Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩০ || “এই তো গাযা… গাজা সংঘাত সীমান্ত নির্ধারণী সংঘাত নয় বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই (4) ” ।। সালেম আল শরীফ || ৩য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩০ || “এই তো গাযা… গাজা সংঘাত সীমান্ত নির্ধারণী সংঘাত নয় বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই (4) ” ।। সালেম আল শরীফ || ৩য় পর্ব

    আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত

    এই তো গাযা
    গাজা সংঘাত সীমান্ত নির্ধারণী সংঘাত নয় বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই (4)


    ।।সালেম আল শরীফ||

    এর থেকে৩য় পর্ব



    প্রশিক্ষণ ও সামরিক বাধ্যতামূলক নিয়োগ:


    বিভিন্ন ত্রুটি সত্ত্বেও এ কথা সত্য যে, বাধ্যতামূলক সৈন্য নিয়োগের নীতি উম্মাহর সন্তানদের বিরাট উপকারে আসে। কারণ এই প্রশিক্ষণে তারা বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একনিষ্ঠ পরিবর্তনকামী ব্যক্তিরা সামরিক প্রশিক্ষণ ও বাধ্যতামূলক সার্ভিসের জন্য সময় বের করবেন, খুব সিরিয়াসভাবে এ বিষয়টাকে গ্রহণ করবেন এবং সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে অথবা সামরিক উচ্চতর কলাকৌশল রয়েছে, সেগুলোতে নিজেরা দক্ষ হয়ে উঠবেন। কারণ যারা বিষয়টার গুরুত্ব বোঝে তাদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। কিন্তু যারা বিষয়টাকে অন্য চোখে দেখে, রাজনীতিতে যারা পরিপক্ক নয় তাদের কাছে এটা সময় নষ্ট বলে মনে হবেকিন্তু যখন যুদ্ধের এক একটি দুয়ার খুলে যাবে, তখন এই মানুষগুলো খুবই অনুতপ্ত ও লজ্জিত হবে। এমনও হতে পারে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশ তাদের ব্যাপারে সীমালংঘন করবে, তাদের অর্থ-সম্পদ ও ভূখণ্ড ছিনতাইকারীরা তাদের উপর জুলুম করবে, অহংকারী স্বৈরাচারী জালিমের পক্ষ থেকে তাদের গোপনীয়তা বিনষ্ট করা হবে কিন্তু তারা কিছুই করতে পারবে না। তাই হে উম্মাহর যুবকেরা! বাধ্যতামূলক নিয়োগের বিষয়টি দুর্দান্ত সুযোগ। এটি কাজে লাগানো উচিত।

    আরেকটি কথা বলা দরকার যে, বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগে সেনাবাহিনী, তাদের সক্ষমতা, পরিকল্পনা এবং নেতাদের সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। আমাদের অনেক দেশের সেনা কর্মকর্তারা আমাদের প্রতিপক্ষ। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবং আদর্শিক বা দুর্নীতিবাজ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের ভবিষ্যৎ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তাদের তথ্য ভিতর থেকে সংগ্রহ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য সেনাবাহিনীকে শোষণ করে। আর এটা তারা করতে পারে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং পরিষেবার সময়কাল বিষয়ক নিয়ম-নীতিতে বিভিন্ন ত্রুটি থাকার কারণে। এই ত্রুটিগুলো অপসারণ করা যেতে পারে, যদি আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও নেতাদের নির্মূল করতে পারি— বিশেষ করে অফিসারদের ছেলেদের নিয়োগের বিষয়টি, যারা মনে করে যে, সেনাবাহিনী তাদের পূর্বপুরুষদের বীরত্বের উপর ভিত্তি করে তাদের জন্য একটি বিশেষ উত্তরাধিকার হয়ে উঠেছে। আর এভাবেই কিছু লোক যারা নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা ছাড়া কোনো একটি যুদ্ধেও অবতীর্ণ হয়ে অস্ত্র ব্যবহার করেনি, তারাই সেনাবাহিনীতে স্থান করে নেয়। তারা যা করে তা অন্যায় ভাবে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা দখল ছাড়া আর কিছুই নয়। যখন পরিবর্তনের গিয়ার ঘুরবে, তখন এই লোকেরা আর থাকবে না।

