Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ২৪ || “দাওয়াতে খিলাফত ও মানহাজে রাসূল ﷺ” ।। মাওলানা আসেম উমর হাফিযাহুল্লাহ || ১ম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ২৪ || “দাওয়াতে খিলাফত ও মানহাজে রাসূল ﷺ” ।। মাওলানা আসেম উমর হাফিযাহুল্লাহ || ১ম পর্ব


    দাওয়াতে খিলাফত মানহাজে রাসূল ।।
    মাওলানা আসেম উমর হাফিযাহুল্লাহ||
    এর থেকে - ১ম পর্ব

    ===================



    প্রাককথন

    যদিও এই উপমহাদেশ দ্বীনি জামা’আত এবং ইসলামী আন্দোলনের এক মজবুত কেন্দ্র, বহু বছর ধরে বিভিন্ন আন্দোলনের দাওয়াত এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং প্রত্যেক আন্দোলন তার দাওয়াতকে মৌখিক ও বক্তৃতার মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট পৌছিয়েছেন কিন্তু বাংলা ভাষায় এমন রচনার অভাব দীর্ঘদিন যাবৎ অনুভব হচ্ছিল যা স্বয়ং ঐ সকল হযরতদেরকে উদ্দেশ্য করে লিখা যারা অন্যকে দাওয়াত দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উপবিষ্ঠ, এবং তাদের সামনে দাওয়াতের শরঈ আদাব ও দাওয়াতের নিয়ম-নীতিকে সুস্পষ্ট করবে। বক্ষমান কিতাবটি বিশিষ্ট মুজাহিদ আলেম হযরত মাওলানা আসেম ‘উমর (দা.বা.)-এর সংক্ষিপ্ত কিন্তু সমৃদ্ধ এক রচনা যা উল্লেখিত বিষয়ের অভাবকে দূর করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কিতাবে তিনি তার নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি ও হৃদয়ের গভীরে রেখাপাত করার মতো পদ্ধতিতে দ্বীনের দাঈদেরকে সম্বোধন করেছেন এবং কুরআনের আয়াত ও আম্বিয়ায়ে কিরামের আদর্শের আলোকে দাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব লিপিবদ্ধ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা তাকে এই মূল্যবান প্রচেষ্টার জন্য উত্তম বিনিময় দান করুন এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরামকেও উৎসাহ প্রদানের উসিলা বানিয়ে দিন, তাহলে তারা হয়ত দ্বীনি দাওয়াতের শরঈ নিয়মনীতির অন্যান্য বিষয়াবলীর ওপরও কলম উঠাতে পারবেন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শরিয়তের শিক্ষাকে সামাজিকভাবে বিশেষ করে দ্বীনি আন্দোলনের কর্মীদের সামনে সহজ পদ্ধতিতে পেশ করবে। এই রচনাটি এজন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে তার লেখক নিজেও জিহাদী কাফেলার একজন অগ্রপথিক এবং এই কিতাবের পাঠকদের মধ্যেও অনেকে জিহাদের সাথে সম্পৃক্ত পৃষ্ঠপোষক ও দায়িত্বশীল। দ্বীনের দাওয়াতকে প্রচার প্রসার করা এবং আল্লাহ তা’আলার কালিমাকে প্রতিষ্ঠিত করা জিহাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রত্যেক মুজাহিদ একই সময়ে মুকাতিল মুজাহিদ এবং পৃথিবীবাসীর জন্য বার্তাবাহক দাঈও।

    অনুবাদকের কথা

    সকল প্রশংসা সেই রব্বুল আলামিনের জন্য যিনি আমাদেরকে ইসলামের মতো পরিপূর্ণ এক দ্বীন তথা জীবন বিধান দান করেছেন। লক্ষ-কোটি দুরুদ ও সালাম সেই নবীউস-সাইফ, নবীউল মালাহিম মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর; যিনি আপন দেহ মুবারকের পবিত্র খুন ঝরিয়ে এই দ্বীনকে ধরণীতে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।

    প্রিয় পাঠক! আজ হতে দেড় হাজার বছর পূর্বে নবীউস-সাইফের হাতে গড়া যেই কাফেলা এই দ্বীনকে বিজয়ী করতে বদরের প্রান্তর থেকে পথচলা শুরু করেছিল, রক্ত পিচ্ছিল সেই কাফেলার সেই পথচলা অজও চলমান এবং কেয়ামত অবধি চলবে অবিরাম। নবীজীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী কোন জালিমের জুলুম-নির্যাতন কিংবা ইনসাফগারের ইনসাফ বিপ্লবী এই কাফেলার অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না।

