আর তখন তাদের শক্তি বেশী হবে। ইসলামী হুকুমত কায়েম করা সহজ হয়ে যাবে।

    আভ্যন্তরিণ কারণঃ

    আভ্যন্তরিণ কারণ হলো যে, আল্লাহ তায়ালার রহমত তাদের দিকে ধাবিত হবে। নাফরমানী থেকে বাঁচা যাবে, আল্লাহ তায়ালার সাথে বিদ্রোহ হবে না, অন্যদের থেকেও আল্লাহর নাফরমানী ছাড়ার চেষ্টা করা হবে। এমন বান্দাদের দিকে আল্লাহ তায়ালার রহমাত ধাবিত হবে। আর তার ফলে এই হবে যে, দুনিয়াতে আল্লাহা তায়ালার বিধান প্রতিষ্ঠা হবে। এমন সাহায্য আসবে যা আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
    وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَىٰ لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا ۚ يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا ۚ وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ [٢٤:٥٥]

    তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।

    আমি তো কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করি। কিন্তু যখন এমন কোন তাফসীর করি যা বর্তমান যমানার মুসলিমদের দিল ও দেমাগ থেকে মিটে গেছে, তা তারা কখনই শুনেনি তখন আমার এই সন্দেহ হয় যে এরা বলবেঃ উনি এই কুরআন কোন জায়গা থেকে আনলেন? আরে! এটাই কুরআন। যা আপনারা নিজেদের ঘরে পড়ে থাকেন! এটা ঐ কুরআন, আমি আলাদা কোন কুরআন নিয়ে আসিনি! যদি বলা হয় তোমরা দুইটি কাজ করো! নিজেদের আক্বীদা ঠিক করো এবং গুনাহ ছেড়ে দাও। তাহলে ইহা শুনেও মানুষ আশ্চর্য হয় যে, কুরআনে তো বলা আছে যে, তোমরা নেককাজ করো! আর আপনি বলছেন নাফরমানি ছেড়ে দিতে!!

    শয়তান তাদেরকে আমালে সালিহাহ বা নেক আমলের অর্থ বুুঝিয়েছে যে, তাসবীহ গণনা করতে থাকো এবং নফল নামায পড়তে থাকো। খুব ভালো করে বুঝুন! আ’মালে সালেহার ভিত্তিই হলো যে, গুনাহ ছেড়ে দিবেন। আক্বীদাহ ঠিক করে নিবেন এবং আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী ছেড়ে দিবেন। যদি মুসলিমরা এই দুইটি কাজ করতে পারে তাহলে এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা আছে। আল্লাহ তায়ালার ওয়াদা হলো যে, পুরো দুনিয়ায় তোমাদের জন্য শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে রাজত্ব দান করবেন। অনেক মজবুত রাজত্ব দিবেন! পুরো দুনিয়ায় তোমাদের তামকীন বা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে। সকল শক্তি তোমাদের হবে।

    অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٣:١٣٩]
    আর তোমরা নরিাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমনি হও তবে তোমরাই জয়ী হবে।

    তোমরা মুমিন হয়ে যাও! তাহলে তোমরাই বিজয়ী হবে। দুনিয়ার কোন শক্তি তোমাদের সাথে টক্কর দিতে পারবে না। তোমাদের মোকাবেলা করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

    এখানে আরও দু’টি কথা বুঝে নেওয়া উচিতঃ

    একঃ উল্লেখিত ওয়াদা পূর্ণ দ্বীনদারদের উপর।

    প্রথম বিষয় হলো, নেককার হলে তার ফল স্বরুপ দুনিয়ায় ইসলামী শাসন কায়েম হবে। আর এর অর্থ এটা বুঝা উচিত নয় যে, অল্প অল্প নেককাম করলেই ইসলামী হুকুমাত কায়েম হয়ে যাবে। শুধু নামায পড়া বা পড়ানো অথবা আকার-আকৃতিতে মুসলমান হয়ে গেল এবং চিন্তা করতে লাগল যে, এখন আমরা মুসলমান হয়ে গেছি! এখন আমাদের রাজত্ব মিলে যাবে।
    এটা অনেক বড় ভুল চিন্তা। দেখুন! আমি যা বলছি কুরআন থেকে বলছি। আল্লাহ যাতে বর্তমান মুসলিমদেরকে কুরআনের প্রতি ঈমান আনার তাওফীক দেন।

    আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ [٢:٢٠٨]
    হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামরে অর্ন্তভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানরে পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিতিরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

    فَإِن زَلَلْتُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءَتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ [٢:٢٠٩]
    অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।

    আল্লাহ তায়ালা এই বিষয়টি জানতেন যে, সাহাবায়ে কেরাম চলে যাওয়ার পর এমন একটি সময় আসবে যে, কিছু লোক অল্প অল্প কিছু বিধান মেনে চিন্তা করবে যে আমরা মুসলিম হয়ে গেছি। আমরা পাক্কা মুসলমান হয়ে গেছি। আল্লাহ তায়ালার তো সব কিছুর ইলম জানতেন। এই বিষয়টিও জানতেন যে, নামাজ পড়বে এবং আকার-আকৃতিতে মুসলিম হবে, হারাম ছাড়াকে জরুরী মনে করবে না, টিভির মতো অভিশপ্ত জিনিস ছাড়াকে জরুরী মনে করবে না এবং সে মনে করবে বড় বড় গুনাহ সমূহ থেকে বাঁচা জরুরী নয়। সুতরাং অল্প অল্প আমাল করে ( মুসলিম) হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা সবকিছু জানেন। এজন্যই সর্তক করে দিয়েছেনঃ
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً
    হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও

    হে ঈমানের দাবীদারেরা! আল্লাহ তায়ালা শুরুই করেছেনে কিভাবে! আল্লাহ তায়ালা সর্তক করতে গিয়ে শুরুই করেছেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا হে ঈমানদারগন! আসল কথা হলো তোমরা হয়ত ঈমানের দাবী ছেড়ে দাও, মুসলমান বলা ছেড়ে দাও। কে তোমাদেরকে মুসলিম হতে বাধ্য করেছে? আর যদি ঈমানের দাবীই করো তাহলে আমি তাদেরকে সম্বোধন করছি যারা ঈমানের দাবী করছো। যখন ঈমানের দাবী করেছো তখন তার অর্থ হলো যে, হে আল্লাহ! তোমার সাথে আমাদের এমন মহব্বত হয়েছে যে, আমরা তোমর প্রত্যেকটি কথা মানব। আমরা তোমার প্রেমিক হয়ে গেছি।

    আরে আশেকান! ঈমানের দাবীদাররা! প্রেমের শ্বাস গ্রহণকারীরা! আমাকে যদি সন্তুষ্ট করতে চাও তাহলে আধা তিতর (এক জাতীয় পাখি) আর আধা বটের ( তিতর জাতীয় এক ধরণের পাখি ) হয়ো না, অর্ধেক মুসলিম আর অর্ধেক হিন্দু হয়ো না। আমি এমন ধোকার শিকার আল্লাহ নই! ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً অর্থাৎ পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। ছোট থেকে বড় সব ধরণের বিষয়ে, প্রত্যেক কদমে কদমে যে কোন বিষয়ে পুরো পুরি ভাবে একনিষ্ঠ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করো! যদি এমন না করো! ইসলামের লাখো বিধান থেকে সবগুলোর উপর আমল শুরু করেছো। কিন্তু একটি বিধানের উপর আমল করো না তাহলে তুমি রহমানের অনুসরণ করছো না। শয়তানের অনুসরণ করছো। আর তাই আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ তোমরা শয়তানের অনুসরণ করো না। রহমানের অনুসরণ তখনই হবে যখন রহমানের সকল বিধানের উপর আমল করবে।