    হে সচেতন মুসলিম যুবক, সামরিক সেবা এড়িয়ে যাবেন না; বরং এতে যুক্ত হয়ে যোগ্যতা তৈরি করুন। যখন গুরুতর অবস্থা তৈরি হবে তখন এর জন্য আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবেন।
    ***



    লক্ষ্যগুলির সাথে মিথস্ক্রিয়া:


    একটি বিপ্লবী কার্যক্রম অথবা পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সামনে যথাযথ লক্ষ্য ও টার্গেট রয়েছে, যার জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হয় এবং এর বাস্তবায়ন হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও গোষ্ঠীর মাধ্যমে। তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করে বিপ্লব ও পরিবর্তনের পর্যায়গুলির প্রতি সজাগ সচেতন দৃষ্টি রেখে। তবে বড় লক্ষ্যগুলি অর্জন করা যায় না, যদি না ছোট ও মাঝারি লক্ষ্যগুলি অর্জিত হয়। শত্রুকে অবশ্যই আমাদের ভূখণ্ডের ইতিবাচক বিষয় সমূহ থেকে বঞ্চিত করতে হবে। এই শত্রু পক্ষের কাছে এমন কোনো কিছু আমরা বিক্রি করব না, যা তাদেরকে শক্তিশালী করবে, তাদের সামরিক ব্যবস্থাকে সংহত করবে। একইভাবে তাদের কাছ থেকে এমন কোনো কিছু আমরা ক্রয় করব না, যা তাদের অর্থনীতির জন্য লাভজনক হবে। এই বিষয়গুলো এমন লক্ষ্য উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন যেকোনো মুসলিম ব্যক্তি বা ইসলামিক সংস্থার পক্ষে আমলে নেয়া সম্ভব নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী— চাই সে ব্যবসায়ী শ্রমিক অথবা যুবসমাজ কিংবা কোনো মুজাহিদ দল, যাই হোক না কেন।

    মেধাবীদের প্রবন্ধে, কলমের কালিতে এবং কবি, বাগ্মী, গায়ক ও আবৃত্তিকারদের রচনায় যে শক্তি আছে, তা দিয়ে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করে জাতির মাঝে সচেতনতা তৈরির বিষয়টি একটি দুই ধারী তলোয়ার। এগুলো শত্রুর মনোবলে গভীর ছুরিকাঘাত। এই আঘাত শত্রুর বাহুকে ধ্বংস করে দেয়। অন্যদিকে এসবের দ্বারা আমাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়, আমাদের সংহতি বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই ‘শহীদদের নেতা’ বলা হয়েছে হামজা বিন আব্দুল মুত্তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু এবং এমন ব্যক্তিকে, যিনি জালিম শাসকের সামনে সত্য উচ্চারণ করেন, তাকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে বারণ করেন, ফলে ওই জালিম শাসক ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করে।

    আমাদের মুখের অভিব্যক্তি, আমাদের প্রতিবাদ মূলক অবস্থান, জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবহারিক ধর্মঘট এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের অবস্থানগুলি নাগরিক অবাধ্যতার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। মসজিদ, বিশ্ববিদ্যালয়, কারখানা, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, কোম্পানি, গ্রামীণ এলাকা, খামার ইত্যাদিতে মানুষের জমায়েত ছাড়া এখন আর উপায় নেই। এই সমস্ত ক্ষেত্রে অ্যাকটিভিটি দুর্নীতিবাজ সংস্থাগুলোর পতনের জন্য যেকোনো ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

    আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ঈমানের দুর্বলতম স্তর হচ্ছে পশ্চিমা পণ্য এবং জায়নবাদী কোম্পানিগুলিকে বয়কট করা... সেগুলি হোক খাদ্যদ্রব্য, মিষ্টান্ন, পানীয়, পোশাক, প্রযুক্তি, বিমান, গৃহস্থালি জিনিসপত্র, গাড়ি, ঘড়ি... ইত্যাদি যাই হোক না কেন। বিশ্বের যেকোনো স্থানে কোনো মুসলিম অথবা দুর্বল ব্যক্তি নিজের সাধ্যের ভেতর যেকোনো প্রচেষ্টাকে যেন ছোট করে না দেখে। কারণ অনেক সময় ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ ও কর্ম-প্রচেষ্টা রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তন এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন বাস্তবতাকে হটিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইচ্ছাশক্তি ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা। এই কারণেই ইতিহাস এমন ব্যক্তিদের নামকে অমর করে রেখেছে এবং তাদের নৈতিক পথ, জিহাদী বীরত্ব, গেরিলা ক্রিয়াকলাপ এবং আত্মত্যাগের গল্পগুলি অনুসরণীয় করে রেখেছে। দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সে সমস্ত ঘটনা থেকে আমাদের মনোবল দৃঢ় হয় নিঃসন্দেহে।

