Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাইখ আবু মহাম্মাদ আল মাকদিসি(হাঃ) এর এক বিশ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাইখ আবু মহাম্মাদ আল মাকদিসি(হাঃ) এর এক বিশ

    শাইখ আবু মহাম্মাদ আল মাকদিসি(হাঃ) এর এক বিশেষ সাক্ষাৎকার (আলরুইয়া চ্যানেলের সাথে)

    প্রশ্নকর্তাঃ ভদ্র মহিলা ও মহোদয় গণ। আপনাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি এই বিশেষ সাক্ষাতকারে, আমাদের সাথে উপস্থিত আছেন সালাফি জিহাদি আন্দোলনের একজন তাত্ত্বিক শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাকদিসি।
    শাইখ মুহাম্মাদ, আপনাকে স্বাগতম!
    আমি প্রথম প্রশ্নটি করছি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে, শহীদ(!) পাইলট “মুয়ায কাসাবেহ” এর সম্পর্কে, আপনি কি এই বিষয়ে মধ্যস্ততার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?
    শাইখ আল মাকদিসিঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ্* রাব্বুল আলামিনের যিনি সমগ্র সৃষ্টি জগতের পালন কর্তা। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম), তাঁর বংশধর এবং তাঁর সাহাবিগণের ওপর।
    হ্যাঁ। যখনই দাওলা সংগঠনটির হাতে জরডানিয়ান পাইলটের বন্দী হওয়ার খবরটি আমার কাছে এসেছে, তখন থেকেই আমি তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়েছি, যাতে এর থেকে একটি শরয়ী সুবিধা অর্জন করা যায়; আমি তাদের মধ্য থেকে বিচক্ষণদের বোঝানোর চেষ্টা করি, আদৌ তাদের মধ্যে যদি বিচক্ষণ কেউ থেকে থাকে, যাতে করে জরডানের পাইলটের বিনিময়ে বন্দি সাজিদা রিশাওয়ীকে হস্তান্তর করতে তারা সম্মত হয়। এবং হ্যাঁ। আমি সেজন্যেই তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম।

    প্রশ্নকর্তাঃ আপনি দাঈশ (আই এস আই এস) এর সাথে এজন্যেই যোগাযোগ করেছিলেন... দাঈশ এই ব্যপারে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল? আদৌ কি তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল?
    শাইখ আল মাকদিসিঃ তাদের সাথে যোগাযোগের পূর্বে আমি ইয়েমেন এবং সিরিয়া, ইসলামিক মাগরিব (মরোক্কো), এবং পুরো পৃথিবীর পূর্ব এবং পশ্চিমে যত মুজাহিদিন রয়েছেন তাদের মধ্য থেকে বিশেষ কিছু ভাইদের সাথে যোগাযোগের উদ্যোগ নেই। এবং আমি যোগাযোগের চেষ্টা করি কুয়েত ও বাহরাইনের বিশেষ কিছু ভাইদের সাথেও। এবং আমি তাদের কাছ থেকে এই বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করি, এবং তারা আমাকে সাহায্য করেন। আল্লাহ্* তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন এবং আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা আমাকে সহোযগিতা করেন চিঠিগুলোর ব্যপারে, যাতে ‘দাওলা’ সংগঠনটির বিচক্ষণ ব্যক্তিদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়া যায় যে পাইলটের বিনিময়ে সাজিদাকে মুক্ত করার এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। ... তারা আমাকে এই বিষয়ে সহায়তা করেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির নাম প্রদান করেও সাহায্য করেন।
    তারা আমাকে বিভিন্ন সক্রিয় ব্যক্তির নাম এবং ঠিকানা দিয়ে সাহায্য করেন যা আমার জন্যে বেশ উপকারী বলে প্রমাণিত হয়, এবং আমি ঐগুলোর অনুসরণে তাদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করি। আমি তানজিমুদ্দাওলার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি। আমি যোগাযোগ করি আবু মুহাম্মাদ আল আদনানির সাথে, বার্তা বিনিময় করি আল বাগদাদির সাথে, শাইখ তুর্কি বানালি এবং অন্যান্য শারিয়া বিশেষজ্ঞদের সাথে... এবং আমি তাদেরকে রাজি করানোর মাধ্যমে এই শর’য়ী সুবিধাটি অর্জন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাই।

