Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৮ই রাবিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ০৬ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ৬ ডিসেম্বর! ভারতের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৭তম বার্ষিকীতে ও প্রতিবাদ অব্যাহত


    ভারতের অযোদ্ধার আলোচিত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৭তম বার্ষিকী আজ শুক্রবার। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মসজিদটিকে শহিদ করে দেয়। অযোধ্যা মামলার রায়দানের পরেও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ অব্যাহত৷ প্রতিবারের মতো এ বারেও দিল্লি থেকে কলকাতা, সর্বত্রই হলো মিটিং মিছিল প্রতিবাদসভা৷

    জামা মসজিদে প্রতিবাদ

    ]প্রতিবাদে ছোটরাও
    জামা মসজিদের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিল ছোটরাও৷ তাদেরও হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘বিচার চাই’৷

    প্রতিবাদ মিছিল
    সভার শেষে মহল্লায় মহল্লায় মিছিল করে প্রতিবাদকারীরা৷ তাতে যোগ দেন রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ৷
    তোমার আমার পাপ
    মান্ডি হাউসের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বিশিষ্টজনেরাও৷ তাঁদের সকলেরই বক্তব্য, যে ভাবে মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল তা লজ্জার৷ পাপ৷
    পিছিয়ে নেই কলকাতাও
    এ দিন দিল্লির মতোই কলকাতাতেও বিশাল মিছিল হয় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে৷ ১২টি সংগঠন এক সঙ্গে মিছিলে পা মেলান৷
    পাশে অনেকেই
    সন্ত্রাসী দল বিজেপি দাবি করছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অযোধ্যা নিয়ে আর কোনও কথা বলা উচিত নয়৷ জনগণের বক্তব্য হল, যাঁরা অন্যায় করেছিল, তাঁদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন বন্ধ হবে না৷

    বহু বছর ধরে চলেছে অযোধ্যা মামলা। সম্প্রতি অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে দেশটির মালাউন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, বিতর্কিত জমিতে তৈরি হবে রাম মন্দির। আর অন্যত্র ৫ একর জমি মুসলিমদের দেওয়া হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ১৫২৮ থেকে ২০১৯ রাম মন্দির-বাবরি বিতর্কের ইতিহাস।

    ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যায় তৈরি হয় বাবরি মসজিদ। হিন্দুদের কিছু সংগঠন দাবি করতে শুরু করে মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে এই মসজিদ। ১৮৫৩ সালে প্রথম এই ইস্যুতে বিরোধ বাঁধে।

    ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশরা একটি প্রাচীর দিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের প্রার্থনার জায়গা আলাদা করে দেয়। এভাবেই ৯০ বছর ধরে প্রার্থনা চলছিল।

    ১৯৪৯-এ প্রথম এই জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে যায়। সেইসময় হিন্দু সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে রামের মূর্তি স্থাপন করে মসজিদের ভিতরে।

    ১৯৮৪-তে রাম মন্দির গড়ার দাবি নিয়ে হিন্দুদের একটি কমিটি তৈরি হয়। তিন বছর পর একটি জেলা আদালত নির্দেশ দেয়, যাতে ওই বিতর্কিত এলাকা হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়া হয়। মুসলিমরা তৈরি করে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি।

    এরপর ১৯৮৯-তে মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ওই স্থানে। ১৯৯০-তে রাম মন্দির তৈরির সমর্থনে রথযাত্রা করে এলকে আদবানী।

    ১৯৯২-তে ভারতের তৎকালীন সরকারের প্রকাশ্য মদদে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দেয় বর্বর হিন্দু সন্ত্রাসীরা। দেশ জুড়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে ২ হাজার মুসলমান নিহত হয়।

    ২০১০-এ এলাহবাদ হাই কোর্ট একটি রায় দেয়। তাতে বলা হয় ওই বিতর্কিত জমিটি তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। নির্মৌহী আখড়া, রাম লাল্লা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় দেশটির মালাউন সুপ্রিম কোর্ট।

    প্রথমে তিনজন মধ্যস্থতাকারী দেওয়া হয় এই মামলার জন্য। পরে, গত ৬ আগস্ট থেকে প্রত্যেকদিন এই মামলার শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপরির বেঞ্চ। ১৬ অক্টোবর সেই শুনানি শেষ হয়।

