আমরা কি আজও বসে থাকা লোকদের সাথে বসে থাকবো!
মুসলিম উম্মাহ আজ পুরো বিশ্বে কঠিন সময় পার করছে। দুচোখ তুলে তাকালে আমরা দেখতে পাই ফিলিস্তিনে আমরা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন, কাশ্মীরে আমাদের ভাই-বোনরা জিম্মি, ভারত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দখল করে আমাদের গণহত্যা চালিয়ে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, ফ্রান্স প্রকাশ্যে আমাদের ধর্মীয় রীতিনীতি নিষিদ্ধ করেছে। ফিলিস্তিনকে কেন্দ্র করে আমেরিকাসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কালো মুখোশ উম্মোচিত হয়েছে।
রাশিয়া ও চীন ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়েছে, এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। চীনের উইঘুর মুসলিম ভাইদের আর্তনাদ শুনতে কি পাই না নাকি রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা ভুলে গেলাম। তারা তো শুধু বিরোধীতার সার্থে পক্ষ নিয়েছে। মুসলিম উম্মাহ জেগে উঠলে, অবস্থা বেগতিক দেখে অচিরেই তারা একত্রিত হবে এবং মুসলিম উম্মাহকে হত্যার জন্য একে অপরকে আহবান করবে, যেমন করে প্লেটের চারিপাশে বসে লোকজন খাবার আহার করার জন্য আহবান করে।
আমরা এতো কিছু দেখার পরও কি বসে থাকা লোকদের সাথে বসে থাকবো ! আল্লাহ তা’লা কোরআনে বলেন,
“আর যদি তারা বের হওয়ার সংকল্প নিতো, তবে অবশ্যই কিছু সরঞ্জাম প্রস্তুত করতো। কিন্তু তাদের উত্থান আল্লাহর পছন্দ নয়, তাই তাদের নিবৃত রাখলেন এবং আদেশ হলো বসা লোকদের সাথে তোমরা বসে থাকো”। (সুরা আত তাওবা: ৪৬)
যদি আমরা সংকল্পই করি আল্লাহর সৈনিক হবো, এ জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য বের হবো তাহলে কেনো আমরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুয়াযী সরঞ্জাম প্রস্তুত করছি না বা সামর্থ্য অনুয়াযী প্রস্তুতি গ্রহণ করছি না? নাকি আল্লাহ আমাদের উত্থান পছন্দ করছেন না?
নিশ্চয় আল্লাহ কোন কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করেন। (সূরা রা’দ: ১১)
আমরা যারা জিহাদী সাইটগুলো ভিজিট করি তারা অধিকাংশ সময় হতাশাই ভুগি এই ভেবে যে এখানে তো তেমন লেখালেখি হয় না, তেমনটা কেউ ভিজিটও করে না। ভেবেই নিই বাংলাদেশে তেমন কাজ হচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পর ইদাদ ছেড়ে দিই, পড়াশুনা ছেড়ে দিই, মুসলিম ভাইদের উৎসাহ প্রদান করা ছেড়ে দিই, এক কথায় সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টা ছেড়ে দিই।
অথচ আল্লাহ তা’লা কোরআনে বলেন,
“আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলিমদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন (জিহাদের জন্য) [সুরা আন-নিসা: ৮৪]
[ আগুনের ফুলকিরা এসো জড়ো হই দাবানল জ্বালবার মন্ত্রে বজ্রের আক্রোশে আঘাত হানি মানুষের মনগড়া তন্ত্রে ]
Comment