    আল্লাহ তায়ালা এই সতর্ক বার্তার পর সামনে আরও বলছেন যে, আমি তো তোমাদেরকে এই বিষয়টা বলে দিয়েছি যে, তোমরা রহমানের অনুসরণ কিভাবে করবে? কিন্তু তা সত্ত্বেও যখন তোমরা সকল বিধানের উপর আমল করবে না। এমন একটা বা অর্ধেক হুকুম পাওয়া যাবে যা তোমরা মানো না। কখনো কখনো টিভি দেখ বা অন্য কোন নাফরমানীর আসবাব সামনে এসে গেল আর তা নিয়ে কথা বার্তা শুরু করে দিলে। শালীকেও আধা বিবি মনে করে নিলে। তাকে নিয়ে নির্দ্বিধায় কথা বার্তা ইত্যাদি করে নিলে। ভাবীর জন্য দেবর গলার অলংকার হয়ে গেল এবং এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটিয়ে নিচ্ছ। আবার সাথে সাথে নামাযও পড়ছো। এই ব্যাপারেই আল্লাহ তায়ালার এই সতর্ক বার্তাঃ فَإِن زَلَلْتُم مِّن بَعْدِ مَا جَاءَتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ -শুনে রাখ! আমার বিধান অস্পষ্ট নয়। পরিস্কার বিধান, একদম পরিস্কার। এমন নয় যে, কেউ তা বুঝতে পারবে না।

    এত সুস্পষ্ট বিধান আসার পরেও যদি কেউ কোন বিধানের উপর আমল না করে তাহলে সে যেন জেনে নেয়ঃ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। فَاعْلَمُوا এর অর্থ,“ জেনে রাখো! করাটা ঠিক নয়। যদিও আমভাবে “জানা” এর অর্থে ইলম টা ব্যবহার হয়। আরবীতে ইলম এর অর্থ হচ্ছে,“ ইয়াক্বিন বা বিশ্বাস করা” । কোন জিনিসকে বিশ্বাসের সাথে জানার নাম ইলম। ইয়াক্বীন না থাকলে তাকে যন (ধারণা) বা শক (সন্দেহ) বলে। فَاعْلَمُوا ইয়াক্বিন করো ! যদি আল্লাহ তায়ালার সুস্পষ্ট বিধানাবলী আসার পরেও নিজের কর্মের সংশোধন না করো, চেষ্টা না করো তাহলে বিশ্বাস করো, খুব ভালো ভাবে বিশ্বাস করে নাও যে, আল্লাহ তায়ালা মহা পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ।

    কেউ যাতে এটা মনে না করে যে, এতদিন যাবত গুনাহ করে আসছি, টিভি দেখছি, পবিরাবের ভিতর শরীয়ত অনুযায়ী পর্দাও নেই তাহলে আল্লাহর গ্রেফতার থেকে বাঁচা যাবে। আল্লাহ তায়ালা ভীতিপ্রদর্শন করছেন। আল্লাহ তায়ালা সর্তক করছেন। আল্লাহ তায়ালা “আযীয” তোমাদেরকে আযাব দিতে সক্ষম। এটা চিন্তা করো যে, আল্লাহ তায়ালা সক্ষম কি সক্ষম নয়? আল্লাহ তায়ালা থেকে কি গোপন থাকা যায়? আল্লাহ তায়ালা থেকে তো কোন জিনিসই গোপন থাকে না। তোমার শক্তি কি আল্লাহ তায়ালার শক্তির উপর প্রবল? আল্লাহ তায়ালা কি তোমাকে ভয় করছেন? এটাও নয়! আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতার বাহিরে কেউ যেতে পারবে কি? না, বাহিরেও যেতে পারবে না।

    বর্তমান যুগের মুসলিমদের মাঝে একটি আক্বীদা আছে যে, বদ আমলকারী কারও থেকে কোন অজীফা শিখে নিবে। বর্তমানে এধরণের কাজ অনেক লোকই করছে। কারও কাছে গিয়ে বলছে যে, বিয়ে হচ্ছে না, কেউ হতভাগা বানিয়ে রেখেছে অথবা ভাগ্য খুলছে না, যেখানেই হাত দেয় সেখানেই ব্যর্থতা, কেউ তদবীর করছে। সুতরাং যাদের কাছে চায় তারা তাদেরকে কিছু দিয়ে দেয়। কোন তাবীয বা বিবাহ না হলে সূরায়ে মুয্যাম্মিল, মারয়াম এত এত বার পড়ে নিতে বলে। যদি রিযিক কমে যায় তাহলে সূরা ওয়াক্বেয়াহ পড়তে বলে। তাদের ধারণা হলো যে, আল্লাহ তায়ালা যে দরজা বন্দ করে দিয়েছেন তা এই বদকার খুলতে পারবে। তাদের আক্বীদা হলো তদবীর কারী আল্লাহ তায়ালার আযাব থেকে বাঁচাতে পারবে।
    আল্লাহ তায়ালা বলেন”
    فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
    তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।