    এরপর গত ৯ নভেম্বর এই মামলায় রায় দেয় দেশটির মালাউন সুপ্রিম কোর্ট।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29359/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘সন্ত্রাসী মোদি মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে চাচ্ছে:-ওয়াইসি


    সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল-মুসলেমিন’ (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

    সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে ওয়াইসি বলেন, ভারতের সংবিধানে নাগরিকত্বকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি। কিন্তু ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নাগরিকত্বকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করে সংবিধানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।

    ওয়াইসি বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পরে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এনআরসি আসবে, এরমধ্যে ‘যারা মুসলিম নয়’ তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবে। এবং মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক নয় বরং রাষ্ট্রহীন করতে চাচ্ছে। মোদ্দাকথা মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করতে চাচ্ছে মালাউন সন্ত্রাসী মোদী সরকার। মোদী সরকার দেশকে বিভক্ত করার কাজ করছে।’

    এরপর তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী মালাউন সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদী নির্দিষ্ট কিছু মানুষের আদর্শ অনুসরণ করছে। আর এসব মানুষের স্বার্থেই কাজ করছে তার সরকার।

    সংবিধানের প্রস্তাবনার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াইসি বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তৈরি করে সরকার ভারতকে ইসরাইলের কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। এর বিরোধিতা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব, কারণ এটি নৈতিকতা ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।’

    অসমে এনআরসি বাস্তবায়িত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে মুসলিমদের টার্গেট করা হয়েছিল। এখন তাদের মামলা বিদেশি ট্রাইব্যুনালে ঝুলবে। তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে।’

    সূত্র: পার্সটুডে/হাফিংটন পোস্ট ইন্ডিয়া’


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29299/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতের জলপাইগুড়িতে ফের এনআরসি আতঙ্কে এক মুসলিমের আত্মহত্যা !


      এনআরসি আতঙ্কে ফের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন(৬৫)। বাড়ি জলপাইগুড়ির বাহাদুর অঞ্চলে।

      ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাতে জানা যায়, বহু চেষ্টা করে এন আর সি সংক্রান্ত নথিপত্র যোগার করতে না পেরে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন।

      মুহম্মদ সাহাবুদ্দিনসহ এই নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় গত সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৫ জন এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ময়নাগুড়ির অন্নদা রায়, ২৪ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল রায় ও জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার সাবেদ আলী। এরা একই দিনে আত্মঘাতী হন। তারপর ২৩ শে অক্টোবর মাল মহকুমার ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা দেবারু মুহম্মদ আত্মহত্যা করেন। এবার জলপাইগুড়ি বাহাদুর এলাকার মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এরা সকলেই এনআরসি আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

      জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ বলেছে, “এনআরসি আতঙ্কে গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেছেন মুহম্মদ সাহাবুদ্দিন। বিজেপি এনআরসি করতে চাইছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেওয়া যাবে না। একটা সম্প্রদায়ের প্রতি অবিচার ও বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমরা তার প্রতিরোধ করব।”

      প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বুধবার টিভিতে সংবাদ দেখছিলেন সাহাবুদ্দিনবাবু। তখন টিভিতে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য রাখছিল সন্ত্রাসী অমিত শাহ। তাতেই তিনি ঘাবড়ে যান। এনআরসি হবে শুনে অনেক দিন ধরে নথি যোগারের চেষ্টা করছেন। এনআরসির আতঙ্কে মারা গিয়েছে তিনি। স্থানীয়দের দাবি, এরাজ্যে যাতে এনআরআসি না হয়। তাহলে আত্মহত্যা্ আরও বাড়বে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29336/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আসামে সন্ত্রাসী দল বিজেপির নতুন জমি নীতি পাস হলে দেশছাড়া হবে মুসলিমসহ ১৩০ লক্ষ মানুষ