    প্রশ্ন কর্তাঃ দাঈশ এই ব্যপারটিতে কতটুকু গুরুত্ব আরোপ করেছিল? এই সকল প্রচেষ্টা এবং যোগাযোগের ব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? তারা কি আপনাকে কোন সাড়া দিয়েছিল? আপনার এবং তাদের মাঝে দৃষ্টান্তমূলক কোন মত বিনিময় হয়েছিল কি?
    শাইখ আল মাকদিসিঃ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমি ভেবেছিলাম তারা তাদের বোনের মুক্তি এবং এই ধরনের শর’য়ী সুবিধা আর্জনের জন্যে উদগ্রিব হয়ে থাকবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ব্যপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া তো ছিলই না বরং তাদের অবস্থান ছিল এর বিপরীত। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার পাঠানো অডিও বার্তাগুলোকে আমলে নেয়নি। আর কেউ কেউ এই বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয় নি... এর ব্যপ্তি এমনই ছিল যে, তাদের একজন, যে আমার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছিল সে আমাকে মিথ্যা বলেছিল... তারা পাইলট মুয়ায কে হত্যা করে ফেলেছিল, এবং সে আমাকে মিথ্যা বলেছিল এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে বলেছিল “আমরা আন্তরিক, এবং আমরা চাই ... এবং আমরা আপনার সাথে সত্যনিষ্ঠ ... এবং আপনি দেখবেন আমরা সত্যবাদি।” আর এর পরই এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে সে একজন মিথ্যাবাদী। এবং আল্লাহ্* বলেনঃ
    “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ্*কে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।”
    এই আয়াতটি জিহাদ এবং মুজাহিদিনদের উল্লেখ করেই নাযিল হয়েছিল। আর জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তির জন্যে এটা কখনই সমীচীন নয় যে সে মিথ্যাবাদী হবে।

