একটি রাত আসছে। আলোকিত আঁধারের রাত। এ রাতে শহরগুলো নিজেদের সাজিয়ে নেয় বুনো আনন্দের প্রস্তুতিতে। ঘোরলাগা উন্মত্ত উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে লক্ষ কোটি রাতজাগা নেশাতুর চোখের মালিকেরা। কিছু সস্তা সুখে ডুবে ‘নতুন বছরকে অভ্যর্থনা’ জানানো হয়। আনন্দ-সুখের মোড়কের আদতে মানবজাতির প্রকাশ্য শত্রুর পদাঙ্ক অনুসরণ করা হয়। এ রাতে মদ-মাংস-মাৎসর্য্যের মোহে নষ্ট হয় অসংখ্য প্রাণ – যুবক ও যুবতী, মানব ও মানবী। এরা আমাদেরই সন্তান, আমাদের ভাইবোন, আমাদের পরিবার। পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে তারা এ রাত জাগবে। আনন্দ খুঁজে বেড়াবে শহরের কোনে। পরদিন ঢুলুঢুলু চোখে ঘরে ফিরবে। আদিমতম শত্রু, বিতাড়িত শয়তান হয়তো আমাদের এই আদিম-উল্লাসে মুচকি হাসবে...!
.
আমাদের পবিত্র পূর্বসুরীরাও রাত জাগতেন। তাঁদের জীবনেও আমরা খুঁজে পাই রাত জাগার দৃষ্টান্ত। তবে সেই রাত জাগা কোন পার্থিব সুখের মোহে না। শারীরিক সস্তা তৃপ্তির জন্যে না। পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠার জন্য এই রাত জাগা না। এই রাত জাগা শুধুমাত্র ‘একজনের জন্য’। তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য। শুধুই তাঁর সন্তুষ্টির জন্য। এই রাত জাগা নির্জনে প্রভুর সামনে নিজেকে নিবেদনের জন্য। শীতের রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, এই রাত জাগা তখন মহিমান্বিত আল্লাহর সামনে সিজদাহবনত হবার জন্য।
.
পাশ্চাত্যের অনুকরণে আমরা অনেকেই হয়তো অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি আদিম উল্লাসে। আমরা অথবা আমাদের চেনাজানা অনেকেই হয়তো এভাবেই আরেকটি রাত কাটাতে যাচ্ছেন। কিন্তু এমনো কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা পবিত্র পূর্বসূরিদের অনুকরণে এ রাতকে জীবন্ত রাখবেন।
.
দুটো দলই জেগে থাকবে। কেউ সাময়িক উত্তেজনার মোহে, আর কেউ অপার্থিব প্রশান্তির খোঁজে। কেউ রাত কাটাবে থার্টি ফার্স্টের পার্টিতে আর কেউ তাহাজ্জুদের নামাযে, জায়নামাযে। এক দল পরকালকে ধ্বংস করবে, আরেক দল নিজেদের পরকালকে সাজিয়ে নেবে।
.
আমাদের ভাই ও বোনেরা,
আসুন না – ময়লা-আবর্জন-পঙ্কিলতা ছেড়ে, অন্ধ অনুকরণ আর স্রোতে গা ভাসানো থেকে বের হয়ে আসি আমরা। শয়তানের পদাঙ্কের বদলে অনুসরণ করি শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের। যদি একটা রাত জেগেই থাকতে হয়, আসুন না – সেটা কাটানো যাক আসমান ও যমীনের একমাত্র অধিপতির স্মরণে...
শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল (হাঃ) এর লেকচার The Ultimate Pleasure Of A Believer On This Earth Qiyam Al Layl এর অনুবাদ “তাহাজ্জুদঃ মুমিনের অন্তরের প্রশান্তি”। ইনশা আল্লাহ্।
.
“অতঃপর উপদেশ দিন, যদি উপদেশ ফলপ্রসু হয়। যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে। আর যে হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে।”
[আল-আ’লা, আয়াত ৯-১১]
1 পর্ব
↓
2 পর্ব
↓
.
আমাদের পবিত্র পূর্বসুরীরাও রাত জাগতেন। তাঁদের জীবনেও আমরা খুঁজে পাই রাত জাগার দৃষ্টান্ত। তবে সেই রাত জাগা কোন পার্থিব সুখের মোহে না। শারীরিক সস্তা তৃপ্তির জন্যে না। পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠার জন্য এই রাত জাগা না। এই রাত জাগা শুধুমাত্র ‘একজনের জন্য’। তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য। শুধুই তাঁর সন্তুষ্টির জন্য। এই রাত জাগা নির্জনে প্রভুর সামনে নিজেকে নিবেদনের জন্য। শীতের রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, এই রাত জাগা তখন মহিমান্বিত আল্লাহর সামনে সিজদাহবনত হবার জন্য।
.
পাশ্চাত্যের অনুকরণে আমরা অনেকেই হয়তো অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি আদিম উল্লাসে। আমরা অথবা আমাদের চেনাজানা অনেকেই হয়তো এভাবেই আরেকটি রাত কাটাতে যাচ্ছেন। কিন্তু এমনো কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা পবিত্র পূর্বসূরিদের অনুকরণে এ রাতকে জীবন্ত রাখবেন।
.
দুটো দলই জেগে থাকবে। কেউ সাময়িক উত্তেজনার মোহে, আর কেউ অপার্থিব প্রশান্তির খোঁজে। কেউ রাত কাটাবে থার্টি ফার্স্টের পার্টিতে আর কেউ তাহাজ্জুদের নামাযে, জায়নামাযে। এক দল পরকালকে ধ্বংস করবে, আরেক দল নিজেদের পরকালকে সাজিয়ে নেবে।
.
আমাদের ভাই ও বোনেরা,
আসুন না – ময়লা-আবর্জন-পঙ্কিলতা ছেড়ে, অন্ধ অনুকরণ আর স্রোতে গা ভাসানো থেকে বের হয়ে আসি আমরা। শয়তানের পদাঙ্কের বদলে অনুসরণ করি শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের। যদি একটা রাত জেগেই থাকতে হয়, আসুন না – সেটা কাটানো যাক আসমান ও যমীনের একমাত্র অধিপতির স্মরণে...
শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল (হাঃ) এর লেকচার The Ultimate Pleasure Of A Believer On This Earth Qiyam Al Layl এর অনুবাদ “তাহাজ্জুদঃ মুমিনের অন্তরের প্রশান্তি”। ইনশা আল্লাহ্।
.
“অতঃপর উপদেশ দিন, যদি উপদেশ ফলপ্রসু হয়। যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে। আর যে হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে।”
[আল-আ’লা, আয়াত ৯-১১]
1 পর্ব
↓
2 পর্ব
↓
Comment