        ভারতের আসামের সন্ত্রাসী দল বিজেপির নতুন জমি নীতি, ২০১৯ পাস হলে দেশছাড়া হতে পারেন ১৩০ লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৭০ লক্ষ মুসলিম এবং ৬০ লক্ষ বাংলা ভাষাভাষির হিন্দু। বনাঞ্চল, নদীচর এলাকার বাসিন্দারা মূলত আদিবাসী জনজাতি এবং পশুপালক শ্রেণিভুক্ত। গত ১৩ নভেম্বর জমি নীতি আসামের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর বিধানসভায় পেশ হয়। বিতর্কের পর সেটি বৃহস্পতিবার পাস করানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপিশাসিত আসাম সরকার। আদিবাসী অধ্যুষিত জমি এবং অন্য সরকারি জমি, যা মূলত বনাঞ্চল এবং নদীচর, সেগুলিকে পুনর্বণ্টন করে রাজ্যের অন্যান্য জনজাতির মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জমি নীতি, ২০১৯–এ।

        তাই এই নীতি পাস হলেই জমিহীন হবেন ৭০ লক্ষ মুসলিম এবং ৬০ লক্ষ বাঙালি হিন্দু। বর্তমানে নদীচরে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ মানুষের বাস, যাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ মুসলিম। এবং নদীচরের বাসিন্দা হওয়ায় তাঁদের কোনও পাট্টা বা দলিল নেই। কারণ নীতিমাফিক, বন্যায় জমি ধুয়ে গেলেই জমির মালিকানা স্বত্ব শেষ হয়ে যায়। তাই নদীচরে ওই সব কোনও বাসিন্দারই জমির দলিল নেই। ফলে ওই নীতি পাস হলে বিপদে পড়বেন তাঁরা।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29339/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে কথিত এনআরসি আতঙ্কে আরও একজনের আত্মহত্যা


          ভারতের জলপাইগুড়ি শহরে এবার কথিত এনআরসি আতঙ্কে এক নাগরিক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

          মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে কলকাতার বাংলা পত্রিকা জি২৪ঘণ্টা জানাচ্ছে, জমি সংক্রান্ত বেশকিছু দলিলপত্র না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই এনআরসি আতঙ্কে ভুগছিলেন এই নাগরিক। সেই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই বৃদ্ধ।

          আত্মঘাতী হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন (৬৯)। তিনি জলপাইগুড়ির বাহাদুর অঞ্চলের বাসিন্দা।

          তবে মাস খানেক ধরেই নিজের একটি জমি সংক্রান্ত সমস্যা চলছিল। তার পরিবারের দাবি, ওই জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় আতঙ্ক চেপে বসেছিল তার মনে। সেই অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।

          জেলা পরিষদের সহ সভাপতিরও দাবি, এনআরসি আতঙ্কের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। আর প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশেরও ধারণা, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি।

          প্রসঙ্গত, ভারতের আসাম রাজ্যে কথিত এনআরসি হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের বসিন্দারা। যদিও বিভিন্ন সভাতেই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই বলে হুঙ্কার দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। ফলে আতঙ্ক তাদের পিছু ছাড়ছে না। গত কয়েক মাসে এই রাজ্যে এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ ঘটনায় গত ৩ মাসে কেবল জলপাইগুড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন পাঁচজন।

          সুত্রঃ ইনসাফ২৪


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29345/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নিগ্রহের নতুন মাত্রায় এবার কাশ্মীরিদের জন্য বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ


            কাশ্মীরে ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা ১২০ দিন পেরিয়ে গেছে। টানা ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ হতে শুরু করেছে কাশ্মীরের গ্রাহকদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।

            হোয়াটসঅ্যাপের নীতি অনুযায়ী, ১২০ দিন ধরে এই সামাজিক মাধ্যমে কারও অ্যাকাউন্টে কোনো বার্তা আদানপ্রদান বন্ধ থাকলে সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই নীতিতেই কাশ্মীরিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

            বৃহস্পতিবার অনেকেই টুইটারে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট পোস্ট করেন। তাতে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রুপ থেকে কাশ্মীরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকরা বেরিয়ে যাচ্ছেন।

            ব্রিটেনপ্রবাসী কাশ্মীরি চিকিৎসক মুদাসির ফিরদোসি বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু হয়েছে।