    প্রশ্নকর্তাঃ সেই ‘শহীদ’ পাইলটকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, এই কাজটির বিষয়ে আপনার মতামত কী? এবং এই কদর্য পদ্ধতিটি অবলম্বনের পেছনে কী কারণ রয়েছে এবং এই দলটির লক্ষ্য কী?
    শাইখ আল মাকদিসিঃ তারা অনেক কুপ্রথার প্রচলন ঘটিয়েছে।
    প্রথম যে প্রথাটি তারা চালু করেছে এবং যাকে তারা নবি করিম (সাঃ) এর সুন্নাহ হিসেবে দাবি করছে, সেটি হল জবাই করে হত্যা যা তারা সাধারণ মানুষের সামনে বাস্তবায়ন করে।
    তারা তাদের প্রতিপক্ষকে জবাই করে হত্যা করে, তারা জবাই করেছে দলনেতাদের এবং সিরিয়ার মুজাহিদিনদের- যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ ভেবে নিয়েছে যে জবাই করে হত্যা ছিল রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ। এবং তারা এর সপক্ষের দলিল হিসেবে নবি করিম (সাঃ) এর এই হাদিসটিকে ব্যবহার করেঃ “হে কুরাইশ! আমি তোমাদের কাছে এসেছি জবাই সাথে নিয়ে।”
    যখন তারা (কুরাইশ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে উপহাস করেছিল তখন তিনি এই শব্দগুলো ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তারা (দাওলা) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আচরণকে সম্পূর্নরূপে উপেক্ষা করল যা তিনি মক্কা বিজয়ের বছরে তাঁর অধিনস্ত কুরাইশদের প্রতি করেছিলেন। তারা ভুলে গেছে তিনি(সাঃ) তাদের প্রতি কী আচরণ করেছিলেন... তিনি কি তাদের শত সহস্র লোকদের বলেননি- “যাও, তোমরা স্বাধীন” এবং এই কারণেই তারা শত্রু থেকে দীনের অনুসারীতে পরিণত হয়।
    তারা এই উদাহরণটিকে বিবেচনা করে না... তারা সেই কথাগুলো গ্রহণ করে যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন যখন তাকে উপহাস করা হয়েছিল... এবং তারা জবাইকে একটি প্রথায় পরিণত করেছে... তারা দীন এবং জিহাদের আন্দোলনকে রক্তের রঙে রঞ্জিত করেছে।
    তারা এবং তাদের সকলেই, মনে করে যে জবাই এবং হত্যা ছাড়া জিহাদকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মুতা’আর যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদের (রা) সৈন্য বহরের জীবন রক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে আসার বিষয়ে বলেছেনঃ আল্লাহ্* তাকে বিজয় দান করেছেন।” এবং তিনি (সাঃ) এটিকে বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ্* হুদায়বিয়ার সন্ধি কে “একটি বিজয়” বলে উল্লেখ করেছেন।
    “নিশ্চয় আমি আপনার জন্যে এমন একটা বিজয় দান করেছি, যা সুস্পষ্ট।“
    অথচ জবাই আর হত্যা ছাড়াও বিজয় এবং অধিগ্রহণ যে সম্ভব তা তারা বুঝতে পারে না। তারা উপলব্ধি করে না যে বৃহত্তর স্বার্থ অর্জনে এই পদ্ধতিগুলো বিজয় এবং এইগুলোও শরয়ী সুবিধা আর এইগুলোও জিহাদেরই অংশ।
    এবং এই কারণেই যখন তারা প্রথম জবাই করে হত্যার প্রচলন করে তখন তারা তাদের বিরোধী দলের অসংখ্য ব্যক্তিকে জবাই করল এবং তা টেলিভিশনের পর্দায় প্রচার করতে শুরু করল যতক্ষণ পর্যন্ত না সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে প্রশ্ন করল, “এটাই কি ইসলাম?”
    আর আমাদের বাধ্য করা হল ইসলামের আদর্শ রক্ষা করতে এবং পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিতে যে এগুলো দীনের অংশ নয়।
    তারা মুজাহিদিনদের জবাই করেছে এবং জবাই করেছে অসংখ্য মানুষ... ফুলের মত যুবকদের...
    তারা যাদেরকে হত্যা করেছিল সেই মানুষগুলো কারা এবং কেন তাদেরকে হত্যা করা হল এর প্রকৃত কারণ জনগণের কাছে স্পষ্ট রূপে প্রকাশ করা হয় নি।
    জনগণ শুধু দেখতে পায় জবাই করে নৃশংস ভাবে হত্যা এবং তারা (দাওলা) বলে “এরা তো মুরতাদীন”।
    মানুষের সামনে কোন বিচার কার্য সম্পাদিত হয় না এমনকি তারা কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত হতেও দেখে না, তারা শুধু জবাই করে হত্যাকান্ডই অবলোকন করে।
    আর তারা এই কুপ্রথা প্রতিষ্ঠা করে এবং ঠিক এরপরই আমাদেরকে বিস্মিত করে আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেয়ার প্রথাটি চালু করে... এবং এখন থেকে পুড়িয়ে হত্যা করে মানুষ তাদেরকে অনুসরণ করা শুরু করবে অথচ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
    “আগুনের স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ আগুন দ্বারা শাস্তি দেবে না।“
    তারা দলিল হিসেবে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রঃ) এর একটি বক্তব্যের কিয়দাংশ তুলে ধরে এবং সেই অংশের পূর্বের এবং পরের কথাগুলো ছুড়ে ফেলে দেয়। তারা শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর বক্তব্যকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিসের ওপর প্রাধান্য দেয়।
    এটাই কি সালাফিয়্যা? তারা নিজেদের বলে সালাফি জিহাদি... সালাফি জিহাদিরা এই ধরনের আচরণ থেকে মুক্ত... আগুনে পুড়ানো... রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই কাজ নিষেধ করেছেন এবং তিনি বলেছেনঃ “আগুনের স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ আগুন দ্বারা শাস্তি দেবে না।“ ... এবং তারা কী অর্জন করছে? ... তাদের এই কাজ তাদের কী উপকারে আসছে?
    তারা কি ভেবেছিল যে এই পাইলটকে পুড়িয়ে হত্যা করলেই বম্বিং থেমে যাবে এবং যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে?
    আমি নিশ্চিত যে জরডানে আমাদের সাথে অবস্থানরত তাদের বিচক্ষণ অনুসারীরা এখন খুব ভালোভাবে জানতে পারবে যে তাদের নির্বোধের ন্যায় এহেন কার্যকলাপ কতটা ক্ষতি করেছে।
    আর যখন, সাজিদা আর আল-কারবুলির মৃত্যু দন্ড দেয়া হল বলে জানলাম, আমি বলতে চাই, এর সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব তানজিমুদ্দাওলার ওপরই বর্তায়। কারণ তারা সাজিদার নাম ভাঙ্গিয়ে এবং তাকে মুক্ত করার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন চুক্তি করতে চাইছিল অথচ তারা এই ব্যপারে একদমই আন্তরিক ছিল না।
    তারা আমার কাছে মিথ্যা বলেছিল এবং মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করেছিল অথচ ইতিমধ্যে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে তারা আগেই পাইলটকে হত্যা করে ফেলেছিল।
    তোমরা কেন মিথ্যা বল যখন আল্লাহ্* বলেনঃ “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো।”
    তোমরা কেন আমার সাথে যোগাযোগের সময় সততা রক্ষা করলে না?

