আত–তিবইয়ান পাবলিকেসন্স পরিবেশিত
“জিহাদেঅংশগ্রহণ এবংসহায়তার৩৯টিউপায়”।।
মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
এরথেকে || ৩য় পর্ব
==================================================
=====
“জিহাদেঅংশগ্রহণ এবংসহায়তার৩৯টিউপায়”।।
মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আস-সালিম (‘ইসা আল-‘আশীন) হাফিযাহুল্লাহ
এরথেকে || ৩য় পর্ব
==================================================
=====
৪. নিজের সম্পদ দ্বারা জিহাদ করাঃ
সম্পদ দ্বারা জিহাদ করার অর্থ হল তা আল্লাহর পথে মুজাহিদীনদের জন্য এবং জিহাদ করার জন্যে যা কিছুর প্রয়োজন তার জন্যে ব্যয় করা। শাইখ ইউসূফ আল-উয়াঈরী (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন) বলেছেন, “কুরআনে জিহাদের আয়াতগুলোতে প্রায়শই সম্পদ দ্বারা জিহাদ করার কথা পুনরাবৃত্তি হয়েছে এবং স্বশরীরে জিহাদ করার আগে সম্পদের জিহাদ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোনো ভাবেই এর অর্থ এই দাঁড়ায় না যে এটার (সম্পদের জিহাদ) মর্যাদা বেশী! বরং এটা এই ভাবে বর্ণনা করার কারণ হল সম্পদের জিহাদ হল এমন এক জিহাদ যার দ্বারা পুরো উম্মাহ অংশগ্রহন করতে পারে। মানুষের পর্যাপ্ততা তখনই হয়ে যায় যখন উম্মাহর মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোক (জিহাদের জন্য) সামনে এগিয়ে আসে। কিন্তু মুজাহিদীনের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ পাওয়া যাবে না, যদি না পুরো উম্মাহ্ এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে না নেয় এবং জিহাদের নিয়ন্ত্রক মুজাহিদীনদের জন্য তাদের সম্পদ ব্যয় না করে। সুতরাং সমাজে যারা নিজেদের জান দ্বারা জিহাদ করে তাদের তুলনায় সম্পদের মাধ্যমে যারা জিহাদ করে তারা সংখ্যায় অনেক বেশি হয়। এজন্য জিহাদের আয়াতগুলোতে প্রথমে সম্পদের মাধ্যমে জিহাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে কারণ উম্মাহর এ অংশের (পুরুষ এবং নারী, যুবক এবং বড়, অল্প বয়স্ক এবং বৃদ্ধ) বিশালতার কথা চিন্তা করে। আল্লাহ্ -ই সবচেয়ে ভাল জানেন।
সম্পদের জিহাদের ক্ষেত্রে মু’মিনদের জন্য জরুরী নয় যে অনেক বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে। বরং, সে সেই পরিমাণ ব্যয় করে যার দ্বারা সে মহিমান্বিত আল্লাহর কাছে ওজর পেশ করতে পারে। কারণ সম্পদের জিহাদ যদি ফারদ-উল-আইন হয়ে যায়, তবে লক্ষ্য হল নিজেকে সেই বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত করা যা তোমার কাঁধে বোঝাস্বরূপ ঝুলে আছে এবং সে পরিমাণ ব্যয় করা যা তোমাকে মহিমান্বিত আল্লাহর সম্মুখে দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত করবে বলে তুমি বিশ্বাস কর; যদিও তা পরিমাণে খুব অল্পও হয়। যেহেতু রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “এক দিরহাম একশ হাজার দিরহামের চেয়ে বেশী (পুরষ্কারের ক্ষেত্রে)।” সুতরাং তাকে ﷺ প্রশ্ন করা হলো, “হে আল্লাহর রসূল! এটা কিভাবে সম্ভব?” তিনি ﷺ বললেন, “এক ব্যক্তি যার দু’টি দিরহাম আছে আর সে তা থেকে একটি নেয় ও দান (সাদকা) করে দেয়, এবং অপর ব্যক্তি যার অনেক সম্পদ রয়েছে এবং সে তার বিশাল সম্পত্তি থেকে একশ হাজার দিরহাম নেয় এবং সাদাকা করে দেয়।”