            গ্রাহকরাই গ্রুপ ছাড়ছেন। পরে বুঝলাম বিষয়টি তা নয়।

            দেরাদুন প্রবাসী কাশ্মীরি শিক্ষার্থী সুহেল লাইসার বলেন, দেখলাম কাশ্মীর নিয়ে খবর ও ছবি শেয়ার করা হয় এমন একটি গ্রুপ থেকে অনেক কাশ্মীরি বেরিয়ে গেলেন। এ নিয়ে টুইট করে হোয়াটসঅ্যাপকে ট্যাগ করেছেন কাশ্মীরি রাজনীতিক শেহলা রশিদ।

            হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, ১২০ দিন নিষ্ক্রিয় থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়।

            নিরাপত্তা ও তথ্য মজুত রাখার ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতেই এই পদক্ষেপ। অনেকের মতে, কাশ্মীরিদের ডিজিটাল উপস্থিতির বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তা তারা জানতেও পারছেন না।

            সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29342/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা


              চলতি বছরে দেশে ইতোমধ্যে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

              গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

              পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

              আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী ২ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তার পরবর্তী ৫ দিন রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

              সুত্রঃ ইনসাফ২৪


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29348/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কথিত জাতিসংঘ অন্যদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বললেও নিজেদের স্বচ্ছতাই মেনে চলে না: টিআইবি


                মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে জাতিসংঘের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। কথিত জাতিসংঘের সংস্থাগুলো অন্যদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বললেও নিজেদের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা মেনে চলে না বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

                বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) টিআইবি কার্যালয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ও সুশাসন বিষয়ক এক গবেষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করার সময় সে এ কথা বলে।

                ইফতেখারুজ্জামান বলেছে, আমরা জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গা বিষয়ে তাদের কর্মসূচির পরিচালনা ব্যয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কর্মসূচি চালাতে তাদের পরিচালনা ব্যয় কত এসব তথ্য বহুবার চাওয়ার পর তারা আমাদের জানিয়েছে, সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এটি জাতিসংঘের নিজেদের পরিচালনা ব্যয়।

                কিন্তু তারা নিজেরা কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে না। সহযোগী সংস্থাগুলো এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। সহযোগী সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয় কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখানে এ ব্যয় দুবার গণনা হচ্ছে।

                টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেছে, প্রকৃতপক্ষে পরিচালন ব্যয় কতটুকু তা একমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলতে পারবে। কিন্তু তারা এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে চায় না। তারা আমাদের কাছে নিজেদের স্বচ্ছতা বজায়কারী সংস্থা হিসেবে প্রকাশ করে। কিন্তু বাস্তবে আমরা এর প্রতিফলন দেখি না।

                একইসঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে কক্সবাজারের স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি জানায়, বর্তমানে তারা মানসিক চাপে রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

                সুত্রঃ ইনসাফ২৪


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29351/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  বাংলাদেশে ঢুকে দুই মুসলিম জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী বিএসএফ


                  রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে আব্দুর রহিম (৫৫) ও ওমর আলী (৩২) নামের দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনী (বিএসএফ)।

                  গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফরহাদপুর নির্মল চরের নিচ হতে ভারতের টিকনা চর ক্যাম্পের বিএসএফ সন্ত্রাসীরা তাদের ধরে নিয়ে যায়।

                  আটককৃতরা উপজেলার প্রেমতলী কাঁঠাল বাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আব্দুর রহিম ও মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী।

                  মাটিকাটা ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. নয়ন আলী জানান, ওই দুই জেলে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে নির্মল চর এলাকায় মাছ ধরে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তসন্ত্রাসী বাহিনীর (বিএসএফ) গুণ্ডারা তাদেরকে টেনে হিচড়ে নিয়ে চলে যায়।

                  বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিএসএফ সন্ত্রাসীরা দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

                  এর আগেও গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ঘাস কাটার সময় ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠকের পরও ফেরত না দিয়ে তাদের ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানায় সোপর্দ করে বিএসএফ।

                  সূত্র– পিপিবিডি নিউজ।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29355/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হবার‘ধর্মান্তর ব্যবসা’প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়ংকর হয়ে উঠছে