    সেই নির্ভিক কাফেলার বর্তমান সময়ের এক অকুতোভয় সেনাপতি, পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা আসেম উমর দা.বা.।

    হজরতের ব্যক্তিত্ব ও রচনা ইতোমধ্যে এ দেশের সচেতন পাঠকের নিকট ব্যাপক সমাদৃত। তার লিখিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে ছোট্ট একটি পুস্তিকা “দাওয়াতে খিলাফত আওর মানহাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।” যার বাংলা অনুবাদ এখন আপনার হাতে। দ্বীনের দাঈদের জন্য পুস্তিকাটি একটি আদর্শ পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

    নিজের হাজারো অযোগ্যতা সত্ত্বেও এই মহান কাফেলার সাথে সামান্য সম্পৃক্ততার নিয়্যতেই অধমের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পরিশেষে প্রার্থনা, অনুবাদ ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে যে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন- সকলকে আল্লাহ তা’আলা তার শান অনুযায়ী জাযায়ে খায়ের দান করুন। এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে কাল কেয়ামতে আমাদের সকলের নাজাতের উসিলা হিসেবে কবুল করুন, আমীন।
    বিনয়াবনত
    মোল্লা আবু লাবীব
    ২৭ জমাদিউস সানী ১৪৩৭ হি.

    শুরুরকথা

    بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام علي رسول الله وبعد



    আমাদের এই উপমহাদেশ যদিও দ্বীনি জামাআত ও ইসলামী আন্দোলনের এক মজবুত ঘাঁটি, যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত এখানে বিদ্যমান এবং প্রতিটি আন্দোলনই তার দাওয়াতকে মুখে মুখে ও বয়ান বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌছিয়েছে কিন্তু উর্দু ভাষায় এমন রচনার অভাব বহুদিন হতে অনুভূত হচ্ছিল যা স্বয়ং ঐ সকল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে লেখা যারা অন্যকে দাওয়াত দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাসীন এবং তাদের সামনে দাওয়াতের শরঈ আদব ও নিয়ম-কানুন স্পষ্ট করবে। এই বিষয়ে এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাটি মুজাহিদ আলেমে দ্বীন মাওলানা আসেম উমর দামাত বারকাতুহুমের সংক্ষিপ্ত কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা উল্লেখিত বিষয়ের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করবে। এই পুস্তিকায় লেখক নিজস্ব ও হৃদয়গ্রাহী বাচনভঙ্গিতে দ্বীনের দাঈদের সম্বোধন করেছেন এবং কুরআনের আয়াত ও আম্বিয়া (আ.)-এর আদর্শের আলোকে দাওয়াতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা’আলা তাকে এই মহতি কর্মের উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং অন্যান্য আহলে ইলমকে উদ্বুদ্ধ করণের হাতিয়ার হিসেবে পুস্তিকাটি কবুল করে নিন। যেন তারা দ্বীনি দাওয়াতের শরঈ নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও কলম ধরেন এবং এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্বন্ধে শরঙ্গ নির্দেশনা, বিশেষ করে দ্বীনি আন্দোলনের কর্মীদের সামনে সহজ পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেন।

