Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    আফগানিস্তানে আমেরিকার বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে



    ২০০১ সালে নৃশংস এক বিমান হামলার মধ্য দিয়ে আমেরিকা আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। যুদ্ধটি তাদের জন্য কেবল ব্যয়বহুলই ছিল না, বরং যুদ্ধের ১৮ বছর পর আজ আফগানের আকাশ-বাতাসও আমেরিকানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

    যদি আমেরিকা আফগান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে তাহলে তাদের দুর্দশা এবং হতাশাও অব্যাহত থাকবে। আর, কেবল সামরিকভাবেই নয়, রাজনৈতিকভাবেও যুদ্ধটি অসমাপ্ত হয়ে থাকবে।

    আজ আমেরিকা বিপর্যয়ের মুখোমুখি। আমেরিকার একগুঁয়ে স্বভাবই তাদেরকে এই সর্বনাশা পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে। একের পর এক আমেরিকান জেনারেল আফগানে এসেছে এবং ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে, হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের চেয়ারও বহুবার পরিবর্তন হয়েছে, পুরো বিশ্ব আগের দুটি আমেরিকান প্রশাসনের ব্যর্থতা দেখেছে — এরপরও যদি ট্রাম্প প্রশাসন সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দখলদার বাহিনীর জন্য আরও খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।
    বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণের বিজয় এটিই প্রমাণ করে যে, সময়ের পরিবর্তনে দখলদারদের আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং ভবিষ্যতে তারা আর কখনো তাদের বৈমানিক শক্তি (বৈমানিক শক্তিই ঐ কাপুরুষদের মূল শক্তি বলে বিবেচিত হয়) প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে না, যেমনটি তারা গত দুই দশক ধরে প্রদর্শন করে আসছিল।
    আমেরিকার নিকৃষ্ট বিমান হামলাগুলো মূলত সাধারণ লোকদের মারাত্মকভাবে টার্গেট করছে, আর যুদ্ধক্ষেত্রে মুজাহিদদের খুব সামান্যই ক্ষয়ক্ষতি করতে পারছে। এর প্রমাণ হল আমেরিকানরা তাদের বিমান ও স্থল অভিযানের মাধ্যমে হাজার-হাজার বোমা ফেলে যুদ্ধাপরাধ করেও দীর্ঘ ১৮ বছরে কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমেরিকানদের জেনে রাখা উচিত যে, ইসলামী ইমারতের লক্ষ্য হলো আফগানিস্তানকে আগ্রাসী জালিমদের থেকে মুক্ত করার জন্য তার সমস্ত সামরিক শক্তি ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করা।

    আর, আফগানিস্তানে আমেরিকার চরম বিপর্যয় রোধের একমাত্র উপায় হলো আমাদের দেশ থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করা। আমাদের বর্তমান সংগ্রাম হলো আফগানের স্বাধীনতা ও মালিকানার জন্য। আর, আফগানিস্তানের একমাত্র প্রকৃত মালিক হলেন আফগান মুসলিমরা, যারা পরাধীনতা ও নিপীড়ন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হানাদারবাহিনী ও তাদের সহযোগী দালাল শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
    আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন একটি হাস্যকর ও দুঃখজনক বিষয় যা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধ মিথ্যা, অযৌক্তিক এবং বিকৃত উপস্থাপনার ভিত্তিতে আমেরিকা তার জোটকে যুদ্ধ করতে প্ররোচিত করেছে। আমেরিকার আফগানে আগ্রাসন ছিল একটি মারাত্মক ভুল। এ পর্যন্ত আমেরিকার হাজার হাজার সেনার মৃত্যু, আরো কয়েক হাজার সেনা মারাত্মক আহত এবং এক ট্রিলিয়ন ডলার নষ্ট হয়েছে। আমেরিকাকে ভুল থেকে শিখতে হবে এবং আফগানিস্তান থেকে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায় তাদের বিমানগুলো ভূপাতিত করা হবে, তাদের সৈন্যদের হত্যা করা হবে; এমনকি আফগানের আকাশ এবং জমিনও তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে না।
    --------------------------------------------------------
    আর্টিকেলটি ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের অফিসিয়াল ইংরেজী সাইটে গত ২৮শে জানুয়ারীতে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে এটি অনুবাদ করেছেন ভাই ইউসুফ আল-হাসান।

