Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৮ || “এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন!” ।। কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ || প্রথম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৮ || “এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন!” ।। কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ || প্রথম পর্ব

    আল হিকমাহ মিডিয়া পরিবেশিত
    “এবং মুমিনদের উদ্বুদ্ধ করুন!”
    ।।কমান্ডার সাদ বিন আতিফ আল-আওলাকি হাফিযাহুল্লাহ ||
    এর থেকে– প্রথম পর্ব
    الحمد لله الذي جعل العزة في الجهاد قامعا به أهل الكفر والفساد، ومعزا به الإسلام فوق رؤوس الأضداد


    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জিহাদের মাধ্যমে গৌরব দান করেছেন, এর দ্বারা কুফর ও ফাসাদকারীদের দমন করেছেন এবং ইসলামকে শত্রুদের মাথার উপর সমুন্নত করেছেন।

    আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই।

    প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর সুপ্রতিষ্ঠিত কিতাবে বলেছেন:
    أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ


    যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ তাদের উপর জুলুম করা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সর্বশক্তিমান। (তারাই) যাদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে, শুধু এ কারণে যে তারা বলে, ‘আমাদের রব হলেন আল্লাহ’...” [সূরা আল-হাজ্জ (২২), আয়াত: ৩৯-৪০]

    পরাক্রমশালী যেই আল্লাহ আরো বলেছেন:

    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا


    তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং দুর্বল নর-নারী ও শিশুদের জন্য যুদ্ধ করছো না, যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে উদ্ধার করুন, যার অধিবাসীরা জালিম। আর আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করুন এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন রক্ষাকারী দিন’? [সূরা আন-নিসা (৪), আয়াত: ৭৫]

    আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক, যিনি বলেছেন:
    بعثت بالسيف بين يدي الساعة حتى يعبد الله لا شريك له وجعل رزقي تحت ظل رمحي وجعل الذل والهوان على من خالف أمري ومن تشبه بقوم فهو منهم


    আল্লাহ তাআলা আমাকে কিয়ামতের পূর্বে তরবারি সহকারে প্রেরণ করেছেন, যাতে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা হয় এবং তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করা হয়। আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়ায়। আর যে আমার আদেশ অমান্য করবে, তার উপর অপমান ও লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখবে, সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে।” (সহীহ হাদীস – আবু দাউদ, হাদীস: ৪০৩১; আহমাদ: ৫১১৪; ইবনু আবী শাইবা প্রমুখ)
    الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا
    وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ


    আবু মুসা আল-আশআরি (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:


    এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য দালানের মতো, যার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে” এবং তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলো পরস্পর জড়িয়ে দেখালেন। [সহিহ বুখারি: হাদিস নং ২৪৪৬; সহিহ মুসলিম: হাদিস নং ২৫৮৫]

    নুমান ইবনে বশীর (রাযিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন
    مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ، مَثَلُ الْجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى


    মুমিনদের পরস্পরের ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দৃষ্টান্ত হলো একটি শরীরের মতো। যখন শরীরের কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তখন শরীরের অন্যান্য অঙ্গসমূহ জেগে ওঠে ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।” [ সহীহ আল-বুখারী, হাদিস নম্বর: ৬০১১; সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ২৫৮৬]

    হামদ ও সালাতের পর..

    পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র মুসলিম উম্মাহর প্রতি, এই পৃথিবীর বুকে বসবাসকারী দুই শত কোটি মুসলিমের প্রতি—আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া ওয়াবারাকাতুহু