                    দেশের উপজাতি-অধ্যুষিত ও দারিদ্র্য-পীড়িত প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার প্রবণতা ‘ভয়াবহ আকারে’ বেড়েই চলেছে। পশ্চিমা বিশ্বের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও ও খ্রিষ্টান মিশনারি সংস্থাগুলো সেবা ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে উপজাতি ও দারিদ্র্য-পীড়িত হিন্দু মুসলিমসহ উপজাতীয় ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করে চলেছে। খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারে কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তিকে তোয়াক্কা করছে না মিশনারিরা। বরং মুসলিম দাঈ কিংবা এ তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ককারী স্থানীয় আলেমদেরকে নানা ধরনের চাপে রাখছে তারা। এমনকি প্রশাসনিক মাধ্যমেও এ সমস্ত দাঈকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় দাঈদের।

                    ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের চিত্র ভয়াবহ’

                    রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি—তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিস্তৃতি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সবচেয়ে আশঙ্কাজনকভাবে খ্রিষ্টান মিশনারিরা কাজ করছে। উপজাতিদের বড় একটি অংশ এখন খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন অঞ্চলটিতে দাওয়াতি মেহনতের সঙ্গে জড়িত আলেম দাঈগণ। তাঁদের মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরের। নিরাপত্তা জনিত কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি এলাকাই আমার ঘোরা হয়েছে। দাওয়াতি কাজে এই এলাকায় এত বার যাওয়া হয়েছে যে, অনেক এলাকা নিজের এলাকার মতোই আমার কাছে পরিচিত। দুঃখজনক হলো, আজ থেকে ২০-২২ বছর আগে এখানে ১ পার্সেন্টরও কম খ্রিষ্টান থাকলেও বর্তমানে খ্রিষ্টান মিশনারিদের তৎপরতার দরুণ এখানকার বড় একটি অংশ খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে।

                    তিনি বলেন, ‘ছোট-বড় প্রায় ১৪টি উপজাতীয় গোষ্ঠীর বসবাস এই অঞ্চলে। তাদের মধ্যে মধ্যে ছোট ছোট যে গোষ্ঠীগুলো, তাদের প্রায় সকলেই খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে নিয়েছে। গহীন পাহাড়ের ভেতর তাদের বসবাস, কিন্তু আপনি যদি সেখানে যান আর তাদের জীবনমান দেখেন, তবে মনেই হবে না, আপনি বাংলাদেশে আছেন, মনে হবে ওয়েস্টার্ন কোনো কান্ট্রিতে এসেছেন।

                    ‘খ্রিষ্টান মিশনারিরা তাদের শিক্ষাদীক্ষা থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট সব কিছু করে দিচ্ছে। বিনিময়ে তাদেরকে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করছে। কনভার্টেড এসব খ্রিষ্টানদের সঙ্গে কথা বললে আপনি চমকো যাবেন। এদের ভাব ও আচারে মনেই হবে না এরা বাংলাদেশ নামক কোনো রাষ্ট্রকে স্বীকার করে। তাদের এমনও এলাকা আছে যেখানে খ্রিষ্ট মিশনারিদের দ্বারা প্রুফ করা। সেখানে যেতে হলে বিশেষ বাহিনীর পারমিশন লাগে। আর নির্দিষ্ট লোক ব্যতীত সেখানে ঢোকার পারমিশনও পাওয়া যায় না। রাঙ্গামাটির বড়কল উপজেলায় আছে এমন একটি এলাকা।