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33234/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    চীনে উইঘুর মুসলিমদের মতাদর্শ থেকে সড়াতে ভয়ংকর কৌশল : গোপন তথ্য ফাঁস



    চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মতাদর্শ থেকে সরিয়ে আনতে ভয়ংকর কৌশল নিয়েছে চীনা সরকার। সম্প্রতিক উইঘুরদের নির্যাতনের নথি ফাঁস হয়েছে। আর এসব নথি উদ্ধৃত করে বিবিসি এমন তথ্য জানিয়েছে।

    এমনকি ফাঁস হওয়া ওই নথির উদ্ধৃত্তি দিয়ে বিবিসি আরো জানিয়েছে, উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের দাড়ি রাখা, বোরকা পরা, বিদেশ যাত্রার ইচ্ছায় পাসপোর্টের আবেদন কিংবা শুধু ইন্টারনেটে বিদেশি ওয়েবসাইট ব্রাউজিংয়ের কারণেই লাখ লাখ চীনা উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন অন্তরীণ শিবিরে নিয়ে যায় এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য গোপনে তাদেরকে আটকে রাখা রাখে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শিনজিয়াং প্রদেশের শিবিরগুলোতে লাখ লাখ মুসলমানের ভাগ্য কীভাবে নির্ধারিত হচ্ছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের দেখা নথিটিকে সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

    যদিও নথিতে চীনের দূর পশ্চিমাঞ্চল শিনজিয়াংয়ের তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দার ব্যক্তিগত ও তাদের দৈনন্দিন জীবনাচরণের বিস্তৃত তথ্য রয়েছে।

    আর ১৩৭ পৃষ্ঠার এই নথিতে থাকা সারি ও কলামে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের প্রার্থনার সময়, ধরন, কীভাবে তারা পোশাক পরেন, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আচরণ কেমন সেসব বিষয়ও লিপিবদ্ধ আছে।

    তবে কোনো সরকারি সিল বা চিহ্ন না থাকলেও নতুন এ নথিকে ‘আসল’ বলেই মনে করছেন শিনজিয়াংয়ে চীনা নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ওয়াশিংটনভিত্তিক ভিক্টিমস অব কমিউনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ ফেলো ড. আদ্রিয়ান জেনজ।

    আর তিনি বলছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের চর্চার কারণেই বেইজিং যে নির্যাতন করছে ও শাস্তি দিচ্ছে তার অসাধারণ এই নথিই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে হাজির হয়েছে।

    এদিকে পশ্চিমা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং দেশ দীর্ঘদিন ধরেই চীনা নাগরিক উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীন সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ন নিয়ে অভিযোগ করে আসছে।

    ওদিকে চীন উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বিবিসি’র প্রতিবেদন আরো বলছে, ফাঁস হওয়া নথির যেসব তথ্য তারা বের করতে পেরেছে তার মধ্যে যেসব অংশে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘনের সম্ভাবনা রয়েছে, প্রকাশের পূর্বে সেসব আড়াল করে দেয়া হয়েছে।

    আর ওই নথিতে দক্ষিণ শিনজিয়াংয়ের হুতার শহরের নিকটবর্তী কারাকাক্স এলাকার ৩১১ জনের অতীত তথ্য, তাদের ধর্ম চর্চা এবং আত্মীয়, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত তথ্য আছে।

    কিন্তু অন্তরীণ শিবিরে থাকাদের এখানে রাখা হবে নাকি ছেড়ে দেয়া হবে এবং শিবির থেকে ছাড়া পাওয়াদের ফের নিয়ে আসা হবে কিনা, সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত নথিটির একেবারে শেষ কলামে লেখা আছে যাকে ‘রায়’ বলছে বিবিসি।

    আর এসব কেন্দ্রকে চীন যে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে, নতুন এ নথির তথ্য তার সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

    তবে নথির ৫৯৮ নম্বর সারিতে ৩৮ বছর বয়সী এক নারীর বিস্তারিত তথ্য আছে, যেখানে কয়েক বছর আগে মুখমণ্ডল কাপড়ে ঢেকে চলাফেরার কারণে হেলসেম নামের ওই নারীকে চীনের এই তথাকথিত ‘পুনঃশিক্ষণ শিবিরে’ পাঠানো হয়েছিল।

