Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুজাহিদিন নিউজ # ১১ ই রবিউল আউয়াল , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুজাহিদিন নিউজ # ১১ ই রবিউল আউয়াল , ১৪৪১ হিজরী # ২৮ অক্টোবর , ২০২০ঈসায়ী।

    পশ্চিম আফ্রিকা | মুজাহিদদের থেকে বাঁচতে মুরতাদ বাহিনীর কাছে আইএস সদস্যদের আত্মসমর্পণ

    খারেজি গ্রুপ আইএস সন্ত্রাসীদের অবস্থানে হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (JNIM) এর মুজাহিদিন। এসময় মুজাহিদদের হামলা থেকে বাঁচতে মুরতাদ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেছে দলটির কয়েক ডজন সদস্য।

    আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (JNIM) একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত মালি ও বুর্কিনা-ফাসো সীমান্ত অঞ্চলে চিরুনি অভিযান চালিয়েছেন আল-কায়েদা মুজাহিদিন। এই চিরুনি অভিযানের লক্ষ্য ছিল সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে থাকা আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর গোপন আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া, এবং এসব স্থানে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদেরকে বন্দী করে শরয়ী আদালতে হস্তান্তর করা, যারা গত কয়েকমাস যাবৎ গুপ্ত হামলা চালিয়ে বেশ কিছু নিরপরাধ মুসলিমকে শহিদ করেছে।

    মুজাহিদদের এই চিরুনি অভিযানে অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সীমান্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এই অভিযানের সময় অনেক আইএস সন্ত্রাসী মুজাহিদদের হাতে বন্দী এবং হতাহত হয়েছে। এছাড়াও কয়েক ডজন আইএস সদস্য মুজাহিদদের হামলা থেকে বাঁচতে মুরতাদ বুর্কিনা-ফাসো ও মালিয়ান সৈন্যদের কাছে সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। যেমনটি এই খারেজি গ্রুপের সদস্যরা ইতিপূর্বে আফগানিস্তানে তালেবান মুজাহিদদের হাত থেকে বাঁচতে কাবুল বাহিনীর কাছে দলে দলে আত্মসমর্পণ করেছিলো।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    খোরাসান | সিআইএ এর কার্যালয়ে হামলা, ৩০০ কুফ্ফার সৈন্য হতাহত

    আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার সিআইএ গোয়েন্দা সংস্থা ও কাবুল সরকারের গোয়েন্দা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন তালেবানের শহিদ ব্যাটালিয়নের ৭ জন মুজাহিদ। এতে গোয়েন্দা সদস্যসহ তিনশতাধিক (৩০০+) সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।

    বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫:৫০ মিনিটের সময় আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে অবস্থিত মুরতাদ কাবুল বাহিনীর প্রাদেশিক সর্ববৃহৎ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে শুরু করে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের শহিদ ব্যাটেলিয়নের একটি দল, এই হামলায় অংশগ্রহণ করেন শহিদ ব্যাটেলিয়নের মাত্র ৭ জন তালেবান মুজাহিদ। কাবুল বাহিনীর এই সামরিক ঘাঁটিতেই ছিলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA (সিআইএ) ও কাবুল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার ২টি কার্যালয়ও। এছাড়াও এই ঘাঁটিতে তখন অবস্থান করছিলো ৪ শতাধিক কাবুল সৈন্য।

    শহিদ ব্যাটেলিয়নের ২ জন মুজাহিদ প্রথমে ২টি গাড়ি ভর্তি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা সামরিক ঘাঁটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২টি ভবন টার্গেট করে শহিদী হামলা চালান। এতে উক্ত ২টি ভবন পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস হওয়া সহ আশপাশের সামরিক ভবনগুলোরও অনেক অংশ ধ্বসে পড়ে। বোমার আঘাতে পুরো ঘাঁটি ও আশপাশ কালো ধোঁওয়ায় ছেয়ে যায়। এইসময় মুজাহিদের শহিদী হামলায় নিহত ও আহত হয় মুরতাদ বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য।

    এরপর বাহিরে অপেক্ষমান বাকি ৫ জন মুজাহিদও ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করেন। তারা ২টি ভাগে পৃথক হয়ে যান এবং কাবুল সরকারের বিশেষ বাহিনী ও গোয়েন্দা ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর শুরু হয় কাবুল বাহিনীর সৈন্যদেরকে টার্গেট করে করে একেরপর এক গুলি করে হত্যা করার বিশেষ মূূহুর্ত। প্রতিমূহুর্তে তালেবানদের শহিদ ব্যাটেলিয়নের উক্ত ৫ জানবাজ মুজাহিদদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকে কাবুল বাহিনীর ডজনকে ডজন সৈন্য।

    এভাবেই চলতে থাকে ঐদিন বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ ঘন্টা যাবৎ তালেবান মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান। এসময়ের মধ্যে এক এক করে ৩ জন মুজাহিদ শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। তবে তাঁরা শাহাদাতের পূর্ব পর্যন্ত কাবুল বাহিনীর অন্ততপক্ষে ৩০০ সৈন্য নিহত ও আহত করেছেন। বাকি একজন মুজিহিদ আহত এবং অপর মুজাহিদ নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরতে সক্ষম হন।

    অভিযান শেষে নিরাপদে ফিরে আসা একজন মুজাহিদ বলেন, আমি নিজে টার্গেট করেই হত্যা করেছি কাবুল বাহিনীর ৪৫ সৈন্যকে।

    উল্লেখ্য যে, দোহা চুক্তির পর ক্রুসেডার আমেরিকা ও কাবুল বাহিনী বারবারই চুক্তি ভঙ্গ করে সাধারণ মানুষ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও হাট-বাজারে হামলা চালিয়েছে। এতে শহিদ ও আহত হয়েছেন অনেক নিরপরাধ মুসলিম। কিছুদিন পূর্বেও মার্কিন বাহিনী চুক্তি ভঙ্গকরে কাবুল বাহিনীর সাথে মিলে তালেবান মুজাহিদদের উপর হামলা চালিয়েছিলো, তখন তালেবান মুখপাত্র কঠিন ভাষায় বলেছিলেন, এইধরণের চুক্তি লঙ্ঘন ও হামলার পরের পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনী।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      তালেবান মুজাহিদ ভাইদের ২৭ অক্টোবরের আক্রমণটি কি ভিডিও হয়েছে??? ভিডিও হয়ে থাকলে আপনাদের হাতে আসার পর আমাদের দেওয়ার অনুরোধ।
      আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদদের বিজয়ের মাধ্যমে মুমিনদের হৃদয়ে প্রশান্তি দান কতুন আমীন।
        দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

        Comment


        • #5
          তাকবীর.. আল্লাহু আকবার..!!
          যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,, ৭জন মুজাহিদের আক্রমণে ৩০০+ আহত নিহত।
            নতুন ইতিহাস বিশ্বে রচিত হচ্ছে।
            বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

            Comment


            • #7
              মাশা-আল্লাহ। আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।

              Comment

              Working...
              X