    প্রিয় উম্মাহ ! গাজায় আজ যা ঘটছে, তা থেকে আপনারা অবগত আছেন—এটি হলো জিহাদ, ত্যাগ, ধৈর্য ও সংগ্রামের এক অগ্নিপরীক্ষা। এটি একটি জঘন্য, নিষ্ঠুর, হিংস্র ও নোংরা বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী-ক্রুসেড-যুদ্ধ, যা আধুনিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই যুদ্ধে সকল নীতি নৈতিকতা, নিষিদ্ধ বিষয়, যুদ্ধের প্রচলিত রীতিনীতি, মূল্যবোধ ও পবিত্র সীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে—যেগুলো সাধারণত যুদ্ধের সময়ও সংরক্ষিত থাকে, এমনকি জাহেলিয়াতের যুগের যুদ্ধেও এগুলো লঙ্ঘন করা হতো না। যেমন—নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা নিষিদ্ধ, পানি, খাদ্য ও ঔষুধ সরবরাহ বন্ধ করা নিষিদ্ধ ইত্যাদি নীতি।

    আজ আমরা গাজায় যা দেখছি, তা ধ্বংস ও সর্বনাশের দিক থেকে ইতিমধ্যে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত আমেরিকার পারমাণবিক বোমার চেয়ে তিন গুণ বেশি ক্ষতিকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে। গাজায় যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণরূপে একটি বিশ্বব্যাপী জায়নবাদী ক্রুসেডার যুদ্ধ, যা সর্বোচ্চ হিংস্রতা, মৃত্যু ও ধ্বংসের সকল অস্ত্র নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আকাশ ও সমুদ্র থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ দ্বারা, আর স্থল থেকে কামান, ট্যাংক ও নানান ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে।

    হে পৃথিবীবাসী! গাজায় শহীদদের মৃতদেহ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে—কোনোটির মাথা নেই আবার কোনোটির অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। গাজায় বসবাসকারীদের মাথার ওপর বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন দশজন, কখনও শতাধিক শহীদ হচ্ছেন। গাজায় মানুষদের জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হচ্ছে তাদের জীর্ণ তাঁবুতে ঘুমন্ত অবস্থায়। তাদের বাড়িগুলো মাইন ও বিস্ফোরক দিয়ে ভরাট করে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা আর কখনও সেখানে ফিরে যেতে না পারে।

    রাফাহ ও শুজাইয়া থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বাইত হানুন, লাহিয়া, জাবালিয়া ও খান ইউনুস খালি করা হচ্ছে, যাতে সমগ্র গাজা দখল করা যায়। এই সকল অবস্থার মোকাবেলায় আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ঘুমাচ্ছে—আশ্রয়হীন। ক্ষুধায় মৃত্যু আর বোমাবর্ষণে মৃত্যুর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে, আর উভয় প্রকার মৃত্যুই শিশু ও বৃদ্ধদের তাড়া করছে। তাদের কাছে নেই রুটি, নেই খাবার, নেই ঔষুধএমনকি কাফনেরও সংকট, দাফনের জায়গাও নেই—কবরস্থানগুলো শহীদে পরিপূর্ণ, আর মাটি ধ্বংসস্তূপ ও বিশাল বিশাল গর্তে ভরা। এই সর্বনাশা ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে আমেরিকান তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে, যা মানুষের দেহ ও পাথর পর্যন্ত গুঁড়ো করে দিচ্ছে।

    হে প্রিয় মুসলিম উম্মাহ ! আমি এখানে দৈনন্দিন যন্ত্রণা ও যুদ্ধের বিবরণ দীর্ঘায়িত করতে আসিনি, কারণ তা সকলেরই জানা। আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যাতে আমরা সবাই আমাদের অবহেলা, দেরি ও প্রস্তুতির অভাবের ভয়াবহতা বুঝতে পারি। আমরা একথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমরা হলাম মুসলিম উম্মাহ—রহমত ও জিহাদের নবীর প্রিয় উম্মত। আমি এখানে শোককে নতুন করে জাগ্রত করতে বা আপনাদের সামনে বেদনাদায়ক স্মৃতিগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে আসিনি। আপনারা প্রতিটি মুহূর্তে যা দেখছেন ও শুনছেন, তার একটি মাত্র দৃশ্যই আপনাদেরকে দলে দলে ও একাকী, হালকাভাবে ও গভীরভাবে আমাদের আকসা, আমাদের কুদ্স, আমাদের পবিত্র ভূমি, আমাদের পরিবার এবং আমাদের ভাইদের কাছে—গাজার মুসলিমদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই গাজাবাসী ইজ্জত ও ত্যাগের মর্যাদা নিয়ে আজ এক নির্মম গণহত্যার শিকার।