    বাস্তবিক অর্থে তেমন ঝুকিঁ নেই এমনটা লেখা থাকা সত্ত্বেও ৩৪ বছর বয়সী মেমেত্তোতিকে অন্তরীণ করা হয়েছে কেবল পাসপোর্টের আবেদন করার কারণে। বেইজিং কর্তৃপক্ষ যে এখন শিনজিয়াং থেকে বিদেশ যাত্রার আকাঙ্ক্ষাকেও ‘উগ্রবাদের লক্ষণ’ হিসেবে দেখছে। আর মেমেত্তোতিকে আটক তার নজির বলছে বিবিসি।

    তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কাউকে কাউকে শিবিরগুলোতে নেওয়া হয়েছে ‘ঘন দাড়ি’ রাখায় কিংবা ধর্মীয় পাঠচক্র আয়োজনের কারণে । আর ২৩৯ নম্বর সারিতে থাকা নুরমেমেতকে পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয় ‘ওয়েবলিংকে ক্লিক করে নিজের অজান্তে বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে চলে যাওয়ায়’। আর ২৮ বছর বয়সী এ যুবকের আচরণে অন্য কোনো সমস্যা নেই বলেও তাকে নিয়ে থাকা সারি ও কলামগুলোতে লেখা রয়েছে।

    এদিকে, ১৭৯, ৩১৫ ও ৩৪৫ এ বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে ৬৫ বছর বয়সী ইউসুফের। তার রেকর্ডে লেখা রয়েছে- ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দুই মেয়ের নেকাব ও বোরকা পরা, ছেলের ইসলামী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক এবং পরিবারের সদস্যদের হানবিরোধী মনোভাবের কথা। রায়ের ঘরে লেখা রয়েছে- প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখা।

    বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ের ওই শিবিরগুলোতে ২০ লাখের বেশি উইঘুরকে আটক রাখা হয়েছে যার মধ্যে বেশীরভাগই মুসলিম।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33240/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সব সমস্যা মুসলিমদের: এবার জমির নথি-ব্যাঙ্কের কাগজ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে জানিয়ে দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট



      জমির খাজনার কাগজ, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট কিংবা প্যান নম্বরকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। এনআরসি নিয়ে হওয়া এক মামলায় এমনই মন্তব্য করল গুয়াহাটি হাইকোর্ট।

      উল্লেখ্য, জমির দলিলকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু অসমে এনআরসির লিস্ট থেকে বাদ পড়া মানুষজন এখনও সেইসব কাগজ জোগাড় করতেই ব্যাস্ত।

      গত বছর অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ হিন্দু। সিএএর সাহায্যে নিয়ে ওই ১২ লাখ মানুষ রেহাই পেয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা তালিকায় নাম না থাকা মুসলিমদের নিয়ে। এমনই এক মহিলা গুয়াহাটি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে।

      রাজ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান জাবেদা বেগম ওরফে জাবেদা খাতুন নামে এক মহিলা। আদালতে তিনি যেসব নথি জমা করেন তার মধ্যে ছিল গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া তাঁর বাবা ও স্বামীর পরিচিতি সংক্রান্ত পত্র। হাইকোর্টে বিচারপতি মনোজিত্ ভুঁইয়া ও বিচারপতি পি সইকিয়া ২০১৬ সালের এক আদেশ উল্লেখ করে বলেন, প্যান বা ব্যাঙ্কের নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। পাশাপাশি, জমির খাজনার রিসিপ্টও নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33229/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে অসমে ইনার লাইন পারমিট চালুর প্রস্তাব



        সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) অসম চুক্তির বিরোধী এই অভিযোগে অসমে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এবার ওই রাজ্যে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের শান্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত একটি কমিটি ১৯৫১-কে কাট অফ বছর হিসাবে নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছে। অসমের আদিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এবং বহিরাগতদের রুখতে অসমে (Assam) ঢোকা রুখতে অভ্যন্তরীণ লাইন পারমিট (আইএলপি) প্রবর্তন করে ওই কাট-অফ বছরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাই-প্রোফাইল ওই কমিটির রিপোর্টে অসম চুক্তির (Assam Accord) ৬ নং দফা বাস্তবায়নের জন্য একটি রোড ম্যাপ দেওয়া হয়েছে, যাতে “অসম রাজ্যের জনগণের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ভাষাগত পরিচয় এবং ঐতিহ্য রক্ষা, সংরক্ষণ এবং প্রচার” সংক্রান্ত একটি বিধান রয়েছে।

        অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী অসমের মানুষের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ভাষাগত পরিচয় এবং ঐতিহ্য সুনিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক, আইনগত এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা দিতে হবে। সেই ভিত্তিতেই সিএএ-র বিরুদ্ধে জনরোষ অসমে। সে রাজ্যের মানুষের অভিযোগ সিএএ লাগু হলে বাংলাদেশি হিন্দুতে ভরে যাবে অসম। আর সেই কারণেই তাঁরা এই আইনের বিরোধিতা করছেন। কেননা অসম চুক্তির ৬-নম্বর ধারা অনুযায়ী অসমে নাগরিকত্ব পাওয়ার কাট-অফ তারিখ হচ্ছে ২১ মার্চ ১৯৭১, আর নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী কাট অফ তারিখ হল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪। অর্থাৎ এই সময়ের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর এখানেই আপত্তি জানায় অসমবাসী। তাঁদের যুক্তি, সিএএ লাগু হলে বাংলাদেশি হিন্দুতে ভরে যাবে তাঁদের রাজ্য।

        অসমের এই জনরোষ রুখতেই এবার কাট অফ বছর পরিবর্তন করে ১৯৭১ সালের বদলে ১৯৫১ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। “রিপোর্টটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এই সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে”, জানান এক সরকারি আধিকারিক। ওই কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এই সুপারিশ করেছেন যে ১৯৫১ সাল থেকে যারা অসমে বসবাস করছেন তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে, গোষ্ঠী, বর্ণ, ভাষা, ধর্ম ও ঐতিহ্য নির্বিশেষে অসমের আদিবাসী হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশ ঠেকাতে অসমে আইএলপি বা ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

        ইনার লাইন পারমিট বা আইএলপি হল এমন একটি বন্দোবস্ত যার সুবাদে এবং যার আওতায় ভারতীয় নাগরিকরা একটি রাজ্যে বসবাস করতে পারেন। বর্তমানে এই বন্দোবস্ত চালু রয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামে। ওই রাজ্যের মানুষ না হলে বিনা অনুমতিতে অন্য কোনও ভারতীয় নাগরিক এই রাজ্যগুলিতে যেতে পারেন না, এবং আইএলপি-তে উল্লিখিত সময়সীমা পার হয়ে যাবার পর সেখানে থাকতে পারেন না। আর যদি আইএলপি ভুক্ত এলাকা ছাড়া অন্য জায়গার জন্যে সিএএ লাগু হয়, তাহলে সিএএ-র আওতায় শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেও ওই তিন রাজ্যে বসবাস করতে পারবেন না। অসমেও তাই আইএলপি নিয়ে জোরদার সওয়াল করা হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33230/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে ট্রাম্পের আগমনে বস্তির ৪৫ পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিশ



          মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরকে সামনে রেখে ভারতের আহমেদাবাদে একটি বস্তির ৪৫ পরিবারকে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বস্তিটি নবনির্মিত মতেরা স্টেডিয়ামের কাছে। পৌর কর্মকর্তারা ট্রাম্পের সফরের সঙ্গে উচ্ছেদ নোটিশের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেও বস্তির বাসিন্দারা এই পদক্ষেপের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন সময় এই নোটিশ দেওয়া হলো যখন ট্রাম্পের যাতায়াত পথের আশেপাশে বস্তি আড়াল করতে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়া

          মোদি ও ট্রাম্প ২৪ ফেব্রুয়ারি মতেরায় অবস্থিত সরদার প্যাটেল স্টেডিয়ামে ১ লাখ মানুষের সামনে ভাষণ দেবেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’ আয়োজনের অংশ হিসেবে। এছাড়া ওই দিন ট্রাম্প সবরমতি আশ্রম সফর এবং আহমেদাবাদে একটি রোড শোতে অংশ নেবেন।

          নোটিশে বলা হয়েছে, পৌরসভার ভূমিতে আপনারা অবস্থান করছেন। ঝুপড়ির সব জিনিসপত্রসহ আগামী সাতদিনের মধ্যে ভূমি ছেড়ে চলে যান। না হলে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আপনারা উপস্থিত থাকতে চাইলে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টায় তা করতে পারেন।

