আমাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে যে কেনো গ্রেট ব্রিটেন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট ত্যাগ করলো। অথচ এটা অত্যন্ত লাভজনক জায়গা। এখানকার মানুষ ও উর্বর মাটি-- এই দুই জিনিসকে ভালোভাবে খাটাতে পারলে বিনি পয়সায় লাভের স্রোত বয়ে যাবে। ২০০ বছর যাবত বৃটেন এভাবেই ভারত থেকে লাভজনক হয়েছে। ভারত থেকে সম্পদের স্রোত ইউরোপকে পরাশক্তি বানিয়েছে। তাহলে কেনো ইংরেজরা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট পরিত্যাগ করলো?
Announcement
Collapse
No announcement yet.
কুইজঃ বৃটিশরা কেনো ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করলো?
Collapse
X
-
হতে পারে,
১, এখান থেকে তাদের প্রয়োজনানুসারে যথেষ্ট পরিমাণে সম্পদ লুণ্ঠন সম্পন্ন হয়েছে।
২, তাদের সাজানো রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করে রেখে যাওয়া। যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
৩, উপমহাদেশে মুসলিম অমুসলিম বিভেদকরণ করে দূর্বলকরে রাখা যা তাদের আসার আগে খুব কম ছিলো।
- Likes 1
-
Originally posted by abu isa View Postহতে পারে,Last edited by Munshi Abdur Rahman; 2 weeks ago.
- Likes 2
Comment
-
আল্লামা ইকবালের তেহরিক। উপমহাদেশে সাদা চামড়ার হুকুমত - তাগুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সংঘটিত হতে দৃষ্টি গ্র্যাহ্য উপকরণ যোগাচ্ছিল। এক সময়ের নাম সর্বস্য মুসলমান জনপদ গুলো শুধু মাত্র ইসলামের বুনিয়াদের উপর দ্রুত সংঘটিত হচ্ছিল। সাদা চামড়ার রাজত্ব ধরে রাখার চেষ্টার পরিণতিতে তারা বিশ্ব ব্যাপী ইসলামী জিহাদ ছড়িয়ে যাবার হিসেব-নিকেশ যায়োনিষ্টরা করছিল। যেখানে ইসলামি শক্তি ভিতর থেকে আরো শক্ত ভাবে জোট বাধার আগেই তারা আপাত আন্দোলনের হিসেব দেখিয়ে ভঙ্গুর ঐক্যের এক অবস্ত্যায় ভারত ছেড়ে দিয়েছিল। যা ক্ষমতার আয়েশে ফেলে সহজেই ভেঙ্গে ফেলা যাবে। তারা শারীরিক ভাবে চলে গেলেও তাদের দুর-নিয়ন্ত্রন বজায় রাখার সমস্ত কারিগরি ব্যাবস্থা সম্পন্য করে গিয়েছিল। পাকিস্তানের লিয়াকত সাহেবকে হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। খায়বর-পাখতুন খা সহ বর্তমান পাকিস্থানের উপজাতি এলাকার দখল বৃটিশরা (সাদা চামড়া) কক্ষনো নিতে পারে নাই। পাকিস্তানের ধোঁকাবাজ - জোব্বা ধারিরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের স্যাকুলার কুফরি ব্যাবস্থায় ধোঁকা দিয়ে নিয়ে আসে। কুফরের বিষবাস্প ছড়াতে থাকে। ইসলাম যে সমাজের ঐক্যের মুল ভিক্তি ছিল সেখানেই লোভী জেনারেল দিয়ে পাকিস্থানকে ভাগ করে মূলত ভারতিয় উপমহাদেশের মুসলমানদের তিনভাগে ভাগ করে দেয়া হল।দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।
- Likes 2
Comment
-
Originally posted by যুশ্ শিমালাইন View Postআল্লামা ইকবালের তেহরিক।
তবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি আল্লামা ইকবালের জীবদ্দশায়ই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছায়। এতোদিন ব্রিটেনের হাতে ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট, ইন্দোচীন, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থাকলেও আল্লামা ইকবালের জীবদ্দশায় মধ্যপ্রাচ্য এবং প্রায় সব মুসলিম ভুখন্ডই নতুন করে ব্রিটেনের সাম্রাজ্যে যুক্ত হয়।
আল্লামা ইকবাল কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের কাছ থেকে "স্যার" উপাধি পেয়েছিলেন ১৯২২ সালে। তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে উসমানী খিলাফতের পতন হয়েছে মাত্র এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্য ব্রিটেন দখল করে নিয়েছে।
সাহিত্যে অবদান রাখার কারণে কবি "আল্লামা ইকবালকে" লাহোরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট কিং জর্জ (পঞ্চম) এর পক্ষ থেকে "Sir" উপাধিতে "Knighted" করা হয়।
আর ব্রিটিশবিরোধী মুজাহিদগণ ব্রিটিশদের কাছ থেকে গণহারে তিনপ্রকার পুরস্কারই বেশি পেয়েছেনঃ
১) গণহারে রাস্তার পাশের গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি।
২) কামানের ডগায় বেঁধে কামান দাগিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া।
৩) আন্দামান-মাল্টায় নির্বাসন।
- Likes 3
Comment
-
সাহিত্যে অবদান রাখার কারণে কবি "আল্লামা ইকবালকে" লাহোরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট কিং জর্জ (পঞ্চম) এর পক্ষ থেকে "sir" উপাধিতে "knighted" করা হয়।
knigted হবার কথা জানতাম না। আমার সীমাহীন অজ্ঞতার আবারো এহসাস হল।
আর ব্রিটিশবিরোধী মুজাহিদগণ ব্রিটিশদের কাছ থেকে গণহারে তিনপ্রকার পুরস্কারই বেশি পেয়েছেনঃ
১) গণহারে রাস্তার পাশের গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি।
২) কামানের ডগায় বেঁধে কামান দাগিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া।
৩) আন্দামান-মাল্টায় নির্বাসন।
এইটাই ত মুসলমানের শাণ। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে বলার মত কিছু নিয়ে যাওয়া।
দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।
- Likes 1
Comment
-
১। ব্রিটেন প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ( বিশ্বব্যাপি উপনিবেশ ধরে রাখা ও উপনিবেশ কায়েম করাই ছিল যুদ্ধ দুটির কারণ)
২। আমেরিকার কাছে ব্রিটেনের অনেক ঋণ হয়ে যায় । যার স্বাভাবিক কারণ তারা খেই হারিয়ে ফেলে ।
৩। সাথে যুদ্ধে তাদের সৈন্য সামান্ত আহত নিহতের একটা ভাটা তো পড়েই ।
উপহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের পরিত্যাগ করার জন্য তেমন প্রভাব ফেলতে পারেন নাই বলে মনে হয়। কারণ ,প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের তৈরী করা ৭/৮ লাখ রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মি উসমানীদের অপসারণসহ যুদ্ধে মিত্র শক্তিকে প্রভাব ফেলেছিল। আর ৭/৮ লাখের অধিকাংশ সৈন্যই ছিল মুসলিম নামে।
- Likes 2
Comment
Comment