Announcement
Collapse
No announcement yet.
Video!! শাসক ছাড়া জিহাদ নেই!(সহীহ আকিদা দাবিদার আলেমদের দাতঁ ভাঙ্গা জবাব) মাওলানা সাঈদ ইউসুফ
Collapse
X
-
কিছু আলেম মুসলিম যুবকদের জিহাদের পথ থেকে দূরে রাখার জন্য এক দলীল হিসেবে এক যুক্তি পেশ করে তা হলো জিহাদ অপেক্ষা মাতা পিতার খেদমত উওম আহলে হাদীস শায়েখদের এই ভ্রান্তির জবাব দিয়েছেন একজন ভাই শুনুন বক্তবটি
জিহাদের জন্য পিতা-মাতার অনুমতি শর্ত কিনা ?
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে,
ﺟَﺎﺀَ ﺭَﺟُﻞٌ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻓَﺎﺳْﺘَﺄْﺫَﻧَﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺠِﻬَﺎﺩِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺃَﺣَﻲٌّ ﻭَﺍﻟِﺪَﺍﻙَ؟ » ، ﻗَﺎﻝَ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﻔِﻴﻬِﻤَﺎ ﻓَﺠَﺎﻫِﺪْ»
“একব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে জিহাদে বের হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে বললেন তোমার পিতামাতা কি বেঁচে আছে? সে বলল, হ্যাঁ। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তবে তাদের নিকট জিহাদ করো।”
অন্য একটি হাদীসে এসেছে “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করা হলো কোন আমল শ্রেষ্ঠ? তিনি প্রথমে বললেন সময় মতো নামাজ আদায় করা, পরে বললেন পিতা-মাতার সাথে ভাল আচরণ করা তারপর বললেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
এই হাদীস দুটির মাধ্যমে অনেকে বিভিন্নরকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে থাকেন এবং সর্বাবস্থায় জিহাদে যাওয়ার জন্য বাবা-মার অনুমতি জরুরী মনে করেন। আমরা অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরে লিখেছিঃ সাধারন অবস্থায় জিহাদ ফরজে কেফায়া কিন্তু বিশেষ কিছু অবস্থায় ফরজে আইন হয়ে যায়। জিহাদ যখন ফরজে কিফায়া থাকে এবং যথেষ্ট সংখক মুসলিম জিহাদে অংশগ্রহন করে তবে বাকীদের উপর জিহাদে অংশগ্রহন করা বাধ্যতামুলক থাকেনা তারা ইচ্ছা করলে অংশগ্রহণ করে গনীমত ও সূউচ্চ মর্যাদা হাসীল করতে পারে আবার ইচ্ছা করলে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে। এই অবস্থায় পিতামাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদ করা বৈধ নয়। কিন্তু জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়ে যায় বা যথেষ্ট সংখক মুজাহিদ জিহাদে যোগদান না করেন, তখন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায়। তখন পিতা মাতার অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই যেভাবে নামাজ, রোযার জন্য পিতামাতার অনুমতির প্রয়োজন হয় না। ইবনে হাযার আসকালানী (রঃ) বলেন,
ﻗَﺎﻝَ ﺟُﻤْﻬُﻮﺭُ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀِ ﻳَﺤْﺮُﻡُ ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩُ ﺇِﺫَﺍ ﻣَﻨَﻊَ ﺍﻟْﺄَﺑَﻮَﺍﻥِ ﺃَﻭْ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺑِﺸَﺮْﻁِ ﺃَﻥْ ﻳَﻜُﻮﻧَﺎ ﻣُﺴﻠﻤﻴﻦ ﻟِﺄَﻥَّ ﺑِﺮَّﻫُﻤَﺎ ﻓَﺮْﺽُ ﻋَﻴْﻦٍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩُ ﻓَﺮْﺽُ ﻛِﻔَﺎﻳَﺔٍ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺗَﻌَﻴَّﻦَ ﺍﻟْﺠِﻬَﺎﺩُ ﻓَﻠَﺎ ﺇِﺫْﻥَ
জমহুর আলেম বলেছেন পিতামাতা যদি মুসলমান হয় তবে তারা নিষেধ করলে জিহাদ করা বৈধ হবে না কেননা পিতামাতার সাথে সৎ ব্যবহার করা ফরজে আইন আর জিহাদ ফরজে কিফায়া। তবে যখন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায় তখন কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। (ফাতহুল বারী)
পরবর্তী হাদীসে যে জিহাদকে পিতামাতার সাথে সৎ ব্যবহারের পরে উল্লেখ করা হয়েছে এটাও ঐ অবস্থায় যখন জিহাদ ফরজে কিফায়া থাকে কিন্তু যখন জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যায় তখন পিতামাতার খেদমতের চেয়ে জিহাদ করা অধিক ফজীলতের আমল হবে। এ বিষয়ে বহু হাদীস বর্ণিত আছে। যেমনঃ
ﺟﺎﺀ ﺭﺟﻞ ﺇﻟﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺩﻟﻨﻲ ﻋﻠﻰ ﻋﻤﻞ ﻳﻌﺪﻝ ﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻗﺎﻝ ( ﻻ ﺃﺟﺪﻩ ) . ﻗﺎﻝ ( ﻫﻞ ﺗﺴﺘﻄﻴﻊ ﺇﺫﺍ ﺧﺮﺝ ﺍﻟﻤﺠﺎﻫﺪ ﺃﻥ ﺗﺪﺧﻞ ﻣﺴﺠﺪﻙ ﻓﺘﻘﻮﻡ ﻭﻻ ﺗﻔﺘﺮ ﻭﺗﺼﻮﻡ ﻭﻻ ﺗﻔﻄﺮ ) ﻗﺎﻝ ﻭﻣﻦ ﻳﺴﺘﻄﻴﻊ ﺫﻟﻚ
“একজন ব্যক্তি রসুলুল্লাহ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে বলল হে আল্লাহর রসুল আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যার মাধ্যমে আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত মুজাহিদদের সমান পুরুষ্কার পেতে পারি। তিনি বললেন, তুমি কি (মুজাহিদ ফিরে না আসা পর্যন্ত) অনবরত ক্লানি-হীনভাবে নামাজ আদায় করতে ও কোনোরুপ পানাহার ব্যতিরেখেই রোযা রাখতে সক্ষম? উক্ত ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রসুল, কে এই কাজ করতে সক্ষম? (সহীহ বুখারী)
আর যদি আমরা মেনেও নিই যে পিতামাতার সাথে ভাল আচরন করা জিহাদের চেয়ে উত্তম তবে এর অর্থ কি এই যে পিতামাতার সাথে ভাল আচরণ করলেই জিহাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে। একই হাদীসে তো নামাজকে পিতামাতার সাথে ভাল আচরণের পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ কি এ যে যেহেতু নামাজ পিতামাতার সাথে ভাল আচরণের তুলনায় উত্তম আমল তাই একজন মুসল্লির জন্য পিতামাতার খেদমতের প্রয়োজন নেই? একটি কাজ অন্য একটি কাজ থেকে উত্তম হলেই অন্য কাজটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় না। বরং মুক্তি পেতে হলে প্রতিটি ফরজ দায়িত্বই নিষ্ঠার সাথে আদায় করতে হবে।চিঠিটি তাদেরকে পৌঁছে দাও, দূরে থেকে দেখো তারা কি জবাব দেয় … (নামল, ২৮)
Comment
-
আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রকূত জিহাদ কি তা বুজার এবং আমল করা তৌফিক দিন( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883
Comment
Comment