    এই পুস্তিকাটি এজন্যও গুরুত্বপূর্ণ যে এর লেখক নিজেও জিহাদী কাফেলার পথপ্রদর্শক এবং এই লেখার মূল সম্বোধিত হলেন, জিহাদী কাফেলার সাথে সম্পৃক্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ । দ্বীনের দাওয়াতকে প্রচার প্রসার করা এবং আল্লাহ তা’আলার কালিমাকে সমুন্নত করাই জিহাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রত্যেক মুজাহিদ একই সময়ে মুকাতিল তথা কাফিরকে হত্যাকারী মুজাহিদ যেমন হয় তেমনি বিশ্ববাসীর জন্যে এক মহান বাণীর বার্তাবাহক দায়ীও হয়ে থাকেন। যদিও কিতালের জন্য শরীয়ত পৃথক আদব শিখিয়েছেন এবং দাওয়াতের জন্যও পৃথক। দাওয়াত ও কিতালের আদব সম্পর্কে জানা এবং তার অনুসরণই এই কথার জামানত হতে পারে যে মুজাহিদ ফী সাবিলিল্লাহ তার পথ চলার কঠিন সময়ে কখনোই শরীয়তের নির্দেশাবলীর খেলাফ করবে না এবং তার আন্দোলন দুনিয়াতেও সেই সুফল বয়ে আনবে যা প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ের প্রশান্তির কারণ হবে। এ জন্য মুজাহিদদের বিশেষভাবে এই কিতাবটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করা এবং এই নববী আদর্শের দ্বারা নিজেদের জীবন-চরিতকে সজ্জিত করা অপরিহার্য। আমরা বিশেষ করে মুজাহিদ দায়িত্বশীলদের, তাদের মিডিয়ার বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা তাদের খতিব-বক্তা, লেখক, সাহিত্যিক, মুরুব্বী ও উলামা অনলাইন জগতের সৈনিকগণ এবং বাস্তব রণাঙ্গনে মুখোমুখি দাওয়াত প্রদানকারী মুজাহিদ ভাইদের নিকট অনুরোধ করবো যে, তারা যেনো এই পুস্তিকাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং নিজেদের ইলমী ও আমলী নেসাবের অন্তর্ভুক্ত করে নেন, যাতে এহইয়ায়ে খিলাফত এবং নেফাযে শরীয়তের দাঈগণ এই পবিত্র আন্দোলনে আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি, সাহায্য ও সহযোগিতা অর্জন করতে পারে।

    এই কিতাবের প্রতি পৃষ্ঠায়, প্রতি লাইনে এই বার্তাও লুকায়িত আছে যে, এই উম্মতের জন্য ব্যক্তিগত জীবন ও সংঘবদ্ধ জীবনের প্রতিটি স্তরে পথ প্রদর্শনের জন্য কুরআন-সুন্নাই যথেষ্ট। চাই সেটা কোন ব্যক্তির তথা বাহ্যিক ও আত্মিক যাহের ও বাতেনের সংশোধনের মাসআলা হোক অথবা লক্ষ কোটি মানুষের জীবনের গতি পরিবর্তনকারী আন্দোলনের ভিত্তিই হোক। আল্লাহর কিতাব ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ আমাদেরকে এমন পরিপূর্ণ ও ত্রুটিমুক্ত পথ-প্রদর্শন করে যে আর কোনদিকে দৃষ্টিপাত করা এই মহান নেয়ামতের প্রতি অবমূল্যায়ন ও বোকামি বৈ কিছু নয়। আজ এই উম্মতের নওজোয়ানদের এমন আহলে ইলমের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবও রয়েছে এবং চাহিদাও রয়েছে যারা পশ্চিমা চিন্তা ও দর্শনের ঈমানবিধ্বংসী আক্রমণের মাঝেও সামনে অগ্রসর হয়ে তাকে সামলে নেবে। তাদের মনের জটিলতা ও সন্দেহকে প্রজ্ঞা ও মুহাব্বত এবং সান্ত্বনার মাধ্যমে দূর করে তাদেরকে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কদমে এনে বসাবে। আল্লাহ তা’আলা এই উম্মতকে তার স্বীয় কিতাব ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহর সাথে নিজেদের সম্পর্ক মজবুত করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
    وصلي الله علي نبينا وعلي اله وصحبه وسلم!