  • #2
    বাকি অংশ নিচের কমেন্টে........

    Comment


    • #3
      .........অবশিষ্ট অংশ

      প্রশ্নকর্তাঃ অনুমতি চাইছি পরবর্তী প্রশ্নের... দাঈশ দাবি করে তারা ইসলামের প্রতিনিধি এবং তারা একটি খিলাফা রাষ্ট্র... এই ব্যপারে সালাফি জিহাদি আন্দোলনের দৃষ্টিভঙ্গি কী... তারা কি এটাকে খিলাফা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
      শাইখ আল মাকদিসিঃ আমরা তাদের সীমা লঙ্ঘন এবং তাদের ভ্রান্তির ব্যপারে বহু বার কথা বলেছি... আমরা শুরুর দিকে তাদেরকে সতর্ক করেছিলাম এবং তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতির মাত্রা এতটাই প্রকট ছিল যে এক পর্যায়ে লোকজন নানা কথা বলতে শুরু করল... তারা মুহাম্মাদের (আমার) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলঃ “আপনি তো দাওলার ওকালতি করছেন”... এটি সেই সব ভাইদের কথা যারা তানজিমুদ্দাওলার বিপথগামিতা আর ভ্রান্তির বিষয়ে অবগত ছিল।
      এবং আমার কিছু বক্তব্যে আমি নমনীয় ছিলাম কারণ আমি জানি অসংখ্য তরুণ যারা নিজের দেশ ছেড়ে নিদারুন কষ্ট স্বীকার করে সীমানার ওপারে পাড়ি জমিয়েছে... খিলাফা এবং ইসলামিক রাষ্ট্র এই ধরনের শব্দগুলো ব্যবহার করে তাদেরকে প্রতারিত করা হয়েছে... এবং তারা খিলাফা নামধারী যে কোন কিছুতেই যোগদানে বা তার সমর্থনে মরিয়া হয়ে ওঠে।
      খিলাফার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ, অপেক্ষা করছে জিহাদি আন্দোলনের সন্তানেরা । তারা ব্যকুল হয়ে রয়েছে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য আর তাই তরুণেরা পৃথিবীর আনাচে কানাচে থেকে এসেও তাদের সাথে যোগদান করছে।
      আমি এই অসহায় তরুণদের আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছি না, যারা প্রতারিত হচ্ছে এবং তাদের সাথে যোগদান করছে... কিন্তু যখন তাদেরকে জোর পূর্বক অন্য মুজাহিদ ভাইদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়... তখন যারা পালানোর সুযোগ পায় তারা পালিয়ে যায়... এবং তাদের মধ্যে যারা সত্য উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হয় তাদেরকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়।
      আমরা আগেই বলেছি যে এটি খিলাফার প্রকৃত চিত্র নয়।
      কারণ খিলাফার প্রকৃত লক্ষ্য হল মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা।
      যখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মুয়ায এবং আবু মুসা আল আশারিকে ইয়েমেনে প্রেরণ করলেন, তখন তিনি তাদেরকে কী বলেছিলেন?
      তারা ছিলেন দুই জন এবং দুজনের মধ্য থেকে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করা অপরিহার্য নয়। দলনেতা নির্বাচন করা আবশ্যক হয় তখনই যখন এর সংখ্যা তিন বা তিনের অধিক হয়... যদিও তাদের জন্য নেতা নির্বাচন করা অপরিহার্য ছিল না তারপরও তিনি তাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন নেতৃত্বের সুফল ভোগ করার। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেনঃ “একতাবদ্ধ হয়ে কাজ কর, এবং নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি কোর না, উৎসাহিত করো , নিরুৎসাহিত কোর না।”
      রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর উপদেশের দিকে লক্ষ্য করুন... তাদের মধ্যে একজন নেতা নির্বাচন করা তাদের জন্যে আবশ্যক ছিল না। তবুও তিনি (সাঃ) তাদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন যাতে তারা নেতৃত্বের সুফল উপলব্ধি করতে পারে। বস্তুত নেতৃত্বের মাধ্যমে অর্জিত সুফল নেতৃত্ব প্রদানের থেকে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ নেতৃত্ব দেয়া আবশ্যক নয় যদি না এর মাধ্যমে নেতৃত্বের প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন করা যায়, নেতৃত্বের সুফল বলতে ঐক্যবদ্ধ করা, পরস্পরের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা নয়; সহজ করা এবং জটিল করা নয়; উৎসাহিত করা, নিরুৎসাহিত করা নয়... হাদিসে এভাবেই বর্ণিত হয়েছে।