আল্লাহর শপথ! সাদাকা কখনই তার পরিমানের উপর ভিত্তি করে গ্রাহ্য হয় না, বরং এটি গ্রাহ্য হয় অবস্থার উপর ভিত্তি করে, যেমনটি আল্লাহর রসূল ﷺ-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “কোন দানটি সর্বশ্রেষ্ঠ?” তিনি ﷺ বলেছেন, “সেই দান যা এমন ব্যক্তির প্রচেষ্টার মাধ্যমে আসে যার কাছে খুব সামান্যই (সম্পদ) রয়েছে।” অর্থাৎ সে ব্যক্তির সাদাকা যার কাছে খুব বেশী সম্পদ নেই এবং ঐ সম্পদ তার ভীষন প্রয়োজন। সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং দান কর যতটুকু তুমি দান করার ক্ষমতা রাখ, শুধু একবার নয় বরং জিহাদের জন্য তোমার আয়ের একটি অংশ নিয়মিত ভাবে সাদাকা কর এই ভেবে যে জিহাদ চলছে এবং মুজাহিদীনদের অর্থের প্রয়োজন।”
৫. যারা জিহাদে যাচ্ছে তাদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করাঃ
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা এবং মুজাহিদীনদের সাহায্য করার অন্যতম একটি মাধ্যম হল জিহাদে যাবার জন্য মুজাহিদীনদের প্রস্তুত করা এবং এর মর্যাদার ব্যাপারে অসংখ্য সহীহ্ হাদীসে রসূল ﷺ কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে।
“যে ব্যক্তি একজন মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদ করার জন্য) বেরিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত করে, প্রকৃতপক্ষে সেও জিহাদ করল এবং যে ব্যক্তি মুজাহিদীনদের পরিবারকে ভালোভাবে দেখাশোনা করে যাদেরকে সে ছেড়ে গিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেও জিহাদ করল।”
“যেব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য কোন মুজাহিদকে প্রস্তুত করল সেব্যক্তি তার (মুজাহিদের) সমান পুরষ্কার পাবে কোন প্রকার হ্রাস (মুজাহিদেরপুরুষ্কার একটুকুও কমবে না) ছাড়াই।”
এটা কোন ব্যক্তির (যেমন অন্ধ, খোঁড়া) জন্য এক বিশাল সুযোগ যদি তাকে জিহাদ যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয় কারণ তার সুযোগ রয়েছে কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত করার এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার প্রতিদান লাভ করার। এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটি হল শ্রেয় এবং মহৎ কাজের দরজাগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী দরজা এবং সবচেয়ে উত্তম ক্ষেত্র যেখানে কারও সাদাকা এবং যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে। আরো বলা যায়, এটি আল্লাহর রাস্তায় (ফি সাবিলিল্লাহ্) থাকার একটি মাধ্যম।
এটা নারীদের জন্যও একটি সুযোগ যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারছেন না কারণ এটা তার সামর্থ্যরে মধ্যে রয়েছে যে সে তার সম্পদ, গহনা এবং অন্যান্য যা কিছু আছে তা ব্যয় করে মুজাহিদদের প্রস্তুত করার মাধ্যমে এই অসামান্য পুরষ্কারের অংশীদার হওয়ার। ইসলামের প্রাথমিক যুগ ও পরবর্তী অন্যান্য যুগের নারীরা এক অসামান্য দায়িত্ব পালন করেছিল এবং আমরা এখানে বীর শহীদ কমান্ডার আবু জাফর আল-ইয়ামেনির (আল্লাহ তাঁর উপর রহমত বর্ষন করুন) বোনের ঘটনা উল্লেখ না করে পারলাম না যা তার জীবনীতে (Qoqaz.com ওয়েবসাইটে) উল্লেখ করা হয়েছে, “সে তার সব সোনা বিক্রি করে দিয়েছিলেন এবং তা থেকে প্রাপ্ত সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে তাকে (আবু জাফর) (জিহাদের জন্য) প্রস্তুত করেছিলেন।”
সুতরাং এই ধরনের নারীরা আজ কোথায়? আবার (এই ধরনের) পুরুষেরাও কোথায়?
