আমাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন জাগে যে কেনো গ্রেট ব্রিটেন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট ত্যাগ করলো। অথচ এটা অত্যন্ত লাভজনক জায়গা। এখানকার মানুষ ও উর্বর মাটি-- এই দুই জিনিসকে ভালোভাবে খাটাতে পারলে বিনি পয়সায় লাভের স্রোত বয়ে যাবে। ২০০ বছর যাবত বৃটেন এভাবেই ভারত থেকে লাভজনক হয়েছে। ভারত থেকে সম্পদের স্রোত ইউরোপকে পরাশক্তি বানিয়েছে। তাহলে কেনো ইংরেজরা ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট পরিত্যাগ করলো?
Announcement
Collapse
No announcement yet.
কুইজঃ বৃটিশরা কেনো ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করলো?
Collapse
X
-
হতে পারে,
১, এখান থেকে তাদের প্রয়োজনানুসারে যথেষ্ট পরিমাণে সম্পদ লুণ্ঠন সম্পন্ন হয়েছে।
২, তাদের সাজানো রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করে রেখে যাওয়া। যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
৩, উপমহাদেশে মুসলিম অমুসলিম বিভেদকরণ করে দূর্বলকরে রাখা যা তাদের আসার আগে খুব কম ছিলো।
- Likes 1
-
Originally posted by abu isa View Postহতে পারে,Last edited by Munshi Abdur Rahman; 09-24-2024, 03:56 PM.
- Likes 2
Comment
-
আল্লামা ইকবালের তেহরিক। উপমহাদেশে সাদা চামড়ার হুকুমত - তাগুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সংঘটিত হতে দৃষ্টি গ্র্যাহ্য উপকরণ যোগাচ্ছিল। এক সময়ের নাম সর্বস্য মুসলমান জনপদ গুলো শুধু মাত্র ইসলামের বুনিয়াদের উপর দ্রুত সংঘটিত হচ্ছিল। সাদা চামড়ার রাজত্ব ধরে রাখার চেষ্টার পরিণতিতে তারা বিশ্ব ব্যাপী ইসলামী জিহাদ ছড়িয়ে যাবার হিসেব-নিকেশ যায়োনিষ্টরা করছিল। যেখানে ইসলামি শক্তি ভিতর থেকে আরো শক্ত ভাবে জোট বাধার আগেই তারা আপাত আন্দোলনের হিসেব দেখিয়ে ভঙ্গুর ঐক্যের এক অবস্ত্যায় ভারত ছেড়ে দিয়েছিল। যা ক্ষমতার আয়েশে ফেলে সহজেই ভেঙ্গে ফেলা যাবে। তারা শারীরিক ভাবে চলে গেলেও তাদের দুর-নিয়ন্ত্রন বজায় রাখার সমস্ত কারিগরি ব্যাবস্থা সম্পন্য করে গিয়েছিল। পাকিস্তানের লিয়াকত সাহেবকে হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। খায়বর-পাখতুন খা সহ বর্তমান পাকিস্থানের উপজাতি এলাকার দখল বৃটিশরা (সাদা চামড়া) কক্ষনো নিতে পারে নাই। পাকিস্তানের ধোঁকাবাজ - জোব্বা ধারিরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের স্যাকুলার কুফরি ব্যাবস্থায় ধোঁকা দিয়ে নিয়ে আসে। কুফরের বিষবাস্প ছড়াতে থাকে। ইসলাম যে সমাজের ঐক্যের মুল ভিক্তি ছিল সেখানেই লোভী জেনারেল দিয়ে পাকিস্থানকে ভাগ করে মূলত ভারতিয় উপমহাদেশের মুসলমানদের তিনভাগে ভাগ করে দেয়া হল।দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।
- Likes 2
Comment
-
Originally posted by যুশ্ শিমালাইন View Postআল্লামা ইকবালের তেহরিক।
তবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি আল্লামা ইকবালের জীবদ্দশায়ই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছায়। এতোদিন ব্রিটেনের হাতে ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট, ইন্দোচীন, আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থাকলেও আল্লামা ইকবালের জীবদ্দশায় মধ্যপ্রাচ্য এবং প্রায় সব মুসলিম ভুখন্ডই নতুন করে ব্রিটেনের সাম্রাজ্যে যুক্ত হয়।
আল্লামা ইকবাল কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের কাছ থেকে "স্যার" উপাধি পেয়েছিলেন ১৯২২ সালে। তখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হাতে উসমানী খিলাফতের পতন হয়েছে মাত্র এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্য ব্রিটেন দখল করে নিয়েছে।
সাহিত্যে অবদান রাখার কারণে কবি "আল্লামা ইকবালকে" লাহোরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট কিং জর্জ (পঞ্চম) এর পক্ষ থেকে "Sir" উপাধিতে "Knighted" করা হয়।
আর ব্রিটিশবিরোধী মুজাহিদগণ ব্রিটিশদের কাছ থেকে গণহারে তিনপ্রকার পুরস্কারই বেশি পেয়েছেনঃ
১) গণহারে রাস্তার পাশের গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি।
২) কামানের ডগায় বেঁধে কামান দাগিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া।
৩) আন্দামান-মাল্টায় নির্বাসন।
- Likes 3
Comment
-
সাহিত্যে অবদান রাখার কারণে কবি "আল্লামা ইকবালকে" লাহোরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাট কিং জর্জ (পঞ্চম) এর পক্ষ থেকে "sir" উপাধিতে "knighted" করা হয়।
knigted হবার কথা জানতাম না। আমার সীমাহীন অজ্ঞতার আবারো এহসাস হল।
আর ব্রিটিশবিরোধী মুজাহিদগণ ব্রিটিশদের কাছ থেকে গণহারে তিনপ্রকার পুরস্কারই বেশি পেয়েছেনঃ
১) গণহারে রাস্তার পাশের গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি।
২) কামানের ডগায় বেঁধে কামান দাগিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়া।
৩) আন্দামান-মাল্টায় নির্বাসন।
এইটাই ত মুসলমানের শাণ। আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে বলার মত কিছু নিয়ে যাওয়া।
দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।
- Likes 1
Comment
-
১। ব্রিটেন প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ( বিশ্বব্যাপি উপনিবেশ ধরে রাখা ও উপনিবেশ কায়েম করাই ছিল যুদ্ধ দুটির কারণ)
২। আমেরিকার কাছে ব্রিটেনের অনেক ঋণ হয়ে যায় । যার স্বাভাবিক কারণ তারা খেই হারিয়ে ফেলে ।
৩। সাথে যুদ্ধে তাদের সৈন্য সামান্ত আহত নিহতের একটা ভাটা তো পড়েই ।
উপহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের পরিত্যাগ করার জন্য তেমন প্রভাব ফেলতে পারেন নাই বলে মনে হয়। কারণ ,প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের তৈরী করা ৭/৮ লাখ রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মি উসমানীদের অপসারণসহ যুদ্ধে মিত্র শক্তিকে প্রভাব ফেলেছিল। আর ৭/৮ লাখের অধিকাংশ সৈন্যই ছিল মুসলিম নামে।