    অবতরণিকা

    কোন জাতির যখন পতন আসে সেই পতন তখন কোন নির্দিষ্ট একটি শ্রেণি বা গোষ্ঠীর ওপরই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং জীবনের সকল স্তর তার ধ্বংসের আওতায় এসে যায়। চিন্তা ও চেতনার মধ্যে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়। সকল কর্মতৎপরতা নিঃশেষ হয়ে শুধু কল্প-কাহিনিই রয়ে যায়। সামাজিক ঐক্য টুকরো টুকরো এবং মনে সংকীর্ণতা সৃষ্টি হয় আর দৃষ্টির প্রসারতা শুধুমাত্র উদরপূর্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। পতনের এই কুপ্রভাব যেমনি দ্বীনি কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলে তেমনি দুনিয়াবী কর্মকাণ্ডও সেই ধ্বংসের আওতায় চলে আসে। তেমনি মুসলিম উম্মাহর ওপর পতনের যে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে তা মুসলিম জীবনের প্রতিটি স্তরকেই প্রভাবিত করেছে। অবনতি থেকে উন্নতির দিকে পথচলা এবং এই পথচলার জন্য কোন কাফেলা তৈরি করা কোন সহজ কাজ নয়। পরাধীন থাকতে থাকতে পরাধীনতাকেই নিজের ভাগ্য জ্ঞানকারীর এ কথা কিভাবে বুঝে আসবে উঁচু ও পাহাড়ের কংকরময় ভূমিতে বাসস্থান গড়ার প্রয়োজনীয়তা কী? যখন নিচেই তাদের দু’বেলা রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়, তখন খামখা এতো উঁচুতে গিয়ে বসবাস করা কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হতে পারে? তখন এ সমস্ত লোক নিজেদের বাপ-দাদাদের জ্ঞানকেও মূর্খতা জ্ঞান করতে শুরু করে এবং তাদের কখনো এ কথা বুঝেই আসে না যে তারা পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে কেনো বসবাস করেছেন।

    পতনের দিকে ধাবমান এবং হীনম্মন্যতার স্বীকার লোকদের নিকট রাহবার ও পথপ্রদর্শকও এমনই ভালো লাগে যিনি উন্নতির পরিবর্তে পতনের দিকে পথ-প্রদর্শন করেন। কেউ যদি উন্নতির দিকে পথচলার আহ্বান করে তাহলে এই কষ্টসাধ্য সফরের জন্য সেই জাতি কি করে প্রস্তুত হতে পারে যারা অবনতির দিকে অবতরণেই অভ্যস্ত। তাই তাদের বক্তা, পথ-প্রদর্শক, কবি, সাহিত্যিক তাদেরকে এই অবনতির উপকারিতাই বর্ণনা করে এবং এই জীবনাচারেই লিপ্ত রাখে।

    যেহেতু পরাধীনতার হীনম্মন্যতার স্বীকার জাতিকে উন্নতির দিকে পথচলার জন্য প্রস্তুত করা কোন সহজ কাজ নয় বরং তাদের জন্য দাঈকে সর্বশক্তি ব্যয় করতে হয়। তাই এহইয়ায়ে খিলাফত-এর আন্দোলন পরিচালনাকারী দাঈ, বক্তা এবং লেখকদের এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে এই ময়দানে পা ফেলতে হবে।

    যে কোন আন্দোলনের দাওয়াত প্রদানকারীর জন্য জরুরি যে, সে অবিরাম চেষ্টা, সীমাহীন পরিশ্রম – ধৈর্য শুধা পানে অভ্যস্ত হবে। দাওয়াতের ফলাফল ও স্বচক্ষে না দেখে মনক্ষুন্ন হবে না; বরং আরশ – কুরসির মালিকের ওপর ভরসাকারী হবে এবং এমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হবে যে যদি হাজার বছরও দাওয়াত দিতে হয় এবং একটি মানুষও এই দাওয়াত কবুল না করে তাহলে এই দাওয়াতের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অবসাদ ও ক্লান্তি আসবে না।


    দ্বীনের দাওয়াত কিভাবে দিতে হয়?

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে উত্তম আদর্শ কেউ হতে পারে না। তাই আমাদের জন্য জরুরি হলো আমরা আমাদের দাওয়াতকে ইমামুল আম্বিয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত অনুযায়ী পরিচালনা করা।

    আমাদের দাওয়াত তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকায় হবে। আমরা যদি এই কথার পরওয়া না করি এবং নিজেদের ইচ্ছে মতো দাওয়াত দিতে থাকি তাহলে মনে রাখবে যে নিঃসন্দেহে আমাদের কথা যতই সত্য ও সঠিকই হোক না কেন এবং আমরা যতই ইখলাসের সাগরে হাবুডুবু খাই না কেন, কিন্তু তা মানুষের সামনে উপস্থাপনের পদ্ধতিগত ভুলের কারণে মানুষ আমাদের সঙ্গী হওয়ার পরিবর্তে শত্রুতে পরিণত হয়ে যাবে।





    আরও পড়ুন
    Last edited by tahsin muhammad; 2 days ago.

  • #2
    মাশা আল্লাহ ওয়া জাঝাকাল্লাহ খাইরান।।
    বিদ্রোহী,বিপ্লবী,মৌলবাদী,আমি জঙ্গিবাদী।।

    Comment

    Working...
    X