Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১৬ || “আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।। শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ || ১৬তম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১৬ || “আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।। শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ || ১৬তম পর্ব

    আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
    আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা ।।
    শাইখ
    আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
    এরথেকে || ৬তম পর্ব

    ===================


    ০৩. কথিত সমঝোতার আহ্বানকারী


    আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা থেকে বিচ্যুত তৃতীয় শ্রেণীটি হলো: সেসব লোক, যারা ইসলামের শত্রুদেরকে বাঁচানোর জন্য শরীয়াহ থেকে বিচ্যুত সরকারগুলোর সাথে সমঝোতার আহ্বান করে।

    তাদের দাবির সারাংশ হলো, আমরা চোরকে সহায়তা করব; যেন সে আমাদের কাছ থেকে চুরিকৃত বস্তু আমাদের হাতে ফিরিয়ে দেয়। আমরা পাপিষ্ঠের সাথে সমঝোতা করবো; যে সম্মান সে নষ্ট করেছে সে সম্মান যাতে সে সংরক্ষণ করে। তাদের নীতি মতে যদি বলি- আমরা ইয়াহুদী-নাসারার সাথে সমঝোতা করব; যাতে তারা আমাদের ভূমি থেকে শান্তভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারে!?

    তারা চায়, আমরা বাস্তবতাকে মিথ্যা বলে তাদের আওড়ানো বুলিগুলোকে সত্য হিসেবে মেনে নিই।

    তাদের দাওয়াতের সারকথা হলো, মুসলমানদেরকে মূল শত্রুকে প্রতিহত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মুজাহিদীন নেতৃত্বকে সে সব দুর্নীতিবাজ শাসকের হাতে তুলে দিতে হবে, যাদের ইতিহাস ইসলামের বিরোধিতায় পরিপূর্ণ; যারা একটি দিনও ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি, যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করেনি। বরং ক্রুসেডার বাহিনীর জন্য আমাদের ভূমিগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছে।



    ০৪. আমেরিকান মুজাহিদ


    এ যুগে আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা থেকে বিচ্যুত চতুর্থ শ্রেণী হলো: আফগানিস্তানের সেসব কথিত জিহাদী গ্রুপ (তাগুত সেনাদল); যারা আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করে। তাদের দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করলেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী তাদের পাহারা দিতে আসে, মার্কিন সেনাবাহিনী সুরক্ষা দেয় এবং মার্কিন জঙ্গীবিমানগুলো তাদের উপর ছায়া বিস্তার করে আর তারা দখলদারদের উচ্ছিষ্ট খাবারগুলো পেয়ে নিজ জাতির ক্ষত-বিক্ষত দেহ ও মুজাহিদীনের রক্তের উপর উল্লাসে ফেটে পড়ে।

    আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-

    فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِن تَوَلَّيْتُمْ أَن تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ ﴿محمد: ٢٢﴾ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَىٰ أَبْصَارَهُمْ ﴿محمد: ٢٣﴾ أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا ﴿محمد: ٢٤﴾ إِنَّ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَىٰ أَدْبَارِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطَانُ سَوَّلَ لَهُمْ وَأَمْلَىٰ لَهُمْ ﴿محمد: ٢٥﴾ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا لِلَّذِينَ كَرِهُوا مَا نَزَّلَ اللَّهُ سَنُطِيعُكُمْ فِي بَعْضِ الْأَمْرِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِسْرَارَهُمْ ﴿محمد: ٢٦﴾ فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ ﴿محمد: ٢٧﴾ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ اتَّبَعُوا مَا أَسْخَطَ اللَّهَ وَكَرِهُوا رِضْوَانَهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ ﴿محمد: ٢٨﴾ أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَن لَّن يُخْرِجَ اللَّهُ أَضْغَانَهُمْ ﴿محمد: ٢٩﴾ وَلَوْ نَشَاءُ لَأَرَيْنَاكَهُمْ فَلَعَرَفْتَهُم بِسِيمَاهُمْ وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ فِي لَحْنِ الْقَوْلِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَعْمَالَكُمْ ﴿محمد: ٣٠﴾ وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتَّىٰ نَعْلَمَ الْمُجَاهِدِينَ مِنكُمْ وَالصَّابِرِينَ وَنَبْلُوَ أَخْبَارَكُمْ ﴿محمد: ٣١﴾


    ক্ষমতা লাভ করলে, সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন আর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন। তারা কি কুরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? নিশ্চয়ই যারা নিজেদের নিকট সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর তা থেকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্য তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়। এটা এ জন্য যে, যারা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব অপছন্দ করে, তারা তাদেরকে বলে, আমরা কোনো কোনো বিষয়ে তোমাদের কথা মান্য করব। আল্লাহ তাদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন। ফেরেশতা যখন তাদের মুখমণ্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের কেমন দশা হবে? এটা এ জন্য যে, তারা সেই বিষয়ের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অপ্রিয় গণ্য করে; ফলে তিনি তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দেন। যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দেবেন না? আমি ইচ্ছা করলে আপনাকে তাদের সাথে পরিচিত করে দিতাম। তখন আপনি তাদের চেহারা দেখে তাদেরকে চিনতে পারতেন এবং আপনি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবেন। আল্লাহ তোমাদের কর্মসমূহের খবর রাখেন। আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যে পর্যন্ত না আমি জেনে নিই- তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থানসমূহ যাচাই করি।” (সূরামুহাম্মাদ: ২২-৩১)




    আরও পড়ুন
    ১৫তম পর্ব ---------------------------------------------------------------------------------------------- শেষ পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 4 weeks ago.

  • #2
    আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যে পর্যন্ত না আমি জেনে নিই- তোমাদের জিহাদকারীদেরকে এবং সবরকারীদেরকে এবং যতক্ষণ না আমি তোমাদের অবস্থানসমূহ যাচাই করি।” (সূরামুহাম্মাদ: ৩১)
    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের এই ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফিক দিন, আমীন

    Comment

    Working...
    X