          এই বস্তিটি আহমেদাবাদ ও গান্ধীনগরের সংযোগ সড়কের পাশে অবস্থিত। নবনির্মিত মতেরা স্টেডিয়াম থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটারদূরে।

          শৈলেশ বিলওয়া নামের বস্তির এক বাসিন্দা দাবি করেছেন, গত সাত দিনের পৌর কর্মকর্তারা একাধিকবার জায়গাটি ঘুরে গেছেন। তিনি বলেন, আমরা চলে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের বিকল্প থাকার জায়গা প্রয়োজন। না হলে আমাদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় থাকতে হবে। নারী ও শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমরা এখানে থাকি। আমরা আবেদন করছি সরকার যেন আমাদের বিকল্প থাকার জায়গা করে দেয়।

          ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝুপড়ি খালি করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে দিনমজুর দিনেশ আদ্রাবানিকে। তিনি বলেন, আমরা এখানে একদশকের বেশি সময় বাস করছি। কখনোই আমরা উচ্ছেদের নোটিশ পাইনি। তাহলে এখন এই নোটিশ কেন?

          তার মতো বস্তিবাসীদের জোর করে উচ্ছেদ করা হলে তাদের কোনও বিকল্প আশ্রয় নেই জানান দিনেশ।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33239/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘সিএএ’ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত শাহীনবাগের আন্দোলনকারীরা অন্যত্র যেতে অস্বীকার



            ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির শাহীনবাগের আন্দোলনকারীরা অন্যত্র যাবেন না বলে জানিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) বেসরকারি হিন্দি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভরত নারীরা ধর্না-অবস্থানস্থল থেকে সরে যেতে অস্বীকার করেছেন।

            শাহীনবাগের প্রতিবাদী এক নারী জানান, ‘যতক্ষণ না ‘সিএএ’-এর মতো ‘কালো আইন’ প্রত্যাহার না করা হবে ততক্ষণ আমরা এখান থেকে কোথাও যাব না। যাবতীয় সমস্যা সত্ত্বেও আমরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে আসছি।’

            হাপুরের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থী আফসা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলছে যে সড়ক বন্ধ করা আমাদের অধিকার নয় কিন্তু এখানে দু’মাস ধরে দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে এবং লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

            আফসা বলেন, ‘সিএএ-কে অন্য সাধারণ আইনের সাথে তুলনা করা যায় না। এটি অস্তিত্বের প্রশ্ন। সরকারের উচিত আমাদের সাথে কথা বলা। কিন্তু ওঁদের মধ্যে এত অহংকার আছে যে কেউ দেখা করতে প্রস্তুত নয়।’ ‘যতক্ষণ ওই আইন প্রত্যাহার না করা হবে, ততক্ষণ আমারা এখান থেকে সরবো না’ বলেও আফসা সাফ জানান।

            দিল্লির আবু ফজলের বাসিন্দা শাহানা জানান, আমরা আমাদের বাড়িতে প্রতিদিনের কাজ শেষ করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসি। আমরা প্রতিনিয়ত এখানে আসছি।

            একজন প্রবীণ নারী বলেন, ‘আমরা এখানে সারাদিন বসে থাকি। আমরা সবাইকে বাড়িতে রেখে এখানে ধর্না-অবস্থানে বসে থাকি, এটা সমস্যা নয় কী?’

            আন্দোলনকারী এক নারী বলেন, ‘আমরা অন্য কোথাও যাচ্ছি না। আমরা এদেশের নাগরিক। এখানে বসে থাকলেও সরকার আমাদের কথা শুনছে না। অন্য কোথাও গেলে কে আমাদের কথা শুনবে?’