    একটা কথাতো আলোচনা হয়ে গেছে যে, ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য আধা তিতর আর আধা বটির পাখির ন্যয় হলে হবে না। বরং পরিপূর্ণ মুসলিম হতে হবে।


    দুইঃ তরবারী উঠানো ব্যতীত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না।

    দ্বিতীয় বিষয়টি হলো যে, পূর্বে উল্লিখিত আয়াত দ্বারা যাতে কেউ এই ভুল চিন্তা না করে যে, আমরা শুধু খারাপ কাজ ছেড়ে দিলেই পূর্ণ মুমিন হয়ে যাবো এবং তরবারী উঠানো ব্যতীতই ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। এটা অবাস্তব এবং অসম্ভব বিষয়। মাথা থেকে এটাকে বের করে দাও! কারণ, সবচেয়ে খারাপ এবং সবচেয়ে বড় গুনাহ, আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় নাফরমানী হচ্ছে জিহাদ ছেড়ে দেওয়া। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি মারা গেল আর সে যুদ্ধ করল না বা যুদ্ধের ইচ্ছাও করলো না সে নিফাকের একটা শাখার উপর মৃত্যুবরণ করলো। ( মুসলিম)

    চিন্তা করুন! মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য ধারণকারী সঠিক মুসলিম হতে পারবে? যদি এমনই হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা যুদ্ধের ব্যাপারে এত শক্তিশালী আয়াত নাযিল কেন করেছেন?

    وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
    আর তাদরে সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শষে হয়ে যায়;

    যুদ্ধ করো, যুদ্ধ! আল্লাহ তায়ালার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো! আর এটা কতক্ষণ পর্যন্ত? ঐ সময় পর্যন্ত যুদ্ধ করো যে আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী বাকী না থাকে এবং পরিপূর্ণ দ্বীন একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য হয়ে যায়। যদি জিহাদ করা ছাড়াই সঠিক মুসলিম হওয়া সম্ভব হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা সাহাবায়ে কেরাম এবং তার পূর্ববর্তী অন্যান্য উম্মতের বড় বড় মুজাহিদীনদেরকে এমনিতেই মৃত্যু দিতেন? কেন খামাখা মারো, মারো, মারো?

    তারা বলে আমরা এখন সঠিক মুসলিম হয়ে গেছি। হে আল্লাহ! এখন কিতাল ছাড়াই ইসলামী হুকুমত কায়েম করে দাও। কুরআনে জিহাদের তাকীদ এবং তাতে উদাসীনতার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তির ধমকি সমূহের কিছু বিস্তারিত আলোচনা সামনে করবো।


    খারাপ কাজ ছাড়া ব্যতীত হুকুমতে ইলাহিয়াহ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়ঃ

    মুসলমান যতক্ষণ নিজে আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি না ছাড়বে এবং অন্যকে ছাড়ানোর চেষ্টা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করতে পারবে না। দুনিয়া শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা হতে পারেনা। তাই, আমি এই চিন্তা বেশী বেশী আসে যে, মানুষ গুনাহ ছেড়ে দিবে, নাফরমানিসমূহ ছেড়ে দিবে যাতে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি হাসিল হয়। আল্লাহ তায়ালার রহমত নাযিল হয়। আল্লাহ তায়ালার যমীনে আল্লাহ তায়ালার হুকুমত কায়েম হয়। এই কথাটি ভালো করে বুঝা উচিত যে, একথার উদ্দেশ্য এই নয় যে, নিজে নিজে গুনাহ ছেড়ে দিবে এবং নেক আমল করতে থাকবে, মৌখিক তাবলীগ করতে থাকবে তাহলে এমনিতেই আল্লাহ তায়ালার হুকুমত কায়েম হয়ে যাবে। এটা হবে না