      এখন এই যে নেতৃত্বের সুফল... যখন আমি দাবি করছি যে আমি খিলাফা অথবা একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি অথচ এই নেতৃত্বের মাধ্যমে আমি কোন সুফল বয়ে আনছি না। আমি মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করছি এবং জবাই ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করাকে ইসলামের চরিত্র রূপে উপস্থাপন করছি এবং সত্যিকার অর্থে এর দ্বারা কোন সুফল অর্জন করতে পারিনি অথচ আমি চাইছি যে মানুষ আমাকে বায়াহ্* দেক। এবং আমি পূর্ব ও পশ্চিমের মুসলমানদের নেতৃত্বের বিন্যাসকে ভেঙে দিয়েছি এবং আমি চাইছি তারা আমাকে বায়াহ প্রদান করুক অথচ খেলাফার সুফল অর্জনের দিকে আমি ভ্রুক্ষেপও করছি না। যদিও আমি মুসলিম উম্মাহর জন্যে খিলাফার কোন সুফলই বয়ে আনছি না।
      আপনি মুসলিমদের নেতৃত্বের বিন্যাসকে ভেঙে দিচ্ছেন এবং দীনের ক্ষতি সাধন করছেন আপনার এই জবাই, এই আগুনে পোড়ানো এবং সর্বোপরি এই ভূমিকার মাধ্যমে।
      আমি বিস্মিত!! তাদের মধ্য থেকে একজন আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল, সে “আমার শাইখ, আমার শাইখ” বলে আমাকে সম্বধন করছিল এবং বলছিল “আমরা এই ব্যপারে আন্তরিক” অথচ সে আমার সাথে মিথ্যে বলেছিল। তারা পাইলট মুয়াযকে প্রথম সপ্তাহেই হত্যা করে অথচ সে কসম করে বলেছিল যে তারা এ ব্যপারে আন্তরিক কিন্তু তারপরই আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল যে সে মিথ্যে বলছিল। সুস্পষ্ট মিথ্যে...
      তুমি আমাকে “আমার শাইখ” বলে আন্তরিক ভাবে সম্বোধন করলে আর ঠিক তারপরই বললে যে তুমি মিথ্যে বলছিলে জরডান রাষ্ট্রের কাছে। কিন্তু সেটা তো আমি ছিলাম যার সাথে তোমরা যোগাযোগ করছিলে... আমি মুহাম্মাদ। তোমরা তো রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করছিলে না... তোমরা যোগাযোগ করছিলে আমার সাথে আর তোমরা আমাকে মিথ্যে বলেছ। আর এরপর আমি প্রচন্ড ধাক্কা খেলাম পাইলটকে পুড়িয়ে হত্যা করার খবরে।... পুড়িয়ে হত্যা?! এটা কি সুন্নাহ? রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এটাকে নিষেধ করেছেন। এবং তোমরা শাইখুল ইসলামের ফাতওয়াকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ওপর প্রাধান্য দিয়েছ।
      আমি তাদেরকে লেখা আমার চিঠিতে উল্লেখ করেছি যে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রঃ) বলেছেন লাভ ক্ষতির হিসেব কষা আলেমদের কাজ নয়, বরং একজন আলেম একাধিক লাভের মধ্যে থেকে আসল লাভটি বের করে আনে আর একাধিক ক্ষতির মধ্য থেকে কোনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে হবে তা পরিমাপ করেন ... এবং এটাই একজন সত্যিকার আলেমের কাজ যেমনটা শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেছিলেন।
      এটিকে তারা আমলে নেয় নি, তারা শাইখুল ইসলামের বক্তব্যের ততটুকুই গ্রহন করেছে যতটুকু তাদের মনঃপুত হয়েছে। তারা শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যার বক্তব্য থেকে এটাই নিয়েছে যে, আগ্রাসন প্রতিরোধের জন্যে পুড়িয়ে হত্যা করা অনুমদিত... তারা কি সত্যিই আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে? ... এই যে তারা মুয়ায আল কাসাবাহ কে পুড়িয়ে হত্যা করল, এটা কি সেই আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করতে পেরেছে যা তারা প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল?
      শত্রুজোট এখন তাদের আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, জরডানের জনগণ এখন বম্বিং আরও বৃদ্ধি করার জন্যে চাপ প্রয়োগ করছে, কারণ তারা এমন একটা বিষয় দেখছে যা না শারিয়া দিয়ে আর না যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায়... এই আগুনে পোড়ানো... কেন তোমরা পুড়িয়ে দিচ্ছ? ... এবং সেই আলেমরা যাদেরকে তোমরা শাইখ ডাকতে... তোমরা আমাদের প্রত্যাশাকেও পুড়িয়ে ফেলেছ। সাজিদাকে মুক্ত করার আমাদের যে আশা ছিল তোমরা তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছ ... এবং তোমরাই তার মৃত্যুর জন্যে দায়ী।