অনুরূপভাবে, এক্ষেত্রে তাদের জন্যও সুযোগ রয়েছে যাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে সাহায্য করার ক্ষমতা নেই, কিন্তু সে অন্যদের কাছ থেকে তাদেরকে (মুজাহিদীনদের) দেওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে মুজাহিদদেরকে প্রস্তুত করতে পারে। রসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজে সাহায্য করল, সে ঐ ব্যক্তির মত যে কাজটি সম্পাদন করল।”
৬. মুজাহিদীনগণ তাদের যে সকল পরিবারবর্গকে রেখে গেছেন তাদের দেখাশোনা করাঃ
তাদের প্রয়োজন ও বিষয়াদির দেখাশোনা করার ব্যাপারে পূর্বে উল্লেখিত হাদিসটির অবশিষ্ট অংশ আবারও বর্ণনা করছি, যেখানে রসূল ﷺবলেছেন, “…যে ব্যক্তি মুজাহিদীনদের রেখে যাওয়া পরিবারবর্গের ভালোভাবে দেখাশুনা করল, প্রকৃতপক্ষে, সে জিহাদ করল।”
তার এই মহৎ ও প্রশংসনীয় কাজের সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে তা হল রসূল ﷺ-এর কথা, “যে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির পরিবারকে সুন্দরভাবে দেখাশুনা করল যে বেরিয়ে পড়েছে (জিহাদের জন্য), তবে ঐ ব্যক্তির পুরষ্কারের অর্ধেক সে পাবে।”
মুজাহিদদের পরিবারের যত্ন নেওয়া, তাদের দেখাশুনা করা, তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং তাদের চাহিদা পূরণ করা হল মুজাহিদদের অধিকার ঐ সকল লোকদের উপর যারা তাদের পরিবারের মত একই স্থানে বসবাস করছে, যেরূপ রসূল ﷺ-এর হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, “যারা (জিহাদে না গিয়ে) পিছনে পড়ে থাকে ঐসকল লোকদের জন্য মুজাহিদীনদের স্ত্রীগণ এইরূপ নিষিদ্ধ যে রূপ তাদের মায়েরাতাদের জন্য নিষিদ্ধ। যারা পিছনে পড়ে থাকে, তাদের মধ্য থেকে যাকে মুজাহিদীনদের পরিবারের দেখাশুনা করার জন্য বিশ্বাস করা হয় এবং সে সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে, তাকে বিচারের দিবসে মুজাহিদীনদের সামনে আনা হবে এবং বলা হবে যে ‘সে তোমার পরিবারের ব্যাপারে তোমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, সুতরাং তুমি তার ভাল কাজগুলো থেকে যা ইচ্ছা নিয়ে নিতে পার।’ সুতরাং সে তার ইচ্ছে মত তার ভাল কাজ গুলো (আমলনামা) নিয়ে নিবে। সুতরাং তুমি কি মনে কর (এরপর তার ভাল আমলগুলি থেকে আর কি অবশিষ্ট থাকবে)?”
তাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবাণী সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে জিহাদ করে না, অথবা কোন মুজাহিদকে প্রস্তুত করে না অথবা মুজাহিদদের ছেড়ে যাওয়া পরিবারের দেখাশুনা করে না। সুতরাং যদি মুসলিমরা জিহাদের সময়ে এই তিনটি বিষয়ের একটিও পালন না করে, তখন তারা আল্লাহর শাস্তির যোগ্য হয়ে যায় যেরূপ রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি জিহাদ করে না, অথবা কোন মুজাহিদকে প্রস্তুত করে না, অথবা মুজাহিদদের ছেড়ে যাওয়া পরিবারবর্গকে সুষ্ঠুভাবে দেখাশুনা করেনা, তাহলে পুনরুত্থান দিবসের পূর্বে আল্লাহ্ তাকে আকস্মিক বিপর্যয় দ্বারা আঘাত করবেন।”
শাইখ আবু বাসীর বলেছেন, “সুতরাং মু’মিনদের জন্য এটি বৈধ নয় যে সে এই তিনটির বাইরে অন্য কিছু করবে; হয় সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে অথবা সে মুজাহিদদের ছেড়ে যাওয়া পরিবারবর্গের সুষ্ঠু দেখাশুনা করবে, অথবা সে মুজাহিদদেরকে আল্লাহর পথে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করবে এবং যদি সে এই তিনটির মধ্যে একটিও না করে, তবে সে যেন পুনরুত্থান দিবসের পূর্বে তার পথে কোন আকস্মিক বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করে, যেই বিপর্যয়ের ব্যপ্তি এবং প্রকৃতি সম্পর্কে আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ অবহিত নয়!”