- Likes 2
Comment
-
একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমতঃ
Dynasty game সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবার কিছু জানা থাকে, খুবি জটিল একটা বিষয়! খুবি অবাক হয়ে লক্ষ্যণীয়, রাজাকে তার ভাই বা সন্তান হত্যা করেও যদি ক্ষমতায় বসে, এই নতুন রাজা বিচক্ষণ হলে জনগণকে বসে নিয়ে এসে তার অনুগত করতে খুব বেগ পেতে হয় না। কিন্তু, এই রাজপরিবারের বাহিরে কেও যদি ক্ষমতায় চড়ে, তাহলে প্রতিবিপ্লব খুবই সম্ভাবনাময়। তাই দেখবেন, রাজপরিবারের সদস্যরাই রাজনীতির কেন্দ্র হয়ে থাকেন, এমনকি বাহিরের কেও যদি মাস্টারমাইন্ডও হয়, তাও নেতা হিসেবে রাজপরিবারের গ্রহণযোগ্য কাউকেই সামনে রাখেন। আর এই রাজরক্তের শাসক সংবিধানও তার কারিশমায় পরিমার্জন এমনকি পরিবর্তনও করতে পারেন। আমাদের রক্তচোষা গত রাষ্ট্রকর্তৃ আমাদের বোঝার জন্য একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বিষয়টা আরও সহজে বললে, গ্রামবাংলায় প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে,"আমার ভাইয়ের সাত খুন মাফ!" আপনি যখন এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারবেন, এটাই আপনাকে অনুধাবন করাবে, "একই অপরাধে অপরাধী একজনকে আপনি বুকে আগলে রাখেন, আরেকজনকে সর্বোচ্চ প্রাপ্য শাস্তিটা ensure করতে উঠে পরে লাগেন।(বি.দ্রঃ এই জন্যেই ন্যায়বিচারকের মর্যাদা ইসলামে এতো বেশি।)"
এইবার আসুন, ব্রিটিশদের উপমহাদেশ কেবল নয়; বরং ইউরোপের সাম্রাজ্য ছাড়ার হেতুতে। আপনি যদি আমার ভাষা বুঝতে পারেন, তাহলে ইতোমধ্যেই আপনি উত্তরটা পেয়ে গেছেন। হ্যাঁ, সেটাই, তবে আরও অনেক বেশি প্রবল যখন অন্য লোকটা আমার সুস্পষ্ট শত্রু! কোন মুসলিমের হার্ট ই কোরআন হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত তার শত্রু খ্রিষ্টানদের শাসন মেনে নিতে পারে নি এবং কস্মিনকালে পারেও না। এটা ঝাঁনু ইউরোপের পলিসি মেকাররা ভালোই বুঝতে পেরেছিল। সাথে এটাও বুঝেছিল, মুসলিম জাতির উপর শাসন দণ্ড তো সম্ভব ই না; অন্য কোন ভিন জাতির উপর ও এই শাসন প্রলম্বিত হবে না। তখন দেখা যাবে, শাসিত সব জাতি মিলে যুগপৎ বিদ্রোহ শুরু করবে, যে ঝড় থামান অসম্ভব! কাজেই, বিশ্বশাসনের স্বপ্নদ্রষ্টারা খুবি সফল প্ল্যান করতে সমর্থ হয়।
কি তাদের প্ল্যান? ঐ যে, জাতীয়তাবাদ! ইতোমধ্যেই এটা সব চেয়ে বীরের জাতি আরবের উপরেই সার্থক হয়ে গেছে, অন্য জাতির উপর কেন নয়! তবে তাদের তো আরও ২ টা মৌলিক উপাদান ছিল বিশ্বশাসনের - গণতন্ত্র ও ধরমনিরপেক্ষতাবাদ! উপদ্বীপে আসলে বিভিন্ন ক্রিটিক্যাল অবস্থার কারণে তা সম্ভব হয় নাই, কিন্তু বাকি আরব রাষ্ট্রে তারা চেষ্টার কমতি করে নাই।