      প্রশ্নকর্তাঃ যদি দায়েশ ইসলামের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে থাকে তাহলে এই দলটির চিন্তাধারা কীসের ওপর নির্ভর করে আছে?
      শাইখ আল মাকদিসিঃ দুঃখের বিষয়, তাদের নেতৃত্বের প্রকৃতির দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় যে তাদের বেশির ভাগ নেতাই তরুণ এবং তারা ইসলামে নতুন দীক্ষিত হয়েছে। এই তো সেই দিন পর্যন্ত তারা ছিল বাথিস্ট- দায়েশে যারা জ্যেষ্ঠ, কিছু কাল আগেও তারা ছিল বাথিস্ট।
      অবশ্য তারা বলবে, “ হে ভাইয়েরা, আল্লাহর তরবারি (খালিদ বিন ওয়ালিদ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ছিলেন এবং তিনি ছিলেন জিহাদের দলনেতাদের মধ্যে অন্যতম। যদিও কিছুকাল আগেও তিনি কুরাইশদের পক্ষেরই যোদ্ধা ছিলেন।”
      আমরা বলি, তিনি ইসলামে পুরোপুরি দীক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত এবং তার ইসলাম পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আল্লাহর তরবারির মর্যাদা লাভ করেন নি। এবং তার ব্যপারে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে, তিনি আল্লাহর কোষমুক্ত তরবারি।