    হুকুমতে ইলাহিয়্যাহর জন্য সশস্ত্র জিহাদ করা জরুরীঃ

    আল্লাহ তায়ালার যমীনে আল্লাহ তায়ালার রাজত¦ কায়েমের জন্য সর্বপ্রথম বিষয় হলো তাক্বওয়ার সাথে সাথে সশস্ত্র জিহাদ করা। যতক্ষণ না সশস্ত্র জিহাদ না করবে, আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় যতক্ষণ না ক্বিতাল করবে, যতক্ষণ না আল্লাহ তায়ালার শত্রুদের গর্দান উড়ানোর জযবা সৃষ্টি না হবে। শুধু জযবাই নয় বরং গর্দান না উড়াবে ঐ পর্যন্ত হুকুমতে ইলাহিয়্যাহ কায়েম হতে পারে না! এটা আল্লাহ তায়ালার বিধান। শুরু থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত।


    জিহাদ তরক কারী নেককার হতে পারে নাঃ

    এটা চিন্তা করা যে, জিহাদের প্রতি মনোনিবেশ করা ব্যতীত কেউ নেককার হতে পারে, এটা নফস এবং শয়তানের ধোকা ও প্রতারণা মাত্র। জিহাদ ব্যতীত কোন ব্যক্তিই সালেহ এবং নেককার হতে পারে না। এটা অসম্ভব! আর এটা একারণে যে, এটা এত বড় ফরজ যে পূর্ববর্তী নবীগন (আঃ) এর উপরও ফরজ ছিল। তারা এই ফরজ আদায়ও করেছেন। কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী নবীগণ আঃ এর যুদ্ধের কথা কয়েক জায়গায় আলোচনা করেছেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামকে বার বার এজন্য তাকিদ দিয়েছেন।

    قاتل، قَاتِلُوا، اقتلوا، يُقاتلون، يقتلون، يقتلون
    এরকম শব্দে কুরআনে শরীফ ভরপুর। ক্বিতাল, ক্বিতাল, কিতাল শব্দে কুরআনে কারীম পরিপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালার পথে যুদ্ধ করো! ক্বিতাল এত বড় ফরজ বিধান যে তা ছেড়ে দিয়েছে সে কিভাবে নিজেকে নেককার মুসলিম ভাবতে পারে?? না, সে মুসলিমই হতে পারবে না!!! কুরআন মাজীদের বহু জায়গায় জিহাদ তরকের উপর অনেক কঠিন শাস্তির হুমকি উল্লেখ আছে। এগুলো অনেক কঠিন হুমকি!

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَإِن تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَكُم
    যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও,তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন,এরপর তারা তোমাদের মত হবে না।

    যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালার দুশমনদের গর্দান না উড়িয়ে কাপুরুষ হয়ে বসে থাকো তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা অন্য কিছু বান্দা সৃষ্টি করবেন । তারা জিহাদ করবে। আল্লাহ তায়ালার হুকুমত প্রতিষ্ঠা করবে এবং আল্লাহ তায়ালার দুশমনদের গর্দান উড়িয়ে উড়িয়ে জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দিবেন। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর ব্যাপারেতো সব মুসলিমই জানে। তার আগমনের পূর্বেতো এতটুকু চেষ্টা করে নিবে যে, যখন ঈসা আলাইহিস সালাম যখন আসবেন তখন তোমার অবস্থা দেখে তিনি খুশী হবেন। হে মুজাহিদীন! হে মুজাহিদীন! হে মুজাহিদীন! তিনি যাতে খুশী হয়ে যান যে, এরা উম্মাতে মুহাম্মাদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম! যদি ক্লাশিনকোভের নাম শুনেই ধুতি ধোয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে এমন যাতে না হয় যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম সর্ব প্রথম তাদের গর্দান উড়ানোর হুকুম দিয়ে দিবেন যারা আল্লাহ তায়ালার যমীনে আল্লাহ তায়ালার হুকুমত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেনি।