                    ‘বান্দরবানের মিরিঞ্জা নামক একটা এলাকা আছে, সেখানের উঁচু এক টিলায় মং সম্প্রদায়ের বসবাস। যাদের অধিকাংশই খ্রিষ্টান হয়ে গেছে। খ্রিষ্টান মিশনারিদের কল্যাণে উন্নত হয়েছে তাদের জীবনমান। মং সম্পদায়ের নেতাদেরকে ‘কারবারি’ বলা হয়। সেখানে একবার সফরে গেলে এক কারবারির সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। সে জানাল, ধর্ম যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এমনটা ধারণায়ও ছিল না তাদের। একসময় তারা মনে করত জন্মসূত্রে মুসলিম না হলে কেউ মুসলিম হতে পারত না। এই খ্রিষ্ট মিশনারিরা আসার আগে তাদের কেউ কেউ মুসলিম হতে চাইলে এমন কেউ ছিল না, যে তাকে মুসলিম বানাবে। স্থানীয় বাঙালি মুসলিম যারা ছিল, তারা তাদেরকে মুসলিম সমাজে দাখিল করতে অস্বীকৃতি জানাত। খ্রিষ্টান মিশনারিরা এসে এখন তাদের মনোভাব বদলে দিয়েছে। দলে দলে তাই তারা খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাচ্ছে উন্নত জীবনমানের ব্যবস্থা।’

                    খ্রিষ্টান মিশনারিদের মুকাবেলায় এসব এলাকায় ওলামায়ে কেরামের দাওয়াতি কার্যক্রম কেমন জানতে চাইলে আলেম এ দাঈ বলেন, তাদের তুলনায় আমাদের কার্যক্রম প্রায় শূন্যের কোঠায়। তাছাড়া আমরা সীমিত পরিসরে যারা কাজ করছি, তারাও নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। খ্রিষ্টান মিশনারিদের কৌশলী তৎপরতা এবং তাদের পাহারাদার উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর হিংস্রতা নানাভাবে আমাদের বাধাগ্রস্ত করে। সেখানে নতুন করে কোনো মসজিদ-মাদরাসা স্থাপন করতে হলে ব্যাপক বেগ পেতে হয়। স্থাপন করলেও সেটা সেখানে মোতায়েনকৃত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের আশপাশে করতে হয়। পাহাড়ের ভেতরে করার কোনো সুযোগ নেই। খ্রিষ্টান মিশনারি ও তাদের নিরাপত্তা বিধায়ক উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো বাধা দেবে।

                    উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র মুসলিমদেরকেও বানানো হচ্ছে খ্রিষ্টান

                    শিক্ষাদীক্ষা এবং সুবিধা বঞ্চিত উত্তরাঞ্চলেও খ্রিষ্টান মিশনারিদের তৎপরতা ভয়াবহ। উত্তরাঞ্চলের বন্যা কবলিত ও দারিদ্রপীড়িত জেলা কুঁড়িগ্রামে ব্যাপকভাবে তারা ধর্মান্তরের কার্যক্রম চালাচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকা স্থানীয় মুসলমানদের নানা কৌশলে খ্রিষ্টান বানানো হচ্ছে। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়ে যাওয়া এসব মুসলমানের অনেকে বুঝতেই পারছেন না যে তাঁরা খ্রিষ্টান হয়ে গেছেন।

                    স্থানীয় বেশ কয়েকজন দাঈ’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খ্রিষ্টান মিশনারিরা স্থানীয় লোকদের মধ্যে কুরআন-হাদিসের বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা সম্বলিত বিভিন্ন বই-পুস্তক বিতরণ করে। এবং এর মাধ্যমে মহানবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ওপর হজরত ইসা আলায়হিস সালামের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে তাঁর অনুসরণের দাওয়াত দেওয়া হয়। বলা হয়, বর্তমান যে ইসলাম, সেটার তুলনায় ‘ঈসায়ি ইসলাম’ শ্রেষ্ঠ। কারণ ঈসা আলায়হিস সালাম জীবিত নবি আর মহানবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ‘মৃত’। তাই সকলের উচিত ঈসা নবির অনুসরণ করা।

                    এরকম নানা খোঁড়া যুক্তি এবং অর্থ ও জীবনমানের উন্নতির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। তবে খ্রিষ্টান হয়ে যাওয়া এসব লোককে বুঝতে দেওয়া হয় না যে তারা খ্রিষ্টান হয়ে গেছে। তাদেরকে বলা হয়, ভ্রান্ত ইসলাম থেকে সঠিক ইসলাম তথা ‘ঈসায়ি ইসলামের’ দিকে ফেরত আনা হয়েছে। তাই তারা এখন থেকে ‘ঈসায়ি মুসলিম’।