      এই তো সেই দিন তোমরা ছিলে বাথিস্ট যারা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছিলে তাদেরকে হত্যা করছিলে আর আজকে তোমরা “খিলাফা রাষ্ট্রের” নেতা বনে গেছ। এটা কেমন খিলাফা??
      আর যেমনটা আমি আপনাকে বলছিলাম, খিলাফার মূল লক্ষ্য হল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করা; পরস্পরে বিভেদ সৃষ্টি করা নয়; সহজকরা এবং জটিল করা নয়; উৎসাহিত করা, নিরুৎসাহিত করা নয়। তারা ঠিক এর উল্টোটা করছে। অতএব এই ব্যপারটি শুধু নামের ব্যপার নয়, এটি বাস্তবিক প্রয়োগের সাথে সম্পৃক্ত।
      আমি নিজেকে খিলাফা নাম দিলাম। অথচ এরপর খিলাফা প্রতিষ্ঠার জন্যে নেয়া সব পদক্ষেপকে ধবংস করে দিলাম...?
      তারা তরুণদের অনুভূতির সাথে খেলা করছে, এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই যে তরুণেরা তাদের প্রতারণার জালে আটকা পড়ে পৃথিবীর আনাচে কানাচে থেকে এসে তাদের সাথে যোগদান করছে। মুলত এদের কথাই মাথায় রেখে কিছু সময় আমি তাদের উদ্দেশ্যে নমনীয় বক্তব্য রেখেছিলাম এবং আমি বলেছিলাম যে আমি এই প্রতারিত হওয়া তরুণদের ব্যপারেই চিন্তিত।
      এই কারণেই আমি বলি যে বাস্তবিক অর্থেই এরা জিহাদের এই আন্দলনকে বিনষ্ট করছে এবং এর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। এবং প্রায় প্রতিদিনই তারা আমাদের সামনে নতুন কোন বিদ’আ এনে হাজির করছে। তারা শুরু করেছিল জবাই দিয়ে এবং এখন আগুনে পোড়াচ্ছে।
      আমি বলতে চাই যে বাস্তবিক অর্থেই এর সাথে ইসলামের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই এবং এর সাথে সালাফি জিহাদি আন্দলোনেরও কোন সম্পর্ক নেই। এদের এই সকল দায় থেকে সালাফি জিহাদিরা মুক্ত।
      এবং একজন মুজাহিদের মিথ্যাবাদী হওয়া কখনওই সম্ভব না। এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তারা আমার সাথে মিথ্যা বলেছিল এবং সব কাজ পিছিয়ে দিচ্ছিল আর এই শরয়ী সুবিধাটি নেয়ার ক্ষেত্রে যখন আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করছিলাম, তারা আমার সাথে চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছিল, তারা এমন ভান করছিল যে তারা এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক, অথচ আল্লাহর শপথ করে বলছি, তারা মোটেও আন্তরিক ছিল না।
      আল্লাহর শপথ! তারা যে সাজিদার ব্যপারে অবিবেচক ছিল এবং মোটেও আন্তরিক ছিল না তার বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে রয়েছে, আমি চাইলেই তা উপস্থাপন করতে পারব। এবং শেষের দিকে, তারা এমন ভান করল যে তারা আন্তরিক অথচ ইতিমধ্যে তারা পাইলটকে হত্যা করে ফেলেছে এবং তারা মিথ্যা বলছিল।

      বাকি অংশ নিচে......