    শুনে রাখুন! আমার আল্লাহ কী বলছেনঃ
    قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [٩:٢٤]
    বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।

    কত বড় ধমক। বর্তমান যুগে মুসলিমরা তো প্রথমত কুরআনই পড়ে না। আর যদি পড়েও তাহলে তা বুঝার চেষ্টা করে না যে, এই কুরআনে কী আছে এবং যদিও বুঝে তাহলে যেখানে ক্বিতালের আলোচনা আছে সেখানে পড়ে না। একারণে যে, যদি ক্বিতালের আয়াত পড়ে তাহলে হতে পারে ক্বিতালের পাগলামী দেমাগে ঝেঁকে বসতে পারে। আবার জান চলে গেলে এবং মরে গেলে কী অবস্থ হবে?


    চলবে ......

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই। অনেক অনেক উপকৃত হয়েছি আলহা,,,,,,।মাঝেমাঝে এমন লেখা দিয়ে আমাদের উপকৃত করবেন ইন,,,,,,,

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ । কত সুন্দর আলোচনা। এরাই আমাদের প্রকৃত সালাফ। আমাদের প্রকৃত পূর্বসুরী। তবে দুঃখের বিষয় হল আমাদের ওলামায়ে কেরামগণ সবকিছুর ক্ষেত্রেই সুবিধাবাদী যিন্দাবাদ। যেগুলো তাদের প্রবৃত্তির অনুগামী হবে সেগুলোই কেবল তারা গ্রহণ করবে। বাকীগুলো ছেড়ে দিবে। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার, সবার জন্যেই পড়া আবশ্যক। পড়ে বাস্তবেই অবাক হলাম।
        মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
        রোম- ৪৭

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ!! হে মালিক!! আপনি তাহরীদ মিডিয়া ভাইদেরকে নবীজির সাথে জান্নাত দিন।আমিন।
          আমার ভাই-বোনের প্রতিটা রক্তের ফোঁটার বিনিময় নেয়া হবে কাফেরদের পক্ষ থেকে ইনশাল্লাহ

          Comment


          • #6
            আল্লাহু আকবার, সবার জন্যেই পড়া আবশ্যক।

            Comment


            • #7
              আলহামদু লিল্লাহ, সহজ সরল ভাষায় খুবই জরুরি ও উপকারি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
              আল্লাহ তা'আলা আমাদের বোঝার ও আমাল করার তাওফীক দান করুন, মুহতারাম শাইখকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম নসিব করুন, আমিন।
              আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

              Comment


              • #8
                গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো না পড়ে কীভাবে থাকা যায়!??? কোন ভাই যদি পিডিএফ করে দিতেন তাহলে দাওয়াতি কাজে ব্যবহার করা যেতো।
                বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
                  অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা কবুল করুন
                  فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                  Comment


                  • #10
                    মাশা আল্লাহ, খুবই হৃদয়গ্রাহী আলোচনা।
                    আমাদের সবার পড়া উচিত মনে হচ্ছে।
                    তাই কেউ পড়া থেকে মাহরুম না হই।
                    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                    Comment


                    • #11
                      আলহামদুলিল্লাহ, চেতনা জাগ্রতকারী লেখা। জাযাকুমুল্লাহ
                      তাহরীদ মিডিয়ার নতুন কোন রিলিজ পাচ্ছি না...!
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        কত বড় ধমক। বর্তমান যুগে মুসলিমরা তো প্রথমত কুরআনই পড়ে না। আর যদি পড়েও তাহলে তা বুঝার চেষ্টা করে না যে, এই কুরআনে কী আছে এবং যদিও বুঝে তাহলে যেখানে ক্বিতালের আলোচনা আছে সেখানে পড়ে না। এ কারণে যে, যদি ক্বিতালের আয়াত পড়ে তাহলে হতে পারে ক্বিতালের পাগলামী দেমাগে ঝেঁকে বসতে পারে। আবার জান চলে গেলে এবং মরে গেলে কী অবস্থ হবে?
                        فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                        Comment

                        Working...
                        X