                    কুঁড়িগ্রামে খ্রিষ্টান এসব মিশনারির মুকাবেলায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ইসলামের সঠিক বাণী পৌঁছে দিতে কাজ করা কয়েকজন স্থানীয় দাঈ’র সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল ফাতেহ টোয়েন্টি ফোর থেকে। তাঁদের একজন উপরোক্ত তথ্যগুলো নিজের নাম গোপন করার শর্তে প্রদান করলেও অন্যান্য দাঈরা কথা বলতেই অপারগতা জানিয়েছেন। তাদের কথাবার্তায় ছিল ভয় এবং আতঙ্কের ছাপ।

                    এ ছাড়া টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নেও চলছে খ্রিষ্টান মিশনারিদের কার্যক্রম। সেখানকার দারিদ্র পীড়িত এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সেবার আড়ালে ধর্মান্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে খ্রিষ্টান মিশনারিরা। স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং কয়েকজন দাঈ’র সঙ্গেও মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল ফাতেহ টুয়েন্টি ফোর থেকে। কিন্তু নাম প্রকাশ করে বা বিস্তারিতভাবে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি কেউই। নাম গোপন রাখার শর্তে তাদের দুজন কেবল একটি ইউনিয়নের কথা বলেছেন। মধুপুরের শোলাকুড়ি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে উপজাতিদের বসবাস রয়েছে। বেশ অনেক বছর ধরো খ্রিষ্টান মিশনারিরা সেবার আড়ালে ধর্মান্তকরণে কাজ করে আসছে। বিশ বছর আগেও যেখানে একজন মানুষও খ্রিষ্টান ছিল না, সেখানে এখন দলে দলে মানুষ খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষা লাভ করেছে।

                    তাঁরা বলছেন, ডাক্তার এড্রিক বেকার নামের যে একজন খ্রিষ্টান ডাক্তার ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিকের প্রতিবেদন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে সম্প্রতি প্রচারিত হয়েছে, এবং মানবসেবার জন্য যিনি প্রশংসিত হচ্ছেন,সেই মূলত খ্রিষ্টান মিশনারিরই লোক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কালিয়াকুরি ক্লিনিকটিও মিশনারির অর্থায়নে পরিচালিত। সেবার আড়ালে তাঁদের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্রপীড়িত স্থানীয় মানুষদেরকে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করা।

                    স্থানীয় দাঈদের এমন আতঙ্কগ্রস্ততা এবং এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশের কারণ জানতে চেয়ে কথা হয়েছিল এই অঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজধানীর কয়েকজন দাঈর সঙ্গে। তারা ফাতেহ টোয়েন্টি ফোরকে জানান, খ্রিষ্টান মিশনারিদের মুকাবেলায় বাংলাদেশে যারাই কাজ করছেন প্রত্যেকেই একটা চাপ ও হুমকির ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। কঠোর নজরদারির ভেতর রাখা হয়েছে তাদেরকে। এমনকি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও নজরদারির আওতায় রয়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় দাঈদের ওপর এই নজরদারিটা বেশি। তাদের সঙ্গে কারা যোগাযোগ করছে, কীভাবে করছে, এসব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/12/06/29354/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হবার‘ধর্মান্তর ব্যবসা’প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়ংকর হয়ে উঠছে

                      ইন্না-লিল্লাহ! আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের ঈমানের হেফাজত করুন!
                      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-07-2019, 02:06 PM.
                      মুজাহিদীনকে ভালবাসুন, তাদের সাপোর্ট করুন!
                      কেননা, তারাই একমাত্র সত্য ও সঠিক পথে অটল রয়েছেন।

                      Comment


                      • #12
                        আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের খেদমাতকে কবুল করুন এবং তাতে বারাকাহ দান করুন।আমীন
                        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                        Comment


                        • #13
                          হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা এই গো'মুত্র প্যাঁয়ও মালাউন জানোয়ারদের কাছে কিসের আন্দোলন? তাদের সাথে আমাদের কথা হবে শুধুই তরবারির মাধ্যমে।

                          Comment


                          • #14
                            আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment


                            • #15
                              হে উম্মত সতর্ক হও
                              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                              Comment

                              Working...
                              X