            তিনি বলেন, ‘ট্র্যাফিকের সমস্যাটি ছোট কিন্তু নাগরিকত্বের বিষয়টি তার চেয়ে বড়। আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য এখানে বসে আছি। ওই আইনটি কেবল মুসলিমদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যদি আমরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারি তাহলে আমাদেরকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলা হবে। সরকার যদি বলে আমরা ওই আইন কার্যকর করব না, তবেই আমরা এখান থেকে উঠে যাব।’

            সড়ক খালি করার ইস্যুতে লক্ষ্মীনগরের এক প্রতিবাদী নারী বলেন, বিষয়টি স্থান নিয়ে নয়। সরকারী ওই আইন (সিএএ) বিপজ্জনক! সড়ক বন্ধ থাকা বড় ইস্যু নয়। আমাদেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে, তবে বড় সমস্যা রোধ করতে ছোট ছোট সমস্যায় পড়তে হয়।’ সরকারের উচিত প্রতিবাদকারীদের যত্ন নেওয়া। এটি দেশকে বিভক্ত করার একটি আইন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

            সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দিল্লির শাহীনবাগে বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্না-অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে।

            সিএএ-এর বিরুদ্ধে বিগত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে মুসলিম নারীদের নেতৃত্বে দিল্লির শাহীনবাগে ধর্না-অবস্থান হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক বন্ধ হয়ে থাকার কারণে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিক্ষোভকারীদের অন্যত্র বিক্ষোভ করার কথা বলেছে। তাঁদের সঙ্গে সংলাপের জন্য সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতাকারীদের নিয়োগ করেছে। কিন্তু প্রতিবাদী নারীরা সাফ জানিয়েছেন, সিএএ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা এখান থেকে কোথাও যাবেন না


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33248/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাংলাদেশ



              বসবাসের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। আর সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশ পাকিস্তান।

              আমাদের সময়ের সূত্রে জানা যায় মার্কিন বাণিজ্য সংক্রান্ত সাময়িকী সিইও ওয়ার্ল্ডের এক জরিপে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই জরিপ চালিয়েছে সাময়িকীটি। সেগুলো হলো, জীবনযাপনের খরচ, ভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, খাবারের মূল্য এবং ক্রয়ক্ষমতা।

              ম্যাগাজিনটির প্রতিবেদন অনুসারে, বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশ সুইজারল্যান্ড। অপর দিকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশ হিসেবে তালিকায় অবস্থান করে নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পরই সাশ্রয়ী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ভারত, সিরিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিস্তান ও তিউনেশিয়া


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/19/33253/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ধর্ষণ এখন মহামারি : প্রতিরোধ নয়, প্রয়োজন প্রতিকারধর্ষণ এখন মহামারি : প্রতিরোধ নয়, প্রয়োজন প্রতিকার



                দেশে ধর্ষণের ঘটনা এখন মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। কখনো একজন, আবার কখনো একের বেশি ব্যক্তির হিংস্রতায় এই ঘটনা ঘটছে। কখনো প্রকাশ্যে ঘটছে, আবার কখনো অপ্রকাশ্যে। সরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু করে প্রাইভেট গাড়ি বা পাবলিক বাসেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীর তালিকায় আছেন প্রায় সকল পর্যায়ে নারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না। রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।

                ভোরের ডাকের এক রিপোর্টে জানা যায়, এসব ঘটনা সব সময় প্রকাশ পায় না। মিডিয়ায় আসে না। থেকে যায় অন্তরালেই। ‘ভয়ে’ অনেক ভুক্তভোগী চুপসে যান। কখনো ধর্ষকদের হুমকিতেও অনেকে ভীত থাকেন। অযথা হয়রানির আশঙ্কায় কেউ কেউ থানায়ও যান না। আবার কোথাও কোথাও সমাজপতিরা তা চেপে রাখেন। এর বাইরে যেসব ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়, তার চূড়ান্ত বিচার কয়টিতে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অভিযোগ আছে বিচারে প্রভাব বিস্তার করারও। তাই এসব ঘটনা প্রতিকারে যেমন কোনো উদ্যোগ নেই, তেমনি প্রকৃত অপরাধীদের বড় একটি অংশ আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।

                আইন ও সালিশকেন্দ্র (আসক) নামের একটি বেসরকারি সংগঠন গেল ডিসেম্বরে দেশে নারী নির্যাতনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

                সেখানে বলা হয়, নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলছে। ২০১৯ সালে ২’শ ৫৮ জন নারী যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪৪ পুরুষ। উত্ত্যক্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১৮ নারী। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন চার নারীসহ ১৭ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।

                ২০১৯-এ শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর মোট ৪’শ ৮৭ শিশু নিহত হয়েছে। ২০১৮-তে এ সংখ্যা ছিল ৪১৯। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে এ বছর নিহত হয়েছে ১৮৭ জন।