      Comment


      • #4
        ...... সর্বশেষ অংশ
        প্রশ্নকর্তাঃ শাইখ মুহাম্মাদ এই সাক্ষাতকার শেষ করার আগে আপনি কি এর সাথে আর কিছু যোগ করতে চান?
        শাইখ আল মাকদিসিঃ হ্যাঁ। আমাকে এই সাক্ষাতকারে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সাথে সাথে তা গ্রহন করেছি কারণ এটা একটি জরডানিয়ান চ্যানেল এবং আমি চাই যে আমার এই কথাগুলো জরডানের সকল জনগণের কাছে পৌছে যাক। এর কারণ, তারা যেই চিত্রটি দেখেছে এবং যে সকল জিনিস তাদের চক্ষু গোচর হয়েছে... এর কারণেই তাদের পক্ষ থেকে বর্তমানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুতরাং তারা যেন এটা অনুধাবন করতে পারে যে, তানজিমুদ্দাওলা সালাফি জিহাদিদের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং সালাফি জিহাদি আন্দোলন এদের কার্যকলাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
        আমি নিশ্চিত করছি যে দুনিয়ার পূর্ব এবং পশ্চিমের মুজাহিদ, ফুকাহা এবং জিহাদের নেতাদের মধ্য থেকে সকল বিজ্ঞজন এই বন্দী বিনিময়ের ব্যপারে অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন এবং তারা আমাকে দাওলা সংগঠনটির সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করেছিল কিন্তু দাওলা সেটি চায় নি। কারণ তারা অনেক আগেই পাইলটকে হত্যা করে ফেলেছিল এবং তারা যখন আমার সাথে যোগাযোগ করছিল তখন মিথ্যে বলছিল।
        আর এ কারণেই আমি বলি যে, মানুষ এই দলটি দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে এবং এর কারণ হল মুসলমানরা আকাঙ্ক্ষা করে বসে আছে একটি জিনিসের জন্যে যার নাম খিলাফা এবং ইসলামিক রাষ্ট্র। এবং দাওলা এই দুটি মহান পরিভাষা ব্যবহারে খুবই সিদ্ধহস্ত, যা বস্তুত প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরেই গেঁথে রয়েছে। তারা এটিকে ব্যবহার করছে তরুণদের প্রতারিত করতে যা মূলত বিদ্রুপ ছাড়া কিছুই নয়। এবং আমি আমার বক্তব্য শেষ করব একটি উদাহরণ দিয়ে।
        যখন অন্ধকার প্রলম্বিত হয়... এবং নিঃসন্দেহে সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানরা এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত এবং তাদের শত্রুদের দ্বারা তারা যুলুমে নিষ্পেষিত ...আর এই প্রলম্বিত অন্ধকার তৈরি করছে হতাশা... মানুষ অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করে আছে একটি নতুন ভোরের। এবং যে মানুষটির বসবাস অন্ধকারে সে যে কোন আলোক রশ্মি দেখলে তাকেই ভোরের আলো ভেবে ভুল করে।
        এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, ভোর দুই রকম- মিথ্যে ভোর (সুব্*হে কাযিব) এবং সত্য ভোর (সুব্*হে সদিক)। আর মিথ্যে ভোরের সময় সালাত আদায় করা নিষেধ।
        আর এই মানুষগুলো মনে করছে যে এরাই সুবহে সাদিক এবং তারা মনে করছে যে তারাই খিলাফা এবং তাই এরা তাদের সাথে যোগদান করছে।
        এবং সূক্ষ্ম ভাবে বিবেচনা করলে তারা অনুধাবন করতে পারবে যে বাস্তবিকই এটা ফজরে সদিকান বা সত্য ভোর নয় বরং এটা ফজরে কাযিবান মিথ্যে ভোর,
        এবং যারা সঠিক সময় উপনীত হওয়ার আগে কোন লক্ষ্য অর্জনে ব্যতিব্যস্ত হয়, শাস্তি হিসেবে তারা সেই লক্ষ্য হতে বঞ্চিত হয়।
        আর আমরা এতটুকুও হতাশ নই এবং আমরা অপেক্ষা করছি সত্যিকারের সেই ভোরের যার আগমন ঘটবে আল্লাহ্* রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে। কিন্তু এদের মত একরোখাদের মাধ্যমে নয়। বরং তাদের মাধ্যমে যারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস সম্পর্কে অবগত এবং যারা এর সম্মান করতে জানে। এবং মানুষের বক্তব্যকে এর ওপরে প্রাধান্য দেয় না।

        প্রশ্ন কর্তাঃ শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসি , সালাফি জিহাদি আন্দোলনের তাত্ত্বিক, এই সাক্ষাতকারে অংশগ্রহণ করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
        সুত্রঃ Monthly Risalah Shaban 1436 A.H. (jun , 2014)

        Comment


        • #5
          মাশাল্লাহ অাখি। অাল্লাহ অামাদের হাক্বের সাথে থাকার তাওফিক দিন।
          অাখি অাপনি কি মুল লেখার একটা লিংক এখানে দিতে পারেন, তবে অনেক ভাল হবে ইনশাল্লাহ।

          জাঝাকাল্লাহ
          কাফেলা এগিয়ে চলছে আর কুকুরেরা ঘেঊ ঘেঊ করে চলছে...

          Comment

          Working...
          X