    ছুরি, ম্যাচ, পিস্তল, মাল্টুফ বোতল, রান্নার গ্যাস... এমনকি পাথর; এগুলো কার্যকরী এমন পুরানো অস্ত্র যা হৃদয়ের সাহসিকতা এবং বহনকারী হাতের শক্তি অনুযায়ী নিজের কার্যকারিতা উপযোগিতা ও চমৎকারিত্ব প্রমাণ করে শত্রুর অবস্থানকে একেবারে নাড়িয়ে দেয়। ১১ সেপ্টেম্বরে ১৯ জন বীর এবং তাদের পেছনে থাকা বাণিজ্যিক সরঞ্জামগুলো জীবনঘাতী অস্ত্রে পরিণত হয়েছিল। অতীতে একটি প্রবাদ চালু ছিল, (যার বাংলা হচ্ছে) “তরবারি তার ধারে নয়, বরং বহনকারী বাহুর ভারে কাটে।” যখনই তরবারি ইহুদীবাদী শত্রুর কোনো স্বার্থের উপর আঘাত করে, তখনই এটি বিপ্লবের সলতে প্রজ্বলিত করে মুক্তির পথে নিয়ে যায় এবং সারা বিশ্বের দুর্বলদেরকে পৃথিবীর উত্তরে অবস্থিত ইহুদীবাদী অত্যাচারীকে আঘাত করতে উদ্বুদ্ধ করে।

    জায়নবাদী অর্থনৈতিক যেকোনো স্বার্থ নাগালের মধ্যে পাওয়া গেলেই তার ওপর আঘাত করতে হবে। চাই সেগুলো কোনো ব্যক্তি, কোম্পানি কিংবা রাষ্ট্রের মালিকানাধীন হোক অথবা ইহুদী, আমেরিকান, ইংরেজ, ফরাসি, অথবা জার্মান স্বার্থ হোক। এর দ্বারা জায়নবাদী শত্রুর মিত্রদের নরম পেটে আঘাত লাগবে। এই আঘাতগুলো ইহুদীদের জন্য তাদের সমর্থনকে উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত করবে এবং তাদের ভূমিতে যুদ্ধ-বিরোধীদের সাথে অভ্যন্তরীণ সংঘাত তৈরি করবে। তখন জনগণ বিক্ষোভ করে আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করতে চেষ্টা করবে

    সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো মুসলিম অথবা দুর্বল ব্যক্তি যদি এই ব্যাপারে অবহেলা করে তবে তা পাপ বলে গণ্য হবে। কারণ ইহুদীরা শিশু, নারী, বৃদ্ধদের হত্যা করেছে, হাজার হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে, পুরো জনবসতি (হাসপাতাল, বাড়ি, সরকারি বিভাগ ইত্যাদি) ধ্বংস করেছে, কিছুই বাদ রাখেনি। তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের কল্পনার মাত্রাকেও হার মানিয়েছে। ধারণা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই অপরাধীদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য আমরা যা করব, আমাদের সেই কার্যক্রমকে সীমিত করার মতো কোনো রেডলাইন এখন আর নেই। ইহুদীবাদীদের সমস্ত কিছু এখন আমাদের টার্গেট। যেকোনো জায়গায় যেকোনো কিছু হাতের নাগালে পেলেই আত্মমর্যাদাশীল মুসলিম নিজের রব, নিজের দীন ও মুসলিম ভাইদের প্রতিশোধ হিসেবে তাতে আঘাত করবে। তাদের সঙ্গে তাদের অনুরূপ আচরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:

    وَإِنۡ عَاقَبۡتُمۡ فَعَاقِبُواْ بِمِثۡلِ مَا عُوقِبۡتُم بِهِۦۖ وَلَئِن صَبَرۡتُمۡ لَهُوَ خَيۡرٞ لِّلصَّٰبِرِينَ



    “আর যদি তোমরা শাস্তি দাও, তবে ঠিক ততখানি শাস্তি দেবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে তবে তোমরা ধৈর্য ধারণ করলে ধৈর্যশীলদের জন্য সেটা অবশ্যই উত্তম” [সূরা নাহল ১৬:১২৬]

    এই ইহুদী গোত্র ও জাতির ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বিভক্তি ও বিচ্ছিন্নতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাদের যেকোনো সম্মিলিত অবস্থা, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বিলুপ্ত হতে বাধ্য, নিকট ভবিষ্যতে হোক কিংবা দূর ভবিষ্যতে। আমাদের এমন সহানুভূতির কাছে যেন আমরা প্রতারিত না হই যে, তারা আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালামের বংশধর। কারণ হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দুজন পুত্র সন্তান ছিল। তাদের জন্য তিনি দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:

    ۞ وَإِذِ ٱبۡتَلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ رَبُّهُۥ بِكَلِمَٰتٖ فَأَتَمَّهُنَّۖ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامٗاۖ قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِيۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهۡدِي ٱلظَّٰلِمِينَ



    “আর স্মরণ করুন, যখন ইবরাহীমকে তাঁর রব কয়েকটি কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, অতঃপর তিনি সেগুলো পূর্ণ করেছিলেন আল্লাহ্‌ বললেন, “নিশ্চয় আমি আপনাকে মানুষের ইমাম বানাবো” তিনি বললেন, “আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও?” (আল্লাহ্‌) বললেন, “আমার প্রতিশ্রুতি জালিমদেরকে পাবে না” [সূরা বাকারা ০২:১২৪]

    আল্লাহর নবী হযরত ইসহাক আলাইহিস সালামের উত্তর পুরুষরাই হলো ইহুদী। তাদের উপরেই আল্লাহর গযব এবং তাদের ব্যাপারে তিনি আমাদেরকে সতর্ক করে ইরশাদ করেছেন:

    لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ ٱلنَّاسِ عَدَٰوَةٗ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْۖ وَلَتَجِدَنَّ أَقۡرَبَهُم مَّوَدَّةٗ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّا نَصَٰرَىٰۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّ مِنۡهُمۡ قِسِّيسِينَ وَرُهۡبَانٗا وَأَنَّهُمۡ لَا يَسۡتَكۡبِرُونَ


    “অবশ্যই মুমিনদের মধ্যে শত্রুতায় মানুষের মধ্যে ইহুদী ও মুশরিকদেরকেই আপনি সবচেয়ে উগ্র দেখবেন আর যারা বলে, ‘আমরা নাসারা’ মানুষের মধ্যে তাদেরকেই আপনি মুমিনদের কাছাকাছি বন্ধুত্বে দেখবেন, তা এই কারণে যে, তাদের মধ্যে অনেক পণ্ডিত ও সংসার বিরাগী রয়েছে আর এজন্যও যে, তারা অহংকার করে না” [সূরা মায়েদা ০৫:৮২]

    আল্লাহ তাদেরকে একটি গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শেষ যুগে আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে বৃক্ষ ও পাথরকে পর্যন্ত উদ্বুদ্ধ করেছেন তাদেরকে ধিক্কার জানানোর জন্য। আল্লাহর হুকুম থেকে তারা কিছুতেই পলায়ন করতে পারবে না, কারণ সেই দিন অতি আসন্ন। তাদের অপরাধ ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত দেখে পাথর ও বৃক্ষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে। আল্লাহর এবং তার বান্দাদের ব্যাপারে তাদের ধৃষ্টতা ও দুঃসাহসে, তাদের বিশৃঙ্খলা-অনাচার, অনর্থ সৃষ্টি এবং গোটা বিশ্বে ধ্বংসযজ্ঞ বিস্তারের ফলে তাদের বিরুদ্ধে কেউই নীরব থাকবে না।
    ***










    আরও পড়ুন​
    ২য় পর্ব -------------------------------------------------------------------------------------------------- ৪র্থ পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 2 days ago.
Working...
X