আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৩তম পর্ব
===================
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১৩তম পর্ব
===================
১০. সারকথা:
ক. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে বন্ধু বানিয়ে কথা-কাজের মাধ্যমে সাহায্য করতে নিষেধ করেছেন। যে ব্যক্তি এমনটি করবে সে তাদেরই মতো কাফের হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি হত্যা, অঙ্গহানি বা কঠিন শাস্তির ভয় করে, শরীয়াহ তার জন্য কাফেরদের সাথে এমন বাক্য উচ্চারণ করা অনুমোদন করে; যা তার থেকে সে কষ্টকে দূর করে দেবে। কোনো ফায়দা লুটার জন্য এমনটা করা যাবে না, আন্তরিকভাবে তাদের সাথে একমত হয়ে এবং কোনো কাজ, হত্যা বা যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সহায়তা করা যাবে না। তবে এমন পরিস্থিতির স্বীকার ব্যক্তির জন্য উত্তম হলো ধৈর্যধারণ করা এবং অটল থাকা।
খ. আল্লাহ তা‘আলা কাফেরদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা ও বন্ধুত্ব বর্জন করার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই তারা সদা আমাদের সাথে শত্রুতা রাখে, দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের সাথে হিংসা করে এবং আমাদেরকে দ্বীন থেকে বিচ্যুত দেখতে চায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা অভিযানের খবর জানিয়ে সামান্য একটি চিঠি পাঠানোর অপরাধে হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. হাতিব ইবনে আবি বালতাআ রাযি. কে মুনাফিক গণ্য করেছিলেন এবং তার ওজর কবুল না করে তাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর এ কাজে তাঁকে নিন্দা জানাননি বরং বদর যুদ্ধে হাতিব ইবনে আবি বালতাআ রাযি. এর অংশগ্রহণের বিশাল কাজের দিকে লক্ষ্য করে তার এ জঘন্য অপরাধ ক্ষমা করেছিলেন। আর এ বিধানে রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসা, মু’মিনদের বন্ধুত্ব ও জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর মাঝে এক নিবিড় সম্পর্ক। আরও রয়েছে, যে সব কাফের আমাদের সাথে শত্রুতা রাখে না, তাদের সাথে নিষিদ্ধ বন্ধুত্বের বাহিরে থেকে কোনো কল্যাণ পৌঁছানো এবং ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করা।
গ. কাফেরদেরকে অন্তরঙ্গ ও গোপন তথ্যের ব্যাপারে বন্ধু বানানো থেকে শরীয়াহ আমাদেরকে নিষেধ করেছে।
ঘ. কাফেরদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে শরীয়াহতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ঙ. কাফেরদের বিশ্বাস-মতবাদের অনুসরণ করা, সেগুলোকে সম্মান জানানো থেকে শরীয়াহ আমাদেরকে নিষেধ করেছে।
চ. মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করা থেকে শরীয়াহ আমাদেরকে নিষেধ করেছে। কাফেরদের পতাকাতলে থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বাধ্য হওয়ার অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
ছ. আসলী, মুরতাদ ও মুনাফিক কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শরীয়াহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্রের হানাদার কাফেরদেরকে প্রতিহত করা উলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে ঈমান আনার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরয।
জ. “প্রেক্ষাপট পরির্তনের ভয়ে কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করা” মুনাফিকদের এমন অজুহাত শরীয়াহ গ্রহণ করেনি।
ঝ. কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে সহায়তা করা শরীয়াহ আমাদের উপর ফরয করে দিয়েছে।
Comment