                ধর্ষণের এ সংখ্যা পুরো চিত্র তুলে ধরে না বলেই মনে করি। পত্রিকার প্রতিবেদন ও নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। তারপরও যে সংখ্যা পাওয়া গেছে তা ভয়াবহ। ভয়ানক বিষয় হলো, ধর্ষণ বা নিপীড়নের ঘটনার পর সেগুলো আবার ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। যারা এসব করছে, তারা কোনোভাবেই মনে করছে না যে অন্যায় করছে। অপরাধী বা তাদের আত্মীয়-স্বজন কারও এই বোধ নেই। নারী নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা একটি কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।

                শে ধর্ষণের ঘটনা এখন মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। কখনো একজন, আবার কখনো একের বেশি ব্যক্তির হিংস্রতায় এই ঘটনা ঘটছে। কখনো প্রকাশ্যে ঘটছে, আবার কখনো অপ্রকাশ্যে। সরকারি অফিস-আদালত থেকে শুরু করে প্রাইভেট গাড়ি বা পাবলিক বাসেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীর তালিকায় আছেন প্রায় সকল পর্যায়ে নারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না। রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও।

                ভোরের ডাকের এক রিপোর্টে জানা যায়, এসব ঘটনা সব সময় প্রকাশ পায় না। মিডিয়ায় আসে না। থেকে যায় অন্তরালেই। ‘ভয়ে’ অনেক ভুক্তভোগী চুপসে যান। কখনো ধর্ষকদের হুমকিতেও অনেকে ভীত থাকেন। অযথা হয়রানির আশঙ্কায় কেউ কেউ থানায়ও যান না। আবার কোথাও কোথাও সমাজপতিরা তা চেপে রাখেন। এর বাইরে যেসব ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়, তার চূড়ান্ত বিচার কয়টিতে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অভিযোগ আছে বিচারে প্রভাব বিস্তার করারও। তাই এসব ঘটনা প্রতিকারে যেমন কোনো উদ্যোগ নেই, তেমনি প্রকৃত অপরাধীদের বড় একটি অংশ আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।

                আইন ও সালিশকেন্দ্র (আসক) নামের একটি বেসরকারি সংগঠন গেল ডিসেম্বরে দেশে নারী নির্যাতনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

                সেখানে বলা হয়, নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলছে। ২০১৯ সালে ২’শ ৫৮ জন নারী যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪৪ পুরুষ। উত্ত্যক্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১৮ নারী। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয়েছেন চার নারীসহ ১৭ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।

                ২০১৯-এ শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর মোট ৪’শ ৮৭ শিশু নিহত হয়েছে। ২০১৮-তে এ সংখ্যা ছিল ৪১৯। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে এ বছর নিহত হয়েছে ১৮৭ জন।

                ধর্ষণের এ সংখ্যা পুরো চিত্র তুলে ধরে না বলেই মনে করি। পত্রিকার প্রতিবেদন ও নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। তারপরও যে সংখ্যা পাওয়া গেছে তা ভয়াবহ। ভয়ানক বিষয় হলো, ধর্ষণ বা নিপীড়নের ঘটনার পর সেগুলো আবার ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। যারা এসব করছে, তারা কোনোভাবেই মনে করছে না যে অন্যায় করছে। অপরাধী বা তাদের আত্মীয়-স্বজন কারও এই বোধ নেই। নারী নিপীড়ন বেড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা একটি কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/20/33263/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ফেনসিডিলসহ ধরা খেলো সন্ত্রাসী আ.লীগের সহসভাপতি



                  সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৮৬ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান চান্দু ফেনসিডিলসহ ধরা খেয়েছে। চাঁন্দু নাটরের সিংড়ার উপজেলার ইটালি ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কোর্টপাড়া চাঁদপুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।

                  মানবকন্ঠের সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ থানাধীন বারুহাস মেলাপাড়া আইডিয়াল কলেজের উত্তর পাশে পাকা রাস্তার উপর আতাউর রহমান চান্দুকে ৮৬ বোতল ফেনিসডিল, ১টি মোবাইলসহ নগদ ৪ হাজার টাকাসহ পাওয়া যায়।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/20/33273/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    আফগানিস্তানে আমেরিকার বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে
                    আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। অব্যাহত থাকুক.......!
                    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment

                      Working...
                      X