আর সেই চেষ্টায় তারা সফল হয় তাদের সাম্রাজ্যের অধঃস্তনে। চিরন্তন স্বাধীনতা!মহান ইউরোপ মানবতার ইতিহাসে পাশ্চাত্য নেতৃত্বে গড়তে চলা বিশ্বব্যাপী মহান সভ্যতার মাহাত্ম্যের একটা নমুনা দিল এই মোড় বদলে দেওয়া মহানুভবতায়, যা তাকে নেতা হিসেবে কারিশম্যাটিকলি গ্রহণযোগ্য করে তুললো। সব করদ রাজ্য তো মহাখুশি, স্বাধীনতা পেল বলে; কিন্তু তারা যে বিনিময়ে নব্য দাসত্ব বরন করে নিতে চলেছে, তা হয়তো তখন কেও ভবের ঘোরেও কল্পনা করতে পারে নি। তাই, কবি ও সাহিত্যিক আল্লামা ইকবাল খুবি যুক্তিসঙ্গত কারণ ই উল্লেখ করেছেন- ব্রিটিশ, ফ্রান্স সহ সেই পাশ্চাত্য যথার্থই বুঝতে পেরেছিল- ইসলাম আমাদের সহ্য করবে না, যার ফল হবে নিরন্তর জিহাদের আগুনে জ্বলে পুরে মড়া। তাই, আজ আমরা যে সিস্টেম দেখতে পাচ্ছি, তারা সেটা আবিষ্কার করেছিল, তাদের বিশ্বশাসনের সমাধান হিসেবে।
এবার মিলিয়ে দেখুন, প্রথমে যা বলেছিলাম। চোর চুরি করে পার পাবে না, তাই ঘরের মানুষকে দিয়ে চুরি করে তার রস নিংড়ে খাবার সব বন্দবস্ত করল! আমাদের এই সমাজে আমরা কয়জন আছি, উমার(রা.) হব? কাজেই, রাষ্ট্রীয় দিক থেকে ইসলাম আজ জিম্মি হয়ে গেলো নিজের ঘরে! আজ কতো অভিনব সব পন্থা বের হয়ে গেছে- ইউরোপের সেই শাসন পলিসিকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাখতে; কিন্তু দুর্ভাগ্য যারা মুনাফিক হয়ে গেছে, তারা তো হয়েই গেলো; কিন্তু কৌশলের নামে আমরা যারা মুসলিম হয়েও এই নীলনক্সায় আজও স্বপ্ন দেখি!
কি হল এই কৌশলে? এই সিস্টেম নয়, এমনকি যদি শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্র বা সেকুলারিজম নাও থাকত আর আমাদের শাসন করত ঐ পশ্চিমের কুলাঙ্গাররা, তাহলেও বেরোলভি, মাজারপুজারি থেকে নিয়ে চরমোনাই সকল খানকা-পির, জামা'আত থেকে আহলে হাদিস আর দেওবন্দ তো বটেই সবাই এক যোগে অস্ত্র হাতে নিত, আল জিহাদের ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে ; কিন্তু সেই একই অপরাধ বরং আরও অনেক জগন্য ইসলামবিদ্বেষ এই ভুমিগুলয় চর্চিত হওয়ার পরেও যারা তাকবীরের ধ্বনিতে ইসলামের শিয়ার সর্ব ঊর্ধ্বে ধরার শাবাব হতে চায়, তারা হয়ে গেলো জঙ্গি!
এই বিষয়টা যে কত গভীর, তা বুঝানর জন্য বলি- হিজবুত তাহরিরের মতো খিলাফাহ পন্থি গনতন্ত্রকে পশ্চিমের হাতিয়ার মনে করেন এমন ভাইদের মধ্য থেকেও অনেকে মনে করেন, তালিবানের হামলায় তো আমাদের ই মুসলিম ভাইয়েরা মারা যাচ্ছে! কাজেই, শুধু ব্রিটিশরা নয় বরং গোটা ইউরোপ তার সাম্রাজ্যবাদ ছেড়ে দিয়েছিল, বিশ্বশাসনের এহেন নিলনক্সায়, নব্য সাম্রাজ্যবাদের নেপথ্যে- যাকে বিখ্যাত মার্কিন বুদ্ধিজীবী নো'আম চমস্কি বিবৃত করেছেন, ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যবাদ হিসেবে।
বি.দ্রঃ মেকিয়াবেলির দ্য প্রিন্স পড়তে পারেন, এই পলিসির তত্ত্ব বোঝার জন্য। আর কিছু জার্নাল পশ্চিমি পলিসি মেকারদের যেখানে আপনি বুঝবেন- তারা কিভাবে তত্ত্ব দাড় করাচ্ছে, মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমের শাসন ও গণতন্ত্রকে অধিষ্ঠিত করতে ইসলামের সাথে এই মতবাদের সাদৃশ্যতা ব্যাপকভাবে ছরিয়ে দিতে।
- Likes 1
Comment
Comment