    যদিও আমরা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দৃশ্য এবং ট্র্যাজেডিগুলো দেখি—যা অডিও ও ভিডিওতে ধরা পড়েছে—তবুও আমরা ভালো করেই জানি যে, সেখান থেকে যা প্রচারিত হচ্ছে, তা বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সামান্য অংশমাত্র। ক্যামেরার লেন্সের বাইরেও অনেক কিছু ঘটে চলেছে। তাই আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি, গাজা এবং অন্যান্য অঞ্চলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে এবং কী অবস্থা অচিরেই আসতে চলেছে—যদি আমরা দ্রুত পদক্ষেপ না নিই এবং এক উম্মাহ হিসেবে, এক দেহের মতো, ঐক্যবদ্ধভাবে না এগিয়ে আসি।

    আমরা মুমিন হিসেবে আমাদের স্রষ্টার উপর আস্থা রাখি, আমাদের রবের সাহায্যের উপর বিশ্বাস রাখি এবং আমাদের মাবুদের ওয়াদার উপর একিন রাখি—যার ওয়াদা কখনও ব্যর্থ হয় না এবং যার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়।

    আল্লাহ তাআলা বলেন:

    إِنَّا لَنَنصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ


    অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণ ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীরা দাঁড়াবে, সেদিন সাহায্য করবো। [সূরা গাফির (৪০): আয়াত ৫১]

    তিনি আরও বলেন:

    وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ • إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ • وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ


    অর্থ: আর অবশ্যই আমার বান্দা রাসূলদের জন্য আমার বাণী পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে গেছে যে, নিশ্চয়ই তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। এবং নিশ্চয়ই আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে। [সূরা আস-সাফফাত (৩৭): আয়াত ১৭১-১৭৩]

    হে প্রিয় আহত ও নির্যাতিত উম্মাহ, আল্লাহর কসম! আমাদের সম্মানিত নেতারা (আল্লাহ তাদের কবুল করুন) কতবার আপনাদেরকে ডাক দিয়েছেন? কতবার তারা একের পর এক সমাধান উপস্থাপন করেছেন? কতবার তারা একের পর এক উপদেশ দিয়েছেন এবং বের হওয়ার পথ দেখিয়েছেন—যে সংকটে আমরা তখন ছিলাম এবং আজও আছি?

    যদি আপনারা চান, তাহলে ময়দানের আলিমদের বাণী—বিশেষ করে মুজাদ্দিদ শায়খ আবদুল্লাহ আযযাম, মুজাদ্দিদ শায়খ ওসামা বিন লাদেন, হাকিম শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরি এবং আল-কায়েদার (আরব উপদ্বীপ ও অন্যান্য অঞ্চলের) নেতৃত্ববৃন্দ—তাদের বাণীগুলো আবার মনোযোগ দিয়ে পাঠ করে দেখুন।





    আরও পড়ুন​
    Last edited by tahsin muhammad; 3 days ago.

  • #2
    আপনারা প্রতিটি মুহূর্তে যা দেখছেন ও শুনছেন, তার একটি মাত্র দৃশ্যই আপনাদেরকে দলে দলে ও একাকী, হালকাভাবে ও গভীরভাবে আমাদের আকসা, আমাদের কুদ্স, আমাদের পবিত্র ভূমি, আমাদের পরিবার এবং আমাদের ভাইদের কাছে—গাজার মুসলিমদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই গাজাবাসী ইজ্জত ও ত্যাগের মর্যাদা নিয়ে আজ এক নির্মম গণহত্যার শিকার।
    আহ! কিছুই যেন আমাদের ঘুম ভাঙ্গাতে পারছে না
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment

    Working...
    X