৭. শহীদের পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করাঃ
এর মধ্যে তাদের বিধবা স্ত্রীদের সাহায্য করা এবং তাদের সন্তানাদি ও আত্মীয় স্বজনের পরিচর্যা করা অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে জিহাদকে সহায়তা প্রদান করতে চাও এবং তাদেরকেও সহায়তা প্রদান করতে চাও যারা তোমাদের স্থলে জিহাদ সম্পাদন করেছে, তবে তোমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে শহীদের পরিবারকে ভরণ-পোষণ দাও, যেভাবে রসূল ﷺ মু’তার যুদ্ধে জাফর বিন আবি তালিবের শাহাদাতের কথা জানতে পেরে তার পরিবারের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন এবং তার নিজের পরিবারকে বলেছিলেন, “জাফরের পরিবারের জন্য কিছু খাবার প্রস্তুত কর, কারণ যে (বিষাদ) ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা তাদেরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।”
ইবনে কাসীর (আল্লাহ্ তাঁর প্রতি রহম করুন), রসূল ﷺ ও জাফর রা.-এর সন্তানদের কাহিনীটি আহমাদে বর্ণিত হাদীসের সাথে উল্লেখ করেছেন যেখানে আসমা বিনত উমাইস বলেছেন, “যখন জাফর রা. এবং তার সঙ্গীরা শাহাদাত বরণ করেন, তখন আল্লাহর রসূল ﷺ আমার ঘরে আসেন। ইতিমধ্যে আমি পশুর কিছু কাঁচা চামড়া পাকা করছিলাম, আটার খামীর তৈরী করছিলাম, এবং আমার বাচ্চাদের গোসল করিয়েছিলাম এবং সেগুলো ঘষেমেঝে পরিষ্কার করছিলাম (চামড়াগুলো)।” আল্লাহর রসূল ﷺ বললেন, “জাফরের সন্তানদের আমার কাছে নিয়ে আস।”
আমি যখন তাদেরকে তার কাছে নিয়ে আসলাম তখন তিনি তাদের ঘ্রান নিলেন এবং তাঁর দু’চোখ অশ্রু শিক্ত হয়ে পড়ল তখন আমি বললাম, “হে আল্লাহর রসূল আমার পিতা এবং মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! কিসে আপনাকে কাঁদালো? আপনার কাছে কি জাফরের এবং তাঁর সঙ্গীদের কোন সংবাদ পৌঁছেছে?” তিনি ﷺ বললেন, “হ্যাঁ, তারা আজ শাহাদাত বরণ করেছে।” সুতরাং আমি উঠলাম এবং চিৎকার করে অন্য নারীদের কাছে ছুটে গেলাম, ফলে আল্লাহর রসূল ﷺ তার পরিবারকে বললেন, “জাফরের পরিবারকে উপেক্ষা কর না। তাদের জন্য কিছু খাবার তৈরী কর কেননা তারা তার শোকে আছন্ন।”
সুতরাং আসুন, আমরা আল্লাহর রসূল ﷺ-কে উৎকৃষ্ট উদাহরণ রূপে নেই এবং শহীদদের পরিবার, বিধবা স্ত্রী এবং সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব নেই এবং তাদের সাহায্য করি। তাঁদের সন্তানদের সাহায্য করতে হবে এবং সমস্ত খারাপ ও ক্ষতিকর জিনিস থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে, যদি সে পুনরায় বিয়ে করতে চায় তবে তার বিধবা স্ত্রীকে একজন উপযুক্ত ব্যক্তির (যে ভরণ-পোষণ করতে পারবে) সাথে বিয়ে দিতে হবে, যেরূপ জাফর রা.-এর বিধবা স্ত্রী আসমা বিনত উমাইসকে রা., যার কথা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময় (ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর) অতিক্রম হওয়ার পর আবু বকর আস-সিদ্দীক রা. সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং, এগুলো সবগুলোই হল আমাদের উপর শহীদের হক্ক বা অধিকার এবং এগুলো অনেক সহজ কাজ যেগুলোর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে অসামান্য পুরস্কার। এই শহীদগণ তাদের জীবন ও আত্মাকে উৎসর্গ করেছেন এই দ্বীনকে সাহায্য করতে এবং আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করে তুলে ধরতে। সুতরাং কমপক্ষে যা আমরা তাদের জন্য করতে পারি তা হল তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরিবার, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা। এর ফলে হয়ত আল্লাহ্ আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করে দিবেন এবং আমাদেরকে শহীদদের দলে অন্তর্ভূক্ত হতে সুযোগ দিবেন।
আরও পড়ু্ন
Comment